ইউজার লগইন
আত্মজীবনী
জীবন থেকে নেয়া (মরে গেলেও)
কথায় কথায় মরে গেলেও এটা আমি করবো না, খাবো না, এভাবে কথা বলা আমার স্বভাব। এভাবে কথা ছোটরা বলে বড়’রা না। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে আমি বুড়ি হয়ে যাচ্ছি কিন্তু বড় আর হচ্ছি না। সবাই এটা নিয়ে অনেক বকে বকে এখন ক্ষ্যান্ত দিয়েছেন। তোর মানসিক বয়স কোথাও আটকে আছে, তোর মানসিক ডেভেলাপমেন্ট হচ্ছে না, বলতে বলতে সবাই ক্লান্ত। আমিও মেনে নিয়েছি একরকম যে বড় হওয়া হয়তো আর হবে না এ জীবনে। সবচেয়ে বেশি বলেছেন এক ভদ্রলোক। যার সাথে ঝগড়া করতে করতে এতো বছর পার হয়ে গেছে টের পাইনি। তারপরও এখনো কিছু না হতেই ঘাড় বেঁকিয়ে ঐটাই বলি, মরে গেলেও তোমার সাথে থাকবো না। তিনি আজকাল বলেন, মরারতো আর দেরী নাই, এতোদিন যখন থাকলা কষ্ট করে, বাকি কয়টা দিনও থাকো। এতোদিন যে যেভাবেই বলেছে, সেগুলো শুনতে একরকম লাগতো। কিন্তু এজীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন মানুষটা, “তোমার জন্য মরতে পারি, ও সুন্দরী তুমি গলার মালা” যখন বলেন সেটা, তখন অন্যরকম লাগে।
কাবজাব - ৬
প্রতিদিনের মত আজকের দিনটাও কোন ভাবেই আলাদা ছিলো না আমার জন্যে। সেই একই যান্ত্রিক নিয়মের জীবন। তাও প্রতিটা দিনেরই কেমন যেনো একটা আলাদা রেশ থাকে। আজকের দিনটাও শুরু হয়েছে আমার জন্যে চরম বোরিং ভাবে। তবে হ্যা মন্দের ভালো হয়ত বলা যায়। এই শেষ প্রহরে এসে ভাবছি সব ভালো যার শেষ ভালো তার এই রকম ফালতু থিওরী আসলে এখন বাদ দেওয়ার সময় হয়ে এসেছে।
যে মুখোশটা বানানো হয়নি, তাই পরে থাকি সবসময়!
লালমাটিয়ায় একটা চরম অগোছালো ঘরে গিয়া হাজির হইলাম, দাড়িমুখো এক লোক এসে জড়ায়ে ধরলো।
আমি ছেলেদের সঙ্গে কোলাকুলি করতে পছন্দ করি না, তায় আবার এরম দাড়িওয়ালা! বিরক্ত হইলাম।
কিন্তু সেদিন যে বন্ধুত্বটা তৈরি হইলো, এক যুগেরও বেশি তার বয়েস। আজীবন এরকমই অকৃত্রিম থাকতো, কিন্তু থাকলো না সে।
গতবছর, ঠিক এই দিনে, ঠিক প্রায় এই সময়ে একটা ফোনকল আসে, শাহরুখ শহীদ আর নাই পৃথিবীতে!
খাও দাও ফুর্তি করো
আর একদিন বাদে পরশু কাক ডাকা ভোরে রাজশাহী ছাড়বো আবার কবে আসবো ঠিক নাই।যেয়ে শুরু হবে সেই একঘেয়েমি জীবন ল্যাব টু বাসা দিয়ে আবার ল্যাব মাঝে মাঝে সুপারম্যানের রামডলা কোনদিন আলহাদের শুরে চিকন ডলা।তা যাই হোক।যা হবে সেটা পরে দেখা যাবে।
আজ অনেক দিন পর রাজশাহী শহর চক্কর দিলাম।সন্ধ্যায় বন্ধুদের সাথে আমাদের কিছু প্রিয় জায়গার বিকালের খাবার খেলাম।গত পোস্টে ছবি দেই নাই দেখে অনেকেই বকাবকি করলো তাই আজ আর সেই ভুল করছি না।
আমরা আগে মাঝে মাঝে সন্ধ্যার খাওয়া শুরু করতাম নবরূপের দই আর রসমালাই দিয়ে আজ ও তাই করলাম।খেয়ে দেয়ে বিল দিতে গিয়ে দেখলাম দাম আগের চাইতে অনেক বেড়েছে কিন্তু টেস্ট আগের মতোই আছে।
রসমালাই
জীবনের শেষ শুকনা খাওয়া
নিরান্নব্বই সালের শ্যাষ সপ্তায় দুই দোস্ত মিল্যা ঠিক করলাম নয়া সেঞ্চুরিতে আর শুকনা ধরামু না। আরেক দোস্ত আছিলো খুলনাত, তারে দিয়া শুকনা আনাইলাম তিরিশ টেকার। সেই টাইমে তিরিশ টেকায় বহুতগুলা শুকনা পাওন যাইতো। যাই হউক, শুকনা সাইজ করনের দায়িত্ব পড়লো আমার উপরে। অইটাইমে শুকনা ভালোই সাইজ করতে পারতাম। তো আটানা দামের সান-মুন সিগ্রেটের সুকা ফালায়া দিয়া পুরা শুকনা দিয়া তিনটা লোড দিলাম। সান-মুন সিগ্রেটের ফিল্টার দামী সিগ্রেটের ফিল্টারের থাইকা ছোট আছিলো, যার লাইগা বেশি ধুমা ফিল্টার হইতোনা :হুক্কা:।
আমার প্রিয় বন্ধুরা।
জীবন চলার পথে অনেক বন্ধুর সাথে পরিচয় হয়। কেহ থাকে কেহ হারিয়ে যায়। জীবন যেখানে যেমন। জীবন শুধু জানে সামনে এগিয়ে যেতে। শেষ কি হয় কে জানে! আজ আমি আমার তেমন ছয় বন্ধুর কথা শুনাবো। এদের কথা আমি ভুলি কি করে।
এ কঃ
(ছবি তোলার কথা বলা হয় নাই, কিছুদিন আগে একশীতের সকালে এভাবে ফিরছিলাম)
আমার সেই বন্ধুর সরল স্বীকারোক্তি - ৩
মাঝে মাঝে অনেক বেশি ঝগড়া হতো, কিন্তু তারপর আবার দেখা হলেই সব ঠিক। রেস্টুরেন্টে খুব কাছাকাছি বসে যখন ওর গালে হাত দিতাম তাতেই ওর সব রাগ ঠান্ডা। এভাবে কেটে গেল তিনটি বছর। মাঝে মাঝে রাত জেগে বন্ধুদের সাথে কার্ড খেলার খুব নেশা ছিল আমার, সাথে হাল্কা দেশী কিংবা বার পকেটের অবস্থা বুঝে বিদেশী রঙ্গীন পানীয়।
আমার সেই বন্ধুর সরল স্বীকারোক্তি - ২
এরপর প্রায় দেখতাম মেয়েটিকে। দেখা হলে মুচকি মুচকি হাসতো। এমনি একদিন দুপুর আড়াইটার দিকে, ৩ বন্ধু মিলে দোকানের সামনে বসে আছি। দুপুরের সময় আবাসিক এলাকার রাস্তায় লোকজনের আনাগোনা কম থাকে সাধারণত। তাই যত কু্কীর্তি আছে করার সময় তখনই। সেই ক্যাসেটের দোকানদার রিয়াজ ভাই এই সময় প্রতিদিন দুপুরের খাবার খেয়ে এসে গাজা টেনে বসে থাকতো দোকানে। আমরা তখন দোকানের রাজা। বেশি ভলিউম দিয়ে গান শোনা ছিল সেই বয়সের ফ্যাশন। তার উপর ক্যাসেটের দোকান মানেই অনেকগুলো বড় বড় স্পীকার। সেদিন কি যেন মনে হয়েছিলো, রিয়াজ ভাই থেকে চেয়ে নিয়ে আমরাও গাজা ধরালাম। জীবনে প্রথম গাজা ধরালাম সেদিন, প্রথম কয়েক টান দেয়ার সময় সিগারেটের সাথে কোন পার্থক্য খুঁজে পাইনি। ৫/৬ মিনিট পরে যখন উঠে দাঁড়াতে গেলাম তখনি বুঝতে পেরেছিলাম সিগারেট এবং গাজার পার্থক্যটা কোথায়। যাই হোক, ততক্ষণে স্পীকারের প্রত্যেকটা শব্দের মাঝেই হারিয়ে যাচ্ছিলাম আর মনে হচ্ছিলো এভাবে য
আমার সেই বন্ধুর সরল স্বীকারোক্তি - ১
আমার খুব কাছে এক বন্ধুর একন্তই নিজের কিছু কথা বলতে আমার এই পোষ্ট, যদিও এটি আমার প্রথম পোষ্ট। গত দু'বছর যাবত আমি আমার এক বন্ধুর সাথে আছি, প্রতি রাতেই প্রায় ২/৩ ঘন্টা আমি শুধু চুপচাপ তার কথা শুনি। সে বলে, আমি শুধু শুনে যাই। হয়তো তার এই কথাগুলো সে কোনদিন কাউকে বলতে পারেনি। কথাগুলো তার নিজের জীবন নিয়ে। এখানে আমি আমার বন্ধুর ছদ্মনাম 'প্লাবন' ব্যবহার করে কথা গুলো বলবো। জানি একটি পোষ্টে সবটুকু শেষ করা যাবেনা।
সুগারলেস এন্ড সুগারকোটেড লাইফ
সময়টা খুব সম্ভবত নয় দশ বছর আগের যখন চট্টগ্রাম ডায়বেটিক সমিতিটা এনায়েত বাজার বাটালী রোডে ছিল। আমি অনেকদিন যাবত এ্যাপথাস আলসার নামের একধরনের মুখের অসুখে ভুগছিলাম, যে রোগের কারন বা ঔষধ এখন পর্যন্ত আবিস্কৃত হয়নি। এক পর্যায়ে আম্মার কথায় যখন ইন্ডিয়ায় যাওয়ার কথা ভাবছিলাম এমন সময় আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে এক ডাক্তারের স্বরণাপন্ন হই। ডাক্তার লম্বা লিষ্ট দিলো ল্যাব টেষ্টের। লিষ্টে ডায়বেটিস টেষ্টের কথাও উল্লেখ ছিল আর আমিও সুবোধ রোগীর মত চট্টগ্রাম ডায়েবেটিস সমিতিতে গিয়ে ব্লাড দিয়ে এলাম।
আত্মকথাঃ পারিবারিক ছবি।
পারিবারিক ছবি তোলা সহজ নয়। এ থাকলে ও থাকে না। সবাইকে এক করা গেলেও দেখা গেল ক্যামেরায় ব্যাটারী নেই! এমনো হয়, সার্টার পড়ে না। আবার সবাই চলে গেলে ক্যামেরা ঠিক, অটোমেটিক! পরিবার একটু বড় হলে তো কথাই নেই - সাত মন ঘি যোগাড় করা সহজ, রাধা পাওয়া কঠিন।
আমাদের পরিবারের অবস্থাও তাই। আমার প্রচেষ্টায় দুইবার আমরা এক সাথে ক্যামেরার সামনে উপস্থিত হতে পেরেছিলাম। একবার সাদা কালো যুগে (১৯৮৪) আর অন্যবার রঙ্গীন যুগে (১৯৯৮)।
১৯৮৪ সালে।
জাতে উঠা হৈল না আমার - ১
জাতে উঠিবার শখ লৈয়া বিলাত যাত্রা করিয়াছিলাম। মনে মনে দিবা স্বপ্ন দেখিতেছিলাম জাতে উঠিব, পাতে উঠিব। সাধারনে আমাকে দেখিয়া বলিবে দেখ বিলাত ফেরতা ছেলে। স্বপ্ন লৈয়া বিলাত যাত্রাই হৈল শুধু জাতে আর উঠিলাম না।
উদ্দেশ্যহীন, শান্তিময় জীবন...
এই জীবনে লেখাপড়া করছি মাত্র কয়েক ক্লাস। বড় ভাই ১০ ক্লাস পড়ার পর হঠাৎ করে ঘোষনা দিলেন, তিনি আর ১১ ক্লাসে ভর্তি হবেন না। টেকনিকেলে পড়বেন। কী আর করা। বাবা মনের দুঃখ মনে চেপে ভাইয়াকে ভর্তি করে দিলেন টেকনিকেলে। তারপর বড়াপা। আমরা পিঠাপিঠি না হলেও পড়তাম এক ক্লাসে। ১২ ক্লাস পাশ করার পর বড়াপার বিয়ে হয়ে গেল। এবারো বাবা মনে কষ্ট পেলেন।
আজ তার জন্মদিন
১৯৯৬ সালের নভেম্বরের প্রথম দিন বিয়ে হয় আমাদের। আমি তখন কার্যক্ষেত্রে শ্রীমঙ্গলে থাকি। তো, বিয়ের পর এই কূলে আমি আর ওই কূলে তুমি অবস্থা ছিল আমাদের। পড়াশুনার কারনে তিনি প্রায়ই বাবার বাড়ি থাকতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ হলে চলে আসতেন আমাদের বাসায়। কুমিল্লাতে। আমি সপ্তাহান্তে ঢাকা মাড়িয়ে নারায়ণগঞ্জ বা কুমিল্লা যেতাম। কোথায় যাবো সেটা নির্ভর করত তেনার অবস্থানের উপর।
চকলেটের জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ
আইজকা বিকাল বেলায় নগরীর জিইসি মোড়ের কাছেই কিছু পরিচিত-অপরিচিত মানুষ(সাকূল্যে সাড়ে তের জন) সহ বইসা কিছু চকলেট খাইছি আর কিছু পকেটে কইরা চামে বাসায় নিয়া আইছি।
আল্লাগো, এই রকম আরো চকলেট খাইতাম, মন চায়...
খুব মজা লাগ্ছে।
শুজুর আলহাম্দুলিল্লাহ্...
কর্তৃপক্ষের জয় হোক....।
পোষ্ট শ্যাষ....।