ইউজার লগইন
গান
জপ নাম গাহ গান
আবুল হোসেন
হাসনাবাদ
৩১/১২/২০২০
জপ নাম গাহ গান//
আজি নতুনের আগমনে গাহ গান নিরজনে
কুটিরে কুটিরে কিংবা নিপবনে।।
আজি বিনায় মুরজে গরজে শ্বশনেে
মিনারে মিনারে আজানে আজানে
জপ নাম গাহ গান নিরজনে।
কুটিরে কুটিরে কিংবা নিপবনে।।
যত দুঃখ যত খরা ভরিয়া আছে ধরা লও গো তুলি
যত পাপ তাপ লেগেছে অভিসম্পাত দাও, দাও গো তব করুণার ঝুলি।
পূর্ব গগন আলোকিত যেমন ধুইয়া মুছিয়া কর সাফ
চাই ক্ষণে ক্ষণে।
জপ নাম গাহ গান নিরজনে।
কুটিরে কুটিরে কিংবা নিপবনে।।
তব সৃজিত রংগমঞ্চে রোদন হাসন নয়ত বারণ
তবে কি শুধু হাসিব আপন, না করি রোদন
তুমি চাহিলি হবে বিলক্ষণ ওহে নিখিল রাজন
চাটনি সম রোদন হাসিতে করিব বরণ।
দাও দাও দাও দাওগো চাহি ক্ষণে ক্ষণে।
জপ নাম গাহ গান নিরজনে।
কুটিরে কুটিরে কিংবা নিপবনে।।
তোমার ফুল বাগানে
আবুল হোসেন
হাসনাবাদ
২৯/১২/২০২০
মাওলা তোমার ফুল বাগানে কতই রঙের ফুল
তোমার সন্ধান পাইতে ছাড়ে সংসার জাতি কুল।।
মাওলা তোমার ফুল বাগানে কতই রঙের ফুল
কত জাত যে আছে জগতে কারো কি জানা আছে
কত জাত যে আসবে জগতে কত জাত চলে গেছে
কেউবা যাহা ভাবে আহা আমারটাই সেরা অন্যরা সব ভূল।
মাওলা তোমার ফুল বাগানে কতই রঙের ফুল।।
কেউবা তোমায় মানতে চায় না নাস্তিক হয়ে যায়।
কেউবা মানলেও ধার ধারে না ধর্ম কর্মের হায়।
কেউবা আবার অহর্নিশি তোমার সেবায়, প্রার্থনায় মশগুল।
মাওলা তোমার ফুল বাগানে কতই রঙের ফুল।।
আমি অধম বুঝতে চাই না অতশত মত পথ।
তুমি দয়াল দাওগো বলে, দিয়েছ বলে কোনটা সঠিক পথ।
তবু শয়তান যেন না দেয় ধোকা,না যেন চলি যে পথটি বাঁকা।
তোমার নামের শান রাখ তুমি, তুমিই কাইয়ুম তুমিই তো হাইয়ুল
মাওলা তোমার ফুল বাগানে কতই রঙের ফুল।।
খেলছো ইদুর বিড়াল
আবুল হোসেন
হাসনাবাদ
২৮/১২/২০২০
খেলছো ইদুর বিড়াল//
তুমি কি গো খেলছো ইদুর বিড়াল খেলো যদি মন চায়।
আমার কিছু ভাল লাগে না উরুউরু মন কি যেন আরো চায়
প্রথম দেখা কোথায় হলো মনে কি পড়ে তোমার
সেইতো পুকুর ঘাটে গাছের আড়ে আমরা গাছের ধার।
আমায় দেখে ভৌ-দৌড় দিলে যেন হুরপরি পালায়।
আমার কিছু ভাল লাগে না উরুউরু মন কি যেন আরো চায়।
সেই থেকে খেলছো ঈদুর বিড়াল সকাল দুপুর রাতে
ভয় কি গো পাও, একটু বলে যাও এসো না আমার সাথে
যার মনে যা সে পাবে তা করুনা ভরে মাওলার কাছে যদি চায়।
আমার কিছু ভাল লাগে না উরুউরু মন কি যেন আরো চায়।
প্রেম একটি জলন্ত কাঠি
আবুল হোসেন
মানিকদী, ঢাকা সেনানিবাস
২৬/১২/২০২০
প্রেম একটি জলন্ত কাঠি//
প্রেম একটি জলন্ত কাঠি ধীরে ধীরে অঙ্গার হয়।
নিন্দার কাটা না লাগলে গায় প্রেম কি কভু সার্থক হয়।
প্রেম একটি জলন্ত কাঠি ধীরে ধীরে অঙ্গার হয়।।
ফুলের ঘ্রাণে ভ্রমর এসে গুনগুনিয়ে গেয়ে যায়
ভ্রমর ছুঁয়া না পাইলে ফুল রেণুর দেখা নাহি পায়।
মওলার প্রেমে ডুবলে হৃদয়, হৃদয় পুড়ে সোনা হয়
প্রেম একটি জলন্ত কাঠি ধীরে ধীরে অঙ্গার হয়।
জোয়ার ভাটা হয় নদীতে প্রেমের জোয়ার উজান বয়।
রঙ্গিন চশমা না পড়িলেও রঙ্গের দুনিয়ায় ডুবে রয়
জেনে শুনেই প্রেমিক হৃদয় প্রেম যমুনায় দেয় হৃদয়।
প্রেম একটি জলন্ত কাঠি ধীরে ধীরে অঙ্গার হয়।।
শ্যাম পিরিতের সাথে কি দর্শন
আবুল হোসেন//শ্যাম পিরিতের সাথে কি দর্শন
মানিকদী, ঢাকা সেনানিবাস
২৫/১২/২০২০
শ্যাম পিরিতের সাথে কি দর্শন//
একদিন যাবে দুইদিন যাবে এমনি করে দিন ফুরাবে ভবে
শ্যাম পিরীতের সাথে কি দর্শন এই জনমে আর হবে
একদিন যাবে দুইদিন যাবে এমনি করে দিন ফুরাবে ভবে
শীতের কালে তালের পিঠা চিতই বা ভাপা পিঠা
আরো কত পিঠা আছে খাইতে যে কি মিঠা
তিতা মিঠার আস্বাদন কি
তিতা মিঠার আস্বাদন কি
শ্যাম বিনে আর হবে
শ্যাম পিরীতের সাথে কি দর্শন এই জনমে আর হবে।
আষার শ্রাবণের বর্ষার জোয়ার পৌষ মাঘের ওই শীত
ফাগুনের সাথে চৈত্র মেলে গায় প্রেম জোয়ারের গীত
আমার কোন কালেই হইলো না প্রেম
কোন কালেই হইলো না প্রেম
আর হবে আর কবে।
শ্যাম পিরীতের সাথে কি দর্শন এই জনমে আর হবে।
চুল পাকিলে লাগিয়ে কালা
আবুল হোসেন
মানিকদী, ঢাকা সেনানিবাস
২৪/১২/২০২০
চুল পাকিলে লাগিয়ে কালা/
কালা যদি না হয় বালা চুল পাকিলে লাগিয়ে কালা
কালারে কেন খোঁজ?
সুন্দর সুন্দর স্বপন দেখতে আরাধ্যের হাতটি ছুঁতে
চোখটি কেন বুজ??
চুল পাকিলে লাগিয়ে কালা কালারে কেন খোঁজ।
সারা বেল কাজের খেলা, ঘরে ফিরে সন্ধ্যা বেল
ক্লান্ত শ্রান্ত দেহ খানি, গলিয়ে বিছেয়ে পাটিখানি
চোখ বুজিয়ে অমাবস্যার আঁধার কেন খোঁজ।
চুল পাকিলে লাগিয়ে কালা কালারে কেন খোঁজ।
যৌবন জোয়ার ফুরিয়ে গেলে,সায়াহ্নের দর্শন পেলে
সাদা কালো লম্বা খাটাে,কিছুতেই আর সুখ না মেলে।
পারের কড়ি সন্ধান করি, পারাবারের ফেরাফেরি
পেয়েছ কি, পেয়েছ কি আজো?
চুল পাকিলে লাগিয়ে কালা কালারে কেন খোঁজ।
দুঃখে ভরা জীবন আমার
আবুল হোসেন
মানিকদী, ঢাকা সেনানিবাস
২৪/১২/২০২০
দুঃখে ভরা জীবন আমার//
দুঃখে ভরা জীবন আমার দুঃখ লেগে আছে
কি হবে আর বলে দুঃখ, দুঃখে যে দিন গেছে
কুড়াতে গিয়ে শাপলা শালুক বিলের ঝিলের জলে
খুনশুটিতে মেতেছি, কেঁদেছি অভিমানের ছলে
সেই অভিমান বুমেরাং হয়ে বক্ষে বিধে গেছে
দুঃখে ভরা জীবন আমার দুঃখ লেগে আছে।
সাইকেলেরই চেইনে কেটে গিয়ে, পায়ের আংগুলের ক্ষত
নিদ্রাবিহীন রাত কেটেছে বুঝতে তোমার কষ্ট তোমার ব্যথা কত।
কিশোর বুকের ছোট্ট নীড়ে এত ব্যথা যে সইতে নারে, আজও মনে আছ
দুঃখে ভরা জীবন আমার দুঃখ লেগে আছে।
তোমার গায়ে হলুদ যেদিন সকল জায়গায় ঘুড়েছি সেদিন
একা একাই ঘুড়তে গেছি, ঘরেছি আর ঘুরেছি
বিলে ঝিলে বনে বাদারে,লুকিয়েছি গাছের আড়ে
তখনই যে বুঝতে পেরেছি,সব হাড়িয়ে গেছে।
দুঃখে ভরা জীবন আমার দুঃখ লেগে আছে।
রঙের দুনিয়া
হাসনাবাদ
১১/১২/২০২০
রঙের দুনিয়া কি হবে ভাবিয়া
একদিন তো যেতে হবে দুনিয়া ছাড়িয়া
কি ভাব বসিয়া বসিয়া
কি হবে চিন্তা করিয়া।
মনরে কি ভাব বসিয়া বসিয়া
মনরে মনরে আমার
কি ভাব বসিয়া বসিয়া।
ভাবনা চিন্তা ছাড়, সময় থাকতে পথ ধর
যে পথে গেলে পাবে মওলার দিদার
সময় থাকতে আসল পথটি ধর।
পথের তো কোন শেষ নাই, কোন পথে বল যাই
কোনটা সঠিক পথ কেমনে লইব চিনিয়া,
কে বলবে সঠিক পথ আসিয়া।
কি ভাব বসিয়া বসিয়া।
পীরের নামে সেজদা করা, হয় মহাপাপ যেন শিরিক করা।
আবার দেখি কত লোকে, মাজারে সেজদা দিতে
হুমরি খেয়ে পরে
যখন যে মতের কাছে যাই, মনে হয় সঠিক তাই
আমি অন্ধ কপাল মন্ধ মরি হা হুতাশ করিয়া।
কি করব নাহি পাই ভাবিয়া চিন্তিয়া।
কি ভাব বসিয়া বসিয়া।
বড় বড় আলেম যারা নিত্য নতুন ওয়াজ করে তারা
একে কয় অপরকে কাফের, মতামতের হইলে হেরফের
কেউ বা লাঠি সোটা নিয়ে করে ভীষন তাড়া
তোমার কি কখনো মনে পড়ে না//
আবুল হোসেন
হাসনাবাদ
১০/১২/২০২০
তোমার কি কখনো মনে পড়ে না//
ওগো বন্ধু আমার,তোমার কি মনে পড়ে না।
তোমার কি কখন ব্যথা লাগে না।
সেই যে কিশোর বেলা একসাথে
কেটে যেতো বেলা হাসিতে খেলিতে
বালুকা বেলায় অলস হেলায়
কিশোর বেলা চলে গেল ধরা গেল না।
তোমার কি কখনো মনে পড়ে না।
ছুটির দিনে কিংবা মক্তবে পড়ার ফাকে
ঘুড়েছি বনে বাদারে চড়েছি গাছের শাখে
ধরেছি মাছ বিলে তুলেছি শাপলা ঝিলে
শাপলার মালা গেথে পড়িয়েছি গলে
এসব কি কখনো মনে আসে না।
তোমার কি কখনো মনে পড়ে না।
আজ তো সবই স্মৃতি তুমি ঘুমিয়ে গেলে মাটির চাদরে।
খুব কি তারা ছিল যেতে জীবন নদীর পারাবারে
তুমিই তো বলেছিলে হাতে রেখে হাত
কাটিয়ে যাবে জীবন সুখ দুঃখের সাথে সাথ।
এই কি ছিল নিয়তি নাকি তোমার ইচ্ছা বুঝা গেল না।
তোমার কি কখনো মনে পড়ে না।
তবে লজ্জা কি পাও
হাসনাবাদ
০৬/১২/২০২০
কেন বল, কেন বল, কেন বল বলোনা
বলোনা,কানে কানে বলোনা
তবে লজ্জা কি পাও।
লাজে রাঙা মিটলে হৃদয় প্রেমের রঙে
রাঙবে যে জান কি তাও
কেন বল বলোনা
তবে লজ্জা কি পাও
তুমি বল তুমি জান তুমি কত মনোহর
হে উষসী না না তুমি জান না জানিতে পার না
আরশী বিনা তব বদন তুমি হেরিতে না পাও।
তুমি বল তুমি জান তুমি কত মনোহর
কেন বল বলোনা,তবে লজ্জা কি পাও।
তুমি ছমকি ছমকি চল কোন কথা নাহি বল
সমীরও বক্ষ চিরি, হে হরিনী নয়না
তুমি ছুটে চল,তুমি ছুটে চল
মৃয়মান প্রাণ, গেয়ে উঠে গান
তুমি ফিরে নাহি চাও, তুমি দেখিতে না পাও
কেন বল বলোনা লজ্জা কি পাও।।
তব নেত্র যুগল বান বধে কত প্রাণ
হয়ে অগ্নি বাণ
কত কবি লেখে, তব আখি দেখ
বাধে বাউল গাণ।
ওহে চপল ললনা, ক্ষনিক দাড়াও না
খানিক দরশন দাও
কেন বল বলোনা লজ্জা কি পাও।।
হে ষোড়শী, হে নবীনা, তব নব যৌবন
লভিবে সে আশে ভূবন ভ্রমিয়া আসে
কেন হাস,ঔই কেন হাস
হাসনাবাদ
০৩/১২/২০২০
কেন হাস,ঔই কেন হাস??//
কেন হাস, কেন হাস, কেন হাস
হাসিতে হাসিতে যেন ভূবন ভ্রমিয়ে আস।
কেন হাস, ঔই কেন হাস।
ঐ যে চিরিয়া দেখ মম দপ্তরে, বসি বৃক্ষ ডালে বা তড়িৎ এর তারে
একে পূছে অন্যরে, রুদন নয়ন কিসের তরে
মলিন বদনে প্রত্যুত্তরে, করোনা মম করিল সর্বনাশ
কেন হাস, ঔই কেন হাস।।
মম দপ্তরে, এ ঘরেও ঘরে, অন্নের তরে রুদন
কাজ নাহি হায়, কাজ কোথা পাই,শুনিয়া বচন
হৃদয়ে মাঝারে, হাহাকার করে, হাসিবার নেই তো অবকাশ।
কেন হাস, ঔই কেন হাস।
ঘেরুয়া ক্যাপেতে কেশরাজি ঢেকে
নয়ন যুগলে কালো সানগ্লাস রেখে
আরজি পারিলে হাসিতে, নির্মম করোনা রুধিতে
তাই যদি হয়, হাসিব নিশ্চয়, আস এগেইন হাস।
কেন হাস, ঔই কেন হাস।।
ছমিকি ছমকি চল, হাসিতে হাসিতে বল
ঝরা ব্যধি নয়তো মম সৃজন
যে পাঠালো তারে, দোষী তারে কি করে
সর্ব জীব সে যে করিল সৃজন।
তাই তোল দু,হাত, করি মোনাজাত
শত জনমের বন্ধুরে
আবুল হোসেন // শত জনমের বন্ধুরে
হাসনাবাদ
০৩/১২/২০২০
পরানের বন্ধুরে //
শত জনমের বন্ধুরে তোর মনটা বুঝা দায়
তোর পিড়ীতে পইরা আমার ২
জীবনটা বুঝি যায়।।
শতজনমের বন্ধুরে তোর মনটা বুঝা দায়
বেড়াবার লাগি নিয়া আইলেন রাঙামাটির ওই হিলে
উচা উচা পাহাড় দেইখা পানি নাই মোর দিলে-২
এখন আবার বায়না তোমার
ছবি উঠাইতে পাহাড়ের চুড়ায়
বলতো দেখি, এত ঝালা আর কি সওয়া যায়।
শত জনমের বন্ধুরে তোর মনটা বুঝা দায়
পাহাড়ের পর পাহাড় দাড়িয়ে হাজার বছর ধরে
আমি এলাম তোমার ঘরে শত জনমের তরে।
এমনি করে আদর সোহাগে রেখো ২
আর কেবা কি চায়।
শত জনমের বন্ধুরে তোর মনটা বুঝা দায়
এই যে পাহাড় এই যে নদী
ঔই যে ঝর্ণা ধারা
কত প্রানীকূল,পাখির দল
সরীসৃপে ভরা।
সাথে নীলাকাশ মিলাইছে হাত
মহান যে মহান তারি ইশারায়
শত জনমের বন্ধুরে তোর মনটা বুঝা দায়
শত জনমের বন্ধুরে
আবুল হোসেন // শত জনমের বন্ধুরে
হাসনাবাদ
০৩/১২/২০২০
পরানের বন্ধুরে //
শত জনমের বন্ধুরে তোর মনটা বুঝা দায়
তোর পিড়ীতে পইরা আমার ২
জীবনটা বুঝি যায়।।
শতজনমের বন্ধুরে তোর মনটা বুঝা দায়
বেড়াবার লাগি নিয়া আইলেন রাঙামাটির ওই হিলে
উচা উচা পাহাড় দেইখা পানি নাই মোর দিলে-২
এখন আবার বায়না তোমার
ছবি উঠাইতে পাহাড়ের চুড়ায়
বলতো দেখি, এত ঝালা আর কি সওয়া যায়।
শত জনমের বন্ধুরে তোর মনটা বুঝা দায়
পাহাড়ের পর পাহাড় দাড়িয়ে হাজার বছর ধরে
আমি এলাম তোমার ঘরে শত জনমের তরে।
এমনি করে আদর সোহাগে রেখো ২
আর কেবা কি চায়।
শত জনমের বন্ধুরে তোর মনটা বুঝা দায়
এই যে পাহাড় এই যে নদী
ঔই যে ঝর্ণা ধারা
কত প্রানীকূল,পাখির দল
সরীসৃপে ভরা।
সাথে নীলাকাশ মিলাইছে হাত
মহান যে মহান তারি ইশারায়
শত জনমের বন্ধুরে তোর মনটা বুঝা দায়
পথ চললে
আবুল হোসেন
হাসনাবাদ
০১ ডিসেম্বর ২০২০
পথ চললে পথ//
পথ চললে পথ শেষ হবে আস্তে আস্তে
ভালোবাসলে ভালবাসা গভীর হবে আস্তে আস্তে।
ছোট্টে একটা বীজ বুনলে মাটির ভিতরে
সেদিনে তুমি কিছুই পাবে না মাটি খুড়িলে
আলো বাতাস পানি নিয়া ধীরে ধীরে বড় হইয়া।
ডাল পালা পাতা ফুল ফল ধরিলে
মনে দোলা দেবে যেন আছ বেহেশতে।
ভালোবাসলে ভালবাসা গভীর হবে আস্তে আস্তে।
কঠিন মাটির বুক চিরিয়া পাইল বসাইলে
সেদিনে কি ঘর পাইবে হাজার চেষ্টা করিলে
লাগাও ইট পাথর সিমেন্ট বালি আপনা হস্তে
ভালোবাসলে ভালবাসা গভীর হবে আস্তে আস্তে।
আমার কোন লজ্জা নাই
আমার কোন লজ্জা নাই//
আমি রাইড শেয়ার করি
মরি মরি
আমার কোন লজ্জা নাই
নিজের কামাই নিজেই করি
কারো ধার ধারি না তাই।
সারা পৃথিবীর রাজা আমি
আমার দুলদুল ডিসকভার ভাই
কেউ বা আবার টিবি এস চালায়
নিত্য নতুন ব্রান্ড যে চাই।
সিংহের মত ছুটিয়ে তড়ি
আল্লাহর নামটি স্বরন করি
ট্রাফিক আইন মেনে চালাই গাড়ী২
দূর্ঘটনার ঝুকি কমাই
আমার কোন লজ্জা নাই।
শত শত জোয়ান ছেলে
শত শত সুদর্শন ছেলে
মাষ্টার ডিগ্রি পাশ করে
রাইড শেয়ার করে চালায় জীবন
চাকরির ধান্দা ছেড়ে।
এটাও একটা সন্মানের কাজ
এটাও একটা বড় সেবা
দাড়ায় থেকে অস্থির হয়েও
বাসের দেখা নাহি পাই
আমার কোন লজ্জা নাই।
আমি রাইড শেয়ার করি
মরি মরি
আমার কোন লজ্জা নাই।।
আবুল হোসেন
হাসনাবাদ
২৯ নভেম্বর ২০২০ খ্রীঃ
আমাদের এক ভাই আমার ইনবক্সে লিখেছিল
ভাই আমরা রাইড শেয়ার করি
আমাদের নিয়া কিছু লেখেন।