ইউজার লগইন
কবিতা
দিনগুলো, অতীতের মতো মনে হয়!
দিনগুলো, অতীতের মতো মনে হয়
মনে হয় যেন ঘুম থেকে উঠে
যেতে হবে স্কুলে
কিশোরের বিষন্ন স্বপ্নের মতো
এ যৌবন পুড়ে যায়
নিজের উত্তাপে।
পুড়ে যায় আশা-ভালবাসা
মমতার প্রিয় বন্ধন
চেনা চেনা মুখ
অচেনা হয়ে যায় চলে
চলে যায় বহু দূরে
ধোঁয়াশায় ঢাকা মন
পারে না জানাতে
জমে আছে কত ক্রন্দন।
পুড়ে যায় চেনা বনভূমি
স্বদেশের প্রিয় অঙ্গন
সময়ের মেঘ
কালো হয়ে জমে থাকে
জমে থাকে কালো হয়ে
জীবনের ছেঁড়া ছাতা
আরও একটি প্রেমের কবিতা
তাই নিঃশ্বাসের সাথে নিকোটিন মিশিয়ে
সে যখন প্রকৃতিতে দুষন ডেকে আনলো
তখনও নিশ্চুপ ছিলাম।
আমি নিরবতায় অভ্যস্ত।
এই যে এক খন্ড কাপড় দেখছো লাল সবুজের
সেখানে আমার হৃদয় মিশিয়ে রাখিনি।
এই যে স্মৃতির মিনারে সহস্র ফুলের বর্ষা দেখছো
সেখানে আমি বৃষ্টি ঝরাইনি।
মন আমার প্রেয়সির আঁচলে বাঁধা
আর তাই সাড়ে সাত হাজার বর্গমাইল
বুটের আঘাতে বিক্ষত হলে
আমি বিদ্রোহী হয়ে উঠিনি।
গুলনাহার সাহাবউদ্দিন নামা
১।
একটা জন্মদিনের অনুষ্ঠানে
কুটকে বসে আছি এক কোনার সোফায়।
পত্রিকা পড়ছিলাম, আশে পাশে খেয়াল নেই
হঠাৎ ছুঁড়ির শব্দে পত্রিকা থেকে দুইচোখ সামনাসামনি-
একটা গাত্তা মেয়ে বসে আছে
ভীষন রিস্টপুস্ট দেহ, গোলগাল মুখ, চোখে মায়াবি হাসি,
ছুঁড়ি গুনছিলেন, দুই হাতে মেহেদির উল্কি,
সাজগোজ আহামারি নয়, আমার দিকে নজর নেই।
আমার শরীর স্থির, মন অস্থির হলো
নেড়ে চেড়ে বসি আমি- সেই আমাদের প্রথম চোখাচুখি।
আমি বিবাহিত, বিবাহের আঠার বছর কদিন আগে হয়েছে-
কিন্ত এ প্রথম মনে হল আমার অনেক কিছু বাকি!
জন্মদিনের কেক কাটা হল
সারাঘর ভর্ত্তি লোকজন, এখানে ওখানে জটলা
সবাই ব্যস্ত একে ওকে নিয়ে, আমার দুই চোখে শুধুই সে
আমি তাকেই খেয়াল রাখছি, সেও আমাকে!!
কেমন যেন তার ভাব, সে কি আমার প্রসঙ্গে জানে আগে!
নাকি ধরে নিচ্ছে - একটা নুতন প্রেম পাগলা!
তার চোখের ভাষায় আমি খই হারাছি - বসে ভাবছি,
প্যারানয়েড
শরীর গন্ধ দুপুরের পাহারাটা
অলস ধীরে আবরন সরিয়ে নিলে
একজন লোক কিংবা লোকটা, ময়াল থেকে