ইউজার লগইন
গল্প
গল্প: রাতের খুশি খুশি ভাবের নেপথ্যে একটা কারণ ছিলো
‘স্মোকিং ইজ স্ট্রিক্টলি রেস্ট্রিক্টেড ইন দি অফিস এরিয়া’ ঘাড়ের ওপরেই কথাটা লেখা ছিলো। এরিয়াল ফন্টে এবং অন্তত ৭২ পয়েন্ট সাইজে। বোল্ডও করা ছিলো কথাটা। তার নিচে দাঁড়িয়েই সিগারেট টানছিলাম। সাধারণত আমি অফিসের আওতাভুক্ত এলাকায় এভাবে ধূমপান করি না। যদিও অফিসের অনেককেই আমি ওই নোটিশটার নিচে দাঁড়িয়ে সিগারেট খেতে এবং খেতে খেতে ওই নোটিশটা নিয়েই হাসাহাসি করতে দেখেছি।
অফিস থেকে একটু দূরেই চা-সিগারেটের দোকান। সেখানে দুই টাকা, এক টাকা দামের বিস্কুটও পাওয়া যায়। আমাদের গ্রামে গরুকে যেসব কলা খাওয়াতো, সেসব কলাও পাওয়া যায়। চা পানের জন্য হোক, সিগারেট টানার জন্য হোক বা ক্ষুধায় যখন মাথা ভনভন করে তখন কষ্ট কমানোর জন্যই হোক; আমি ওই দোকানটায় চলে যাই।
গল্প: যখন আরো কয়েকশ' বছর বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে অকারণে
১.
কবি টং-এর ওপর বসেছিলাম অবন্তি আর আমি। সমুদ্রসৈকতের তিন থেকে চারশ' মিটারের ভেতরেই, তিনশ' ফুট উঁচুতে টং-খানি অবস্থিত। এই টং আসলে চায়ের দোকান নয়, বাঁশ দিয়ে বানানো মাচা- যার উপরে উঠতে পারলে অনেকটা দূর পর্যন্ত দেখা যায়। তবে পড়ে গেলে কিংবা ঝড়ো বাতাসে উড়ে গেলে কি হবে সে সম্পর্কে চিন্তা না করাই ভাল। সেদিন সকাল থেকে সাগরে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। আর মাছ ধরার নৌকাগুলোকে সাগরে যেতে নিষেধ করে উপকূলে থাকতে বলা হয়েছিল।
মৃদুমন্দ বাতাসে টংটা বিপজ্জনকভাবেই দুলছিলো, তবে সেদিকে আমাদের খুব বেশি ভ্রুক্ষেপ ছিল না। পরিবেশটা উপভোগ করতে ভাল লাগছিল অনেক বেশি। কবি টং-এর একপাশে নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড় আর অন্যপাশে বঙ্গোপসাগর। নিচে মেরিন ড্রাইভ। মেরিন ড্রাইভ আর আমাদের অবস্থানের ভেতর আর রয়েছে কেবল সারি সারি নারিকেল গাছের মাথা।
প্রেম থেকে অপ্রেমে
মুখবন্ধ
সাধারণ মানুষ,ছাপোষা জীবনযাপনকারী ন'টা-পাঁচটার বৃত্তেবন্দী লোভকামমোহমাৎসর্যে আকণ্ঠ ডুবে থাকা জীবনেও প্রেম আসে। প্রেম ছককাটা জীবনটাকে উল্টেপাল্টে দেয়, নতুন করে বাঁচতে শেখায়। কিন্তু রোম্যান্সের চটজলদি আকুলতা কমলে যেটা পড়ে থাকে, সেটাকে প্রেমের ছাইভস্ম বলাটাই কি বেশি সঙ্গত? মানবিক টানাপোড়েন দানবিক হয়ে উঠলে প্রেম তো অপ্রেমেও পর্যবসিত হতে পারে দ্রুত, তাই না? ক'দিন আগে লেখা একটা সহজিয়া রোম্যান্সের পরিণতি নিয়ে ভাবছিলাম। বেশ কিছুটা লিখে ফেলেছিলাম- শেষটা এখনো চেষ্টা করছি মেলানোর। যদিও জীবনের হিসেব মেলানো খুব কঠিন।
১
গল্পঃ মূল্য
আমার কখনও গ্রাম দেখা হয়নি সেভাবে। শহরে জন্ম, বেড়ে ওঠা। গ্রামের সাথে কোন সম্পর্কই তৈরি হয়নি! বন্ধুদের কাছ থেকে ওদের গ্রামের কথা শুনতাম। বাবাকে গ্রামের বাড়ির কথা জিজ্ঞেস করলেই বলতেন- আমাদের কোন গ্রামের বাড়ি নেই, নদীতে ভেঙ্গে গেছে। গ্রাম আমার কাছে ছিল কেবলই বইয়ে পড়া আর টেলিভিশনে দেখা ছবির মত! সেদিন শিবলী যখন জিজ্ঞেস করল ও দুদিনের জন্য গ্রামে যাচ্ছে আমি যাব কিনা, কোন চিন্তা না করেই রাজি হয়ে গেলাম। এই রাজি হওয়া যে ঝোঁকের মাথায় তা নয়, অনেকদিন থেকেই শিবলীর কাছে ওদের গ্রামের গল্প শুনে শুনে আমার মনে সত্যিকারের গ্রাম দেখার একটি আগ্রহ তৈরি হয়েছিল।
একটি উপচানো এসট্রে আর দুটি নির্ঘুম চোখ
গুমোট আবহাওয়া। কাল অফিস নেই। সবাই যার যার মতো উল্লাসে ব্যাস্ত। সুমিত বসে আছে সেই পুবের জানালাটি ধরে। ঘরের আলো নেভানো, তবে কম্পিউটার অন।
কম্পিউটারে অনবরত বেজে চলছে সেই গানটি, যে গানে সুমিতের প্রতিটি অলস দিনের সৃষ্টি হয়।
"সাচ এ লোনলি ডে,
এন্ড ইটস মাইন,
দ্যা লোনলিয়েস্ট ডে ইন মাই লাইফ।"
সুমিত আপন মনে একের পর এক সিগারেট ধরাচ্ছে আর মুগ্ধ হয়ে শুনে যাচ্ছে গানটি। গানটির আসলেই একটা অনন্য মাদকতা আছে, যা শ্রোতাকে ভাবনার জগতে নিয়ে যেতে পারে। এই গানের সাথে সুমিতের এমন অন্তরঙ্গ সম্পর্ক প্রায় বছর খানিকের।
সুমিত হঠাৎ করে কম্পিউটারের সামনে এসে বসলো। বসেই চালিয়ে দিলো,
"আই হ্যাভ এ প্রবলেম,
দ্যাট আই কেননট এক্সপ্লেইন......"
আর এই সমস্যার সাথেই সুমিতের দৈনন্দিন পথচলা। রোবটিক জীবন জাপন চলতে থাকে কোনো এক অজানাকে উদ্দেশ্য করে।
হয়তো কোনো এক শুভ্র সকালে কোনো এক অপরিচিতা সামনে এসে দাঁড়াবে।
হাওয়ার ঘুম
আমরা মুখোমুখি অথচ মাঝবরবার ঢুকে পড়েছে যেন আলোকবর্ষ অথবা এক শতাব্দী দূরত্ব। হয়ত তাই আমরা কেউ কাউকে ছুঁতে পারিনি। মা অবশ্য স্বচ্ছ দিঘির মত; আমাদের নিয়ে তাঁর প্রত্যাশা, ক্ষোভ বা অভিযোগ সবটাই আমার মুখস্ত। অথচ আমি গাঢ় থেকে গাঢ়তর শৈবালের ঝোঁপ তৈরি করে ফেলেছি। না আমি যেতে পেরেছি, না মা আসতে পেরেছে। তাই ইউ-টার্ন না করে কেবল আমাদের সমান্তরালে ছুটে চলা। 'গর্ভধারিনী' উপন্যাসে এক চরিত্র বলেছিল "যে বাচ্চা মাকে বেশী কষ্ট দিয়ে পৃথিবীতে আসে সে চিরদিন সুখী করে রাখে।" আমার জন্মকথা যে শুনেছে সেই-ই বলেছে 'মিঠি, মাকে কোনদিন কষ্ট দিও না!' ছোটবেলা থেকেই আমার উপর যোগ্য সন্তান হওয়ার একটা দায় চাপিয়ে দিয়েছিল সবাই বুঝে অথবা না বুঝেই। হয়ত সব সন্তানই এইটুকু দায় নিয়েই বড় হয়।
বেইরুতের গল্পকথা: সাধু জর্জের উপকূলে
১.
আসলে আমাদের জীবনে যা কিছু হয়, ভালোর জন্যই হয়- ঠিক কিনা? আমাদের ইনটুইশন, স্বজ্ঞা বা অন্তর্জ্ঞান যাই বলি না কেন, খুব ভাল করেই জানে আমরা কে কি করার জন্য জন্ম নিয়েছি এবং বেড়ে উঠেছি। তাই আমি জীবনে যখনই কোনো সিদ্ধান্তের মুখোমুখি দাঁড়াতে বাধ্য হই, নিজের ইনটুইশনকে প্রশ্ন করি সেটার ব্যাপারে। যেমনটি সেবার চাকুরির ইস্তফাপত্র জমা দেয়ার আগে নিজেকে প্রশ্ন করেছিলাম, ইস্তফা দেবো কিনা। উত্তর এসেছিল একবাক্যে, হ্যাঁ।
সেই ইস্তফাপত্রটা সেবার জমা না দেয়া হলে, সম্ভবত কখনোই আমার বেইরুতের অভিজ্ঞতা অর্জন সম্ভব হতো না। আর সাতপাকে জড়িয়ে জীবনের কি চেহারাটা দাড়াঁতো, তা নাহয় নাই ভাবলাম। চলুন আজ সে অভিজ্ঞতাটার কথাটাই জেনে নেয়া যাক।
তার ছিড়া গল্প
১.
দূরে কোথাও বৃষ্টি হচ্ছে। চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছি। জানালা দিয়ে অনেক দূরের কিছু পাহাড় সারির ধোঁয়াশা। ধোঁয়াশাটা বৃষ্টির পর্দা। পাহাড়গুলো নদীর ওপারে। মাঝে মাঝে দেহবহির্ভূত হয়ে মনটা ওই পাহাড়ের আড়ালে আশ্রয় নেয়। একদিন নদীটা পার হয়ে সোজা ওই পাহাড়গুলোর দিকে চলে যাবো। অফিসে আসার পথে প্রতিদিন নদী পারাপারের খেয়াঘাট পেরিয়ে আসি। কখনো সখনো দেখি সারিবদ্ধ মানুষ নৌকা থেকে নেমে শহরের নানান জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। যেখানে ঘাট, সেখানেই বাসস্টপ। সন্ধ্যের আগে কাজ সেরে সবাই ফিরে যাবে ওই পাড়ে।
বৃষ্টগ্রস্ত
* * * * * * * * * *
উৎসর্গ
* * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * *
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আম্মাজান অনেক ঝামেলার মাঝেও আজকে শুধুমাত্র তোমার সৌজন্যে একটা ভালো সংবাদ পেলাম। তোমার জন্য একরাশ শুভকামনার সাথে কিছু বস্তুগত উপহারের ব্যাবস্থাও করবো।
তবে হ্যাঁ, তোমার পিতা মানে আমার শ্রদ্ধেয় দুলাভাইয়ের কাছে একটা ব্যাপক খানা-দানা পাওনা হয়ে গেলো। আমি জানি তিনি আমার এই স্ট্যাটাস দেখবেন আর মুখ চেপে হাসবেন। কারণ খানা-দানা তার অত্যন্ত পছন্দের বিষয়। শুধু উপলক্ষ দরকার। এইবার উপলক্ষের ব্যাবস্থা তুমি করছো আর খাওয়ার ব্যাপারটা আমি দেখুম। আহ ভাবতেই যেন কেমন লাগছে!
সবাই তোমার ফলাফলে অনেক খুশি। তাদের খুশিটা অনেকটা লাফালাফির পর্যায়ে চলে গেছে। বড়দের এইরকম শিশুসুলভ আচরন দেখতে ভালোই লাগে। অনেকটা বুড়ো বাবু স্টাইল।
তবে আমার উচ্ছাসটা তোমায় নিয়ে ভিন্ন ধরনের। আজ আমি নিজেই দেখে দিলাম তোমার খুব কাছের বান্ধবীর ফলাফল। এবং তারপর যা দেখলাম তাতে আমি মুগ্ধ। নিজের ভালো ফলাফলে তোমার যে আনন্দ তা অনেকটাই ম্লান হয়ে গেলো কাছের বান্ধবীর খারাপ ফলাফলে। আর তখনই বুঝলাম শুধুমাত্র ভালো ফলাফল নয় তুমি ধীরে ধীরে ভালো মানুষ হিসেবেও গড়ে উঠছো।
মায়াকানন
ময়মনসিংহ জেলা। এ জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র নদী। নদীর দুই তীরে গড়ে উঠেছে হাজারও শহর বন্দর জনপথ যেমনটি সকল নদীর ক্ষেত্রেই ঘটে, কারন এক সময় যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম ছিল নদী। নদী থেকে পাওয়া যায় কত রকমের মাছ যা তীরবর্তী জনপদের ভোজের রসনা মেটায়। নদীর উপর দিয়ে দুরন্ত বেগে ছুটে চলে ইঞ্জিন চালিত নৌকা, বড় বড় ব্যবসায়িক বজরা আরও চলে চিত্যবিনোদনের নিমিত্য নোকা বাইচ। আর এসব নদী নৌকা, মাঝি মল্লাকে নিয়ে কত হৃদয় জুড়ানো গান তৈরী হয়েছে তা কি লিখে শেষ করা যাবে। দৃষ্টির বাইরে চলে যাওয়া এ নদী দুইপাড়ের বাসিন্দাকে দিন রাত ২৪ ঘণ্টা বিনে পয়সায় দিয়ে যায় নির্মল বাতাস যা শরীর ও মনকে নিষ্কলুষ করে পবিত্র করে তোলে। তাই বলে সকল মানুষ কি এ নিষ্কলুষতার ছোয়া পায়। না পায় না, যদি পেত তা হলে এমন কি কখনও হত।
ফাদারহুড
মাসুম, মধ্যবয়সী একজন মানুষ। বিয়ে করেছিলেন মাস ছয়েক। বিয়ের আগের অগোছালো একজন মানুষ। জীবনজাপনে কোনো জীবনবোধ ছিলো না। প্রতিটি রাতের শুরু হতো নেশা দিয়ে। মদ, গাজা আর সিগারেটে কেটে যেতো প্রতিটি একাকিত্বের রাত।
একটি কাঠের চেয়ার; ঠায় দাড়িয়ে আছে অপরিষ্কার বারান্দায়। ধুলো জমে যার রং ই পাল্টে গিয়েছে। মাসুম ইফতার শেষে বারান্দায় দাড়িয়ে বিড়ি ফুকছে। কিছুটা অন্যমনস্ক ভংগিতে তাকিয়ে আছে ধুলোপরা ওই চেয়ারের দিকে। হঠাৎ ক্রিংক্রিং শব্দে মোবাইল বেজে উঠলো। বউ কল দিয়েছে বোধহয়!!!
পারেও মেয়েটা। অসীম ধৈর্য নিয়ে সর্বদা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিয়ের পরে এই মেয়েটা জীবনবোধই পাল্টিয়ে দিয়েছে।আজ বিকালে তো তার ডাক্তারের কাছে যাবার কথা। এই কলটা কি সেই আপডেট জানাবার জন্য নাকি গতানুগতিক? এই ভাবতে ভাবতে কলটি রিসিভ করলো মাসুম।
অস্ফুট স্বরে বললোঃ হ্যালো।
ওপাশ থেকে হাসির রিনিরিন শব্দে বললোঃ আসবা কবে?
কেন?
নাহ, এমনি। তোমার সাথে কথা আছে।
বলো।
না, মানে ডাক্তার বলছে সুখবর আছে।
প্রচন্ড মুডি মানুষটি হো হো করে হেসে বললোঃ তাই তো বলি বউ এত্তো লজ্জা পায় কেন?
কেউনা
একটি ৩*৩ রুবিক্স কিউব। পুরোটাই অবিন্যস্ত। যদি সাজাতে পারো তবেই পেয়ে যাবে জন্মদিনের উপহার। প্রতিটি তলেই তোমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা দেয়া।
একটি নীলাভ পাঞ্জাবি। এটাকে যেমন জিন্সের সাথে মানাবে, তেমনি মানাবে সাধারন পায়জামার সাথে। পরলে পরীর মতো লাগবে।
একগুচ্ছ লাল গোলাপ। যা সুন্দরের সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দেয়। হাতে নিয়ে তোমায় মনেহবে স্বর্গের অপ্সরী।
কুপার্সের ব্ল্যাকফরেস্ট কেক। স্বাদে সৌন্দর্যে অতুলনীয়। তাতে একটি মোমবাতি জ্বালানো থাকবে। এক ফুঁ তে নিভে যাবে , আর তখনই প্লাস্টিকের ছুরিটা তাকে এফোঁড় ওফোঁড় করে দেবে। একটুকরো মুখে তুলে খাইয়ে দেবে অতি আপন একজন কেউনা।
কেউনা রা সবসময়ই কেউনা হয়েই থাকে। তাদের স্বাবেক প্রেমিকারা তাদের বুকে মাথা রেখে বলে , যদি কক্ষনো চলে যাই তবে ভেবনা ভালোবাসিনি। আর তারা তা মেনে নেয়। বন্ধুরা অনেক চাহিদার সময়ে দেবার মতো সময় করে উঠতে পারে না। প্রচন্ড কষ্টের সময়ে অনিচ্ছাকৃত ভাবে অনুপস্থিত থাকে। ঠিক যেমন অনুপস্থিত থাকে প্রচন্ড ভালোবাসার প্রেমিকা। ঠিক যেমন অনিচ্ছাকৃত ভাবে ছেড়ে চলে যায়।
তোমার স্মৃতি
আমারও ভালোবাসতে ইচ্ছে করে।
নীল আকাশের নীচে দাড়িয়ে গলা ফাটিয়ে চিতকার করে বলতে ইচ্ছে করে "ভালোবাসি অনেক ভালোবাসি।"
হাজারো মানুষের মাঝে হাটুগেরে বসে ফুল দিয়ে বলতে ইচ্ছে করে "তুমি কি আমার হবে?"
তোমায় ঘিরে শত-সহস্র মোমবাতি জ্বেলে বলতে ইচ্ছে করে "এরচেয়েও বেশি আলো তুমি জ্বেলেছো মোর হৃদয়ে।"
চাদেঁর আলোয় তোমার মুখোমুখি বসে চাদঁকে কাচকলা দেখিয়ে বলতে ইচ্ছে করে "তুমি মোর অপরুপা।"
হাজারো নারীর আহ্বান পেছনে ফেলে বলতে ইচ্ছে করে "তুমি আমার একটাই তুমি।"
সর্বোপরি তোমায় বলতে ইচ্ছে করে "তুমিই সে যার ঠোঁটে ঠোঁট ছুইয়ে আমি ঘুমোতে চাই , আবার ঘুমের পরে চোখ খুলেই যাকে দেখতে চাই।
হয়তো আমার এই আবেগ তোমার কাছে স্বস্তা ! কিন্তু তারপরও তুমিই আমার একটাই তুমি। তুমি নেই কিন্তু তোমার স্মৃতি তো আছে, বেঁচে থাকার জন্য ওটাই বা কম কি???