আহমাদ মোস্তফা কামালের জন্মদিনে!
আজ আমার প্রিয় লেখক আহমাদ মোস্তফা কামালের জন্মদিন। ব্যাপারটা আমার জন্য আনন্দের যে তার জন্মদিন নিয়ে আমি লিখি প্রায়শই। আমাকে আনন্দ দেয়। অনিক ভাই নামে আমার এক ভাই আছে। তিনি থিয়েটার কর্মী ও লিটল ম্যাগ সংগঠক। প্রচুর বড় বড় সাহিত্যিকদের সাথে তার উঠা বসা। প্রচুর মানুষকে তিনি চিনেনও। আমি গল্প করতে গিয়ে দেখি সাহিত্যের মানুষদের ভেতরে আহমাদ মোস্তফা কামাল ছাড়া কারো সাথেই আমার নিবিড়ভাবে চেনাজানা নাই। তাই তার গল্পই করতে হয়। ভাগ্যিস অনিক ভাই কামাল ভাইকে চিনে কম। এতটুকুই ভরসা।
আহমাদ মোস্তফা কামালের একটা লেখা পড়ছিলাম রাতে ফিরে। তিনি হাসান আজিজুল হকের গল্প নিয়ে লিখেছেন একটা সংখ্যায়। এই ম্যাগাজিনটা কেনার প্রধাণ কারণ কামাল ভাইয়ের লেখা। এবং তার দেয়া উপাধি দিয়েই প্রচ্ছদে আছে, বাংলা ছোটগল্পের বরপুত্র। পড়ার ভেতরে আমি তার লেখাটাই পড়েছি। এত সুন্দর ধরে ধরে লিখেছেন হাসান আজিজুল হকের গল্প নিয়ে। আমিও এমন করে লিখবো কামাল ভাইয়ের গল্প নিয়ে। আহমাদ মোস্তফা কামালের গল্প ও উপন্যাস আমাকে মুগ্ধ করে যাচ্ছে দেড় দশক ধরে। কত কত লেখা তার। আমি বারবার পড়ি ও ইচ্ছে করেই হাতছাড়া করি যেন আবার কেনা হয়। জীবনে বেঁচে থাকার একটা সাহিত্যিক কারণ হলো, কামাল ভাইয়ের মত কবে লিখবো এই আকাঙ্খায়। ছোট ছোট লাইনে কি দারুণ ব্যাপ্তি উনার গদ্যে। ভাষাটা পড়লে মনে হয় যেন কামাল ভাইকেই দেখছি। গৌতম মিত্র সেদিন বলছিলো, লেখক মূলত কানেক্ট করতে চায় বেদনা। আমি কামাল ভাইয়ের লেখা পড়লে সেই বেদনা সেই হাহাকার সেই সংবেদনশীলতা টুকু টের পাই।
আমি অনেককে নিয়ে লিখি এই গুণটা আমি পেয়েছি তার ও লীনাপুর থেকেই। কামাল ভাই যেকোনো সাহিত্যিককে নিয়ে এত ভালো লিখতে পারেন। যদি প্রবন্ধ সাহিত্য ও মুক্ত গদ্য নিয়েও থাকতেন। তাহলেও লোকে তাকে মনে রাখতোই। সংশয়ীদের ইশ্বর আর ছোট গল্পের উত্তরাধিকার আমার এখনো প্রিয় দুটো বই। মাহমুদুল হক, রাহাত খান, সৈয়দ হক কিংবা শহীদুল জহিরকে নিয়ে তার লেখাগুলো এত সুন্দর। কামাল ভাই আড্ডাতেও কোনো বই নিয়ে কথা বললেও মনে হয় এটাইতো পড়তে হবে আগে। ব্যাক্তিগত ভাবেও উনি ফেক মানুষ না। আমাদের মতো তুচ্ছ মানুষ থেকে শুরু করে কেউকেটা লেখক টেখক সবাইকে উনি ভেতর থেকেই ভালোবাসেন। লোকদেখানো ব্যাপারে তার আগ্রহ বরাবরই কম। আমিও কামাল ভাইকে খুব ভালোবাসি। তার এই সাহিত্যিক জার্নিটাও পাঠক হিসাবে উপভোগ করি। কামাল ভাই আরো দারুণ সব বই লিখুক আর আমাকে এমন স্নেহ করুক এই কামনাই জন্মদিনে।
মন্তব্য করুন