ইউজার লগইন
গান
কফি হাউজ (দ্বিতীয়)
মান্না দে সহ সকল পাঠক মাফ করবেন।
তখন সবে মাত্র গিটারে সুর তোলা শিখেছি।গিটার শিখি বুয়েটের দাদার কাছে।আজিজ সুপার মার্কেট। দাদাকে এক দিন জিজ্ঞাস করলাম দাদা কোন গানটা গিটারে তুললে তোমার গায়ের লোম ভয়ানক অনুভূতি সৃষ্টি করে?
দাদা চোখ বন্ধ করে গিটারে মাদকতায় পাগল করা "কফি হাউজ" গানটা বাজিয়ে শুনিয়েছিল।বাজানো শেষে বলেছিল " দেখিস এই গানটা কখনো পুরানো হবে না।টিকে থাকবে হাজারো বছর।মানুষ হাজার বছর পরেও এই গান শুনবে একই মাদকতায়।
বলা বাহুল্য আমার প্রথম গিটারের সুর ছিল কফি হাউজ।
চেষ্টা করেছি এবং সফল হয়েছি কফি হাউজ দ্বিতীয় এর সুর তুলতে...
""স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউজেই,
আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই,
আজ আর নেই
নিখিলেশ লিখেছে প্যারিসের বদলে
এখানেই পুজোটা কাটাবে
কী এক জরুরি কাজে ঢাকার অফিস থেকে
মঈদুলকেও নাকি পাঠাবে
অভাব থাকলে হয়না রে ভাব
অভাব থাকলে হয়না রে ভাব
কে বলেছে ভাই
মনে মন মজিলে
হায়রে
অভাব কিছু নাই
রে মনা
অভাব কিছু নাই
একি ছাদের নিচে থাকে
কথা বার্তা নাই
কাড়ি কাড়ি টাকা আছে
ভাবটাই শুধু নাই
রে মনা
ভাবটাই শুধু নাই
ভোলা মন, মনরে আমার………
আবার ভাবের মানূষ খুজতে রে ভাই
সাত সমুদ্দুর পার হয়ে যাই
অভাই কিছু নাইরে
মনা
অভাব কিছু নাই
রাজ প্রাসাদে থাকে হায়রে
খেতে পারে না
হাতের কাছে হাজার খাবার
ডাক্তারের মানা
ভোলা মন, মনরে আমার………
আবার কাচা লংকা ঢলেও ওভাই
পেট পুড়ে ভাই খাই
অভাব কিছ নাই।
ডিসেম্বর, ১৮,২০১৪খ্রীঃ
উত্তরা ঢাকা,
বুনোহাঁসের গান এবং অন্যান্য কথকতা
ব্লগে এলেই আমার মাঝে মাঝে শান্ত ভাই এর মতন হয়ে যেতে মন চায়। কি সুন্দর যখন যা ইচ্ছে করে এলোমেলো, গুছিয়ে লিখে ফেলে চমত্কার। নিমিষে।
হিংসা লাগে একেকটা দিন, একটু একটু।
আমি পারি না, সাধারনত। একটা দুটা লাইন মাথায় বেশি ঘুরাঘুরি করলে হয়তো হঠাত্ একটা কিছু লেখা হয়ে যায়, এলোমেলো। কিন্তু মন খুলে টানা একটা কিছু লেখা আর আমার হয়ে উঠে না।
আজকালকার ভার্চুয়াল দুনিয়ায় এফবি যদি বাসা হয়, এবি আমার কাছে ঘরের মতন মনে হয়।
তবুও আমি পারি না, মনের মতন যখন তখন ইচ্ছে যেমন লিখে যেতে। নিজে না হতে পারি, লেখার মনটা বড় বেশি বাউন্ডুলে হয়ে গেছে। বড্ড বেয়াড়া, কিছুতেই পোষ মানে না। বলতে গেলে, ঘরের ভেতর নিজের কাছেই পর পর অবস্থা!
মাঝে মাঝে মন খারাপ লাগে, আগে কত্ত কিছু লিখে ফেলতাম হঠাত্ করেই, আবোল তাবোল। মন ভালো হয়ে যেতো।
আগা নাও যে ডুব ডুব ----- ভাওয়াইয়া
এই গানটা বছর তিনেক আগে ক্লোজআপ ওয়ান অনুষ্ঠানের বাছাই পর্বে সাজু নামের এক প্রতিযোগি গেয়েছিলো। এই গানটা সে যখন গাচ্ছিলো আমি তখন আমাদের এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে গেছি সেখানে ড্রয়িংরুমে টিভিতে গাটা হচ্ছে। গানটা শুনে শরীরে রোমকূম সব দাড়িয়ে গেল আমার। মনে হচ্ছিলো আগের জন্মের অসংখ্যবার শোনা গান এক জন্ম পরে শুনছি।
আমার খুব ছোটবেলায় শোনা গান এটা। ছোটবেলায় মানে একেবারেই শিশুকালের। তখনো মনে হয় আমি মাত্র স্কুলে ভর্তি হয়েছি বা হইনি। আমাদের বাসায় আব্বাস উদ্দিনের কিছু ক্যাসেট ছিলো যেটা সম্ভবত আমার দাদী অথবা আমার মা অথবা আমার ফুপুরা শুনতো। সেই ক্যাসেটের মাঝে এই গানটা ছিলো। জানি না গানটা কার এত প্রিয় ছিলো, নিয়মিত গানটা চলতো ক্যাসেটে। আমার শুধু সুরটা মনের মধ্যে গেঁথে গিয়েছিলো সেই সময়। কথাগুলো কিছুই বুঝতাম না মনেও ছিলো না। আজ রাতে গানটা আবার মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছে। নেটে লিরিক নেই। সুতরাং দায় থেকে অন্তর্জালে এই কঠিন লিরিকটা শুনে শুনে টুকে রাখলাম যারা গানটা খুঁজবে তাদের জন্য।
ওরে আগা নাও যে ডুব ডুব
পাছা নাওয়ে বইসো
ঢোঙায় ঢোঙায় ছ্যাকঙ জল রে
ও কইন্যা পাছা নাওয়ে বইসো
ওরে জল ছেঁকিতে জল ছেঁকিতে
টাপুর টুপুর
টাপুর টুপুর সকাল দুপুর,
পায়ে যেনো খেলছে নূপুর,
কালো আকাশ গোমড়া মুখ
প্রেয়সীর মনের কিছু দুখ।
দুঃখ সব ঝরিয়ে দেবো,
পথে ঘাটে প্রান্তরে
, চোখের সব পানি দিয়ে,
ঠাঁই নেবো ঐ অন্তরে।
শীত শীত ঠান্ডা বাতাস,
একটুখানি ওম,
মনে মনে ঝড় ওঠেছে,
কাঁপছে বুধের সোম।
টাপুর টুপুর সকাল দুপুর,
পায়ে যেনো খেলছে নূপুর,
কালো আকাশ গোমড়া মুখ
প্রেয়সীর মনের কিছু দুখ।
দুঃখ সব ঝরিয়ে দেবো,
পথে ঘাটে প্রান্তরে
, চোখের সব পানি দিয়ে,
ঠাঁই নেবো ঐ অন্তরে।
শীত শীত ঠান্ডা বাতাস,
একটুখানি ওম,
মনে মনে ঝড় ওঠেছে,
কাঁপছে বুধের সোম।
৫০ শব্দ চায়।আমি দিমু কই থাইকা।আর তো মাথায় আসে না। কি করি,আমি কি করি
:
প্রথম প্রেমে মরে যাওয়ার গান - চিরকুট
গানটা এতই ভালো লেগেছে যে লিরিক্সটা শুনে শুনে লিখেই ফেললাম
গানঃ প্রথম প্রেমে মরে যাওয়ার গান
কথাঃ সুমি
ব্যান্ডঃ চিরকুট
একটু তোমায় নিলাম আমি
এক চিমটি মেঘে থামি
জলের ছিটেয় নিলেম পাগলামি
একটু তুমি বুকের ভিতর
বেপরোয়া শ্রাবণ ভাদর
ভাসাও ডোবাও তোমার-ই আমি।
মরে যাবো রে মরে যাবো,
কি অসহায় আমি, একবার ভাবো।
তোমাকে ছেড়ে যাবো কোথায়?
তোমাকে ছেড়ে কি বাঁচা যায় ?
মেঘের-ই ওই নীলে তুমি জীবন দিলে,
এ বড় সুন্দর জ্বালায় আমায়
মেঘের-ই ওই নীলে তুমি জীবন দিলে,
এ বড় নির্মম পোড়ায় আমায়!
একটু রাত ডুবে আসে
একটু আলো নীভে আসে
তুমি দূরে একা লাগে
মধুর ওই চাঁদটাকে
অ্যালুমিনিয়াম লাগে
হাঁটি আমি চাঁদ ও হাঁটে।
মরে যাবো রে মরে যাবো,
কি অসহায় আমি, একবার ভাবো।
ভালো লাগে না, লাগে না রে
বাঁচাবে আজ বলো কে আমারে?
বুঝিনা, জানিনা মেনেও মানিনা,
সে ছাড়া নেই আমি ঘোর আঁধারে,
এপারে ওপারে খুঁজি যে তাহারে
সে ছাড়া নেই আমি, চাই তাহারে।
একটু তোমায় নিলাম আমি
এক চিমটি মেঘে থামি
জলের ছিটেয় নিলেম পাগলামি
একটু তুমি বুকের ভিতর
বেপরোয়া শ্রাবণ ভাদর
ভাসাও ডোবাও তোমার-ই আমি।
আমি একজন খাঁটি বেকার।তাই বেকারদের নিয়ে একটা ছড়া পোস্ট দিলাম
উস্কোখুস্কো চুলের বাহার,
কপালের ঘাম মুখেতে,
ছিড়ছে জুতার শুকতলি,
আর পয়সা নাই যে পকেটে।
ঘরে ঢুকলে আব্বার কের্ত্তন,
আম্মার লাই দেয়া হাসি,
সমাজের আর সকলের কাছে,
আমি খোদার খাসি।
কি করছেন?কিছুই না।
উত্তর দিবো কতো,
বেকার টাইটেল নিয়ে আজ,
ঘুরছি অবিরত।
বেকার পোলার মত বালাই,
এই দুনিয়ায় নাই,
সাধ করে কি আমরা সব,
বেকার থাকতে চাই?
চাকরির আশায় পার করি দিন,
ঘুরে ঘুরে হতাশ,
চাকরি করা দোস্ত দেখলে,
অপমান লাগে চটাস।
সকালে যাই রাতে ফিরি,
শান্তি নাই কপালে,
ঘরের সকল কাজে থাকি,
হয়ে সাক্ষী গোপালে।
ইশকুলে
লাল ইটে গাঁথা গেট- তার দুই ধারে,
আমাদের আমরা দেখি বারে বারে,
ঐপারে স্কুল আর দালানের পারে,
ঐ পিটি চলে আর ঐ দেখি কারে-
আমাদের স্কুল, আমাদের সময় গাঁথা,
স্মৃতি অন্নদা, শত স্মৃতি বাঁধা-
সাদা আর নীলে, বুকে স্কুলের ছাপটা,
ক্লাশে পড়া করা নয় ঝড় আর ঝাপটা,
লেইজারে হাওয়া- নয় ছোট পাপটা,
পেছনের ওয়ালে- আর শেষের ধাপটা,
আমাদের স্কুল, আমাদের সময় গাঁথা,
স্মৃতি অন্নদা, শত স্মৃতি বাঁধা-
সালাম ভাইয়ের সেই ছুটির ঘন্টায়,
রমজান ভাই গেটে, খুশি মনটায়,
ক্লাশে হাসাহাসি কত বোঝার ক্ষণটায়,
এল টি’র পেছনের সিগারেট-লনটায়,
আমাদের স্কুল, আমাদের সময় গাঁথা,
স্মৃতি অন্নদা, শত স্মৃতি বাঁধা-
নিঃস্বার্থ সেই দিনের শেষে,
যেতে যেতে পথে কত ভালবেসে,
যত দূরে থাকি, ফের ফিরে এসে,
বন্ধুরা যত, সেই আগের বেশে,
আমাদের স্কুল, আমাদের সময় গাঁথা,
স্মৃতি অন্নদা, শত স্মৃতি বাঁধা।।
[ব্রাহ্মণবাড়িয়া'র অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়- স্কুলটির জন্ম ১৮৭৫-এ এবং বাংলাদেশের প্রাচীনতম বিদ্যাপিঠসমূহের একটি। ১৩৮ বছর বয়সী স্কুলটিতে এককালে পড়েছি, পড়েছে আমার মত আরো অনেকে-
কবে যাব বন্ধুর বাড়ি
বন্ধুর বাড়িত ঢোলক বাজে
বন্ধুর বোনের বিয়া
আমার বিয়া কবে হবে
যাব টিকলি মাথায় দিয়া।
বন্ধু টিকলি মাথায় দিয়া।
রং বেরংগের গেট সাজাইছে
খাবার নাকছে ধুম
উচা স্বরে গান বাজাইচ্ছে
কাইরা নিছে ঘূম,
হায়রে কাইরা নিছে ঘূম।
বন্ধু আমার মন কাড়িছে
কি জনি কি কি দিয়া।
কবে যাব বন্ধুর বাড়ী
টিকলি মাথায় দিয়া।
বন্ধু হামার কলেজ যায় গো
সাইকেলত চড়িয়া
আমিও স্কুলে যাই গো
রিক্সা ভ্যান করিয়া
হায়রে রিক্সা ভ্যান করিয়া
সাই সাই করি সাইকেল খানা
যায় যে ভ্যানক ছাড়ি।
কেন জানি বন্ধু আবার
আইসে বার বার ঘুড়ি
হায়রে, আইসে বার বার ঘুড়ি
এইনা দেইখ্যা হজ্ঞলে মোক
খেপায় খোটা দিয়া
কবে যাব বন্ধুর বাড়ি
টিকলি মাথায় দিয়া।
বন্ধু টিকলি মাথায় দিয়া।
২৪/০৯/২০১৩
সিরাজগঞ্জ
কোথায় গেলে রাখাল বন্ধু
আকাশ জোরে রাও করিছে
বারিষ আসবে ভারী।
কোথায় গেলে রাখাল বন্ধু
জলদী গরুক আনেন বাড়ি।।
ধানের ক্ষেতে ব্যাঙ ডাকে,
গাছের পাতাও নড়ে
পাখ পাখালি ফিরে চলে
আপন আপন ঘরে।
মোর সোয়ামি বিদেশ গেইছে
জোয়ান বউখান ছাড়ি।
পাষান বন্ধু কওনা কবে
ফিইরা আইবা বাড়ি।।
কোথায় গেলে রাখাল বন্ধু
জলদী গরুক আনেন বাড়ি।।
ফুল বাগানে ফুলের উপর
ভ্রমর আইসা পড়ে
তাইনা দেখে মোর পরাণে
আনচান আনচান করে।
রাইতে আমার ঘুম আসে না
দিনেও ছটফট করি
জানলা দিয়া বন বাদার ও
আকাশ দেইখা ফিরি।
মোর সোয়ামি বিদেশ গেইছ
জোয়ান বউখান ছাড়ি।
পাষান বন্ধু কওনা কবে
ফিইরা আইবা বাড়ি।।
কোথায় গেলে রাখাল বন্ধু
জলদী গরুক আনেন বাড়ি।।
কে তুমি প্রাণ হরা
কে তুমি প্রাণ হরা
টেলিফোনে দিলে ধরা
হরিলে আমার প্রাণরে।।
আমি মরিতে নারি
বাঁচিতেও না পরি
সদা মরি ছট ফটাইয়ারে।
মোবাইলে কথা কইয়া
সাড়া রাত পার করিয়া
পাগল বানাইয়া গেলা ছাইড়ারে
এখন ভুয়া মিস কল এলে
ধাক্কা মারে দিলে
এই বুঝি প্রাণ সখা আইলোরে।
একদিন পার্কে এলে
চটপটি ফুচকা খেলে
মিষ্টি মিষ্টি হাসি দিলে
পাদলুন জড়ালে গলায়রে,
আমি কি তখন আমি আছি
যেন মরিয়াই গেছি,
কেমনে বাঁচব কইন্যা কওনারে।
জেনেও করি, না জেনেও করি-পাপ
আমার থাকতে জনম পাপের
আঁধার ঘুচবে কি মনে
জেনেও করি, না জেনেও করি
পাপ...
করি ক্ষনে ক্ষনে।।
তোমার নিয়ামত ভোগ করি খোদা
সকাল দুপুর রাতে,
তোমার সৃষ্টি দেখে নয়ন জুড়াই
সন্ধা সুপ্রভাতে।
তবু শোকর করি না আমি-২
ভাবি না তো খোদা , এসবি তোমার দানে।
জেনেও করি,না জেনেও করি
পাপ...
করি ক্ষনে ক্ষনে।।
তোমার হুকুম তরফ করি সদা সর্বদা।
তবু তোমার করুণা দিয়া
বাঁচাও হে খোদা।
বিনে পয়সায়,বিনা মুল্যে দিলে,
বাতাস পানি নিদ্রা সর্বজনে।
জেনেও করি না জেনেও করি
পাপ...
করি ক্ষনে ক্ষনে।।
গুরু ভজি গুরু সেবি
গুরু ভজি গুরু সেবি
সময় হয় না সংসার কামে
কতজন যে সফরে গেল
ভোমা মন মনরে আমার...।
অচিন পুরের অচিন ধামে।
আমি এক পড়ুয়া কামলা।
বন্ধুরা বড় বড় আমলা
আমলা কামলা মুন্সি মোল্লা
ছুটিতে গেলে ফেরেনা কামে।।
গুরু ভজি গুরু সেবি
সময় হয় না সংসার কামে।।
বাবা দাদা চাচা জেঠা
গেল সবাই বাকি কেঠা।
ভোলামন মনরে আমার...।
ফুপা ফুপুর আদর ভূলতে
আঁখি জলে লেটাপেটা।
তবু আমার হুস হয়না
সময় হয় না সংসার কামে।
গুরু ভজি গুরু সেবি
সময় হয় না সংসার কামে ।।
গুরু তোমায় সন্ধান করি
কত দেশ বিদেশে ঘুড়ি।
দেশে দেশে ঘুরে ঘুরে
আসলাম আবার ঘরে ফিরি।
ভোলামন মনরে আমার...।
নিজের মাঝে খুজে দেখলে
পৌঁছবো নাকি গুরুর ধামে।।
গুরু ভজি গুরু সেবি
সময় হয় না সংসার কামে ।।
সময় মত দেও টান।
কতই খেলা জানরে বাড়ই কতই খেলা জান
ইচ্ছা মত ছাইড়া দিয়া সময় মত টান
রে বাড়ই,
সময় মত দেও টান।
পাঠালে জগত সংসারে কইরা অসহায়
মায়া মমতার খুটি গেঁড়ে করিলে সহায়।
ধীরে ধীরে আকাশ পাতালে পাতিল সংসার,
সাদ্দাম নমরূধ ফেরাউন হল তোমার দাবিদার
ভোলামন মন মনরে আমার-২......।
ভেংগে চুড়ে সব খান খান করলা
রাখতে তোমার শান।
সময় মত দেও টান।
কেউবা রাজপ্রাসাদে কেউবা থাকে বৃক্ষ তলে
কাওকে করেছ অংগহীন প্রতিবন্ধি তাঁরে বলে
কেউবা ঘোরে দ্বারে দ্বারে নিয়ে ভিক্ষের থলে
কেউবা আবার খেতে পারে না ডাষ্টবিনে ছুড়ে ফেলে।
ভোলামন মন মনরে আমার-২......।
কার ইশারায় হচ্ছে এসব
কে করবে প্রমাণ।
সময় মত দেও টান।
১০/০৮/২০১৩খ্রীঃ
অন্তর্যামী নাম
আমার অন্তরেতে বাস করে যে
অন্তর্যামী নাম
তবু আমি কিছুই জানিনা
ভোলামন মনরে আমার------
মইলে কোথায় ধাম।
মাটি পানি কাঁদার বিছানা
কেউবা ডুবে জলে
কেউবা আগুনে পুড়ে
কেউবা জন্তুর পেটে
শরীরটার তো হইল গতি
অন্তরের খাবার কি?
ভোলামন মনরে আমার------
জানিনা তার নাম।
অন্তরেতে বাস করে যে
অন্তর্যামী নাম
মুসলমানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ
পড়ে জামাত করে
ইহুদী খ্রীষ্টান গীর্জা প্যাগোডায় যায়
প্রতি শনি রবিবারে।
ভোলামন মনরে আমার------
সব অন্তরের একই বানী
সব আহলে কিতাবের
একই বানী
শুধু ভিন্ন ভিন্ন নাম।
অন্তরেতে বাস করে যে
অন্তর্যামী নাম
হিন্দু বৌদ্ধও পুজা পাঠ করে
জপে হরিনাম
আরও কত শত জাতি আছে
জানিনা তাদের নাম
তারাও তাদের মত করে
ভোলামন মনরে আমার------
ডাকে প্রভুর নাম।
অন্তরেতে বাস করে যে
অন্তর্যামী নাম
০৮/০৮/২০১৩খ্রীঃ
উত্তরা, ঢাকা।