ইউজার লগইন
আত্মজীবনী
জীবনের গল্প
আমার জীবনের কিছু কথা আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব।আমি যখন প্রথম গ্রামের প্রাইমারি স্কুল ছেড়ে হাই স্কুল এ যাব তখন বাবা বলেছিলেন “যখন তুমি বাসে যাতায়াত করবে তখন বয়জৈষ্টদের শিশুদের নারীদের বসার জন্য নিজের আসন ছেড়ে দেবে।কারোর সাথে কখনো খারাপ ব্যবহার করবে না।মাদক নিবে না”।আরো অনেক কিছু বলেছিলেন সব মনে নেই।
তখন এই কথা গুলো বাবা কেন বলেছেন বুঝিনি।বাবার কথা গুলো তখনি বুঝলাম যখন চাকরি জীবন শুরু করলাম।আগেই বলে নিই আমি বেশিদূর পড়ালেখা করতে পারিনি।কোন রকম ইলেট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিপ্লোমা শেষ করে চাকরি জীবনে শুরু করেছি।
বাবার কথা মত জীবনে কারোর সাথে খারাপ ব্যবহার করিনি।মাদক গ্রহন করিনি।বাসে,ট্রেনে যখনি যাতায়াত করেছি বড়দের নিজের সিটে বসতে দিয়েছি।এভাবেই যাচ্ছিলো আমার দিনকাল।
রোবট নাকি মানুষ... কি আমি?
আমি হয়তো মানুষ নই মানুষগুলো অন্যরকম!!!!
মানুষগুলোর আবেগ থাকে। তারা কষ্টপেলে কাঁদে, আনন্দে হাসে। শেষ কবে প্রাণ খুলে হেসেছি মনে নেই। চিৎকার করে কেঁদেছি সেটাও মনে নেই। আবেগ আমাকে খুব বেশি স্পর্শ করেনা, অনেকটা রোবোটিক।
আর যদি করে তবে লুকিয়ে চলি আমার আব্বার মতো... আমার আব্বা ছিলেন আবেগ লুকানোতে এক্সপার্ট... অথবা আমি ছিলাম বুদ্ধিহীন যে বুঝতেই পারতো না...
আমার এখনো মনে আছে, এইতো সেদিন যখন আব্বা অসুস্থ। তখন আমি চাকরী করি। প্রতিমাসে বাসায় কিছু টাকা পাঠাতাম। আর যখন ফোন করে বলতাম টাকা পাঠানোর কথা তখন তিনি খুবই চিন্তিত হয়ে পরতেন। বলতেন কতো আর কামাই করো? বাসায় কি টাকার দরকার? তোমার কষ্ট হবেনা তো?
শীত আসে বাবার গন্ধ নিয়ে
শীতকাল মানেই দেশে অন্যরকম একটা উৎসব উৎসব ভাব।
দেরি করে সকাল হয়, সূর্যের তাপ তখন আর খরখরে দজ্জাল রমণী নয় বরং মিষ্টি লাজুক কিশোরী। গায়ে এলিয়ে পড়লে কী ভালোটাই না লাগে! বিকেলে আকাশটা লাল হতে না-হতেই টুপ করে সন্ধ্যায় মিলিয়ে যাবে। সকালে ভাপ-ওঠা ভাপাপিঠে কিংবা চিতই, পুলি নইলে ছিটারুটি, মানে ঘুরেফিরে এমন কিছু যা সচরাচর হয় না। খেজুরের রস আর গুড়তো আছেই।
মায়ের কাছে খোলা চিঠি
মাগো কেন তুমি আকাশের তারা হলে!
সুসময়ের ভালোবাসাকে ছেড়ে অসময়ে চলে গেলে ।
বাবা এনেছেন নতুন মা,তাঁর মাঝে আমি তোমাকে খুঁজি,
তোমার হাসি,তোমার হাতের পরশ,তোমার স্নেহ, উষ্ণ আদর ।
কিন্তু কি হিংসুটে নবীন মা!
ঐ সব দিতে তো স্বার্থের দিকে তাকানো লাগে না তাই না মা ?
উপরন্তু তিরস্কার আর অবহেলা আমাকে গ্রাস করে খায়।
মাগো, সংসারের সব কাজ করি একটু ভালোবাসার জন্য ,
ভালো কিছু পাবার আশায়,
কিন্তু হিতে বিপরীত!!
সারা দিনের গা ভাসিয়ে খাটুনির বিনিময়ে ,
এক মুঠো ভাত,আর এক বাটি বাসি তরকারি।
ভালো কিছু চাইলে পড়ে উত্তম-মাধ্যম !!
আচ্ছা মা তুমি ই বল ..।।
আমি তো খুব ছোট্ট!!
বড্ড অবুঝ!
এত কষ্ট আমি কি করে সই?
আচ্ছা মা বলনা
নতুন মা ও তো তোমার মত মা ,
কেন সে তোমার মত হয় না ?
আমার যে এমন নিদারুণ কষ্ট আর সহ্য হয় না !!
আমাকেও তুমি তোমার তারার দেশে নিয়ে যাও না মা ...............।
কেটে যাচ্ছে, রক্ত কিন্তু বের হচ্ছে না...
অনেকদিন পরে ব্লগে লিখতে বসলাম। এক সময় ছিলো, যখন প্রতিদিন ব্লগে বিচরণের পাশাপাশি সপ্তাহে ২/৩ টা লেখা লিখতাম। সর্বশেষ কবে লিখেেছি, মনে নেই। মিস করি খুব। ব্লগ, ব্লগের বন্ধুদের। প্রতিদিন একবার করে হলেও আমরা বন্ধুতে ঢু মারি। কদাচিৎ কারো লেখায় কমেন্টস করি। কিন্তু দেখি সবার লেখাই।
দিনকাল কাটছে মহা ব্যস্ততায়। ব্লগের পিকনিক হলো- আমি যেতে পারলাম না। ব্লগের সবার সাথে দেখা হয় না সেও ম্যালাদিন। আড্ডা দেবার কথাতো ভুলেই গেছি ! জীবন আর জীবীকার তাগিদে একদম সময় করে উঠতে পারি না।
অনেকেই ইনবক্সে/ফোনে বা দেখা হলে অভিযোগ করে- আমাকে নাকি সারাদিন ফেবুতে দেখা যায়। আসলে তা কিন্তু নয়। সকালে অফিসে ঢুকেই লগ ইন করি। অফিস থেকে বেরুনোর সময় কেবল সাইন আউট করি।
কক্সবাজারে অদ্ভুত সমস্যাপূর্ন ভ্রমন বিড়ম্বনা
হঠাৎ মনটা বেশ ঘাপটি মেরে বসেছে। ও যেন রাগ করেছে নিরন্তর এই অভিমানী জীবনের উপর। কেন যেন আজ মনে পড়ে যাচ্ছে পুরোনো কিছু স্মৃতির কথা। বেশামাল এই শান্ত মনকে আবার যে ওই অশান্ত জীবনে ফিরিয়ে নিতেই হবে, স্মৃতিগুলোকে যে আজ ভুলে যেতেই হবে। আমার জীবনে ঘটে চলা অদ্ভুত সব ঘটনার একটি এখানে শেয়ার করলাম(উল্লেখ্য: এটা আমি ২০০৯ সালের মার্চ মাসে লিখেছিলাম)।
জীবন,স্বপ্ন, এবং আমি
জীবনের 18 টি বছর কেটে গেছে বড়
রকমের কোনো ধাক্কা ছাড়াই।
তবে জীবন সংগ্রাম যতটা সহজ
ভেবেছিলাম ততটা সহজ কিন্তু নয়, জীবনের
একটা পর্যায়ে এসে সবাই
বুঝতে পারে যেমনটা আমি পারছি। আশা-
নিরাশা নিয়ে জীবন
সেইটা জানি কিন্তু স্বপ্নের মৃত্যু
কিভাবে মেনে নেওয়া যায়?
যখন খুব ছোটো ছিলাম মায়ের হাত
ধরে স্কুলে গিয়েছি। গ্রামের একটা স্কুল,
সেখানে আমিই ছিলাম দ্যা বস।
কালক্রমে যখন মায়ের বদলির সুবাদে অন্য
যায়গায় গেলাম তখন সবে মাত্র ক্লাস
থ্রিতে পড়ি আমি! নতুন জায়গা তাই
মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়েছিলো, তারপরও
বছর দুয়েকের মধ্যে সেখানেও রাজত্ব
করেছি। সপ্তম শ্রেনীতে আবার আরেকবার
শিফট করতে হলো।
সেখানে মানিয়ে নেওয়টাও অবশ্য কষ্টের
কিছু ছিলো না। প্রথম থেকে দশম
শ্রেণী ভিন্ন ভিন্ন
পরিবেশে পড়াশুনা করলেও একটা জিনিস
কমন ছিলো, সব জায়গায় পূরণ হয়েছে সকল
স্বপ্ন। কলেজ
লাইফটা ছিলো সবচেয়ে এনজয়েবেল।
গল্পঃ পাঁচ পুরুষের ভিটা
১ম পর্বঃ রমজানের হাঁটযাত্রী
‘রোজাদাররা ওঠো--, সেহরীর সময় অইছে...।’ দিঘলী বাজারের পাহাড়াদারদের চিৎকারে, দরজা বা দোকানের ঝাপের আওয়াজে, কারো না ওঠে উপায় নেই। যারা রোজা রাখার নিয়ত করত, তারা ওঠে সেহেরী খেয়ে নামাজ পড়ত, তারপর আবার ঘুমাত। কেউ ঘুম ঘুম চোখে কোন রকম খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ত, আর যাদের রোজা রাখার নিয়ত নাই, তারা উঠে, বিরক্ত হয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ত।
বাবাকে নিয়ে
বাবা দিবসে বাবাকে শুভেচ্ছা জানানোর মতো অতটা আবেগী আমি কোনো কালেই ছিলাম না। বাবার প্রতি কতটা ভালোবাসা কাজ করতো সেটাও নির্ণয় করতে পারিনি কখনো। অন্যসবার যেমন বাবা থাকে তেমনই আমারও ছিলো। আমার বাবার প্রতি যতটা না ভালোবাসা কাজ করতো তার চেয়েও অনেক বেশি কাজ করতো শ্রদ্ধা। বাবাকে ভয় পেতাম প্রচন্ড। কক্ষনো তাঁর চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলার সাহস পাইনি, স্পর্ধাও দেখাইনি। সে যা ই বলতো তাই ছিলো আইন আমাদের ভাই-বোনদের কাছে। সবারই অনেক মজার স্মৃতি থাকে তাদের বাবাকে নিয়ে। যেমনঃ বাবার কাঁধে চড়ে মেলায় যাওয়া, বাবার আঙ্গুল ধরে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো ইত্যাদি। আমার এসব কিছুই নেই। হয়তোবা এমন স্মৃতি আমারো ছিলো যেগুলো মনেনেই। ওই যে বললাম, কতটা ভালোবাসা যে ছিলো বাবার প্রতি সেটা কখনো নির্ণয় করতে পারিনি। আর বাবারই বা কতটা ভালোবাসা ছিলো সেটাও বুঝিনি কখনো। তবে কিছু স্মৃতি এখনো জ্বলজ্বল করে চোখের সামনে। যে স্মৃতিগুলো শুধুই বা
আমার কর্পোরেট কয়েদী জীবন: এগারো বছর
অন্যের জন্যে আমরা প্রতিদিন বাঁচি-সে বাঁচা ঘরে বাইরে সর্বত্র। নিজেকে খুঁজবার দেবার মতো সময় আমাদের নেই। অদ্ভূত রুটিনে আমাদের প্রত্যহ কেটে যায়। সবার কাটছে, এ জাল যারা ছিন্ন করতে পারে তারা গুটিকয়েক সৌভাগ্যবানদের মাঝে পড়েন; যারা সাহস করে ভুল জীবন যাপনে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। গড়পড়তা মানুষের সাথে যুদ্ধে যেমন আনন্দ নেই, তাদের সাথে যূথবদ্ধতায় ও তেমন কোন ভিন্নতা নেই। এরকম উত্তেজনাহীন সময় কাটাতে কাটাতে আমরা ভোঁতা হয়ে যাই। যে যত বেশী ভোঁতা তাকে আমরা ততো বেশী পরিপক্ব, প্রফেশনাল, প্রকৃত কর্পোরেট কর্মী বলে থাকি। আমাদের জগতে নিজেরা নিজেরা কিছু নিয়ম কানুন বানাই-কেউ তা ভাঙ্গতে চাইলে আমরা তার মেরুদন্ড সুনিপুণভাবে ভেঙ্গে দেই। আমরা কোন ব্যতিক্রম সহ্য করি না। আমাদের রুটিন ঠিক করে দেয় আমরা কি খাবো, কতটুকু খাবো, কেমন পোশাক পরব, ঠিক কতটা আরেকজনের সাথে মিশব, কেমন করে পরিমিত হাসব, কি করলে ভালো বলব আর কি করলে খারাপ।
বাবা
নিজের মতো, নিজের ইচ্ছায় বাঁচতে শিখেছি সেই ২০০৭ থেকে। নিজের উপার্জিত অর্থে নিজে চলতাম আর পড়ালেখা করতাম। মনে আছে তিনটা টিউশনি করতাম। মাস শেষে বেশ ভালোই কামাতাম। ভালোই চলে যেতো।
ছোটোবেলা থেকেই ঠান্ডায় কাবু। টনসিল, সাইনাস, মাইগ্রেন সবই ছিলো। এখনো আছে। কান ঢেকে বেড় না হলে ভয়াবহ সমস্যা হতো। কিন্তু স্বভাবসুলভ ঘাউড়ামি করে কখনই মাফলার ব্যাবহার করতাম না। মাঝেমাঝে কানটুপি ব্যাবহার করতাম।
আমাদের পরিবারের একজন মানুষ ছিলেন। যার সাথে আমার দূরত্বই বোধহয় সবচেয়ে বেশি ছিলো। কক্ষনো ফোনে বেশি কথা হোতো না। কল করলেই বলতেন, "নে তোর মা'য়ের সাথে কথা বল।"
জানিনা অত্যাধিক স্নেহ করতেন বলেই হয়তো সচরাচর বেশি কথা বলতেন না।
তবে শীত এলেই প্রতি সপ্তাহে অন্তত তিনবার কল করতেন। প্রতিবারই একটাই কথা, "মনা, কান গলা পেঁচিয়ে বেড় হইস তো?" কত যে মিথ্যা বলেছি, "হুম, বেড়হই"।
কত যে বিরক্ত হয়েছি!!!
কিছু সুপ্ত ভালোবাসা আর নির্লিপ্ত প্রকৃতি
সুপ্ত সামাজিকতার এই যুগে ভুল করে জন্ম নেয়া একটি ছেলে। অসামাজিক হলেও সামাজিক সাইটে তার একটি একাউন্ট আছে। সকলের অলক্ষ্যে থেকে সবার লেখা পড়ে বেড়ায়। ভালো লাগলে লাইক দিয়ে সহমত জানায়। এছাড়া ওই নিভৃতচারীই থেকে যায় সকলের অগোচরে।
তার ইনবক্সে কতশত জিজ্ঞাসু মানুষের ভীড়। সবাই পরিচিত হতে চায়। কিন্তু সে ভেবে পায় না, কোথা থেকে শুরুকরে কি বলবে। সবাই তার এই চুপচাপ থাকাকে তার দেমাগ মনে করে। বিরক্ত হয়ে সাথ ছেড়ে যায়।
কিন্তু এই ছেলেটিই এক কথায় দুই কথায় পরিচিত হয় প্রকৃতির সাথে। ওদের দুজনের খুব জমে। কিসের একটা অজানা টানে যে এরা ভালো সংগীতে পরিনত হয় তা কেউ জানেনা। প্রকৃতির নীরবতা সুপ্তকে বিমুগ্ধ করে। প্রবল বেগে কাছে টানে। এই টানকেই হয়তো সবাই ভালোবাসা বলে।
সাধারনের কাছে সুপ্ত একজন আহাম্মকই রয়ে যায়। যে তার আবেগ প্রকাশে ব্যার্থ। কিন্তু সুপ্ত তার হৃদয়ের কোথায় যেনো একটি দুর্বলতা অনুভব করে প্রকৃতির জন্য। হয়তো প্রকৃতি সেটা বোঝে, হয়তোবা বোঝেনা। তাতে কি ই বা যায় আসে?
হ্যাপি বার্থডে লিল ব্রো "আরাফাত শান্ত"
“আরাফাত শান্ত” “আমরা বন্ধু” ব্লগের সবচেয়ে একনিষ্ঠ ব্লগারের নাম। সবচেয়ে নিবিষ্ট মনে যে তার চাওয়া পাওয়া, আনন্দ বেদনা, দিনলিপি, সিনেমা, বই, ঈদের টিভির অনুষ্ঠানের কড়চা আমাদের সাথে সততার সাথে ভাগাভাগি করে যায়, কে পড়লো কে পড়লো না কিংবা কে মন্তব্য করলো আর করলো না, কে তার পোষ্ট পড়ে তাকে কী ভাবলো আর ভাবলো না তার তোয়াক্কা না করে। এক কথায় আমাদের ব্লগের প্রাণ এই ছেলেটা। অনেক ব্যস্ততা কিংবা একঘেয়ে অফিস রুটিনের ফাঁকে এক ঝলক ব্লগে উঁকি দেয়ার কারণ এই ছেলেটা। আজ তার শুভ জন্মদিন। অনেক অল্পদিনে অনেক কাছের মানুষ হয়ে যাওয়া এই ছেলেটাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা দেয়ার জন্যে আজকের এই লেখা। শুভেচ্ছা লেখার মান যেমনই হোক, ভালবাসা, স্নেহ, শুভ কামনা অফুরন্ত তাই জানাতে চাই।
স্ক্রিবলস...
২৫০৯১৩
সাদাকালো আকাশের অশ্রু মেখে বিষণ্ণ হয় কাশদল...
২৭০৯১৩
বৃষ্টি থেমে এলে স্থবির নগর
কাদা মাখা পথে বিহ্বল ইঁদুরের পাল...
২৮০৯১৩
ফুলার রোডে সন্ধ্যা নামে...
রঙীন অন্ধকার...
চোখের কোনের অশ্রু আর এলোমেলো কথামালা
বার বার হারিয়ে যেতে থাকে রিকশার ঘন্টায়...
তুই...
ভালো থাকিস রঙীন অন্ধকার রাতে
ঘুমন্ত বালিশের আদরে...
০৪১০১৩
শহর ভরা মেঘের গুঁড়ো,
আকাশ ভরা মেঘ
দুপুর জুড়ে সাঁঝের মায়া,
অবাক দিনের শেষ..
০৯১০১৩
ভুলে যাবার চেষ্টা আসলে তোমারই স্মৃতিচারণ..
১২১০১৩
অনিবার্য সকাল হেঁটে আসে,
মৃদুপায়ে;
আধা জোছনার নাগরিক পথ ধরে...
১৯১০১৩
রাত কিভাবে কালো হয়?
২০১০১৩
পাঁচিল ভাবলেই তোমার চোখ।
মেলে ধরা হাতের পাতায় লালচে আলো।
এসফল্ট, কালো ধোঁয়া আর ধুলো ওড়া বাতাসের পটভুমিতে দৃঢ় সংবদ্ধ চিবুক।
পাঁচিল ভাবলেই পায়ে দলে যাওয়া রোদ।
ড্রেনে পড়ে থাকা শুকনো পাতা।
ওভারব্রীজের জলাকীর্ণ সিঁড়িতে খানিকটা চাঁদ।
পাঁচিল ভাবলেই আমার অস্থিরতা এবং ভুল।
২৩১০১৩
দেয়ালে দেয়ালে ছায়া দিয়ে আঁকা গল্পগুলো সব পাখি হয়ে যায় কৃষ্ণপক্ষের রাতে...
২৪১০১৩
কেন একা থাকতে চাই???
আমার ১২ বছরের সংসার জীবনে সবসময় আমার একা থাকতে ইচ্ছা করেছে আমি বিশ্ববিদ্যালয় জীবন সমাপ্ত করে চাকুরীতে যোগদান করার ১১ দিনের মাথায় বিয়ে করি বিয়েটা আমার পছন্দের মেয়েকেই করেছি কিন্তু বিয়ের পরদিন থেকেই সংসারে সুখ আসেনি ছোট খাটো বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকতো তারপরও সমাজের দিকে তাকিয়ে আমরা ছাড়াছাড়ি করতে পারি নাই ইদানিং আমাদের দাম্পত্য কলহ জটিল আকার ধারণ করেছে দু'জন দু'জনকে একটুও সহ্য করতে পারছি না গত শুক্রবার আমাদের মধ্যে রফা হয় দুজন আলাদা থাকবো সেই থেকে আমরা আলাদা আছি আমার স্ত্রী এলিফ্যান্ট রোডে তার বড় ভাইয়ের বাসায় আর আমি আমার ভাড়া করা বাসায় আছি
আমার একা থাকতে ভালোই লাগছে এই ক'দিনে একবারের জন্যও আমার স্ত্রীর জন্য খারাপ লাগেনি আমি আমার মনের মাঝে আমার স্ত্রীকে খুঁজে পাচ্ছি না তার জন্য বরং অনেক ঘৃণা জন্ম নিচ্ছে কারণ গত ১২ (বার) বছরে চেষ্টা করেছি সবকিছু ম্যানেজ করে সংসার করার জন্য কিন্তু বার বার ফেল করেছি