কিছু শুনছিনা এখন
আসলে তো সবকিছুই শেষ হয়। সেটা কি আমি জানতাম না? জানি বলেই তো পৃথিবী এতো ক্লান্তিকর লাগে।
স্মৃতি হলো শীতকালীন বৈকাল হ্রদের মতোন। পর্যাপ্ত গরম কাপড় পরেটরে, গরম কফির ফ্লাস্ক নিয়ে একটা সুবিধামতোন জায়গা খুঁজে নিয়ে বসে ওর লক্ষ বছরের জমিয়ে রাখা গল্প শুনতে বেশ আরাম, কিন্তু তার বিভিন্ন কোণে কি আছে সেটা ভালোমতো দেখার জন্য পা বাড়ালেই পথ হারিয়ে অতল গহীনে ডুবে যাবার আশঙ্কা। ঠিক নানুবাড়ির বড় পুকুরটার শিকল দৈত্যের মতোন, এক টানে একেবারে ম্যারিয়ানা ট্রেঞ্চের তলদেশে। দম আটকে মরে যাওয়াটা ভয়ের না। তবে ফেরার পথ না পেয়ে অজানা জগতের সদস্য হয়ে যাওয়াটা ভয়ংকর। আর আমি তো খুব ভাল জানি সমস্ত অজানাকে কেমন ভয় আমার।
একটা ট্রিপি ফেইজ শেষে আবার সেই মানডেইনে ফিরে আসা। দাঁতে দাঁতে চেপে আরেকটা তুচ্ছাতিতুচ্ছ দিন পার করা। চারপাশে এতো খুশি খুশি মুখ দেখে আবারো অবাক হওয়া। ওরা কি জানেনা জীবনটা ওদের থোরাই পরোয়া করে? নাকি জেনেও ওরা এতো আনন্দে থাকতে পারে? খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ওদের চকচকে হাস্যোজ্জ্বল মুখগুলো দেখি, চোখ সরু করে তাকিয়ে থাকি ডাইনি বুড়ির মতোন, কিন্তু ওদের আমি কিছুতেই বুঝতে পারিনা, ওদের থেকে কয়েক হাজার আলোকবর্ষ দূরে আমার বসবাস। এইসব খুচরো আলাপ, মেকি হাসি, জীবনকে ভালবাসার অভিনয়, চারপাশে জীবনকে আকন্ঠ ভালোবেসে ফেলা লোকজনের কোলাহলের মধ্যে বসে ভাবি, আজকে যদি পৃথিবীর শেষ দিন হতো, আমিও বোধহয় এদের মতোই খুশি হতে পারতাম।
মানুষ, তুমি এতো নয়জি কেন মানুষ?
কি বিষন্ন!
মন্তব্য করুন