একঘর জোৎন্সা
হুমায়ুন আহমেদের "আকাশ জোড়া মেঘ" বইটা পড়ে এত কষ্ট পেলাম যে অনেকক্ষণ কাঁদলাম। যদিও আত্মহত্যাকে আমি ঘৃণা করি। তবুও এত কষ্ট হচ্ছিল। ভাবলাম লিখি। আমার আগের লেখাটাতে মীরের মন্তব্যটা পড়ে ইউটিউব থেকে শিরোনামহীনের গানটা শোনলাম। মীর ঠিকই মিলিয়েছে। অনেকদিন পর শিরোনামহীনের গান শুনলাম। "তুমি চেয়ে আছো তাই" গানটা অনেকবার শুনলাম। এক সময় এই গানটা প্রিয় তালিকায় ছিল।
এখন রাত ২:১৫। মাঝে মাঝে দূরের বড় রাস্তায় একটা দুইটা ছুটে যাওয়া গাড়ির শব্দ ছাড়া আর কোন শব্দ নেই। বিছানার মাঝে বসে আছি। কাচের বড় জানালার অর্ধেকটা পর্দা সরিয়ে দিয়েছি। বাইরে ভরা পূর্ণিমা আজ। গোল চাঁদটার দিকে তাকিয়ে আছি। জোৎন্সার আলো বিছানার অর্ধেকে ছড়িয়ে পরেছে। পুরো ঘরে অদ্ভুত এক আলোয় ভরে গেছে। মুগ্ধ হয়ে দেখছি বলব না। তবে চোখ ফেরাতে পারছি না।
আজ অনেকদিন পর না ঘুমিয়ে বিছানায় বসে রাত কাটাব। কত রাত কেটেছে এমন করে। তবে এখনও রাতে কাজ থাকলে না ঘুমিয়ে কাজ করে রাত কাটাই। তবে আজ আলাদা। সারাদিন কাজ ছিল না। রাতেও নেই। সকালে ছুটতে হবে। তবু ঘুমাতে ইচ্ছে হচ্ছে না। বার বার মনে পরছে গল্পের অপলার কথা। কি অভিমান নিয়েই না সে চলে গেল। হয়ত এটা গল্প। কিন্তু চারপাশে এমন নিজে নিজে চলে যাওয়াটা অনেক দেখা যায়। কিন্তু তাদের অভিমানটা শোনা হয় না। তাদের কথা শোনার কেউ নেই বলেই তো এরা চলে যায়। কত অভিমান তাদের এই পৃথিবীর প্রতি, চারপাশের মানুষের প্রতি। আপন মানুষদের প্রতি। কেন তারা পারে না আরেকটু ধৈর্য্য ধরতে? আরেকটু সহ্য করতে? সৃষ্টিকর্তা তো আছেন। কেন তারা বিশ্বাস রাখে না তাঁর প্রতি?
আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে তাদের দুঃখগুলো। আমি নিজেই অনেকবার ভেবেছি, চেষ্টাও যে করি নি তা বলব না, শেষ মুহূর্ত্বে ফিরে এসেছি , নিজেকে ভীতু ভাবতে চাই নি। সব কষ্টকে দেখতে চেয়েছি। আজও অভিমানে ঠোঁট বাঁকা হয়ে আসে। চোখ বেয়ে কান্না নামে। তবু বেঁচে থাকি। কেন জানি না। হয়ত নতুন কষ্ট বা নতুন সৌন্দর্য্য দেখার আশায়।
আপনার এই লেখাগুলো আরেকটু বড় করা যায় না? লেখায় ঢুকতে ঢুকতেই শেষ হয়ে গেলে ভাল্লাগে না।
লিখব একটা অনেক বড়। পড়তে পড়তে আর ভাল লাগবে না।
লেখার ধরন ভালো হলে লেখা যত বড়ই হোক আরও ভালো লাগে।
অসাধারন,অসাধারন, বেশি বেশি লিখবেন
মন্তব্য করুন