Dancing in the dark
এবার সাহিত্যে নোবেল পাওয়া আনি এর্খনো-য়ের লেখা একটা বই পড়া শুরু করেছি। খুব বেশিদূর পড়ে উঠতে পারিনি, তবে এরমধ্যেই একটা ভাল লেখা পড়ার যেই ঘোর, সেই ঘোরে পড়ে গেছি। গভীর প্রেমের গহীন বিষাদ, আকর্ষন, অবসাদ, মোহ, অপেক্ষা, শুধুমাত্র কুলছাপানো আবেগ না - তীব্র শরীরি চাওয়া তাও কতো অনায়াসে - যা শুধু মেয়েরাই জানে, আর সেটা আমি বুঝলাম কারন হতবাক হয়ে আবিষ্কার করলাম এই গল্পটা আমি যাপন করে এসেছি, আর এই গল্পটা আরেকটা মেয়েই লিখেছে। কি অদ্ভুত! মনে হচ্ছে কুন্ডেরা পড়ছি, কিন্তু এবার কোন ব্যাটা লিখছে না, লিখছে আমার জীবন যাপন করা একজন, তাই সেটা একদম অবিকল আমার ডায়েরির পাতার মতন যেন। নোবেল কমিটির একটা জাপটানি প্রাপ্য আমার থেকে, একে পুরস্কার না দিলে এর নামও জীবনে জানা হতো না।
অপেক্ষা আসলে একটা আজব ব্যাপার। আর সেটা যদি হারিয়ে ফেলা কিছুর জন্য হয়, তাহলে তার মধ্যে একটা অলৌকিকতা আরোপ হয়ে যায়। আমরা জানিনা কোনদিন হারিয়ে ফেলা কাউকে বা কোন সময়কে আবার ফিরে পাওয়া যাবে কিনা, কিন্তু মনের কোণায় সেই প্রতিক্ষাটাকে জিইয়ে রাখার একটা প্রাণপণ চেষ্টা করে যেতে থাকি। হয়তো আবার, কোনদিন, হঠাৎ কোথাও! আমার জীবনে থাকা ভয়ানক গুরুত্বপূর্ন একজন মানুষকে হারিয়ে ফেলেছি কিছুদিন আগে। সে চলে যাওয়ার আগেও বুঝতে পারিনি সে কতটা গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠেছিল আমার গত কয়েক বছরের এই ডরম্যান্ট (এর কাছাকাছি মানে হলো সুপ্ত, কিন্তু আমি ঠিক সুপ্ত বুঝাচ্ছিনা) জীবনে। সেই মানুষটার জন্য আর কোন প্রতীক্ষা নেই, প্রতীক্ষার যেই কুঠুরিটা, সেইটাকে বগলদাবা করেই লোকটা চিরতরে আমার জীবন থেকে বিদায় নিয়েছে। কিছুটা আনফেয়ার, কারন এরকম হুট করে কারো চলে যাওয়া একদম ঠিক না। কিন্তু কেউ চলে যেতে চাইলে তাকে যে আটকে রাখা যায়না, বহু হৃদয়ভাঙা অভিজ্ঞতার পর সেটা আমি অনেকদিন হলো শিখে গেছি। তবে হৃদয় খানখান হয়ে কয়েক মিলিয়ন টুকরা হওয়াটাকে আটকানো শিখতে পারিনি এখনো। আগে অনেক চেষ্টা করতাম, এখন অনেক বুড়ো হয়ে গেছি, এগুলিতে সময় দেয়ার কথা ভাবলেই অনেক অনেক ক্লান্ত লাগে। এর থেকে বরং একটা বইয়ে মুখ গুঁজে বসে থাকা ব্যাপক আরামের।
বইটার নাম কি?
মন্তব্য করুন