ইউজার লগইন
কবিতা
আমন্ত্রন..
আয় আর একটি বার আয় এই বুকের বারান্দায়,
এই দৃষ্টি জুড়ে বৃষ্টিদিনের নরম রোদের ছায়।
আর একটি বার একটা বেলা নেই কথা নেই মুখে,
নিরবতার অবাক ভাষায় হারিয়ে যাওয়ার সুখে।
আয় আর একটি বার আয়,
সমস্ত দিন বৃষ্টি ছোঁব - ভালোবাসার;
বিষাদলোকের মেঘ জড়িয়ে গা'য়।
হাত বাড়ালেই বিষাদনগর,
সুরের ধারার রিনিকঝিনিক;
সুপ্রিয় ঝড় -
দুইজনাতে মিষ্টি লড়াই,
ছোট্ট কাপের চা'য়।
আয় আর একটি বার আয়..
নীরবতা
চায়ের দোকানদার এনামুল
আজকাল ওর দোকানেই বসি
মাঝে মাঝে দোকানে এ ও থাকে
তবে না থাকার পাল্লাটাই ভারি
আমি একা বসে থাকি
চা খাই, সিগারেট পুরাই…
আর, আর এনামুলের দিকে তাকিয়ে থাকি
কথা বলতে পারেনা এনামুল, না কানে শুনে
আপন মনে কাজ করেই যায়
মাঝে মাঝে ঠোটে সিগারেট পুরে কি যেনো ভাবে
ওর অস্পষ্ট সজল চোখের কিনারা দেখে ভাবি
ও কষ্টের খেত চষে বেড়াচ্ছে
মাঝে মাঝে ওর ঠোটের প্রান্তে ভেসে ওঠে অস্ফুট হাসি
বুঝতে বিলম্ব হয়না, এ হাসি ব্যঙ্গাত্মক
অনিশ্চিত, দারিদ্রতায় কন্টকিত জীবনের প্রতি
মাঝে মাঝে আশার ক্ষীণ আলোও ভাসে থাকে ওর চোখে
কি জানি কোন নেশায়!
আমি, তুমি আর দিনের শেষে ভুলবন্দি রাত.. [এলোমেলো কাব্যকথন!]
জানি,
দিনের শেষে তুমিও একা।
তোমার চোখেও রাত্রি নামে,
দিনের শেষে;
নিরবতার আয়না জুড়ে মুখরতা।
জানি ঠিক আমার মতই,
মনে মনে আপনমনে;
হাসির তোড়ে বিষাদ লুকাও।
খোলা চোখে আঁধার মেখে,
অন্ধকারের ডুবসাতারে -
ভুলে
পথ ভুল করে ফের,
আলতো ছোঁয়ায়;
মুখোসে মুখ একে যাও।
হিসেবে ভুল হলে তাও,
ভুল চোখেতেই হিসাব মিলাও।
পাছে পথে ভুল হয়ে যায়,
ভুলের ভেলায় পথের খোঁজে;
পরশপাথর আপনি বিলাও।
ভুলে যাও,
আমার মতই -
ভুলে চোখ; মেললে না মন,
হিয়া না ভরলে আলোয় -
দিনের শেষে,
অন্ধকারে;
খালি চোখে যায় না দেখা।।
বৃষ্টি অথবা ছুটি.. [এলোমেলো কাব্যকথন!]
শহরবন্দী মেঘ,
ছুটি দাও।
ছুটির ঘন্টা বাজাও;
বিষণ্ণ দুপুরের গায় -
আজ আমি স্নান করবো না,
বৃষ্টি না হলে।
শহরবন্দী মেঘ,
ছুটি দাও।
ছুটির ঘন্টা বাজাও,
বাউণ্ডুলের আকাশভরা নীলে।
আজ আমি বালুকাবেলার ডাকহরকরা,
সুপ্রিয় সমূদ্র ছোঁব না;
আর কিছুতেই -
বৃষ্টি না হলে।
শহরবন্দী মেঘ,
ছুটি দাও।
ছুটির ঘন্টা বাজাও,
একলা বিকেলের রোদ্দুরে;
সন্ধ্যার মায়াভরা রাস্তায়।
শহুরে অন্ধকারে,
হারিয়ে যাক;
নিকোটিন ধোঁয়া।
আজ বন্ধ -
চায়ের কাপে ঝড়,
বৃষ্টি না হলে।
বন্ধ খামের ভেতরেই থাক,
দুরের পাহাড়ের ডাক।
টিকেট কেটেও যাওয়া হবে না,
কু ঝিক ঝিক রেলে চড়ে বাড়ি।
যেখানে একাকী দরজায়,
কলিং বেলের অপেক্ষায়;
ভালোবাসা হৃদয়।
আজ আমি কোথাও যাবো না,
বৃষ্টি না হলে।
শহরবন্দী মেঘ,
ছুটি দাও।
ছুটির ঘন্টা বাজাও,
বাক্সবন্দী পথচলায়।
জানোই তো,
এখানে;
আমাদের চোখে -
বৃষ্টি হলেই ছুটি।।
চিঠি
ঘুড়ির কাগজে লিখা চিঠি, দূর মেঘের উজানে হারিয়ে গেলে
মনে পড়ল; ঠিকানা লিখা হয়নি।
লোডশেডিংয়ের রাতে ঘর জুড়ে নেমে আসে মন ভার করা অন্ধকার।
পোর্সিলিন মোমদানে সান্তাক্লজ;
কাঁপাম্লান আলোর বরাভয় রেখে চলে যান ছায়ার আড়ালে।
আয়না আছড়ে ফেলে বাতাসের পরী।হাতের তালুতে
ভাংগা কাঁচের টুকরা, দীর্ঘশ্বাস এবং এক বিন্দু রক্তের দাগ।
মোমের আলোয় লিখি স্বপ্ন এবং স্বপ্নভঙ্গের কথা।রূপকথার ভুলে যাওয়া গল্পগাঁথা
আবার পড়ছে মনে। জিগস পাজলের মতো সব জুড়ে দিতে গেলে দেখি,
কিছু টুকরো হারিয়ে গেছে ;কিছু বিসদৃশ বেমানান ফাঁক।
বাইরে বৃষ্টির গান। ডম্বরুমৃদঙ্গের তালে ঝরছে আকাশ।শব্দ লিখি।
শব্দের ভেতরে বাজে 'মিয়াঁ কি মল্লার' ।
স্মৃতির বুদবুদ থেকে রংধনুর সাত রং মেখে নেয় যে বর্ণমালা
তার ঘ্রাণ অবিকল বেলীফুলের মতো।অক্ষরের চিবুকে হাত রেখে
সাজাই স্বপ্ন এবং রূপকথার চিঠি। দীর্ঘশ্বাস লিখি।
ছবি আঁকি কড়ি ও কোমলের।
আমি, তুমি আর অন্ধকারের গান.. [এলোমেলো কাব্যকথন!]
আমার
একচিলতে
হৃদাকাশ,
আজও -
নীল।
তোমার ভালোবাসার
সুবিশাল ডানায়,
নেই দু'দন্ডের অখন্ড অবসর।
নিরন্তর উড়ালপথ -
জোড়া,
রিম ঝিম ঝিম রোদ্দুর।
যেখানে স্মৃতির করস্পর্শে
রৌদ্রস্নান করে -
অজস্র শঙ্খচিল,
রাতের পরিযায়ী মুহুর্ত;
আর স্বাপ্নিক আদর্শে বেড়ে উঠা আদুরে ঘুমপালক চোখ।
আর
বেখেয়ালে
ছন্দ কুড়োয় -
হারানো দিনের মতন
পুরাতন হাওয়ায়
বৃষ্টিস্নাত নগ্ন পদধ্বনি।
পাছে,
তালে ভুল না হয়ে যায় -
ভালোবেসে, অন্ধকারের গান
অথবা
দেখা না দেখার পথচলা
আর
বলা না বলা কথার সুর।।
স্বাধীনতা তুমি এসেছিলে বলে
স্বাধীনতা তুমি এসেছিলে বলে
দিনভর
প্রশান্ত মনে জীবিকার সন্ধানে ঘুড়ি
রাতে সুখ নিদ্রা যাই
তব দানে পাওয়া মাতৃভুমির ক্রোড়ে ।
সকালে নির্মল শীতল
সমীরণে, প্রশান্ত মনে
সূর্যি মামার রক্তিম আগমন পথে
যখন নজর পড়ে
মনে পড়ে যায়
উপরে বিধাতা, নীচে ১৮ বছর
জেল খানার অন্ধকার প্রকষ্ঠে কাটানো
জনকের কথা।
তুমি এসেছিলে বলে
আমি
লেখক, কবি, গীতিকার, গায়ক
কৃষক, গর্বিত গাড়ী চালক।
আরও আরও কত কি!!
তুমি এসেছিলে বলে
আমি কুদ্রাপি ছুটে চলা ঝঞ্ঝা।
আমি মুক্ত বিহঙ্গ,
আমি ঋদ্ধি, আমি ধন্য।
নিজের হাতে বানানো ঘূড়ি
পত পত করে উড়ে
ছুটে যেতে চায় সপ্তাকাশে,
তা না পারলেও আকাশের বাসিন্দাদের জানিয়ে দেয়
তার মুক্তির স্বাদ আস্বাদনের কথা
ডিগবাজি খেয়ে ইয়া আলী বলে
হুংকার ছুড়ে
আয় আয় হায়েনার দল,
আর একবার দেখি তোদের।
তুমি এসেছিলে বলে
আমার হাতে সবুজ পাসপোর্ট
নিঃসঙ্গ শালিখ
কোন একদিন ঠিকই খুঁজে পাবো আকাশের ভাঁজে লুকানো রং পেন্সিলের গোপন পকেট।
জানা যাবে বাতাসের মীড়ে মীড়ে মিশে থাকা শিতিগন্ধা সুরের রহস্য।
আনন্দেবিষাদে প্রতিটি বিকেল পান করি দ্রাক্ষারসের মতো।
অবকাশে দস্যিবালকের ক্রিকেটের ভেন্যু হয়ে যাওয়া গলি,
কার্নিশে ঝগড়াটে কাকের সালিশ,
বাঘের ভাবগরিমায় ঘাপটি মেরে বসা বেড়াল,
বৈকালিন চায়ের পেয়ালা এবং স্মৃতিমেদুরতা;
পায়ের পাতায় এখনো সর্ষে ফুলের ঘ্রাণ।
চলন্ত ট্রেনের জানালা দিয়ে দেখা দৃশ্যের মতো;
দেখা না দেখার দ্বিধা-দ্বন্ধে ফেলে আসা দিন।
কী যে তীব্র জীবনের গতি!
অজানা দুঃখের সংকেত দিয়ে করমচার ডাল থেকে একটি নিঃসঙ্গ শালিখ উড়ে গেলে
সবুজ পাতায় ফিকে রোদের মতো এক টুকরো বিষাদ লেপ্টে থাকে সারাটা বিকেল।
এই বিকেলটা হতে পারতো অন্যরকম;আকাশ দোলের আবীর মেখেছিল।
আমাদের দেশ
আমাদের দেশটা যে ভাই সবুজ রঙে ছাওয়া,
যেদিকে তাকাই সেদিকে সবুজ,সবুজের বাওয়া৷
মাঠের বুকে সোনালী ধান,সবুজ পাতার খোপে,
কত সুন্দর দখিনা হাওয়ার তালে দোলে কীরুপে৷ গান গেয়ে যায় মগডালে কোকিল কুহু কুহু রবে,
তাই দেখছে ছোট্ট খোকা,
আর ভাবছে কি যেন নীরবে ৷
নদীর বুকে শাপলা-কমল হেসে দিচ্ছে পাল্লা,
ভাটিয়ালী সুর ধরেছে,
দেখো পাল তুলে ঐ মাঝি মাল্লা৷
কত দূরে যেতে হবে,
তাই তো তরী উজানে দিয়েছে ভাসি,
তীরের বৌ-ঝিরা সব দেখছে তাদের,
আর দিচ্ছে মুচকি হাসি৷
গাছের ছায়ে বসে ঐ রাখাল বাজায় সুরে বাঁশি,
সুর ভেসে যায় দূর দিগন্তে,ফিরে নাহি আসি৷
সুর সাগরের দেশ এ আমার,
রূপের নেই তো শেষ,
এ যে আমার চাষী,বাউল,রাখাল ছেলের দেশ৷
ওয়াইনের নেশায় বুনে মাকড়সা
হঠাৎ করে একগোছা প্রজাপতি উড়ে এসে জুড়ে বসে এবং
ঘর ভর্তি রঙ বেরঙের ফ্যাশান পাদুকাগুলো পরে নেয়
ভোজন-রঞ্জন শেষে এক একে বাড়ি থেকে বের হতে হতে
যেই তারা দরজায় রাখলো পা
এক মস্ত মাকড়শা-জাল পথ করে রোধ
তারা ভু্লে গেলো ওয়াইনের পেয়ালায় রাখা
ফুলের রেণু যে নেশার রঙ মাখছিলো
সেই ঐক্যতানেই মাকড়সা জাল বুনছিলো।
বসন্ত রঙ
কখনো কখনো শৈশবের গন্ধ নাকে এসে লাগলে মেঘে
হারিয়ে যাওয়া চাঁদ সহাস্যে মেলে নরম রূপোলি আলো
বুকের গহীনে সযত্নে লুকোনো তার সফেদ জোড়া কবুতর
বিনীত ভঙ্গি তুলে আলোর মুখ দেখে উঁকি দিলে
চলন্ত ট্রেনের জানালা গলে এগিয়ে আসা বসন্ত রঙের হাওয়া
কোন এক যাত্রীর চোখের তারায় ঝিকিমিকি ঝিলিক তুলে।।
গান কবিতা ছন্দের দেশে ভিখারী বেশে-অনেকদিন পর
বহুদিন কিছু লিখা হয় না, সময়ের সাথে আমি ছুটছি, এদিকে বান্ধবী জেরীন সুদূর আমেরিকা থেকে জানতে চাচ্ছে কেন আমার কোন লিখা সে দেখছে না- একজন পাঠক আমাকে মিস করছে এই ই বা কম কী!
পাখির বুলি
পাখির বুলি কত যে শুনি
হায় মহাসময় হয়ে যায় ক্ষয়
শূন্য ঝুলি, ফাঁকা হৃদয়
এ জীবন বুঝি কয়েদীর ও নয়!
নিয়ম শাসন জীবিকা
দুচোখ পায় না কোনকালে
সূর্যের দেখা-
নদীর স্রোত দিন-রাত
মাখামাখি চলে যায়
হায় মহাসময় হায় আয়ু
সমারোহবিহীন দিকশূন্যপুরে ধায়।
(২১.০১.২০১৪, ৬:৪৫ সন্ধ্যা-অফিস মিটিং এ বসে লেখা)
পারমিতা
এভাবে ভালোবাসা হয় না পারমিতা
হয় না দেখা হয় না কথা
বোঝে না কেউ বুকের ও ব্যথা
এভাবে ভালোবাসা হয় না পারমিতা
কত শত উৎসবে মুখর শহর
একা একা কাটে আমার অষ্টপ্রহর
খোজেঁ না কেউ মেঘ বারতা
এভাবে ভালোবাসা হয় না পারমিতা
বিচ্ছেদ এবার হবে ই হবে জানি
ভালোলাগার কবিতা
আমার পরিচয়
-- সৈয়দ শামসুল হক
আমি জন্মেছি বাংলায়
আমি বাংলায় কথা বলি।
আমি বাংলার আলপথ দিয়ে, হাজার বছর চলি।
চলি পলিমাটি কোমলে আমার চলার চিহ্ন ফেলে।
তেরশত নদী শুধায় আমাকে, কোথা থেকে তুমি এলে ?
আমি তো এসেছি চর্যাপদের অক্ষরগুলো থেকে
আমি তো এসেছি সওদাগরের ডিঙার বহর থেকে।
আমি তো এসেছি কৈবর্তের বিদ্রোহী গ্রাম থেকে
আমি তো এসেছি পালযুগ নামে চিত্রকলার থেকে।
এসেছি বাঙালি পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার থেকে
এসেছি বাঙালি জোড়বাংলার মন্দির বেদি থেকে।
এসেছি বাঙালি বরেন্দ্রভূমে সোনা মসজিদ থেকে
এসেছি বাঙালি আউল-বাউল মাটির দেউল থেকে।
আমি তো এসেছি সার্বভৌম বারোভূঁইয়ার থেকে
আমি তো এসেছি 'কমলার দীঘি' 'মহুয়ার পালা' থেকে।
আমি তো এসেছি তিতুমীর আর হাজী শরীয়ত থেকে
আমি তো এসেছি গীতাঞ্জলি ও অগ্নিবীণার থেকে।
এসেছি বাঙালি ক্ষুদিরাম আর সূর্যসেনের থেকে
শরীর কাহিনী
Head মানে মাথা
Eye মানে চোখ
Ear মানে কান জেনো
Chest মানে বুক।।
চুলের বাহার দেখতে ভাল
Hair তাকে বলে
হউক না তা যত ই কালো
সাদা বুড়া কালে।।
Finger মানে আংগুল
Hand মানে হাত
পেটের ব্যাথজায় belly খারাপ।
সবাই কপোকাত।
Back মানে পিঠ
Leg মানে ঠ্যাং
শুদ্ধ বাংলায় পা বলে
নাচে ড্যাং ড্যাং।।
Nose মানে নাক
গন্ধ তাতে পাই।
Mouthমানে মুখ জানি
সকল কিছু খাই।।
Tooth মানে দাঁত
হাড্ডি মাংস খাই
Throat মানে গলা
মধুর গান গাই।
জোনায়েদ
ক্ষমা করো, ক্ষমা করো, বন্ধু
ছিকল ছিড়িতে না পারে
খাচা ভাংগিতে না পারে
পাখি ছটফটাইয়া মরে,
পাখি, ধর ফরাইয়া মরে।।
যতদুর মনে পড়ে ফারুক ও কবরি অভিনীত ঘর জামাই ছবিতে মরহুম আব্দুল আলীম এ গানটিতে প্লে বেক করেছিলেন।
গানটি শুনলেই বুঝা যায় একজন মানুষ কতটুকু শারিরিক ও মানষিক চাপে থাকলে, আর যে গীতিকার গানটি লিখেছেন তার সাড়ে তিন হাত দেহের পরতে পরতে কত আবেগ থাকলে তবেই দৃশ্যের বাস্তবতায় বিলীন হয়ে এম্ন গান লিখতে পারেন।
ইচ্ছা
তুমি যদি বৃক্ষ হও, আমি হব পাতা।
দু জনে নির্জনে বলিব, মনের কথা।
আমি যদি বৃক্ষ হই, তুমি হবে লতা।
জড়িয়ে থেক আমাই, দিওনা ব্যাথা।
আমি যদি আকাশ হই, তুমি হবে চাঁদ।
কাছা -কাছি থাকব দু জন, অন্য রকম স্বাদ।
আমি যদি চাঁদ হই, তুমি হবে চাঁদের আলো।
একসাথে মোদের জীবন, কাটবে ভাল।
তুমি যদি নদী হও, আমি হব ঢেউ।
বিচ্ছিন্ন করতে পারবেনা, মোদের কেউ।
তুমি যদি পাখি হও, আমি হব ডানা।
দূরে কোথাও হারিয়ে যেতে, থাকবেনা মানা।
আমি যদি পাখি হই, তুমি হবে নীড়।
এক ঘরে থাকব দুজন, ধরবেনা চীড়।
আমি যদি পাহাড় হই, তুমি হবে ঝর্ণা।
ছেড়ে যাওয়ার বেদনাই, আসবে তোমার কান্না।