যদি কোনদিন
ইদানিং মনোসংযোগ করা খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে। অনেক চেষ্টা করেও কোন বইয়ে মন দিতে না পেরে ছোট গল্প পড়া শুরু করেছি। আমার জীবনে ছোট গল্প খুব কম পড়া হয়েছে। শেষ হইয়াও হইলোনা শেষ, এই ধরনের ব্যাপারগুলিতে আমার চরম অস্বস্তি। আমার সবকিছুতে ক্লোজার দরকার, নাহলে এতো অস্থির হয়ে থাকি যে বলার না। তবে এখন যেহেতু আমি বড়বেলা পার করছি, ছোট গল্প ভালই লাগছে। নিজেকে খুব বেশি কোথাও নিচ্ছিনা বলে টের পাচ্ছিনা পরিবর্তন আরো কতো কতো জায়গায় ঘটে গেছে। তবে খারাপও নেই, ভালও নেই, এই হলো বর্তমান স্টেট অফ মাইন্ড।
কাল রাতে এক চাইনিজ লেখকের গল্প পড়ছিলাম। শেষটা ভাল লাগেনি কারন একটু সামাজিক সিনেমা সিনেমা হয়ে গিয়েছিল ব্যাপারটা। তবে শেষের আগ পর্যন্ত খুব ভাল লেগেছিল। সেই গল্পের একটা প্রধান চরিত্র ওরিগামি। আমার মনে পড়ল আমি এক সময় দিনরাত কাগজের সারস বানাতাম। সেইসব প্রকৃত সারস বহুদিন হল উ্ড়ে গেছে কোন একটা শীতমন্ডলীয় দেশে। আমার বাক্সে পড়ে আছে সেইসব দেশগুলো থেকে কুড়িয়ে আনা অনেক অনেক রংচঙে, চকচকে চৌকো কাগজ। বাক্সগুলিকে তুলে রেখেছি সবচে উপরের তাকে, প্রতিদিন সেগুলির উপরে একটু একটু করে ধুলো জমতে দেখি আর ভাবি, আবার কোনদিন আমার হাতে কোন এক টুকরো কাগজ কয়েকবার ভাঁজ হয়েই একটা রঙীন পাখি হয়ে যাবে। আমি কখনোই তাদের গুণে রাখিনি, গোনাগুনতির কাজে আমার চিরকালের অনীহা। তবে প্রতিটা পাখির কাছেই আমার অস্তিত্বের একটা করে টুকরো থেকে গেছে। কারো কারো কাছে খুব বড়সড় টুকরো রয়ে গেছে। কে জানে হয়তো অপ্রয়োজনীয় ভার জীবন থেকে ঝেড়ে ফেলতে কেউ আবার সেটা ছুড়ে ফেলেছে আস্তাকুড়ে।
আমার আসলে মনে কোন একটা ব্লক হয়েছে। কি সব হাবিজাবি লিখে যাচ্ছি তো যাচ্ছি, অর্থহীন বকবকানি সব। এইসব ফ্যাঁচফ্যাঁচে সিউডো-কবি মার্কা লেখা তো আমি না। আশা করি খুব শিগ্গির নিজের মতো লেখা আবার লিখতে পারবো।
খুবই ভালো অসুখ হইছে, এটা আরও ছোঁয়াচে হোক।
মন্তব্য করুন