ইউজার লগইন
আত্মজীবনী
হুদাই হাবিজাবি
আপনাদের দোয়ায় আমি এখন পুরোপুরি নিশাচর। গত তিন রাত হোল ঘুমাই না । খাদ্যাভ্যাসেও ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে গেছে। ইদানিং মায়ের হাতের ঘী-কাঞ্চন শাকের অমৃত খেতে পুরোপুরি দুব্বা ঘাসের মত লাগছে। গত পরশু রাগ করে রুই ভুনার বাটিতেও মৃদু একটা লাথি বসিয়েছি।
কি এক বিচিত্র কারণে গলার পাইপ লাইন মারাত্মক খসখসে হয়ে গেছে। সেখানে গ্রিজ লাগাতে পারলে যারপর নাই আমোদিত হতাম ।
কিছুদিন আগে চশমা পালটিয়েছি। খুব ভালো হতো যদি নতুন চশমাটাকে পেষণ দাঁত দিয়ে উত্তমরূপে পিষতে পারতাম । গেলাস আর ফেরেমের ভেতরকার স্ক্রুগুলো অকারণে ঢিলা হয়ে যাচ্ছে । এই কয়দিনে মোট পাঁচ বার সারভিসিং এ নিয়ে যেতে হয়েছে । হারামজাদা চশমার দোকানদার এখন আমাকে মোটামুটি ভোঁদাই পাবলিক হিসেবে ট্রিট করছে।
নাকের দুই কিনারা কুৎসিত ভাবে চৌচির হয়ে আছে, ময়শ্চারাইজিং ক্রিম সংক্রান্ত সকল প্রচেষ্টা মাঠে মারা যাচ্ছে।
দ্যা এক্সপেরিমেন্ট
[ কোনো রকম ভূমিকায় না গিয়ে সরাসরি ঘটনায় যাই। ভূমিকা করার মতো শব্দ, বাক্য জোগাড় করে উঠতে পারছি না ]
মাস ছয়েক আগের ঘটনা। প্রচন্ড জ্বরে বেশ কিছুদিন যাবত ভুগছি। ডক্টর ব্লাড টেস্ট করতে দিলেন। টেস্ট করা হলো। রিপোর্ট পাওয়া গেলো ডেঙ্গু জ্বর।
দ্রুত ব্লাডের প্লেটলেট কমে যাচ্ছে। যদিও গরুর রক্ত কিন্তু শুরুতে ম্যানেজ করতে সমস্যা হচ্ছিল। বন্ধু, আত্নীয়, ভাইয়ের বন্ধু, ভাইয়ের অফিসের কলিগ, বোনের অফিসের কলিগ - অনেককেই জানানো হলো। এবং জানা মাত্র আসতেও শুরু করেছিল সবাই।
যাই হোক। ঘটনায় আসি। ভর্তি হলাম ধানমন্ডীর মর্ডাণ হসপিটালে। খবর পাওয়া মাত্র আপুর অফিসের কলিগ খুরশীদ ভাই পৌছে গেলেন হসপিটালে সবার আগে। ক্রস ম্যাচিং হলো। ব্লাড কালেকশন হলো। এরপর আমাকে রক্ত দেওয়াও হলো।
এক এক করে অনেকের সাথেই রক্তের সম্পর্ক স্থাপিত হলো। অসীম কৃতজ্ঞতার সাথে সবার কথা মনে রেখে বাসায় ফিরে আসলাম।
শিশু না কাল গেলো মাটি আর ধুলাতে, যৌবন কাল গেলো রঙ্গে
আমার একপাটি ঘুঙ্গুর ছিলো। সেই একপাটি ঘুঙ্গুর একপায়ে পড়েই শুরু হল হুমায়ুন স্যারের ক্লাসে আমার নাচ শেখা। এরপর রাজু স্যার, রূপা আপু, রামকান্ত স্যার অনেকের কাছেই নাচ শিখেছি। হুমায়ুন স্যার এবং রাজু স্যারকে আমি খুব পছন্দ করতাম। কারন উনারা দুজন আমাকে অনেক চকলেট খাওয়াতেন। আর খুব কষ্টকর ব্যাপার হচ্ছে এই দুজনেরই অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। শৈশব বলতে অনেকের মাঠ দাপিয়ে খেলাধূলা করার অনেক রকম স্মৃতি থাকে। কিন্তু আমার শৈশব ছিল শুধুই পড়ালেখা আর নাচ এই দুই গন্ডিতে সীমাবদ্ধ। আমার মাঠ দাপিয়ে খেলাধূলার সৌভাগ্য ছিলনা। ছিলো নাচ শেখার সুযোগ।
মনে আছে, এক শুক্রবার বিকেলে আব্বু আর ছোট খালা আমাকে নিয়ে গেলেন নাচের স্কুলে। তারপরে অনেক বছর আমি একটানা নাচ শিখেছি। তবে আমার নাচের মুল ক্রেডিট দিতে হয় ছোটখালাকে। কারন আমাকে নাচ শেখানোর ব্যাপারে ওই ছিল সবচেয়ে বেশী ইন্টারেস্টেড।
আগরতলায় বেগড়বাই
মানে কি? আগরতলা একটা শহরের নাম। বেগড়বাই বোধহয় একটা মানসিক অবস্থা। আগরতলা আবার একটা ক্যাপিটাল সিটি। আমাদের ক্যাপিটাল সিটি ঢাকাতে বেড়াতে বা কোনো কাজে এলে গ্রামদেশের মানুষের মনে বেগড়বাই ভাব উৎপন্ন হয়। যেটা আমরা যারা এই শহরটায় থাকি, তাদের জন্য একটা লজ্জার ব্যপার। আমরা একজন অতিথির জন্য ভালো একটা ব্যবস্থা করতে অক্ষম। অথচ আমরাই যখন গ্রামদেশে যাই, তখন মনে হয় স্বর্গবাসে এসেছি। সে সময় খুব ভালো লাগে তো, তাই আসার সময় খুব করে বলে-টলে আসি আপনারাও আমাদের শহরে আসবেন। কিন্তু আমাদের সে মিষ্টি কথায় ভুলে কেউ দিকভ্রষ্ট হয়ে চলে আসলেই সেরেচে। তারপরে কি হয় আর বললাম না। তো ক্যাপিটাল সিটিতে গেলে মানুষের বেগড়বাই ঘটা যে সম্ভব, তার উদাহরণ খুঁজতে খুব বেশি দূরে যেতে হয় না। আমরা আর আমাদের শহরই বড় উদাহরণ। সুতরাং আগরতলাতেও বেগড়বাই ঘটতেই পারে। আমার কথাটায় ভুল নেই। কিন্তু প্রশ্ন হতে পারে, কেন এ কথাটা টাইপ করলাম?
মাছরাঙাটাকে কিছুটা পথ সঙ্গ দিয়েছি আমি
নিষিদ্ধ অনিষিক্ত একটা জীবন আছে আমার। বন্ধুহীন, একাকীত্বময়। একাকীত্ব্টা আবার এমন যে এটা নিয়ে বড়াই করতেও ইচ্ছে হয় না। শুধু রিক্ত ও রক্তাক্ত নিজেকে দেখে মাঝে মাঝে ভাবি, এটা কাকে দেখতে পাচ্ছি?
অনেকদিন আবার এমনভাবে নিজেকে খুঁজি, যেন জানিই না আমি কোথায় আছি। কখনো হয়তো প্রত্যেকটা বন্ধুর ব্যপারেই করার মতো অভিযোগ থাকে আমার কাছে। তখন নিজেকে সবচেয়ে গরীব মনে হয় এবং তারপর গরীবদের মতো করেই রাস্তা ছেড়ে দিই সময়কে।
আশার কথা এই যে, পথশেষে এখানে কোনো আশার প্রদীপ নেই। প্রদীপ থাকলে হয়তো যে আলোটা বের হতো, সেটাকে একটা নাম দিতে হতো। কিন্তু কোনো নাম দেয়ার প্রয়োজন হয় না।
লটকন
খুব অল্পবয়সে কাব্যপ্রতিভা দেখা দিলে যা হয় আর কি- আমার নামডাক বেশ ছড়িয়ে পড়লো। বিশেষ করে ইয়ারদোস্তরা এই প্রতিভা দেখে মুগ্ধ!
সম্ভবত ক্লাশ ফাইভেই হবে- কী করে কী করে যেন বুঝে গেলাম ছড়া লেখা খুব একটা কষ্টের ব্যাপার না। হাতির সাথে ছাতি, ডলার সাথে মলা ইত্যাদি শেষ দিকের শব্দগুলোর মধ্যে একটা মিল থাকলেই সহজে ছড়া লেখা যায়। ঠিক সেই সময়েই একটা ছড়া পড়ি যার লাইনগুলো মোটামুটি এরকম- চলে হনহন/ছোটে পনপন/বায়ু শনশন/ফোঁড়া কনকন...। এই ছড়া পড়ে আমার সেই ধারণা আরেকটু পোক্ত হলো।
এক ছিলো গূড় আর অনেক ছিলো পির্ফা
তো একজন কইলো
: মনে হইতাছে, ___ ভাই আবারো কাঠির আগায় গুড় লাগাইয়া গেছেন! সব পিপড়া এক লগে হাজির হইতাছে এইখানে!!
ভাব্লাম, জুকার্বার্গের এত্তবড় একটা সাইট্রে কাঠি কইতেছে বেপার্টা কি?
জিগাইলাম কে গুড় আর কেডাইবা পির্ফা?
আসলেইতো???
আসল কাঠি কুনটা, গুড় কুন্টা আর পির্ফাই বা কারা...
আসলে ভেজাল হইছে কি, ইদানিং লুকজন খালি ঝিমায়।ঝিমায় আর জুকার্বার্গের সাইটে গিয়া একটা ঘরের ভিত্রে ঢুইকা ঝিমাইতে ঝিমাইতে আড্ডা মারে। এদিকে মাঠ খাখা করে। কেউ কস্ট কৈরা মাঠে আসে না, সবতে মিল্যা ঠিকঠাক মতো খেলাধুলাও করে না। এইটা আসলে ঠিক না। মাঠে নাম লেখাইয়া সেই মাঠে না আইসা ঘরের ভিত্রে বৈয়া বৈয়া আড্ডা দেওনটা আসলে একটু কেরাম কেরাম জানি লাগে।
যাই হৌক, ঘটনা হৈলো একজনে কইলো যে মাঠে না আইসা ঘরে বৈসা আড্ডা দেওন উচিত না, লগে লগে ঘরে ভিত্রে হাজির হয়া গেলাম আম্রা সবতে। পুলাপান সব খ্রাপৈয়া গেছেগা। কলিকাল ঘোর কলিকাল...
অঞ্জলী পেতেছি, জল দাও
অফিসে আসবার সময় মার ফোন এল। মা খুব উদ্বিগ্ন কন্ঠে জানাল ---শোন লাইজুর না হার্ট এ্যাটাক করেছে। খুব ভাল করেই চিনি তবুও জিজ্ঞাসা করলাম---কোন লাইজু?
---আরে ডাঃ লাইজ়ু।
---ও আচ্ছা।
---ওকে ইউনাইটেডে ভর্তি করেছে।
---ভাল তো।
---ভাল তো? কী বলছিস তুই? মিনুকে বলেছি গাড়ি নিয়ে আসতে। আমি হাসপাতালে যাব। লিপি খুব কান্না কাটি করছে। ---করাই তো স্বাভাবিক। ওর তো আর একটা বর নাই।
--- তোর কি হয়েছে? এভাবে কথা বলছিস কেন?
--- ডাঃ লাইজুর হার্ট এ্যাটাকের খবরে খুব কষ্ট পেয়েছি তাই এভাবে কথা বলছি। আমি অফিসে চলে এসেছি মা রাখি। ফোনটা কেটে দিলাম জো্র করেই।
কবে আমরা প্রথম হেঁটেছি সেই স্মৃতি আমাদের কারোরই মনে নেই। যেমন মনে নেই কবে প্রথম নিজ হাতে খেয়েছি বা কবে লজ্জা হয়েছে অন্যের সামনে কাপড় না খোলার। কিন্তু সেই সময়ের একটি স্মৃতি আমার মনে মাঝে মাঝেই ভেসে উঠে।
স্মৃতির ফুলে বৃষ্টি ছুঁলে পরে, আমার ঘরে গন্ধ টলোমলো-৩
একজন মায়াবতীর গল্প...
পৃথিবীতে কারো সময় যখন ফুরিয়ে আসে তখন সে স্মৃতিকে অবলম্বন করে বিদায়ের শঙ্কা কাটানোর চেষ্টা করে । কিন্তু আমি তো এখনো বুড়ো হয়ে যাইনি, এমন কি বিয়ে করে বাচ্চা কাচ্চার বাপও হয়ে পড়িনি, তবুও ইদানিং এত নস্টালজিয়ায় ভুগছি ক্যানো? শৈশব কেন্দ্রিক নস্টালজিয়া।
লেভি মেয়েটার কথা মাঝে মাঝে খুব মনে পড়ে, নিখুঁত চেহারার মায়াবতী একটা মেয়ে ছিল সে। আমি যতক্ষণ স্কুলে থাকতাম ততক্ষন আমার সাথে লেগে থাকতো। সঙ্গী হিসেবে আমি কোনদিনই সুবিধার ছিলাম না। মুখে কুলুপ এটে অদ্ভুত অদ্ভুত ভাবনা চিন্তা করা ছাড়া যে আর বিশেষ কিছু পারে না তার সাথে এতো আন্তরিক ভাবে মিশে মেয়েটা কি পেত কে জানে?
স্মৃতির ফুলে বৃষ্টি ছুঁলে পরে, আমার ঘরে গন্ধ টলোমলো-২
অনাকাঙ্খিত বিলম্বের জন্য কান ধরে উঠবস করছি- এক, দুই, তিন, চার...
আমার ক,খ শেখা সোবহান স্যারের কাছে। ভদ্রলোক কোন স্কুল কলেজের শিক্ষক ছিলেন না, শুধু টিউশানি করাতেন। তিনি প্রতিদিন সন্ধ্যায় বাসায় এসে পড়িয়ে যেতেন, পড়তাম আমি আর তন্দ্রা।সোবহান স্যারের কাছে পড়াকালীন কোন স্মৃতি আমার ভয়াবহ দূর্বল মস্তিষ্কে এখন আর বিশেষ কিছু নেই, শুধু মনে আছে একবার আমার আর তন্দ্রার ভেতর এবিসিডি, কখগঘ এইসব লেখা নিয়ে একটা প্রতিযোগীতার মতো হয়েছিল। তাতে কী একটা পুরুষ্কারের ব্যাবস্থাও ছিল। প্রতিযোগীতায় কে জিতেছিল সে কথা না ই লিখলাম...
নার্সারী, কেজি এই সব পিচ্চি ক্লাস ডিঙিয়ে আমাকে সরাসরি ক্লাস ওয়ানে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হল।তন্দ্রার ঠ্যালা আরো বেশী, সে ভর্তি হলো ক্লাস টুতে। তন্দ্রা অবশ্য আমার থেকে বছর খানেকের বড় ছিল।
সবক-দ্য লেসন
আমি অনেক অলস একজন মানুষ। আমার সম্পর্কে যারা উচ্চ ধারণা পোষণ করেন, অনেকদিন ধরে তাঁদের আব্দার একটা কিছু সুন্দর করে যেন লিখি। তাই ভাবলাম নাইবা হলাম মুহম্মদ জাফর ইকবালের মত কেউ, অথবা নুশেরা আপু, মীর ভাই বা তাতাপু (আমি সব ব্লগার কে চিনিনা, যারা লেখেন তাঁদের সবার লেখার প্রতি আমার শ্রদ্ধা রইল); তবে মোদ্দা কথা হল এই, এবিতে আমিও পেচ্চাপেচ্চি করে বিমল আনন্দ পেতে চাই। তাই আমার নিজের ও আমার খুব কাছের কিছু ঘটনা দিয়ে শুরু করছি-
নববর্ষের সকালে সবাই বাড়িতে সব্বাইকে শুভেচছা জানাচ্ছি, আমার ছেলে জানতে চাইল শুভ (ওর বাবার নাম)নববর্ষ হল এবার আরভিন বর্ষ কবে হবে?
আমাদের কখনো জন্ম হয় না
আমার জন্মদিন কবে সত্যি আমার জানা নেই। আমার মায়েরও নেই। বাবারও ছিল না। ঠাকুরদার তো মনে থাকার কথাই নেই। এসব বালাই তাদের ছিল না। ভাগ্যিস আমারও নেই।
আমার ভাইবোনদের কারোরই জন্মদিন বলে কোনো ব্যাপারে কখনো আগ্রহ দেখা যায়নি। সবার একটা জন্মদিন আছে বটে--সেটা বানানো। স্কুল থেকে দেওয়া। যেদিন ভর্তি হয়েছিলাম স্কুলে ক্লাশ টুতে-- হুজুর স্যার একটা জন্মতারিখ বসিয়েছিলেন--মনে পড়ে। ক্লাশ ফাইভে বৃত্তিপরীক্ষার সময়ে হেড স্যার আরেকটা বানিয়েছিলেন। ফাইনালী ক্লাশ নাইনে রেজিস্ট্রশনের আমার ফাইনাল জন্মতারিখ কেরানী কাকু হিসেব করে ঠিক করে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন--আর নো চেঞ্জ।
শুভ নববর্ষ
স্কুলে পড়তাম সময় বছরের প্রথম দিনে একটা কমন বকা খাইতাম। “বছরের প্রথম দিন একটু বই-খাতার ধারে কাছে গেলি না, সারাটা বছর এই করিস” ইত্যাদি। এই বকাটা অবশ্য ইংরেজি বছরের প্রথম দিনের বকা। আমি পড়া-লেখা করেছি বাংলা মাধ্যমের স্কুলে। তাই ইংরেজি বছরের প্রথম দিনে বই-খাতা, স্কুল, পড়া, টিচার কিছুই তেমন থাকতো না। তারপরও এই বকাটা সব সময় শুনতে হতো।
বছরের প্রথম দিনে যা করা হয় তাই যে আমরা সারা বছর ধরে করি তা তো না। তবে প্রায়ই এমন কথা বলতে শোনা যায়। আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠে আমার মনে পড়লো ছোটবেলার বকাটা। তাই ভাবলাম আজকের দিনে এমন কি করা যায় যা আমি সারা বছর করতে চাই। তেমন কিছুই পেলাম না খুঁজে। তারপর মনে হলো “এবি” -তে পোষ্ট দেয়া যায়। এইটাই সবচে ভাল কাজ হবে বছরের প্রতিটা দিন করার জন্য।
পহেলা বৈশাখ'১৪১৮
কাল অনেক কষ্ট করে বাসায় আসতে হয়েছে।ভাইয়াকে বলেছি আমার জন্য চারটার টিকিট দিতে উনি তা না করে সাড়ে চারটার টিকিট দিয়েছে।অবশ্য এই সমস্যা উনার নতুন না।বরাবরই উনি একই কাজ করেন ঈদ বা অন্য কোন ছুটির সময় এটা করবেই। অবশ্য সাড়ে চারটার টিকিট পাওয়াতে আমার লাভই হয়ছে।অফিসের কাজ গুলো গুছায় আসতে পেরেছি।যথারীতি আজ এবং আগামীকাল কে ওভারটাইম করবে তা ঠিক করার জন্য সালিশ মিটিং করা লাগছে। আর ছুটিছাটা আসলে লোকজনেরও অসুখ মনে হয় বেড়ে যায়, সাথে ডিপোম্যানেজার গুলার কান্নাকাটি আর মোসলেম স্যারের দৌড়ঝাপ।এই সিপ্রোসিন কেন নাই, কুমিল্লা ডিপো নীল করে বসে আসে, সিলেটে আজ জিম্যাক্স পাঠানোই লাগবে। ময়মনসিং থেকে দেলোয়ার ভাই গাড়ি পাঠাচ্ছে তাকে বি-৫০ ফোর্ট পাঠানোই লাগবে। এই লোকটা সারাজীবন বি-৫০ ফোর্টের জন্য কান্নাকাটি করে গেলো। ময়মনসিংহের লোকজনের কি আসলেই ভিটামিনের অভাব??
রিকল অফ সাম মেমোরীস আফটার ম্যাট্রিক
ম্যাট্রিক থিওরি শেষ হইছে, প্রাক্টিকাল বাকি। এর ভিত্রে গেলাম বড় খালার বাড়ি বেড়াইতে। খালার বাড়ি সর্বহারা প্রধান এলাকায়। খালু সাবে আবার ওই গেরামের এক টাইমের জমিদারও আছিলো। খালতো ভাই-বইনগুলা সব আমার থিকা দশ বিশ বচ্ছরের বড়। মজার একটা হিসাব দেওন যায়, আমার আমার মা আর আমার বড় খালার বড় মাইয়া সেম বয়সের। যাই হউক। ঐ টাইমটা আছিলো গরমের টাইম। মজাসে আম-কাঁঠাল খাইতেছি, পুকুরে দাপাইতেছি, বিকালে ক্রিকেট খেলতে খেলতে দৌড় পাইড়া চইলা যাইতেছি পাশের আখের খেতে। সব হইতেছে আমার ভাইস্তা ভাতিঝাগো লগে। বড় ভাতিঝা সেই টাইমে নয়া নয়া বিয়া করছে, ছোটডি আমার এক ইয়ার জুনিয়ার। এই ভাতিঝাগো গেরাম সূত্রের ইয়ার-দোস্তগোর কাছেও আমি বাই ডিফল্ট চাচা হইয়া গেছি। বেশ জুয়ান জুয়ান পোলাপাইনে যখন চাচা-চাচা কইয়া ডাকে, শুনতে খুব একটা খারাপ ফিলিংস লাগেনা।