আমার মেয়েরা, আমার মায়েরা
অনেকদিন যাবতই ভাবছিলাম আমরা বন্ধুর বন্ধুদের সাথে আমার মেয়েদের পরিচয় করিয়ে দেব। নানা ঝামেলায় সেটা হয়ে ওঠেনি। আজকে অফিসে কাজ কম, দেখি একটা টেরাই মেরে
খোমাখাতার বদৌলতে অনেকেই হয়তো জানেন যে ওরা যমজ, এষা আর আয়লা। আমার জন্মদিনের ঠিক একদিন আগে ফেব্রুয়ারীর ৫ তারিখে আমাদের ঘর আলো করে ওর পিথিমীতে নাজিল হয়।
মাত্র সাড়ে তিন মাস বয়স, কিন্তু এখনই একেকজনের যা ভাব তা যদি দেখতেন! দিনরাত আমাকে আর ওদের মা'কে দৌড়ের উপর রাখে। আর চুন থেকে পান খসলে সাথে উপরি পাওনা ত্রাহি ত্রাহি চীৎকার তো আছেই।
গত রোববারে ওদের নিয়ে একটু বেড়াতে বেরিয়েছিলাম। আমার বাসা থেকে মিনিট বিশেক দূরে সমুদ্র, আর তার পাশেই চমৎকার একটা ইকো পার্ক। প্রতি রবিবারেই সেখানে মানুষের ঢল নামে। ওহ্ আচ্ছা, যারা জানেন না তাদের জন্য বলি, আমরা থাকি তাইওয়ানের একেবারে দক্ষিণে তাইনান শহরে।
আচ্ছা অনেক বকবক করলাম, এখন ছবি দেখেন
বাইরে যাবার গন্ধ পেলেই আয়লা আত্মহারা
তবে গোসল করতে গেলেই এষার খুশি আর ধরে না
সেখানেও গম্ভীর এষা, সেইদিন আসলেই মুডে ছিল মেয়েটা
পাশেই বাচ্চাদের বুদবুদ কারখানা
একটু দূরেই সমুদ্র দেবীর মূর্তি
আজ এ পর্যন্তই থাক। ছবিগুলো ভালো লাগলে জানাবেন। খারাপ লাগলেও কইতে ভুইলেন না
উরে........... চুট চুট গুল্টু বাচ্চা। তাইওয়ানে জন্ম বলেই আপনার বাচ্চাদের চাইনিজদের (তাইওয়ানিজ!) মত লাগতেছে
এষা আর আয়লাকে অনেক আদর এবং দোয়া।
উরে উরে.............আমার বহু সখ ছিল জমজ বাচ্চার। হইলো না। বাচ্চা কেমনে হয় এইটা জানি, কিন্তু জমজ বাচ্চা কেমনে হয় এইটা জানা না থাকায় আমি আর জমজ বাচ্চার বাপ হইতে পারলাম না। আফসুস।
অনেক অনেক আদর মামনি দুজনকে।
হায় হায় জবাব দিলাম লীনা আপারে সেইটা গেল মাসুম ভাইয়ের কমেন্টের নিচে। যাউক গা, মাসুম্ভাইরে কই, বেলা তো এখনও ফুরায় নাই। আমি দেশে আসি, যমজ বাচ্চার গোপন বিদ্যা শিখাইয়া দিমু নে
এইটা নিয়া সর্দারজির একটা গল্প আছে। এইখানে বলা ঠিক হবে কিনা বুজতে পারতাছি না।
কইয়া ফালান, আমরা আমরাই তো!
এক সর্দারজির জমজ বাচ্চা খুব সখ। কিন্তু কেমনে হয়? সে অনেক চিন্তা ভাবনা কইরা বড়দের বেলুনে দুইটা ফুটা করলো.............তারপর...........
সেরাম জুকস। খ্যাক খ্যাক খ্যাক।
মামুন ভাই কইছে সেও তার তরিকা জানাইবো......
মামুন ভাই কী ফুটা করছিল কে জানে !
খ্যাক খ্যাক খ্যাক.। আপ্নেরা কী শুরু করলেন মিয়ারা, থামেন এইবার
আমি কিন্তু কইতে চাই নাই। আপনি কইতে কইছেন
আসলে মামুন ভাই টুপি / বেলুন হারায় ফালাইছিল কিনা!
একবার না পারিলে দেখ শতবার.।.।।।
হা হা হা, হৈতে পারে আপা।
অনেক অনেক ধন্যবাদ
খাইছে দুইটা একসাথে! আমার তো একটা নিয়াই জান প্রায় বারায় গেছিল।
ছবি সুন্দর ও ঝকঝকে হইছে।
বাচ্চা হৈল ভাবীর জান বাইর হৈছে রায়হান ভাইর! ইয়া মাবুদ।
জম্ম দেওন ছাড়াতো পালন বইলা একটা বেপার আছে তাই না? দেখেন না ছবিতে, ভাবী ফটুক তুলে আর মামুন ভাই দাঁত কেলাইয়া বাচ্চা ঠেইলা যাইতেছেন।
হে হে হাসান ভাইয়ের কথায় যুক্তি আছে
হ, জান আমাদেরও বের হবার অবস্থা। মাঝে মধ্যে দিন আর রাত গুলাইয়া ফেলি। দোয়া রাখবেন ভাইজান
ফেসবুকে ওদের ছবি দেখেছিলাম। জান্টু গুন্টু বুন্টু বেবিদের।
এষা আর আয়লাকে অনেক অনেক অনেক আদর এবং দোয়া।
অনেক অনেক ধন্যবাদ জয়িতা। ভালো থাকবেন
অনেক অনেক আদর রইলো গুল্টু বুল্টু ২ জনের জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ সাঈদ ভাই, সবার শুভকামনা আমাদের শক্তি যোগায়
সবাই কেমনে জানি পিচ্চিদের চেহারা বুঝে...আমার কাছে তো সব একরকমই লাগে! তাও ভাল এরা জমজ, এক রকম লাগে বললেও কেউ উজবুক ভাববে না
হ, এক ঢিলে দুই পাখির সুবিধা অনেক!
আহা... আমার সুইটো মামনিরা...
অনেক অনেক আদর ... ভালবাসা... দোয়া
সামনেই আমার ঘুম হারামের পালা
অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা টুটুল ভাই।
সামনে রাত জাগার দিন, ন্যাপি বদলানোর দিন আসতেছে, আগে থেকেই মেন্টাল প্রিপারেশন নিয়া রাইখেন। তবে যত কষ্টই হোক, এগুলোই মিলেই কাটবে আপনার আর ভাবির জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়
আর কতদিন বাকী বস?
জুলাইয়ের মাঝামাঝি
দোয়া রাইখেন
আমি চাই ১৪ই জুলাই হোক। এটা পৃথিবীর একটা শ্রেষ্ঠ দিন। পৃথিবীর সব মায়াবতীদের জন্ম ঐদিনে হয়েছিলো।
গুল্টু বল্টু দুইটা কে দেখে আসলেই জোস লাগতেছে.।.।.।.।।।
ধন্যবাদ রাসেল ভাই। ব্লগ পোস্ট কইরা আমি নিজেই বারবার ফটুগুলা দেখি, বাপ হবার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
আপনেগো এইসব কাজকারবার দেখে খুব হিংসা হয়।শালার বউ এর বাপেরে যে কেন খুজে পাইতেছিনা।
আমাদের ঘটক নজরুল ভাইরে দায়িত্ব দেন, ইনশাল্লাহ্ মুশকিল আসান
দুইটার চেহারা তো মাশাল্লাহ একই। আপনারা চিনেন তো কোনটা এষা কোনটা আয়লা?
আমি ভাবতেছি গোসল করানোর পর দুইটারে গুলায়া ফেলেন কিনা আপনারা
খেয়াল করলে দেখবেন আয়লার কপালে একটা লালচে জন্মদাগ আছে। ঐটাই ভরসা। তারপরেও আমি প্রায়ই গুলিয়ে ফেলি। সারারাত রামায়ন পড়ে বলি এষা কার বাপ
সিরিয়ালে দাড়াইলাম , জমজ টেকনিক জানার জন্য,
মাসুম ভাই পেরথম সিরিয়ালে কিনা।
অনেক আদর এবং দোয়া আপনার দুই পিচ্চির জন্য
ভাবতেছি টেকনিকটা পেটেন্ট করে নিব কিনা পরে যথাযোগ্য হাদিয়ার বিনিময়ে শেয়ার করা যাইতে পারে।
মামনিদের জন্য অনেক অনেক আদর।
আন্তরিক ধন্যবাদ ভাইজান
Twin Baby 'র অনেক শখ ছিলো আমার। কিন্তু............
যাকগে, এষা আর আয়লাকে অনেক অনেক অনেক অনেক আদর
ধন্যবাদ।
একবার না পারিলে দেখ শতবার
আমারো খুব শখ ছিলো টুইনের। কিন্তু টেকনিক জানি না
যা ব্যাটা, খালি তোর বউ আমার বইন দেইখা, নাইলে একটা কথা কইতাম
নজরুলরে না কন, আমাদের কন মামুন ভাই।
ইনশাল্লাহ, নিয়ত পাক্কা রাখেন। দেশে আইসা বলুমনে সব, এগুলা ভাবের কথা, ইন্টারনেটে কওয়া ঠিক না
ওরে কি কিঊট !
অনেক অনেক শুভকামনা থাকলো ভাইয়া ।
অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন
উফ, কি গুল্টু গুল্টু রেএএএএএ....
এইগুলা আমারে দিয়া দেন, ধৈরা ধৈরা ভর্তা বানাবো----;)
এহ্ শখ কত আমার মিয়াভাইয়ের !
তবে আপনে একলা না এই দলে আরও অনেকে আছে, কেউ কেউ কামড়াইয়া খাইয়া ফালানোর কথাও কইসে
আপনার মেয়েদের অনেক অনেক আদর
অনেক ধন্যবাদ লোকেনদা। ভালো থাকবেন।
এই পুচকুগুলারে দেখতে বারবার এই পো্ষ্টে আসি। এদর গাল টিপে দিতে মন্চায় ভাইয়া। আমার হয়ে টুনটুনিদের গাল টা টিপে দিয়েন তো!
জয়িতা, তুমি একলা না গো আপু, আমিও বারবার ফিরে আসি, বাপ হলেই বোধহয় লোকে এমন বেহায়া হয়ে যায়
পিচ্চি দেখলেই গাল টিপে দেয়ার ইচ্ছা করাটারে ইংরেজিতে কয় feeling clucky
এর মানে হইলো বিবাহের পরে আর সময় নষ্ট করন নাই। আমি যদ্দুর জানি সব মেয়েরাই জীবনের কোন এক পর্যায়ে এই অনুভূতিটা ফিল করে।
ভাইয়া, পিচ্চিদের দেখলে তো সবসময়ই গাল টিপে দিতে মন্চায়। এরা কি সুন্দর গু্ল্লুগাল্লু থাকে। ময়না পাখি।জান্টুস গুন্টুস।
এদরে নিয়া আসেন। আমরা এক্টু আদর দিয়া দিবনে।
জয়ি, এরা কিন্তু আমার নিজের ভাতিজি। নজর লাগানো যাবে না। ওদের আমি নাচ শিখাবো, য়ামি বাহাহাল করিয়া বাজানরে দোতরা সুন্দরী কমলা নাচে
কথা সইত্য! তানবীরার আপা ওদের জন্মের আগে থেকেই কথা দিয়ে রাখছে
খালি মেয়েগুলো হাঁটতে চলতে শিখুক, পাঠাইয়া দিমু হল্যান্ডে।
তাতাপু,নজর কই দিলাম?আমি তো আদর দিলাম আর এক্টু গাল টিপে দিতে চাইলাম। শুনেন আপনি তাইলে আমার হয়ে এক্টু গাল টিপে দিয়েন টুনটুনি দুইটার, পিলিজ লাগে।
জোড়া আদরের খনির জন্য অফুরন্ত আদর আর শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন চারজনে, সব সময়।
ধন্যবাদ বুবুজান। আপনাদের জন্যও অনিঃশেষ শুভকামনা। মেলবোর্ন গিয়ে আপনেরা আর নাই শুনে কী যে মন খারাপ হইছিলো সে আর বলার মতো না।
মানুষের কি সুখ। আমরা জ্যামের মধ্যে পইড়া আছি, তার লুক জন কথায় কথায় কয় আজ সেলবোর্ন যাইয়া আপনারে পাইলাম না, কাইল বন যাইয়া দেখি তারে পাই নাকি। ইত্যাদি ইত্যাদি। তারউপর আবার এরকম আদরের দুইটা জমজ মেয়ে। আহা......
মাসুম ভাই, সত্য করে বলি, পেটের ধান্ধায় নানাদেশে যাইতে হয়, আগে খুব মজা পাইতাম। কিন্তু এখন মেয়েগুলিরে রেখে কোথাও যাইতে ইচ্ছা করে না। একেবারে না ঠেকলে যাই না একদিনের জন্যও। সামনের সেপ্টেমবরে অস্ট্রেলিয়া মুভ করতেছি পাকাপাকিভাবে, তাই যাইতে হইছিল ঘর-বাড়ি গুছাইতে। মেয়েদুইটারে পাইয়া আমি আসলেই অন্য মানুষ হয়ে গেছি
অনেক ঘুরছেন। থিথু হন তাইলে। আর আমি তো সবাইরে বলি, মেয়ে না থাকলে বাবা হওয়ার মজাই পাওয়া যায় না।
খুব সুন্দর দুইটা পিচ্চি মানুষ। আর তাদের বাবার তাদের নিয়ে জীবন যাপন করা।
আপনার জন্য একটা প্রিয় লাইন---
The Woods are Lovely, dark and deep;
But I have Promises to Keep;
Miles to go before I sleep;
And Miles to go before I sleep..,
রবার্ট ফ্রস্ট। আমার প্রিয় কবি।
ভালো থাকুন। বাচ্চা দু'টো বেড়ে উঠুক তাদের বাবা-মা'য়ের নিবিড় সান্নিধ্যে। জীবনের পথচলা হোক সাফল্যমণ্ডিত
অনেক ধন্যবাদ মীর ভাই। রবার্ট ফ্রস্ট আমারও প্রিয় কবিদের একজন।
মাশাল্লাহ, দারুন দু'টা গোলাপী পরী আছে আপনার... :) অনেক সুইট আপনার মায়েরা... আপনার চেনার সুবিধার্থে দেখি চিহ্ন দিয়ে দিসে আল্লাহ... :D দু'জনেই অনেক ভালো থাকুক...
আন্তরিক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানবেন
যত মানুষ আমাদের মেয়েদের মিস্টি বলে, ভালো বলে, দোয়া করে তাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার কোনো সীমা পরিসীমা নাই।
কত্ত কিউট বেইবী !!!! ছবি দেখেইতো আদর করতে ইচ্ছা করতেছে ।
এষা আর আয়লার জন্য অনেক অনেক আদর রইল ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ চাঙ্কু ভাই। আপনের নিকটা আমার খুব পছন্দের
আইচ্ছা, মডু এই পরী দুইটার ছবি ব্যানারে লাগায় না কেন? প্রত্যেকদিন এই টুনটুনিদের দেখতে পোষ্টে আসতে হয়।ভাইয়া, নতুন ছবি দেন।
আহারে ভাতিজীরা, তগো কোলে নেওনের লাইগা মন কান্দে
মন্তব্য করুন