ইউজার লগইন

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন'এর ব্লগ

ইউনূসের ওপর সুদখোর মহাজনদের অভিশাপ (পর্ব-১)

প্রতিবেশী দেশ ভারতের অমর্ত্য সেনও নোবেল পেয়েছিলেন। কিন্তু তার নোবেল পাওয়া নিয়ে কোনো বিতর্ক হয়নি।
কিন্তু ড. ইউনূস নোবেল পাওয়ার পর দেশে আনন্দের জোয়ার বয়ে গেলেও বিভিন্ন সময়ে নানা কারনে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন তিনি। ইদানিং আওয়ামী লীগ সরকারও ইউনূসের ওপর সদয় নয় ।
(আওয়ামী লীগ যে উদ্দেশ্যেই বিরোধীতা করুক না কেন সেটা আমার এ লেখার মূখ্য বিষয় নয়)।

আমাদের ফালতু রাজনৈতিক সংস্কৃতির কারনে বিএনপি ইউনূসের পক্ষে অবস্থান নিলেও এ ব্যাপারে ব্যপক জনমত গড়ে উঠে নি। ইউনূসের নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্কেরও শেষ নেই। কিছুদিন আগে নোরাডের তহবিল অপসারণের খবর প্রকাশের পর বিতর্কের ঝড় ওঠে। ড. ইউনূস আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে স্বীকার করেন, কর ফাঁকি দেওয়ার জন্যই তিনি ওই তহবিল অন্য স্থানে অপসারণ করেন। কর ফাঁকি দেওয়ার এ উদ্দেশ্যে তাঁর ধূর্ত ব্যবসায়ীক মানসিকতারই ইঙ্গিত বহন করে।

সাহিত্যিকের মৃত্যু এবং আমাদের গদগদে আবেগ

মৃত্যু একটি অনিবার্য ঘটনা। তারপরও সৃজনশীল ব্যক্তিদের মৃত্যু একটু বেশি দুঃখজনক বৈকি। হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুতে গোটা জাতি কষ্ট পেয়েছে এবং সেটাই স্বাভাবিক। আমিও কিঞ্ছিৎ পেয়েছি। যদিও জীবনের অনিবার্য কোন ঘটনা নিয়ে আমার মধ্যে হাহাকার নেই। হাহাকার করে লাভও নেই।

হ্যাপি মাহে রমজান, ক্ষুধা ও খাদ্য বিলাস শুভ হোক

রমজান মাস এসে গেল। বাঙ্গালী মুসলিমদের ‘হ্যাপী মাহে রমজান’ জানাতেও দেরি করে ফেললাম। এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
বেহেশত নিশ্চিত করার জন্য এ মাসে মুসলিমদের ছোটাছুটির অন্ত থাকে না। যদিও রমজানের মানে শুনি সংযম। কিন্তু মুসলিমদের দিকে তাকালে দেখা যাবে বাস্তবতা ভিন্ন। রোজা হলো সচ্ছল মুসলিমদের ক্ষুধা ও খাদ্য বিলাস। বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। যদিও কট্টোর ডানপন্থী মুসলিমরা এ কথায় গোসসা করতে পারেন, কারন তাদের কাছে কোনো জবাব নেই। অন্ধ ব্যক্তিকে অন্ধ বললে যেমন তিনি রেগে যান বিষয়টা অনেকটা সেরকম। অবচেতনে হলেও তারা জানে কথাটা সত্য।
বিষয়টা আর একটু ন্যাংটা করে বলি, নানা কিসিমের খাদ্যের নিশ্চয়তা থাকার পরও অনাহারে থেকে যে বিলাসিতা করা হয় সেটাই ক্ষুধা বিলাস। আর খাদ্য বিলাস নিয়ে তো বেশি কিছু বলার নেই। ক্ষুধা লাগিয়ে ইফতারির সময় ফল-ফাকড়া থেকে শুরু করে নানা কিসিমের খাদ্য প্রতিদিন ইফতারির সময় যেভাবে মাক মাক করে সেঁটে দেওয়া হয়, তাতে খাদ্য বিলাস সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেওয়ার আবশ্যকতা থাকে না।

সৃষ্টিকর্তা কি ছোটোলোক? (পর্ব-১)

সব ধর্মেই বলা হয়ে থাকে সৃষ্টিকর্তা সর্ব শক্তিমান। তিনি কি কোনো জীব?

না তিনি কোনো জীব নন।

তিনি কি মানুষ?

জীবই যদি না হয়, তাহলে মানুষ তো নয়ই।

তিনি কোনো জীব নয়, মানুষ নয়। তাহলে আমরা ‘তাকে’ ‘তিনি’ বলে সম্বোধন করি কেন? আর সৃষ্টিকর্তা শব্দটাই তো ঠিক নেই। কর্তা হলো কোনো ব্যক্তি যিনি কর্তৃত্ব করেন। সৃষ্টিকর্তার মানে দাঁড়ায়, কোনো ’ব্যক্তি’ যিনি সৃষ্টির ওপর কর্তৃত্ব করেন।
সৃষ্টিকর্তার পরিবর্তে আমরা বলতে পারি সর্ব শক্তিমান কোনো ‘জিনিস’ বা ‘কিছু’।
এবং এখানেই আমাদের থেমে যেতে হবে। ওই ‘জিনিস’ সম্পর্কে আর কিছু বলা যাবে না। কারন সর্ব শক্তিমান কেনো ‘জিনিস’ বা ‘কিছু’ সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা নেই। মানুষ সর্ব শক্তিমান নয়। আর ওখানেই না থেমে যদি ওই ‌'জিনিস' সম্পর্কে আর কিছু বলা হয়, সেটা মানবিক পরিপ্রেক্ষিতে বলা হয়।

ভণ্ড ভণ্ড ভণ্ড (পর্ব-২)

পর্ব-১
শুক্রবারের জুম্মার নামাজ বাদে অন্য ওয়াক্তগুলোতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন মহল্লার মসজিদগুলোতে খুবই অল্প সংখ্যক লোকের সমাগম ঘটে। সর্বোচ্চ দুই কাতার লোক হয়।
অর্থাৎ ওই অল্প সংখ্যক লোকই নিয়মিত নামাজ পড়েন। তাদের মধ্যে যদি জরিপ চালানো হয় তাহলে দেখা যাবে, তাদের কমপক্ষে ৯০ শতাংশ লোক বুইড়্যা এবং স্থানীয় বাড়ির মালিক। তাদের এক পা এরইমধ্যে কবরে গিয়ে বসে রয়েছ। এদের বেশিরভাগই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আমলা, কর্মকর্তা বা ব্যবসায়ী ছিলেন। যৌবনকালে তারা ঘুষসুদ খেয়েছেন সমানে, অন্যান্য আকাম কুকামও বাদ যায় নি। দুনিয়াতে সন্তানদের ভবিষ্যত নিশ্চিত করে শেষ বয়সে তারা এসেছেন পরোকালের ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে। বাকী ১০ শতাংশের ৯ শতাংশ দেখা যাবে তারা ঘুষসুদ খাওয়ার সুযোগ পান নি। পেলে নিশ্চিতভাবেই খেতেন। ১ শতাংশ তূলনামূলক ভাল মানুষ পাওয়া যেতে পারে।তবে এলাকাভেদে এ হার কমবেশী হতে পারে। আমার কথা যারা বিশ্বাস করলেন না তারা ফজরের ওয়াক্তে মসজিদে গিয়ে দেখতে পারেন।

ভণ্ড ভণ্ড ভণ্ড (পর্ব-১)

বাংলাদেশে আসলে কোনো ধার্মিক নেই। আমাদের সমাজটাই ভণ্ডামিতে পরিপূর্ণ।
আমরা সাধারনত ধার্মিক বলে আমরা চিনে থাকি মাদ্রাসা থেকে পাশ করা মাওলানাদের। কিন্তু আমাদের সমাজে মাওলানাদের পেট চলে সমাজে দুই নম্বর লোকের টাকায়। এটাই সমাজ বাস্তবতা। স্থানীয় সাংসদ বা কোনো ধনী ব্যক্তি যত দুই নম্বরই হোক, এলাকার মসজিদে যখন তিনি বড় অংকের টাকা দান করেন, হুজুরেরা তার নামে দোয়া পড়তে থাকেন। কাজেই হুজুরের কি ধার্মিক হওয়ার সুযোগ আছে??

আমাদের সমাজে দেখা যায় বাপ-মা নিয়মিত নামাজ পড়েন। কিন্তু ছেলে কিভাবে টাকা আয় করছেন তা তারা জেনেও না জানার ভান করেন। কিন্তু ছেলে নামাজে গেলে তারা গর্বে বুক ফোলান। ছেলে আমার অমুক পীরের মুরিদ!!! আহা রে!!

ছাগুকাব্য

যদি থাকে এই নাস্তিক সরকার
থাকবে না ঈমান, থাকবে না মান
করো সবে জামায়াতের জয়গান

ধর্ম থাক বা না থাক, মাথায় থাকবে টুপি
সাঈদীর মতো কামনা মেটাব চুপি চুপি

সামনে থাকবে ধর্মের লেবাস
লুকিয়ে লুকিয়ে চলবে ভোগ বিলাস

ইহকালে নারী, পরোকালে হুর
ভোগের বস্তু থাকবে ভরপুর

ইহকাল ও পরোকাল নিশ্চিত করতে চাইলে
চলে এসো সাইদীর মেশিনের ছায়াতলে

করো সবে জামায়াতের জয়গান
যদি থাকে তিল পরিমাণ ঈমান

নিশ্চয় তাঁর মধ্যে কিছু আছে, আসুন সবাই রেশমার মুরিদ হই

সাভারে ভবন ধসে বহু মানুষ মারা গেলো। ১৭ দিন পর শুধু রেশমা জীবিত ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হলো। কি আচানক কাহিনী!।
নিশ্চয়ই রেশমার মধ্যে বাতেনী এলেম রয়েছে বিধায় সৃষ্টিকর্তা কেবল তাঁর প্রতিই সহায় হয়েছেন। আসুন আমরা রেশমার মুরিদ হই। তাঁহার পড়া পানি পান করি। এতে অশেষ নেকী হাসেল হওয়ার পাশাপাশি রোগবালাই এবং বালা-মুসিবতও হয়তো দুর হবে। রেশমা যদি একটু ভেগ ধরেন তবে ব্যবসাও হবে বেশ।
রেশমাকে জীবিত উদ্ধারের ঘটনার পর বহু মানুষ যেন নতুন করে ঈমান ফিরে পেয়েছেন। পথেঘাটে, বাসে, ব্লগে, ফেসবুকে বহু মানুষ ঘটনাটিকে অলৌকিক অ্যাখ্যা দিয়ে এবং ঈশ্বরের কুদরতের কথা ভেবে পাগলপাড়া হয়ে পড়ছেন। বাসে যাতায়াতের সময় উত্তেজিত কোনো কোনো যাত্রীর কণ্ঠ থেকে আক্রোশমূলক বচন ঝড়ে পড়তে দেখেছি। কি? ‘এরপরও যদি কেও অবিশ্বাস করে...সে কি মানুষ? এদের উচিত শিক্ষা দেওয়া উচিত’।
হঠাৎ করে ঈমানের তেজ অনেকের এতোটাই বেড়ে গেছে যে, মনে হয় কোনো অবিশ্বাসীকে কাছে পেলে ওই যাত্রী নগদে হত্যা করবেন।