বৃষ্টি... ছেলেবেলার গান...
বছরের প্রথম বৃষ্টি, আর আমার হাতে কলম উঠে আসবে না, তা কি হয়! এটুকুই তো পারি, আর সব হারিয়ে ফেলেছি। মাদকতাময় শৈশব-কৈশোর-তারুণ্য, সব। এই শহর, এই গ্লানিময়- ক্লান্তিকর শহর, এই মনোটোনাস শহর কোমল অনুভূতিগুলো সব কেড়ে নিয়েছে। এখন কেবল ছুটে চলা, অনির্দিষ্ট ছুটে চলা। এখন কেবল অবিরাম ব্যস্ততা, অহেতুক-অকারণ ব্যস্ততা! বছরের প্রথম বৃষ্টিতে ভেজার আকুলতা থাকলেও উদ্যমটি আর নেই। ব্যস্ত থাকলে হয়তো চোখ মেলে দেখারও ফুরসৎ মেলে না। আজকে একটু ব্যস্ততা কম, তাই ব্যালকনিতে বসে অনেকদিন পর বৃষ্টি দেখা হলো। এমন হঠাৎ বৃষ্টি, এমন হাওয়ামুখর তুমুল বৃষ্টি মনটাকেই এলোমেলো করে দেয়! কতো কথা মনে পড়ে! কতোকিছু...
মানিকগঞ্জের পদ্মা-তীরবর্তী অঞ্চলে কেটেছে আমার শৈশব-কৈশোর। ওখানে বর্ষার রূপ অন্য অঞ্চলগুলোর চেয়ে ভীষণ-রকম আলাদা। বিপুল বর্ষা, মাঠঘাট ভাসানো কূল-কিনারাহীন বর্ষা। আর বৃষ্টিতে ভেজা তখন কেবল একবেলার রোমান্টিসিজম নয়, বরং নিত্যদিনের সঙ্গী। বর্ষাকালের এমন একটি দিনও বোধহয় যায়নি, যেদিন আমরা বৃষ্টিতে ভিজে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে গোসল করিনি। শৈশব-কৈশোরের যে কয়টি জিনিসের সঙ্গে আমার প্রেম, বৃষ্টি তাদের একজন। এই প্রেম ছিলো আরো বহু-বহুদিন। তারুণ্য আর যৌবনও কেটেছে বর্ষার আলিঙ্গনে আর উন্মাদনায়।
এখনও সেই প্রেমটি আছে হয়তো, তবে স্মৃতি হয়ে। আলিঙ্গন নেই, নেই উন্মাদনাও। অন্যান্য যে-কোনো প্রেমের মতোই বৃষ্টি দেখেও তাই কেবল স্মৃতিকাতর হয়ে উঠি।
আজ আবার উপলব্ধি করে উঠলাম - মানুষ আসলে সম্পর্ক নিয়ে বাঁচে না, বাঁচে সম্পর্কের স্মৃতি নিয়ে।
২
কত গান আর কবিতা যে লেখা হয়েছে বৃষ্টি নিয়ে, তার হিসেব নেই। বৃষ্টি যে আমাদের জীবনের কতোটা প্রিয় আর কাঙ্ক্ষিত সেটি বোঝা যায় এই গান ও কবিতাগুলোর বিপুল জনপ্রিয়তা দেখেই। ছোটবেলায় একটা ছড়া শুনতাম বৃষ্টি নিয়ে; হয়তো লোকছড়া, মানুষের মুখে মুখে ফিরতে ফিরতে সেটা নানারকম রূপ পেয়েছে। আমার মনে পড়ছে এটা -
----------------------------
বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর
নদেয় এলো বান,
শিব ঠাকুরের বিয়ে হবে
তিন কন্যে দান।
এক কন্যে রাঁধেন বাড়েন
এক কন্যে খান
আরেক কন্যে গোস্বা করে
বাপের বাড়ি যান।
--------------------------
ছড়াটি শুনেছি মায়ের মুখে, মা শুনেছেন তাঁর মা'র মুখে...। কতোকাল আগে, কে যে এটা লিখেছিলেন, কেউ জানে না। কী যে এর মানে, তাও বোঝা ভার। তবু, বৃষ্টি মানেই এই ছড়া, এই নস্টালজিয়া।
মজার ব্যাপার হলো, রবীন্দ্রনাথও এটি 'শুনেছেন' ছোটবেলায়, আর তার স্মৃতি ধরে রেখেছেন আরেকটি কবিতায় -
------------------------------------------
দিনের আলো নিবে এল সুয্যি ডোবে ডোবে।
আকাশ ঘিরে মেঘ জুটেছে চাঁদের লোভে লোভে।
মেঘের উপর মেঘ করেছে, রঙের উপর রঙ।
মন্দিরেতে কাঁসর ঘণ্টা বাজল ঠঙ্ ঠঙ্।
ও পারেতে বিষ্টি এল ঝাপসা গাছপালা।
এ পারেতে মেঘের মাথায় একশো মানিক জ্বালা।
বাদলা হাওয়ায় মনে পড়ে ছেলেবেলার গান -
বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদেয় এল বান।।......
কবে বিষ্টি পড়েছিল, বান এল সে কোথা -
শিব ঠাকুরের বিয়ে হল, কবেকার সে কথা!
সেদিনও কি এমনিতরো মেঘের ঘটাখানা!
থেকে থেকে বাজ-বিজুলি দিচ্ছিল কি হানা!
তিন কন্যে বিয়ে করে কী হল তার শেষে!
না জানি কোন নদীর ধারে, না জানি কোন দেশে,
কোন ছেলেরে ঘুম পাড়াতে কে গাহিল গা ন-
বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর, নদেয় এল বান।।
---------------------------------------------
বোঝাই যাচ্ছে, রবীন্দ্রনাথ নিজেও তার ছেলেবেলায় ছড়াটি শুনেছিলেন, যেটি তাঁর কাছে ছেলেবেলার গানের মর্যাদা পাচ্ছে! বোঝা যাচ্ছে এ-ও, বহুকাল আগে থেকেই এটি বাংলাদেশে প্রচলিত ছিলো। কে লিখেছিলেন এই ছড়া? কতোকাল আগে? কোন গুণের জন্য ছড়াটি শত শত বছর ধরে শিশু-কিশোরদের আনন্দের উৎস হয়ে উঠছে আর বড়োদের করে তুলছে নস্টালজিক? বৃষ্টির প্রসঙ্গই কি ছড়াটিকে এমন অমর করে তুললো? একই কারণে বৃষ্টির গানগুলোও কি এমন বিপুলভাবে আদৃত হয়ে উঠেছে বাঙালির কাছে? বৃষ্টি কি এতটাই প্রিয়, এতটাই মধুর?
৩
বৃষ্টি নিয়ে কিছু বলতে গেলেই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের 'নিরুদ্দেশ যাত্রা'র কথা মনে পড়ে যায় -
-------------------------------------------------------------------------------------------
এই মনোরম মনোটোনাস শহরে অনেকদিন পর আজ সুন্দর বৃষ্টি হলো। রাত এগারোটা পার হয় হয়, এখনো রাস্তায় রিকশা চলছে ছল ছল করে...আমার জানলায় রোদন-রূপসী বৃষ্টির মাতাল মিউজিক, পাতাবাহারের ভিজে গন্ধভরা সারি, বিষাদবর্ণ দেওয়াল; অনেকদিন পর আজ আমার ভারি ভালো লাগছে। ছমছম করা এই রাত্রি, আমারি জন্যে তৈরি এরকম লোনলি-লগ্ন আমি কতোদিন পাইনি, কতোকাল, কোনোদিন নয়। বৃষ্টি-বুনোট এইসব রাতে আমার ঘুম আসে না, বৃষ্টিকে ভারি অন্যরকম মনে হয়, বৃষ্টি একজন অচিন দীর্ঘশ্বাস। এইসব রাতে কিছু পড়তে পারি না আমি, সামনে বই খোলা থাকে, অরগুলো উদাস বয়ে যায়, যেনো অনন্তকাল কুমারী থাকবার জন্যে একজন রিক্ত রক্তাক্ত জন্মদান করলো এদের। চায়ের পেয়ালায় তিনটে ভাঙা পাতা ঘড়ির কাঁটা হয়ে সময়কে মন্থর কাঁপায়। ষাট পাওয়ারের বাল্বে জ্বলছে ভিজে আলো, আর চিনচিন করে ওঠে হঠাৎ, কতোদিন আগে ভরা বাদলে আশিকের সঙ্গে আজিমপুর থেকে ফিরলাম সাতটা রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনে, 'তুই ফেলে এসেছিস কারে', সেই সোনার শৈশবে ভুল করে দ্যাখা একটি স্বপ্ন, স্বপ্নের মতো টলটল করে। আমার ঘুম আসে না, আলোর মধ্যে একলা জেগে রই।...
--------------------------------------------------------------------------------------------
কতোবার যে পড়েছি এই গল্প! কতোবার শুনিয়েছি সবাইকে, তবু পুরনো হয় না! আর যতোবার পড়ি, ততোবারই মন খারাপ হয়ে যায়।
৪
বৃষ্টির বাড়ছে। নিরবিচ্ছিন্ন বৃষ্টিতে ধুয়ে-মুছে যাচ্ছে চরাচর। এই শহরের সমস্ত কান্তি, জঞ্জাল, পাপ, বেদনা, আর হাহাকার কেন ধুয়ে মুছে যায় না? কী তুমুল, অহংকারী, একরোখা, জেদী বৃষ্টি! মনে হয়, আমাদের গ্রামে ঠিক এরকম বৃষ্টি হতো। ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই সরল-সুন্দর শৈশবে, যদিও জানি আর কোনোদিন ফেরা হবে না... সব মানুষই 'একবার পায় তারে পায় নাকো আর'...
গাজীপুরের সুন্দর একটা গ্রামে চমৎকার একটা দিন কাটিয়ে এসে ব্লগে ঢুকেই দারুণ সুন্দর একটা লেখা পড়লাম। কামাল ভাইকে ধন্যবাদ।
সুন্দর লেখা,
তবে আপনার নিজস্ব অনুভূতিটা আরেকটু বেশি প্রকাশ করলে আরো ভাল লাগতো।
১ নম্বর অংশের শেষটুকু অনেক ভাল লাগলো।
আর আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের লাইনগুলো জন্য ধন্যবাদ।
ব্নগটা এতজন পড়েছে,
অথচ বৃষ্টিগন্ধমাখা এই কথকতা নিয়ে আর কেউ কিছু বললো না দেখে অবাক লাগছে।
এমন তুমুল বৃষ্টি হল অথচ এবি তে খরা কাটছেই না, বন্ধুরা সব গেল কোথায়?!
এই লেখাটার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আরো লিখুন, ভাল থাকুন।
লেখাটা ফেসবুকে শেয়ার করা হয়েছে। সেজন্যই এতবার পঠিত দেখাচ্ছে। এদের সবাই তো আর ব্লগার নন, কমেন্ট করবেন কিভাবে?
বৃষ্টি নিয়ে আমার অনেক অনেক লেখা। পূণরাবৃত্তির ভয়ে নিজের অনুভূতি কম করে প্রকাশ করেছি।...
ইলিয়াসের লেখাটা আমি বহুবার শেয়ার করছি, তবু পুরনো হয় না কখনো।
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ...
কামাল ভাই... ফেসবুক থেকে কিন্তু সরাসরি মন্তব্য করা যায়
নিচে দেইখেন 
দেখলাম, কিন্তু পদ্ধতিটা বুঝলাম না। আমি লেখাটা শেয়ার করেছিলাম আমার ওয়ালে। সেখানে যেসব কমেন্ট আছে সেগুলো তো এখানে দেখা যাচ্ছে না। আবার এই কমেন্ট-টা ফেসবুকে দেখি নাই। বিষয়টা কি!?
কোন ফেসবুক ইউজার... যদি এবির সদস্য নাও হয় ... আপনার লিংক ধরে এসে মন্তব্য করে যেতে পারবে... তবে সেটা আপনার প্রোফাইলে দেখাবে না... যাস্ট এই ব্লগের নিচে দেখাবে... এবং যে এইখানে মন্তব্য করলো... সেটা তার প্রোফাইলে চলে যাবে...
ঘোরাঘুরিতে হিংসা...
পড়ার জন্য ধন্যবাদ...
এইটা জ্যোতির মন্তব্যের উত্তরে লেখা। এত নিচে চলে এলো কিভাবে?
সত্যি কামাল ভাই, কি যে সুন্দর একটা পরিবেশে দিনটা কাটলো! যে বাড়ীটাতে গেলাম সে বাড়ীটার ছাদে দাঁড়োলে তার চারপাশে শুধুই সবুজ ধানক্ষেত, নানা রকমের পাখীর কিচিরমিচির---কখন যে দিন কেটে গেলো টের পাইনি। বিকেলে বের হলাম যখন, একটু একটু বৃষ্টি পড়ছে, আমরা হেঁটে আসছি। সবকিছুর সাথে আপনার লেখাটার অদ্ভুত একটা মিল।
এমনিই মনটা এলোমেলো - কতোদিন ধরে গ্রামে যাই না! আপনি আবার এইসব বর্ণনা দিচ্ছেন!
গ্রামে ঘুরে আসেন তাইলে। মাঝে মাঝে দমবন্ধ লাগে, তখন দূরে কোথাও যেতে মন অস্থির হয়।
আজকের দিনের সুন্দর অনুভূতিটার সাথে আপনার লেখাটা পড়ে মন পুরাই আউলা। আপনাকে আবারো
চাইলেই কি যাওয়া যায়? ... আর আমার সেই বাড়ি তো নেই-ই! পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে সেই কবে! যাবো কোথায়?...
আচ্ছা, আমার গ্রামের আপনার দাওয়াত। টিনের চালে বৃষ্টির ঝুমঝুম শব্দ শোনার দাওয়াত।
থ্যাংকস...
ধন্যবাদ নিঝুম...
আপনার বৃষ্টিভেজা ছেলেবেলার স্মৃতি বেশ ভালো লাগলো।সবই আনন্দের কথা বললেন।
বেশ ভালো লেগেছে গ্রামে ফিরে যাবার আকুতি-পরবর্তী অক্ষমতা বা অনিচ্ছার কথা না বললে আরো ভালো লাগতো।
গতরাতে গ্রামের বাড়ি হতে এলাম। মায়ের কথা সকাল থেকে বার বার মনে ভাসছে।
মানুষ স্মৃতি নিয়ে বাঁচে, সম্পর্কের মধ্যে নয়-পংক্তিটি বেশ ভালো লাগল।
আবার ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!
অনিচ্ছা নেই, আছে অক্ষমতা। চাইলেই আর যাওয়ার উপায় নেই! ...আমার সেই বাড়িই তো নেই! পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে সেই কবে! যাবো কোথায়?... মা নেই... মানে, মনে পড়ার মতো, মনে করার মতো কেউ নেই... স্মৃতি নিয়েই তো বেঁচে আছি আমানুল্লাহ ভাই...
কি সুন্দর বললেন!
ধন্যবাদ।
মনটা উদাস.... কারো লেখা পড়ে, কারো বেড়ানোর গল্প শুনে

লেখাটা খুব স্বাদ হয়েছে
মনটা পুরাই উদাস... বন্দি হয়ে গেলাম জীবনের ঘেরাটোপে...
দিনের আলো নিবে এল সুয্যি ডোবে ডোবে।
আকাশ ঘিরে মেঘ জুটেছে চাঁদের লোভে লোভে।
মেঘের উপর মেঘ করেছে, রঙের উপর রঙ।
মন্দিরেতে কাঁসর ঘণ্টা বাজল ঠঙ্ ঠঙ্।
ও পারেতে বিষ্টি এল ঝাপসা গাছপালা।
এ পারেতে মেঘের মাথায় একশো মানিক জ্বালা।
বাদলা হাওয়ায় মনে পড়ে ছেলেবেলার গান -
বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদেয় এল বান।।......
এই কবিতাটার আবৃত্তি অসাধারণ। আমরা স্বনন করার সময় খুব শুনতাম। আমাদের বন্ধু লিসা এইটা অসাধারণ আবৃত্তি করতো।
কবিতা অসাধারণ, আবৃত্তি তো অসাধারণ হবেই। কোন লিসার কথা বললেন, বুঝতে পারি নি। আবৃত্তি করেন উনি? কোনো অ্যালবাম আছে?
আমি প্রথম বৃষ্টিটা মিস করলাম
যদিও বৃষ্টি আমার কপালে তার চুমু দিতে ভোলেনাই 
আপনে কোন বৃষ্টির কথা কন? পাশের বাড়ির?
সেই শৈশব থেকে এখন পর্যন্ত আমার পাশের বাসায় বৃষ্টি নামে কেউ ছিলো না
ইভেন আমার বৃষ্টি নামে কোনো বান্ধবীও নাই 
বৃষ্টিবিষয়ক জটিলতা তো তাইলে বাড়লো শুভ! চুমু দিলো কে?
কৈশোর থেকেই যেটা হয়ে আসছে সেইটাই হয়েছে
আমি যদি রাস্তায় থাকি আর তখন যদি বৃষ্টি নামে, তাহলে বৃষ্টি সবার আগে আমার কপালে তার ছোঁয়া দিয়ে যাবেই যাবে

এই বর্ণনায় জটিলের জটিলতা জটিলতর হৈল!
খাইছে
আমি সরলতর কইরা কইলাম, আর আপ্নে কন জটিলতা জটিলতর হইছে? এই ভররাইতে এখন কই গিয়া যে লুকাই 
সরলতর কইরা কই কইলেন! আপ্নের পাশের বাসায় বৃষ্টি থাকে না, বৃষ্টি নামে আপ্নের কোনো বান্ধবীও নাই, বৃষ্টির সময় আপ্নে বাইরেও থাকেন না... তার মানে, ঘরে আইসা কোনো এক বৃষ্টি আপ্নেরে চুমু দিয়া যায়... মানে কোন বৃষ্টি? কে বৃষ্টি? ... মানে... মাঝরাইতে মাথা আউলানোর জোগার হৈল!
হুমম
হ!
নানির বাড়িতে বৃষ্টিতে ভেজার কথা মনে পড়ে গালো....আসলেই আর ফিরবে না ঐ সব দিনগুলা..
ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই সরল-সুন্দর শৈশবে, যদিও জানি আর কোনোদিন ফেরা হবে না... সব মানুষই 'একবার পায় তারে পায় নাকো আর'...
মন্তব্য করুন