We're after the same rainbow's end
মাঝে মাঝে চারপাশটা কেমন অদ্ভুতুরে হয়ে যায়। ব্যাখ্যার অতীত কিছু ঘটনা একের পর এক ঘটতে থাকে, একটা আপাত নিস্তরঙ্গ জীবনকে একদম ভ্যাবাচ্যাকা ধরনের ওলটপালট করে দিয়ে।
বেশ কয়েকদিন ধরে আমি চেষ্টা করছিলাম অনেক পুরানো একটা আমি-র সাথে যোগাযোগ করতে। আমার গান শোনার একেকটা পর্যায় থাকে, জীবনের বিভিন্ন পর্বের সাথে বিভিন্ন গান একেবারে লেপ্টে থাকে। তো এবার একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ের গান কয়েকদিন টানা শোনার পর একটা অতি আজব ব্যাপার হলো। হঠাৎ করে গানগুলি একসাথে হয়ে একটা পোর্টাল তৈরি করে ফেললো। পোর্টালের ওইপাশে গিয়ে দেখি পুরোন একটা অসম্ভব আনন্দের সময়ে পৌঁছে গেছি। তবে তারপর যেটা ঘটলো সেটা আজব বললেও আন্ডারস্টেটমেন্ট হবে। আমি আর ফেরার পথ খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তারপর...
লিখতে লিখতে টের পেলাম কি পরিমান মাথা খারাপ ধরনের কথাবার্তা এগুলি। এটাই কি আমার বুড়ো হওয়া? মাথা খারাপ বুড়ি?
যাক, ওই অভিজ্ঞতার বর্ননা লেখার প্রয়োজন নাই। তবে শেষ পর্যন্ত অর্ধেকটা ফিরে আসতে পেরেছি, অর্ধেকটা এখনো ওই সময়েই রয়ে গেছে। তার মানে আমি এই মুহুর্তে আধখানা হয়ে আছি। কি হাস্যকর!
পুরোন আমিটার সাথে কেন যোগাযোগের চেষ্টা করছিলাম সেটা বরং বলি। আমি মনে হয় জীবনের সর্বোচ্চ আনন্দময় সময়েও একটা চোরা বিষন্নতা বুকের মধ্যে বয়ে নিয়ে চলতাম। আমার পার করা সময়গুলিতে যারা আমার সাথে ছিল, তারা এখন মোটামুটি সবাই পৃথিবীর বিভিন্নরকম প্যারা খেয়ে সিস্টেমে ঢুকে পড়েছে, সবাই এখন অন্য মানুষ। আমাকে এই কঠিন সিস্টেম এখনো বাগে আনতে পারেনি, কিন্তু প্রতিদিন একটু একটু করে ভিতরটাকে মেরে ফেলতে পারছে খুব সাফল্যের সাথে। তাই ভাবছিলাম এমন কোন সময়ের কথা যখন আমি খুব আনন্দে আর নিশ্চিন্ততায় ছিলাম। সেটা জীবনে বোধহয় একবারই ছিলাম, তাই সেখানেই নিয়ে হাজির করলো এই আজব পোর্টাল। পুরাই স্ট্রেইন্জার থিংস ইন্সপায়ার্ড এক আচমকা বিদঘুটে ঘটনা ঘটায় দিল আমার ব্রেইন। আমি এখনো একটু বিভ্রান্ত আর তব্ধা খাওয়া অবস্থায় আছি। এখন এই আধখানা আবছা আমিটা নিয়ে কি করি আর কই যাই?!
গান খুবই শক্তিশালী জিনিস।
মন্তব্য করুন