ইউজার লগইন
কবিতা
কতটুকুন আলো বুনে এনেছি রোদেলা সকাল
প্রিয় ঘাস!
পায়ের নীচে পিষ্ঠ হওয়া শেষে
তোমার মাথা তুলে দাঁড়াবার ঔদ্ধত্য ভঙ্গি,
কিংবা আবার সবুজ হয়ে ওঠার পালা,
তোমার মুখর হওয়া শিশিরকণা,
প্রতিবাদী হয়ে ছাপিয়ে ওঠার মহড়া;
আমাকে কুঞ্চিত করে!
আমি কুঞ্চিত হই সকালের সূর্যোদয়ে,
আঁধার রুখে যে প্রলয়োল্লাস করে।
কুঞ্চিত হই শহরতলীর শিউলী ফুলের কাছে,
গেঁয়ো দস্যি বালকের ঘুড়ি বাকাট্টা দিয়ে-
মাঞ্জামারা সুতার কাছে।
বালিকার বুনে রাখা নকশীকাঁথার কারুকার্যের,
রুমালের ভাঁজের কাছে।
আমাকে তৃষ্ণার্ত করে রাখা কবিতার কাছে,
নীলরঙে মোড়া বিক্ষুব্ধ প্রতীক্ষার খামের কাছে.
হলুদ ফুলে ভরা সর্ষেক্ষেতের মানচিত্রের
বা মায়ের যাদুর বাক্সে ভরে রাখা পিঠাপুলির কাছে
আমি কুঞ্চিত হই, হয়ে থাকি।
কুঞ্চিত হতে চাইনা প্রতিবাদী মুখরতায়।
০৬/১০/২০১০: রাত
সীমায় রুদ্ধ
সীমায় রুদ্ধ, সীমায় রুদ্ধ - ভুবন আকাশ তল
সীমায় রুদ্ধ মানুষগুলোর নয়ন জাত শীতল জল
সীমায় রুদ্ধ সময় জুড়ে অন্তরীক্ষের নিকোষ আঁধারটাও
সীমায় রুদ্ধ সময় ঘিরে ঘটনার সব বিশদ ঘনঘটাও।
সীমায় রুদ্ধ জীবন বলেই জীবন ভীষণ কষ্ট দেয়
সীমায় রুদ্ধ মন বলেই সে মন কষ্টও চুষে নেয়...
সীমায় রুদ্ধ কর্মকান্ড , সীমায় হায় হুতাশ
সীমায় রুদ্ধ স্বল্প এ ঘরে সীমায় রুদ্ধ বাতাস
সীমায় রুদ্ধ স্বপ্ন সকল , সীমার পর আর নেই
সীমায় রুদ্ধ সুখ খুঁজে তাই দু:খও হারা্য় খেই
সীমায় বদ্ধ মানব প্রাণী সুখ দু:খে মিলেমিশে
সীমায় রুদ্ধ জীবন কাটায় কেঁদে এবং হেসে.........
১/১০/২০১০
হয়তোবা ......
কথা না বলতে বলতে
হয়েছি বাকরুদ্ধ এই আমি;
বন্ধ হয়েছিলো মনের জানালা খানি।
সময় গড়িয়ে ইচ্ছেগুলো হয়েছিলো ফিঁকে মলিন।
কেনো যেন মনে হল...
আছে কথা বহু বাকী;
আছে বহু ইচ্ছে পূরণ।
প্রজাপতি ও বন্ধু আমার..!
একটু শুনে যাবে কি ...
নেবে কি ভর করে
রঙিন ডানায় তোমার..;
মলিন ইচ্ছে গুলো এই আমার।
করে দিতে স্বপ্নময় চির রঙিন....
হতে চাই বাধঁন হারা সৌন্দর্যে বিলীন.....।
বিদ্যালয় সখা
বিদ্যালয় সখা, সেরা সময়ের সহচর
ষান্মাসিকে বা ফুটবলের ম্যাচে অন্যদের প্রতিদ্বন্দ্বী করে
সামান্য এগিয়ে গেলেও অসামান্য সুখ
আঙুলে আঙুলে ভাব বা মুহুর্তে কাটাকাটি
একদিন আন্ত:স্কুলে এই কালো পীচে
দলবদ্ধভাবে বিজয় মুকুট নিতে শিকারী হয়েছি
যেন বিদ্যালয় সারাজীবনের, তার স্বার্থে লড়ে যাওয়া
স্কুল কি আর আমাদের মনে রাখে?
শুনেছি সবাই ভাল আছে, সাফল্যে নেতা, পতনে কেউ কবি
যোগভাগ নিয়ে আমারও চলে যায়, কম বেশী
অর্থ কড়ি ঘরে, ব্যস্ততা নিয়েছি চিনে
বাস্তব খেলায় খেলা মুছে গেছে কবে, মাঠ গেছে দখলে
হতে পারে ভাব বা রোমন্থন
নৌকার মতো স্মৃতির গুনটানা কিংবা
যে নামই তাকে ডাকি
কৈশোরের রোদেলা দিনগুলো আমাদের
শ্রেষ্ঠ সময়, চাইলেই তাদের ভোলা যায় না
সবাই কোথায়? বাইরে, দেশে ব্যবসায়, কাজে, কেরানীত্বে
অথচ কী জ্বলজ্বলে স্মৃতি, যেন আগে ভাগে স্কুলে পৌছে
সতীর্থদের জন্য অপেক্ষা করছি
---------------
আর কতদিন আর কতকাল ...
আর কতদিন আর কতকাল ... ...
অবুঝ রইবো মোরা, বুঝবো না হাল!
যতকাল রইবে ঐ বুড়ির জল কালো
যতকাল মুখে রব- ঐ আগুন জ্বালো,
ততকাল কালো জলে মুখ কালো করে
অথবা দৌড়ে পলায়ন আগুনের ডরে-
অবুঝ রইবো মোরা, হব চীর ভীত
মাথা উঁচু খানিকটা তবুও মেরুদন্ড আনিত।
ও উঁচু মাথার বল কিইবা কর্মকাজ?
মেরুর ঐ দন্ড নিচু- সে যে বড় লাজ।
মাথা উঁচু ভাবি তবুও মন যে ভ্রান্তি ময়
পা চাটাচাটি কত, মাথা কি উঁচু রয়!
এমন অপমান আর বল কতদিন-কাল
আস্টে পিষ্টে বন্দী - এ কেমন হাল?
জাল যেন ছেঁয়ে আছে প্রতি পদে পদে
নিচের ছায়ায় নিজে ভীত কালো নদে।
তাবেদারী ভাব ধরি, বুঝিনা গো দূর...
চির সত্যি ভুলে বাজাই শুধু মিছে সুর,
সাময়িক বাতাসটা যদি গো গায়ে লাগে
সে বাতাসের পূজোটাই সব চেয়ে আগে,
ওদিকে যে বহুদূর পথ পড়ে আছে...
ভুল ভাবি - এখনও সময় রয়ে গেছে!
২৪/০৯/২০১০
এলোমেলো ১
রাতের আঁধারে ও হাত ছুঁয়ে টের পেতাম তোমার উষ্ণতা
আজ কেবলি আঁধারে হাতড়িয়ে বেড়াই - আঁধারের তীব্রতা
যতই বাড়ে আমার স্বপ্নের গাঢ়ত্ব যেন খুঁজে পায় আবার
নতুন কোন আধার । নতুন করে ঘর বাঁধার ।
ঘর বেঁধেছিলাম একিসাথে ,একি হাতে রেখে হাত।
সবাই তাই ই করে - আমি জানি ,কত রাত
তুমিও দেখেছ আমায় তোমার স্বপ্নের সাথী করে
দেখেছি আমি তোমায় আমার প্রাণের পরে।
আমার অযোগ্যতা কি এতই বেশি -তবে
আগেই খেয়াল রাখা উচিৎ ছিল তোমার
যে আসে ভাবনার পাশে সে কি দাঁড়াতে পারে
এসে তোমার চলার পথে ?পথের ধারে?
যার প্রতীক্ষায় আছি
কুয়াশাঘন রাস্তা,
সকাল,
ধোঁয়াটে নদী কিংবা
নরোম আলো আলতো কামড়ে
ঝুলে থাকা
রাত্রি ক্লান্ত ডুবন্ত চাঁদ;
খয়েরী ইঁটের ফুটপাতে
ঝরে থাকা পাতাদের শিশিরভেজা মর্মরে
অস্ফুট ছবি দেখে,
দূরে কোথাও
মাঝে মাঝে মনে হয়
কোন এক সন্ধ্যায়
চলে যাই কোন এক অজানায়
বসে থাকি একাকী
ঘাস ফড়িং আর কাশ ফুলের মুখোমুখি।
ঠাকে যদি নদী কাছাকাছি
যেতাম হেটে তার পাশাপাশি
পা পিছলে যদি যেতাম নদীর জলে
যদি যেতাম হারিয়ে জলের অতলে
কেমন হত তবে
ভাসতে ভাসতে গেলাম চলে স্বপ্নের অতলে।
হঠাৎ ভেদ করে সকল চেতনার স্তর
একটি সত্য হয় প্রতীয়মান
যেতে হবে ফিরে
সেই চির চেনা কোলাহলে
যেথায় হয় ইচ্ছে ম্রিয়মান ।
শিরোনামহীন!
১.
বিস্মরণের শুকনো পাতা মাটিতে যায় মিশে
আবার জেগে উঠবে নতুন সবুজ ঘাসের শীষে।
চোখ খুলবে নতুন কুঁড়ি হাত বাড়াবে শাখা
জাগবে নতুন গানের খাতা ভালোবাসায় আঁকা।
রঙে রঙে রঙিন হবে বর্ণমালার ফুল
সেই ফুলেতে গড়িয়ে দেবো মন কিশোরীর দুল।
২.
একটু যেন অভিমানের আভাষ পেলাম কথার কোণে
সেই ব্যথাটুক মিলল এসে সঙ্গোপনে আমার মনে।
যেই কথাটি লুকিয়ে থাকে নৈঃশব্দ্যের নীরব স্বরে
আনন্দ আজ আমার কাছে
আনন্দ হয়ত বিকেলের সোনালী রোদ্দুর
অথবা আবীর মাখা সান্ধ্য মেঘ;
তাতে কল্পনার রঙ আছে,
আছে কবিতার আবেগ,
আছে চাপা হৃদ্যতার আঁকুতি,
গভীর অন্তর্ভেদী দৃষ্টি;
আনন্দ হয়ত সময়ের বুকে
একচিলতে অর্থহীন অনুভূতি!
আনন্দ আমার বর্তমান;
বর্তমান কি ক্ষনস্থায়ী?
নাকি কল্পনার ডানায় অসীমের বিস্তৃতি!
সময় তার শেষ দেখতে চায়,
প্রায় নিভে যাওয়া অনুভূতি
ডানা মেলে বাতাসে ভাসতে চায়;
এই বসবাস!
কবিতাটি খুব ছোট। কিন্তু পঞ্চাশ শব্দের নীচে কোন কিছু পোস্ট এখানে দেওয়া যায় না মনে হয়। তাই এই সব কথা লিখলাম। ছোট কোনোকিছু পোস্ট দেবার অন্য কোনো উপায় আছে কি? জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।আপনাদের সাড়া পেলে ভালো লাগবে। পড়ে যা মনে হয় তাই লিখবেন আশা করি।
এই বসবাস, এক নক্ষত্র আকাশ;
মৃত্যুবোধ যেন নক্ষত্রের ভালোবাসা।
তুমি এক আশ্চর্য আঁধার শুধু
আমি তার গভীর কুয়াশা!
চাইনা বৃষ্টি-----আগুন চাই
দিওনা বৃষ্টি ।
নিভতে চাইনা
গাইছি আগুনের স্তব।সাগ্নিক।
শুধু শুধু জড়ো করি আসর-ভাঙ্গা জলসাঘরের দীর্ঘশ্বাসগুলো
যাবার নিয়মে চলে যায় রূপকথা বলা সবুজ টিয়াটি।তার
অনিচ্ছার একটি পালক শুধু পড়ে থাকে।পুড়াই।
মুছে ফেলি পেলব ঘাসের সবুজ-মমতা।
মুঠোতে মেখেছি জ্যোৎস্না আর
চাঁদের গরলটুকু নিঃশেষে করেছি পান;
দেখেছি হৃৎপিন্ডের নীল রং ।তীব্র।
ভাল আছি।
ঝিনুকের খোলের ভেতরে গুটানোর ভব্যতাটুকু রপ্ত হয়ে গেলে
ঝরাপাতার সময়ে মুদ্রিত
পৃথিবীর সকল নিয়মকে পাপোষ করে আয় শুধু ভালোবাসার কাছে করি আপোষ। অন্তত একবার আয় হারিয়ে যাই বিজন সান্দ্রে। পাতায় পাতায় মুদ্রিত হোক আরো এক গল্পের মহিমা। সবুজে সমাহিত হয়ে যাক পুরান কেচ্ছাগুলো...
অমা
পর্বত, তুমি যেভাবে দেখেছ আকাশ
চোখের গোলক থেকে নদী ছুঁয়ে গেছে শুধু তারে
তাহারে পারিনি ছুঁতে তোমারেও না
নৈবেদ্য অপেক্ষায় আজও প্রসাদের সুরে
দূরে দূরে সরে যায় জীবনের
বেদমন্ত্র সব।
ভোলগার প্রাচীন তটে আশ্রিত প্রজাপতি
আবারও ঠিকানা খোঁজে বিনা প্রার্থনায়
শিখিনি ঋষির কাছে, তোমার কাছেও তাই হয়নি যাওয়া
তোমার কাছে আর হবে না যাওয়া,
ও আকাশ,
বর্ষের ঝড়-জল সয়ে যাওয়া গাছ
অনন্য রাতে আমি অন্য কিছু চাই
বৃষ্টি নয় এই অনন্য রাতে আমি অন্য কিছু চাই
দু-চারটে কথার মধ্যে আমি অন্য কারো কণ্ঠ শুনতে চাই
গান নয় শুধু গলার আওয়াজ...
আমার ঘুম গেছে তোমাকে খুঁজতে
বালিশকে তাই নিঃসঙ্গের গল্প শোনাচ্ছে অনিদ্রা!
আমার অসহ্য লাগছে
আমার অস্থিরতা বাড়ছে
তোমাকে কি কোথাও মিলবে?
তুমি এসে এই অনন্য রাতকে বিষাদ করে দাও
আঁধারের শরীরে ছিটিয়ে দাও তিক্ত খড়কুটো
তারপরও এসো
কিন্তু আসলে না