ইউজার লগইন
গল্প
বিলাসিতা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে যান জহুরুল হক। এই প্রথম তিনি চ.বি. ক্যাম্পাসে এসেছেন। চট্টগ্রামে এসেছেন দ্বিতীয়বারের মতো। তিনি থাকেন লক্ষীপুরে। শিক্ষকতা করেন একটি প্রাইমারী স্কুলে। গ্রামে গাছ-পালা, লতা-পাতা, ক্ষেত-খামার, পশু-পাখি দেখে তিনি অভ্যস্ত। তবুও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নম্বর গেট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলস্টেশন পর্যন্ত সড়কের দু’ধারে সারি সারি বৃক্ষ দেখে তিনি আপন মনে বললেন, বাহ ! কি সুন্দর !
অনাহূত ধর্মঘটের কারণে চবি’র ক্লাস স্থগিত। কিন্তু অনার্স ভর্তি কার্যক্রম চালু রয়েছে।প্রশাসনিক ভবনও সচল।শুধু ট্রেন চলছে না। হয়তো চলবে, তবে কোন শিক্ষার্থী থাকবে না। জহুরুল হক তার কন্যা নিঝুমকে নিয়ে অনেক্ষণ সময় পর্যন্ত বটতলীতে ভার্সিটির ৮টা ২০মিঃ এর ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু ট্রেন চলার কোনো সম্ভাবনা দেখতে না পেয়ে তিনি একটা সি.এন.জি ডাকলেন। ট্রেনে করে যাওয়ার পেছনে দুটি কারণ ছিল।প্রথম কারণ,তিনি কখনো ট্রেনে চড়েন নি,তাই ট্রেনে চড়ার একটা শখ পূরণের ইচ্ছা ছিল। আর দ্বিতীয় কারণ ছিল, ট্রেনে করে গেলে বিনা ভাড়ায় যেতে পারতেন। এতগুলো টাকা সি.এন.জি ভাড়া দিতে হতো না।
শরতের সরোদ
‘তুমি যাবে ভাই-যাবে মোর সাথে আমাদের ছোট গাঁয়,
গাছের ছায়ায় লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়...।’
ভরা যৌবনের জলতরঙ্গে শরতের কোন এক পড়ন্ত ভাদ্র বেলায় কবি জসিম উদ্দিনের নিমন্ত্রণের ডাকে সারা দিয়ে আমার হাত ধরে উপমা বলেছিল, শুনেছি তোমার গ্রামকে বড় ভালবাস তুমি; ছবির মত ছায়া সুনিবিড় তোমার গ্রাম; এ দেশের গ্রাম দেখা হয়নি আমার কোনদিন; দেখিনি ধান-পাট-শষ্যে ক্ষেত; দেখিনি ডোবা-নালা-খাল-বিল-বাওর-হাওর-নদী-সাগর; দেখিনি প্রকৃতির পাহাড়-ঝরণা-ছড়া-মেঘ-কুয়াশা-নদী আর রহস্যময় পাহাড় ঘেরা অপার সৌন্দর্যের পাহাড়ি ভুমি। আমায় তুমি নিয়ে চল সখা, তোমার যেখানে খুশী-তোমার চোখে দেখব আমি শরতের শাশ্বত রুপ।
সুখী দেশের সুখী নাগরিক
সকাল ৬ টায় ঘুম থেকে উঠিয়া কোনরকমে গোসল সারিয়া, ৮টার মধ্যে অফিসে ঢুকি, তারপর আমার আর আমার মস্তিস্কের উপর দিয়ে কি যায় তা আমি বিনে কেউ জানেনা, এরপর বাসায় ফিরি রাত ৮ টায়। তখন মাথা উচু করে রাখার শক্তি থাকেনা, তারপর ফ্রেশ হওয়া, বাজার করা, রাতের খাবারের ব্যাবস্থা করা, কালকের কাজগুলো কিভাবে করা যেতে পারে তা নিয়ে ভাবা, প্রগ্রামিং এর বইনিয়ে বসা, দুই ঘন্টা ঘামে ভিজে যাওয়া, তারপর হঠাত ঘড়িতে দেখি রাত ১২:৩০ বাজে, সাথে সাথে প্রেমিকার ফোন তার সাথে ঘন্টা খানেক কথা বলা, তারপর নিজের মনের শান্তির জন্য পড়া, হঠাত দেখি ভোর ৩:৩০ । আর ঠিক তখনই মনে পরে যায় আমার হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসার কথা, যাকে আমি হারিয়েছিলাম আমার টাকা পয়সা নাই, আর গায়ের রং কালো বলে । পুরোনো সুখ স্মৃতি স্মরণ করতে করতেই সকাল ৫:৩০ বাজে । তখন হঠাত ঘড়ি দেখে মনে হয় উফ কাল সকালে আবার অফিস । ঘুমাই আবার উঠেই অফিসে !!! এই হচ্ছে আমার মত একজন নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের দৈনন্দিন জীবন। আমি জানি আমার মত এমন বা এর চেয়েও খারাপ অবস্থা এ দেশের অধিকাংশ মানুষের, তারপরও নাকি আমাদের দেশ বিশ্বের ১১ তম সুখী দেশ?
ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়।-অনলাইনে জীবনের প্রথম আয়।
কথায় আছে ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় কথাটা ১০০% সত্য।গত দুটি বছর ধরে অনলাইনে আয়ের উদ্দেশ্যে পথ খুজতে থাকি।বহু পিটিসি সাইটে ক্লিক করেছি কোন লাভ হয়নি।এরপর ও অনলাইনে আয়ের পথ থেকে পিছিয়ে যাইনি।..........। খবর পাই ওডেস্ক এর। তারপর থেকেই আল্লাহর ইচ্ছায় অনলাইনে এখন আয় করছি। জীবনের প্রথম আয় ছিল $১ ডলার ৩০ টি ফেইসবুক লাইক করে।সব চেয়ে মজার কথা হচ্ছে ওডেস্ক এ সাইন আপ করার পরের দিনই আমি $১ ডলার আয় করি। আমার জন্য দোয়া করবেন। আর একটা কথা আপনারা চেষ্টা করে দেখতে পারেন যার আয় করতে ইচ্ছুক................।।।।।
আত্মীয়
মানুষ যে কতটা আগ্রহ নিয়ে কথা বলতে পারে তা এ মুহুর্তে মোসাদ্দেক আলীকে না দেখলে বিশ্বাস হতো না সেতুর।তিনি এত আগ্রহ নিয়ে কথা বলছেন যে তিনি খেয়ালই করছেন না তিনি যাকে কথা গুলো বলছেন সে আদৌ শুনছে কিনা। সেতু মোসাদ্দেক আলীর কথা শুনছে খুবই দায়সারা ভাবে।ব্যাপারটা অনেকটা এরকম যদি এখানে মোসাদ্দেক আলী কথা না বলে ,রান্নাঘরে একটা কাপ ভাংগার শব্দ হলে সে শব্দ যেমন সেতুর কর্ণকুহরে প্রবেশ করত,ঠিক তেমনি মোসাদ্দেক আলীর বকর বকরও তার কানে যাচ্ছে বিচ্ছিন্নভাবে।সে মাঝে মাঝে হা হু শব্দ করছে এবং বরাবরের মতো এবারও খুব বিরক্ত হচ্ছে।কিন্তু সে মুখটা খুব স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে।তারপরও তার মনে হচ্ছে যেকোনো মুহূর্তে তার মুখ ফসকে কোনো উল্টাপাল্টা কথা বেরিয়ে যাবে।আর সেজন্যই সে তার শ্বশুরের সামনে বসে থাকতে চাচ্ছে না।কিন্তু মানুষটা এমন আগ্রহ করে কথা বলছে যে তার মুখের উপর উঠে যেতে খুব অস্বস্তি হচ্ছে সেতুর।
মানুষ যখন আগ্রহ নিয়ে কিছু করে তখন সে মানুষটার জন্য একধরনের মায়া হয়।কখনো কখনো সে মায়া তীব্র ভালোবাসায় পরিনত হয়।যেমন-কেউ যদি খুব আগ্রহ নিয়ে কথা বলে,আগ্রহ নিয়ে খাওয়া দাওয়া করে,শুনতে কিংবা দেখতে খুব ভালো লাগে।
‘আব্বা এই যে আমি!!!
সংসারের বড় মেয়ে বড়াপার ছোট ভাই বোনের জন্য আদরের প্রকাশ ছিল এত বেশি যে ছোটরা তার রাগের জন্য খুব একটা ভয় পেতোনা, এম্নিতেও বড়াপা যত গর্জাতো, তত বর্ষাতো না। মেজাপার রাগ ছিল চন্ডালের রাগ, বুঝিয়ে দেবার পর লেখা পড়ায় ভুল করলে মেরে হালুয়া বানিয়ে দিত, বিশেষ করে ক্লাস সিক্সে ওঠা মেজ এবং সেজ দুরন্ত দুই ভাই এর উপরে তার শাস্তির মাত্রাটা এত বেশি ছিলো যে ভাগ্যিস তখন মানব-অধিকার উকিলদের কথা কেউ শোনেইনি, তাদের হিসেবমত ছোট ভাইদের মেরে তক্তা বানানোর অপরাধে মেজাপার কয়েক বছর সশ্রম কারাদন্ড দেয়া যেত অনায়াসেই।
জোৎস্না জড়ানো শিহরণ - শেষ পর্ব
জোৎস্না জড়ানো শিহরণ - ১
জোৎস্না জড়ানো শিহরণ - ২
জোৎস্না জড়ানো শিহরণ - ৩
ঠিক তখনই দরজা ঠেলে রেস্টুরেন্টে ঢুকে কাঙ্খিত মেয়েটি। অনুসূয়াকে সুরেশের বিপরীতে বসে থাকতে দেখে এক মূহুর্ত থেমে যায়। তারপর হেঁটে নিজের নিত্যদিনের আসনে বসে। রেস্টুরেন্টটাতে এই সময় কখনো তেমন ভীড় হয় না। বাঁধা-ধরা কিছু লোকই এখানে নিয়মিত আসে। খুব কম দিনই সুরেশ বা মেয়েটা তাদের নির্দিষ্ট আসনটা হারিয়েছে। বেলা একটার পর কিছুটা ব্যস্ত হয়ে উঠে এই রেস্টুরেন্ট। তারপর আড়াইটার পর আবার ঝিমিয়ে পড়ে।
মেয়েটার দিকে অর্ডার নিতে এগিয়ে আসার আগেই সে উঠে ধীরে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে যায়। সুরেশের বুক থেকে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে।
- দেখেছো, কষ্ট পেয়ে বেরিয়ে গেছে।
বৃষ্টি ভেজা দিঘি ।
অনেকক্ষণ ধরেই বৃষ্টি হচ্ছে আজ । ভার্সিটির ক্লাসের তিনতলার জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে ছেলেটি । তার নাম রানা , যতদুর চোখ যায় বৃষ্টি ভেজা এক বিশাল অরণ্য । সবুজ গাছের সাথে লতাগুল্ম একে অন্যের সাথে জড়াজড়ি করে দাঁড়িয়ে আছে । উপর থেকে দেখে মনে হচ্ছে বৃষ্টি ভেজা এক কার্পেট বিছানো । রানা একটু অভাক হয়ে প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্যের দিকে তাকিয়ে থাকে ।
রানা খুব সাদাসিদে একটা ছেলে।সে কলেজ শেষ করে এখন ভার্সিটিতে পরছে । মানুষের সাথে তার মেলা মেশা তেমন একটা বেশি নয় । আর মেয়েদের সাথেতো প্রায় নেই বললেও চলে ।।রানা দেখতে এমনিতে খারাপ নয় ।ওর চেহারাতে কেমন একটা সাম্য ভাব রয়েছে । দেখে যেকোন মেয়েরই ভাল লাগার কথা ।
ভালোবাসা আমাকে বাসেনি ভালো
টিকেট কাটার পর থেকেই আমি আতংকে ছিলাম ট্রেনে না জানি কে বসে আমার পাশের সিটটাতে।মনে মনে চাচ্ছিলাম কোনো না কোনো ভাবে যেন একজন মেয়ে বসে।আজ সকালে,(সকাল না বলে ভোর বলা উচিত)এই কুয়াশার চাদরের ভেতর দিয়ে যখন আমি বটতলী রেল স্টেশনে এসে পৌঁছালাম তখনও মনে মনে একই দোয়া করছিলাম।কিন্তু না,আমার দোয়া যে কোনো কাজের না তা প্রমাণ করার জন্যই দেখি আমার পাশের সিটে বসে আছে উড়নচন্ডী,উসকু-খুসকু টাইপের একটা ছেলে।মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল।কিন্তু মেজাজ দেখানোর তো আর উপায় নেই।তাই বিরক্তি চেপে হতাশ নয়নে জানালার কাঁচ দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকি।
দিনের আলো ফোটার সাথে সাথেই কুয়াশা কেটে যাচ্ছে একটু একটু করে।আমি ভাবছি,কেন যাচ্ছি আমি ঢাকায়?কোনো কিছুতেই মন বসে না।যে ভালোবাসার জন্য আমি সব ছেড়ে দিতে চেয়েছি সে ভালোবাসাই কিনা কত সহজে ছেড়ে দিল আমাকে।মুক্তির স্বাদ যে এত বিস্বাদ হতে পারে এ ঘটনার মুখোমুখি না হলে হয়তো কোনোদিনই জানা হতো না আমার।ভাবনার ছেদ পড়ে পাশে বসা পাবলিকের উপরের লাগেজ স্ট্যান্ড থেকে ব্যাগ নামাতে গিয়ে ফেলে দেয়ার শব্দে।আমার বিরক্তি ভরা চোখের দিকে তাকিয়ে বললেন,সরি।
জোৎস্না জড়ানো শিহরণ - ৩
জোৎস্না জড়ানো শিহরণ - ১
জোৎস্না জড়ানো শিহরণ - ২
অনুসূয়া চোখ দু'টোকে ছোট করে উদাসীন সুরেশের দিকে তাকিয়ে দেখে কিছুক্ষণ, “কিছু ভাবছো সুরেশবাবু?” চতুর্দিকের সোফার মাঝখানের কাঁচের ছোট টেবিলটায় তাকিয়ে থাকা সুরেশের কোন উত্তর না পেয়ে সে আবার বলে, “কিছু কি বলবে?” এবার সুরেশ কিছুটা নড়ে উঠে এবং ধীরে ধীরে বলে, “না, আমি ভাবছিলাম,” কথা শেষ না করতে দিয়ে অনুসূয়াই সুরেশের কথাটা শেষ করে, “তুমি স্ট্রেইট, এরকম অদ্ভূত কাজ-কর্ম করো না।” সুরেশ মাথা নীচু করে চুপ হয়ে যায়।
জোৎস্না জড়ানো শিহরণ - ২
৪
প্রকৃতিও এখন পাল্টাতে শুরু করেছে উত্তর আমেরিকায়। সুরেশ এই শহরে থেকে এই অক্টোবরেও বর্ষা-বৃষ্টির স্বাদ পাচ্ছে। দেশে তো পেয়েছেই। দেশ থেকে ফেরার পর মাসখানেকের উপর হয়ে গেছে। ঠান্ডা বাড়ার বদলে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও হালকা-পাতলা বৃষ্টিরই দেখা পাচ্ছে। সময়-অসময় বলে এখন কিছু নেই। আকাশের গোমড়ামুখো হওয়া আর প্রেমিকার যখন-তখন মুখ কালো করা সমানুপাতিকভাবেই চলছে। তাই বলে সুরেশ যে বাস্তবিকই কোন প্রেমিকার সাহচর্যে আছে, তা ভেবে বসবেন না। সুরেশের মনের আকাশেও প্রেমিকার আনাগোনা চলছে। সুরেশের কল্পনায় তা শ্রাবণের মেঘের মতই। চাতক পাখির মত বৃষ্টির জন্য সে হাহাকার করছে।
গল্প : এক খর দুপুরে কঙক্রীটের ঝাড়ে
মতিঝিলের একটা কোণা দিয়ে হাঁটছিলাম।
ওই যে, রাজউক আর রাষ্ট্রপতির বাড়ির চিপা দিয়ে একটা রোড চলে গেছে না একদম শাপলা চত্বর পর্যন্ত? সেই রাস্তাটা দিয়ে। এক খর দুপুরে। কোনো কারণ ছাড়া। হাঁটছি তো হাঁটছিই।
এমনটা সাধারণত ঘটে না। দুপুরের দিকে অফিসের ব্যস্ততাটাই আমাকে বেশি করে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়। আজ সেটা নেই। কোনো এক বিচিত্র কারণে, হাহা।
হাঁটতে হাঁটতে রাজউক ভবনের কাছে চলে আসলাম। রাস্তাটা দিয়ে বের হলেই দেখতে পাবো দুইপাশ দিয়ে অবিরাম গতিতে চলাচল করছে অসংখ্য গাড়ি-ঘোড়া।
স্যরি, ঘোড়া মনে হয় দেখতে পাবো না। ঘোড়ার গাড়িগুলো এদিকে আসে না। ওগুলো গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজার থেকে সদরঘাট ওভারব্রীজ পর্যন্ত যায়।
এখনই যন্ত্রণার যন্ত্রনগরীতে না ঢুকে বরং আরো খানিকটা সময় গলি-ঘুপচিগুলোতে ঘোরাঘুরি করি। গলি-ঘুপচিতেতো আর সবসময় ঘোরাঘুরির সুযোগ মেলে না। একটা সিগারেটের দোকানের সামনে দাঁড়ালাম। একটা সিগারেট খাওয়া যায়।
তখন আমিন কোর্টে ইলিশ ভাজা দিয়ে ভরপেট ভাত খেয়েছি। ইলিশটা টাটকা ছিলো না, কিন্তু ভাজাটা বেশ হয়েছিলো। ভাতের পর পাশের একটা দোকানে দাঁড়িয়ে খেলাম চা।
জীর্ণ-মায়া
খুব ছোটখাটো বিষয় নিয়েও ইদানীং সায়ানের সাথে আমার ঝগড়া লেগে যায়।আমার মনে হয় সায়ান বদলে গেছে।সায়ানের মনে হয় আমি বদলে গেছি।আসলে আমরা দুজনেই বদলে গেছি।কেউ কারো কথা শুনতে রাজী নই।দুজনেই বলতে চাই।আর দুজনেই বলতে চাইলে তো সমস্যা হবেই।আমাদের ও হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিন ই ঝগড়া হয়।ঝগড়াটা মূলত শুরু হয় রাতে। রাতে শুরু হওয়ার কারণ হচ্ছে সারাদিনে রাতেই আমাদের কিছু সময় থাকে। খুব সকালেই সায়ান চলে যায় অর ব্যবসার কাজে। নতুন একটা ব্যবসা দাঁড় করানো বেশ ঝক্কির ব্যাপার। আর ঘর সংসার সামলে এনজিওতে পার্ট টাইমে একটা চাকরী করি আমি।।বলা যায় দুজনেই ব্যস্ত থাকি দিনভর।তাই হতো দিনের সময়টাতে ঝগড়া হয় না।
সায়ান আমার সাথে এখন আর আগের মতো সব কথা বলে না।লুকোচুরি করার চেষ্টা করে।যেহেতু মানুষটাকে আমি অনেকদিন ধরে চিনি তাই তার লুকোচুরির ব্যপারটা আমি ধরে ফেলতে পারি।