ইউজার লগইন
গ্রন্থালোচনা
অনিমেষ রহমানের ই-বুক অনিমেষ রহমানের ব্যাবস্থাপনার ক্লাস সমগ্র।
অনিমেষ রহমান আমার প্রিয় লেখকদের মাঝে একজন। তিনি অসম্ভব প্রতিভাবান একজন.....
কি বলব তাকে ঠিক শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না। তিনি যেমন সুন্দর কবিতা লেখেন তেমনি ভাবে গল্প লেখেন। আর আড্ডা জমাতে উনার বিকল্প পাওয়া দূরহ। আমার অনেক দিনের ইচ্ছে ছিলো দাদার লেখাগুলো নিয়ে কিছু একটা করবো। তাই অনিমেষদার এখন পর্যন্ত প্রকাশিত ব্যাবস্থাপনার ক্লাস সিরিজের পর্ব গুলো দিয়ে তৈরী করে ফেললাম অনিমেষ রহমানের ব্যাবস্থাপনার ক্লাস সমগ্র।
আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।
ডাউনলোড লিংক এখানে।

বর্ষার ই-বুকের জন্য লেখা আহবান
প্রতীতি থেকে আমরা আগামী পহেলা আষাঢ় প্রকাশ করতে যাচ্ছি বর্ষা বিষয়ক ই-বুক ‘বৃষ্টির দিনে’। প্রথম প্রতীতির সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিই।
প্রতীতি হচ্ছে একটি আন্তর্জালভিত্তিক ই-বুক প্রকাশনা সংস্থা। প্রতীতির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১১ তারিখে। যাত্রার কিছুদিন পরে ২০শে মার্চ, ২০১১ তারিখে সামু, আমার ব্লগ, চতুর্মাত্রিক, শব্দনীড়, মুক্তব্লগসহ অনেকগুলো বাংলা ব্হলগে একযোগে প্রকজাশিত হয়য় প্রতীতির প্রথম ই-বুক 'এক মুঠ চলোচ্ছবি'
আমার আত্মজীবনী পাঠ
আমার পছন্দ আত্মজীবনী। কিন্তু সব আত্মজীবনী পড়ার মতো নয়। কেউ কেউ নিজেকে এমন উচ্চতায় নিয়ে যান যে, ফেরেসতা বললেও কম বলা হবে। আবার অনেকেই আছেন অকপটে অনেক কিছু লিখেছেন, নিজেকে নিয়ে। সেগুলো পড়তেই আমার আগ্রহ বেশি। রাজনীতিবিদদের আত্মজীবনী পড়লে ঐতিহাসিক অনেক ঘটনা জানা যায়। লেখক-সাহিত্যিকদের আত্মজীবনী মনের অনেকগুলো জানালা খুলে দেয়। আত্মজীবনীর কিছু কিছু অংশ পড়লে মনে হয়, প্রিয়জনদের জানাই।
১.
আমরা বন্ধু ব্লগ সংকলন "ম্যুরাল"
নানান বাধাবিঘ্ন পেরিয়ে অবশেষে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে আমরা বন্ধু ব্লগের ২০১১-এ আসা বিভিন্ন পোস্ট থেকে বাছাই করা কিছু লেখা নিয়ে আমরা বন্ধু ব্লগ সংকলন "ম্যুরাল"। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নানান ঘটনা নিয়ে যেমন একটা পুরো জীবনের চিত্র দেখা যায়, তেমনি ব্লগের বিভিন্ন স্বাদ ও গন্ধের লেখা নিয়ে ব্লগের একটা সামগ্রিক চিত্র সবার কাছে তুলে ধরবার প্রয়াস হলো "ম্যুরাল"।
"ম্যুরাল" এ সংযোজিত হয়েছে নানা সময়ে ব্লগারদের ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতিতে পরিপূর্ণ মুক্তগদ্য, শক্তিশালী কিছু তরুণ গল্পকারের গল্প। এছাড়াও আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দুটি লেখা থাকছে, যেগুলোর কারণে এই সংকলনটা ঋদ্ধ হয়েছে।
পাঠ প্রতিক্রিয়া : রশীদ করীম
রশীদ করীমের উপন্যাস সমগ্র পড়া শেষ করলাম।
সেই ১৯৬১ এ লেখা প্রথম উপন্যাস “উত্তম পুরুষ” থেকে ১৯৯৩ এ লেখা শেষ উপন্যাস “লাঞ্চবক্স” পর্যন্ত। প্রথমেই বইলা রাখা ভালো, আমি কোনো সমালোচক নই। যার জন্য এই উপন্যাস সমগ্র নিয়া যা যা লিখতেছি তা সবই আমার নিজস্ব ভাবনা।
উপন্যাস সমগ্র পড়বার একটা সুবিধা আছে। বিভিন্ন সময়ে লেখকের বিভিন্ন রকম ভাবনা-চিন্তা গুলারে এক মলাটে পাওয়া যায়। তাতে লেখকের চরিত্র সম্পর্কেও মোটামুটি বেশ পরিষ্কার ধারণা জন্মায়। যাক এইসকল কথাবার্তা, পাঠ প্রতিক্রিয়ায় আসি।
শারদীয় 'দেশ' ১৪১৮-কিছু কথা:অন্তরাল ও অন্যান্য
[ডিসক্লেইমার:
আমার বই পড়তে খুব ভাল লাগে।হোক গল্প বা উপন্যাস। নতুন বা পুরানো। বই হলেই হয়। মাঝে মাঝেই ভাবি একেকটা বই পড়ে তা নিয়ে আমার ভাবনা টা সবাইকে জানিয়ে দিই। সাহস পাইনা। ভাবি, আমি কে যে এত্ত ভাল বই নিয়ে কিছু বলব! লীনা আপার অসাধারণ গ্রন্থালোচনা আরো দমিয়ে দেয়। এত ভাল ভাবে গুছিয়ে লেখা,বুঝিয়ে লেখা অসম্ভব! আবার,এগুলি পড়তে পড়তে একটু একটু সাহস পাই। মনে হয়, নিজের কাছে নিজেকে কোন কিছুতেই তুচ্ছ ভাবার কোন মানে হয়না। যা ই লিখি, যতটুকই লিখি -চেষ্টা করতে ক্ষতি কি? তাই এই লেখা। বোদ্ধার দৃষ্টি নয়, নিতান্তই এক পাঠকের চোখে দেখা কিছু লেখা নিয়ে কথকতা।]
বেশ কয়েকদিন হ্ল, মাথায় কোন লেখা আসেনা। প্রত্যেকদিন ভাবি আজ একটা কিছু লিখব,কিছুতেই কিছু হয়না। তাই ভাবলাম আর সবাই যা লিখছে, তা নিয়েই বরং লিখি একটা কিছু।
একটা সিরিয়াস সাহিত্য আলোচনা
এটা একটা সাহিত্য আলোচনা পোস্ট। আমার হাতে একটি প্রকাশনা রয়েছে। একটি লিটল ম্যাগ। লিটল ম্যাগটি ঢাকার বাইরে থেকে প্রকাশিত। এটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের আনাচে কানাচে নানা ধরণের প্রতিভা রয়েছে। সৃজনশীল কর্মকান্ডে নিয়োজিত মানুষের সংখ্যাও কম নয়। তাদের তুলে আনতে না পারলে দেশ আগাবে না। আমার মতো ক্ষুদ্র মানুষের এই প্রয়াস যদি দেশের সাহিত্যের মনোন্নয়নে কিছুটা অবদান রাখতে পারে তাহলেই এই প্রচেষ্টা স্বার্থক হবে।
১.
বুকওয়ার্মস!(বই নিয়ে কথকতা!)
আমার ছেলেবেলা আর বড় হয়ে ঊঠার সময় টা কেটেছে নানাবাসায়,সাহিত্যিক নানার ছায়ায় নানান রকম বইয়ের সাথে।
বাসা ভরা ছিল গল্পের বই। ছোটদের আর বড়দের সব বই, আলাদা করা ছিল তিনটা ইয়া বড় বই এর আলমারীতে। বেড়ে উঠার একেকটা ধাপে হাতে আসা একেকটা জগতের চাবি,অনুভূতিটা বলে বোঝানোর নয়।
বাসার সবাই-ই বেশ পড়ুয়া, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে আমারও তাই খুব বেশি সময় লাগেনি। আম্মু তো এখনো বই পড়তে বসলে রান্নার কথা ভুলে যায়,এরকম অবস্থা! আমার আর কী দোষ!
এক ছিলো গূড় আর অনেক ছিলো পির্ফা
তো একজন কইলো
: মনে হইতাছে, ___ ভাই আবারো কাঠির আগায় গুড় লাগাইয়া গেছেন! সব পিপড়া এক লগে হাজির হইতাছে এইখানে!!
ভাব্লাম, জুকার্বার্গের এত্তবড় একটা সাইট্রে কাঠি কইতেছে বেপার্টা কি?
জিগাইলাম কে গুড় আর কেডাইবা পির্ফা?
আসলেইতো???
আসল কাঠি কুনটা, গুড় কুন্টা আর পির্ফাই বা কারা...
আসলে ভেজাল হইছে কি, ইদানিং লুকজন খালি ঝিমায়।ঝিমায় আর জুকার্বার্গের সাইটে গিয়া একটা ঘরের ভিত্রে ঢুইকা ঝিমাইতে ঝিমাইতে আড্ডা মারে। এদিকে মাঠ খাখা করে। কেউ কস্ট কৈরা মাঠে আসে না, সবতে মিল্যা ঠিকঠাক মতো খেলাধুলাও করে না। এইটা আসলে ঠিক না। মাঠে নাম লেখাইয়া সেই মাঠে না আইসা ঘরের ভিত্রে বৈয়া বৈয়া আড্ডা দেওনটা আসলে একটু কেরাম কেরাম জানি লাগে।
যাই হৌক, ঘটনা হৈলো একজনে কইলো যে মাঠে না আইসা ঘরে বৈসা আড্ডা দেওন উচিত না, লগে লগে ঘরে ভিত্রে হাজির হয়া গেলাম আম্রা সবতে। পুলাপান সব খ্রাপৈয়া গেছেগা। কলিকাল ঘোর কলিকাল...
‘গাদ্দার’
কৃষণ চন্দরের কথা সম্ভবত নতুন করে কিছু বলার নেই। অসাধারণ, এবং অসম্ভব অসাধারণ এই মানুষটির লেখা আমি বরাবরই মুগ্ধ হয়ে পড়ি। তেমন মুগ্ধতায় নতুন করে পুনরায় যুক্ত হলো ‘গাদ্দার’। গাদ্দার বইটি আগেও পড়া ছিল। কিন্তু সময় বদলানোর সাথে সাথে মানুষ বদলে যায়; বদলায় মানুষের চিন্তাভাবনা কিংবা দেখার ক্ষমতা। যে কারণে একই বই নানা সময়ে বারবার পড়তে হয়, বুঝতে হয়। ধরতে হয় বইটিকে।
চন্দ্রাবতীর গুণাবলী
“আমি তোমাকে ভালবাসি”। “এই ফুলটা খুব সুন্দর”। “এই বইটা খুব ভালো”। তোমাকে আমি কেন ভালবাসি, কেন এই ফুলটা সুন্দর, বইটা কেন ভালো, এ সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আমার জন্য খুবই কঠিন । অনেকেই এ সকল প্রশ্নের উত্তর গুছিয়ে দিতে পারবেন হয়তো, কিন্তু আমার মত স্বল্পজ্ঞান সম্পন্ন মানুষের জন্য তা সহজ নয় । তা’ছাড়া, সকলের ভালো-লাগা মন্দ-লাগা কখনোই একই রকম হওয়ার সম্ভাবনা সমান হয়না । ‘আমার চোখে চন্দ্রাবতী’র দু’জায়গায় আমি বলেছি, “ভালো কিছুর মধ্যেকার মন্দ আমাকে বড্ড বেশী কষ্ট দেয়”। এ কথা দিয়ে আমি বুঝাতে চেয়েছি যে বইটি আমার ভালো লেগেছে । আরিফ জেবতিকের ফ্লাপের লেখাটার প্রতি আমি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম, যদিও আমি সেটার সাথে একমত তা পোষ্টে সরাসরি বলা হয়নি । ঐ লেখাটার সাথে একমত পোষণ করে চন্দ্রাবতীর চোখে কাজল রংয়ের ভালো কিছু দিক নিয়ে আরিফ জেবিতিক যা বলেছেন তা আমি এখানে উদ্ধৃত করবো ।
আমার চোখে চন্দ্রাবতী
আমাকে সাথে নিয়ে কেউ বিয়ের কনে দেখতে গেলে সে মেয়ের সাথে বিয়ে না-হবার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ । মেয়ে দেখে পেট পুরে খেয়ে ফিরে আসবার সময় যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ‘মেয়ে কেমন?’ আমি বলি ‘ভালোইতো’ । ‘শুধু ভালোইতো বললেই চলবে? কেমন ভালো তাও বলো’। এবার আমি আর ভালো কিছু খুঁজে পাইনা মেয়েটির মধ্যে । তার যা কিছু ত্রুটি সব কিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বলতে থাকি । কনে পছন্দে আমার মতামতের উপর আর কেউ কোন কথা বলতে সাহস পায়না, অতএব আর কী, আত্মীয়তা আর হয়না সেখানে ।
একই ব্যাপার ঘটে আমাকে নিয়ে শপিংয়ে গেলে, বিশেষ করে শাড়ী, গহনা বা এমন কিছু যা কিনতে পছন্দ করবার প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য । সবাই যেটা পছন্দ করে কিনবার সিদ্ধান্ত প্রায় নিয়ে ফেলে, সেখানে আমার মতামত চাইলে সেটার দোষ-ত্রুটি দেখিয়ে কেনার বারোটা বাজিয়ে দিতে বেশী সময় ব্যয় করতে হয়না ।
রক্তাক্ত পঁচাত্তরঃ চারটি অবশ্যপাঠ্য বই
বিখ্যাত তর্জনী উঁচিয়ে বঙ্গবন্ধু
যে কোন কারনেই হোক, গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর গঠন ও ক্রমবিকাশ নিয়ে যৎকিঞ্চিত পড়াশোনা করছি। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সৃষ্ট আমাদের এই প্রতিষ্ঠান স্বাধীনতা পরবর্তী এক দশকে নানাবিধ চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে তবেই আজকের অবস্থানে এসেছে । এই পুরো দশকের মাঝেও আবার ’৭৫ এর মধ্য আগষ্ট থেকে নভেম্বরের প্রথমভাগ পর্যন্ত এই পৌনে তিনমাস সবচেয়ে বেশি ঘটনাবহুল। এদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একের পর এক মোড় ঘুরিয়ে দেয়া তিনটি অভ্যুত্থান ঘটেছে এ সময়ে।
১৫ আগষ্ট, ৩ নভেম্বর এবং ৭ নভেম্বর।
ওদের জানিয়ে দাও
কাল গিয়েছিলাম কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (সিএজি) অফিসে, একটা প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে। যারা আমারে আদৌ পাত্তা দিতে চান না, তাদের বলি, সেখানে আমি একটা ক্লাশ নিতে গেছিলাম। সিএজি কার্যালয়ে একটা মিডিয়া সেল খোলা হবে, তাই সাংবাদিকতা কী জিনিষ আর সাংবাদিকরা কী বস্তু সেইটা জানানোর উদ্দেশ্যেই যাওয়া। এইটা একটা আমার জন্য লাভজনক প্রকল্প।
সেখান থেকে বের হওয়ার পর মনে হলো পথেই যেহেতু, তাই একবার সাগর পাবলিশার্স ঘুরে যাই। আগে এক সময় উপন্যাস ও গল্পের পাড়ায় খালি ঘুরতাম। এখন সেখানে আর যাইই না। আর নতুন কোনো ভাল উপন্যাস বের হয়েছে বলে অনেকদিন খবর খবর পাই না। তাই বিশেষ কিছু না হলে উপন্যাস থেকে আগ্রহ কমে গেছে।