Don’t know why
একবার একজনের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে এসেছিলাম। তারপর সেইজন আমাকে কত আনাচকানাচে খুঁজে বেড়িয়েছে, আমি সব খবর পেতাম, কিন্তু আর কখনোই তাকে ধরা দেইনি। এই আমিটা আমার খুব অচেনা। সাধারনত কারো প্রতি টান অনুভব করলে আমি সর্বস্ব বাজি রেখে আল্লাহর নামে চোখ বন্ধ করে দেই ঝাপ। ডিগনিটি, সেল্ফরেসপেক্ট, ফোরসাইট, জাজমেন্ট সব তখন আমাকে ছেড়ে গিয়ে দূরে দাঁড়িয়ে মজা দেখতে থাকে। যখন তারা ফিরে আসে তখন আমি মোটামুটি সর্বহারা। আগে ভয়ংকর রকম খারাপ লাগতো, এখন বুঝে গেছি আমার মনে অনেকগুলি বেইমান বাস করে। চাই আর না চাই এদের নিয়েই আমার আমৃত্যু থাকতে হবে। একবার মেনে নেয়ার পর সব সহজ হয়ে আসে, তাই খারাপ লাগার তীব্রতাও ধীরে ধীরে কমে এসেছে।
সেই একবারই পেরেছিলাম বাঁধনছেঁড়া টানটাকে উপেক্ষা করে দিনের পর দিন চেহারা স্বাভাবিক রেখে দৈনন্দিনতায় ব্যস্ত থাকতে। তখন আসলে আমি নিজের কাছেও প্রচন্ড অচেনা হয়ে উঠেছিলাম। হয়তো পরপর অনেকগুলি ধাক্কা
খেয়ে আর চারপাশের মানুষের মুখোশ খুলে পড়া দেখে কিছু একটা ঘটে গিয়েছিল ভিতরে। অনেক অনেক দিন পর যখন তার সাথে দেখা হল অনেক মানুষের ভীড়ে, আর সে কাঁদতে কাঁদতে তার অসহায়ত্বের বিবরন দিতে থাকলো, সেই বিহ্বল মূহুর্তটায় আমি বুঝে গেলাম আমি বোধহয় পৃথিবীর আর কারো প্রতি কোনদিন সেই প্রচন্ড টান অনুভব করবোনা। আর সেটার সম্পূর্ন দায় এই মানুষটার। জানিনা কেন, প্রচন্ড রাগ হয়েছিল। অথচ প্রতিবার ভেসে যাবার পর আমি অল্প একটু করে মরে যেতাম, শেষ পর্যন্ত পার খুঁজে পেয়ে যখন আমি উঠে আসতাম, তখন আমি একজন অসম্পূর্ন মানুষ। তারপরও মনে হয়, সেই বারবার সবকূল ভাসানো বন্যায় ডুবে মরে যাওয়াটাকেই হয়তো আমি সবথেকে বেশি ভালোবাসতাম।
মন্তব্য করুন