আরাফাত শান্ত'এর ব্লগ
ফড়িংয়ের ডানাতেও এই জীবন দেয় ডাক!
শিরোনামটা কবীর সুমনের গান থেকে ধার করা। আমার মাথায় এতো কাব্য কিংবা উপমা আসে না কখনো তাই এ ধার ও ধার করেই চলি! আর এখন যে অস্থিরতার ভেতরে আছি তাতে কাব্য আসার কোনো সম্ভাবনাই তাই। তাও এই পোষ্টটা লিখছি স্রেফ মন মেজাজ হালকা করার জন্য সাথে হালকা থাকার জন্যে। কাল মামা সেই মাঝ রাতে বাসায় ফিরলো। আমি কামাল ভাইয়ের বই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়লাম। ভাগ্যিস দরজা খোলার গেঞ্জামে পড়তে হয় নাই। নয়তো সাড়ে তিনটায় উঠে নীচের তালা যেয়ে চাবি নিয়ে দেনদরবার করতে হতো। আমাদের বাসাটা এদিক দিয়ে অসাধারন। রাত যতই বাজুক গেট নিয়ে টেনশন নাই। তারপর বাসাটা ছাদের উপরে। মানুষ যে ধরনের বাসায় থাকার স্বপ্ন থাকে আমার বাসাটা ঠিক তেমনি। সব দিক থেকেই দারুন। খালি ডিশের লাইন নিয়ে একটা গেঞ্জাম তাই চার মাস ধরে টিভি দেখতে পারি না আর বাসা থেকে টাকা নিয়ে চলতে হয় ইহাই বড় সংকট। তা না ছাড়া স্বর্গে আছি। বাবা মা কে খুব মিস করি কিন্তু কি আর করা সেই মিস সবাই করে। বাবা মায়ের সাথে থেকেও তা করে এই যা।
মন খারাপের ভিতর বাহির!
ইতিমধ্যেই রাজীবের নির্মম জবাই পরবর্তি শোক আমরা কাটিয়ে উঠছি। বরং সে নাস্তিক নাকি আস্তিক? তার জানাযা পড়া উচিত নাকি অনুচিত? শেষ মেষ কেনো একজন নাস্তিক কেনো পলিটিক্যাল জানাযাতেই আশ্রয় নিতে হলো এর মানে কি? সে যে সমস্ত পোস্ট লিখছে সেগুলো তার লেখা নাকি? আর লেখা পড়েই কেউ তাকে মেরেছে নাকি? জামাত শিবিরের উপর দোষ চাপিয়ে অন্য কেউ করলো নাকি কাজটা? হাবিজাবি নানান প্রশ্নে ফেসবুক ব্লগে খাবি খাচ্ছে জনতা। আমি খালি একখান কথাই বলবো ফেসবুক ছাড়া যারা দিন কাটায় তারাই আছে সুখে। নয়তো বাংলাদেশে ফেসবুক এমন এক পরিস্থিতিতে যাচ্ছে যে অসুস্থ লোকেরাই শুধু যাবে। একাউন্ট ডিএক্টিভেট করলে ভালো হতো কিন্তু তা আর করছি কই? ঘুরে ফিরে এই ফেসবুক। আর সেইখানে বসে বসে আজাইরা মানুষের বস্তাপচা প্রশ্ন আর দোহাই দেখতে আর ভালো লাগে না!
নিস্ফলা শ্রেষ্ঠ সময় অংশ সাত!
পোষ্ট তো কেউ পড়ে না তাই কমেন্টও হয় কম। এরকম পরিস্থিতিতে পোস্ট কম দেয়াই ভালো। তাও অতো ভেবে লাভ কি? আরেকটা পোস্ট শুরু করি। জানালা খুলে বের হয়ে ছিলাম বাসা থেকে তাই এসে দেখি বাসা ভর্তি মশা। এখন পাব্লিক ডিমান্ডে আমার মশার কামড় খেতে খেতে লিখতে হবে, কি একটা বিপদ! কত কষ্ট করে একেকটা পোস্ট লিখি তা তো পাব্লিক বুঝে না তাই কমেন্টও করে না এই মরা ব্লগে। এই ছিলো আমার কপালে!
নিস্ফলা শ্রেষ্ঠ সময় অংশ ছয়!
আমি ইদানিং খুব ভালো প্রাক্টিক্যাল মিথ্যে কথা বলতে পারি। আগেও পারতাম। কিন্তু এখন তা পারফেক্টশনিস্টের পর্যায়ে চলে গেছি। আব্বু আম্মুর সাথে প্রতিদিন দেখা যায় ডজন খানেক আংশিক মিথ্যা বা পুরোটাই মিথ্যাতে বলে চলে যায়। এই তো গত পরশু দিন আব্বু ফোন দিলো'শাহবাগে যাস? আমি বললাম না ভার্সিটিতে ব্যাস্ত তাই যাই না আর কি। আব্বু বলে ওইদিকে অনেক গেঞ্জাম, সারাদিন তো পাঞ্জাবী পড়োস, তোকে শিবির মনে করে যদি ধোলাই দেয়, সাবধানে থাকিস' আমি বলি ' না আব্বু আমি গেঞ্জামে যাই না তবে ইন্টারনেট থেকে সংহতি জানাই। আব্বু বলে তাই ভালো। ভাইয়া বলে আন্দোলোনে যাস? আমি বলি আমাদের আন্দোলন আমরা যাবো না কেন? প্রতিদিন যাই। ভাইয়া বলে সাবাশ। ডাবল স্ট্যান্ডার্ড আর কাকে বলে? আমি নিজেও এই ডাবল স্ট্যান্ডার্ডে আটকানো। এমন অনেক কথা বলি যা মাঝে মধ্যে নিজেই খুব একটা বিশ্বাস করি না। তাও বলি বাবা মা বন্ধুদের খুশী করতে। যাপিত জীবনে সবাইকে সাথে নিয়ে চলতে হলে মিথ্যে বলার বিকল্প নাই। তবে আমি তা সর্বোচ্চ মাত্রায় বাবা মায়ের সাথেই প্রয়োগ করি। আর বন্ধু বান্ধবদের সাথে যতো কমে পারা যায়।
নিস্ফলা শ্রেষ্ঠ সময় অংশ পাঁচ!
আজ সকালেই মামা চলে গেলো বাড়ীতে। যাবে জামালপুর সকালের ট্রেন অগ্নীবিনাতে। আমারো যাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু এই ক্লাস টাস শাহবাগ অবরোধ ফেলে বাড়িতে যেতে ইচ্ছা করলো না। যদিও বাড়িতে যাওয়াটা খুব ইম্পোর্টেন্ট। তবে মামা এতো সাত সকালে গিয়েও পড়ছে ফ্যাসাদে। ট্রেন ছাড়ার কথা নয়টা ২০য়ে। কিন্তু এখনো ট্রেনের কোনো নাম গন্ধ নাই। সেই নভেম্বরে বাড়ি থেকে এসে আর গেলাম না। অথচ উত্তরবংগ, খুলনা এতো দুরে দূরে বাড়ী থেকেও লোকজন প্রতি মাসেই চলে যায় একটু সময় পেলেই। আর আমার বাড়ীতে যাওয়াই হয় না। আসলে বাড়ী আমার খুব যেতে ইচ্ছা করে। কিন্তু কাহিনী হলো বাড়ীতে এতো আদর যত্নের পরেও বারবার যখন মনে হয় আব্বু আম্মু আমার জন্য এতো কষ্ট করলো তাদের জন্য কি দিলাম? আমি কি করলাম জীবনে?
গ্যালাক্সি এস!
ছেলেটা বড় হয়েছে খুব আদরে। চার বোনের পর এক ভাই। বোনেরা মোটামুটী অনেক বড় বড়। তাই বোনদের ভালোবাসায় আর দুলাভাইদের আশকারাতেই তার কিশোর বেলা কাটছে। হুট করে ছেলেটার বাবার চাকরী থেকে অবসর। তল্পি তল্পা গুটিয়ে বাড়ীতে থাকা। ছেলেটা তার বোনদের বাসায় থাকার জীবন শুরু। চারবোনের ভিতরে তিনবোনই বিরক্ত তা নিয়ে। যদিও ভাগ্নে ভাগ্নিরা মামা বলতে অস্থির। থাকার জায়গার বড় অভাব। যাত্রাবাড়ীতে থেকে প্রতিদিন কমার্স কলেজের ক্লাস চলে ইন্টারমিডিয়েটের। কাক ডাকা ভোরে যায় আর রাত করে বাসায় ফিরে। দুপুরে সিংগারা খেয়েই কাটাতে হয়। আরেকবোনের বাসা নিকুঞ্জ। সেখানেও কিছুদিন আস্তানা গড়ে। কিন্তু কোথাও স্থায়ী না। সেই সময় নিকুঞ্জতে দুটা ভালো টিউশনী পেয়ে যায়। টাকা পয়সার কিছু মুখ দেখে জীবনে আনন্দ খুজে পায়। ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দেয় যাত্রাবাড়িতে থেকেই। পরীক্ষার শেষ হয়। বন্ধুরা তখন তারা নানান ট্যুর প্ল্যানিং নিয়ে ব্যাস্ত। সে চলে যায় বাড়িতে। বাড়ীতে থাকার কারনে পড়াশুনা কিছুই হয় না আর। বন্ধু বান্ধবের আড্ডা ছাড়া টিভিতে আর লুকিয়ে সিগারেট খাওয়াতেই তার আনন্দ। রেজাল্ট বের হয়। ফলাফল বেশী ভালো না। ঢাকায় এই ভাবে অস্থায়ী থাকাথাকির উপরে জেদ করে সে আর
নিস্ফলা শ্রেষ্ঠ সময় অংশ চার!
অনেক দিন পর আমি সকালে লিখতে বসলাম। রাতে রাতে লিখতে লিখতে এমন অবস্থা হইছে যে রাত ছাড়া লেখারই ইচ্ছা থাকেনা। কিন্তু সারাদিন এই চেচামেচির পরিবেশে থেকে, মাথা ব্যাথা আর মশার কামড় খেতে খেতে বিরক্ত লাগে। আর না লিখলে মনে হয় হুদেই লেখলাম না। এই জটিল পরিস্থিতিতে আজ সকাল সাড়ে সাতটাতেই ঘুম থেকে উঠলাম। চা বানাতে বানাতে ভাবলাম পোস্ট লিখে ফেলি। ক্লাস টেনে থাকতে আমার বাসার উপর তালায় থাকতো ক্লাস মেট মেধাবী ছাত্রী। আম্মু ফজরে উঠেই তার চেয়ার টানাটানির শব্দ শুনতো। আর আমাকে বলতো শান্ত উইঠা পড়, মেয়ে মানুষ হয়ে কত সকালে ঘুম থেকে উঠে! আমিও উঠে যেতাম। এইসব সকালে আম্মুর কথা খুব মনে পড়ে। এখন আর ভোরে ডাক দেয়ার কেউ নাই মায়ের মতো। যখন যতক্ষন খুশী ঘুমানো যায় বলার কেউ কিছু নাই। কিন্তু নিজেরই ঘুমাতে ভালো লাগে না।
নিস্ফলা শ্রেষ্ঠ সময় অংশ তিন!
ভেবেছিলাম শাহবাগ নিয়ে লিখবো না আর। কারন চারিদিকে এতো বেশী এই নামের লেখালেখি, তাদের এতো শতো ভালোবাসার আবেগের লেখার ভীড়ে আমার সরল দিনলিপির ঠায় কই? তাও লিখি কারন আমার লেখাতো কীবোর্ড টেপার কষ্ট ছাড়া আর কোনো কষ্ট নাই। লেখা যদিও অনেকে ভালো বলে তাও আমি আমার লেখার কোয়ালিটি নিয়া মোটেও সন্তুষ্ট না। তারপর আছে আবার বানান ভুল আর যতি চিন্হ ব্যাবহারের ভুল ভ্রান্তি। তাও লিখি কারন লেখাতেই যাত্রা লেখাতেই শেষ, আমি ভালো আছি এই নিয়ে বেশ!
নিস্ফলা শ্রেষ্ঠ সময় অংশ দুই!
আজকেও যে পোষ্ট লিখবো সেই ইচ্ছা ছিলো না। ইদানিং এতো ঘন ঘন পোস্ট দিচ্ছি নিজেরই বিরক্ত লাগে। তাও লিখি। যারা পড়ার তারা পড়ে নেয়। অন্যেরা হয়তো মুখ ভেংচায়। তাতে আমি ওতো ভাবি না। লেখার সময় সুযোগ থাকলে ব্লগ লেখা কঠিন কিছু না। আর ব্লগ লেখাকে আমি নিতান্তই সরল দিনলিপিতে পরিনত করছি তাতে আমার জন্য সুবিধা হলো যাই ঘটে বলতে ইচ্ছা করলে বলে দেই। অনেকেরই দিনলিপিতে অনেক কিছু বলার থাকে কিন্তু সুযোগ, সময়, ভাষা পায় না। আমার দিনলিপি গুলো ভাষা পায় এতেই আমার আনন্দ।
নিস্ফলা শ্রেষ্ঠ সময়!
যাপিত জীবনে কিছু সময় আসে এরকম যখন প্রতিটা মুহুর্তকে দামী মনে হয়। ইচ্ছে করে সবটুকু অনুভব দিয়ে উপভোগ করি কিন্তু উপায় থাকে না। সময় চলে যাবার পরে বুঝা যায় কি চলে গেলো এই এক নিমিষে। আমরা যারা ছয় সাত বছর ধরে ব্লগে ফেসবুকে ডায়লগ বাজী করে বেড়াই, তাদের জন্যে স্বপ্নের মতো কিছু দিন যাচ্ছে। কেউ কোনোদিন ভাবতেই পারে নাই ফেসবুক ব্লগের যুদ্ধাপরাধ বিরোধী সেন্ট্রিমেন্ট এরকম গনরোষে পরিনত হবে। ফেসবুক ব্লগে বিপ্লব হয় তা আরব বসন্ত থেকে জেনেছি। কিন্তু এই শীত পালানো মাঘের দিনগুলোতে এরকম কিছু হুট করেই হবে ভাবি নি। ধারনা ছিলো কাদের মোল্লার ফাসি হবে। সবাই খুব খুশী হবে। ছবির হাটে অনেকে মিস্টি খাবে। কিন্তু হলো যাবজ্জীবন। একজন মানুষ খুনী ধর্ষক কসাইয়ের শাস্তি জেলের আটার রুটি খাওয়া তা আমার চিন্তারও বাইরে। কালকেই এক সামান্য ইভেন্ট থেকে অনেক মানুষ হয়ে জানান দিছে এ রায় মানার কোনো উপায় নাই। আজ তার পুর্নতার দিন। আন্দোলন চলছে। কাল সকালে হরতাল হীন শাহবাগে কিভাবে কি হয় পুলিশ কি আচরন করে? তা দেখার জন্য তর সইছে না।
ভালো থাকার কিছু নেই!
ভালো লাগতেছে না হুট করেই। এমনিতে আমি অবশ্য খুব খারাপ থাকি না। তবে আজ কেনো জানি না প্রচন্ড বিষন্ন লাগতেছে। ক্রিকেট খেলে মন মেজাজ হালকা ছিলো কিন্তু তা আর থাকলো না। কসাই কাদেরের ফাসী হলো না এইটা ভাবতে ভাবতেই বারবার মন খারাপ হয়। যদিও আইন আদালতের বিষয় নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা কম থাকে। তাও খুব জানতে ইচ্ছা করে এতো মানুষ মেরে শিশু ধর্ষন করেও যদি নিস্কৃতি পায় তাহলে আদালত থাকার মানে কি! ভাবতেছিলাম এতো আশা করে আমাদের ভোট দেয়া, এতো এক্টিভিজম সব কি তবে বিফলে! জানি না ভাবতে ইচ্ছা করতেছে না। অন্য চায়ের দোকানে বসে আছি। চারিপাশে চায়ের দোকানে ছোটোবড়ো লোকজন বসা। কিন্তু কারো সাথেই কথা বলতে ইচ্ছা করতেছে না। শাহবাগ যাবার কথা ছিলো বেরও হলাম কিন্তু যাওয়া আর হলো না। বন্ধু লতা গেলো না কিন্তু আমি বাসা থেকে বের হয়ে চায়ের দোকানে আসলাম। আছি তো আছিই বসেই। কত হাসির কথাবার্তা চলছে তাও হাসছি। সাইফ বললো চলেন ভাই সাব হাটে গিয়ে ইয়া বড় বার্গার খেয়ে আসি। আমি বললাম রীচ ফুড খেতে খেতে ক্লান্ত আর কতো! এদিকে দুপুরে আম্মুর সাথে কথা হলো। আম্মু বলে বাড়ীতে আসবিনা? আমি বললাম জব টব নাই বাড়ীতে যেয়ে কি করবো, ক্লাস তো চলে কিভাবে আসি?
অনিবার্য অলসতার দিনকাল
শরীর জুড়ে ক্লান্তিময় বিষন্নতা। তাও ভাবলাম লিখে ফেলি পোস্ট। পোষ্ট লিখলেই কাজ শেষ নয়তো মনে হয় ব্লগে লিখলাম না কেনো। ব্যাসিকেলি আমি অলস লোক না। ঘুমাতে অতো বেশী ভাল্লাগে না। কেউ কোনো কাজ দিলে আর আমি তা করতে পারলে মানা করি না। নিজের পকেটের পয়সা খরচ করেও অনেকের অনেক কাজে নেমে গেছি। তাই বলা যাবে না আমি অলস। তবে আমি নিজে অনুভব করি যে আমি খুব অলস। নয়তো এই চায়ের দোকানে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকা কোনো নরমাল মানুষের জন্যে সম্ভব না। এমন না যে সব সময় অনেক লোকজন থাকে। এমন অনেক সময় গেছে যখন আমি আর চায়ের দোকানদার বাদে কাক কুত্তাও নাই। বসে আছি আছি তো আছিই একটানা একি ভাবে। এই অন্তহীণ অলস সময় গুলো আমি অন্য কিছু করলে নিশ্চই অনেক কিছু হয়ে যেতো। শুধুমাত্র বাসা থেকে পড়াশুনাটা করলেও অনেক গুলা বই শেষ করা যেতো, যা অনেক দিন আমার আলমারি হীন ঘরে ফ্লোরে পড়ে আছে।
দশ বছর!
মিশ্রিত দিন রজনী পার আমার পছন্দ না। হয় দিন ভালো কাটবে নয়তো দিন খারাপ কাটবে, হয়তো মন ভালো থাকবে নয়তো মন তুমুল খারাপ থাকবে। এই মোটামুটি ভালো খারাপের মিশ্রনের দিন আমার পছন্দ না। নানক সাহেব রাস্তার উন্নয়ন করবে খাল কাল্ভার্ট দিয়ে ঢেকে দিবে তাই নান্নুর দোকান চলে গেলো। অবশ্য দোকান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তা তিন চারদিন ধরেই জানা। নান্নু সাহেবের ইচ্ছা ছিলো দোকান চলে গেলেও খোলা আকাশের নিচে দশ পনেরো দিন রেখে ব্যাবসা পাতি করবে বাকীর টাকা উদ্ধার করবে। কিন্তু তা আর হলো না। কাল যদিও বালুর বস্তায় বসে খোলা আকাশে বসে নান্নুর অস্থায়ী বাক্সো দোকানে চা খেলাম। আজ আর কপাল নেই। সকালেই পুলক ফোন করে বলে দিছি নান্নু বন্ধ। তাও বের হলাম গা গোসল করে। সেলিমের দোকান আছে সোসাইটি পাচের মেইনরোডে সেইখানে যেয়ে নিজেরে এতীম এতীম লাগলো। তাও বসে রং চা খেলাম। চাদপুরে বাড়ী সেলিম সাহেবের তার দোকানে কম বসা হলেও পুলকের কারনে তিনি আমারে পায়া অত্যন্ত খুশী। চা খেলাম বসে থাকলাম। এমন সময় এক সমবয়সী লোক তার বন্ধুকে বলতেছে আওয়ামীলীগ বাদে আর কেউ জনস্বার্থ দেখে না। কথাটা নান্নুর দোকানে কইলে তারে আমি জিগাইতাম জনস্বার্থ জিনিসটা কি আগে বুঝায়া কন। কিন
বই পুস্তকের মেলা খেলায়!
অনেক দিন দুপুরে পোষ্ট লেখি না। সেই সামুর আমলে দুপুরে পোষ্ট লিখতাম সকাল জুড়ে ব্লগে বসে থাকতাম। দিনগুলো ছিলো অন্যরকম। তখন মনে হতো ব্লগে থাকার চেয়ে গুরুত্বপুর্ন কোনো কাজ থাকতে পারে না আর। যাই হোক ব্লগের জায়গায় এখন ফেসবুক। মোবাইল দিয়ে ফেসবুক দেখা সংযোগ থাকা খুব ইজি কাজ। তার জন্য কোনো বাড়তি এফোর্টের প্রয়োজন নাই। কিন্তু ব্লগিংটা আসলে পিসিতে বসেই করার জিনিস। যদিও আমি মোবাইলে লিখতে পারি পোস্ট ভালোই। তাও সেটা ঠেকায় পড়েই। কিন্তু ব্লগিং জিনিসটা কম্পিউটার ল্যাপটপেরই ব্যাপার। ফেসবুকের মতো তা এতো ইউজার ফ্রেন্ডলী আইটেম না। আর ফেসবুক দিয়ে দ্রুত সবার কাছে চলে যাওয়া যায়। ধরেন আমি কালকে একটা লেখা শেয়ার দিলাম বা ইদানিং দিতেছি তাতে চায়ের দোকানের বন্ধু বান্ধবেরা পড়ছে আর এসেমেস করে বলে শান্ত ভাই আপনি তো আমাদের নিয়া সেরকম লেখা লিখে ফেলেন। আপনার লেখার হাত দারুন। অথচ আমি যে ব্লগে লিখি কোন ব্লগে কি লিখি তা কেউ জানে না অথচ ফেসবুকের এক শেয়ারের উসিলায় সব কিছু পড়ে ফেললো। এইটাই ফেসবুকের শক্তি।
ব্ল্যাক টিশার্ট
কালকের ঘটনা এক ছোটো ভাই চায়ের দোকানের। তার সাথে রিক্সায় গিয়েছিলাম আজিজে। সাধারনত আমি আজিজে গিয়ে বিদিত বাদে আর মনির সাহেবের চায়ের দোকান এইটুকুতেই যাত্রা মাঝে মধ্যে প্রথমাতে বই দেখা সেইখানে কিছু স্টার টাইপের লোকজনের আনাগোনা হজম করা এতোটুকুই কাজ আমার। আগে লিটল ম্যাগের ওদিকে খুব যেতাম একা একাই পড়তাম কিনতাম কিন্তু লিটলম্যাগ ওয়ালারাও যেমন সাহিত্যের ভরংবাজ আমিও তেমনি তাই আর যাই না। কিন্তু সাইফের সাথে গেলাম সাইফ কিনবে ব্যাগ। ব্যাগ পছন্দ করে রাখছে গ্রাসহুপারসের কিনে ফেলবে। সাথে তার কোর্তা কেনার খায়েশ হইছে আমি তাকে বুদ্ধি দিলাম আরটিস্টিতে গেলে ভালো পাবা সে কইলো ভাই ব্রাকে পড়লেও আমার অতো হেডম নাই তাই আজিজেই খুজি। আজিজে কোর্তা পাওয়া গেলো না। ব্যাগও শেষ লাভের লাভ হলো আমি একটা লেইড জ্যাপলিন মার্কা গেঞ্জী পাইলাম আর গ্রাসহুপারস থেকে কিছু খাতা আর কলম কিনলাম। ফেরার সময় ডিভিডি কিনলাম। দোকানদার আশস্ত করলো আমারে অন্তত সতেরোটা ছবি ভালো দেখতে পারবেন। আমি হাসতে হাসতে উনারে কই বাংলাদেশের চেয়ে সস্তা সিনেমা দেখার দেশ আর হয় না ৭০-৮০ টাকাতে গড়ে আটটা নয়টা ছবি কোনওরকমে দেখা যায় এরকম কপাল কয়দেশের আছে।