ইউজার লগইন
কবিতা
অমিমাংসিত দীর্ঘশ্বাস.. [এলোমেলো কাব্যকথন!]
কি আর আছে এমন আর?
এতটাই আগ্রহজাগানিয়া?
হৃদস্পন্দন নিয়ে খেলা করে চলে,
অবহেলায়;
নিমিষের আলতো চাহনিতে?
কি ই বা আছে আর এমন,
এতটা ভালোবাসার যোগ্য!
কে-ই বা ফিরিয়ে আনতে পারে,
শীতের হিমেল পরশ;
হৃদমাঝারে অবাক কাঁপা হাওয়া?
এমনকী গ্রীষ্মের শুষ্কতম দুপুরে,
চায়ের কাপের উত্তাপে;
বর্ষার রিনিঝিনি স্পন্দন?
আর কে ই বা পারে অতটা এমন,
খোদ ভীড় কেই ভিড়িয়ে দেয়া;
পথ ভুলিয়ে দেয়া ভীড়ের মাঝে।
কেই বা করে নির্জনতার এমন আবাদ?
কুড়িয়ে এনে জড়ো করে -
ছেঁড়া পকেটেই গুজে দেবে বলে,
নৈঃশব্দের কোলাহলের মতন;
সোনালী ফসল।
হোক তা,
মেঘমল্লার কিংবা সূর্যের দিন।
যখন,
অলীক মেঘেদের গর্জন,
নিজেকেই হারিয়ে চলে
অসীমে -
কে-ই বা আছে আর অতটা এমন?
মাঝরাত্তির - বুকের ভেতর,
তোমার মতন;
অতটা ভীষণ নীল..!
হৃদয়ের জানালা
হৃদয়ের জানালা
আমার সেল ফোনটা
তোমাকে ডাকলে,
তুমি রিসিভ করো
রিসিভ করে শধু হ্যালো বলো
বলবে তো??
আর কিছু না দিলেও চলবে
শুধু বলো হ্যালো।
বলত তুমি
কলিজা এফোঁড়, ওফোঁড় করা
এমন মধু কন্ঠ
তুমি কোথা পেলে??
তুমি কি বসন্ত বাতাসের
শিনি শিনি শব্দ শুনেছ
তা হলে মনে করত
হৃদয়ে প্রবাহিত রক্তের মত আপন
যা না বইলে প্রাণী নামক
কোন প্রাণের অস্তিত্বই থাকে না
তেমন কোন আপন জনের
বিরহের কান্না
হৃদয়কে কেমন ব্যাথিত করে তোলে!!
আমি যে তব বিরহে কাদছি
তুমি কি শুনতে পাও না??
জানালা খোল, বাতাসে কান পাত
কি, শুনতে পাচ্ছ কি?
তাও শুনতে পাও না।।
খোলা বারান্দায়, বা নির্জন প্রান্তরে
বাতাসে কান পাত
এবার শুনতে পাচ্ছ কি?
কি করে পাবে?
হৃদয়ের জানালা যে
রেখেছ বন্ধ করে ।
বন্ধ করে...।
অক্টোবর,০১,২০১৪খ্রীঃ
খুলনা,
সমুদ্র-দর্শন
কখনো মনের কোণে স্বপ্ন কি বুনেছি আমি হতে এক তুখোড় নাবিক?
আকাশের নীল ছুঁয়ে দিতে দিতে—সফেন সমুদ্রজলে
ডুবিয়েছি ক্লান্ত পা—খুব ভোরে, কুমারী আলোতে!
অথবা ভূমধ্যসাগর-নোনাজল-উঁচু উঁচু ঢেউ,
ছুঁয়েছে কি আমায় এসে, হাত ধরে টেনে নিয়ে গেছে রহস্য-অতল?
দেখেছি অবচেতনের খুব কাছ ঘেঁষে
যৌবনা জলপরী ক্রীড়ারত যেন;
লজ্জার ঈষৎ ব্রীড়া কম্পমান জলের ডগায় ছুঁড়ে দিতে দিতে!
অথবা নিমগ্ন কোন নীলকণ্ঠ—সমুদ্র মন্থনে!
জীবনের প্রতি পলে কত কিছু দেখা হল,
শেখা হল তার চেয়ে হয়তোবা কিছু কম,
রেখাগুলো ক্রমে ক্রমে ঘনীভূত হতে হতে
অবশেষে খুঁজে নিল প্রিয় কিছু অবয়ব!
আবার তা কোথায় হারালো...
তবু আমি বারবার অবশ্যম্ভাবী ফিরেছি তোমারই কাছে—
তোমার চোখের মত এত নীল ধরে রাখা সমুদ্র আমি তো দেখিনি!
তবুও, তোমায় আমি.. [ অপ্রলাপ - ০১৪৩ ]
[টিপটিপ কোন বৃষ্টিফোঁটার আজন্ম বিষাদ;
মেঘবালিকার কপাল জুড়ে ছোট্ট নীল টিপ না হতে পারার আক্ষেপ।
আলোর আকাশ ছোঁয়া
চোখের সমূদ্র ছেড়ে
কাজলের সরু নদী
এক ফোঁটা মেঘ,
কপোলের টোলে;
সেই
হৃদকাপানো হাসির সীমানায় -
বয়ে আনে অন্ধকার।
- অথচ তোমার দুচোখে তখনও নীল।।]
কখনো এমনও হয়..
আকাশ জুড়ে শতবর্ষের মেঘ,
খুব বৃষ্টি ঝরে যায়।
তবুও খালিপায়ে হেটে যাওয়া হয়না,
দুহাত মেলে আকাশপানে চেয়ে।
বৃষ্টি শেষে কোমল স্নিগ্ধ হাওয়া,
চায়ের কাপের গরম ভাপে;
ভালোলাগার তীব্র হাতছানি।
তবুও -
আঙুলের পরশে ছুঁয়ে যাওয়া হয়না,
কথকতার
আলতো আদর দোলা মনে।
বিকেল ছাঁদের হাওয়া,
ব্যালকনীতে রোদ্দুর;
অভিমানের জানলা বেয়ে
একা বোকা রাস্তায় -
খুঁজে ফেরে পথ।
আর পথিক?
তার, আয়নায় ভাঙা মন।
কেবলই,
কোথায় যেন;
কি যেন একটা কিছু
নেই বলে -
এই তুমি আর সেই তুমি নেই বলে।
[অথচ তোমারই চোখে ছিল
কেবলই আমার জন্য
হৃদয়ের দু চার টুকরো
তোমারই হাতে হাত ধরে
হাঁটতে হাঁটতে পেরিয়ে আসি
একটার পর একটা জীবন সীমানা ,
মুখ থুবড়ে পড়ে যাওয়া রাস্তায় দাঁড়াতে শিখে গেছি ।
কত রকমের ব্যাখ্যায় সূচিত জীবন
মেরুকরণ ঘটে যায় দিগন্তের আভায় ,
বুকের মাঝে পাথুরে সংসারেও গোলাপ ফোটে
হাট বাজার বসে যায়
মুক্তিতে মুক্তো মালা
পসরা সাজানো বাগান
কচি ঘাসের কান্নায় রোজ দিনবসান ঘটে যায় ।
তুমি মাড়িয়ে যাবে তাই শিশিরের মিছিলে
কেন জানি না বারে বারে হাহাকার ওঠে ;
বিষ হয়ে যায় অযাচিত যন্ত্রণা
বিকেলের রোদে ঘন আলোড়ন তুলে
কারা যেন কাক চিলের আড্ডা জমায় ,
আমাদের ভাঙা পাঁজরে আজ আবার আবাহন মন্ত্র
স্ব-উচ্চারণে যুগ ধ্বনিত করে
আর আমি তোমার হাত ধরে
পৌঁছে যাই অনিন্দ্য আলোর আপন বিভবে ।
-০-০-০-
তুমি যদি(প্রিয়র জন্মদিনে)
তুমি যদি(প্রিয়র জন্মদিনে)
তুমি যদি দৃষ্টির আড়ালে থাক
সান্ধ প্রদীপ জ্বালব কাকে দেখতে
তবে তুমি যদি কাছে আস
আলো জ্বালানোর প্রয়োজন আছে কি?
তুমি যদি মেহেদী না লাগাতে
কি করে বুঝতাম
মেহেদী পাতা এত সৌন্দর্যের অধিকারী।
তুমি যদি......।।
এই পর্যন্ত লিখে রেখেছিলাম, আর সময় হয়ে উঠেনি কবিতাটা শেষ করার,শান্তর লেখা পড়ে জানলাম অল্প সময়ে অতি প্রিয় হয়ে উঠা প্রিয়র আজ জন্মদিন। গেষ্ট রুমে গেষ্ট বসিয়ে রেখে তাই লিখছি।
তোমার হাসি মাখা ছবিখানা না দেখলে
বুঝতেই পারতাম না
কলিজা ছেদ করা এমন হাসি কেউ
হাসতে পারে।
দাতের মাজনের অনেক বিজ্ঞাপন দেখেছি
বলছি তাদের
তোমার অনুমতি নিয়ে
তোমার ছবিটা ধার নিতে,
অবাধ্য ক-খানা চুল
কাউকে
এত মোহনীয় করতে পারে????
তোমার কপালে ছড়ানো
চুলগুলো
না দেখলে জানতেই পারতাম না।
তব গলে দোল খেলা মালা খানি
পদ্ম ডাটার এক পাশের ছালে ছিরে
শরৎ
১
কাশবনে ঢেউ খেল যায়
বুকের ভেতর বলে যায়
ওই এলো ওই এলো রে
আবার শরৎ এলো রে ।
২
পেঁজা মেঘের নাও ভেসে
যায় চলে যায় দূর দেশে
খুশির স্বপ্ন ভাসায় ভেলা
শিউলি ঝরে ভোরবেলা ।
৩
শাপলা ফোটে পুকুরে
হাল্কা রোদের দুপুরে
উচ্ছ্বাসে রঙ মাখছে
আগমনী সুর গাইছে ।
দুটি লিমেরিক
জীবন চিত্র
রঙের সাথে রঙের লাগিয়ে ক্যানভাসে ভাসে জীবন
সব রঙেতেই সাদার খেলায় ফুটে উঠছে ছবির মন
এক ফ্রেমেতে ভাবনা কত
লুকিয়ে আকাশ অবিরত
আঁকছে মানুষ হাজার বার্তা রোজ পথের অনুরণন ।
মেঘ তুই
আমার উঠোন ভিজিয়ে দিয়ে যাস কোথা তুই মেঘ
প্রেমের কদম ফুলেও যে তোর আঁচলভরা আবেগ
এ পাড়া আর ও পাড়াতে
যাস ছুটে তুই সই পাতাতে
আমার বুকে কান্নাতে ও মেঘ দে ঝরিয়ে সব উদ্বেগ ।
-০-০-০-
ক্লান্ত পথিক
ক্লান্ত পথিক
----------------
ছুটে চলেছি
অজানা লক্ষহীন সময়ের পদচিহ্ন ধরে ,
জীবন নামে
আঁকা বাঁকা পথে পথে।
ছুটে চলার ক্লান্তিতে
রণ ক্লান্ত পথিক আমি
ছুটে চলেছি
সুতা কাটা ঘুড়ির মত
আন্ধ ভাবে জীবনের স্রোতের টানে।
জীবন শুরুর তেজদিপ্ত মনে
জমেছে ক্লান্তি , ঘুণে ধরা ইচ্ছে গুলিই
জমেছে না পাবার অপূর্ণতা।
তার পরেও ---
টেনে চলেছি নিজেকে
ভার বাহী পশুর মত,
ছুটে চলেছি তবুও
হাজার বছরের ইতিহাস হয়ে
হারানোর কিছু নেই বলে।
লক্ষ নেই স্বপ্ন নেই তবুও চলা
সামনে এগিয়ে যাওয়া
পিছনে রেখে পদচিহ্নের বক্র রেখা।
২১-০৮-১৪ইং,১.৪৩am
ক্রিয়াভিত্তিক ছয়তলা ভবন,ভবানিদির বাড়ির সামনে কৃষ্ণচূড়া,রাধা কি বৃক্ষে থাকেন ! নাকি রাধা ঐ ভবানিদি
(ক্রিয়াভিত্তিক ছয়তলা ভবন,ভবানিদির বাড়ির সামনে কৃষ্ণচূড়া,রাধা কি বৃক্ষে থাকেন ! নাকি রাধা ঐ ভবানিদি)
বাতাসে ইস্কাপন
মধ্যমাতাস
বিদুৎ গজিয়েছে মাঠে ঘাটে।
গজাল মাছটা দিয়েছে ডুব
উর্দ্ধাকাশ সন্ত্রাস
সম্ভ্রম হয়ে থাক ভুতের শরীর।
পূর্বেভুত কোনো ছায়াতলা
অন্ত:স্থ হা হু তাস
কলকব্জা মানে লাঙলের গতিবিধি।
আগামী মাস কার্তিক
কর্তৃত বিহ্বলতা যেন উত্থান গ্রন্থের নাম হয় আউলিয়া।
এইখানে কারো নামের সাথে ইতিহাস নাই,শুন্যের সাথেও না।
কি লিখবো!
ভাবছিলাম একটা গল্প লিখবো
পারলামনা।
ভাবছিলাম একটা কবিতা লিখি
তাও হলোনা।
কি নিয়ে লিখবো? কি'ই বা লিখবো?
এ তো আষাঢ় মাস চলছে
তবে কি এবার একটা আষাঢ়ে গল্প লিখবো?
লিখবো কি একটা আষাঢ়ে কবিতা তবে?
মধ্যবিত্তের আষাঢ়ে চাহিদার গল্প লিখবো?
লিখবো তাদের আষাঢ়ে স্বপ্নের কবিতা?
কিভাবে লিখবো? কি'ই বা লিখবো?
ভাবতে গেলেই ভাবনাগুলো
কেমন যেনো এলোমেলো হয়ে যায়
মধ্যবিত্তের জীবনের মতই
বড্ড এলোমেলো বড্ড আষাঢ়ে।
এমন বৃষ্টি দিনে.. [এলোমেলো কাব্যকথন!]
এমন বৃষ্টি দিনে,
কি এমন ক্ষতি হতো?
আমি যদি তোমার হতেম,
আর;
সেই তুমি-ই আমার হতে?
কি এমন ক্ষতি হতো?
মিছিমিছি ভালোবাসায়,
আলতো হেসে;
হুট হারালে -
আমার তোমার অচিনপুরে।
কি এমন ক্ষতি হতো,
ছন্নছাড়া কথকতায়?
হঠাত্ হোঁচট,
চেনা অচেনা চাহনিতে;
বুকের ভেতর সুদুর দুরে।
দিনের শেষের চাওয়ায় পথে,
আমি নয় রয়েই যেতাম -
আরও এক বৃষ্টি দিনের অপেক্ষাতে;
আকাশ ছোঁয়া মেঘ দুয়ারে।
এমন বৃষ্টি দিনে,
কি এমন হতো ক্ষতি;
আমি যদি হতেম দুরের মেঘ?
নয় -
বৃষ্টি হয়েই হারিয়ে যেতেম,
তোমায় ছুঁয়ে।
এমন বৃষ্টি দিনে..
আমন্ত্রন..
আয় আর একটি বার আয় এই বুকের বারান্দায়,
এই দৃষ্টি জুড়ে বৃষ্টিদিনের নরম রোদের ছায়।
আর একটি বার একটা বেলা নেই কথা নেই মুখে,
নিরবতার অবাক ভাষায় হারিয়ে যাওয়ার সুখে।
আয় আর একটি বার আয়,
সমস্ত দিন বৃষ্টি ছোঁব - ভালোবাসার;
বিষাদলোকের মেঘ জড়িয়ে গা'য়।
হাত বাড়ালেই বিষাদনগর,
সুরের ধারার রিনিকঝিনিক;
সুপ্রিয় ঝড় -
দুইজনাতে মিষ্টি লড়াই,
ছোট্ট কাপের চা'য়।
আয় আর একটি বার আয়..
নীরবতা
চায়ের দোকানদার এনামুল
আজকাল ওর দোকানেই বসি
মাঝে মাঝে দোকানে এ ও থাকে
তবে না থাকার পাল্লাটাই ভারি
আমি একা বসে থাকি
চা খাই, সিগারেট পুরাই…
আর, আর এনামুলের দিকে তাকিয়ে থাকি
কথা বলতে পারেনা এনামুল, না কানে শুনে
আপন মনে কাজ করেই যায়
মাঝে মাঝে ঠোটে সিগারেট পুরে কি যেনো ভাবে
ওর অস্পষ্ট সজল চোখের কিনারা দেখে ভাবি
ও কষ্টের খেত চষে বেড়াচ্ছে
মাঝে মাঝে ওর ঠোটের প্রান্তে ভেসে ওঠে অস্ফুট হাসি
বুঝতে বিলম্ব হয়না, এ হাসি ব্যঙ্গাত্মক
অনিশ্চিত, দারিদ্রতায় কন্টকিত জীবনের প্রতি
মাঝে মাঝে আশার ক্ষীণ আলোও ভাসে থাকে ওর চোখে
কি জানি কোন নেশায়!
আমি, তুমি আর দিনের শেষে ভুলবন্দি রাত.. [এলোমেলো কাব্যকথন!]
জানি,
দিনের শেষে তুমিও একা।
তোমার চোখেও রাত্রি নামে,
দিনের শেষে;
নিরবতার আয়না জুড়ে মুখরতা।
জানি ঠিক আমার মতই,
মনে মনে আপনমনে;
হাসির তোড়ে বিষাদ লুকাও।
খোলা চোখে আঁধার মেখে,
অন্ধকারের ডুবসাতারে -
ভুলে
পথ ভুল করে ফের,
আলতো ছোঁয়ায়;
মুখোসে মুখ একে যাও।
হিসেবে ভুল হলে তাও,
ভুল চোখেতেই হিসাব মিলাও।
পাছে পথে ভুল হয়ে যায়,
ভুলের ভেলায় পথের খোঁজে;
পরশপাথর আপনি বিলাও।
ভুলে যাও,
আমার মতই -
ভুলে চোখ; মেললে না মন,
হিয়া না ভরলে আলোয় -
দিনের শেষে,
অন্ধকারে;
খালি চোখে যায় না দেখা।।