সিএনএন ও বিবিসি মিথ্যাচারের শিকার
সিএনএন আই রিপোর্ট (ireport) একটি রিডার অপিনিয়ন পেইজ। প্রি- স্ক্যানিং ছাড়াই যে কেউ তাঁর মতামত সিএনএন আই রিপোর্টটে পোস্ট করতে পারে। অথচ প্রথম আলোতে কমেন্ট পোস্ট করতে গেলেও স্ক্যানিং হয়। প্রকাশ যোগ্য হলে তারপর পোস্ট টি প্রকাশ করা হয়। সিএনএন আই রিপোর্টে এমনটি হয়না। হেফাজতের উপর রাতে অভিযানের ফলে ৩০০০ নিহত হয়েছে বলে যিনি দাবি করেছিলেন সেই পোস্ট কারি ছিল pseudonymous. ছদ্ম নামটি ছিল খুব সম্ভবত ভোরের পাখি। আর এটির উপর ভিত্তি করে দেশের বুঝনাদার, সেমি বুঝনাদার ও নন বুঝনাদার সবাই এইটাকে সিএনএন এর নিউজ হিসাবে চালিয়েছেন। এই রিডার অপিনিয়ন টিকে রেফান্সে হিসাবে ব্যবহার করে বলা হচ্ছে ,৩০০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। সবচেয়ে ফানি বিষয়, বিএনপির হাই কমান্ড মধ্যে গবেষকদল বিভিন্ন পরিসংখ্যান সফটওয়ার নিয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে একটি অগ্রহণযোগ্য মিথ্যাকে সত্য হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার কি যে প্রচেস্টা। মূর্খ অথবা মিথাবাদি অথবা প্রতারক হিসাবে বিএনপির যে সব বুদ্ধিহীন প্রানি বগর বগর করেছেন তাদের মধ্যে এমকে আনোয়ার , শামসুজাম্মান দুদু, জয়নুল আবেদিন ফারুক, সাদেক হোসেন খোকা সহ অনেক। তবে কমপ্লান বয় মির্জা ফখরুল শ্রী ঘরে থাকায় এই বিষয়ে উনার পরিসংখ্যান গত বিশেষজ্ঞান থেকে জাতি আজ বঞ্চিত।
এখানে উল্লেখ্য যে বর্তমানে এই পোস্টটি সিএনএন আই রিপোর্ট গাইডলাইন না মানার কারনে রিমুভ করা হয়েছে। http://ireport.cnn.com/docs/DOC-96840
বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আমাদের খোকা বলেন, ‘এ কুরবানি ব্যর্থ হতে পারে না। আগামী দিনে একদিন না একদিন হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের ঢাকায় এনে, দাবি পূরণ করে হাসিমুখে ফেরত পাঠানো হবে।’ তিনি দাবি করেন, বিদেশি সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, গত রোববার তিন হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। প্রথম আলোর লিংকটি নিচে দেওয়া হল।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-05-07/news/350389
যখন অভিযানটি পরিচালিত হয়, বিবিসির কাদের কল্লোল ছিলেন পুরুটা সময় ধরে। তাঁর একটি প্রতিবেদন “যেভাবে খালি করা হলো শাপলা চত্বর” বিবিসি বাংলা পেইজে আছে। তিনি কিংবা বিবিসি কি কোথাও লিখেছেন যে এই অভিযানে ৩০০০ নিহত হয়েছেন? উত্তর, লিখা হয়নি। তাহলে আমাদের খোকা এই বায়বীয় তথ্য কোথায় পেলেন। বিবিসির লিংকটি নিচে দেওয়া হল।
http://www.bbc.co.uk/bengali/news/2013/05/130506_pg_motijheel_operation.shtml
প্রশ্নটা সবার মনে আসা উচিৎ , রাজনীতিতে এই ধরনের মিথ্যাচারের ভবিষ্যৎ কি? আমরা কি আবারও দেখতে পাব , প্রতিক্রিয়াশিলদের কল্পিত গণহত্যার আরেকটি নোংরা অভিযোগ আবারও ইতিহাস বিকৃতিকরনে ভূমিকা রাখবে , যে গেইমটা এই গোষ্ঠী খেলে আসছে স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে ?
দূর্ভাগ্য আমাদের...
এইসব মিথ্যাচারের রাজনীতিতে আমাদের বসবাস।
এদের প্রতি জবাব একটাই

মিথ্যাচারে নেমেছে সুশীলরাও। এমেন্যাস্টি ইন্টারন্যাশনাল হাউকাউ শুরু করেছে। আর ফেসবুকের সুশীলরা তো আছেই, তাদের দাবী বাংলাদেশে মিডিয়াও লাশ লুকানোর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। অথচ টিভি মিডিয়াগুলোর একটা বড় অংশ বিএনপির দখলে। ফালু খোকাদের দখলে। তারাও নাকি সরকারের এই লাশ লুকানোর ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত!
ফরহাদ মজহারের লেখাটা পেলাম, কিন্তু পড়ার উৎসাহ পাচ্ছি না
বর্তমান বাস্তবতায় এই মিথ্যাচারের রাজনীতির গ্রহণ যোগ্যতা কি আছে? এই লুঙ্গি ফরহাদের জন্যই হেফাজতের আদর্শিক চেহারায় স্পষ্ট পরে গেছে। হেফাজতে ইসলাম আন্দোলন করে নাস্তিকদের বিরোধী নাস্তিকদের নিয়ে। তাই এই সব আন্দোলনের কোন ভবিষ্যৎ নেই। মাঝ পথে ধর্মকে এই অন্য অবস্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এই সব ফরহাদদের কুমতলবে।
শুধুমাত্র মিথ্যাচার দিয়ে তারা রাজনীতি করছে। আর তাদের পছন্দ করে এমন লোকেরা এইসব মিথ্যাচারকে বিশ্বাস করে!
রাজাকার একটি আদর্শ। ২০১৩ সালে এসেও যদি কেউ পাকি পাকি করে, ছাগুতা দেখায় , এই সব মিথ্যাচারে সচেতনভাবে ভূমিকা রাখবে , তারাও আদর্শিক বিচারে রাজাকার। জবাব একটাই
প্রিয় বিজন সরকার,
মিথ্যার সাথেইতো বসবাস আমাদের ¡ পৃথিবীর সব মিডিয়া বাদ দিয়ে শুধু ডি এম পি'র ভাষ্যই সঠিক মানতে হয় নাকি ! খোকা বোকারা, হানিফ-দুদুরা বা হাছিনা-খালেদারা নিয়ত মিথ্যার ফুলেল বক্তিমা গেলাচ্ছে জনতাকে । এ বিষয়ে একটু আলোকপাত হলে ভাল হয়না !
আপনি যে মিডিয়ায় লিখছেন, সেখানেও কিন্তু স্ক্যানিং নাই । আমার বলার কথা হচ্ছে পাচঁ তারিখ কি ঘটেছে তা সঠিকভাবে মিডিয়ায় আসা উচত ।
ইতিহাস বিকৃতিতে কিন্তু " কেউ কারে নাহি হারে সমানে সমান " ।
ধন্যবাদ ।
মিথ্যার সাথেইতো বসবাস আমাদের ¡ মানলাম, তাই বলে ১০ কিংবা ২০ কে ৩০০০।
প্রিয় বিজন সরকার,
সঠিক তথ্যটা গণমানুষকে জানানোর দায়িত্ব কার ? সরকারতো বলছে কোন মারণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি । তাহলে ১০, ২০ জনই বা নিহত হল কি করে ? আর যে দু'টি চ্যানেল লাইভ সম্প্রচার করছিল সে দু'টি বন্ধ করে দেওয়া হল কেন ? পুরো এলাকায় বিদ্যূতও চলে গেল কেন ? কিছু গোপন করার মরিয়া প্রয়োজন পড়ল কার ? মাত্র দশ মিনিটে লাখের উপর মানুষ কোথায়, কিভাবে উদাও হয়ে গেল তা দেশবাসী লাইভ দেখলে কার বাড়া ভাতে ছাই পড়তো ? হাজার হাজারের গুজব সৃষ্টির সুযোগটা করে দিল কে ?
প্রশ্নগুলো নিয়ে দয়া করে একটু ভাবুন । আমারতো মনে হয় অপরাজনীতির কূট স্বার্থে কোন সমস্যার আসু সমাধান নাই । এ গুলোকে জিইয়ে রাখা হবে অপরাজনীতিকদের বিপুল লালসার ভবিষ্যত ইস্যু হিসেবে । ধন্যবাদ ।
প্রিয় মুক্তিযোদ্ধা ,
সরকার সঠিক তথ্যটি জানিয়েছে। ডি এম পি কমিশনার এবং পরে সরকারের প্রেস নোট হতাহতের সংখ্যা দিয়েছে। ১০ কিংবা ২০ সংখ্যাটি metaphorically ব্যবহার করছি। সরকারের ভাষ্য মতে অভিযান শাপলা পরিচালনার আগেই হেফাজতে চারটি লাশ মঞ্চে রাখা হয়েছিল। অভিযানের সময় মারা গেল একজন পুলিশ। অভিযানের সময় তিন জন আহত পরে বিভিন্ন হাসপাতালে মারা গেছে । এই আট জন। তাই বলা যায় অভিযানে মারা গেছে একজন পুলিশ। এইটা নিয়ে কোন নির্ভরশীল গণমাধ্যম দ্বিমত করেনি।
যেটা নিয়ে দ্বিমত আছে সারা দিনে মোট কত জন মারা গেছে। বিভিন্ন গন মাধ্যম বিভিন্ন সংখ্যা উল্লেখ করেছে। তবে বিএনপির ৩০০০ সংখ্যাটি বেশ গাঁজাখুরি মনে হয়।
দু'টি চ্যানেলকে অনেক আগেই বন্ধ করা দরকার ছিল। অভিযানটি পরিচালিত হয় রাত ২টা থেকে। মূল অভিযানটি ছিল বিশ বিনিটের। আর এই দুটি চ্যানেল বন্ধ করা হয় রাত ৪ টা ২০ মিনিটে। তাই চ্যালেন বন্ধের সাথে অভিযানের সাথে কোন সম্পর্ক আছে বলে মনে হয় না। তবে এই সময়টাতে বন্ধ করাটা ঠিক হয়।
বিদ্যূতও গেল কেন তার ব্যাখা দিয়েছিল কমিশনার। প্রথমত বৈদুতিক লাইন ফেলে দিয়েছিল কিছু এলাকার, ২য় আগুন দেওয়া হয়ে ছিল সকল রাস্তায়, আর ৩য় , অভিযানের একটি অংশও ছিল বিদ্যূত না রাখা।
অভিযানের সময় লোক ছিল লাখের উপর? কোথায় পেলেন এই তথ্য? সকল মিডিয়া বলছে ২০০০০ হাজার কিংবা তার চেয়ে কিছু বেশি লোক ছিল। যার অধিকাংশ ছিল ১৫/১৬ বছরের নিচে।
সারা মিডিয়া বলছে এক কথা, আর বিএনপি বলছে এক কথা। আর আমরা বুঝে, না বুঝে কিংবা বুঝে না বুঝার ভান করে স্বর মিলাচ্ছি।
আপনার কাছে আমার প্রশ্ন , যাদের উপর অভিযান , তারা কেউকি বলছেন যে ৩০০০ মারা গেছে? কোন মিডিয়া কি বলছে যে তাদের কে লাইভ কভার করতে সরকার দেয়নি? জামাতের দুটি চ্যানেল ছাড়া। সময় টিভিত পুরাটাই লাইভ দেখিয়েছ।
এই কথা গুলী বলার মানে এইনয় যে সরকারের সমালোচনা করা যাবে না। এই হাস্যকর বিরোধিতা কাম্য নয়।
আমার মনে হচ্ছে বিএনপির এই সংখ্যা তত্ত্বটি নিয়ে স্যাবটাজের পিছনে মূল কারন হেফাজতের নারকীয় তাণ্ডবের উপর থেকে মানুষের ভিউটা কে সরিয়ে দেওয়া।
আপনাকে ধন্যবাদ
প্রিয় বিজন সরকার,
সবিনয়ে বলছি, আমি মূলত: পাঠক, লেখক নই । রাজনীতিকে ঘৃণা করি, রাজনীতিবাজদেরও । কিন্তু রাজনীতির পঁচা কাদা গায়ে লেপ্ট যায় কোননা কোনভাবে । এই যেমন অহেতুক বিতর্কে জড়িয়ে পড়লাম আপনার সাথে ।
লিখতাম একসময় এই ব্লগে । ছেড়ে দিয়েছি । তবুও রোজ ঢুঁ না মেরে পারিনা, অন্তর জ্বালা জ্বলি থেকে মাঝে মধ্যে মন্তব্যও দিই । ভুলতে পারিনা কি দেশ চেয়েছিলাম আর কি দেশ পেলাম !
'৭১ এ মানুষ যখন হায়েনাদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছিল, কেউ কি ভুলেও কল্পনা করছিল পরবর্তীতে আপন দেশের আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর হাতে অনুরুপভাবে নিগৃহীত, নিপিড়ীত, হত কিংবা অপমানিত হবে ? সমস্যাটির সমাধান কি অন্য কোনভাবে হতে পারতোনা ? অন্যদিকে গণজাগরন মন্চতো বিনা অনুতিতে নির্ভিঘ্নে পুরো তিন মাস অতিবাহিত করেছে শাহাবাগে । কই '৭১ এর হায়েনাদের কেশওতো ছিড়তে পারছেনা সরকার । প্রতিদন ভাংচুর জ্বালাও পোড়াও চলছতো ছলছে । একটু আগেও দেখলাম গাড়ি জ্বলছে, ভাংচুর বরাবরের মতো চলিতং । অথচ নির্বীর্য ঢোঁড়া সাপ হেফাযতের হেফাযত কামান দেগে হলো ।
সরকারের হয়ে প্রেসনোটের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সে ব্যপারে কিছু বলতে চাইনা, মানুষ যদি এটা বিশ্বাস করে ভালো ।
আমার ঘোরাফেরা অন লাইনে এক আধটু । টি ভি ইত্যাদি দেখার খুব একটা সময় হয়না, নিশীত রাতে সরকারি অ্যাকশন দেখতে পাবার কথাই আসেনা ।
আমার প্রতিক্রিয়ার উৎস দেশি-বিদেশি মিডিয়া, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাদিকার সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন । কোন দলের চাপাবাজি বা গুজব নয় ।
ধন্যবাদ ! ভাল থাকুন ।
মন্তব্য করুন