না বদলানোর শপথ!
কাল বুয়েট যাচ্ছিলাম। নীলক্ষেত থেকে বুয়েট হেঁটেই যাই। কারণ অযথা বেশি টাকা দিবো ক্যান?! প্লাস হাঁটতে সেই রকম ভালো লাগে আমার!
(নিজের ব্যাপারে বলি বাপ্পি দুনিয়ায় একটা কাজই ভালো পারে, সেটা হচ্ছে হাঁটাহাঁটি!)
যাবার পথের রাস্তাটায় ভাত বিক্রি করে কিছু মহিলা। রিকশাওয়ালা/ভ্যানওয়ালারা সেখানে খায়। খিচুড়িও থাকে দেখেছি। একদিন অন্তত খেয়ে দেখার ইচ্ছে আছে! (বাঙালির একদিনের পান্তার মত!) তো কাল যাবার সময় দেখলাম কয়েকজন মিলে একসাথে ভাত খাচ্ছে।
খুব সাধারণ ঘটনা, কিন্তু আমার চোখ আটকে গেলো তাঁদের মুখ দেখে। কী অদ্ভুদ একটা শান্তির ছোঁয়া, মুখে কী অদ্ভুদ সুখানুভূতির আঁচড়!
আমি থমকে দাঁড়ালাম! কেএফসি/নান্দো'স/হ্যালভেশিয়ায়...নানান পার্টি/গেটটুগেদার এ আমার যে সব ছবি আছে। সে সব ছবিতে কি কখনো এই রকম সুখানুভূতি খুঁজে পাওয়া যাবে?
নিজের কাছে নিজেই লজ্জা পেয়ে গেলাম।
সেই লজ্জা আমার কাটছেই না।
আরও অনেক কিছু মনে পড়ে গেল।
সেদিন বসুন্ধরা থেকে একটা শীতের কাপড় কিনতে গিয়েছিলাম। নামী ব্র্যান্ড,দামী কাপড়।
কাপড়টা একটু ছোট করতে দিয়েছিলাম, তাই ডেলিভারি পরের দিন নিতে হল।
ডেলিভারির দিন আরেকটা নতুন ডিজাইন দেখলাম! কালার বেশ ভালো লেগেছিল।
আমাকে যারা চেনেন তাঁরা নিশ্চয় বলবেন "খাইছে! বাপ্পি কাপড় এর উপর এত ইম্পর্টেন্স কবে থেকে দেয়া শুরু করল?!"
আমি দেই না। কিন্তু সেদিন দিয়েছিলাম। কাপড় চোপড় পেয়ে খুশি অখুশির বয়স প্রায় পার করে ফেলেছি। (নিজেকে বুড়া বলে ফেললাম নাকি?!)
তবুও নিজেকেই নিজে সান্ত্বনা দিচ্ছিলাম, এই কালারটাই ঠিক আছে। ঐটা আসলে ততটা ভালো না।
এই ঘটনা হয়ত ভুলে যেতাম, কিন্তু মনে পড়ল, সেই ভাত খাওয়াত মুখোচ্ছবির কথা মনে করে।
কমিউনিটিঅ্যাকশনের অ্যাকশন উষ্ণতার কথা মনে পড়ল, যারা এই শীতের কাপড় গুলো পাচ্ছে/পাবে ওদের মুখের ছবিটা কেমন ?
বসুন্ধরার ঐ আধুনিক চলন্ত সিঁড়িতে আপাত স্থির আমার মুখের ছবিটা কেমন ছিল সেদিন?
লজ্জা লাগছে। সত্যিই!
বাচ্চাকালে শীতের সময় ১৫০ টাকার র্যাকেট পেয়ে চিৎকার করে দৌড়েছিলাম, মনে পড়ছে। বছর দুয়েক আগে কেনা ল্যাপটপটা কিনেও কি এত খুশী হয়েছিলাম? মনে পড়ছে না!
নোকিয়ার সেই সময়ের সেরা টাচ ফোন, (এখন অনেক পুরনো হলেও মানুষ চোখ টাটায়!) সেটা কিনেও কতটা আনন্দিত ছিলাম?
হয়ত অনেকেই বলবেন, বয়সের কারণে এমনটা হয়েছে। বদলে গিয়েছি।
কিন্তু আমি তো বদলাতে চাই না।
আমি এখনো প্রিয় কারও কাছ থেকে সামান্য কিছু পেয়ে চিৎকার করতে চাই (যতটা আস্তে/লুকিয়েই হোক না কেন!)।
আমি খুব সামান্য কিছু অর্জন নিয়েও ভরিয়ে ফেলতে চাই আমার গোপন ডায়রির পাতা গুলো!
মুখে ফুটিয়ে তুলতে চাই ছেলেমানুষি আনন্দের রেখাগুলো।
অনুমেয়, সাধারণ, টিপিক্যাল আনন্দের বহিঃপ্রকাশ বরাদ্দ থাকুক বোরিং লোকদের জন্য!
আমার জন্য না!
সবার জন্য শুভকামনা।
(এটা গতকাল লেখা হয়েছিলো, জিপিনেট এর কারণে পোস্ট দিতে পারি নাই।)
কতগুলো বান্দররে...... সুইট সুইট পুচকুগুলা কে? একদম উপরের পুচকু
বাপ্পি নাকী?
হ!
ওরেরেরে! কি কিউট কতগুলা বান্দর!বড় বান্দরটা চিন পরিচিত লাগে। চিড়িয়াখানায় দেখছিলাম।
বড় বান্দরের পাশের খাচাঁয় ছিলেন??

বান্দর দেখতে গেছিলাম।
রাসেল জানেন না, সামুতে আমাদের এক্টা বান্দর গ্রুপ ছিলো।
খেকজ!
বড় বান্দরের পাশের খাচাঁয় ছিলেন??
জোশিলা হৈছে
তুমি রেগুলার লেখালেখি করলে পারো
বুঝতেছি না! ব্যাপক বিজি লাগে নিজেরে!!! (অবশ্য কিছু কাজ নিয়ে বিজি আছি!)
তবে রেগুলার হবার চেষ্টা থাকবে। প্রায় এক মাস পর লিখলাম!
ছবি দুইটা সুন্দর! লেখা মন ছুয়েছ!! ধন্যবাদ
ওহহ দারুন লাগলো পড়ে!
সাইবার ক্যাফেতে বসেছিলাম।টেকা-পয়সাও নাই অল্প সময়ের ভিতর তুমার পোস্টটা পড়ে সত্যিই ভালো লাগলো!
বদলাতে পারে সবাই কিন্তু একইরকম থাকে কিছু লোক তাদের ভিতর আমি ও আছি তুমিও আছো!
হাঁটনের শখ আমারো আছে। কারণ-অকারণে হাঁটিঁ...। হাঁটতে হাঁটতে মানুষ দেখি, কত রকম মানুষ, কত রঙের মানুষ...। সত্যি মানুষ বড় আজব প্রাণী, চিড়িয়াখানার বান্দরের চেয়েও আজব...।
আমার গ্রামতুতো এক চাচা । স্কুলে আমার চেয়ে এক ক্লাশ উপরে পড়লেও বন্ধুত্বের সম্পর্ক । পেশায় স্কুল শিক্ষক । চুল দাড়ি প্রায় সাদা । একবার গ্রামে বেড়াতে যেয়ে তার সাথে দেখা হলো - আড্ডা চলছিল পুরাতন বন্ধুদের । সেই চাচা এক সময় বললো, " আরে শোন, বুড়ো তো হয়ে গেলাম, কিন্তু চ্যাংড়ামী করবার মন যে এখনও রয়ে গেল" । সবারই হয়তো থাকে সে মন - বয়সের ভারে চাপা পড়ে শ্বাসরুদ্ধ অবস্থায় থাকে ।
বোহেমিয়ান, মাঝেমাঝে মনের কথা বলবার সময় বের করে নিন এবং 'আমার বন্ধু'র বন্ধুদের এভাবে আনন্দ পাবার সুযোগ দিন ।
আপনার দিল অনেক সাদা।
ভাল লাগল। এই উপলব্ধি সবার হওয়া উচিত।
বাপ্পী, আমি বহুত বহুত বদলানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু
(
কতো বকা শুনি কিন্তু খাসিয়ত যায় না। আমি বদলাইতে চাইইইইইই
১।আমি বোহেমিয়ান আর ভাংগা পেন্সিলের বিরাট ভক্ত।
২।এগুলা বয়সের লক্ষণ।।, শৈশবে একটাকার প্লাস্টিকের ঘড়ি পরেই কি ভাব আসতো, দশটাকার খেলনা গাড়ি পেয়েই মনে হত সব পায়া গেসি। এখন সবই দামী ঘড়ি, ব্র্যান্ড নিউ গাড়ি সবই যন্ত্রণা মনে হয়। ।
বদলানোর দরকার নাই। যেমন আছেন তেমন থাকেন। তবে যে কাজটা মানুষকে চরম বদলাতে পারে তা হচ্ছে ' বিবাহ'! না বদলে পারবেনই না! বদলাতে হবেই!
এক বিবাহ করে যদি মানুষ বদলে যায় তাইলে আরেকটা বিয়ে করে আগের অবস্থায় আসতে পারবে না??
কাকা আপনে কই??পিকনিক থেকে ব্লগিং করেন না কি??পিকনিকের আপডেট দেন?
বৎস এত কম কেন লিখো?
এ পাড়ায় আর হয় না তুমার আসা?
মন্তব্য করুন