অলপ বিদ্যা ভয়ন্কর-২ (উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে)
উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে
কয় দিন আগে ফেইস বুকে একটা লিন্ক পেয়েছিলাম। লিন্কটা হল, যে কোন কাজের প্রতি কোন জাতির কি মনোভাব।
আজ সকালের একটা ঘটনায় উপরের গল্পটা মনে এল। বছরে দুবার জাপানিজ পাবলিক স্কুলের বাচ্চাদের ভূমিকম্প হলে, তারা কি করবে, তার উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আজ ছিল সেই দিন। সকালে স্কুলে পৌঁছার পর দেখলাম, স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রত্যেক ক্লাসের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ হেলমেট পরে রেডী হয়ে আছেন।
একজন টিচার ঘোষণা দেবেন ইন্টারকমে, আর সব বাচ্চারা প্রথমে ওদের নিজস্ব পিলো কাম হেলমেট মাথায় দিয়ে ডেস্কের নীচে ঢুকবে এবং পরে দ্রুত নীচে নেমে এসে ইভাকুয়েশন এরিয়াতে জড়ো হবে।
কিছুক্ষণ পরে টিচার্স রুম খালি হয়ে গেল, আমরা দু তিন জন শুধু কাজ করছিলাম। এর মধ্যে ঘোষণা দেয়া হল, "বড় ভূমিকম্প শুরু হতে যাচ্ছে।" আমি শুনে চুপ করে বসে আছি, আমি ভাবলাম- বাচ্চারা আর সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা যা হয় করবে, আমাকে তো আর বাচ্চারা দেখছে না।" আমার পাশে বসা জাপানিজ বৃদ্ধা শিক্ষকটি হুড়মুড় করে টেবিলের নীচে ঢুকে, আমাকে বললেন, "তাড়াতাড়ি টেবিলের নীচে ঢুকে পড়, বড় ভূমিকম্প আসছে।"
খালি টিচার্স রুমে আমরা চারজন শিক্ষক কিছুক্ষণ টেবিলের নীচে বসে থেকে মিনিট দুই/তিন পর বের হলাম।
আসলে জাপানিজ শিক্ষকরা এ রকমই। তারা নিজেরা যেটা করবেন না, সেটা কাউকেই করতে বলবেন না। যেমনঃ স্কুলে টিফিন পিরিয়ডের পর বাচ্চাদের পুরো স্কুল ক্লিন করতে হয়, আলাদা ক্লিনিং এর কোন লোক নেই। নেই আয়া- দপ্তরী। তো বাচ্চারা যত না পরিস্কার করে, তার চেয়ে দ্বিগুন নিষ্ঠার সাথে শিক্ষকরা নেমে যান সাফ সুতোরে। তাদের পরিশ্রম দেখলে সত্যি লজ্জা হয়। জাপানিজ বাচ্চারা ঠিক এভাবেই শেখে। ছোটবেলায় ফাঁকি দিলে, শিক্ষকরা সেটাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন, তাইতো বড় হলে, ওদের নিজেদের ভেতরের লজ্জা বোধ থেকে, নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে।
অথচ আপাতঃ দৃষ্টিতে জাপানিজ কালচার দেখলে কিন্তু এটা বোঝার কোন উপায় নেই। কারণ ওদের কথা বলার ধরণ হল- "ক্যাচ এণ্ড থ্রো " পদ্ধতি।
মানে সুপিরিয়র একজন বলবে, আর সেটাকে 'হাই' 'হাই' (জ্বি জ্বি আচ্ছা) করে শুনে, ক্যাচ ধরতে হবে। এক জাপানিজ কথা বলতে থাকলে, আরেক জাপানিজ এত মনোযোগ দিয়ে শুনবে, যেন মনে হয়, "পবিত্র গ্রন্থ থেকে কিছু শুনছে।
ইয়া হাবীবী, এবার বঙ্গাল মূলক এ আসি।
আমাদের কালচার হল, "একজন হুকুম করিবে, আরেকজন কে হুকুমের তাবেদার হইতে হইবে।"
তো যিনি হুকুমদার, তিনি যেটা করতে বলবেন, তিনি হয়তো সেই কাজটা কষ্মিন কালেও করেননি। আবার যিনি তাবেদার, তিনি মুখে বলবেন, "জ্বি হুজুর, আপনার বাণী আমার জন্য পবিত্র গ্রন্থের মত। আপনি যা বলবেন, এ অধম অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে।" আর মনে মনে ভাববেন," শালা কত বড় খারাপ! নিজে যে জিনিষ করেনি, সেটা আমাকে করতে বলছে, দাঁড়া দেখাচ্ছি মজা। তোর ক থার আমি গু** কিলাই। আমাকে কি ভো**** পেয়েছিস!!!!"
আমাদের দেশের বেশীর ভাগ শিক্ষকরা কিম্বা রাজনীতিবিদরা অথবা বাবা-মা ছাত্র দেখলেই বলবেন, লেখাপড়া করে মানুষ হও, সৎ চরিত্রের হও।
আমাদের কয়জন শিক্ষক/রাজনীতিবিদ/পেশাজীবি সৎ?
যাকগে, ছোট মুখে বড় কথা বলে লাভ নেই, তাতে বিস্তর ভেজালের সম্ভাবনা আছে.।।।
ভেজাল সংক্রান্ত একটা কৌতুক মনে পড়ল. .।।।(পুরোনো এধারকা মাল উধার করছি)
এক ব্যাবসায়ী পণ করলেন, আর ভেজাল বেঁচবেন না। তো তিনি ক্রেতাদের খাঁটি জিনিষ দিতে লাগ লেন। কয়দিন পর বিক্ষুব্ধ ক্রেতারা বিক্রেতাকে ঘেরাও করলেন।
- ঐ মিয়া কি খাবার বেচতাছ? খায়া সকলেই অসুস্থ হয়া পড়ছি.।
-বিক্রেতা যতই বলে, খাবার ভেজালহীন, ক্রেতারা ততই ফুঁসতে থাকে।
- পরে এক বৃদ্ধা মহিলা এগিয়ে এসে ব ল্লেন, " বাবা, তোমার আর ভেজালহীন খাবার বেচার দরকার নেই। আমাদের ভেজাল খাবারই দিও।"
যাই হোক দেশে স্বরাষ্ট্র ম ন্ত্রী বললেন, "বাবারা তোমরা ৪৮ ঘ ন্টার মধ্যে চোরের বংশ (বিশেষ) নির্বংশ করবা। তিনি আগে কি পুলিশ ছিলেন? জীবনে কি তাকে চোর ধরতে হয়েছে? তিনি হলেন, রাজনীতিবিদ। তিনি সারাজীবন কৌশলে কাজ সেরেছেন। ভোটের আগে কথা দিয়েছেন, সময় মত কথা ফেরত নিয়েছেন।
তাবেদাররা ব ল্লেন, জ্বি ম্যাডাম, আমরা ৪৮ ঘন্টার আগেই .।। (মনে মনে বল্লেন, "তোমার কাম তুমি ক র্স, এবার আমরা আমাদের কাজ ক রমু, দেখি ঠেকায় কিডা) দেশের পুলিশ কি জীবনেও সঠিক সময়ে চোর ধরছে? তাইলে পাব্লিক খামোকা আশা করে কেন?
সাংবাদিকদের কাজ সংবাদ বানানো, তারা জীবনে কবে, কয়ডা পজিটিভ সংবাদ দিছে?
অথচ তারা রাস্তায় প্রতিবাদ করতেছে, " সময় যা লাগে লাগুক, তাড়াহুড়ো করে ভুল কাউকে ধরা যাবে না।" আবার পত্রিকা গরম করে ফেলতেছে, পুলিশ ৪৮ ঘন্টায় কাঁচ কলা করছে।।
তাহলে পাব্লিক খামোখা আশা করে কেন?
দোষ হইল গিয়া সব পাব্লিকের।
যেমনঃ হুমায়ুন ফরিদী মারা গেলেন। এই গুনী ব্যাক্তিত্বকে হারিয়ে আম রা যে কতটা হারালাম, সেই বোধদয়ের চেয়ে আমাদের মুখরোচক গল্প হল, হুমায়ুন ফরিদী মরল ক্যান, কারণ সুবর্ণা আরেকটা বিয়া কর্সে তাই.।।।
আমি ভাই পালাই, কার ঘাড়ে যে কি চাপায় দিলাম, আল্লাই জানে। লেখা খারাপ লাগলে, এই উদোর পিণ্ডি কিন্তু আমার ঘাড়ে চাপাবেন না।
আপনারা পড়লেন কেন?
অফ টপিকঃ
লেখাটা অযথাই রম্য করার অপচেষ্টা করেছি, কেউ ব্যক্তিগত ভাবে নেবেন না প্লীজ।
অফিসে বইসে এই পুস্ট পড়ে পুরাই হাহাপগে,
শাপলাপু কিরাম আছেন? আপনের আরেকটা ছবি দেন্না
আর আপনে এতদিন পর পর আসেন ক্যান? প্রত্যেকদিন আসতে পারেন না??
শাপলাপু কিরাম আছেন? আপনের আরেকটা ছবি দেন্না
আর আপনে এতদিন পর পর আসেন ক্যান? প্রত্যেকদিন আসতে পারেন না??
দিবেন দিবেন? আরেকখান ছবি? আগেরটা সেভ করতে পারি নাই। তার আগে সরায় ফেলসিলেন।
তুমি জীবনে যা করনি, অন্যরে সেইটা কর্তে কও ক্যা তুমার চেহারা আগে দেখতে চাই।
যাউজ্ঞা, তুমি তোমার সোন্দর দেইখা একটা লেখা আমারে উতসর্গ কর, তুমারে আমার সোন্দর চেহারা মুবারক দেখাই দিমু
হি হি, আপনের ছবি আমার কাছে আছে, আগেরটা টোপ আছিলো
কৌশল খাটাইলা, দিলে বড়ুই চোট পাইলাম।
আমার আমও গেল, ছালাও গেল..
না তোমার চেহারা দেখতে পাইলাম না তুমার লেখা
দুনিয়াডা বড়ই আচানক ( ( ( ( (
দুনিয়াডা আসলেই বড় আচানক।
লেখা ঠিকাছে
ধন্যবাদ বিমা..
একেকজন রে পঁচায় বারোটা বাজিয়ে দিলেন আবার কন
কপালে দুঃখই আছে।
এ তুমি কি রাজনীতিবিদ? পুলিশ? সাম্বাদিক? তাইলে তওমার কপাল ফকফকা
আর তুমি যদি পাবলিক হও, তাইলে তওমার কপালে তো দুঃখ থাকবই...।
থ্রেট দিলে আর লিখব কি ভাবে?
*Wallahi If one can do it, let him do it. If no one can do it, yahabibi how can I do it*
আমার মনের কথা
হাহাহাহহাহাাহহা
শাপলাপু কিরাম আছেন? আপনের আরেকটা ছবি দেন্না
আর আপনে এতদিন পর পর আসেন ক্যান? প্রত্যেকদিন আসতে পারেন না??
ইয়া হাবীবী, মীরের কুশ্চেনের একটা আনসার (পুলিশ না কিন্তু) দিলাম, সেইডা অর্দ্ধেক হইয়া দুইবার প্রকাশিত হইল কেমনে?
ইয়া হাবীবী, লেখা বড়ই সৌন্দর্য্য হৈছে...
ধন্যবাদ, দাদা ভাই।
ইয়া ডিয়ার হাবিবী, লেখা চ্রম মজার হইছে। এরম লেখা রোজ দিতে পারেন না?
ইয়া ডিয়ার হাবিবী, লেখা চ্রম মজার হইছে। এরম লেখা রোজ দিতে পারেন না?
ইয়া হাবীবী, লেখা দিয়া তিন দিন অপেক্ষা করতে হ্য়, আপ্নের মন্তব্য পাওনের লাইগা..।
রোজ লিখলে কেমনে কি?
আপ্নের লেখা ভালু পাই।
ধন্যবাদ বাউণ্ডুলে..
সাগর-রুনি দৈনন্দিনতায় চাপা পড়ে যাচ্ছেন। পুলিশ আর প্রশাসন মনে হয় এটাই চাইছেন। আমারতো এখন প্রশাসনরে সন্দেহ হয়, তারাই ঘটায়নিতো কান্ডটা?
আমারতো এখন প্রশাসনরে সন্দেহ হয়, তারাই ঘটায়নিতো কান্ডটা?
১০০ এর উপর ২০০ ভাগ স হমত হাবীবী..
মন্তব্য করুন