ঝগড়া
কবিতা/ ঝগড়া
আহসান হাবিব
১৩/১/২০২২
ভেবেছিলাম বালিয়াড়িতেই বাধব
একখানা ঘর
থাকবো তোকে নিয়ে।
কতবার আরম্ভ করেছি
হয়নি তোর পছন্দ
এখানে এটা না, এখানে এটা দাও
ওখানে এটা চলবে না।
সরলরেখা বক্ররেখা তখনো কারো
জানা ছিল না।
বালিতেই এঁকে এঁকে একে অপরকে
বুঝাতাম।
হঠাৎ বালিয়াড়ি ঝড়ে আরম্ভ করা
ঘর, দালান নিশ্চিহ্ন।
হলোনা ঘর, বাধা হলো না আর।
সাড়াদিন শুধু ঝগড়াই করতাম
এটা নিয়ে ওটা নিয়ে
যেন ঝগড়া করার জন্যই
মোদের জন্ম।
আবার দুদম্ড না দেখলে কারো
সহ্য হতো না।
থাকা যেত না।
এই নিয়ে আবার ঝগড়া।।
ঝগড়ার বাধন, সে যে কি
শক্ত, কি যে কষ্টের।।
তুই যেদিন লাল শাড়ি পরে
চলে যাচ্ছিলি
সেদিনও বালিয়াড়ির ঘর বাধার
মতো খেলাই মনে করেছিলাম।
পরদিনই বুঝতে পারি
না এটা বালিয়াড়ির ঘরের মতো
চাইলে সরলরেখা বক্ররেখায় বদলানো
যায় না।
আস্তে আস্তে বুকের ভিতর
চিন চিন টন টন
যতরকম ব্যথা আছে
করতে লাগলো।
কি যে কষ্ট কি যে ব্যথা।
তোরও কি এমন ব্যথা করছিল,
যাবার সময় ফ্যাল ফ্যাল করে
তাকিয়েছিলি, কোন কথা বলিসনি।
দুচোখে ছিল একসাগড় জল।
পথ হারা পাখির মতো
উদভ্রান্তের মত ঘুড়ে
বেড়িয়েছি সমগ্র বালিয়াড়ি,
পারি দিয়েছি পাহাড় নদী সমুদ্র,
আজ পৌঁচেছি কোথায়?
না আজ বালিয়াড়িতে বালির
ঘর না
শক্ত কনক্রিটের শক্ত ঘর,
শক্ত দালান আছে
পরিশীলিত অট্টালিকায়
পরিশীলিত সব আসবাব
আছে।
নেই শুধু ঝগড়া।
কোথা সে ঝগড়া।।
চাই,
চাই সে ঝগড়া।
আজ ঝগড়া করতে
ভীষন ইচ্ছে করছে।
ভীষন ইচ্ছে করছে।
মন্তব্য করুন