গল্প: কেপলার ৪৫২'র বাসিন্দারা
সকাল থেকে আকাশ কালো করে বৃষ্টি ঝরছে। থেমে থেমে দমকা হাওয়া এসে আছড়ে পড়ছে কাচেঁর জানালায়। আজ যেন একটু বেশিই ঠান্ডা। ঘুম ভেঙ্গে যাবার পরও অনেকক্ষণ চোখ খুলতে ইচ্ছে করে না। কম্বলটা আরও একটু ভাল করে জড়িয়ে নিয়ে বিছানার আরামে ডুবে থাকতেই বেশি ভাল লাগে। ছোট-বড়, দরকারী-অদরকারী কত রকমের ভাবনারা যে সে সময় এসে মাথায় ভিড় জমায়, তার হিসাব কে রাখে।
সবার আগে মনে পড়ে সেই সময়টার কথা যখন, সায়ানকে তিতলি প্রতি ঘন্টায় একবার করে লিখে পাঠাতো, অ্যাই গাধা, আমি তোকে ভালবাসি। সায়ান প্রত্যেকবার সেটার উত্তর পাঠাতো, আমিও তো তোকে ভালবাসি গাধীরাম। ওরা ঝগড়া করতো কে বেশি ভালবাসে সেটা নিয়ে। তিতলি লিখে পাঠাতো, আই লাভ ইউ। সায়ান লিখতো, আই লাভ ইউ ঠু। তিতলি লিখতো, আই লাভ ইউ থ্রি। সায়ান লিখতো, আই লাভ ইউ থ্রি টু দি পাওয়ার ই্নফিনিটি। তিতলি লিখতো, আই লাভ ইউ থ্রি টু দি পাওয়ার ইনফিনিট প্লাস ওয়ান। এইভাবে চলতে থাকতো। সেই অনন্ত ঝগড়ার কোনো শেষ ছিল না। সেই ঝগড়া থেকে পাওয়া আনন্দেরও কোনো সীমা ছিল না।
এই ভাবনাটার পর তিতলির মনে পড়ে সেই সকালগুলোর কথা, যখন ঘুম ভাঙার সাথে সাথে তিতলির মন আনন্দে ভরে উঠতো কেবল একটা কথা ভেবে যে, একটু পরেই সায়ানের সাথে দেখা হবে। সায়ান, লিকলিকে দেহ, মাথা ভরা চুল, দেখলে মনে হয় একরত্তি জোর নেই সারা শরীরে এবং ফুঁ দিলেই যাবে উড়ে; সেই খুব সাধারণ ছেলেটার জন্য এক বুক মায়া নিয়ে ঘুম থেকে উঠে সাজতে বসতো তিতলি। সায়ান অবশ্য খুব কমই ওর সাজগোজের দিকে খেয়াল করতো, তাও তিতলির সায়ানের জন্য নিজেকে সাজাতে ভাল লাগতো।
বাড়ির ছোট্ট গলিটা পেরিয়ে, বড় রাস্তার আগের মাঝারি গলিতে পা দিলেই সায়ানকে দেখা যাবে, জানতো তিতলি। সে সময় সায়ানকে রাস্তার ডানে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখলে, তিতলি পা বাড়াতো বামে। ওকে বামে দেখলে, সে যেতো ডানে। কোনো কারণ নেই। এমনিই খুনসুটি মাত্র। সায়ানের সঙ্গে খুনসুটিতে যে সুখ পেতো তিতলি, তা সে আর পায় নি কখনো।
আর ভাল লাগতো যখন সায়ান পাশে বসে এক দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে থাকতো। ভালও লাগতো আবার খানিকটা লজ্জাও লাগতো। লজ্জা লাগার কোনো কারণ ছিল না তারপরও লাগতো। সায়ানের কাছ থেকে কোনো প্রশংসা পেলে ওর মনটা সবসময় পাখির পালকের মতো হালকা হয়ে যেতো। আর মনে হতো, হঠাৎ আসা এক দমকা হাওয়ায় সেই পালকটা যেন নাচতে নাচতে হারিয়ে গেল। সেইসব দিনে ক্ষণে ক্ষণে তিতলি ঠিক এইভাবে তার মন হারাতো।
তিতলির একটা দারুণ অভ্যাস ছিল, যেটা আর কারও ভেতরে কখনো সায়ান দেখে নি। যখনই কিছু বলতে গিয়ে তিতলি ঠিক-ঠাক শব্দটা খুঁজে না পেতো, তখনই একটা শব্দ সে তাৎক্ষণিক বানিয়ে নিতো। একবার সায়ানকে আরেকটা মেয়ের সঙ্গে কি নিয়ে যেন হাসাহাসি করতে দেখে ওর এতো রাগ হয়েছিল যে, অনেকক্ষণ সে কোনো কথা বলতে পারে নি। সায়ান অনেক বুঝিয়ে যখন ওর রাগটাকে একটু কমিয়ে আনে, তখন সে প্রথম কথা বলতে পেরেছিল এবং বলেছিল, আর যদি কোনোদিন ওই বেটির সাথে 'ম্যালকামেলকি' করতে দেখি তাহলে তোর খবর আছে।
কথাটা শুনে সায়ানের হলো ঘাবড়ে যাবার বদলে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাওয়ার দশা। ওকে হাসতে দেখে একসময় তিতলিও হাসা শুরু করলো। অনেকক্ষণ পেট চেপে ধরে হাসাহাসির পর যখন শরীরে আর হাসার শক্তি অবশিষ্ট ছিল না, তখন সায়ান জানতে চেয়েছিল, ম্যালকামেলকি শব্দটা কি এইমাত্র বানালি? তখন তিতলি লাজুক মুখে উত্তর দিয়েছিল, হ্যাঁ। তারপরই আবার ঝাঁঝিয়ে উঠেছিল, কি করবো? তোকে অন্য কোনো মেয়ের সাথে হাসাহাসি করতে দেখলে আমার মাথার ঠিক থাকে না।
সায়ান ভেবে পাচ্ছিল না, সেই মুহুর্তে তিতলিকে সে কি বলবে। তিতলির কোন বিষয়টা ওর আসলে বেশি ভাল লাগে? অদ্ভুত অদ্ভুত শব্দ আবিষ্কারের কিউট অভ্যাসটা নাকি সায়ানকে পাগলের মতো ভালবাসার ব্যাপারটা? হঠাৎ কিভাবে যেন বুঝে গেল তিতলির কিউট অভ্যাসটাকেই সায়ান বেশি ভালবাসে। এমনকি তিতলি যদি কোনোদিন ওকে ভাল নাও বাসে, তাও সায়ান ওর নতুন নতুন শব্দ আবিষ্কারের ইউনিক গুণটাতে মুগ্ধ হবে।
সেদিন পড়ন্ত বিকেলে ঢাকা ইউনিভার্সিটির একটা শিশু কামরাঙ্গা গাছের নিচে বসে সায়ান ইনডেক্স ফিঙ্গার দিয়ে তিতলির নাকটা আলতো করে চুলকে বলেছিল, তোর এই শব্দ আবিষ্কারের বিষয়টা যে কত্তো সুইট, তুই কি জানিস? সায়ানের কথা শুনে তিতলির চোখে পানি চলে এসেছিল আর সে সেটা ঢাকতে দ্রুত অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। আর সায়ানও ব্যাপারটা বুঝতে পেরে বিপুল বিক্রমে ধূম্রশলাকায় অগ্নিসংযোগে ঝাপিয়ে পড়েছিল। যেন আশেপাশে কি হচ্ছে, সেদিকে তার বিন্দুমাত্র খেয়াল নেই।
ছেলেবেলা থেকে তিতলি ছিল ভালবাসার কাঙাল। যখনই কেউ তাকে একটু আদর করেছে, কিংবা প্রশংসা করে কিছু বলেছে, তার জন্য অকাতরে সে নিজের সব চাওয়া বিলিয়ে দিয়েছে। একটু স্নেহ বা সম্মানের জন্য সে করতে পারতো না, এমন কিছু ছিল না। ভালবাসার পেছনেই তার ছিল নিরন্তর ছুটে চলা। সায়ানের জন্য নিজের সব সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য আর আনন্দ সে ছেড়ে দিয়েছিল অকাতরে।
তিতলি তার সব কল্পনা একত্র করে সায়ানকে নিয়ে জীবন গড়ার স্বপ্ন সাজিয়েছিল। ওরা প্রায়ই সেসব স্বপ্ন নিয়ে আলাপ করতো। সেই মায়াঘেরা বৃষ্টিবন্দি সকালে তিতলির কেন যেন পুরোনো সব দিনের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। ওদের মধ্যে একবার ঠিক হয়েছিলো, ওরা দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যাবে। সায়ান প্রথম প্রথম বিদেশে যাওয়ার প্রস্তাবে রাজি হচ্ছিল না। জানতে চাচ্ছিল- বিদেশে গিয়ে কি করবি?
-তোকে নিয়ে ঘর করবো।
-সেটা তো দেশেও করা যায়। বিদেশে যাওয়ার পয়েন্টটা কি?
-তুই আর আমি, একদম নতুন একটা পরিবেশে নিজেদের জীবন শুরু করবো। কাউকে চিনি না, নিয়ম-কানুন জানি না, সবকিছু প্রথম থেকে শিখতে হবে, শেখার আনন্দে আমাদের সময়টা কাটবে। অনেক মজা হবে।
-মজার সাথে সাথে যন্ত্রণাও হবে অনেক। বিপদে পড়লে চেনাজানা কারও সাহায্য পাবো না, নিয়ম-কানুন না জানলে পদে পদে ভুল হবে। লোকজন হাসাহাসি করবে।
-করলে করুক। তোর যতো নেগেটিভ চিন্তা। আমরা দুইজন মিলে সবকিছু ঠিক সামলে নেবো দেখিস। সকালে নাস্তা করে দু'জন অফিসে যাবো, দুপুরে একসাথে লাঞ্চ করে আমরা রাতে একসাথে ঘরে ফিরবো। রাঁধতে ইচ্ছে করলে দু'জন মিলে রাঁধবো, ইচ্ছে না করলে স্যান্ডউইচ। উইকেন্ডে বেড়াতে যাবো দূর-দুরান্তে। দুইদিনের জন্য ছুটি দিয়ে দেবো পৃথিবীটাকে। সাঁতার কাটবো, বার্বিকিউ করবো, তাঁবু খাটিয়ে খোলা প্রান্তরে রাত কাটাবো, ক্যানু নিয়ে অচেনা হ্রদে আমরা দু'জন হারিয়ে যাবো। আর কোনো উইকেন্ডে বেড়াতে যাওয়া না হলে, যাবো ক্লাবে। ভদকা আর সিনামোন মেশানো আপেলের জুস পান করবো। ডান্স করবে "আ'ম ইন লাভ উইথ আ কুল গার্ল" গানের তালে। কেউ আমার সাথে হিটিং এর ট্রাই করলে তুই গরম চোখে তাকিয়ে থাকবি। লোকজনের মাতলামি দেখে হেসে আমরা কুটি কুটি হবো। তারপর আবার ভদকা আর সিনামোন মেশানো আপেল জুস কেনা হবে। তোর সাথে বিয়ার না ককটেল, তা নিয়ে এক পশলা ঝগড়া হবে। সবশেষে যখন আমি নিজেই টাল হয়ে যাবো, তখন তুই আমাকে ধরে ধরে বার্গার কিংয়ে নিয়ে যাবি। আমরা হপার আর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই দিয়ে একই রাতে দ্বিতীয়বার ডিনার করবো। তারপর একটা করে বিয়ার নিয়ে, রাতের শেষ ট্রেনটা ধরে আমরা দু'জন বাড়ি ফিরবো। ট্রেনে কোনো ইহুদী থাকলে মাজেলটপ বলে চিৎকার করে তার সাথে চিয়ার্স করবো। ট্রেন আমাদের নামিয়ে দিলে তুই আমাকে কোলে করে বাড়ি নিয়ে যাবি এবং বিছানায় শুইয়ে দিবি। তারপর আমার জুতা আর মোজা খুলে যখন গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিতে আসবি, তখন আমি তোকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরবো। তোর আর ছাড়া পাওয়ার উপায় থাকবে না।
কথাগুলো শুনতে শুনতে সায়ানও হারিয়ে গিয়েছিল কল্পনার রাজ্যে। তিতলি সে সময় ওর ঘাড়ে মাথা রেখে পাশে বসে জিজ্ঞেস করেছিল, যাবি না সায়ান তুই আমার সাথে? সায়ান মাথা নেড়ে সায় দিয়েছিল, হ্যাঁ যাবো। তিতলি কৌতুকের ছলে জানতে চেয়েছিল, আমি কিন্তু অনেক ভারী, আমাকে কি তুই কোলে করে স্টেশন থেকে বাসা পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারবি? সায়ান বলেছিল, ট্রাই করে দেখতে পারি। তখনই তিতলি লাফিয়ে উঠে বলেছিল, তাহলে এখন কোলে নিয়ে দেখাতো, পারিস কিনা। তারপর তিতলিকে পাঁজাকোলা করে সায়ান পুরো ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়িয়েছিল সেদিন। চেনা-অচেনা সবাই বড় বড় চোখ করে ওদের দিকে তাকিয়ে ছিল। তিতলি লজ্জা পেয়ে একসময় ওকে ছেড়ে দেয়ার জন্য চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলেও সায়ান তাতে কান দেয় নি। পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে ওকে এনে নামিয়েছিল বেলালের দোকানের সামনে। তারপর বেলালকে বলেছিল, পরিস্কার পানিতে কাপ ধুয়ে দুইটা কড়া লিকারের রঙ চা দাও তো বেলাল। বেশ খানিকটা পরিশ্রম হলো।
ভাবতে ভাবতে তিতলির মনে পড়ে, কিছুদিন আগে একবার সে বেলালের দোকানে চা খেতে গিয়েছিল। অফিস শেষে বাড়ি যেতে ইচ্ছে হচ্ছিল না বলেই পুরোনো ক্যাম্পাসে খানিক ঘোরাঘুরির চেষ্টা করা। খুব একটা ভাল লাগছিল না, আবার খারাপও লাগছিল না ওর। জীবনের বিরাট একটা সময় কেটেছে ক্যাম্পাসটাতে। ওখানে বার বার গেলেও খারাপ লাগে না তিতলির। বেলাল এখনও দোকানে বসে। সেই ছোট্ট ১২-১৩ বছর বয়সী বেলাল এখন ২৪-২৫ বছরের রীতিমতো জোয়ান। তারপরও যেন সেই ছোট্টটিই আছে। দেখতেই এক গাল হাসি দিয়ে জানতে চাইলো, আপা কেমন আছেন?
চা নিয়ে এই কথা-সেই কথার পর একসময় বেলাল নিজেই বললো, আপনারে একলা একলা দেখতে ভাল্লাগে না আপা। সেই কথাটা শুনে তিতলির মনটা হঠাৎই ভারী হয়ে গিয়েছিল। মনে পড়ে গিয়েছিল, একসময় ওর জীবনে একটা ছেলে ছিল, যার কথায় ওর মন পাখির পালকের মতো হালকা হয়ে উড়ে যেতো।
সেদিন সকালের ভাবনার এই পর্যায়ে মা এসে তিতলির মাথায় হাত বুলিয়ে জানতে চায়, তোমার কি শরীর খারাপ লাগছে আম্মু? তিতলিও বিছানা ছেড়ে উঠে বসে বলে, না মা, ছুটির দিন বলে একটু বেশিক্ষণ শুয়ে আছি। চলো দেখি দিন-দুনিয়ার কি অবস্থা।
তারপর তিতলি ওর মায়ের সাথে এগিয়ে যায়, সায়ানের চিন্তাগুলোকে চৌদ্দশ' আলোকবর্ষ দূরে সরিয়ে রেখে। চিন্তারা সেখানে নিজেদের জন্য একটা গ্রহ বানিয়ে নিয়েছে, কেপলার ৪৫২। তিতলি জানে না, সায়ানও এখন সেখানে থাকে। ওর চিন্তারাশিদের সঙ্গে, একসাথে।
---
মোটামুটি সুন্দর মায়া মায়া একটা গল্প
শেষ দুই তিনটা লাইনের ম্যাজিকে খুব খুব সুন্দর হয়ে গেছে -
কি অদ্ভুত ভালো লাগে এরকম হলে!
থ্যাংকস্। ভাল্লাগছে জেনে খুশি হলাম।
একটানে পড়তে হলো ------------------- মুগ্ধ মুগ্ধ মুগ্ধ
থ্যাংকিউ। এখন আপনে এর পরের পর্বটা লেখেন তো দেখি।
আহা... কি মায়াময় লেখা...
যুগ যুগ জিয়ো ভাইডি
ধন্যবাদ টুটুল ভাই।
হঠাৎ কৈরা একটা ভ্যাজাল লাগাইয়া দিলেন... থমকাইয়া গেলাম। লাভ য়্যু তিতলি... লাভ য়্যু মীর
লাভ য়্যু ব্যাক ব্রো...
ধন্যবাদ মীর ভাই। গল্পটা খুব ভালো লাগলো, যদিও মনটা কিছুটা ভারি হয়ে গেল । অনেক্ষন ধরে গল্পের সাথে কিভাবে কেপলার ৪৫২বি এর সম্পর্ক তা বুঝা যাচ্ছিলনা। কিন্তু শেষে এশে এমন ভাবে এক নতুন পৃথিবী টেনে নিয়ে আসলেন যে...সায়ান কিভাবে কেপলার ৪৫২বিতে গেল সেটা তো বুঝলাম না। একটা গল্পতে সব সময়ে সব কিছুর ব্যাখ্যা থাকবেনা সেটাই স্বাভাবিক, কিন্তু সায়ানের বিষয়টা বুঝতে পারলে আর ভালো লাগতো।
এক সময় তিতলি আর সায়ান খুব কাছাকাছি ছিল, এখন তাদের মধ্যে চৌদ্দশ' আলোকবর্ষের দুরত্ব। তাই কেপলার ৪৫২
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন ভাই।
পরের পর্বে প্লীজ দুজনকে মিলিয়ে দেবেন
তিতলি-সায়ানের মিল ছিল তো, তানবীরা'পুর এই লেখাটা পড়ে দেখেন---
একসময়, 'তিতলির পৃথিবীতে এমন কোন শাস্তিই ছিল না, যা তিতলিকে না আঘাত করে সায়ানকে করে।'
http://www.amrabondhu.com/tanbira/2288
মন্তব্য করুন