ছিল মর্ম বেদনা গাঢ় অন্ধকারে
পয়েন্ট অব ভিউ বা ফিলোসফি অব লাইফ যেইটাই বলেন না কেন জিনিস টা বড়ই মারাত্মক... বান্দর ক্যান চাইর পা ছাইড়া দুই পায়ে দাড়ানোর চেষ্টা করল? কেউ কইতারেন এইটাই তার কপাল... হ, বস আপনেরটাও একটা পয়েন্ট অব ভি্উ। আবার কেউ কইতারেন চাইর পায়ে থাকলে বান্দরের বল্স গুলা ইনসিকিউর অবস্হায় থাকে তাই বিচি বাচাইতে বান্দর দুই পায়ে দাড়াইছে... আরে বস আপনেরটা তো আরো বস পয়েন্ট অব ভিউ। মাসুদ রানায় পড়ছিলাম (আমার পড়াশোনার দৌড় ঐ পর্যন্তই... ) রানা কইতাছিল মানুষ মারা গেলে কেউ কইতারে বেহেশতে যায়, আর কেউ কইতারে সাড়ে তিন হাত মাটির নীচে যায়; দুইটাই পয়েন্ট অব ভি্উ। রানা ব্লগাইলে ব্লগ কাত কইরা ফেলত সন্দেহ নাই...
রেড ইন্ডিয়ান রে দেখতাম চটি বই পড়তে বসলেই কতখন পর পর আহা উহু কইরা আওয়াজ দিতেছে। মাঝে মাঝে আমাদেরে ডাইকা নিয়া দুয়েকটা লাইন শুনায়া দিত; দিয়া কইত ''দেখছস কি ইমেজারি; দেখছস কি উপমা''। এইটাও একটা ওয়ে অফ লুকিং এট চটি গল্প। রেড ইন্ডিয়ানের এই আহা উহু উচ্ছাস দেইখা খেয়াল করলাম চটি লেখা সোজা কথা না। সেই চিরাচরিত জিনিস নিয়া একের পর এক লেখা লেইখা যাওয়া , পাঠক রে ধইরা রাখা... সোজা কথা না... এর জন্য দরকার একের পর এক ইন্ট্রেস্টিং দৃশ্যপট খাড়া কইরা দেয়া... আ ব্লিতসক্রেইগ অব সিমিলিঝ এন মেটাফরস... একটা ভিডিওচিত্র রে লেখায় তুইলা ধরার চেষ্টা... শেলডন যেমন বলছিল, ''ইট রানস অন দ্য মোস্ট পাওয়ারফুল গ্রাফিক্স চিপ অন আর্থ- ইমাজিনেশান''... চটি লিখতে গেলে একজন রাইটার রে প্রবল রকমের ইমাজিনেটিভ হয়া উঠতে হয় শব্দচয়ন, রুপক নিয়া... এইসব ঢিমেতাল ''কমলার কোয়াসম ঠোট'' টাইপের ভাষা নিয়া চটি হয়না... পাঠক রা নতুন নতুন উপমা চায়... না পারলে রফিক আজাদের ভাষায় ''অনভ্যস্ত পাঠক ওতে হিসু করে দেবে''...
''তোমার মুখের দিকে তাকালে এখনও
আমি সেই পৃথিবীর সমুদ্রে নীল,
দুপুরের শূন্য সব বন্দরের ব্যাথা,
বিকেলের উপকন্ঠে চিল ,
নক্ষত্র রাত্রির জলযুবাদের ক্রন্দন সব-
শ্যমলী করেছি অনুভব।'' ... জীবনানন্দ দাশ চটি লিখলে শাইন করতেন আমি নিশ্চিত... কি কইতে কই গেলাম...
ঐদিন দোকানে কাস্টমার সার্ভ করতাছি তখন দেখি এক লোক তার সাথের জনরে বলে ধূর এইটা কোন কথা হইল... জীবনে প্রচুর টাকা পয়সা থাকবে... পুলাপান বড় হইয়া টাকার জোরে পুংগা হইব... তাতে বংশের নাম চারদিকে ছড়াইব... এই এখনকার ফকিরা জীবন এইটা কোন জীবন হইল... এইটাও একটা পয়েন্ট অব ভিউ...
মোস্তফা জব্বার আর অভ্র নিয়া প্যাটেন্ট বিষয়ক হাউকাউয়ে ব্লগ তখন চরম অবস্হায়... আমি মনে মনে জাব্বু আংকেলের সাইডে, ফ্রম আ লিগ্যাল পয়েন্ট অব ভিউ... ঐদিকে অচিন দা তার এক উকিল ফ্রেন্ডরে কল দিলেন ব্যাপারটার আইনী জোর জানতে... অচিনদা নিজেও জাব্বু আংকেলের সাইডে... অচিনদা উকিল দোস্তরে তার পয়েন্ট টা বুঝহাইতাছেন এই কয়া যে জাব্বু চাচার কাছে লিগ্যাল প্যাটেন্ট আছে... তার উকিল ফ্রেন্ড উইঠা কইল ''লিগ্যাল হইলেই যে মানতে হইব এমন কোন কথা আছে? একাত্তরে তুই থাকলে তো জামাতি হইতি রে''... ল্যাবএইডের ফুচকার আড্ডায় ঘটনার বর্ণনা দিয়া অচিনদা একটা ধরা খাওয়া হাসি দিছল... আর আমি মনে মনে কইতাছিলাম বাহ হোয়াট আ পয়েন্ট অব ভিউ...
জেবীন জিগাইতাছিল ব্লগাই না ক্যান? তারে কইলাম অহন আর ব্লগানির মুডে নাই... লাইফের কাছ থিকা এত এত শিখতাছি যে তব্দা খায়া বইসা থাকি... একটু ধাতস্হ হবারও টাইম পাইনা... তার আগেই নতুন শিক্ষা পর্ব শুরু হয়া যায়... এই দুই এক বছরে এত এত জিনিস শিখছি যা সারা জীবনেও শিখি নাই... জীবনের বড় একটা ''কিম আশ্চর্যম'' ভান্ডার যে এখনও অবারিত হয়নাই আমার চোখের সামনে তা কয়েক বছর আগেও আমার জানা ছিলনা... এখন দেখতাছি এইটা বিশাল এক খেলার মাঠ... দর্শক হয়াই কূল পাইনা... প্লেয়ার হিসেবে তো ডডনং...
ঐদিন দোকানে বইসা বইসা টাকা গুনি তখন এক লোক আইসাই কইল ''আইচ্ছা বাই, মাতাত জিলকাইলে যে পুটকি বায় ঢুকাইন অতা এখটা দেউক্কা'' শুইনাই আমি টাসকি... আমার মুখভংগি থিকা ফুইটা বাইরাইতাছে ''হো্যাদ্দা ফাক ওয়াঝ দ্যাট'' টাইপের একটা এক্সপ্রেশান... অনেকটা স্বাভাবিক ভাবেই বাইরায়া আইল , '' জ্বি কি বললেন বুঝলাম না''... সে আবার কইল, ''মাতাত জিলকাইলে যে পুটকি বায় ঢুকাইন অতা এখটা দেউক্কা''... আমার তখন বজ্রাহত অবস্হা... মানুষের ল্যাংগুয়েজ যে এখনও এইরকমের ক্রুড অবস্হায় আছে তা আমি কিরকম যেন ভুইলাই গেছলাম... রাস্তা ঘাটে এইরকম শুনিনা কতযুগ হয়... চাচা দেখলাম খুব নির্লিপ্ত ভংগীতেই জিগ্যেস করল বাচ্চাদের সাপোজিটরি, নাকি বড়দের জন্য? আমি যেন আমার পাশে দাড়ায়া থাকা এক গৌতম বুদ্বরে দেখতে পাইলাম ... তার কোন কিছুতেই কিছু যায় আসে না... এত নন-শ্যালান্ট... যেনবা নির্বাণ লাভ করছে...
সিলেট গেলে আব্বার কাছে এই গল্পটা পাড়লাম কথাচ্ছলে... ঠিক অভিযোগ না, রাদার আমি আজকাল কি সব দেখতাছি তা শেয়ার করাই ছিল উদ্দেশ্য... আব্বা আমার কথার টোন শুইনা আমার মনোভাব আচ করতে পারছিল... সে বলল দেখ তুমারে এত পড়াশুনা করাইলাম কিসের জন্য? আমরা কি পড়াশুনা করলাম মানুষরে জাজ করার জন্য? নাকি পড়াশুনার লক্ষ্য ছিল সমাজে আরও ভালোভাবে চলতে শিখা, কম্যুনিকেট করতে শিখা? তার লেভেলে তার সাথে কম্যুনিকেট কর... এই জন্যই তো এত পড়াশুনা... আরেকজনরে জাজ করার জন্য তো স্কুলে পাঠাই নাই... সেই রাইট-ও তুমার নাই... সাধে কি বলি পয়েন্ট অব ভিউ ক্যাচাইল্লা জিনিস?!!এই শুইনা আরেকদফা টাসকি খাইলাম... আরে তাইতো..।
আব্বার দিকে তাকায়া বুঝলাম বিশাল এক গৌতম বুদ্বের সামনে বইসা আছি... নিজেরে নাদান মনে হইতাছিল... এই লোকতো পুরা নির্বাণ লাভ কইরা গোখরা সাপের মত ফণা তুইলা বডি রে ছয় প্যাচ মাইরা ''খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে হে বিরাট-অ শিশু আনমনে'' এই মেজাজে আরামসে চারদিক অবলোকন করতাছে... সে আর এই সিস্টেমের পার্ট না... এই পুরা জগত-জীবনরে সে সিস্টেম হিসেবেই দেখতাছে... কারো প্রতি আক্রোশ, ক্ষোভ, ভালোবাসা এইগুলা দেখানোর জন্য সিস্টেমের যতটুকু অংশ হওয়া লাগে সে মনে হয় সেইটায় আর নাই...
আচ্ছা, এই যে বেচে থাকা, প্রজনন, অপত্য স্নেহ, এর সবই কি তার কাছে এখন পারট অব দ্য গেইম বইলাই মনে হয়??? এখন আমার চোখ শুধু ভবিষ্যতের দিকে... আমি ওয়েইট করতাছি হোয়েন আই টার্ন ফিফটি এইট... আমি শুধু দেখতাম চাই এই নির্লিপ্ত ভংগী টা কি বয়েসের, নাকি তার ব্যাক্তিগত?
রখস-এ-বিসমিল
সামুযুগে আমার প্রিয় এক ব্লগার আখসানুল/হাল্ক ছিল মর্মবেদনা গাঢ় অন্ধকারে নামে ব্লগ সিরিজ চালু করছিল... তারপর আর খোজ নাই... তার ঐ সিরিজটার শিরোনাম আজকাল খুব মনে পড়ে... তাই...
মামা, চিন্তায় ফালায়া দিলি ...
এইটা কি রেজওয়ান?
পয়েন্ট অব ভিউ সত্যিই বিচিত্র, নানা জনে নানা রূপে বিরাজমান।
ভাল লাগল আপনার লেখা।
আপনের পয়লা কমেন্ট আমারেই.।
বাহহহ...
পয়েন্ট অফ ভিউ আসলেই ভেজাইল্যা জিনিস। কিন্তু কওতো, কুনটা জরুলী? নির্বান লভিয়া নির্লিপ্তি? নাকি নির্বান লভিবার পরেও ইনভল্ভমেন্ট? আমি নিজে খুবই কনফিউজড থাকি এই জিনিস্টা লইয়া।
এমনিতে জিগাইলে নির্বাণ লাভ করিয়া ইনভলবমেন্টরেই বড় বলা যায়... হাওরের মাঝখানে সাধনা ইজি মাগার ভীড়ের মাঝে হারায়া যাওয়া কঠিন কিনা... মাগার জরূলী কুন্টা জিগাইলে কঠিন হয়া যায়... যার জিহ্বায় যেইটা রুচে এই কয়া মাঝপথে খাড়নোটাই সেইফ... কিন্তু এইযে নির্লিপ্তি... এই stoic calm এইটা আমারে ছাগল বানায়া ফেলে... হয়ত ক্ষনিকের তরে এইটা এচিভ করা যায়... মাগার এইরকম স্টয়িক গগলস পইরা ফেলা... কঠিন.. কঠিন... করতে পারলে আর কষ্ট কইরা মানস সরোবরে সাধনায় বসা লাগেনা...
কিন্তু নির্বান পাওন মানে কি? সব কিছু থেকে নির্লিপ্ত হয়ে যাওয়া, এইটা কেমন তর জিনিস, বুঝে আসে না, গৌতম বুদ্ধ ভালো, কিন্তু সবকিছু থেকে নিজেরে সরায়ে ফেলা ব্যপারটা ধরতে পারি না আসলেই।
স্টটিক কাম , বুঝায়ে বলেন
কোনো কোনো ক্ষেত্রে হয়তো তোমার স্টয়িক কামনেস কাজে আসে। যেমন তুমি উদাহরণ হিসাবে সাপোজিটরী সেল করনের কথা কইছো সেইখানে সাথে হয়তোবা আরো বড় ক্ষেত্রেও। কিন্তু ধরো যে একে একে সবাই এই স্টয়িক কাম স্টেটে পৌছানো শুরু করলো, তখন? তখন কি একটা জাতির পতনের টাইম হইয়া যায় না? ফুল একটা জেনারেশন, পুরাই চুপচাপ। কোনোকিছুতেই কোনোরকম আগ্রহ নাই, অংশগ্রহন নাই; এদিকে সবরকম এনোম্যালী বাড়তেছে। এই অবস্থাটা একটা স্টেলমেট সিচুয়েশন হইয়াই থাকবো না কেউ একজন এই নিস্পৃহ অবস্থা ভাইঙা বের হইবো? কি মনে হয়?
নাহ... পুরা একটা জেনারেশান স্টিসিঝমে ''ভুগা'' শুরু করব এইটা মনে হহয় হইবো না... যদি হয় তাইলে লাইফ টা লেস কালারফুল হয়া যাইব...
পয়েন্ট অফ ভিউ- আসলেই ভয়ঙ্কর জিনিষ.. আপনের কাছে যা মহা দুষ্ট আমার কাছে তাহাই হইতে পারে চরম মিষ্ট
... কি ভ্যাজাল.. 
হ.. তয় কথা হইল আমার ডায়াবেটিস নাই বিধায় বেশিরভাগ জিনিস-ই মিষ্ট মনে হয়
ঠিক আছে।
আইচ্ছা
ওতো ভাইবা কাজ নাই। যত মত তত পথ!
যত মত তত পথ... পথের সংখ্যা পথিক থিকা বেশী..।
পারসেপশন আর পয়েন্ট অফ ভিউ সব ঠিক করে দেয়...
~
হ...
বহুদিন পর তোমাকে ব্লগে দেখা গেলো
দিনকাল যায় কেমন? কত কি শিখতাছ! এসবই লিখতে তো পার, আমরা তোমার খোঁজ খবর পেতে পারি।
ডুব দিছলাম... ছেলেখেলা ভাবতাম সবকিছুরে... অহন আর ভাবিনা তাই ফটর ফটর করতে ভয় পাই
ভাবনার কথা।
ভাবতে থাকেন
যার যার ভাবনা তার তার আসলেই, কেউ চোখে দেখে ভাবে একরকম, অন্যপক্ষ যে তার উল্টাই করতে চাইছে, এমনি থেকে কত্তো গেঞ্জাম লাগে/লাগছে/লাগবে।।
আরে দেখলানা জীবনানন্দ কি সুন্দর একের পর এক দৃশ্য রচনা কইরা গেল লাইন গুলায়... পীস ছিল এক খান...
ম্যালা জ্ঞান আহরোণ করলাম।
গ্যানী ভাই আমার
এইবার একটা জ্ঞানের কথা কই। রবি কাকু কিন্তু লিখেছিলেন - 'ছিলো মর্ম বেদনা ঘন অন্ধকারে'
ঠাকুর চাচা যাই বলুক আমার টা ডাইরেক্ট আখসানুলের কাছ থিকা ধার করা
...
অনেক দিন পর লিখলেন, আর ডুব দিয়েন না প্লিজ।
রখস-এ-বিসমিল মানে কি?!
ডুব অটোমেটিক হয়া যায় ভাইটি... না চাইলেও
... রখস-এ-বিসমিল এর মানে ঘুইরা ফিইরা ঐ ''ছিল মর্মবেদনা গাঢ় অন্ধকারে'' ই হয়... 
ফাটায়া ফালাইছ। লেখা চরম লাগছে।
আমি তো এই বয়সেই ইনডিফরেন্স হাসেল করছি। নির্বান লভিয়াছি, তয় ইনভল্ভড থাকি, ইনভল্ভড না থাকলে মজা লওয়া যায়না, আমি ইনভল্ভড বাট ইনডিফরেন্ট। প্যাসিফিস্ট এনার্কিস্ট টাইপ আর্কি। উপরে এটাচড, আসলে ডিটাচড এই আত্মিক অবস্থানের বিকল্প নাইক্কা।
দেশে আইতাছি ইনশাআল্লাহ, ঢাকায় থাকলে আওয়াজ দিও, আড্ডামুনে।
উপরে এটাচ্ট বাইরে ডিটাচ্ট এইটার আসলেই বিকল্প নাই... ইনডিফরেন্স আমারও হাসেল হইছে... মাগার মাঝে মাঝে এমন সব কাজ করি দেইখা আমারি আাবার সন্দো জাগে... তয় মামু যাই কও না ক্যান দুনিয়ার কিছু জিনিস থিকা শত চায়াও মন উঠাইতে পারিনাই
শংকরের মতো বই লিখতে পারবা দোকানের অভিগগতা নিয়ে
পোস্টেই কইছি আমার দৌড় মাসুদ রানা পর্যন্তই
মন্তব্য করুন