ইউজার লগইন
কবিতা
আন্ধার
আস্তে আস্তে ফিকে হয়ে যায় জীবনের সকল আনন্দ উচ্ছাস,
পলিত হয়ে যায় শালিকের ঠোঁটে যৌবনা সবুজ ঘাস ও পাতার হাসি।
আমি শুকনো পাতার মরমরে শুনি নতুন জীবনের গল্প
যে ফুল বা পাতা বোঁটা হতে খসে পরে তা আর শোভা পায়না বোঁটায়।
সোনালী দিন গোধলির হলুদ আবরণে মিলিয়ে যায়
গরুর খুরে ধীরে ধীরে ঘিরে ধরে আন্ধার,
অজ্ঞতা বাদ দিলেই আন্ধার মানেই ধরিত্রী।
আমি আন্ধারের মাঝে দেখতে পাই আদিম শুদ্ধতার রুপ,
আমি খুঁজে পাই নতুন জীবনের আসাদন
একদিন আন্ধারের মাঝেই আরাধনায় রত ছিলাম।
ও হ্যা দিন !
আমি দিনকে হেলায় ফেলায় হারাতে চাইনা
দিনকে গুঁজে দিয়েছি প্রিয়তমার নাক ফুলে,
দিনকে গুঁজে দিয়েছি প্রিয়তমার গ্রীবার সৌন্দর্যে হার করে,
দিনকে গুঁজে দিয়েছি পল্লিবালার কোমরের ভাঁজে
কলশের চোয়ানো ফোটা ফোটা জলে,
দিনকে গুঁজে দিয়েছি প্রজাপ্রতির ডানায় আর ভ্রমরের গুঞ্জনে,
দিনকে গুঁজে দিয়েছি চিকমিক ঢেউ মেঘনার বুকে.......
কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে দিনের উচ্ছাসের মাঝে ব্যর্থতার গন্ধও পাই !
ইসাবেলার ঘর সংসার
১.ইসাবেলা, আমার বসন্ত মানে না
বিপ্লব, হরতাল, আন্দোলন
এ বসন্ত চাইছে তোমার সাথে
নিরবিচ্ছিন্ন সঙ্গম।
২. আহা! তোমার মোমসম শরীর!
মানুষের নয় যেন পরীর, পরীর।
৩. লড়তে লড়তে বড্ড ক্লান্ত আছি, ইসাবেলা
প্রাচীন তালপাখা দিয়ে মায়ার বাতাস
চাইছি এ-বেলা।
৪. দীপিতাসোনা তুমি এখন আমার সব
তুমি সুস্থ থাকলে প্রতিটা দিন মুখরিত
অঘোষিত পরব, পরব।
৫. আপনি ছিলেন বটগাছের নামান্তর
বিদেশ গেলে ভালো মানুষগুলো আর ফেরে না
কি চিকিৎসা হয় জানি না
খবর আসে ঘটেছে দেহান্তর।
(জাতি আজ সত্যিকারার্থে অভিভাবকহীন হলো প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে)
আলোর যাত্রীরা থামবে না
হতাশাবাদীর জিকির
হবে না হবে না ফল
আমরা বলি দেখ গ্লাসে
আরো অর্ধেক আছে জল।
নিরাশকারীর ফিকির
অনবরত উস্কে দেয়া ভয়
বলি তোমাতে নেই প্রয়োজন
আমরা করব জয়।
স্বাপদের গরম শ্বাস ঘারে
বর্ণচোরা গিরগিটি দৌঁড়ে
পথে যখন এঁকেছি পায়ের চিহ্ন
ভেবোনা মোরা যাব সরে।
বিভীষণ নামে একজন ছিল
ঘরের কথা পরকে বলে দিল
যে করে মিথ্যাচার সত্য গোপন
সে আদম বিভীষণের অধম।
ঈর্ষা এসিডসম করে জ্বালাতন
গলায় সম্ভাবনার দেহ ,
লড়ে যায় ঠোঁটে নিয়ে প্রাণ
আলোর দিশা পাবে বলে কেহ।
শিরোনামহীন...
আমার ছিলো ইচ্ছে ঘুমের দেশ
আনন্দেরই ঝলমলে লাল ডানা
তোমার ছিলো ঘুমের সাথে আড়ি
অশ্রু জমাট দিঘীর জলে নামা
আনন্দ আর ঘুমের বিনিময়ে
তোমার সাথে আমার জানাশোনা
প্রহরগুলো কাটছিলো সব ভালোই
সুর্য এবং চাঁদের যুগল আলোয়
এরই মাঝে কালো মেঘের ভেলা
সেই পুরোনো অশ্রু ছোঁয়া খেলা
হারিয়ে যাওয়ার একটু খানিক আগে
সীমারেখা আঁকলে কালো দাগে
তাকিয়ে আছি তোমার পথের পানে
হঠাৎ যদি ফেরো আমার টানে
অলস সময় সিগারেটের ধোঁয়ায়
মদির হয়ে খুঁজতে থাকে তোমায়
আসবেনা আর সত্য করেই জানি
কিন্তু সেটা কেমন করে মানি
অপেক্ষা আর প্রতীক্ষাতে রাত
তোমার হাতে অন্য কারোর হাত
পাকি গন্ধী গান...অনেকেই হবে বদনাম
১. তুই চিরকাল এড়িয়ে গেলি জীবনের সহজ দাবী
আমাকে রাখলি দূরে
নিজেও খেলি অনন্ত অস্থিরতায় খাবি
২.জানি তুমি বলবে জীবন মানে
এটা সেটা অনেক কিছুর জয়
আমার কাছে পুরোটাই অব্যর্থ ক্ষয়
৩. নিজেকে আদরে মায়ায় আজ রেখেছিলাম ভীষণ যতনে
কেমন করে ভাবো আসতে দেব তোমায় আমার একক ভুবনে
যতই করাঘাত করো দখিন দুয়ারে প্রতিক্ষণে
৪ বিয়াল্লিশবছর দেখেছি তোদের দুর্বলের ক্ষমা সুন্দর চোখে
পেছন থেকে ছোরা মারতি না যদি সাহস থাকতো বুকে
৫. পাকিস্তানী আর্মি আর রাজাকাররা করেছে যাদের ধর্ষণ
তাঁদের নাম বীরাঙ্গনা অথবা শহীদ বোন
পাক আর্মির প্রতি যার ভালোবাসা
পুরো একাত্তর জামশেদের নেশা
তাকে কি নামে ডাকি?
"ম" বর্গীয় শব্দের সাথে বাঁধা তার একজীবনের রাখি
৬. তুমি যখন সত্যের পথে তোমার হাজার বদনাম
যখন ভুল করছো শুধরে দেবে না
করবে প্রশংসার জপনাম
এরাই আসল শত্রু
অতএব সাধু সাবধান
৭. আমার কোন নাম ছিল না
দল ছিল না, মঞ্চ ছিল না
নই আমি টক শো কাঁপানো আন্দালিব
আমার কণ্ঠে জয় বাংলা
বুকে আমার শেখ মুজিব
৮. লুতুপুতু প্রেমের ছন্দ হয়ে যায় বন্ধ
তুমি পসরা সাজালে
তোমার প্রতি মুগ্ধতা সোনার বাংলা
রাখবো কেন আড়ালে!
টুকটুক ঠোকর
১. মুঠোফোনে কাব্য লিখে মুগ্ধ করি কাকে!
দেখলে তুমি হাসবে (ইসা) বেলা
রূপোলী চুল ভেংচে উঠে
কালো কেশের ফাঁকে।
২.সেদিনও ছিল কানের পাশে
তোমার গুঞ্জরণ
এখন কর্ণমাঝে বাজছে কেবল
এফএম আয়োজন।
৩.যে ভালোবাসে তার তো ধর্ম একটাই
কখনো ইউসুফ-জুলেখা
কখনো কৃষ্ণ-রাই
৪. না না একদম যত্ন নিচ্ছ না ত্বকের।
ত্বক দেখলে,
জানলে না তুমি না থাকলে সব থেমে যায়
সময় তখন শুধুই শোকের।
৫.এ শহরের জ্যামকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে
আমাদের আড্ডা চলেছে বহুবার
এখন সবই ভার্চুয়াল, মোবাইল নেটে
চলে দেন দরবার। স্মৃতি ঘিরে থাকে
কুলকুল হাসি, ঘৃণা ব্যথা অভিমান
ভালোবাসাবাসি,
সময় বলে এরা এখন ভিন্ন গ্রহে
আছে হয়ে প্রবাসী।
৬.সতেরো থেকে তোমাকে ছুয়েঁছি-ছেড়েছি
করেছি প্রতিজ্ঞা না দেখবার
অথচ দেখো কিছুতেই থামলো না
বারবার করা মুখাগ্নি তোমার।
৭. পাগলা -রঙ্গীন পানি, মদিরা সুরা
কত নাম তোমার
কাজের বেলায় একজনই তুমি
পঙ্গুকেও করে দাও পার
স্বপ্নে সর্বোচ্চ পাহাড়।
৮. ভালোবেসে কত ডাকলাম
ভুতোসোনা,
তুমি শুধু সরছো দূরে
দেখে দীপিপোনা।
বেওয়ারিশ ছবি
তার এক পাশ রাঙিয়ে দিল ভোরের সূর্য
চিরল চুল উড়ন্ত
ক্যানভাসে আঁকা ঠোঁট করে দিল বিমূর্ত।
এদিকে ফিরোনা ভিন দেশী
আমি রঙতুলিতে আঁকি
তিলোত্তমা।
টিমটিমে এক কুপি ছিল
চোখে চোখে ঘর্ষণে সেটা
দাবানল।
ডাকপিয়ন এসে খবর দিল
তাজমহলে আগুন।
বেওয়ারিশ চিত্রকরের লাশ যমুনায়
সম্পাদকের হতাশা- নাম ঠিকানা না জানায়।
বহুদিন পরে আবার দুটি চোখ
চিত্রকরের ছবি দেখে কোন মেট্রো রেলে
বিমর্ষ হয়ে চোখ ঢাকে
দর্শকের হতাশা- সে নাম ঠিকানা জানে না।
picture courtesy: Pavel Guzenko.-- Contemporary abstract painting.
কোন মালায় তোমায় বরি
আমার স্বপনে লেখা তোমার গাঁথা
হৃদয়ে লেখা সে কবিতা কাগজ পায় না
মানিব্যগের সব শব্দের নোট ভাঙ্গিয়েও বড় নিঃস্ব হই
কী করে একটা তর্জনী জাদুর কাঠি হয়!
কী করে তুমি পার আজো!
এত্তো বড়ো একটা বঙ্গোপসাগর, এত্তো বড় চলন বিল
বিশাল এক সুন্দরবন,
কতগুলো নদী তোমার মায়ের মত- পদ্মা মেঘনা যমুনা,
কোটি কোটি প্রাণ
কী করে ধরলে এসব এক সুতোয় গাঁথা তোমার পাঞ্জাবিতে!
আমি অবাক হয়ে যাই
কার কবিতা লিখবো যে নিজেই কবি
কী করে আঁকব তোমার ছবি পেন্সিলে
যখন বাংলাদেশের মুখ দেখি ওমুখে!
আমি বাংলাদেশের মুখ দেখি তোমার রক্তাক্ত বুকে
যৌথখামারে ঘুঘু চরল ছাগলে খেয়ে গেল ধান।
সেই যে ছিনতাই হল আমার স্বপ্ন তোমার প্রাণের সাথে
আজো আমি ঘোর অমাবসে, তোমায় খুঁজি তারার পানে চেয়ে।
আমার নেতা, তোমায় ফিরে পাবো আমি
শাহবাগের লক্ষ জনতার ভিড়ে,
স্বেচ্ছা শ্রম দিয়ে যাওয়া নিবেদকের চিঠিতে,
নিজের ছেলে দাবী করে পরশীকে বাঁচাতে যাওয়া মায়ের মুখে,
মাথায় বাঁধা ওই শিশুর পতাকাতে,
লজ্জিত পথিক
জনতার ভিরে হাজারো প্রশ্ন তরী বেয়ে বেরাচ্ছে
“ভুল ও নির্ভূল” হার জিতের মাঝা মাঝির দাড়িপাল্লায় ঝুলছে।।
এখন তরীর মাঝি পথে পথে গানের সুর ভুলে হারাচ্ছে গতি
মানুষ দিধাগ্রস্থ হয়ে হাহাকারের ভিড়ে হারাচ্ছে মানবতা।
শূণ্যতা বুকে নিয়ে মা চলছে দক্ষিণ রাস্তার দিকে,
কান্নার রোল ভিঝিয়ে দিচ্ছে রাস্তার পথঘাট।
আনন্দের সাথে কান্নার জোয়ারের জিৎ হয়েছে আজ,
লাখো প্রাণের নিবেদন চরমে গিয়ে লজ্জায় মাথা ঢাখা পড়ে
চলে এসেছে।
কিন্তু ভিরু আর কাপুরুষের মত নয়,
থমকে আছি বলে ভুলে যেও না আমায়।।
হঠাৎ কুকুরের ডাকে বেসুরে আওয়াজটা প্রাণের কাছে কলঙ্কের কথা মনে করিয়ে দেয়।
অভিশাপ এসেছে কি! আর্শীবাদ এসেছে বিধাতা জানে।।
শুধু বলতে চাই “মানুষ”, ডাকতে চাই “মানুষ”
তোমরা হারিয়ে যেও না।
তোমরাই কি সেই মোনাফেকের দল?
তোমরা কেবল নাস্তিক রাজিবকে দেখিলে!
তোমাদের মসজিদে আগুন লাগাইল
বোমা ফুটাইল, পাটকেল ছুড়িল।
তোমরা কেবল নাস্তিক রাজিবকে দেখিলে!
দেখিয়াই বলিলে আমি এই আন্দোলনে নাই!
এক রাজিব দেখিয়া তোমরা সবাইকে নাস্তিক ঠাওরিলে
তোমরা অনেক বড় ধার্মীক, রাজিব না হয় নাস্তিকই হইল
রাজিব না হয় আন্দোলন করিয়া মারা গেল
তোমরা কী করিলে! আন্দোলন ছাড়িয়া দিলে।
কাদের সুযোগ দিলে?
যাহারা শহীদের রক্তে কেনা পতাকা ছিঁড়ে,
যাহারা আমার চেতনার শহীদ মিনার ভাঙে
যাহারা আমার পবিত্র মসজিদে বোমা ফুটায় তাদের?
রাজিব না হয় কাফেরই হইল, তোমরা কী করিলে!
তোমরা কেবল নাস্তিক রাজিব দেখিলে
মুসলিমরূপি মোনাফেক দেখিলে না।
তোমরাই সেই মোনাফেকের দল নও তো!!
আমাদের পতাকা আর তোমরা
তোমরা যারা আজ দুপুরে এই আমাদের আঘাত দিলে,
তোমরা যারা লাল সবুজের দেশটুকু আজ ছিঁড়েই নিলে,
তোমরা জানো এই পতাকা দেয়নি যেঁচে শ্ত্রুসেনা?
তোমরা জানো এই পতাকা তোমার ভায়ের রক্তে কেনা?
তোমরা জানো এই পতাকা তোমার মায়ের কান্না ধরে?
তোমরা জানো এই পতাকায় তোমার বোনের লজ্জা সরে?
তোমরা জানো এই পতাকা বাংলাদেশের গল্প বলে?
তোমরা জানো এই পতাকার গৌরবে এই দেশটা চলে?
তোমরা জানো এই পতাকায় কত্ত বুকের আবেগ মেশে?
তোমরা জানো এই পতাকায় কত্ত চোখের প্লাবন এসে-
তোমরা জানো এই পতাকায় তোমার আমার সৃষ্টি লেখা?
তোমরা জানো এই পতাকায় দেশের কথা আবার শেখা?
তোমরা জানো এই পতাকায় শ্রদ্ধা জানায় বিশ্ববাসী
তোমরা জানো এই পতাকায় আমরা সবাই জগৎ ভাসি?
তোমরা জানো এই পতাকায় তোমরা আছো, আমার মত?
তোমরা জানো এই পতাকা আশায় বোনা, স্বপ্ন কত?
তোমরা জানো এই পতাকা সবচেয়ে বড় পাওয়া?
তোমরা জানো এই পতাকায় আঘাত মানে নিজেই মরে যাওয়া?
তোমরা জানো কত্তটুকু আজ পুড়েছো অভিশাপে?
তোমরা জানো কত্তটুকু আমলনামা ভরলে পাপে?
তোমরা জানো ধ্বংস হতে কাজ কিছু নেই বোমার?
তোমরা জানো কত্তটুকু নিঁখাদ ঘৃণা কেবল তোমার? তোমার?
দিন শেষ
বোবা ইমারতের বারান্দায় জ্বলছে একটি মোম
একটি দু’টি করে শাহবাগ পর্যন্ত যজ্ঞের হোম
কতবার কত হায়েনা হয়েছে পাকিস্তানের দোসর
জন্মপরিচয়হীন বুদ্ধিবেশ্যারা করে কত তোড়জোর
হা হা পায় যে হাসি, বলছে কাজী নজরুল
বিদ্রোহে ভাসি-
আস্তিক-নাস্তিক ভেদ করে পাবে না তো পার
ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার
বিভেদের বাণী চিরন্তন শোনেনি তো বাঙ্গালী
’জয় বাংলা’য় রাসেল জাফর রাজীব দিচ্ছে রক্ত ঢালি
অপেক্ষায় ফাঁসীর দড়ি, রাজাকার-জামায়াত-শিবির
দিন শেষ তোদের, ঐ দেখ বলছে টিকটিক ঘড়ি
তারিখ : ২০.০২.২০১৩, ১২ টা (দুপুর)
এনাএনাদ্দার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য
ভুমিকাটাঃ-
আইচ্ছা, পিরে আসার্পর আবার্ফের চৈলাগেস্লাম। শাবাগে ডাক দিসিলো যেডি এরাইতে পারিনাই। হাজার্হৌক, দেশের্ডাক এরানি যায়না। পৈলা পৈলা পতিদিং গেসি, এক্সপ্তা পরেত্থে যাউয়া কোমাইয়া দিসি। প্যাটের্ধান্দায় থাক্তে হৈলে এট্টুহিসাব কর্তেই হৈ। যাউজ্ঞা এলা, যা কৈতেসিলাম- শাবাগের আন্দুলুন আমার্ভিত্রে জোশাইনা দিসিলো। কিন্তুক রিসেং কামকার্বারে হাল্কিশ ঝাস্পা হৈয়া যাইতেচি আর্কি। অবৈশ্য আমার্ঝাস্পা হোউয়ায় আস্লে কিছু যায়াসে না। ত্য হাচা কৈতেছি বেলুঙ্গের কতা হুনলেই কেরাম কন্ডম কন্ডম চিন্তা মাতায় হান্দায় যায়, কিকর্মু? মনৈ পাপ। আমি হ্লায় সুবিদাবাদির *ট, হেল্লিগা আমার্কতায় কান্দিয়েন্না। পোলাপাইনে কস্ট কর্তেছে অবৈশ্যৈ সফল হৈবো। যত দুয়া কালামজানি পর্তেছি সবার্সাফল্যের লাইগ্যা।
আইজারা আবার্ফের হাজির্হৈসি আরেআরেক্কান প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য হাতেরাঙ্গুলের ডঘায় লৈয়া। আপ্নেগোর খিদ্মতে প্যাশকর্তেচি এইবেলা
এনাএনাদ্দার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য
আম্রার পুতলা আম্রারে কয় মেও
তুম্রার পুতলা কেম্মে চুম্মা দেও
তুমার চৌক্ষে যকন রাকি চৌক্ষ
পাংখা মেইল্ল্যা উইরা যায়গা দুক্ষ
কবিতা: শ্রাবস্তী, তুমি জানো!
নোট: কবিতাটি মোহাম্মদ জহির সম্পাদিত, আরএসি চেম্বার, ৩৭ রাজাপুকুর লেইন, আন্দরকিল্লা, চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত মাসিক ম্যাগাজিন ‘শ্লোগান’ এর ১-২৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। কিন্তু প্রকাশিত লেখায় আমার নাম ছাপা হয়নি। এ ভুলের কথা মোবাইল ফোনে সম্পাদকে জানালে, কবিতাটি বর্ষ ১৭, সংখ্যা ১০/ জুন ২০০৮ ইং সংখ্যায় পূনঃমুদ্রণ করা হয়। কিন্তু পূণঃমুদ্রিত কবিতাটিতেও কিছু লাইন বাদ পড়ে যায়। সেটা কি সম্পদাকীয় নীতির কারনে হয়েছে কীনা জানতে পারিনি। তবে আমার আপত্তির কথা সম্পাদককে জানানোর পর সম্পাদক দুঃখ প্রকাশ করে পূর্ণবার পূণঃমুদ্রণের জন্য কবিতাটি আবার পাঠাতে বলেন। কিন্তু মূল লেখাটি আবার পাঠালেও সম্পাদক তার কথা রাখেন নি। আমি দু’বার তাকে মনে করিয়ে দিয়েছি, তিনি আবারও কথা দিয়েছেন। কিন্তু কাজ হয়নি। হয়তোবা তিনি ব্যপারটা ভুলেই গেছেন। শেষে নিরাশ হয়ে আমিও ক্ষান্ত দিয়েছি এবং ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। সে হিসেবে আমার মূল কবিতাটি অপ্রকাশিত কবিতাই বলা চলে। মূল কবিতাটি এখানে 'আমরা বন্ধু'র পাঠকদের জন্য প্রকাশ করলাম। আর সেইসাথে-
আজ না হলে আর কবে?
ভোরের সূর্য পুবের জানালায় উঁকি দিয়ে বলে
ফুল ফুটুক আর না ফুটুক
আজ ফাগুন
আমি উঠে গেছি ঝরাব আগুন।
এমন দিনে যদি না জাগো
শরৎ তোমার দখল নিবে
শীতে হবে কাঁথা বুড়ো
জৈষ্ঠে তোমার কপাল ফাটবে
আষাঢ়ে শ্রাবণ ধারা বইবে
অঘ্রানে ফল ফলবে না।
এমন দিনে যদি না জাগো
তবে আর কবে?
শিমুলের ডালে কোকিলের কুহুভাষা-
হারিয়ে গেছে তারা নাম চেয়েছে যারা,
যারা ভালোবেসে গেয়েছে
পেয়েছে সপ্তসুরের মালা।
চাঁদ বলে এই হল ভোর
বাড়ি যাই আজ
রাতের ডালে থাকব জাগি
সুখবর পেতে বাকি বহু কাজ।
লাল পেড়ে হলদে শাড়ির ময়নাটি
ঠোঁটে রঙ মেখে খুব করে ডাকছে-
আয় শাহবাগে।
এমন দিনে যদি হৃদয়ের পাড় না খুলো
তবে আর কবে?
ফাগুনের বইমেলাটা খুলে দেখি
এসেছে কত দাদা দিদি
হাতে হাত ধরে দীঘি
টুপ টাপ করে জলধ্বনী।
বাঁশিওয়ালা সাইকেল নিয়ে