কি আশায় বাঁধি খেলাঘর?
ছোটবেলায় সত্যজিত রায়ের একটা ছোটগল্পে পড়েছিলাম একটা বাচ্চা ছেলের কথা, গভীর দুঃখে যার হাতের তেলো নীলচে হয়ে যায়। ওই সময়টায় আমি ভাবতাম... আহা! আমার জীবনে কতো কষ্ট... বাবা-মা সারাদিন ঝাড়ির উপরে রাখে, আরো কি কি সব অদ্ভুত কষ্ট। আর এই মুহূর্তে আমি এমন একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি যে সামনে ধূ ধূ ফাঁকা জীবন। কষ্টের এমন অদ্ভুত অবস্থা যে মাঝে মাঝে মনে হয় ভীষণ বাজে একটা দুঃস্বপ্নের দুনিয়ায় আটকে আছি। সামনে একটা ইকোস্ফিয়ার... দেখতে কিউট... কিন্তু ওর ভেতরে চারটে জ্যান্ত চিংড়ি মাছ ঘুরে বেড়াচ্ছে... আমার মতো ওরা কি জানে ওরাও একটা অসীম চক্রে আটকে আছে... মরে যাবার আগ পর্যন্ত ওখানেই থাকবে?
কেন জানি আমার কারো সামনে কষ্টটা দেখাতে ইচ্ছে করেনা, নিজের স্টুপিডিটির দায় তো নিজেকেই নিতে হবে। মানুষ সামাজিক জীব বটে, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন সবাই থাকে আশে-পাশে... কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় মানুষ নিজের ভেতর ভীষণ নগ্নভাবে একা... ওই জায়গাটাতে কোন দেয়াল নেই ঢাকবার জন্য, কোন সুড়ংগ নেই লুকিয়ে থাকবার। জীবন নিয়ে কোন দার্শনিকতার বোধও আজকাল কাজ করেনা... আর এখনকার অস্থিরতার অনুভূতিটা দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা একটা আগুনের মতো। এমনও না যে এই যন্ত্রণার আগে আমি খুব আনন্দে ছিলাম। কিন্তু বার বার আমি আমার আশে-পাশের যা আছে তাই নিয়ে নিজেকে একটা মথবলের ভেতরে ঢুকিয়ে ফেলতাম, গুটিসুটি মেরে বসে ভাবতাম.. যাক বাবা! একটু বুঝি শান্তিতে থাকবো ক'টা দিন। কিসের কি? মনে হয় মাঝে মাঝে কেউ আমার সাথে কোন কঠিন পরীক্ষা পরীক্ষা খেলা খেলছে... ইমিউনিটি টেস্ট করছে... দেখছে যেন আমি কতোদূর নিতে পারি। আমিও দাঁতে দাঁত চেপে বসে থাকি... কেমন এক আজব উপায়ে আমি এর মধ্যেও আশান্বিত থাকি, ভীষণ নাইভ আর ছেলেমানুষিতা ভরা একটা হোপফুলনেস মনের ভেতরে ছড়িয়ে রাখি সবসময়ে। তা নইলে হয়তো কোন একদিন নিজেকে ঠুস করে সরিয়ে দিতাম দুনিয়া থেকে। মনের ভেতরে কেউ বলতে থাকে.. ''আর ক'টা দিন সবুর করো... হয়ে এলো প্রায়''। আজকাল প্রার্থনায় বসলে দেখি... এতো কিছু চাইবার আছে যে প্রায়েরাটাইজ করাটাই মস্তো ঝামেলার ব্যাপার। একেকবার মনে হয় কতোশতো ভুল করেছি জীবনে, সব মুছে আসি কোন একটা ইরেজার দিয়ে... আবার ঘুরেফিরে মনে হয় ভুলগুলো করে করেই না আজকের আমিটা'তে এসে ঠেকেছি, তা নইলে অন্য একটা মানুষ হয়ে যেতাম বৈকি।
স্বাগতম
যাউক টাইম হইলো তাইলে
হুমম.
স্বাগতম
মানুষ বার বার ভুল করবে, হোঁচট খাবে, আবার উঠে দাঁড়াবে... এটাই জীবন...
জানি ... তবে মাঝে মাঝে হাল ছেড়ে দিতে মনে চায়.
মাত্র দুই কি তিনদিন আগে খেলাঘর বইটা পড়লাম, এখনো মাথায় ঘুরতাছে। এর মধ্যে কি আশায় বাঁধি খেলাঘর...
স্বাগতম
মানুষ বার বার ভুল করবে, হোঁচট খাবে, আবার উঠে দাঁড়াবে... এটাই জীবন...
স্বাগতম।
মানুষ বার বার ভুল করবে, হোঁচট খাবে, আবার উঠে দাঁড়াবে... এটাই জীবন...
শুভেচ্ছা, স্বাগতম আনিকা ম্যাডামের আগমন।
যদিও বলছেন জীবন নিয়ে কোন দার্শনিকতার বোধও আজকাল কাজ করেনা, তবুও মনে হচ্ছে আপনি একজন দার্শনিক মানুষ। আপনার পথচলা আনন্দময় হোক। প্রচুর শুভেচ্ছা।
স্বাগতম।
আবার ঘুরেফিরে মনে হয় ভুলগুলো করে করেই না আজকের আমিটা'তে এসে ঠেকেছি, তা নইলে অন্য একটা মানুষ হয়ে যেতাম বৈকি
এই লাইনটার জন্য লেখাটা এতো ভালো লাগলো।
খুব ভালো লিখেছেন
ইরেজার দিয়ে যদি মুছা যেত ভুল গুলো তাহলে কত্ত ভালই না হতো.।অবশ্য এটা ঠিক যে ভুল করছি প্রতি মুহুর্তে আর শিখছি । আর কত শিখতে হবে?? কে জানে.।। হয়তো এটাই জীবন।
বা
কিছু বলার নেই । ভাল লাগল। ভাল থাকুন।
আপনাদের সবাইকেও আমার শুভেচ্ছা । ভালো খাকেন সবাই...
মন্তব্য করুন