অল্প বিদ্যা ভয়ংকর - ১
লেখালেখির ক্ষেত্রে বেশ কিছুদিন, এধারকা মাল উধার করে কাটালাম। মানে এ ব্লগের লেখা সে ব্লগে এই রকম আর কি! তাতে যে বেশ নাম ছড়িয়েছে, তাও নয়। দুই চারজন দয়া করে পড়ে আমার মান বাঁচিয়েছেন আর পুরোনোরা বারবার বলেছেন, "দিদি ইধারকা মাল উধার করে আর কদ্দিন, এবার নতুন কিছু ছাড়ুন..."
তা নতুন মাল ভেতরে থাকলে না হয়, ছাড়া যায়, মানে লেখা যায়....। বাহিরের মত আমার ভেতরটাও ঝরঝরে। ফিলিপস বাতির মত সব ফকফকা। কিন্তু সে কথা বলা বারণ, আজাকের যা জামানা...তাতে ভাব ধরে থাকতে হয়। ভাব ধরে বিশেষ সুবিধা নাই, কেহই জিগায় নাই-'লেখেন না কেন?' কিন্তু তাতে কি? আমিই জানিয়ে দেই- "আমি আবার রাইটার্স ব্লকে ভুগছি"। এটা একটা দামী অসুখের নাম। দামী লোকরে কে কবে পাত্তা দিছে বলেন?? পোড়ার দেশে সবই কপাল।জ্ঞানের কদর একেবারেই নাই।
এই জন্যই দেশে এত অজ্ঞান পার্টির ছড়াছড়ি। সোজা সরল কাউরে পাইলেই অজ্ঞান করে ফেলে। আমি অবশ্য লেখা দিয়ে চেষ্টা করছি, কিন্তু মানুষ-জন আজকাল স হজ সরল নাই গো! বিরাট আফসুস!
তা আজকাল জ্ঞান চর্চার জন্য বেশ বই-টই পড়ছি। হঠাত একটা বই পেলাম, লেখতে লেখতে লেখক। লিখেছেন, আহসান হাবীব।
তো একটা লেখা দেখে, আমার ইধার কা মাল উধার করবার ইচ্ছা আর ধামাচাপা দিতে পারলাম না।
বাংলাদেশের এক মহাবদ লোক নোংরা রাজনীতি করতে করতে দুম করে মরে গেল। যেহেতু বদ লোক তাই সরাসরি তাকে নেয়া হল নরকে। কিন্তু নরকে তখন লাগাতার আন্দোলন চলছে। সেখানে নরক এক্সটেনশনের দাবীতে চলছে হরতাল, মানব বন্ধন।
নরক এক্সটেনশন না করলে, একটা লোককেও ঢুকতে দেয়া হবে না।
ঐ বদ লোককে নিয়ে কি করা হবে, সেটা নি্যে নরকের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা মিটিং এ বসল, ওকে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেওয়া হোক আপাততঃ এমন কথা বলল কেউ কেউ।
তাতে অনাস্থা জানাল, অনেকে। কারণ তাতে নরকের সংবিধান চেঞ্জ করতে হবে, মহা ঝামেলা।
শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হল, ওকে স্বর্গে রাখা হোক, কিছু দিনের জন্য। তো সেই লোক স্বর্গে গিয়ে রোটেন থীওরী কাজে লাগালো।
মানে সব আমের মধ্যে একটা পঁচা আম রাখলে যা হ্য়।
স্বর্গের সব লোক পঁচে গেল। স্বর্গ হয়ে উঠল নরক।
কথা ঈশ্বরের কানে যেতে ঈশ্বর মিনমিন করে বললেন, তা নরক এক্সটেনশনের কাজ কদ্দুর?
কর্মকর্তারা বললেন, টেণ্ডার দিতে দেরী, চাঁদাবাজি, লালফিতার দৌড়াত্ম সব মিলিয়ে কাজ বন্ধ।
ঈশ্বর সব শুনে বললেন, তাহলে নরক এক্সটেনশনের কাজ বন্ধ করে দাও?
-তাহলে কি হবে? কর্মকর্তাদের আহাজারি।
-নরক আর ভূতপূর্ব স্বর্গে একটা ফ্লাই ওভার বানিয়ে দাও। ঈশ্বর বললেন।
-আর পৃথিবীতে খবর পাঠিয়ে দাও স্বর্গ আর নরক এর ব্যাপার যেহেতু আর নেই, তাই কাউকে আর কষ্ট করে ভালো কাজ করতে হবে না। যার যা ইচ্ছা করতে পারে।
কর্মকর্তারা বলল, হুজুর তার আর দরকার হবে না। ঐ দেশে সবাই যার যা ইচ্ছা করে....।
শুরুতে বলেছিলাম, ভেতরে কিছু থাকতে হয়। তো ঘটে মাল মশলা কিছু নেই, তাই কিছহু পারিও না। 'মাল' শুনে বরং একটা কথা মনে হল.. আমাদের গ্রামে সরিষাকে কথ্য ভাষায় 'মাল' বলে। তা সরিষার ভেতর ভূত কথাটার মানে কি? বাগধারাটা ভুলে গেছি।
এবার এই লেখা দেখে কি কেউ আমাকে অর্ধচন্দ্র দেবেন?
লেখা ভালো লাগছে গো আফা।
ধন্যবাদ গো রাসেল ভাই। আপনে লোকটা অনেক সহজ সরল আছেন..
চন্দ্র যদি কারো ব্যক্তিমালিকানাধীন বস্তু হইত , তাইলে দুই ফালি কইরা কাইটা এক ফালি মানে অর্ধচন্দ্র দিতে সক্ষম হইত । তবে সক্ষম হইলেও আজকাল কেউ কাউরে কিছু দিতে চায়না , মানে দান করতে চায়না , আর তো চন্দ্রের অর্ধেক !! তাই নিশ্চিন্তে থাকেন । খুবই ভালো থাকেন । লেখতে থাকেন ।
ভাই বিরাট একটা খাঁটি কথা বলছেন। থাকলেও আজকাল কেউ কাউরে কিছু দিতে চায়না।
এই যে আপনি পারলেও আমারে চন্দ্রের অর্দ্ধেক দিলেন না, সেইটা আপনি অবশ্য কৃপণ সে জন্য না। এইটা যে আপনার মহানুভবতা সেইটা আমার এই অল্পবিদ্যায়ও বুঝতে পারি।
আপনিও ভালো থাকুন।
সুন্দর লেখা ভাল লেগেছে । শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ ভাই তৌহিদ।।
ভালো থাকুন এবং শুভেচ্ছা।
হাজার জনে হাজার কয়,
তঅত বউয়ে কানত নলয় ।
ধন্যবাদ ভাই কাদের।
কানে নেইনা দেখেই তো এই দূর্মতি। যা খুশী তাই লিখে চালিয়ে দিতে চাই।...।
ইধার কা মাল উধার করাও ভালো লাগলো।
আপনার শরীরে অনেক দয়া গো বুবু।
তা আছেন কেমন? সব ভালো তো!!!
তোমাকে দেখে ভালো লাগলো।
ফেসবুকের নোটগুলোতে এখানেও শেয়ার করতে পারো
দারুন লিখেছো শাপলা। সত্যি ই এত সাবলীল ভাবে চমৎকার সব জটিল কথা সহজ ভাবে বললে। এভাবে পারা টা একটা বড় গুন।
আমি বিনীত জাহান।
লেখা মজারু হইছে 'অনামিকা' শাপলা আপু।
শামীম কেমন আছ?
আর বলো না, যেদিন "আমরা বন্ধুতে" রেজিস্ট্রেশন করি, সেদিন যে নামই দেই, বলে সেটাই নাকি ব্যবহার হয়ে গেছে। খুঁজে পাচ্ছিলাম না কিছু..তাই স হজ উপায়, দিলাম অনামিকা। কিন্তু সেটা যে সারাক্ষণ সাইন বোর্ডের মত ঝুলে থাকবে, সেটা তো আর জানতাম না..
সো আমি ভালো আছি।
মজা লাগছে লেখা পইড়া
এইটার সিক্যুয়েল দেখবার মন চায়!!
শাপলা'পু, নতুন লেখা কই?
বাহ, অদ্ভুত ভাল লিখেন, সেইরাম ভাল,
মন্তব্য করুন