বান্দর খেলা ও ফার্স্ট বয়দের গল্প
আশি নব্বই এর দশক বা আরও আগে যাবার দরকার নাই, এখনও বাংলার অনেক বিদ্যালয় আছে যেখানে ক্লাশের পড়া আদায় শেষে যারা পড়া বুঝিয়ে দিতে আপারোগ থাকে তাদের কান মলে দিতে একেবারে প্রথম দিক থেকে মেধাবী ২/৩ জনের ডাক পড়ে মাষ্টামশাই এর কাছ থেকে।। ঐ বয়সে ঐ ডাক যে কি সম্মানের আর কর্ম সম্পাদন যে কি নায়কোচিত তা কেবল কম মানুষই আনুধাবন করতে পারবেন। এ সুযোগের অভাব জনিত কারণে ক্লাশের বাকী সব ছেলেই ঐ ২/৩ বীর শিশু পুরুষকে হিংসা করে আর ভেতরে ভেতরে তাদের মতো হবার , তাদের বন্ধুত্ব পাবার জন্য চেষ্টা করে। এমন শৈশবের হিরোরা কেবল তাদের মেধা, ক্ষীপ্রতা,যোগ্যতা, দক্ষতা থাকার কারণে হারিয়ে যায়, দেশে তাদের যা অবস্থা হয় তা বলে বুঝানোর না, ঠিক ঝরে যাওয়া একটা পাতা ক্লোরোফিল উজাড় করে ঝরে পড়ে গেলে যেমন তার মূল্য থাকে না ঠিক তেমন।
বাংলাদেশে কেবল শহরে নয় প্রত্যন্ত গ্রামে গঞ্জের স্কুল গুলোতে জরিপ চালালেও দেখা যাবে যে লক্ষাধিক মুখ বলে উঠবে যে সে বড় হয়ে চিকিৎসক অথবা প্রকৌশলী হিসাবে প্রতিষ্ঠা পাতে চায়। এ চাওয়া যত খানি স্বপ্নের ঠিক ততো খানি বাস্তবতার। চিকিৎসা বা প্রকৌশল বিদ্যার ছাত্র মানেই ভবিষ্যতের চিকিৎসক অথবা প্রকৌশলী । এ ব্যাপারে ৩য় বিশ্বের সব দেশের অবস্থা এবং ছাত্রদের অবস্থান একই, রুটি রুজির তাগিদেই স্বপ্নের জাল বুঁনে যাওয়া। ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তির সুযোগ মানেই আগে ভাগে জেনে যাওয়া যে সে তাই হচ্ছে, তাই একটু নিশ্চয়তা ! যাই হোক অনেক দৌড়া-দৌড়ি করে ক্লাশের ঐ কান মলে দেওয়া হিরোদের মধ্য থেকেই চিকিৎসা বা প্রকৌশল শাশ্ত্রে ভর্তি লাভের সুযোগ লাভ করে আর কান মলা খাও্য়া অপেক্ষাকৃ্ত কম মেধবীদের ঠাঁয় হয় বিশ্ববিদ্যালয় বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন শুরু করে কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, এ্যাফেয়ার্স, আজকের বিশ্ব ইত্যাদি দিয়ে, পক্ষান্তরে ঐ ১,২,৩ রোলধারী মেধাবীরা পড়ে থাকে আইটেম পরীক্ষা, প্রফ পরীক্ষা, প্রোজেক্ট, ক্লাশ টেস্ট, সেমিষ্টার ইত্যাদি নিয়ে।
এর পরের কাহিনী অসম আর অপরিছন্ন। শখা মৃগের ডালে পাতায় জীবন আর কেউ কেটার রঙ বাহারি ফাঁস লাগিয়ে মাঞ্জা মেরে শক্ত মুখে ভক্ত কূলকে পায়ে আশ্রয় দেবার শুরু। অর্থাৎ যে কান মলেছে সে জুটেছে গিয়ে টেলকো-তে অথবা এলজিইডি, বিদ্যুৎ বা পানি উন্নয়ন বোর্ডে অথবা মেডিক্যাল অফিসার হয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আর মলা খেয়েছে যে সে আজ সহকারী সচিব, সহকারী কমিশনার,সহঃ পুলিশ সুপার----এবার বাবা ঐ দু মিনিটের কান মলার বিনিময়ে সারা জীবনটা মলার জন্য ছেড়ে দাও। যার কানে দু আংগুল দিয়ে মলেছো আজ তার মই-মাড়ানী সহে যাও।
এক জন ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার যদি তার নিজ পেশায় থাকতে চায় তাহলে সে তার জীবনের সর্বোচ্চ পদ হিসাবে ডিজি, প্রধান প্রকৌশলী অথবা স্বীয় ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান পর্যন্ত হতে পারে আর সেই কান মলা সহা ছেলেটা হতে পারে ঐ ডিপার্টমেন্ট গুলোর সচিব। বোঝ এবার খেল, সামলাও এবার ঠ্যালা । কে খেলছে কে সামলাচ্ছে সেটা বড় নয়, বড় হলো একটা রাষ্ট্র তার সবচেয়ে মেধাবী আর চৌকস ছেলেদের রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদ দিতে পারলো না এবং সাথে সাথে তাদেরই সহপাঠি , অপেক্ষাকৃত কম মেধাবী কান মলা খাওয়াদের কর্তৃ্ত্ব প্রতিষ্ঠা করলো তাদের উপর। আমি আমার স্বল্প জীবনে যতো বার দেখেছি তাতে মনে হয়ছে দেশ বা কাজ আগানোর ইচ্ছে নেই কান মলার প্রতিশোধ নিতেই ব্যস্ত, হাজার হলেও শৈশবের স্মৃতি কি সহজে যেতে চায় !
একবার এক সিনিয়র সহকারী সচিবের (যিনি পরিচয়ের সময় বলতে ভুলেন নাই যে ঐ মাসেই প্রমোশন হয়ে উপ সচিব হবেন) সাথে ইন্ডিয়া গেছিলাম পাওয়ার জেনারেশন টেকনিকের উপর প্রশিক্ষণ নিতে। উনি আমাকে এয়ারপোর্টে প্রথমে শুরু করলেন এই বলে যে, " জীবনে কখনো প্লেনে চড়েছেন, ফাইভ স্টার হোটেলে থেকেছেন ? আপনার সমস্যা হতে পারে, আমার পাসপোর্টে আমেরিকার সীল আছে সুতরাং আমার হবে না । " আমি টের পালাম এইরে কান মলার প্রতিশোধ নিচ্ছে। ঐ দিন সারা দিন ভেবেছিলাম আমি কি কারো কান মলতে পেরেছি কোন দিন ! প্রশিক্ষণের সেশনে প্রতি ট্রেইনর উনার কাছে একটা কথায় জানতে চায়তো তা হলো উনাকে এই ট্রেনিং এ কে কেন পাঠালো ?? আমাকে মাঝে মাঝে বলতো এটা টেকনিক্যাল ট্রেইনিং তুমি জদিও ম্যনেজমেন্টের লোয়ার পার্ট তবুও গিয়ে বলো এমন ভুল যেনো না করে। ১১ টা দেশ থেকে মোট ২১ জন ট্রেইনি আসেছিল, ওরা সারাদিন এটা নিয়া হাসা-হাসি করতো। যা হোক ও ধাক্কা যেমন তেমন গেলো কিন্তু উনি কান মলার শোধটা সারা দিনমান নিতেন আমার উপর। শেষ অবধি উনার একটা প্রেশার কুকার আমার লাগেজ হিসেবে আনতে হয়ছে সগোত্রীয়দের কান মলার প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে।
যাই হোক অপেক্ষাকৃত দুর্বল, মাঝারি মানের স্টুডেন্ট গুলোর সিদ্ধান্ত নেবার ত্রুটির কারণে দেশ আজ দ্বিপাক্ষিক ইস্যু, অর্থনৈতিক ইস্যু, সামাজিক উন্নয়নের জায়গাগুলায় পিছিয়ে পড়ছে আর ঐ কান মলার জের ধরেই বেড়ে চলেছে হিংসা, বিদ্বেষ আর অবিশ্বাস । প্রতিশোধ পরায়ন সমাজ গড়ে উঠেছে তিলে তিলে। মহোদয়দের গরমের মধ্যেও কোর্ট-টাই পরাকে সাপোর্ট দিতে গিয়ে তার কান মলা ক্লাশমেটকে ছোট পদে থেকে গলদ ঘর্ম হয়ে যোগাতে হচ্ছে বিদ্যুৎ।
তবুও স্বান্তনা একটাই, মহোদয়রা কান মলার প্রতিশোধ জীবনভর নিয়ে গেলেও নিজের মেয়ের বিয়েতে কিন্তু ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার পাত্রই খুঁজেন আগে। ক'জনের কপালে আছে শ্বশুরের কা্ন-------- !!!
টিপিকাল সুপিরিয়রিটি কমপ্লেক্সে ভুগা টেন্ডেন্সি থেকে পোস্ট। ডঃ ফখরুদ্দিন আহমেদ, শামস কিবরিয়া এদেরকে কি ছোটকালে কানমলা খাওয়া স্টুডেন্ট মনে হয়? ইন্জিনিয়ার-ডাক্তার অর্থনৈতিক পলিসির কি বুঝবে? সামাজিক উন্নয়ন বুঝবে ইন্জিনিয়ার আর বিশ্ববিদ্যালয়ে সামজিক উন্নয়ন নিয়ে পড়া লোক বুঝবেনা? আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে পড়া লোক দ্বিপাক্ষিক ইস্যু বুঝবেনা কিন্তু ডাক্তাররা বুঝবে? মশাই ছোটকালে কানমলা দেওয়া স্টুডেন্টরা তো বেশিরভাগই হারিয়ে যায় কালের গর্বে। কত ডাবল স্ট্যান্ড করা হরিদাস পালরা স্কুলের মাস্টারিও জুটাতে পারেনা। ছোটকালে কে কত ভাল ছিল সেসব তো কোন ব্যাপারই না। বুয়েটে ভর্তি হওয়া অসম্ভব ট্যালেন্টেড ছেলে ১০ বছরেও পাশ করে বের হতে পারেনা। একজন ছাত্র সারাজীবন একইরকম পারফর্ম করে নাকি? জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে হাজার হাজার ছেলে সুযোগ-সুবিধার অভাবেই ওখানে পড়ে, ওরা সুযোগ পেলে নগরকেন্দ্রিক স্কুল-কলেজ থেকে আসা ডাক্তার-ইন্জিনিয়ার থেকে অনেক ভাল করত। বরং যেসব স্টুডেন্ট নিজের ট্যালেন্ট কোনদিকে সেটা না বুঝে হুজুগের স্রোতে ডাক্তারি-ইন্জিনিয়ার পড়তে যায় এরা তো ক্লু-লেস। নিজের ট্যালেন্ট কোথায় সেটা বুঝতে পারেনি, সে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু কেমনে বুঝবে?
আমি ছোটকালে কানমলা দেওয়া, তথাকথিত ভালছাত্রদের একজন, যদিও ডাক্তার-ইন্জিনিয়ার ক্যাটাগরিতে পড়িনা কারন পরিবারে ডাক্তার-ইন্জিনিয়ার এত বেশি হয়ে গেছিল একটু বৈচিত্রের দরকার ছিল বলে ওদিকে যাইনি। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি আমি এমআইটি-তে পড়া লোকের চেয়েও হাই-স্কুল পাশ না করা স্মার্ট লোক দেখেছি। সোসিয়লজি পড়া লোক যেমন ডাক্তারদের কাছে গিয়ে ডাক্তারি বেশি জানে বলে লাফায় না তেমনি ইন্জিনিয়ারদেরও উচিৎ না সে সোসিয়লজির লোক থেকে দুটা কোর্স পড়ে সোসিয়লজি বেশি জানে বলে লাফানো। মহোদয়রা যেমন ডাক্তার-ইন্জিনিয়ার পাত্র খুঁজেন তেমনি ডাক্তার-ইন্জিনিয়াররাও সেসব সচিব গোত্রের মহোদয়দের কানমলা খাওয়া জ্বি-হুজুর টাইপ জামাই হওয়ার জন্য এক পায়ে খাড়া থাকে। জামাই হওয়া তো দূরের কথা, সেসব সচিবের মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতে পারলেও গর্বে তাদের বুক ফুলে যায় মশাই, বন্ধুদের কাছে রসিয়ে গল্প করে।
তাই এসব সুপিরিয়রিটি কমপ্লেক্সে ভুগার কোন লজিক নাই, সবাইকে তার জায়গায় সম্মান করতে শিখুন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ছাত্ররা ছোটকালে কানমলা খাওয়া ছাত্রদের মধ্য থেকেই আসে সেই মনোভাব বাদ দেন, আর আসলেও দেখা যাবে অনেক কানমলা দেওয়ারা হাইস্কুলে পার করার আগেই ঝড়ে পড়েছে।
বুয়েটে আমার এক পরিচিত ছেলে বলেছিলো ---- তোমরা কি পড়ো ৪ বছর ধরে ইকনমিক্সে ? আমরা তো দুই সেমিস্টারেই শেষ করি ।
আমি খুবি আনন্দিত অন্তত ব্লগের স্যাঁত স্যাঁতে ভাবটা গেছে । আপনাকে ধন্যবাদ এতো সুন্দর করে ক্ষোভ প্রকাশের জন্য । ভুল করে বুঝেছেন আপনি । সুপিরিয়রিটি কমপ্লেক্সে ভুগার টেন্ডেন্সি থেকে লেখা হয় নাই এটা, বলা হয়েছে যে যারা একটু ভালো করেছে তাদের সর্বোচ্চ জায়গায় যাবার সুযোগ নাই। সুযোগ থাকতে হবে। ডঃ ফখরুদ্দিন আহমেদ, শামস কিবরিয়াদের মতো দু চার জন ব্যতিক্রম মানুষ থাকবেন তবে তাঁরাও যে ব্যর্থ সেটাও ঠিক। এমন পোস্ট পড়ে মাথা গরম করবার আসলে কিছু নাই, খুব শান্ত হয়ে ভাবতে অনুরোধ রইলো। নরাধম ভাই, আপনাকে যদি না বুঝে কষ্ট দিয়ে থাকি তবে আমি দুঃখিত ।আর আমাদের সাথে কিন্তু গ্রামের স্কুল থেকে উঠে আসা ছেলেই বেশি ছিল, বাংলাদেশ এ লেখা পড়ার খরচের হিসাব সব জায়গাতেই প্রায় এক ই রকমের বরং ঢাকায় আসলে পথ বারিয়ে যায় অনেক বেশি। তার পরেও আমি আপনার এতো রাগের কাছে মাথা নীচু করে মেনে নিলাম যে, বাংলাদেশ নামক দেশে ডাক্তার-ইন্জিনিয়ারদের শেষে গিয়ে সচিব হবার যোগ্যতা নেই। প্লীজ কষ্ট পাবেন না। দরকার হলে ব্লগ ছেড়ে দেবো তবুও আপনাকে কষ্ট দেবোনা। নিজ গুনে ক্ষমা করবেন আর বুক ফুলানো বন্ধুর রসালো গল্প শুনে নিজের বুক চাপড়াবেন না । আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ।
ক্ষোভ প্রকাশের জন্য । ভুল করে বুঝেছেন আপনি । সুপিরিয়রিটি কমপ্লেক্সে ভুগার টেন্ডেন্সি থেকে লেখা হয় নাই এটা, বলা হয়েছে যে যারা একটু ভালো করেছে তাদের সর্বোচ্চ জায়গায় যাবার সুযোগ নাই। সুযোগ থাকতে হবে। ডঃ ফখরুদ্দিন আহমেদ, শামস কিবরিয়াদের মতো দু চার জন ব্যতিক্রম মানুষ থাকবেন তবে তাঁরাও যে ব্যর্থ সেটাও ঠিক। এমন পোস্ট পড়ে মাথা গরম করবার আসলে কিছু নাই, খুব শান্ত হয়ে ভাবতে অনুরোধ রইলো। নরাধম ভাই, আপনাকে যদি না বুঝে কষ্ট দিয়ে থাকি তবে আমি দুঃখিত ।আর আমাদের সাথে কিন্তু গ্রামের স্কুল থেকে উঠে আসা ছেলেই বেশি ছিল, বাংলাদেশ এ লেখা পড়ার খরচের হিসাব সব জায়গাতেই প্রায় এক ই রকমের বরং ঢাকায় আসলে পথ বারিয়ে যায় অনেক বেশি। তার পরেও আমি আপনার এতো রাগের কাছে মাথা নীচু করে মেনে নিলাম যে, বাংলাদেশ নামক দেশে ডাক্তার-ইন্জিনিয়ারদের শেষে গিয়ে সচিব হবার যোগ্যতা নেই। প্লীজ কষ্ট পাবেন না। দরকার হলে ব্লগ ছেড়ে দেবো তবুও আপনাকে কষ্ট দেবোনা। নিজ গুনে ক্ষমা করবেন আর বুক ফুলানো বন্ধুর রসালো গল্প শুনে নিজের বুক চাপড়াবেন না । আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো
ক্ষোভ প্রকাশের জন্য । ভুল করে বুঝেছেন আপনি । সুপিরিয়রিটি কমপ্লেক্সে ভুগার টেন্ডেন্সি থেকে লেখা হয় নাই এটা, বলা হয়েছে যে যারা একটু ভালো করেছে তাদের সর্বোচ্চ জায়গায় যাবার সুযোগ নাই। সুযোগ থাকতে হবে। ডঃ ফখরুদ্দিন আহমেদ, শামস কিবরিয়াদের মতো দু চার জন ব্যতিক্রম মানুষ থাকবেন তবে তাঁরাও যে ব্যর্থ সেটাও ঠিক। এমন পোস্ট পড়ে মাথা গরম করবার আসলে কিছু নাই, খুব শান্ত হয়ে ভাবতে অনুরোধ রইলো। নরাধম ভাই, আপনাকে যদি না বুঝে কষ্ট দিয়ে থাকি তবে আমি দুঃখিত ।আর আমাদের সাথে কিন্তু গ্রামের স্কুল থেকে উঠে আসা ছেলেই বেশি ছিল, বাংলাদেশ এ লেখা পড়ার খরচের হিসাব সব জায়গাতেই প্রায় এক ই রকমের বরং ঢাকায় আসলে পথ বারিয়ে যায় অনেক বেশি। তার পরেও আমি আপনার এতো রাগের কাছে মাথা নীচু করে মেনে নিলাম যে, বাংলাদেশ নামক দেশে ডাক্তার-ইন্জিনিয়ারদের শেষে গিয়ে সচিব হবার যোগ্যতা নেই। প্লীজ কষ্ট পাবেন না। দরকার হলে ব্লগ ছেড়ে দেবো তবুও আপনাকে কষ্ট দেবোনা। নিজ গুনে ক্ষমা করবেন আর বুক ফুলানো বন্ধুর রসালো গল্প শুনে নিজের বুক চাপড়াবেন না । আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো
আরে ভাই, ক্ষোভ প্রকাশ করব কেন? ব্লগ ছাড়বেন কেন? কোন কথায় কি পান্তা ভাতে ঘি। ব্লগটা আমার নাকি যে আপনি আমি কি বলি না বলি তাতে ব্লগ ছাড়বেন? আপনার সাথে কথা বলাই মুশকিল দেখি, প্রসংগ একটা আর আপনি বলছেন ব্লগ ছাড়বেন। আমি কি বলেছি নাকি ডাক্তার-ইন্জিনিয়ারদের সচিব হওয়ার যোগ্যতা নেই? আমার পয়েন্টটা হচ্ছে ডাক্তার-ইন্জিনিয়ার হয়েছেই বলে সে কোন বাল ছিড়ে ফেলেনি। আবার যারা হয়নি, ঢাকা বা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে তারাও ফেলনা না, তারা আপনার তথাকথিত কানমলা খাওয়া স্টুডেন্ট না। আপনার টেন্ডেন্সিটা ছিল ডাক্তার-ইন্জিনিয়াররা তো তাদের ডাক্তারি-ইন্জিনিয়ারিতে সেরাই তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া লোকদের থেকেও তাদের সাবজেক্টেও ভাল!
যারা একটু ভাল করেছে তাদের সর্বোচ্চ জায়গায় যাওয়ার সুযোগ নেই কে বলল আপনাকে? সচিব হইতে কি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি লাগে? ইন্জিনিয়াররা সচিব হইতে পারেনা? কি আজীব কথা!
@ লেখক, পোস্ট নিয়ে আর কিছু বলার নাই। ব্লগার নরাধমের মন্তব্যে সবই এসে গেছে।
কনফিডেন্স লেস মানুষেরা সমস্যার দিকে আলোকপাত না করে সব কথা নিজের গায়ে পাতে আর অন্যদের খারাপ ভাবে আক্রমন করে, নরাধম ভাই তাই করেছেন। পোস্টের মাধ্যমে বলা হয়েছে সুযোগটা সবাইকে দিতে হবে। যাই হোক, কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ ।
ভালো ছাত্র আর শিক্ষিত বোধ হয় এক কথা নয়। তাহলে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, শাহ আবদুল করিম, লালন, আর্কিমিডিস, টমাস আলভা এডিসন কাওকেই বোধ হয় পাওয়া যেতো না।
শিক্ষা লাভ করা আর শিক্ষা প্রয়োগ করা দুটি সম্পূর্ন দুই ব্যাপার। আপনি হয়তো কোন কারনে মনক্ষুন্নঃ রয়েছেন তাই এভাবে জাজ করছেন পৃথিবীটাকে।
ব্লগের স্যাঁত স্যাঁতে ভাবটা গেছে মনে হচ্ছে । রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, শাহ আবদুল করিম, লালন, আর্কিমিডিস, টমাস আলভা এডিসন মুক্ত বাজারের প্রতিযোগিতায় থাকলে আর শিকদাঁড়া সোজা করে দাঁড়াতে পারতেন না। বেশ কয়েক দশক থেকে এঁদের দেখা মিলছে না আর। হয়তো মিলবেনা আর । আমি মনোক্ষুন্ন নই । ধন্যবাদ
তানবীরার কমেন্ট লাইক করলাম।
নরাধম
ইন্জিনিয়ার-ডাক্তার অর্থনৈতিক পলিসির কি বুঝবে?আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে পড়া লোক দ্বিপাক্ষিক ইস্যু বুঝবেনা কিন্তু ডাক্তাররা বুঝবে?
- দু্্ঃখজনক হৈেলও সত্যি, ফরেন সার্ভিসে বেশীর ভাগই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে পড়া লোক খুব কম। আর ডাকতার-ইনজিনিয়ার যারা গেসেন (সংখ্যায় কম না) তারা কি ফরেন সার্ভিসে খারাপ করছে?
ইন্টারন্যাশনাল এ্যাফেয়ার্স বা ইকনমি নিয়ে ব্লগে আলোচনার সময় ইনজিনিয়াররা কি খারাপ এ্যাসেস করে?
সমস্যা অন্য জায়গায়, কেন একজন ইনজিনিয়ার ইনজিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের সচিব হৈতে পারবে না? যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব হবার জন্য একজন বাংলা/ইকনমিক্স/ফিজিক্স/এ্যাকাউন্টেন্সি গ্র্যাজুয়েটের (এমনকি ননপ্র্যাকটিসিং ইনজিনিয়ার) যোগ্যতা বেশী একজন প্র্যাকটিসিং সিভিল ইনজিনিয়ােরর চেয়ে।
আমি আসলে এমন কথায় বলতে চেয়েছি । ইন্জিনিয়ার-ডাক্তার যদি তাদের প্রফেশনাল জবে থেকেও সচিব হতে পারতো তবে কি দেশ আরও উপকার পেতো না ? তবে যারা পরিবারে বৈচিত্র আনার জন্য পড়াশুনা করেছে তাদের কথা আলাদা। তদের যদি অতো বোধ থাকত তবে কেবল বসন্তেই গাইতো না আর কাকের বাসায় ডিম অ দিতোনা।
আপনি কয়েকটা কমেন্টে আমার কনফিডেন্স নাই, বুক চাপড়ানো এসব বিষয় এনেছেন। আপনাকে খুবই ধন্যবাদ দিব এই জন্য যে আপনি আমার কনফিডেন্স নাই এই কথাটা বলেছেন, কারন আমার ইউনির এডভাইজর থেকে শুরু করে আমার ফ্র্যান্ডরা আমাকে কনফিডেন্স বেশি বলেই সবসময় বলেছে। ভিন্ন মতামত পেয়ে নিজের সম্পর্কে ভালই লাগল আরো। থ্যাংকু!
বৈচিত্র্য আনার জন্য ইন্জিনিয়ারিং না পড়াটা কিছুটা সত্যি। আমি ভাইয়া, মামা, চাচা যারা ডাক্তার-ইন্জিনিয়ার হয়েছে, তার মধ্যে ছোট মামা আবার এমআইটি থেকে পড়েছে, ছোটমামী বার্কলে থেকে, এদের লাইফ এবং ক্যারিয়ার দেখে পছন্দ করিনি। আমার কাছে আমার লাইফ এদের মত করে লিড করতে ইচ্ছে হয়নি, তাই ওদিকে পা বাড়াইনি। আমারটা খুবই ইনফর্মড এবং ওয়েল-জাজড ডিসিশান। বাংলাদেশে ডাক্তার-ইন্জিনিয়ার যারা হয় তাদের ৯৫% ছেলেমেয়েই বাবা-মার চাপে পড়ে হয়, এরা জানেওনা কেন পড়ছে। তারা কোন সাবজেক্ট এনজয় করে সেটাও জানেনা। সারাজীবন ভুল সাবজেক্ট, ভুল ক্যারিয়ার নিয়ে পড়ে থাকে। আমি সেদিক দিয়ে ভাগ্যবান, সবসময় নিজের পছন্দমত সাবজেক্ট চুজ করেছি।
"দু্্ঃখজনক হৈেলও সত্যি, ফরেন সার্ভিসে বেশীর ভাগই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে পড়া লোক খুব কম। আর ডাকতার-ইনজিনিয়ার যারা গেসেন (সংখ্যায় কম না) তারা কি ফরেন সার্ভিসে খারাপ করছে? "
রোবোট ভ্রাত, তোমার এই কথায় কিন্তু পোস্টদাতা বেজার হওয়ার কথা!! উনি বলছেন এসব পজিশানে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক, তাই এত সমস্যা। ইন্জনিয়ার ডাক্তার গেলে অনেক সমস্যা কমে যেত। এখন তো তুমি বলছ সেখানে অনেক ইন্জিনিয়াররাও গেছেন, তাহলে তো দেখা যাচ্ছে ইন্জিনিয়াররা ওনার মতে এত স্মার্ট হওয়া স্বত্ত্বেও সমস্যার সমাধান করতে পারছেনা!
"সমস্যা অন্য জায়গায়, কেন একজন ইনজিনিয়ার ইনজিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের সচিব হৈতে পারবে না? যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব হবার জন্য একজন বাংলা/ইকনমিক্স/ফিজিক্স/এ্যাকাউন্টেন্সি গ্র্যাজুয়েটের (এমনকি ননপ্র্যাকটিসিং ইনজিনিয়ার) যোগ্যতা বেশী একজন প্র্যাকটিসিং সিভিল ইনজিনিয়ােরর চেয়ে।"
এর সাথে পুরোই একমত। সমস্যা সিস্টেমে। ইনজিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের সচিব অবশ্যই ইন্জিনিয়ার হওয়া উচিৎ। তেমনি ফরেন এফেয়ার্সে ইন্জিনিয়ারেরর নাক গলানো উচিৎ না। সেখানে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের লোক যাওয়া উচিৎ, না গেলেও অন্তত রিলিটেড সোস্যাল সায়েন্সের লোকের যাওয়া উচিৎ। যার যা স্পেশালটি তার সেখানেই থাকা উচিৎ। আমি সেটাই বুঝাতে চেয়েছি। কিন্তু পোস্টদাতার মতে সোস্যাল সায়েন্সের লোকজন নাকি কানমলা খাওয়া লোকজন, তাই তারা ওসব পারবেনা। তুমি কি পোস্টদাতার এই মতামতের সাথে একমত?
"ইন্টারন্যাশনাল এ্যাফেয়ার্স বা ইকনমি নিয়ে ব্লগে আলোচনার সময় ইনজিনিয়াররা কি খারাপ এ্যাসেস করে? "
ব্লগে ইকনমি নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে আমার জানামতে সবই গ্রামে হাতুড়ে ডাক্তার টাইপ আলোচনা। তুমি আমাকে ইকনমিকস নিয়ে আলোচনা হইছে এরকম কয়েকটা পোস্টের লিংক দাও। ইন্জিনিয়াররা কিরকম আলোচনা করেছে একটু দেখব। দিনমজুর একবার তার সমাজতন্ত্রী ভিউপয়েন্টস থেকে ক্রেডিট ডিফল্ট সোয়াপ (সিডিএস) নিয়ে কথা বলেছিল, পুরাটাই ভাসা ভাসা জ্ঞানের উপর। এটা বুঝতে পারছি কারন সিডিএস-এর উপর আমার পেপার আছে। এখন ইন্জিনিয়াররা যদি দুটা ইকনমিকসের কোর্স পড়ে বা দুটা নন-টেকনিক্যাল বই পড়ে মনে করে তারা মিল্টন ফ্রিডম্যান বা পল ক্রুগম্যান থেকে বেশি জ্ঞানী হয়ে গেছে, এরকম লোকের সাথে তো কথা বলা যায়না। কেউ কেউ আছে না দেখনা, কয়েকটা নেটে এন্টাই-ইভলুশান লেখা পড়ে সমস্ত বিবর্তনবাদকেই ভুল প্রমাণ করে? এরকমই। মাইক্রথিয়রী হচ্ছে যেকোন ইকনমিকস পিএইচডির প্রথম কোর্স। সেখানে যে পরিমান রিয়েল এনালিসিস এর ম্যাথ দরকার পড়ে তা বাংলাদেশে কেন, কোন দেশেই ইন্জিনিয়ারদের পড়ানো হয়না। ইকনমিক্সের পিএইচডির প্রথম কোর্স যেটা সেটার জন্য এনাফ ম্যাথ ব্যাকগ্রাউন্ড বুয়েটের ইন্জিনিয়ারদের নেই। হয়ত তারা কয়েকটা নন-টেকনিকাল ইকনমিক্সের বই পড়ে একটা ওভারল ধারণা পেতে পারে, কিন্তু ইন-ডেপথ ইকনমিক্স বুঝার জন্য আরো অনেক দূর যেতে হবে। আমি শুধু ১২ টা ম্যাথ কোর্স নিছি পিয়রলি ফার্স্ট ইয়ারের ৩ টা ইকন সিকোয়েন্স বুঝার জন্য! এতসব বলার কারন হচ্ছে ডিসিপ্লিনগুলাকে রেস্পেক্ট করাটা ইম্পর্টেন্ট। আমি দেশে থাকতে মনে করতাম সোসলজি, হিস্টরি এসব বিষয় যে কেউ নিজে নিজে পড়লেই পারে, বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব বিষয় নিয়ে অনার্স করার কি দরকার! এখানে এসে সোসিওলজির একটা মাস্টার্স লেভেলের বইয়ে হাত দিয়ে দেখলাম আমি কতই বোকা ছিলাম! আমি রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য নিয়ে কথা বলতে পারব, কিন্তু বাংলা সাহিত্যে পড়া লোক অবশ্যই অবশ্যই আমার থেকে অনেক ভাল বুঝবে, আমার অনেক জাজমেন্টই ভুল হবে তার দৃষ্টিতে। অথচ আমি বলতে পারি ব্লগে তো বাংলা সাহিত্য নিয়ে আলোচনায় আমি খারাপ এসেস করবনা। তুমি স্বীকার করবে কিনা জানিনা, বাংলাদেশে ইন্জিনিয়ারদের মধ্যে (বিশেষ করে বুয়েটে), এই টেন্ডেন্সিটা খুবই ডমিনেন্ট যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্টস ফ্যাকাল্টিতে যেসব বিষয় পড়ায় ওসব তারা কয়েকদিন চেষ্টা করেই যারা পড়তেছে তাদের থেকে অনেক বেশি এক্সপার্ট হয়ে যাবে। এছাড়াও দেখা যায় সিএসই-র পোলাপাইন মেকানিক্যাল বা সিভিলের পোলাপাইনের সাথে নাকউঁচু ভাব নিয়ে থাকে। এই সুপিরিয়রিটি কমপ্লেক্সটা আমি এই পোস্টদাতার পোস্টে স্পষ্ট দেখতে পেয়েছি। পরবর্তী জীবনে ডলা খেয়ে এসব নাকউঁচুরা নিজের স্থান বুঝতে পারে অবশ্য, কিন্তু নাকঊঁচু ভাবটা যায়না!
ইন্টারন্যাশনাল এফেয়ার্স ভিন্ন বিষয়। যে কেউ কিছুদিন ভালমতে কয়েকটা বই পড়লেই মোটামোটি একটা আইডিয়া পাবে। সেখানে বাংলার লোক আর ইন্জিনিয়ার সমান। কিন্তু তবুও আমি মনে করব একজন যিনি এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তিনি তোমার মত ইন্জিনিয়ার বা আমার মত স্টাটিসটিশিয়ান-ইকনমিকস পড়া লোকের চেয়ে অনেক ভাল বুজবে, আমরা যতই কিছু বই পড়িনা কেন এ বিষয়ে। নোয়াম চমস্কির মত একজন দুইজন লোক আছেন যারা সব বিষয়েই ভাল, কিন্তু ফর আস মর্টালস, আমরা আমাদের ফিল্ডেই নিজের বিশেষজ্ঞতা দাবি করা দরকার এবং অন্যকে তার বিষয়ের জন্য রেস্পেক্ট করা দরকার।
অনেক লম্বা কমেন্ট দিয়েছি। আমার ভয় হয় এ বিষয়টা আবার টিপিকাল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েট তর্কে রুপান্তর হবে। তাই আমি এখানে ক্ষান্ত দিলাম।
নরাধম ভাই আপনাকে ব্যক্তিগত ভাবে কষ্ট দিতে চাইনি। তবুও যদি পান তবে বলবো এটুকু সহ্য করবার মতো ধৈর্য্য থাকলে মন্দ হতো না। আপনি এতো কষ্ট পাচ্ছেন কেনো এটাই তো মাথায় আসছে না। নিশ্চয়ই কোন লুকানো মর্ম বেদনা আছে।মন খুলে দিন, লিখে ফেলুন সে বেদনার কথা । আপনি তো ভালো জায়গায় আছেন সারা জীবন কান মলবেন তা হলে কেন এতো ঘা খাচ্ছেন নিজে নিজে ? মন্তব্য একটু ছোট করে করবেন এতে পড়তে সুবিধা হয় ।
মশাই, সবাই খালি ব্যক্তিগত কষ্টের জন্যই রিএক্ট করে এই ধারণাটা নিয়েই তো সমস্যা। কোন অন্যায় কথা বললে সেটা ব্যক্তিগতভাবে আমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না হলেও রিএক্ট করাটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। লুকানো মর্মবেদনা নাই, কারন আপনি ক্যারিয়ারের যে জায়গা থেকে এসব লিখছেন সে জায়গাটা এখানে আমিসহ যারা কমেন্ট করছে সবাই অনেক আগেই ফেলে আসছে। কানমলা খাওয়া লোকজন অনেকেই পরবর্তীতে কানমলা দেওয়াদের থেকে অনেক ভাল করে আবার অনেক কানমলা দেওয়ারা খুব তাড়াতাড়িই ঝড়ে যায়। বস্তুগত সাফল্যের ধারাটা সারাজীবন একই থাকেনা, আপনার সাথে যে ব্যাকবেন্ঞার ছিল সে পরবর্তীতে আপনার থেকে অনেক ভাল করতে পারে যোগ্যতা দিয়েই এই কথাটাই বলতে চেয়েছিলুম। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়ে তারা সবাই কানমলা খাওয়া ছাত্র না, সেটাও মনে রাখা দরকার। এমনকি লোকাল কলেজে যারা ডিগ্রী পড়ে এরকম শত শত ছাত্র/ছাত্রী হার্ভাড/এমআইটি-তে পড়া লোক থেকেও অনেক স্মার্ট হতে পারে সেটা মনে রাখা দরকার। অনেকে যারা বিভিন্ন কারনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ও পার করতে পারেনা, এদের অনেকেই সুযোগ পেলে আপনার-আমার থেকে অনেক এগিয়ে যেত। যাইহোক, আপনি ভাল থাকুন আর যারা আপনার থেকে কানমলা খেয়েছে তারা যেন আপনার উপর আর প্রতিশোধ না নেয় সেই দোয়া করি। কানমলা খাওয়া সচিবরা যেন তাদের মেয়ে আপনাকে বিয়ে দেয় সেই দোয়াও করি। আমিন! সুম্মা আমিন!
পছন্দ হয় নাই।
পোস্টের বিষয়বস্তু ভালো কিন্তু তীক্ষ বাক্যগঠনের কারনে পোস্টটার টোন অন্যদিকে মোড় নিয়েছে।
কিছু কথা বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু আবার বলবেন স্কুলের কানমলার প্রতিশোধ নিচ্ছি।আবার দুঃখে ব্লগ ছেড়ে চলে যেতে চাইবেন।তাই আর বললাম না।
হাহাহাহাহা, আমিও কানমলার প্রতিশোধ নিচ্ছি বলবে বলে প্রথমে কিছু বলবনা বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম! তারপরে কেন যে আবার বললাম! এখন উনি যদি ব্লগ থেকে রাগ করে চলে যান সবাই আমার দোষ দিবে!
নারু@ তুমি কানমলাও দিছো আবার খানেওয়ালদের লাহান ইউনি'তেও পড়ছো... তাই ডাবল প্রতিশোধ দেখাচ্ছো... কিন্তু আমি যে কানমলা দেই নাই আবার খাইইয়া ইউনিতে পড়তেও যাই নাই... আমি তাইলে কি?...
তুমি তো ট্রিপল প্রতিশোধ নেওয়া দরকার। দাড়াও পোস্টদাতাকে বলি তোমাকে আরেকটা কানমলা দিতে!
আপনি উত্তম, কোন এক অধম তো আত্নহত্যা করবে বলে মনে হচ্ছে। আপনারা পুরানো বন্ধু অধম সাহেবকে একটু বুঝান আর শান্ত করুন না হলে উনি সত্য মানতে না পারে শেষে কি কান্ড যে করবেন-------------
বুক চাপড়ানো... কাকের বাসায় ডিম দেয়া... উত্তম-অধম ক্যটাগরি... কনফিডেন্সলেস...
এইসব খোচাঁ দেয়া শব্দে বা টোনে কাউকে কিছু বলা কতোটুকু সমুচিত আপনি নিজেই বিবেচনা করুন। একটা সবাই যে লেখার বাহ বাহ করে পিঠ চাপড়ে যাবে এটাই কি আশা করেছিলেন?... কারো দ্বিমত থাক্তেই পারে, সে তাই জানিয়েছে নিজের যুক্তি দিয়ে ভালো লাগে নাই আপনিও তা জানাবেন, কিন্তু ক্রমাগত ওইসব বলা খুবই দৃষ্টিকটু। মোটেই ভালো লাগে নাই...
এইবার আবার বলে বসবেন না "ব্লগ লেখা ছেড়ে দেই" !!!
কারো যদি মনে হয় পরীক্ষায় ১ম ২য় ৩য় হইলেই সে মেধাবী ......... কারো যদি মনে হয় কেউ ইন্জিনিয়ার / ডাক্তার হইলেই মেধাবী............ যে ছেলে বা মেয়েটা পালিতে পড়াশোনা করে ..........যে অর্থনীতিতে পড়াশোনা করে............ যে ফলিত পদার্থ পড়াশোনা করে.......... যে গান গায় বা ক্রিকেট খেলে তার মেধা নাই বা মাঝারি মেধার বাল ছাল তার সাথে তক্ক করতে করতে বেলা গড়িয়ে যাবে, তক্ক শেষ হবে না।
আমি ফাকুদের নিয়া কথা বলি না ।
বুঝে নিন, ঐ বাল ছাল আমি বলতে চাইনা ।
চেতলেন কে হঠাৎ ভাইয়া?
জনাব অযথাই ক্ষেপলেন।
এই পোষ্ট আর ৫ বছর আগে পড়লে হয়তো গায়ে আগুন ধরে যেত, দাত নখ বের করে ঝাপিয়ে পড়তাম। কিন্তু এখন পড়ে হাসি পেলো।
জীবনে সাফল্যটা খুব গুরুত্বপুর্ন। যে পায়নি সে হতাশ, আর হতাশার এডজাষ্টমেন্টের জন্য মানুষ কাচের প্লেট-গ্লাস ভাংগে, কাউকে গালি দেয়, বা অসহায় কারো উপর চড়াও হয়। আর ডিজিটাল যুগে ব্লগে লেখে হতাশা-রাগের ইজাকুলেশন ঘটায়। ব্যাপার না।
কর্মাস-আর্টসে ফার্ষ্ট-সেকেন্ড হওয়া পুলাপাইন কেন যে ডাক্তার-এন্জিনিয়ার হয় না, দুঃখ। হৈলে পুষ্টে পুরাই একমত হৈতাম।
আর অতীব উচ্চমার্গের জ্ঞান লাভ হৈলো, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে কানমলা খাওয়ারা।
ঐ আমারে কেডা কানমলা দিছলি রে, খাড়া তোরে পায়া লৈ.........।
(আপনে খবরদার ব্লগ ছেড়ে যাবেন না, ব্লগে বিনোদন পাইতে আসি, সেইটা বন্ধ হৈলে কৈ যামু?
)
আপনে খবরদার ব্লগ ছেড়ে যাবেন না, ব্লগে বিনোদন পাইতে আসি, সেইটা বন্ধ হৈলে কৈ যামু? ...সহমত।
যাবো কারণ যে ব্লগে কথা বলার স্বাধীনতা নাই আর যেখানে পোস্টের চেয়ে একটা মন্তব্য বড় হয়ে যায় সেখানে থাকাটা না থাকার মতোই
এটা মানতে পারলাম না জনাব। যদি স্বাধিনতা না থাকতো তবে আপনি যা বলছেন সেটা বলতে পারতেন না, স্বাধিনতা আছে বলেই আপনি আপনার কথা বলছেন , কমেন্টের মাধ্যমে আমরা আমাদের কথা বলছি। এটাকে বিতর্ক বলতে পারেন, বলতে পারেন মিথস্ক্রিয়া।
পোস্টের চাইতে কমেন্ট বড় হতে পারবে না এরকম কোনো নিয়ম নাই। এটা হতেই পারে। আপনি যুক্তি দিয়ে যুক্তি খন্ডন করবেন। যদি তা না করে ব্যক্তি আক্রমন করেন বা কি যুক্তির আশ্রয় নেন তবে তার ফল কিন্তু ভালো হয় না যা আমরা কেউই আশা করি না।
আসুন সুন্দর ভাবে আলোচনা করি।
আরেকটা কথা, এখানে যারা কমেন্ট করেছে তাদের আপনে চেনেন না। সবারই পড়াশোনা ও জানোশোনা বা ডিগ্রি আপনার চাইতে অনেক বেশী, কিন্তু এটা নিয়ে কেউ বড়াই করছে না বা বড় করে বলছে না। এজন্য অহেতুক কারো শিক্ষাগত যোগ্যতা বা কনফিডেন্স নিয়ে কটাক্ক না করার অনুরোধ করছি।
নরাধম সাহেব এর কিছু ভালো সাগরেত আছে দেখছি.------------------
এই কথার অর্থ কী?
ভাইয়া, মাথা ঠান্ডা করেন। জবা কুসুমের টেল ভালো কাজ দেয় মাথা ঠান্ডা করতে।
আমার মাথা ঠান্ডায় আছে । আমি ভাবছি পোস্ট পড়ে একসাথে সবার মাথা গরম হলে এতো জবা কুসুম কোথায় পাওয়া যাবে
আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন। কুদাপেজ।
এই শীতে বরফ দিলে মাথা ঠান্ডা। জনাব মাথা ঠান্ডা করেন।বিদায় বেরায় অযথা হাউকাউ কইরেন না।
উনি তো ঠান্ডা মাথায় আপনার কাছে নরাধমের সাগরেদ কথার অর্থ জানতে চাইলেন।আপনি অযথাই ক্ষেপছেন।
গেলে আর কি করা। খুদাপেজ।
পোষ্টে লিখে দেননি তো যে কমেন্ট বড় হতে পারবে না। কথা বলার স্বাধীনতা কে দিলো না আপনাকে? আপনি আপনার কথা বলেছেন, বলতে চাইলে আরো বলেন।কিন্তু আপনার বলা কথাগুলো অযৌক্তিক হলেও কি মেনে নিতে হবে?
অযৌক্তিক মনে হচ্ছে কেন ?
তামাশা করলেন? আপনে আপনার মতন কইছেন, বাকিরাও তাদের মতন কইছে। আপনার কোন মন্তব্য ডিলিট করছে মডু? কিংবা কেউ কোন মন্তব্য শুনে কইছে রিপোর্ট করলাম?
ব্লগে বিতর্ক হয় অনেক বিষয় নিয়ে। তেমনি একটা কথা নিয়ে এখানে তর্ক হবে। অনেক "কু"তর্কও হবে। সেটা ভালো না লাগলে উত্তর দেবেন না। ন্যাকামি করে বলবেন না, এখানে বলার স্বাধীনতা নাই।
ইয়ে মানে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, লজ্জা বা নিজে ছোট হয়ে যাওয়ার ইমো কোনটা?
মাসুম্ভাই@ আপ্নে তো এমনিই লজ্জায় ঠ্যাং-ঠুং চিপাইয়া ছূট্টমুট্ট হইয়া বইয়ের ভিত্রে ঢুকে গেছেন আগেই... আরো ছোট্ট কেম্নে হবেন!!! :|
তো চলে যাওয়া কি ফাইনাল?

রাফি ভাই, বিদায় বেলায় পিছু ডাকলে কেম্নে যাবে?
আমি সহজে ছেড়ে দিতে চাই না কারণ এই ব্লগটাকে আজই প্রথম প্রানবন্ত লাগছে-----কিছুটা সার্থকতা তো আছেই । মড়ার প্রান ফিরলে যা হয় আরকি ----
ওহহহহহহ। তাইলে থাকেন। যাইয়েন না। এক্টু দাঁড়াবে কি......................
আপনারে অনেক কামেল লুক মনে হচ্ছে। আসেন সবাই মিল্লা হজরুত মারজুকের দেয়া পরা পানি খাই। উনার বদৌলতে মরা ব্লগে পেরান ফিরা আসে
) 
পানিটা যেনো মিনারেল ওয়াটার হয়। ওয়াসার পানিতে ব্যাপক ভেজাল।
মিনারেল ওয়াটার তো শুনছি সেই ওয়াসা থেকেই আসে।

এই মর্মে একটা গান মনে আসছে, "মরা এবি'তে থুক্কু গাছে ফুল ফুইটাছে থুক্কু এ্যাগেইন প্রান ফিরিছে, ডাল ভাইঙ্গো নারে মালি থুক্কু রিপিট মারজুক'রে যাইতে দিও না রে নারু'র সাপোতাররে রা"
ব্যাকগ্রাউস্ড মিউজিকটা খুউপ করুণ করে শুনতে হপে।আমরা ব্যথিত আপনার বিদায় ক্ষণে । তবে যেতে চাইলে পিছনে ডাকতে নেই যে! অমঙ্গল হয়।
জেবিন আপনাকে ধন্যবাদ । রম্যভাবে স্বীকার করবার মধ্যেও আনন্দ আছে
যেও না সাথী ওওওওওওওওওওওওওওওওওওওও
ধূর যা! রাসেলের আক্কেল জ্ঞান নাই।কারে কি কয়!
রাসেল তো চেপে যেতে চাইছেন না, কারণ পোস্টের আসল ব্যাপারটা হয়তো বুঝেচেন উনি। মাথা গরম করে কিছু বলতে চান নি। আপনার মতো রুচিশীল ব্লগারদের ধন্যবাদ
দেশের অবস্থা এমন কেন এখন বুঝতাছি।
জনাব এত সহজে কনক্লুশানে যাইয়েন না।
বুঝেন তা হলে , এক কান মলা নিয়া বিএনপি আওয়ামীলীগ কেলেংকারি । যা হোক পড়া পানি নিয়া আসবো------
ভালো লিখেছেন...আপনার আসলে এই ব্লগে সময় না দিয়া বিসিএস পরীক্ষার লেইগা প্রিপেয়ারেশন নেয়া দরকার।
ওটা মলা খাওয়াদের ময়দান আমাদের নয় । আর ফুটবল মাঠে গিয়ে হকি খেলার মানে হয় না ।
খুব ভালো বলেছেন। আপনার আসলে মলা খাওয়াদের ভীড়ে না থাকাই ভালো। আমার কান'তো মলা খাইতে খাইতে এক সাইজ বড় হইয়া গেছে সেই স্কুলে থাকতেই...
মৎস্য খাত, মানুষের মানসিক সমস্যা এবং দেশের অর্থনীতিতে বান্দর খেলার ভূমিকা নিয়া কিছু বলেন। শুনি।
ঘুমাইতে দেন । ঘুম থেকে উঠে নরাধম ভাই লিখবেন। উনার পারিবারিক বৈচিত্রে পড়াশুনা আর ইকোমিক্সে ভালো দখল। সো ওয়েট
এই লাইনটার জন্য আমি মডারেটরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
জেবীন | জানুয়ারী ১৯, ২০১১ - ৪:৫১ অপরাহ্ন
বুক চাপড়ানো... কাকের বাসায় ডিম দেয়া... উত্তম-অধম ক্যটাগরি... কনফিডেন্সলেস...
এইসব খোচাঁ দেয়া শব্দে বা টোনে কাউকে কিছু বলা কতোটুকু সমুচিত আপনি
নিজেই বিবেচনা করুন। একটা সবাই যে লেখার বাহ বাহ করে পিঠ চাপড়ে যাবে এটাই
কি আশা করেছিলেন?... কারো দ্বিমত থাক্তেই পারে, সে তাই জানিয়েছে নিজের
যুক্তি দিয়ে ভালো লাগে নাই আপনিও তা জানাবেন, কিন্তু ক্রমাগত ওইসব বলা
খুবই দৃষ্টিকটু। মোটেই ভালো লাগে নাই...
সব কথার তরিত উত্তর দিলেন... এটার দিলেন না... তাই আবার দিয়ে দৃষ্টিগোচরে আনলাম
জেবীন,
আপনাকে ধন্যবাদ । আসলে অনেক গঠন মূলক হতে পারতো বিষয়টা । তবে পারিবারিক বৈচিত্রে পড়াশুনা কয়জন করে বলুন ? যে দেশে মানুষ প্রথম মৌলিক চাহিদা নিয়ে যুদ্ধে থাকে সেখানে পারিবারিক বৈচিত্রে পড়াশুনা বিরল । এই কারণটাতে আমি হয়তো র-এ্যাক্ট করেছি বেশি।
এর ভিত্তিতেই বলা।
একটা রাষ্ট্রীয় ব্যাপারকে এমন ভাবে দেখার সুযোগ নাই । বকলম ভাই একবার ভেবে দেখুন তো ভালো করে ।
আমার ভাবার যোগ্যতা নাই, আমি পাস কোর্সে বি কম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম কম। তাই আমার যোগ্যতা কম। আপনি বিদ্ব্যান, তাই মনীষির উক্তি বুঝিয়া লন।
আপনার তো দেখি সবই কম কম।তাইলে আবার একটা ল বেশী লাগায়ছেন ক্যান?
এইজন্য আপনার একটা এক্সট্রা কানমলা খাওয়া উচিত।
কানমলা দেয়ার বিল কি পাস হইয়া গিয়াছে?! মানু কি সব অধিকারের কথা কইতেছিল শুনলাম।
এই ব্যাপারে মাননীয় স্পিকার, থুক্কু মাননীয় ব্লগারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত
অসাধারণ । কান মলায় কি মানুষ মরে নাকি ? মন মরে গেলে বিষয়টা আলাদা ।
লেখকের সাথে সহমতের উপর একমত। যারা ছোটবেলায় কানমলা দিয়ে এসেছে তাদের বড় বেলায়ও কানমলা দেওয়া হউক।
যাক এতক্ষন পর একজন মারজুকের সাগরেদ পাওয়া গেলো।
এহ স্লিপ অফ টাঙ্গু হইয়া গাল, "লেখকের সাথে সহমতের উপর একমত। যারা ছোটবেলায় কানমলা দিয়ে এসেছে তাদের বড় বেলায়ও কানমলা দেওয়ার অধিকার দেওয়া হউক।
স্লিপ অফ ফিঙ্গার হবে ড: মানুগাছ। স্লিপ অফ ইয়ারলোব হতে দেয়া যাবে না
নুশেরা ইংরেজি ব্যবহার করো কেন? বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি। তাই বুঝতে পারতাছি না। বাংলা কইরা দাও
ফিঙ্গার মানে বুজ্জি... এখন লেখিকা এখানে আঙ্গুলে মাইনে হাতে স্লিপ তার মানে হইল কোন দলিল হাতে নিয়া দাড়াইয়া থাকার কথা কইছেন... কিন্তু ইয়ারলোম বলতে গিয়া মনে হয় টাইপিং মিসটেক কইরা ইয়ারলোব বলছেন... কিন্তু কানের লোমের দলিল কি বুঝাইলেন লেখিকা?!!!
এ্যাঁ!!... বন্ধু!! ... কিন্তু, মাইনে তো তাইলে আরো বিকট আকার ধারন করবো!!! :p
স্লিপ মানে কিন্তু পিছলা
:p :p
নাহি লাজ, ফেলি কাজ,
ধরিলা কথার ভাজেঁ ভাজঁ
এই কথা খুল্লাম খুল্লা কইলা সবার সনে!!!
ছিঃ ছিঃ বঙ্গনারী এই ছিলো তোমার মনে!!
আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি নাই, তবুও বুঝতাছি না!!!
ইস্কুলে থাকতে আমি কানমলা খাওয়া ছাত্র ছিলাম। মনে পড়ে সারা ইস্কুল জীবন কান মলা দেওয়া ছাত্রদের কত দৌড়ের উপর রাখছিলাম। মারজুক ভাইয়া সেই পুরানা স্মৃতি মনে করাইয়া দিল
এখনকার দৌড়ের জীবনে যে পুরানা স্মৃতি মনে করাইয়া দিলাম তা ভেবে ভালো লাগছে
জীবন মানেই দৌড়। এই যে আপনি দৌড়ে খানিক পিছাইয়া গেছেন জন্য কান্নাকাটি করতেছেন, বলতেছেন, "খেলবো না, সরকার কাইন্টামো করছে।" এইটা দেইখা একটু একটু খারাপ লাগতেছে। সরকার আসলেই একচোখা।
কান্নাকাটি নয় তবে আপনি প্রথম যিনি কিছুটা বুঝেছেন পোস্টটা । সবাই নিজের ক্ষূদ্রতা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তে চাইছে । আমি সামগ্রিক ভাবে লিখেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সবাই, ক্ষুদ্র তো হবেই।
তর্কবিতর্ক পড়লাম। সর্বনাশ, এই পোস্ট প্রিয়তে নেয়া ছাড়া উপায় নাই
কোনোদিন হয়তো আমার প্রিয় পোস্টের আর্কাইভ থেকেই দেশ ও জাতির উন্নয়নের চাবিকাঠি আবিষ্কার করবে কেউ
হা হা হা হা । ধন্যবাদ
সামুতে আপনার অ্যাকাউন্ট আছে? সেখানে এই পোস্টটা দিয়েন। সবাই একই মন্তব্য করবে। সেটা হবে-
অসম্ভব ভালো লিখেছেন। বহুদিন পরে একটা ভালো লেখা পড়লাম। অত্যান্ত প্রাসঙ্গিক ও সময়ঊপযোগী লেখা। একেবারে সমস্যার মূলে হাত দিয়েছেন। লেখকের বক্তবের সাথে পুরোপুরি একমত। লেখাটিকে স্টিকি করা হোক
মাঝখানে আরেকটা লাইন ভুলে গেছিলাম। স্টিকি করার দাবীর আগে হবে-
রবীন্দ্রোত্তর যুগে উত্তরাধুনিক ভাবধারায় এই লেখনী বাংলার ভাবাকাশে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে।
হাইসেন না বকলম
পাপিষ্ঠ মডু ফার্স্ট বয়ের পুস্টও ফার্স্ট পেইজে রাক্তেছে না। আপ্নে বুঝতার্তেছেন্না কী দুর্দিন আম্রার সামনে!
মডু দেখি একবারে শেষ দৃশ্যে এসে ''আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না'' বলে জ্ঞান দিলো।

ঢিলেঢালা ইউনিফর্ম আর গাদা বন্দুক থুক্কু নীতিমালা নিয়ে পুলিশের মতোই শেষে আইসা মডু ডাউলগ ছাড়ছে!!!
আমিও মনে করি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও সময়ঊপযোগী লেখা । আপনারা যতই ভাবেন যে আপনারা এটা সেটা বলে মজা নিবেন বিষয়টা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক
লেখকের সাথে সহমত পোষন করছি। বান্দায়া রাখার মতো পুস্ট।
ফা--রা কিছু বাঁধিয়ে রাখতে পারে !!!!!
ব্যাক্তি আক্রমণ করে কথা বলাটা কোন ইন্সটিটিউশনে শিখাইছে আপনাকে মহামান্য পোস্টদাতা ?
নরাধম ইন্সটিটিউট অব পারসনাল এ্যাটাক
এই পোস্ট ব্যাক্তি আক্রমণ এবং ক্যাচাল অভিপ্রায়ী হওয়ায় মডারেটর এর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এবিতে বিতর্কের সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আশা করি যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আচ্ছা আপনে এইবার আপনে কয়টা প্রশ্নের উত্তর দ্যান...
১. আপনে কয় কেলাসে ফার্স্ট হইছেন?
২. আপনের ক্লাসের সেকেন্ড বয়রা এখন কে কোনহানে আছে?
৩. একজন ফার্স্টবয়ের জীবনের উদ্দেশ্য আর লক্ষ্য ডাক্তার অথাবা ইঞ্জিনিয়ার হইতে পারনেই সীমাবদ্ধ থাকা দরকার,,,এই বিষয়ে আপনের মতামত কি?
৪. ফার্স্টবয় হইতে হইলে কি কি বই পড়তে হয়?
প্রিয় ব্লগার,
আপনি একাধিকবার নীতিমালা ভঙ্গ করেছেন। এ কারণে আপনাকে সতর্ক করে দেয়া হল। ভবিষ্যতে এ ধরণের মন্তব্য করলে নীতিমালা অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আর এই পোস্ট প্রথম পাতা থেকেও সরিয়ে দেয়া হল।
এই ব্লগে মনে হয় মডু'ই একমাত্র সিরিয়াস ব্লগার।

মন্তব্যে লাইক!!!
জনপ্রিয় এ পোস্টকে আবার প্রথম পাতায় ফিরিয়ে আনা হোক । একটা সিস্টেম নিয়ে আলাপ করতে গিয়ে সবাই ব্যক্তিগত আক্রমন করেছেন এমন কি বাজে কথা বলেছেন যেমনঃ
আসলে নিজেদের ঘাড়ে টেনে নেবার ফলে সবাই এমন ভাবে বলেছে।
বিনোদনে আসলে ব্লগই সেরা
আ্যলরম ভাইকে মনে পড়ে
জ্ঞানের ও কর্মের বহু ধারা ও দিক আছে। এক ধারায় পারদর্শী মানেই এই নয় যে অল রাউন্ডার। কাজেই যদি কেউ ভালো করে চামড়া ছাড়াতে পারে (!) এর মানে এই নয় যে সে হার্টের অপারেশনেও পারদর্শী।
এই সত্যটা যে উপলব্ধি করতে পারে না তাকে একাডেমিক শিক্ষিত বলা ছাড়া প্রকৃত শিক্ষিত বলার কোন উপায় নেই।
এই পোষ্ট ও মন্তব্যের ভাষা ও ভাবই প্রমান করে কেনো সবাইকে সব পদে দেয়া ঠিক নয়।
আপনাকে মনে হয় চিনছি। সালাম দুলাভাই। পোষ্টদাদতাকে ধন্যবাদ, দুলাভাইকে ব্লগে আনার জন্য।
দুলাভাইরে আগেই দেখছি। কিন্তু জায়গাটা জুইতের না দেখে সালাম দেই নাই।
দুলাভাই কী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন?
মাসম্ভাই-ই তো দুলাভাই ছিলেন মনে হয়, উনি কি আরেকজন দুলাভাই?
নরাধমের কানমলা ফরজ হয়ে গেছে।
আপনে দুলাভাইরে চিনেন না!!!!!!

হা ঈশ্বর!!! এ আমি কি শুনিলাম নারু ভাই'র কাছে!!!!

দরকার হইলে মারজুক সাহেবরে দিয়ে আমার কানটা জোরে মলে দেন, টেনে লম্বা করে দেন, তবুও এই দুলাভাইয়ের রহস্যটা সমাধান কইরা দেন!
নরাধম ভাই এতো ক্ষন মাইন্ড করে থাইকেন না । বাদ দ্যান ।
নারু ভাই, ইনি হলেন আমাদের মিষ্টার তানবীরা।
বকলমদা, কি কন এইসব আপনে আজাইরা
কানমলা খাওয়া ছাত্রদের কি আর জিজ্ঞাসা করতে হয় !!!!!!!!!
শওকত মাসুম, কানমলা খাওয়া ছাত্রদের কি আর জিজ্ঞাসা করতে হয় !!!!!!!!!
শালিকা দুলা ভাইকে ছিনবে না তাকি হয়???
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
শালিকা দুলা ভাইকে চিনবে না তাকি হয় !!!!!!!!
আপনাকে ধন্যবাদ - জয়িতা।
পোস্টদাতাকে অনেক ধন্যবাদ এরকম সময়োপযোগী একটা পোস্ট+কমেন্টস লেখার জন্য। আমি খুবই ক্লান্ত, বিধ্বস্ত, স্ট্রেসড আউট অবস্থায় একটু দম নেয়ার জন্য ব্লগে আসছিলাম, এইরকম বিনোদনের পরে পুরাপুরি চাঙ্গা হয়ে ফেরত যাচ্ছি। থ্যাংক ইউ!!

সুন্দর করে মন্তব্য করায় ধন্যবাদ । আসলে ভদ্র ভাবে সমালোচনা করা কি যায় না ! আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
এখানে মডুকে কে ডাকছে?তাকে কানমলা দেয়া হোক।ক-ত-দি-ন ব্লগে বিনোদন নাই। আপনি কুথাও যাইয়েন না। এরা দুষ্টু। এদরে কথায় কান দিয়েন না তো! আপনার যা বলার বলে যান। ফি আমানিল্লাহ।
বেদ্দপ পুলাপান কী বলে না বলে ঠিক নাই। এডিরে ধইরা কানমলা দিয়া দিয়েন @ মডুমামা
অফটপিক- ইয়ে মানে জয়িতা একটা গান পেক্টিস করো দেখি- মরা ব্লগে প্রাণ ফিরাছে পোস্ট সরাইয়ো না মডু পোস্ট সরাইয়ো না...
হৈছে কি! আমি যদি গান্টা শুরু করি তাইলে দেখা যাইবে যে, অনলাইন একজন , অতিথি ০। কোরাসে গাইলেই ভালো। যাদের ধরেন আমার মতো মিষ্ট সুর তারা মিনমিনায়া গাইবো, কেউ বুঝপে না। শুরু করেন।
মডু ভাইয়ারে এই পোষ্টে যে ডাকপে তার কমেন্ট ব্যান করার ব্যবস্থা নিতে হপে।
মডুর কাজ মডু করছে। আমাদের কাজ আমরা করি।
আসো আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পড়া সমিতি করি
ভাইএর লগে একমত। আহ্বায়ক কমিটি গঠন কৈরা সম্মেলন দিই।
পোস্টদাতারে বানানো হবে বিশেষ গেস্ট। সে আসবে এবং কানমলা'র দুই ধরনের ফলের ওপর বিস্তারিত, জ্ঞানগর্ভ ও কালজয়ী আলোকপাত করবে।
ডেভু কই? একটা কানমলার ইমো চাই
নামটা ' অতৃপ্ত মলিত সমিতি"
আর কি !! পোস্টটা প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে ফেলে কান মলা খাওয়াদের পক্ষ নেওয়া হয়েছে । ন্যায় বিচার আশা করেছিলাম কিন্তু ঐ এক পেশে আচারণ অনাকাক্ষিত ।
কানমলা খাওয়ারা আবার প্রতিশোধ নিল! তবুও আপনি কানমলা খাওয়াদের একটা উচিৎ শিক্ষা দিয়েছেন, সেটা কয়জনে পারে? ছোটবেলায়ই-ও কান মলতেন, এখানেও কান মলে দিলেন।
আপনি এমন ভাবছেন কেন ?
আমারে ডাইকা আনছে বড় ভাই একজনে। ভাবছিলাম কি না জানি মজাদার পোস্ট!! বিকাল থেকে না খাইয়া আছি। এখনও না খাইয়া পোস্ট পড়তে বইছিলাম। শেষে দেখি এইটা একটা জনগুরুত্বপূর্ণ পোস্ট!! ধূর, এই আধপেটা অবস্থায় এই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হজম হবে না!!!!
এইবার সিরিয়াস কথা কই। আমি পোস্ট পড়ে আসলে ধরতে পারি নাই, আপনি কি মজা কইরা কথা কইতে চাইছিলেন? নাকি সিরিয়াস কথা বলতে গিয়ে শব্দনির্বাচনে ভুল করছেন? পোস্টটা অনেক দরকারি হতে পারতো। কিন্তু হয় নাই। এমনকি রোবট ভাই আর নরাধম ভাই নিজেরা যে টোনে কথা বলছিলেন, সেখান থেকেও পোস্টটা অনেক ভালো আলোচনার দিকে চলে যেতে পারতো। যায় নাই। সেটা কার দোষে সেটা মূল বিবেচ্য না। আপনার খোঁচা দেবার প্রবণতা কিংবা অন্যদের দেয়া খোঁচা সহ্য করার অক্ষমতাও কারণ হতে পারে।
কিন্তু যায় নাই, এইটা ব্যাপার। ভালো থাকবেন, আর পরবর্তীতে ভালো পোস্ট পাবার প্রত্যাশায় রইলাম..
হ্যা , ভালো পোস্ট দিব তবে এ পোস্টটা কিন্তু খারাপ না । সবাই আসলে ভুল বুঝে আক্রমনের মতো ব্যাপার ঘটিয়ে ফেলেছে । আমিও দায়ী কম না ।
ভাই সব, মন খারাপ করবেন না। আপনি মনে হয় ব্লগিং এ নতুন, এ জন্য এরকম মনে হচ্ছে। আপনি লেখা দিন; ভালো লাগলে পাঠকই আপনাকে বাহাবা দেবে।
আমার ব্লগ নিয়ে যে ধারণাটা ছিল সেটা সত্য । যা হোক বাহবা বড় নয় প্রব্লেম টা বড়। যারা সামান্য ব্লগ পোস্ট পড়ে হামলে পড়ল তারা যে বাস্তবিক জীবনে অন্যকে সহ্য করবেনা এটাই স্বাভাবিক । আপনাকে ধন্যবাদ এমন সুন্দর ভাবে চমেন্ট করার জন্য ।
কমেন্ট পইড়াই হাসতে হাসতে শ্যাষ!
আমি জীবনে কোন দিন কোন পোষ্টের সবকটা মন্তব্য হয়তো পড়িনি আজ পর্যন্ত। এইটাই প্রথম পড়লাম।
তবে পড়েছি বলে লেখক আবার ভাববেন না সেটা আপনার ক্রেডিট্। যাই হকো, অনেক অপ্রিতিকর কথা হয়ে গেছে যদিও তারপরও এগুলি লাইক করেছি:
ধন্যবাদ । আসলে সমস্যায় না ঢুকলে সমস্যার সল্যুশন নিয়ে ভাবা যায় না। আমি জানি অনেকেই আমাকে অনেক আজে বাজে বলেছেন হয়তো আমিও ডিফেন্ড করতে গিয়ে তেমনি আক্রমন করেছি, সম্মিলিত আক্রমন থেকে শেখার অনেক আছে।
আমি ধরেই নিচ্ছি যতো পার্সোনাল আক্রমণ হয়েছে সেগুলি অনাকাঙখিত আর যদি সেটা বন্ধু মারজুকও মনে করেন যে অনাকাঙখিত, তবে প্রথম দোষটা আপনাকেই দেবো। কারন আপনার উপস্থাপিত বক্তব্যের ভিত্তিতেই কমেন্ট পড়েছে। এখন কমেন্টের ভাষা ও আক্রমণটা অনাকাঙখিত ভাবে ভিন্ন হয়ে গেছে যা আমরা বন্ধুর নীতিতে পড়েনা। কিন্তু দেখেন আপনি যা বলতে চেয়েছেন তা যদি প্রকাশ না পেয়ে থাকে তবে তো যুক্তি তর্ক কড়া হয়ে যেতেই পারে। তবে সত্যি কথা বলতে কি আপনার পোষ্ট পড়ে আমারও ভালো লাগেনি। কারন আমার কর্মজীবনের সাথে এই ধরনের ঘটনা জড়ীত। আমি খুলে বলি।
আমি software quality assurance and testing টিমে কাজ করি। তো প্রোগ্রামারদের ভেতর এক ধরনের অহংকার বোধ কাজ করে যে তারা অত্যন্ত মেধাবী বলে তারা প্রোগ্রামার আর কম মেধাবীরা প্রোগ্রামার না হতে পেরে tester হয় আথবা কম মেধাবীরা সরাসরি tester হিসাবে কাজ শুরু করে। কি সাংঘাতিক অহংকার, চিন্তা করেছেন! প্রোগ্রামারদের ভেতর এই অহংকারটা কাজ করে কারন হয়তো তারা কম্পিউটারের জন্য সোর্সকোড লেখে, ডাটাবেজ নিয়ে কাজ করে, অনেক ফাংশন আর মেথড্ লেখে, অনেক ক্রিটিকাল ফরমুলা লেখে এবং তাদের দ্বারাই software-এর দৃশ্যমান একটা রুপ পাওয়া যায়, ইত্যাদি। অথচ জানেনে, অধিকাংশ প্রোগ্রামাররা ভালো ইউজার ইন্টারফেস বোঝেনা, তারা back-end নিয়ে যতো বোঝে front-end নিয়ে অনেক দূর্বল থাকে। আর এই ফ্রন্ট এন্ডে quality assurance টিম বা tester অনেক ভূমিকা রাখে। শুধু তাই নয়, এতো অহংকার করা প্রোগ্রামারের বানানো software কে অনেক টেষ্টার মাত্র ৫ মিনিটেই ক্রাস্ করিয়ে দিতে পারে। আর একজন টেষ্টার বিভিন্ন পদ্ধতীতে software কে ক্রাস করিয়ে এর ত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে মূলত software টিকেই আরো মজবুত করছে তাই না? কিন্তু তারপরও আজো অনেক প্রোগ্রামার quality assurance and testing টিমের সদস্যদের কম মেধাবী মনে করে ও নিজেদের অধিক মেধাবী মনে করে। আমার ৯ বছরের অভিজ্ঞতার পর বিগত ২-৩ বছর ধরে টানা আমার টিম দিয়ে এমন ভাবে সার্ভিস দিয়েছি প্রোগ্রামারদের যে তারা এখন অনেক মোটিভেটেড্। quality assurance and testing যে কম মেধার কাজ নয় তা অনেকেই বুঝে এখন।
যাই হোক, আপনার তুলে ধরা বক্তব্যের সাথে আমি আমার কর্মজীবনের এই অভিজ্ঞতার সাথে মিল পেয়েছি বলে ভালো লেগেছিলো না। আমি মনে করি আপনি যেটাকে মূল সমস্যা বলে তুলে ধরতে চেয়েছেন সেটা হয়তো ফুটে ওঠেনি, আর তাই হয়তো we are not on same page টাইপের কিছু একটা হয়ে গেছে।
গতবছরের ঝড় তোলা পোষ্ট ছিলো গুনাহার নামা... সেটা অনেক মজার ছিলো, সবার মনে থাকবে...
এই বছরের শুরুতেই আবার একটা মনে রাখা পোষ্ট পেলাম আমরা... কিন্তু ...
অনেক পরে আসছি...এখন খেই হারায় ফেলছি
এই বছরের সেরা মিস।
বড় হলো একটা রাষ্ট্র তার সবচেয়ে মেধাবী আর চৌকস ছেলেদের রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদ দিতে পারলো না এবং সাথে সাথে তাদেরই সহপাঠি , অপেক্ষাকৃত কম মেধাবী কান মলা খাওয়াদের কর্তৃ্ত্ব প্রতিষ্ঠা করলো তাদের উপর।
ভাই ছোট্ট একটা উদাহরন দিলেই বুঝে যাবেন আপনি কোন রাজ্যে আছেন ,
২০০৮ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে বাংলাদেশে স্কুল আছে ১৮৭৫৬ টি
১ম ,২য়, এবং ৩য় = ৩ জন করেই ধরি যারা খুবই মেধাবী =৫৬২৬৮ জন কান মলার ছাত্র
এখন একটু কষ্ট করে যদি বলতেন ৫৬২৬৮ জন থেকে কত জন ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ার এ চান্স পাবে আর কত জন অন্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে চান্স পাবে ।
আর কম মেধাবী কান মলা খাওয়াদের হিসাব চাইলে কি হবে বুঝার চেষ্ঠা করেন :পি
হায় হায়! এই ঐতিহাসিক পুষ্ট মিস্কর্লাম ক্যাম্নে?
ভাই, আপনের সাথে সহমতের উপ্রে একমত।
এইভাবে চালায়া গেলে আপ্নে কালে নুরে আলম ভাইরেও ছাড়ায়া যাইতে পারবেন।
আপনের পিলিজ লাগে, ব্লগ ছাইড়েন না।
নূরে আলম ভাই কে ?
আহমেদ মারজুক ভাইয়ের বিষয়টা অসাধারণ । এতো সূক্ষভাবে ভেবে দেখিনি তবে উনি যদি ইউনিভার্সিটি পড়ুয়াদের সরাসরি কান মলার আওতায় না আনতেন তবে খুব ভালো হতো । প্রানবন্ত লেখা চালিয়ে যান আর একটু সংযমি হয়ে । ব্লগটা মাতিয়ে রাখবেন আপনাদের মতো লেখিয়েরাই ।
নুরে আলম ভাইকে চিনতে হলে ব্যাপক পড়াশুনা ও গবেষনার প্রয়োজন।লালনের গানের ভাষায় বলি
আপনি ধৈর্য ও অধ্যাবসায় ধারন করুন!চিনে ফেলবেন প্রয়োজনে তাকেও অতিক্রম করবেন!
কান জ্বলছে
পানি ঢালেন
আপনার মেটাফরিকাল পোস্ট পইড়া যা বুঝলাম তাতে আপনি বলতে চাইতেছেন ভর্তি সিলেকশনে 'ভালো' ছাত্ররা সবাই যায় মেডিকেল আর বুয়েট-এ। তারপর ঢাকা ইউনিভার্সিটি। সেইখানে সুযোগ না পাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এইটা নতুন চিন্তা না। ইউনিভার্সিটিতে থাকতে কিছু বুয়েটি পোলাপাইনের কাছেও একি কথা শুনছি। এবং এইটা যারা বলে তাদের কথায় যে গুরুত্ব দিতে হয়না সেইটও ঐ সময়েই বুঝতে পারছিলাম। কিন্তু আপনার পোস্টে যেইটা নতুন আর চমকপ্রদ সেইটা হইল আপনার দৃঢ় ধারনা যে ছোটবেলা কানমলা দেয়া লোকেরাই অর্থাৎ যারা কিনা স্কুলে রোল নাম্বার এক দুই তিনের মধ্যে থাকত, তারাই এইচ এস সি দিয়া আইসা বুয়েটে অথবা মেডিকেলে ঢুকে। কথা হইল, ধরেন ইংলিশ ক্লাসে পড়া না পারার কারনে যেই ছেলে কানমলা দিছিল মানে যেই ছেলে ইংলিশে ভাল, সে হয়ত পাস করে বের হবার পর ইংলিশ পড়তে চাইল। সেই ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আসলে কি হবে? মানে যেই ছেলে স্কুল কলেজে ভাল করবে তারে ভবিষ্যতে ডাক্তার অথবা ইঞ্জিনিয়ার হইতেই ক্যান হবে? এই গুরুভার আপনি ক্যান চাপাইতেছেন এদের উপর, যেইখানে এমনিতেই তাদের নোট মুখস্ত করতে করতে জীবন শেষ।
আর কানমলা দেয়াটা যে একটা গর্বের বিষয় হইতে পারে এইটা আপনের পোস্ট না পড়লে আমার অজানাই থাইকা যাইত। কানমলা দিতে পাইরা যেইসব ছেলেমেয়ে গর্বিত চিত্তে ঘুইরা বেড়ায় তাদের উঁচু কোন পোস্ট-এ না থাকাটাই কাম্য।
লাইক করলাম।
আমার এই ধরনের একটি প্রানবন্ত ব্লগে এসে খুব মজা লাগছে। আর মজার মজার গল্প আর তার কন্টকাময় লেজে গোবরে মন্তব্য পড়ে আরো হাসি পায়। যাক অনেক দিন পরে একটা মন খুলে আনন্দ পাবার ব্লগ পেয়েছি।
এই ব্লগটা পরে ভাবছি, আমিতো কানমলা খাওয়ার দলে ছিলাম তার মানে পিছনের বেঞ্চে বসে পড়া ছেলে, আবার প্রকৌশলীও হতে পেরেছি। এখন আমি বুঝতে পারছিনা আমার কি তাহলে সারা জীবনটাই কানমলা খেতে খেতে যাবে?
তবে এটা সত্য যে কানমলা খেলে প্রতিশোধ নেবার বড় ইচ্ছে করে, মনে হয় বেটাকে যদি বাগে পেতাম তাহলে ঘাড়ের উপর উঠে বসতাম এবং জীবনে তারই প্রতিচ্ছবি দেখতে পাচ্ছি।
স্বনামে আসুন, আত্মপ্রকাশ করুন, মজা পাবেন এই ব্লগে বিপুল পরিমানে ।
কানমলা খাওয়ার দলে থেকেও প্রকৌশলী হবার গল্প বলুন ।
কানমলা দেওয়া দলের যারা প্রকৌশলী বা ডাক্তার হতে পারেননি বা হন নি তাদের কাহিনীও জানতে ইচ্ছা করে ।
হায়, কেমনে মিস করলাম এই লেখা? এই বছরের সেরা মিস! আরেকটুর জন্য মিস করে গেছিলাম পোষ্ট।
অসম্ভব ভালো লিখেছেন। বহুদিন পরে একটা ভালো লেখা পড়লাম। অত্যান্ত প্রাসঙ্গিক ও সময়ঊপযোগী লেখা। একেবারে সমস্যার মূলে হাত দিয়েছেন। লেখকের বক্তবের সাথে পুরোপুরি একমত। লেখাটিকে স্টিকি করা হোক।
ব্লগে বিনোদনের জন্য একটা আর্কাইভ খোলা যায় কিনা ডেভুকে ভেবে দেখার অনুরোধ জানাই।
সবাই একটু বাঁকা করে মন্তব্য করলেও বিষয়টা এতো হালকা নয়। লেখার ধরণ হয়ত কিছুটা আক্রমনাত্বক তবে ব্যাপারটা সত্য । কিছুটা অন্য রকম লাগল নিচার কথা গু্লো----
ভ্রাতা কেমন আছেন? আপনি যা লিখেছেন ভাল ই। তবে ঐ অন্যদের অপমান না করলে কি চলতনা? যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে তারা কান মলাখোর আর ইনজি ডাকুরা কানমলা দাতা।বরং আমরা দেখি তারাই বড় হয় কিছু করে যারা বনধুকে কান না মলে বরং কান মলা খাওয়া থেকে বাচায়। একটা ছোট দেশ এত ডিভিশন না হলেই কি নয়?কান মলুক বা কান মলা খাক যে যার মত দেশকে কিছু দেক এটাই তো কামনা তাই না। আর আজ জীবনে প্রথম শুনলাম নরমাল(????) ইউনির ছাত্ররা ক্লাস টেস্ট, সেমিস্টার নিয়ে ভাবেনা -এটা শুধু ইনজি দের ব্যাপার।
ভাইয়া শুধু একটা কথা বলে ওমুক আজ ব্যারিস্টার তো কি হয়েছে ওর বাপ আমাদের চাকর ছিল বলে নিজেকে ছোট করার সময় শেষ-বরং সেই মানুষটাকে দেখে আমাদের একটা হাত তালি দেয়া উচিত যেন তার অবস্থান স্বপ্ন দেখায় আরো কিছু মানুষের মনে।
ও আচ্ছা ভাইয়া আপনাকে যারা পদার্থবিদ্যা, রসায়ন বা উচ্চতর গণিত পড়িয়ে বুঝিয়ে ইনজু বা ডাকু বানালেন তারা কিন্তু আপনার হিসাবে কান মলা খাওয়া লোক!!!!
ব্লগের "স্যাতস্যাতে ভাব" দুর করারা প্রয়াস টা বড় বেশি দুঃখ দিল।
মন্তব্য করুন