ইউজার লগইন

সামছা আকিদা জাহান'এর ব্লগ

যন্ত্রনাদায়ক প্রশ্নের বিব্রতকর উত্তর ১৮+

বঙ্কিম এর জীবনিতে পড়েছিলাম , তাকে যখন ম্যাজিস্ট্রেসির জন্য মৌখিক পরীক্ষায় একজন বিলেতী সাহেব জিজ্ঞাসা করেছিল " হোয়াটস দা ডিফারেন্স বিটুইন আপড এন্ড বিপড। তিনি জববে অনেকটা এমনই বলেছিলেন ---একজন বাঙালী হয়ে বিলেতী র সামনে বাংলা পরীক্ষা দিতে হচ্ছে এটা বিপদ আর যে পরীক্ষা নিচ্ছে সে আপদ।

আমি এই আপদ বিপদের আশে পাশে পড়ি কিনা বুঝি না ,বা জানি না ,তবে যার মাঝে পরেছিলাম তাই বয়ানে বসেছি।

সময় রাত ১০:৩০।
স্থান: শোবার ঘর।টিভির সামনে মাটিতে কার্পেটের উপর বসা ১০+ ও ৭+ দুই পুত্র কন্যা। আমি হাতে " নট উইদয়াউট মাই ডটার " বইটি নিয়ে সোফায় শুয়ে কেবল মন দিতে যাচ্ছি।
টিভি চ্যানেল : ডিসকভারি, ওয়াইল্ড ভার্সের ম্যান বা ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড। যাই হোক মনে নাই মনে করার ইচ্ছাও নাই।

১০+ বাচ্চা ----মা মা
আমি: বলো
বাচ্চা: দেখন না।
মা: হ্যঁা শুনছি বলো কি?
বাচ্চা: সেক্স না করলে তো বাচ্চা হয় না।
তাকালাম বাচ্চার দিকে।এক সেকেন্ডের ও কম সময় ভেবে বললাম --হ্যাঁ ।
বাচ্চা : তার মানে তুমি সেক্স করছ ?!
মা: Shock এবার তিন সেকেন্ড সময় নিয়ে উত্তর দিলাম, ---হ্যাঁ।

বৃন্দাবনে কৃষ্ণের সাথে রাসলীলা।

সর্বত্র মন বলো রাধে বিনোদিনী রাই/
বিন্দাবনে বংশীধারী ঠাকুর ও কানাই।
একলা রাধে জল ভরিতে যমুনাতে যায়/
পিছন থেকে কৃষ্ণ তখন আড়ে আড়ে চায়।
জল ভর জল ভর রাধেও গোয়ালের ঝি/
কলস আমার পূর্ন কর আমি করব কি? --------------

এই গান শুনে পাগল হয়ে গেলাম বৃন্দাবন/
খুজি রাধা এদিক ওদিক বড়ই অবুঝ মন।
সাথের সাথী বামুন দাদা ভক্তিতে বিলীন/
প্রবেশিলেন মন্দিরেতে হয়ে চরনাশীন।
আমি যবন ঘুরি পথে দেখি বৃন্দাবন/
আমার জন্য অপেক্ষায় নেই কোন রাধার মন। ---------অতএব একা ঘুরি। ঘুরতে ঘুরতে
দরজা খোলা পেয়ে ঢুকে গেলাম বাগানে। আহা কি শোভা চারিদিকে। ক্যামেরা চোখে লাগাই আর ক্লিক করি। এই ফুল , এই মানুষ ,এই নালা, এই ঝরনা ,এই খাল ,এই গাছ, এই পাখি, এই গরু (যার গলায় কোন দড়ি নাই), এই বানর, এই কাঠবিড়ালি আহা আহা কত মনরম দৃশ্য। যতই দেখি ততই মুগ্ধ আর ছবি তুলি ক্লিক ক্লিক। সব তোলা শেষ। পূজারীর পূজা শেষ হয় না। ক্যামেরা কাধে নয়ে ঘুরি আর ফুটানি মারি।

কোন রঙ নেই।

ঘুম ভাঙল কেমন যেন এক বিষন্নতা নিয়ে। কিসের যেন এক দু:খ বোধ কাজ করছে বুকের ভেতরে। একটা শূন্যতা,হাহাকারের মত। কেন এমন কষ্ট কষ্ট অনুভূতি নিয়ে ঘুম ভাঙল। শোয়া থেকে উঠে বসল বিছানায়। পায়ে হাত রাখতেই কাটা জায়গাটায় হাত পড়ল। কি সুক্ষ্ম একটা দাগ! আপনা থেকেই চলচিত্রের মত ভেসে উঠল কিছু ছবি।

কয়েকটি বাচ্চা খুব দৌড়া দৌড়ি করে খেলছে। শুধু তাদের হাসি আর দৌড় চোখে ভাসছে। সময়টা ঠিক দুপুর নয়, সকাল ও নয়। হয়ত ১১টা বাজে বা তার কাছাকাছি। বাবা বাড়িতে আছে। বাবা বাড়িতে মানে দাড়োয়ান মালি দুজনের ত্রাহিত্রাহি অবস্থা।

বাগানের একপাশে কলাবতী ফুলগাছের ঝোপ হয়ে গেছে। গাঢ় মেরুন রং এর গাছ। কি সুন্দর কমলা,হলুদ,লাল,সাদা,আবার ফুটকি ফুটকি বিভিন্ন রং এর ফুল।মা বোধ হয় নিষেধ করেছিল গাছগুলি কাটতে। কিন্তু বর্ষা শেষ হয়েছে গাছে এই সময় কোন ফুল নেই। বাগান আর পরিষ্কার করা হয়নি।

মঞ্চে যাত্রা দেখলাম

কাল রাতে যাত্রা দেখতে গিয়েছিলাম। আমার জীবনে এই প্রথম সরাসরি যাত্রা মঞ্চের সামনে বসে যাত্রা দেখা। যাত্রার নাম “নীচু তলার মানুষ”। আমরা প্রথম সারির দর্শক। উঁচু মঞ্চের দিকে তাকিয়ে আছি। প্রায় আধাঘণ্টা পার হয়ে গেল এই মূহুর্তে শুরু হচ্ছে আজকের যাত্রা ‘নিচু তলার মানুষ’ এই ঘোষনা শুনতে শুনতে। মঞ্চে মাইক টেষ্ট করছে। গঙ্গাজল ছিটাচ্ছে। গঙ্গাজল শব্দটা আমার ভাষায়, কারন এক ধুতি পরা লোক মঞ্চে বোতল থেকে পানি ছিটালেন তারপর মঞ্চকে ছুঁয়ে প্রনাম করলেন।

আমাদের কারখানার কিছু কর্মচারী, শ্রমিক মিলে একটি নাট্টদল তৈরি করেছিল পঁচিশ বছর আগে। সেই নাট্টদলের নাম ‘আদর্শ নাট্টদল’। তাদের পচিঁশ বছর পূর্তি উপলক্ষে তিনদিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক আনুষ্ঠানের প্রথম দিনে এই যাত্রা। এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনি ঘোষনা করবেন আমার জানু। অর্থাৎ আমরা প্রধান অতিথির দলের লোক। প্রথমেই মাঠে প্রবেশ করতেই শুনলাম মাইকে একজন বলছেন--সুধীমন্ডলি একটু অপেক্ষা করুন আমাদের প্রধান অতিথির দেরীর কারনে অনুষ্ঠান শুরু করতে দেরী হচ্ছে, তবে তিনি চলে এসেছেন। প্রধান অতিথির নামের আগের পরের বিশেষন নাইবা বললাম :bigsmile ।

হারিয়ে পাওয়া

সেদিন সকাল থেকেই খুব ব্যাস্ত আমি । বেলা ১২টার দিকে বড় মেয়েটার স্কুল থেকে ফোন এল। আপনার মেয়ে পায়ে ব্যাথা পেয়েছে, সে সাইকেল চালাতে পারছে না। তাকে কি আমরা রিক্সায় তুলে দেব, নাকি আপনি কোন ব্যাবস্থা নিবেন? -- আমি আসছি, বলেই গাড়ি নিয়ে স্কুলে গেলাম। সেখান থেকে তাকে নিয়ে হাসপাতাল। হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে রুগীর সবকাজ শেষে বাসায় ফিরলাম। আইস ব্যগ নিয়ে বসেছি পায়ে বরফের শ্যাক দিতে এমন সময় নীচ থেকে চিৎকার । দৌড়ে নিচে যেয়ে দেখি ছোটটার পায়ের চামরা ছিলে রক্তারক্তি কান্ড। তাকে বাগান থেকে নিয়ে এসে পা ধোয়ানো থেকে শুরু করে তার সম্পূর্ন শুশ্রাষা করে, তাকে বিছানায় শুইয়ে দিলাম। এবার আমার ফোন বেজে উঠল। জানের জান জানু জানালো সে এই মুহুর্তে সীমান্ত ট্রেন ধরে রাজশাহী যাবে, আমি যেন তার ব্যাগ গুছুয়ে দেই, সে আসছে। বাচ্চাগুলি যে আহত হয়েছে সে কথা বলারও ফুসরুত পেলাম না। ব্যাগ গুছিয়ে দিলাম । তিনি আসলেন ব্যাগ নিলেন, চলে গেলেন।

১২ই নভেম্বর ১৯৭০--- একটি ছোট্ট ঘটনা

আজ ভয়াল ১২ই নভেম্বর। ১৯৭০সালের এই দিনে ঘটে যায় প্রয়লংকারী ঘূর্ণীঝড়। প্রায় ১০ লক্ষ লোক মারা যায় এই প্রাকৃতিক দূর্যোগে। কি ভয়াবহ সেই সময়। সেই ভয়াবহ সময় যাদের উপর দিয়ে বয়ে গেছে শুধু তারাই জানে কি দুঃসময় ছিল তা।

সেই সময়ের একটি ছোট্ট ঘটনা। ঢাকা মেডিকেল কলেজের কিছু তরুন ডাক্তার সেচ্ছাসেবী দল হিসাবে সাহায্যের জন্য গিয়েছিল সেই উপকূলিয় আঞ্চলে। সারাদিন নৌকায় করে এক চর থেকে অন্য চরে ঘুরাঘুরি করে তারা ক্লান্ত হয়ে রাতে সন্দ্বীপে আশ্রয় নেয়। রাতের খাওয়া শেষ করে বাইরে এসে দেখে যতদূর চোখ যায় শুধু লাশের সারি। বাতাসে পঁচা গন্ধ। চারদিক নিঝুম শুধু সাগরের গর্জন ছারা কোন শব্দ নেই। সোলায়মান ভাবলেন, লাশ গুলি একটু পরখ করে দেখা যাক। যা ভাবা তাই কাজ। সবাই নয় ৪৫জনের দলের মধ্যে অসীম সাহসী আটজন যুবক একটি মাত্র পাঁচ ব্যাটারীর টর্চলাইট হাতে নিয়ে কাজ শুরু করে দিল। অন্যান্যরা ক্লান্তি, ও অলৌকিক বস্তুর ভীতির কারনে যেতে অস্বিকার করে।

গীত --আপনারে চিনি

নীলফামারী জেলার হারিয়ে যাওয়া কিছু গীত । যা আমাদের ঐতিহ্য। আমাদের পরিচয় আমাদের স্বকীয়তা। এই লেখাটা লিখলাম মনের বেদনা থেকেই।

এই গীতগুলি সংগৃহিত। বেশীরভাগ গীতই মহেশ চন্দ্র রায়ের লেখা। সংগ্রহ করা হয়েছে মর্জিনা চৌধুরীর লেখা থেকে। এই সব গীত গাইবার সময় কোন বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করা হয় না।

নতুন শিশুর জন্মের সময়কে তারা গীতের মাধ্যমে প্রকাশ করে। এই গীত অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় বাচ্চার চুল কাটার আনুষ্ঠানে। যা নবজাতক জন্মের তিন থেকে ছয় দিনের দিন অনুষ্ঠীত হয়।

প্রসব বেদনাকে এই ভাবে প্রকাশ করা হয়---

দিদি শাক তুলিবার গেনু পাটিবাড়ী ও মোর দিদি- ( পাটিবাড়ী= পাট ক্ষেত)
দিদি ওঠে উঠে মোর প্যাটের বিষ ও মোর দিদি
দিদি ঘরের সোয়ামিক হামার ডাক দিয়া যাও----
ডাকি আনুক কবিরাজক রে দিদি

এর পর শুরু হয় পাসটি গীত । পাসটির একটি গীত হল---

পাসটির বাড়ীর গুয়াপান (পাসটি= আতুর ঘরের মা ও শিশু)
সবাই মিলি খাবার যান
কাজীর বাড়ীত পাসটি নাগিছে
বড় সাধের পাসটি রে-
হামরা না যাম মাও পাসটি দেখিবারে
হাটো হাটো ভাবী পাসটির বাড়ী যাও রে।

এরপর নাপিতকে নিয়ে পরে সবাই।

তোর নাউয়ার সোনার ক্ষুর (নাউয়া= নাপিত)

ফণি-মনসা

পুড়ছে উপাসনালয়, পুড়ছে মন্দির। দাউ দাউ আগুন জ্বলছে মঠে মঠে । মধ্য রাতে মন্দির, উপাসনালয়গুলিতে অবস্থিত মানুষগুলি অসহায় চিৎকার ক্রন্দন আর ছূটোছুটি। কদিন ধরে শুধু তাই দেখছি। কি অসভ্য বর্বর আমরা? জাতী হিসাবে কোন সমিকরণেই ফেলা যায় না আমাদের। এই মানুষগুলি কি বোঝে না শুধু উপাসনালয় পুড়ছে না সেই সাথে পুড়ছে শত শত বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য। এই ইতিহাসই আমাদের অতীত কে খুঁজে এনে দেয়। আমাদের পরিচয় দেয়।

ধর্ম কী? আগে মানুষ নাকি আগে ধর্ম। মানুষ না থাকলে তো ধর্ম পালন করার কেউ থাকবে না। আগে মানুষ। ধর্মটা মানুষেরই সৃষ্টি। তার আনন্দ বেদনার সাথী, তার আশ্রয়। সে তার সৃষ্টি কর্তাকে স্মরণ করে, এক এক নামে এক এক ভাবে। সবার আগে তাদের পরিচয় তারা মানুষ। আমার চেয়ে আপনারা অনেক অনেক জানেন। তা কয়েকদিন ধরেই ব্লগ ফেসবুক খবরের কাগজ পড়েই জানা যাচ্ছে।

খেরো খাতা

শ্বশুর রাতে ঘরে ঢুকেছিল, কোন রকমে ঘর থেকে ছুটে বের হয়ে গেছে সোহাগী। সারা রাত বাড়ির পিছনে বাঁশঝাড়ে বসে ছিল। সেই অপরাধে সকালে শ্বশুর, দেবর, শ্বাশুরী, ননদেরা মিলে পিটিয়ে দুঃশ্চরিত্র অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। দুঃশ্চরিত্র মেয়ের ঠাঁই আর কোথাও হয় না এ কথা কে না জানে। বড় আদর করে দিনমজুর বাবা মেয়ের নাম রেখেছিল সোহাগী। না সোহাগীর জীবন কাহিনি বা হনুফা ,মরিয়্, গেদী, কইনুর, আন্নি, আঙ্গু, খাদিজা, সেতারা, লতিফা এদের নিয়ে লিখে পাতা ভরার ইচ্ছে আমার কখনই হয়নি এখনও নেই।

কি লিখি তোমায়

তখন কচিং সেন্টার এইভাবে বিস্তার লাভ করেনি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাই/বোনদের কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যপারে সাজেশন নেয়া এই ছিল কাজ। তখন পাখা গজিয়েছে। বাবা/মা বলেন--- ভাল করে বই পড় না হলে কোথাও চাঞ্চ পাবেনা। কিসের পড়াশুনা? পড়াশুনার নাম করে এই হল ঐ হল দল বেঁধে ঘুড়ে বেড়ান। কোন কোন ভাইয়া/আপা তাদের আদর্শের কথা বলে আমাদের বিমোহিত করে দিত। আমারা তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতাম এইখানে ভর্তি হলে এই ভাইয়া/আপা হবেন আমাদের আদর্শ। তবে এটা ঠিক কোন ভাবেই কেন যেন আমাদের মনে স্থান করে নিতে পারেনি জামাতের ভাইয়া/আপারা।

কি হবে?

আমার বাসার কাজের মেয়েটা ক্লাশ ফাইভ পাশ। কাল একটা ঔষধের শিশি হাতে নিয়ে আমাকে বলছে --আপা এটা কোথায় রাখব।
আমি জিজ্ঞাসা করলাম---- কি এটা?
সে খুব স্বাভাবিক ভাবেই পড়তে শুরু করে দিল--হ্রসসই ভিটামিন।
------- হ্রসসই ভিটামিন? :।
সে আবার ও পড়ল এবং বলল -----হ্রসসই ভিটামিন।
হা হা করে হাসতে হাসতে আমার বিষম খাবার অবস্থা।
এটা হল " ই ভিটামিন। ই = রসসই , আঞ্চলিকতার টানে তা হয়ে গেছে হ্রসসই।

একদিন বাসায় একটুও তেল নেই রান্না করব। ঐ মেয়ের বাবাকে ডেকে তার হাতে একটি তীর সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের খালি ক্যান দিয়ে বললাম এমন একটা পাঁচ লিটারের ক্যান নিয়ে আসেন। হাতে দিলাম ১০০০টাকার একটা নোট। সে গেল তো গেল একেবারেই চলিয়া গেল আর ফিরিয়া আসিল না। বাধ্য হয়ে আমি নিজে যেয়ে একলিটার তেল কিনে আনলাম।

সৃজনশীল

আমার আজকের পোস্টের নাম সৃজনশীল । অর্থাৎ বাংলাদেশের শিক্ষাবোর্ডের সৃজনশীল পদ্ধতির প্রস্তুতি আমার পরিবারে। হঠাৎ করেই খবর দিল প্রথম শ্রেনীতে পড়ুয়া আমার ছোটটা স্কুল থেকে এসে --মা ছোনো না মিস্‌ বলেছে আমাডের নাকি ২০ পয়ছা ছিজন করে পরীক্ষা হবে। Shock Shock Shock
বার বার জিজ্ঞাসা করেও কিছুই বুঝলাম না। ডাইরী আতিপাতি করে খুঁজ়েও কিছু পেলাম না। আমি আবার সেই মা যে ভুলেও বাচ্চার স্কুলের গেটের ভিতরে প্রবেশ করতে চাই না । ছেলের মুখে এই কথা শুনে মনে হল এবারে আর রক্ষা নেই টিচারের কাছে যেতেই হবে।

মেজটা ক্লাশ ফোরে। সে বলল, তাদের টিচার বলেছে প্রতিটি সাব্জেক্টের ২০% আমাদের সৃজনশীল হবে ।

বুঝলাম ছেলেও আমাকে এই কথাই বলেছে। ওকে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পড়াতে শুরু করলাম।

আনন্দলোকে -আমি

খুব আনন্দ নিয়ে আজ পোস্ট লিখছি।
আমার আনন্দ ভাগ করে নেবার জন্যই বন্ধুদের কাছে লিখছি।

দরিদ্র ডট কম থেকে ডাউনলোড করেছি গেরিলা সিনেমাটি। ডাউনলোড করতে সময় লেগেছে মোট পাঁচদিন। গত২১-১০ তারিখে সকাল ১১টায় প্রথম দেখলাম সিনেমাটা। বাচ্চাগুলি ছুটির দিন দেখে বাইরে হুটোপুটি করছিল। কিছুতেই দেখবেনা তারা সিনেমা। ওদের বাবার অসীম ধৈর্য। বাচ্চাগুলিকে ধরে ধরে আনলো। আমি একটু বিরক্ত। কারন এই সিনেমা ৮/৬ বছরের বাচ্চারা দেখবেনা। আর ওরা ঘরে থাকলে আমিও মন দিয়ে দেখতে পারব না। ওদের ফরমায়েশ খাটতেই সময় যাবে।

মাঝে মাঝে বাচ্চাদের মুক্তিযুদ্ধের কথা বলতাম, রাত ১২টায় শহীদ মিনারে নিয়ে যাই-২৬ মার্চ /১৬ই ডিসেম্বরের বিভিন্ন অনিষ্ঠানে ওরা যায় আনন্দ করে নাচে, খেলে, গান গায়। তাই মুক্তিযুদ্ধ কি কেন কিছু হয়ত জানে বা বোঝেও।

শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় চে গুয়েভার

চে গুয়েভার আমার নেতা। যখন বুঝতে শিখেছি তখনই তার ভক্ত বা শিষ্য হয়ে উঠেছি। সেই সময় আমরা পেয়েছিলাম আমাদের স্বৈরশাসক এরশাদকে তাড়ানোর আন্দোলন। বুকের রক্ত প্রতিদিনের শ্লোগান, কবিতা, পথ নাটক, মিছিল , মিটিং--- আমাদের অন্তরে চে, চেতনায় চে, তখন আমাদের হাতে নিকলাই আস্রেভোস্কির ইস্পাত থেকে শুরু করে বিমলের কড়ি দিয়ে কিনলাম পর্যন্ত। কত বিপ্লবী নেতা এই বিশ্বে বারবার আসেছেন তার একটি জাতিতে সীমাবদ্ধ কিন্তু চে সারা বিশ্বের নেতা । ইতিহাস কত মর্মান্তিক । সেই সময় চে কে হত্যা করে যারা হিরো হতে চেয়েছিল সেই তারা সেই তাদের মানুষ কি চরম ঘৃণা করে।

চে কে আমি কি দেব বা তাকে নিয়ে আমি কি লিখব। তিনি দিয়েছে আমাকে আমার জীবনের একটি শ্রেষ্ঠ সময়। তার প্রতি শ্রদ্ধায় সূনীলের এই কবিতাটি লিখলাম।

চে গুয়েভারার প্রতি

চে, তোমার মৃত্যু আমাকে অপরাধী করে দেয়

ফুল চা

নাম হল ফ্লাওয়ার টি যা বাংলায় বলা যায় ফুল চা। এতদিন শুধু নাম শুনেছি কিন্তু কোন দিন স্বচক্ষে দেখিনি, তো চেখে দেখাতো অনেক দূরের কথা।
কাল সন্ধ্যায় এক বন্ধুবর চীন থেকে আমার জন্য এই একটি কৌটা এনে উপহার দিল। সকালে তার উপযুক্ত ব্যাবহারে লেগে গেলাম।

খেতে বেশ ভাল চমৎকার লাগল।

photo1185_0.jpg

photo1184.jpg

photo1181.jpg

photo1182.jpg

এর গন্ধটা খুবই ভাল লেগেছে। আমাদের দেশে তো বেলী ফুলের অভাব নাই কিন্তু অভাব আছে চীনাদের মত বিস্তৃত বুদ্ধির।