ইউজার লগইন
গান
ববি রায়ের সাথে চলে যেও না- অঞ্জন দত্ত
অঞ্জনের ব্যপারে আমার ভেতরে ভালোলাগা কাজ করে অনেকানেক আগে থেকে। কেন কাজ করে, সেটা জানি না। তোমার জঙলাপাড়ের ঢাকেশ্বরী শাড়ি (মালা) গানটা কত-কতবার শুনেছি? ঠিক নেই। অনেক সময় গানটা চালাই শুধু অনেকদিন পরে অঞ্জনের গলা শোনার জন্যই। এখনো মাঝে মাঝে হাইকোর্ট মাজারের রাস্তা দিয়ে ফেরার সময়, কদম ফোয়ারার জলের ছিটে মুখে-চোখে মাখার সময় গুনগুন করে গেয়ে উঠি- ২৪৪১১৩৯...হ্যালো তুমি শুনতে পাচ্ছো কি?
একটি গান আর একটি মুভি, দুটি কথা..
#
আমার একটা অনেক পুরান অভ্যাস হল,
হঠাৎ করেই কোন একটা গানের লুপের ভেতর আটকা পড়ে যাই।
একই গান শুনে যাই দিন থেকে রাত, রাত থেকে দিন। ক্রমাগত, বলা চলে বিরামহীন!
ইদানিং, একটা গানেই আটক ছিলাম অনেক দিন। এখনও আছি, কিছু টা।
যাই হোক, অতঃপর মিফতাহ জামানের অতঃপরের খপ্পর থেকে কিছুটা হলেও রেহাই মিলেছে।
কাহিনী আর কিছুই না, এ নিঊ ক্রাশ ইন মাই ওয়ার্ল্ড অফ মিউজিক।
বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের 'স্কুল অফ লাইফ' এর ভক্ত নয়,
এমন মানুষ বোধহয় কমই আছে।
তা, সেই মিউজিক ভিডিওটার মিউজিক কম্পোজিশন করেছিল অদিত।
সেই, অদিতের নতুন ডাবল সিডির এ্যালবাম ' অদিত ফিচারিং ফ্যাটম্যানজ ইঙ্ক' বাজারে আসতেই কিনে আনতে দেরি হয়নি। কেনা হলেও একবার শুনেই এতদিন ডুবে ছিলাম সেই অতঃপর-এ।
কাল থেকে, এই এলব্যাম এর একটা গান এক কথায় পাগল করে দিচ্ছে। মাথা অলরেডি পুরাই আওলাইয়া দিয়েছে।
বৃষ্টিবিলাস কথকতা..
#
''ভালোবাসি, বৃষ্টিদিন..
চায়ের কাপে আনমনা মেঘ;
চিলতে রোদে সাতরঙা সুখ,
প্রাণের গানে মন রঙ্গিন.. ♥ :)''
এই কটা লাইনই এখন আমার এফবি স্ট্যাটাস।
ওইদিন দেখলাম সচলেও এখন স্ট্যাটাস দেওয়া যায়, একটু হিংসাই লাগলো বলা যায়। ইশ্, আমাদের এখানেও স্ট্যাটাস দেওয়ার ব্যাবস্থা থাকলে কত্ত ভাল হত!
# #
আমার মনে বৃষ্টি লেগে আছে, পরশু রাত থেকেই।
কিছুতেই যাচ্ছে না। মাথার ভেতর মন ভিজিয়ে ক্রমাগত পড়ে যাচ্ছে
টুপটাপ ঝিরঝির আর ঝুম বৃষ্টি।
অসাধারণ একটা বৃষ্টিদিন গেল কাল, আজকের আকাশেও ঘুরেফিরে আসতেছে তার স্মৃতি। কালকের কথা ভেবে ভেবে আজকেও সকালে একটু বৃষ্টি হল। এখনও আকাশে কিছু কিছু মেঘ দৌড়াদৌড়ি করতেছে। মাঝে মাঝে একটু আধটু রোঁদ, আবার ঝিরঝির বৃষ্টি। এই চলছে।
আবোল তাবোল - ৯
#
প্রায় সপ্তাহখানেক ঢাকার বাইরে থেকে আজ রাতে বাসায় ফিরলাম। ঘরোয়া একটা কাজে সিলেট গিয়েছিলাম। ছিলাম সিলেট সদর থেকে প্রায় ৩০/৪০ কিমি দুরে। গ্যাস ফিল্ডের কোয়ার্টারে, ওখানে ২৪ ঘন্টাই নিজস্ব জেনারেটর স্বারম্বরে কাজ করে যাচ্ছে তাই ওখানে কারেন্ট বলতে গেলে যায় ই না!
তা সেই গ্যাসফিল্ডের সীমানা প্রাচীরের চারিদিকে চা বাগান আর দুরে বিশুদ্ধ গাওগেরাম। দিনে দুপুরেই ঝিঝির ডাকে মাথা ধরে. আর মাঝে মাঝেই আশেপাশের পাহাড় থেকে বানরেরা নেমে আসে। দুয়েকটা পুরাই বাঘা বাঙালি; ঘরে ঢুকে পায়চারী করে, এটা ওটা খেয়ে যায়।
ওদিকে আবার ইলেকট্রিসিটি যায়নি এখনো, আশেপাশে কোথাও লোকজনের বসতি নাই। তাই সন্ধ্যা পেরুতেই ওখানে নিঝুম অন্ধকার। এ কারনেই হয়তো, ওদিকে সবাই ১১ টার মাঝেই দেখা যায় ঘুমিয়ে কাদা হয়ে গেছে!
মধুর বসন্ত এসেছে
মধুর বসন্ত এসেছে মধুর মিলন ঘটাতে,
মধুর মলয়সমীরে মধুর মিলন রটাতে।
কুহকলেখনী ছুটায়ে কুসুম তুলিছে ফুটায়ে,
লিখিছে প্রণয়কাহিনী বিবিধ বরনছটাতে।
হেরো পুরানো প্রাচীন ধরণী হয়েছে শ্যামলবরনী,
যেন যৌবনপ্রবাহ ছুটেছে কালের শাসন টুটাতে।
পুরানো বিরহ হানিছে নবীন মিলন আনিছে,
নবীন বসন্ত আইল নবীন জীবন ফুটাতে।
আনটাইটেল্ড রোমান্স
উত্সর্গ : শ্রদ্ধেয় তানবীরা আপুকে, আমার সব কবিতা যার মাথার উপর দিয়ে যায়।
শরমবতী বৌ এর মতো আড়াল নিলে কুসুম রঙের দিন
চক্ষু পোড়ায় জলের মতো নিবিড় সজল তোমার ঠোঁটের ঋন ।
কমলা পিঠের শ্যামলা তিল আর সর্বনেশে তোমার ছলাত্ বুক
চাঁদের মতো জোছনা দিয়ে ভাসিয়ে দেয় মনের জমিন টুক ।
তোমার কাছে বারুদ কাঠি, শুকনো হৃদয় রাস্তা ঘাটে খুব
আমার দারুন আদর মাখা বুক , তবু দিলে গভীর জলে ডুব।
আমার আছে নীল কলমে তরল হয়ে ধুসর রঙা দুখ
হিসেবপটু চতুর মেয়ে, সুখ খুঁজেছ, থাকুক তোমার সুখ।
আবোল তাবোল -৭
# # # # #
বিষয়ঃ 'সুরের ধারা:রবীন্দ্র উৎসব' ও অন্যান্য কথকতা।
# # # # #
মন ভাল নেই, মন ভাল হয়না..
প্রত্যেকটা দিন একই রকম নিস্তরঙ্গ জীবনযাপন। খাওয়া- দাওয়া- ঘুম। মুভি- মিওজিক- গেম।
কখনও কখনও ঘরোয়া আড্ডা আর বন্ধুদের সাথে ঘুরাঘুরি। মন চাইলে গল্পের বইয়ের পাতায় ডুব।
মাঝে মাঝে প্রচণ্ড বিরক্তি জাগে নিজের উপর, এই বেঁচে থাকার উপর।
অবসর সময়টা খুব বেশি পেয়ে বসলে ভাল লাগেনা, ভয়ংকর একটা অস্থিরতা ভর করে সব কিছুতেই।
খুব ছোট ছোট কারনে আজকাল মন খুব বেশি খারাপ হয়ে যায়। ভাল লাগে না।
মন খুব বেশি খারাপ হলে মন একটু ভাল করতে কি করা যায়? সকলের পরামর্শ প্রার্থনীয়!
# # # # #
অনেক দিন কিছু লেখা হয়না, আজ একটু নিজের উপর জোর খাঁটিয়েই লিখতে বসলুম!
এবি আসি প্রায় প্রতিদিন-ই, কিন্তু কেন জানি কিছুই লেখা হয়না।
অনেক লেখাই পড়তে ভাল লাগে। ভাবি, একটা কিছু বলব। লগইন করা হয়না।
রঙ আমার উড়তে থাকে ভাসতে থাকে
খয়েরী ডানায় সে এক চটপটে শালিক ছানা
চোখ-কান খোলা রেখে কথা তার না-বলা শোনা
চাইছিলো সে আসুক উড়ে উড়ে সময়ের আনাগোনা
আমার মনন মগজে দিলো খোঁচা
কীভাবে যে কী করি খুঁজতে কী পারি
ছড়িয়ে ছিটিয়ে কোথায় কাঁচা পাকা সোনা-দানা
সে তো ছোট্ট শালিক ছানা
আমার মন তো মানে না
সে বদ্ধ উঠোন জলে নাড়ালো পা দু'খানা
আমার নাচতে ইচ্ছে, না করে না
হেই শালিক ছানা
আমার উড়তেও যে মানা
বলে শালিক, উড়তে ডানা লাগে না
মন পবনে নাও ভাসালে ছুটছে দেখবে তোমার হাতে ঘুড়িখানা
তুমি নাটাইয়ের সূতো কেটে নিও না
তোমার উড়তে কোন বাধা না
দূরে বসে উঁচুই শালিক রঙের খেলা দেখে
কী রঙ মাখি আমি আমার ক্যানভাসে
ডিগবাজী তুলে শালিক শিমুল বাতাসে
তুলির রঙ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে সর্বত্রে
রঙ আমার উড়তে থাকে ভাসতে থাকে মিশে মেঘ আকাশে।
তুমি ডাকলেনাতো-----
তুমি ডাকলেনাতো, নিঠুর ওগো ! আসছি তবু আসছি ।
তোমার পথে চিরতরে হারিয়ে যেতে আসছি । তুমি ডাকলেনাতো-------
আকাশ পাড়ে হাজার তারা, জেগে থাকে তন্দ্রা হারা,
আপন হারা সে তারাদের কোনটি তুমি হও !
সারাটি রাত তাইতো জেগে খুঁজছি তোমায় খুঁজছি । তুমি ডাকলেনাতো-------
পথের ধুলায় পায়ের চিহ্ন যাওনি কিছু রাখি,
পথের মাঝে তাইতো থেমে আছি !
বনের ধারে সারাবেলা,
ফুল পরীদের বসে মেলা,
আপনভোলা সেই কলিদের কোনটি তুমি হও !
তাদের ছুঁয়ে তোমার ছোঁয়া তাইতো পেতে চাচ্ছি,
ওগো কাছে যেতে চাচ্ছি । তুমি ডাক্লেনাতো--------
আবোল তাবোল- ৬
# # # # #
অনেক দিন পর, খুব মন ভাল একটা দিন গেল আজ। গতকাল এক্সাম শেষ হয়ে গেছে। এটা একটা বড় কারণ। আজ থেকে আবারও ছুটি, বছরখানেকের জন্য স্বস্তি। কোথাও ঘুরে আসতে পারলে ভাল ছিল, আপাতত সময় সুযোগ হবে বলে মনে হচ্ছে না।
কোনো কিছু পাওয়ার আগে পর্যন্তই বেশি থাকে তার আবেদন ,আর পাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় আর সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকে তা হারিয়ে ফেলার শঙ্কা। কি বিচিত্র এই মানব মন!
কাল সারারাত জেগে থাকায় আজ ফজরের নামায জামাতেই পড়তে পারছি। তার তার ধারাবাহিকতায়ই হয়তো দিনের বাকি চার ওয়াক্তও কিভাবে কিভাবে জানি জামাতের সাথে পড়া হয়ে গেছে। বেশ অনেক দিন পর, এইক্ষেত্রেও। এটাও একটা কারণ বটে।
মাগো আসবোনা আর
মাগো আসবোনা আর
এ টি এম কাদের
মাগো ! না চাও যদি আসবোনা আর চরণ ধুলা নিতে,
তোমার চরণ তলে শরণ নিয়ে তোমার প্রাণে ব্যাথা দিতে ।
মাগো ! সন্তান য দি কানাও হয়,
জানি, মায়ের কাছে ফেলনা নয়—মাগো,
তোমার বাধলনা মা, মা হয়েও আমারে পর করে দিতে -------
আমায় দূরে ঠেলে দিতে!!!!!!
আমি আসবোনা আর ------------
আমি পরের ছেলে পর মাগো
কেউ নাই আপন এই ভুবনে,
যে জন আমার ছিল কাছের---
সে হারাল অচিন বনে ।
আমি কেঁদে কেঁদে হলাম সারা, নিঠুরা সে দেয়না সাড়া,
তুমিও মা নিঠুর হলে--- পারলে আমায় ভুলে যেতে !!!
আমি আসবোনা আর ---------------------------------!
আমার আকাশে শুকতারা তুমি
আমার আকাশে শুকতারা তুমি জ্বলে র'বে চিরদিন চিরদিন চিরদিন---------------------। আমি ঢেলে যাব খুন হৃদয় চিরে চিরে চিরদিন চিরদিন চিরদিন ---------------------------। হয়তোবা সারা পথ একা একা চলব,
স্মৃতির মিনারে তব শামা হয়ে জ্বলব,
হয়তো নিভেই যাব ক্ষণপর, সব কিছু ভুলে রব অতঃপর,
তবুও তোমার কথা,
তোমায় হারানোর ব্যথা,
ভুলবোনা কোনদিন কোনদিন কোনদিন ।
হয়তোবা এ জীবনে আরো কেউ আসবে, হয়তো হৃদয় দিয়ে সেও ভালবাসবে,
ফকির লালের বিচার চাই
একটা অসাধারণ গান আজ আপনাদের সাথে না শেয়ার করে পারছি না। প্রেমের পুতু পুতু গানের ভীরে শোনা হয়নি এই গানটি। কত গান যে শুনিনি সেটা আজ আরো একবার প্রমান হলো। আজ ফেসবুকে কয়েক বন্ধুর শেয়ার থেকে পাওয়া গানটি আপনাদের জন্য তুলে দিলাম।
আর্টিস্ট: ফকির লাল মিয়া
গান: বিচার চাই
ইউটিউব লিংক
সারাদেশে শান্তি নাই, ফকির লাল এর ঘুম নাই
ভালা মাইনষের ভাত নাই, আদালতে আইন নাই
কোট কাচারী চাইয়া দেখে, এই দেশেতে বিচার নাই
এই দেশেতে মানুষ নাই, এই দেশেতে মানুষ থাকলে
মানুষের কি চোখ নাই?
স্বাধীনতার দাম নাই, মুক্তিযোদ্ধার মান নাই
দেশপ্রেমীকে চাইয়া দেখে এই দেশেতে উপায় নাই
এই দেশেতে ঠাই নাই, এই দেশেতে মানুষে থাকলে
মুজিব হত্যার বিচার চাই!
একাত্তুরের দালালরা হুশিয়ার সাবধান
'ঘুমিয়ে পড়' - Lesson 1
ছোটবেলার প্রিয় একটা গান ছিলো এটা, ক্যাসেটের যুগ ছিলো যখন। টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে ফার্মগেট থেকে ক্যাসেট কিনতাম।
এই ব্যান্ডের দুটো এ্যলবাম বের হয়েছিলো। Lesson-1 ও Lesson-2 । মনে হচ্ছে কয়েক যুগ পর শুনলাম, র্যাগে জনরার গান। খুবই হালকা গানের কথা তাও কত যে ভাল লাগতো শুনতে। কল্পনার প্রেমিকার উদ্দেশ্যে গলা ছেড়ে গাইতাম কিশোরবেলার সন্ধ্যাগুলোতে ..
ঘুমিয়ে পড় যদি আমায় ভেবে
স্বপ্নে ভাসো যদি আমায় দেখে
হৃদয় মাঝে যদি রাখো গো আমায়
ভোরের পাখি হয়ে গান শোনাব তোমায়
সবুজে ছাওয়া এই নির্জনতায়
একটু আরো ভালবাসো না আমায়
সিক্ত তোমার ঐ অধরে আমায়
দাও না ছুঁয়ে ওগো প্রেমের ছোয়ায়
মনের কোনে যদি রাখো গো আমায়
ভোরের পাখি হয়ে গান শোনাব তোমায়
দু'চোখ ঝরে যদি অশ্রুধারায়
দৃষ্টি হারায় যদি বিষাদ ছায়ায়
দুঃখ স্মৃতি ভুলে দুর অজানায়
সুখের মাঝে খুঁজে নিও গো আমায়
বুকেতে ধরে যদি রাখো গো আমায়
বদলে গেছি আমি!!
সময়ের সাথে আমার সম্পর্ক বহু বছরের। সে সম্পর্কে ভাব ভালোবাসা ছিলো না কখনো। নিষ্ঠুরতাই মনে হয় বেশী পেয়েছি সময়ের কাছ থেকে।
কখনো আমি ভেবেছি সময়কে দেখে নিবো আবার কখনো সময় আমাকে দেখে নেয়ার চ্যালেঞ্জ করেছে। কখনো আমি পরাজিত হয়েছি, কখনো সময় হয়েছে। নিয়ম মতো, আমার পরাজিত হওয়ার সংখ্যাই আমার কাছে বেশী মনে হয়।
আমার চাওয়া-পাওয়াগুলো সময় কেমন উদ্ভট ভাবে যেন পূরণ করে। অন্য কারো সাথে কি তবে গুলিয়ে ফেলে আমাকে? না হলে এত আগে পরে হয় কেন সবকিছু? হাজারবার চেয়েও কত কিছু পাই না সময়ের কাছ থেকে। আবার যা কল্পনাতেও থাকে না তাই জোর করে হাতে গুঁজে দেয়।
সময়ের সাথে না বরং অসময়ের সাথেই আমার বেশী ভাব।