আরাফাত শান্ত'এর ব্লগ
আহমাদ মোস্তফা কামালের জন্মদিনে!
আজ আমার প্রিয় লেখক আহমাদ মোস্তফা কামালের জন্মদিন। ব্যাপারটা আমার জন্য আনন্দের যে তার জন্মদিন নিয়ে আমি লিখি প্রায়শই। আমাকে আনন্দ দেয়। অনিক ভাই নামে আমার এক ভাই আছে। তিনি থিয়েটার কর্মী ও লিটল ম্যাগ সংগঠক। প্রচুর বড় বড় সাহিত্যিকদের সাথে তার উঠা বসা। প্রচুর মানুষকে তিনি চিনেনও। আমি গল্প করতে গিয়ে দেখি সাহিত্যের মানুষদের ভেতরে আহমাদ মোস্তফা কামাল ছাড়া কারো সাথেই আমার নিবিড়ভাবে চেনাজানা নাই। তাই তার গল্পই করতে হয়। ভাগ্যিস অনিক ভাই কামাল ভাইকে চিনে কম। এতটুকুই ভরসা।
হারিয়ে যেও না- কবীর সুমন!
হারিয়ে যেও না হারিয়ে যেও না স্বপ্নে ঝিকিমিক দূরের তারা
এখনও ডাক দেয় অনাগত দিন যদিও এই রাত দিশেহারা
এখনও জীবনের কোথাও না কোথাও বিরল ভরসার সাহসী সুরভি
এখনও রোদ্দুর সহসা জ্বেলে দেয় বিদ্রোহের রঙে রক্তকরবী
হারিয়ে যেও না হারিয়ে যেও না রক্তকিংশুক দিনের আশা
এখনও লালে লাল ভোরের আকাশে পাঠায় সুখবর ভালোবাসা
এখনও কিছু হাত হতাশা রুখছে বাতাসে কাঁপছে প্রাণের স্লোগান
এখনও কিছু মুখ মুখর কণ্ঠ সজীব রাখছে আগামীর গান
হারিয়ে যেও না ফুরিয়ে যেও না আমার আগামী গানের ভাষা
এখনও শরীরের পরতে পরতে উতরোল উতরোল জীবন পিপাসা।
সুর কথা ও কন্ঠঃ কবীর সুমন
https://youtu.be/8IyEEaTsuGQ
কবীর সুমন এই গান নিয়ে বলেছেন, "১৯৮৫ সালে বেঁধেছিলাম এই গানটি। ৩১ বছর কেটে গেল। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছিলেন - 'তেত্রিশ বছর কেটে গেল, কেউ কথা রাখেনি।' - কিন্তু না, কালের কলম লিখছে - কেউ কেউ কথা রাখছে।...
সুমনামির ভেতরে!
ফেসবুকে না থাকার সুবিধে অসুবিধা হলো ভাইরাল জিনিস নিয়ে জানা বোঝা যায় একটু পরে। যেমন আজ দুপুরে সোহানকে ফোন দিয়ে জানলাম বেগুন নিয়ে আগুন মাখা ইস্যু হয়ে গেছে। পরে রাতে জেমসের মুখে শুনলাম ঘটনা। ব্যাপারটা বিস্ময়কর ও হাস্যকর দুটোই লাগলো। এমনিতেই বারেকে বসলে আমি দেশের রাজনীতি নিয়ে হালচাল জানতে পারি। বিএনপি ফ্যান সবাই বারেক সাহেবকে ঘিরে ধরে, বারেক সাহেব রাহুল দ্রাবিড়ের মত ব্যাটিং করেন আওয়ামীলীগ নিয়ে। সেখানে দল করতে গিয়ে অনেক কথাই ভুল ঠিকের বাইরে গায়ের জোরের। তবে আমি ভাবি সাধারণ মানুষের এই তেল, কোনো দলই তাদের দু চার আনা উপকার করে নাই তাও কি কঠিন ভক্তি দলের প্রতি। আমরা লীগ বিএনপি না করলেও আমাদেরও আছে নানান এজেন্ডা। এই যে যেমন সুমন বাংলাদেশে গান গাইলো, তাই নিয়ে আমরা দুই পক্ষ হয়ে গেলাম ফেসবুকে। কেউ কেউ সুমনের বাংলা গানের জীবন্ত ইতিহাস কিংবা ব্লগার হত্যার সময় সুমন কি বলেছিল এসব নিয়ে। আমি এখানেও মধ্যপন্
সোনাঝুরি বনের একাকী!
উন্নয়নশীল দেশে থাকার সুবিধা অনেক। প্রচুর পাইরেসি চালানো যায়। তাতে অবশ্য মোবাইলের বারোটা বাজতে পারে কিন্তু কাজ হয় দারুণ। যেমন আমি খেলা দেখি স্পটজফাই নামের এক এপিকে ফাইলে। তাতে তিন বল পরে আসলেও খেলা দেখা যায়। বইয়ের জন্য আছে ফ্রি ইবুক ডাউনলোডার। ইউটিউবে গান মিনিমাইজ করে শোনার জন্য আছে, একটা এপ। তাতে আপনি স্পটিফাইয়ের মতন ইউটিউবে গান শুনতে পারবেন। এগুলো কোনোটাই গুগলের প্লেস্টোরে নাই। ব্রাউজারে সার্চ দিলে আসে। ফাইল গুলো আমার আগাম সতর্কতা জানায়, যে তুমি যে ফাইল নামাচ্ছো, তাতে ক্ষতি হতে পারে। তখন অপশন আসে, ডাউনলোড এনিওয়ে। জীবনটা আমাদের হয়তো তেমনই, এনিওয়ে কিংবা হোয়াটেভার করে করেই পার হচ্ছে। যাক এপিকে ফাইল নামানো এপে সেটের খুব একটা ক্ষতি হয় নাই। আর মন না চাইলেই আমি ডিলেট করে দিই। গেম টেম খেলি না, মোবাইলে ভারী কিছু দেখিও কম। এই টুকটাক ইউটিউব ভিডিও দেখা আর গান শোনা ও পড়াশোনাই মোবাইলে কাজ।
ফাক অল দোজ পারফেক্ট পিপল!
শিরোনামের কথাটা আমার না। চিপ টেইলরের একটা গানের লাইন। আমার ভীষণ প্রিয়। সকল ব্যর্থদিন, গ্লানির দিন, হতাশার দিন, সুইসাইডাল ভাবনার দিন গানটা মনে পড়ে। আসলেই এই প্ল্যানেটে দরকার ছিল না এদের। তাও তারা আছে। উপকার করছে না বিশেষ। তবুও আছে। গানটা শুনতে শুনতে মনে পড়ে কয়েকটা লাইন। ইন্টারনেটেই দেখেছিলাম।
The loneliest people are the kindest,
the saddest people smile the brightest,
and the most damaged people are the wisest.
All because they don't wish to see others suffer like they do!
চিপ টেইলের বাবার দেয়া নাম ছিল ভিন্ন। এটা তার শিল্পী জীবনের নাম। আশি বছরের উপরে তার জীবনে তিনি সবসময় ইন্ডিপ্যান্ডেন্ট বিভিন্ন লেভেলে নিজের কান্ট্রি ও ফোক রক গান শুনিয়ে যাচ্ছেন। তার একটা রেকর্ড কোম্পানীর নাম, বুদ্দাহ রেকর্ডস। আরো অনেক গল্পই তাঁকে নিয়ে করা যায়। সেটা আজ থাক।
হ্যাপি বার্থডে, প্রিয় আমরা বন্ধু!
শুভ জন্মদিন আমরা বন্ধু। এখন সেই ব্লগের পাতার পর পাতা যখন আমার প্রিয় ব্লগারদের লেখা দেখি না, নিজেও লিখি না তেমন, ভারী অবাক লাগে। নিজের কাছে অচেনা লাগে সব কিছু। অথচ আমরা বন্ধু ব্লগ মানেই একটা সময় প্রথম পাতায় আমার লেখাই থাকতো চারটা পাঁচটা। প্রতি পাতায় পাতায় আমার লেখা। এরপর এখন আমি শুধুই পড়তে যাই। হারিয়ে যাওয়া রাসেল ভাইয়ের পুরোনো লেখা পড়তে যাই, মীর কি লিখলো একটু ঢু মারি, আহসান হাবীবের এত কবিতা কই থেকে আসে তা ভাবি, তানবীরা আপুর কোনো পোষ্টের কথা মনে পড়লে দেখি, জেবীন আপু, জ্যোতি আপু, বিমা ভাইয়ের পোষ্ট ও কমেন্ট দেখি, প্রিয় ও বিষন্ন বাউন্ডুলের কথা মনে করি, গৌতম দার আক্ষেপ দেখি, শুভ ভাইয়ের কবিতায় চোখ রাখি, কামাল ভাইয়ের পুরোনো লেখা পড়ি। আমরা বন্ধুর কাছে আমার অনেক ঋণ। এখনো যে ব্লগটা যে বেচে আছে, এটাও এক ধরনের স্বার্থকতা। আমরা বন্ধু আমাকে দিয়েছে অবারিত স্বাধীনতা, মন যা চায় লিখো। সেখানের সবাই যে ভূয়সী প
এমনও তো প্রেম হয়!
খুব সকালে সিএনজি পাওয়াই যায়। তবে সেটা আপনার মন মতো হবে কিনা বলা মুশকিল। তবে আরেকটু পর সেটা পাওয়ার সম্ভাবনা আরও কম। মানিক খুঁজছে সিএনজি, তার চোখে রাজ্যের ঘুম। ঘুম চোখে থাকলেও সে পরিপাটি। মাথায় মুখে পানি দেয়া রং জ্বলে যাওয়া টিআইবির টি-শার্ট এর সাথে সাথে একটা নতুন ট্রাউজার। অপরিপক্ক ড্রাইভার তাকেই 'স্যার' ডেকে বসতে পারে। কিন্তু যাদের জীবন স্যার ডেকে ডেকে চলে যায় তাদের স্যার শুনতে খারাপ লাগে না। কিন্তু পরিপক্ক চালকরা বুঝে যায়। এই বোঝা না বোঝার ভেতরেই, মানিক ভোরের সকালকে মাথায় রেখে মৃদুস্বরে বলে, মামা যাবেন মিরপুর ১৩? বিআরটিএর সাথে? সিএনজি চালক দাত খোঁচাচ্ছিল। সকাল সকাল এদের দাতে কোন হীরে-জহরত লুকিয়ে থাকে, তাই ভাবে মানিক। সেই গুপ্তধনের সন্ধানে থাকা চালক চায় সাড়ে তিনশো। সে জানায় আড়াইশো। রাজী হয় না।
স্ট্রিংস!
৩৩ বছর ধরে চলার পর একটা ব্যান্ড ভেঙ্গে গেলে আমার মনে হয় আরও আগে ভাঙ্গা উচিত ছিল। তাও তেত্রিশ বছর কাটলো কেউ কথা না রাখলেও, টুপ করে স্ট্রিংস ব্যান্ডটা ভেঙ্গে গেল। খবরটা আমি পড়েছিলাম আনন্দবাজারে। ফেইক নিউজ মনে করে ভালোই ছিলাম। কি মনে করে কয়েকদিন পর স্ট্রিংসের গান শুনছিলাম। দেখি কমেন্টে সবার আহাজারি। তখন মনে হলো ব্যাপারটা সত্যি। সবাই কমেন্টে আবেগপ্রবণ হয়ে গেছে দেখে আমি ইচ্ছে করেই কমেন্ট করলাম। স্ট্রিংস একটা ওভাররেটেড ব্যান্ড, আগেই ভাঙ্গা উচিত ছিল। মানুষ আমি আমার কেন রাইসুর মতো মন। দেখি পাকিস্তানী নওজোয়ানরা আমাকে ধুমায়া গালি দিচ্ছে। কমেন্টটা মুছলাম। লোকজনকে বোঝানো গেল না, অনলাইনে কমেন্ট একটা মুহূর্তের সিদ্ধান্ত। আসলে তো আমি কি পরিমান হতাশ সেটা তো আর বোঝানো যাবে না। আমরা ধরেন বিভিন্ন অনলাইন কমেন্ট স্ট্যাটাস পড়ে ভাবি লোকটা ওমন। সে ওমনটা নাও হতে পারে। হয়তো গড সিন্ড্রোমে ভুগছে, মজা নেয়া ও প্রতিক্রি
জি বাংলা ব্লুজ!
এই নামে ডার্কলিং এর ব্যানারে একটা বাংলাদেশের গান আছে। অনেকদিন ধরেই আমার ভীষণ প্রিয়। কখনো সময় পেলে শুনবেন। ইনডি কাজ, পৌছায় নাই সব জায়গায়। তো গানটার লিরিক কি?
ফুটন্ত কেটলির গানে কেটে গেছে বাকী সুর
ছোটবেলার আবছা স্বপ্নগুলো এলোমেলো বহুদূর।
কি চেয়েছিলে মাগো
কি হতে পারোনি
সাত সমুদ্দুর তেরো নদী দেয় কি হাতছানি?
কেউ কি জানে তুমি কত অভিমানী?
এক শাড়ীর আঁচলে ভালোবাসা পৌষ অগ্রহানী।
আমি জানি আমি জানি
তোমার চোখের পানি আমি জানি
টিভির শব্দে কান্নার আওয়াজ লুকিয়ে যায়
তেলেভাজা গন্ধে কমদামী সাবান ধুয়ে মিশে যায়।
শেকল পাখির গান!
আমি কোনোকিছুতেই প্রথম হয় নি।কিছু কিছু ব্যাপারে চাইলেই প্রথম হওয়া যায় তাতেও প্রথম হইনি। যেমন ধরুন এক্সাম হলে আপনি চাইলেই এক্সট্রা শীট নিতে পারবেন সবার আগে, খাইষ্টা টিচার ছাড়া কেউ জিগ্যেস করবে না, এত পেইজ এত অল্প সময়ে শেষ করলি কিভাবে? কিন্তু আমি অবাক হয়ে যেতাম, আমি কেবল শেষ করলাম একটা প্রশ্নের উত্তর, আর ওর পুরো খাতা শেষ। তাজ্জব ব্যাপার। তখন কেউ কেউ সান্তনা দিতে দিতে বলতো, ফাঁকা ফাঁকা করে লিখছে, যে গ্যাপ তার ভেতরেও একটা প্রশ্নের উত্তর লেখা যাবে। যারা সত্যিকারের ভালো ছাত্র, তাঁরা হাসতো, এসব পাগলকে পাত্তা দেয়ার কি। আমি আরো কিছুটা সময় ভেবে এই সিদ্ধান্তে আসতাম, যাক কিছুতে তো সে প্রথম হলো।
লীনা আপুর জন্মদিন ও নস্টালজিয়া!
নিউজফিডে অদ্ভুত সব জিনিস ভেসে উঠে। যেমন একটু আগে শুনলাম মানস চৌধুরীর কন্ঠে রাইসুর জনপ্রিয় কবিতা, বড়লোকদের সাথে আমি মিশতে চাই। আমার ভালো লাগে না রাইসুর কবিতা। যে মানস চৌধুরীরা বিশ্বাস করে জ্ঞান অর্জন সহজ কোনো প্রক্রিয়া না, তারাই ব্রাত্য রাইসুর কবিতায় মজে। পাঠ করে শোনায়। যে রাইসু বাতিঘরকে ভারতীয় সম্প্রসারণবাদীদের এক কেন্দ্র ভাবে, সেখানেই তার কবিতা পাঠ হয়। এ পৃথিবী এমনই। আমি যেমন সকাল থেকে পড়ছিলাম লীনা দিলরুবার কবিতা। তিনি ফেসবুকে নাই, ফোনে যোগাযোগও নাই, তার এসব ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লেখাগুলোই আছে। আগে তো তাও ফেসবুকে থাকতেন, আমার লেখাজোকা নিয়ে মন্তব্য করতেন, উনার লেখা ও চিন্তাভাবনা এবং পড়াশোনা নিয়ে জানতাম। এখন তিনি ফেসবুকে নেই। টেক্সটের রিপ্লাই নাই, এসব শুন্যতা নিয়েই বেঁচে থাকা।
আজ সোমবার৷ বিডিনিউজে গত বছর প্রকাশ পাওয়া লীনা দিলরুবার একটা কবিতার নামও, 'সোম'। কবিতাটা অন্যরকম।
সোম
ঘুম ভাঙ্গা সকালে!
শীতের রাত, ফ্যান চলে না। ঘুমিয়ে গেছি আড়াইটায়, এক মুরুব্বি কন্ঠে অতিরিক্ত ভলিউমের ফজরের আজানে ঘুম ভাঙ্গে, একতলায় বাসা, কুকুরের শব্দেও বিরক্ত লাগা শুরু হয়। লাইট জ্বালিয়ে ঘুমাই, দু চারটে মশাও গুনগুনিয়ে উঠে। ঘুম ভেঙ্গে মুখ তিতে হয়ে আসে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করি আবার হয়তো ঘুম আসবে। মোবাইলে ফেসবুক গুতাই। ওতো ভোরে কিছুই নাই। অনেকের পুরাতন পোস্ট ফিডে আসে, তিন চারদিন আগের। নিজের প্রোফাইলে বারো তেরো পনেরো লাইক পাওয়া পোষ্ট গুলোও দেখি। আমার বান্ধবী বলেছিল সে যখন ছিল মোটামুটি সেলিব্রিটি তখন নিজের লাইক দেখে অবাক হতো। রাতে ঘুমাতো না, সারাদিন এসব লেখালেখি একটিভিজম নিয়ে থাকা, নিজের লেখায় নিজেই মুগ্ধ হওয়া। লোকজনের প্রশংসা ও সমালোচনা দুটোকেই খুব সিরিয়াসলি নিত। লোকজনও আপু আপু বলে বিগলিত করতো তার হৃদয়। তারপর সে এসব ছেড়ে ছুঁড়ে ওই আইডি ডিএক্টিভেট করে বসে আছে অনেকদিন। সেজন্যই সে আমার এত ভালো বন্ধু।
নদীর জীবন থেকে নদী যায় সরে!
অরূপ রাহীর কয়েকটা গানের কথাকে ভীষণ সত্য মনে হয়। দেখো নদীর কলতানে/ কিসের সন্ধানে/ নদীর জীবন থেকে নদী যায় সরে। আমি গানের ভেতরে নিজের কথা ঢুকিয়ে বানাই, মানুষের জীবন থেকে মানুষ যায় সরে। আমাদের জীবন তো এমনি, ক্রমশ সরে যাচ্ছি। আর এই সরে যাওয়ার নাম দিয়েছি, পজেটিভিটি। যতভাবে ধ্বংস হোক হবো, কিন্তু আমাকে থাকতে হবে পজেটিভ। ওতো ত্যাল আমার নাই। এত নবযৌবনের অগ্রদূতরা কি হয়েছে তা আমার দেখা আছে। নিজেকে আমি মৈনাক ভৌমিকের একটা সিরিজে উজান চ্যাটার্জির বলা খিস্তি, বোকাচোদার বাটখারা ছাড়া আর কিছু ভাবি না। কিন্তু এ শহরের আচারনিষ্ঠ ভদ্রলোক ভদ্রমহিলারা নিজেদের কত কিছু ভাবে। তারাও তো একেকটা বোকাচোদার বাটখারার বাইরে কিছু না তাই শুধু ভাবে না।
রশীদ করীমের জন্মদিনে!
আজ রশীদ করীমের ৯৬ তম জন্মদিবস। অকালে তিনি প্রয়াত হননি। দীর্ঘ দিন তিনি অসুস্থ ছিলেন, দীর্ঘ জীবন পেয়েছেন। কথাবার্তা বলতেন না। চুপচাপ শুয়ে বসে লং প্লেয়ারে গান শুনতেন, সহধর্মিণী বই ও পেপার পড়ে শোনাতেন। উপন্যাসিক হিসেবে তিনি সফল কিনা জানি না, তবে তাঁর উপন্যাস সব বহুলপঠিত। যাদের বাসায় ব্যক্তিগত সংগ্রহে বই আছে, রশীদ করিমের 'উত্তম পুরুষ', 'প্রষন্ন পাষান' অথবা 'আমার যত গ্লানি' পাওয়া যাবেই। তার উপন্যাসের মতই তিনি আধুনিক ও স্মার্ট কালচার্ড এক মানুষ। মধ্যবিত্ত উর্দুভাষী এক মুসলিম পরিবারে জন্ম নিয়েও তিনি ক্রিকেট সমানে দেখতেন, কলকাতার ফুটবল দেখতেন, সারাদিন ইংরেজী সিনেমা হলে গিয়ে দেখতেন, প্রেম করতেন, ভালো রেস্টুরেন্টে খেতেন, বড়দের কাছ থেকে চেয়ে চেয়ে টাকা নিতেন। অনেক বন্ধুর মা তাকে স্নেহ করতেন, শহীদ আসাদের মা তার এইসবের অন্যতম স্পন্সর। দেশভাগের আগে যে নতুন মুসলিম মধ্যবিত্ত গড়ে উঠছে, উর্দুর আভিজাত্যকে বাসা
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ আহমাদ মোস্তফা কামালের, 'যে পথে হেঁটে এসেছি'!
আমরা যারা বই পড়ি, সব বই কি আর আমাদের ভালো লাগে। কিছু নন-ফিকশন তো মানুষের মুখে শোনার পর পড়তে হয়, কিছু বই ভালো হতে পারে ভেবে পড়া হয়, কিছু বই আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়ে পড়ি যে এটা আমি শেষ করবোই। আর অল্প কিছু বই মন ছুঁয়ে যায়। মনে হয় বইটার আরো দু তিন ফর্মা বেশি থাকলেও চলতো। আহমাদ মোস্তফা কামালের, 'যে পথে হেঁটে এসেছি' সে ধরনের একটা বই। প্রথমেই বলে রাখি আমার মতামত সাব্জেক্টিভ। আহমাদ মোস্তফা কামালের লেখা আমি নিয়মিত পড়ি দেড় দশক ধরে। তিনি সবসময়ই আমাকে মুগ্ধ করেন। এবারেও ভিন্নতা নেই।