শব্দ তোমরা ক্লান্ত করেছো খুব
একটা দুর্ঘটনাময় সপ্তাহ গেল।
ল্যাপটপের কিবোর্ড একা একাই অনেক কিছু লিখতে শুরু করলো, কিবোর্ড পাল্টে আনার পর থেকে ব্লুটুথ মাউসটা ঝামেলা করা শুরু করলো, সে আর সহজে সংযুক্ত হতে চাচ্ছেনা। প্রতিবার অন করার পর ল্যাপটপ ব্লুটুথ আর মাউসের মধ্যে একটা সমঝোতা চুক্তি সাইন করাতে হয় বেশ কয়েক মিনিটের আলোচনা সভার মাধ্যমে। এর মধ্যে তিনটা সাবমিশন ছিল, এইসব যন্ত্রণায় একটা কোনমতে পার করতে পারলেও বাকি দুইটা বাদ দিতে হলো।
গত চার বছরের নিত্যসঙ্গী চশমাটা কয়েকদিন আগে বালিশের নিচে চাপা খেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট। অন্তত তাই ভেবেছিলাম। বিষয়টা যে সাময়িক না, সে যে আমাকে ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছে সেটা টের পেলাম তাকে হসপিটালে নিয়ে। মহাবিপদ যাকে বলে - এই ফ্রেম ছাড়া অন্য কোন ফ্রেম আমার ক্ষুদ্র মাথায় আঁটেনা বলে বিভিন্ন সময়ে ফ্রেম পাল্টানোর চেষ্টা করলেও কোন লাভ হয়নি। এখন যেই ফ্রেম নিতে হলো সেটা অবধারিত ভাবে কিছুটা বড়। এখনো হাতে পাইনি, চোখ কুঁচকে মাথা ব্যথা নিয়ে দৌঁড়াদৌঁড়ি করে যাচ্ছি, আর ভয়ে আছি নতুন পার্টনারের সাথে নতুন জীবন কেমন হবে সেটা নিয়ে।
আরো আছে, গত এক সপ্তাহে অসংখ্য মানুষের সাথে বাধ্যতামূলক সৌজন্য সাক্ষাত করতে হয়েছে, যার ফলে আমার শারিরীক আর মানসিক শক্তি ১%-এ নেমে এসেছে। সেই ঘটনাগুলি আর উপলব্ধিগুলি পরে কোনদিন লিখবো।
তারপর একটা ইংরেজি ব্লগ আছে আমার। সেখানকার লেখা এখানে ড্রাফট করেছিলাম। ভুলে গিয়েছিলাম যে এখানে সবকিছুই সবার জন্য উন্মুক্ত। কি একটা বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা! এখানে মনে হয় মডুরা আর নাই। পুরাই এ্যানার্কি! জনসংখ্যা সংকটে এ্যানার্কিটা ঠিক চোখে পড়ছে না আর কি।
যাকগা, সাড়ে ছয়টা বাজে, এখন ঘুমাতে যাই।
ইংরেজি ব্লগের লিঙ্ক দেন তো পড়ে দেখি।
মন্তব্য করুন