ইউজার লগইন
আত্মজীবনী
মুক্তিযুদ্ধ এবং অতপরঃ
ঝিক্-ঝিক্...ঝিক্-ঝিক্...করে ট্রেন চলছে দৃশ্যমান গতিতে, আর আমার জীবন চলছে অদৃশ্যমান গতিতে। যে গতির গতিময়তা কখনো আমি উপলব্ধি করি না--করতে পারি না। ট্রেনের কামড়ায় বসে আধবোজা চোখে অনুপম সেনের ‘কল্পনা’ উপন্যাসের নায়কের নিজের মতামত পড়ছি। লেখকের প্রতিটি কথা সমুদ্রের ঢেউ এর মতো আন্দোলিত করে আমার মনে। জীবনের অনেক মিল রয়েছে স্বকল্প আর আমার ব্যর্থময় জীবনের প্রতিটি ধাপে ধাপে। ছত্রিশ বছরের জীবনে আজো বিয়ে করিনি। নীড়হারা পাখি সব হারিয়ে ক্লান্ত মনে যেমন করে ভাবে, তেমনি ভাবতে ভাবতে হঠাৎ শরীরটা ঝাকুনি দিয়ে উঠলো। ট্রেন থামছে কোন এক অচেনা ষ্টেশনে। জায়গাটির নাম মনে নেই। ট্রেন থামার সাথে সাথেই আরো তিন জন মানুষ একই কামড়ায় উঠল। তিন জনের মধ্যে একজন ৪০/৪৫ বছর বয়স্ক পুরুষ, এক জন ৩০/৩২ বছর বয়স্ক স্ত্রীলোক, আরেক জন ১০/১১ বছরের বালিকা।
তৃষ্ণা
তৃষ্ণা আরো প্রবল হয়ে ওঠে ,
পানের পর পান চলতে থাকে ,
পানের পর পান অবিরত,
কাপের পর কাপ ,
উষ্ণ হাহাকার ,
গলবিল বেয়ে পাকস্থলি ,
সব ছারখার করে ,
শীতল হয় হৃতপিন্ড ।
তবু আবার ,
প্রাণের তৃষ্ণা জাগে ,
প্রাণের তৃষ্ণা প্রবল হয় ,
প্রবল থেকে প্রবলতর হয় ,
জেগে ওঠে রক্তের মোচড় ,
বাড়তে থাকে হৃদস্পন্দন ,
নীলাভ হতাশা নির্বিঘ্নে বেয়ে চলে ,
রক্তের সাথে মিলে মিশে চলে ,
ধমনী থেকে ধমনীতে ,
হৃদয় থেকে হৃদয়ে ,
হৃতপিন্ড উষ্ণ হয়ে ওঠে ,
উষ্ণতা বাড়তে থাকে ,
বাড়তে থাকে অদৃশ্য ক্ষত ,
হৃদয়ের ক্ষত ।
পানের বস্তু সুপেয় না হতে পারে ,
তবু তৃষ্ণা জাগে ,
পানের তৃষ্ণা ,
তৃষ্ণা আরো প্রবল হয়ে ওঠে ,
পানের পর পান চলতে থাকে ।
কিন্তু প্রাণের তৃষ্ণা
প্রবল থেকে প্রবলতম হয় ,
প্রাণের তৃষ্ণা মেটেনা কোনো কালে ।
বলবো না
দেখো আজ এমন বাদল দিনে
তুমিহীন না ভিজলেও পারতাম ,
তাই বলে ভেবনা যে তোমাকে ইঙ্গিত দিয়ে বলছি ।
ইদানিং এমন আবেগ কোন তাড়িয়ে বেড়ায়না আমায়
যে দু একটা প্রশস্তি , পংক্তি লিখা প্রয়োজন ।
প্রয়োজন নেই কোন , না থাক , প্রয়োজন ছাড়াও তো কত কিছু আমাদের চাই ।
চাই যত কিছু , না পাই , তবু পেলাম না এই বলে ধরনা দিতে তো চাইনি ।
রাত তো ফুরালো কত , ঘুম নেই তা তো বলিনি , আমি একা একথা ও বলিনি ।
কেন মিছেমিছি এই ভাব ধরে থাকার প্রয়াস , এ অভিনয় মানায় না তোমায় , আমায় ।
ফিরে এসো একথা বলিনি , চলে যাও তাও বলিনি , বলিনি কিছুই আমি , বলবোনা আর কোন কিছু , কোন দিন ।
কেবল তোমার স্মৃতিটুকু ডালপালা ছড়িয়ে বুঝি , শেকড়ের গভীরে খুঁজি , পাইনি অগ্রমূল , অথচ বায়ুতে শ্বাসমূলে আছ জেগে , কেমন তীক্ষ্নতায় বিধে আছো হৃতপিন্ডে ।
এটুকু ব্যথার ভার সইবোনা তা তো বলিনি , বলবো না কোন কিছু আর কোনদিন , তবু তোমার ও হাসিটুকু বাঁচিয়ে রেখো চিরদিন ।
দিন যায় কথা থাকে
নিয়মমতো অক্টোবরের শেষ রোববারে ঘড়ির কাটা ঘুরে গেলো। অফিসিয়ালি এখন হেমন্ত আর এখানে শীতকালীন সময়সীমা শুরু হয়ে গেলো। উত্তর গোলার্ধের খুব কাছের দেশগুলোতে নভেম্বর থেকে শুরু করে তারপর পুরো টানা প্রায় ছয় মাস অন্ধকারে লোকজন বাড়ি থেকে বেরোবে আবার অন্ধকারে বাড়িতে ঢুকবে। সূর্য্যি মামা শীতনিদ্রায় যাবেন। যদিও বিশেষ দিনক্ষন দেখে সূর্য মামা কখনো কখনো এখানে উঁকি দিবেন তবে সেটাও বয়ে আনবে দুঃসংবাদ। বেশির ভাগ সময় দেখা যায় এরপরই বরফ পড়তে শুরু করে। সেই বরফে পড়ে যেয়ে কারো কারো হাত পা ভাঙ্গবে, আর প্যাচপ্যাচে কাঁদাতো আছেই। নিকষ কালো অন্ধকারের ভার সহ্য করতে না পেরে কেউ কেউ ডাক্তারের শরনাপন্ন হবেন, এন্টিডিপ্রেসন মেডিসিনের জন্যে। হিম হিম ঠান্ডা পড়ছে, তাপমাত্রা দুই অঙ্ক থেকে এক অঙ্কে নামা শুরু করেছে, মাঝে মাঝে রাতে শুণ্যের নীচেও নামছে।
এনাদ্দার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য
ভুমিকাঃ- শিলাজিতভাইয়ে কৈয়া গেসিলেং,
শুনো ঠিক শুরুরয়াগে ভুমিকাটা জমিয়ে বলি
যদিউ অনেক বলার্তবুও অনেক্কমিয়ে বলি............ ইত্যাদি ইত্যাদি লৈয়েই আমগোর আইজকার ইত্যাদি.........
তো যেইটা কইতেছিলাম, প্রাচীন যুগে এক্ষান ইয়ে লিক্সিলাম। ইয়ে মাইনে আসলে সেইযে, লুগজনে যেইটারে কবিতা কয় সেডিই লিক্সিলাম আর কি। মাইনশে এই কবিতা সেই কবিতা লেখে। আমি লিক্সিলাম উত্তরাদুনিকেরো পরের্ভার্সনের কাইব্য। নিজের পের্শংসা নিজেরে কর্তে না কৈরা গেসেন মুরুব্বারা। মাগার বাট লেকিন নিজের ঢুল আবার্ফের নিজেরেই বাজাইতে কইয়া গেসেন মুরুব্বারাই। তাই কি আর করা, আমার্সেই কাইব্য মাশাল্লা খুবেক্টা খ্রাপয়নাই। সেই দুর্দুর থিকা লুগজনে ফুন্দিয়া, চিডি দিয়া পের্সংসা কর্ছিলো। তাই যারে বলে ইন্সপিয়ার্ড হৈয়া আবারো কাইব্য জগতের্খাতাত নিজের নাম লিখাইতে চইলা আইলাম এনাদার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য লৈয়া। শুইনা কৈয়েঙ্গো, কেরাম হৈলো
এনাদার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য
ওওই দেখা যায় যাত্রাবাড়ী ওওই যে ফেলাই ওভার
টেরাক ভৈরা গরু আইয়া বাড়াইয়া দিসে পেশার।
পেশার মামা পেশার মামা থাকো তুমি কৈ?
ভালোবাসা তোমার ঘরে বৃষ্টি হয়ে নেমে আসুক..
১.
বাবা হওয়ার অনুভূতি
২৫শে আগষ্ট, ২০১২। আমার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় দিন। কারণ এই দিনে আমি প্রথম বাবা হলাম। বাবা হওয়ার অনুভূতিটা আসলে লিখে ব্যক্ত করার মত নয়। এটা একটা অদ্ভুত স্বর্গীয় অনুভূতি। তারপরও এই অনুভূতিগুলো সবার সাথে শেয়ার করারও একটা আনন্দ আছে, সেই ইচ্ছা থেকেই এই লেখার অবতারণা।
জানুয়ারীর প্রথম দিকে যখন ডাক্তারের কাছ থেকে নিশ্চিত হলাম যে আমি বাবা হতে যাচ্ছি, তখন প্রচন্ড রকম এক উত্তেজনা কাজ করছিল মনের মধ্যে। তার পর থেকেই আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব আমি আমার স্ত্রীর দিকে খেয়াল রাখতাম যেন গর্ভাবস্থায় তার যত্নের কোন ত্রুটি না হয়, একজন স্বামী হিসেবে সবারই এমন করা উচিৎ, কারণ এই সময়টায় মেয়েরা সবচেয়ে বেশী ফিল করে তার স্বামীর সাহচর্য। স্বামীর সঙ্গ মেয়েদের এই সময়টায় তার এবং তার গর্ভের সন্তানের মানসিক বিকাশে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে।
স্বপ্নে আমি আলো জ্বেলেছি অন্তরে
আমি তখন স্কুলে পড়ি। কোন ক্লাসে মনে নেই। বাজারে হঠাৎ নতুন এক ধরনের কলম এলো। সেটার সঙ্গে টেলিফোনের তারের মতো প্যাঁচানো চিকন প্লাস্টিকের তার ছিলো, যার শেষমাথায় লাগানো ছিলো একটা গোলমতো রাবার। রাবারটার গায়ে লাগানো ছিলো আঠা। ঐ রাবারটা টেবিলের সঙ্গে আটকে দেয়া যেতো। ছেলেভুলোনো কৌশল। যেন আঠা দিয়ে না আটকে দিলে ছেলেদের হাতে কলম থাকছেই না কোনমতে আর।
তবে যতই ছেলেভুলোনো কৌশল হোক না কেন, সহসাই সবার হাতে একটা করে অমন কলম দেখা যেতে লাগলো। ছেলেরা স্কুলে এসে নিজের সিটে বসে প্রথমে ব্যাগ থেকে কলমটা বের করতো। তারপর গোল রাবারটা বেঞ্চির সঙ্গে আটকে কলমটাকে খুব সুন্দর করে ব্যাগের পাশে শুইয়ে রাখতো। রাখার পর এদিক-সেদিক তাকাতো। যেন কতই না চমৎকার লাগছে! দুইদিন পর রাবারের আঠা উঠে গেলে আর সেটা কোনোকিছুর সঙ্গে আটকাতো না। পুরো ভাবটাই মার খেয়ে যেতো তখন। সে কথা জানার পরও আমি একদিন বাসায় আব্দার ধরলাম, আমার ঐ কলমটা লাগবে।
নাগরিক গল্পঃ ১৪-বৃষ্টিকবিতা দিন
স্বর্গের সিঁড়িতে
একাকী বসে আছে পদ্মসুন্দরী-
নীল পলকে-অপলকে
হারায় চোখ-
ফিরে আসে ঘুমন্ত যৌবন-
অস্থির মধ্যাহ্নে!
আজকে কোথায় যাওয়া উচিত? অফিস না শহীদ মিনারে? হুমায়ূনের ফেরার কথা! আজকে কি মানিক মিয়ার জারুল কিংবা সোনাঝুরি অন্যান্য দিনের মতো হাসবে? আজকে কি গোলচক্করে ঠিক অন্য দিনের মতো মীরপুরের বেপরোয়া বাসগুলো গোত্তা দেবে ডানে আর বামে! কিংবা পুরানো বিমানবন্দর থেকে ঊড়বে হেলিকপ্টারগুলো প্রজাপতি ডানায় নীল আকাশে। আজকে কি আকাশ হাসবে প্রতিদিনের মতো? গত কয়েকদিন ঢাকার আকাশ হাসি-কান্নার মাঝেই আছে। হাল্কা বৃষ্টি মনে করিয়ে শ্রাবন মেঘের দিন। অরুপের কি খুব মন খারাপ আজকের দিনে? বকুলতলা দিয়ে হেঁটে বের হয়ে অরুপ ফিরে চললো শহরের উত্তরে। আজকে কবি আসার কথা দক্ষিনে। আজকে শহীদ তাজউদ্দিনের জন্মদিন। শীতালক্ষাপুত্র শহীদ তাজউদ্দিন! মোড়ে আসতেই উজ্জ্বল আলোয় চোখ ধাঁধিয়ে গেলো-সোজা পুবে হাঁটা শুরু করলো অরুপ। কিছুটা হেটেই মনে হলো একদিন কাজ-কর্ম না করলে কি হয়? একদিন সারা ঢাকা শহরের ব্যস্ত মানুষ দেখলে কেমন হয়!
-অরুপ কি করো? কই তুমি?
-আমি রাস্তায়-হাঁটছি; ব্যস্ত শহরের ব্যস্ত মানুষ দেখবো।
চিরকাল
.
. .
. . . .
. . . . . .
. . . . . .
. . . . . . . . .
এই সব
নিঃসঙ্গ প্রহর কত -
একে একে স্পষ্ট হয়
গহীনের দগদগে ক্ষত ।
. . . . . . . . . . . .
. . . . . . . . . . . . .
সমুদ্র ফিরে গেলে
পারেনি নিভাতে সে আগুন ;
রাতভর বর্ষার জলে
ধুয়ে দেয় যত ,
জ্বলে উঠে সে আগুন
নিমিষে কয়েক গুন ।
. . . . . . . . . . . .
. . . . . . . . . . . . .
এই সব
নির্জন আলো আঁধারিতে
একে একে নিবে যায় বাতি -
দূরের যত ফ্ল্যাটগুলোতে ,
ল্যামপোস্টের আলোয়
জেগে ওঠে জনশূণ্য পথের বুকে
অদৃশ্য অশ্রুবিনিময় ।
. . . . . . . . . . . .
. . . . . . . . . . . . .
এত এত
বিরহী মেঘের ব্যাথা
নুয়ে পড়ে আকাশ ভেঙে ,
বৃষ্টি ছুঁয়ে যায় ব্যকুলতা ।
এই সব
চিরকাল নিঃসঙ্গতা ।
অনিমেষ রহমানের বেহেস্তী বয়ানঃ ০২-মাগরেবী কায়েদে বিড়ি বাবা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ
-তোমার নাম?
-মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
-বাবার নাম?
-জিন্নাভাই পুঞ্জা।
-দেশ?
-পাকিস্তান।
-পাকিস্তান কোথায়? ইয়ে তোমার জন্ম তো দেখি ভারতে!
-পরে আমি হেইডারে পাকিস্তান বানাইছিলাম।
-পাকিস্তান কুতায়? যা বেটা লাইনে দাঁড়া-তুর পাকিস্তান আমাগো লিষ্টে নাইক্কা। যা ওয়াল ধইরা খাড়া।
-বেয়াদবী করলে সমস্যা হইবে-ম্যা পাকিস্তানী মুসলিম ওয়াতানের নেতা।
-তুমি ম্যা ম্যা করো ক্যালা? তুমি কি ছাগু? এখানে সব মুর্দা; মুসলিম-টুস্লিম সব দুনিয়াতে-এইডা হইলো গিয়া আখেরাতি এরিয়া। এইখানে তুমার কুনু রাজনীতি চলবেনা।
-এইখানে কিতা চলবে?
-এই চুপ চাপ খাড়াইয়া থাক-কথা কম। যমরাজ রাঙ্গা চোখে কইলো।
-ইয়ে একটা বিড়ি হইবে?
-শালা গাজাড়ি তুমার রিপোর্ট কইতাছে-তুমি ব্যাটা মরছো বিড়ি খাইয়া যক্ষা লাগাইয়া। যাও তুমারে গুলুবুদ্দিন হেকমতিয়ারের কাছে মানে আফগানিস্তানের গ্রুপে দিয়ে দেই-হেরা নাকি পপি নামের গাছ দিয়া কি বানায়-যাও দূরে যাও। হেগো কাছে যাও। তুমার শরীর থেইক্কা এখুনু ‘পিস্তল বিড়ি’র গন্ধ বাইর হইতাছে।
শখের সাংবাদিক
আমার আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল সাংবাদিক হওয়া। সাংবাদিকতা তো আমার প্যাশন… তবে না, শুধু শখের সাংবাদিক নয়, এর ওপর পড়াশোনা করে একদম প্রফেশনাল সাংবাদিক হওয়া। আমার কাছের মানুষেরা সবাই জানেন তা। এখনো আমার বিভাগের সভাপতি ‘শ্যারল’ বা বন্ধু ‘কে’ ঠাট্টা করে বলেন, কি ইমন, শুরু করবে না কি আবার জার্নালিজমে পড়া? বয়স থাকলে মন্দ হত না। ডেভিড লেটারম্যান বল স্টেটেরই ছাত্র ছিলেন… প্রতিদিনই তাঁর নামে উৎসর্গীকৃত ডেভিড লেটারম্যান কমিউনিকেশন এন্ড মিডিয়া বিল্ডিং এর ভেতর দিয়ে হেঁটেই আমার বিভাগে যাই। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি আর সুযোগ সুবিধা সমৃদ্ধ ল্যাব, রেডিও স্টেশন, টিভি স্টুডিও দেখে খুব লোভ হয় আবার বসে যাই সেখানে… যদিও জানি এই মাথা আর কিছুই নিতে পারবে না!
“তবু আমারে দেব না ভুলিতে ...” কাজী নজরুল ইসলামের ১১৩ তম জন্মবার্ষিকী
অন্তর্দহন বা অশ্রুবর্ষণ
জেগে ওঠে পুরানো মোচড়
হৃতপিন্ডে অনাগত ।
বিদগ্ধ দিন শেষে বেড়ে ওঠে
হৃদয়ের আদিম ক্ষত ।
অন্তর্দহনে ছাই গহীনের
বিমূর্ত নন্দনকানন ।
অলখে আঠারো বর্ষার পদচারণ ,
অতঃপর অশ্রুবর্ষণ ।
(c) by Ekanto Ovajon
আমার মা
মাকে বুঝতে শুরু করতে না করতেই একদিন মা নাই হয়ে গেলেন। মা ছিলেন আমাদের পরিবারের সব মুশকিল আসানের নাম। বাবার কাছে আমাদের ছয় ভাইবোনের কোনো আব্দার বা আল্লাদ ছিলোনা। সব মায়ের কাছে। মা কী করে জানি সামাল দিতেন। বাবা সরকারি চাকরীজীবি। সামান্য আয়ের মানুষ। মাস পহেলা তার আয়ের বেশিরভাগ তুলে দিতেন মায়ের হাতে। মা সে টাকায় সারা মাস জোড়া তালি দিয়ে চালিয়ে নিতেন। এর মধ্যে বিভিন্ন সামাজিকতা, আমাদের স্কুলের খরচ সবই ম্যানেজ করতেন মা। বছরে দুই ঈদেই শুধু নতুন জামা পেতাম আমরা। ছোট ভাই বোন তিনটা তখনো বেশ ছোট। বাকী আমরা তিনজন মোটামুটি বড়। অতশত না বুঝলেও এটা বুঝতাম- বাবা-মার সামর্থ খুব সামান্য।