ইউজার লগইন
চলচ্চিত্র
টূ স্টেটস!
বিজেপির এক নেতা বাংলাদেশের জমির বিশাল অংশের মালিকানা দাবী করেছেন, তা নিয়ে নানান মানুষের প্রতিক্রিয়া ফেসবুকে দেখে হাসি পেল। কোথাকার কোন হরিদাস পাল দাবী করলো আর ওমনি সব দখল শুরু হয়ে যাবে এমন যারা ভাবে তাঁদের মাথায় আদৌ কিছু আছে নাকি তা নিয়ে আমি সন্দিহান। আমিও তো চাইলে কত কী দাবী করতে পারি, যেমন কাল ভাবছিলাম আলিয়া ভাটের মতো গার্লফ্রেন্ড পাইলে জীবনটা রঙ্গীন হতো, এখন মহেশ ভাটের কন্যা কি এই দাবীতেই আমার বউ হয়ে যাবে। পুলকের একটা ব্যাপার আছে, যেই মেয়েকে ওর ভালো লাগে তাকেই এক নায়িকার নামের আশ্রয়ে মিলিয়ে দেয়। একদিন আমাকে জিগেষ করলো, নেহা শর্মার মতো নায়িকা কি বউ হিসেবে পাবো?
সিনেমা সিনেমা
ব্যস্ততা বেড়েছে। অফিস আসি দুপুর ১২টিায়, যাই রাত ১২ টায়। এর মধ্যেও কিছু সময় বের করতে হয়। অনেক সিনেমা জমে আছে, নতুন নতুন সিনেমাও আসছে। গান শোনার অভ্যাস খানিকটা এখনও রয়ে গেছে। আর বই তো নিত্য সঙ্গী। এর মধ্যে আবার মাঠে যেয়ে টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের তিনটি খেলাও দেখেছি। এই ফাঁকে বলে রাখি আমি মাঠে গেছি আর বাংলাদেশ জিতছে এমন একটা ঘটনাও কিন্তু নাই।
আজকের বিষয় কিন্তু সিনেমা। কয়টা ভাল সিনেমা দেখে ফেলছি। সেইগুলো নিয়ে আলাপ আলোচনা করতে পারি।
হলপ্রিন্ট (১)
রিসেন্ট টাইমে সানি লিওনের এক সিনেমার উদ্ভট এক গান আছে, নেচে গেয়ে নায়িকা বলে যায় সেখানে যার বঙ্গানুবাদ হলো 'এই দুনিয়া পিতলের', তাই এই পিতলের দুনিয়ায় ক্রিকেটে হার জিতে আর কি হবে! আমি অবশ্য আজ খেলার আগে থেকেই জানতাম কেন জানি বাংলাদেশের জয় হবে না, কারন হংকং এর কাছ থেকে হারের পর থেকে আমার মন কেন জানি উঠে গেছে, টিটুয়েন্টির নাম শুনলেই জিদ উঠে যায়। লোকজনের মুখে গল্প শুনি, কত টানটান ম্যাচ ছিল তার বর্ণনা শুনি, পত্রিকায় টূকটাক দেখি খবর এতটুকুই আমার পার্টিসিপেশন এবারের দেশে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের ব্যাপারে। আর মাঠে যাওয়া দুরের ব্যাপার, দেড়শো টাকার টিকেট ব্ল্যাকে পুলাপান বিক্রি করছে তিন চার হাজার টাকায়। আমি চিনি এমন অনেক ছেলেকে যারা মাঠে গিয়ে খেলা দেখে স্রেফ গার্লফ্রেন্ডের আবদার মেটাতে,ভাগ্যিস প্রেম পীরিতের বাজারে আমি নাই, থাকলে খেলা দেখাতাম কিভাবে? মানুষকে ঠেক দিয়ে টাকা আনতে হতো!
একজন কারিগর
বাংলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে হাজারো ইতিহাস। এক সাগর পরিমাণ রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতার ইতিহাস। সবার নাম হয়তো লিখা নেই ইতিহাসের পাতায়, তবুও কি তাদের অবদান অস্বীকার করা যায়?
দেখছিলাম, টেলিফিল্ম "কারিগর"। আর্টফিল্ম বলে শুরুর দিকে বেশ ধীরগতির কারণে একটু বিরক্ত লাগছিলো। তবুও, ধৈর্য্য নিয়ে বসে থাকি মূল কাহিনীর অপেক্ষায়। মূলকাহিনী খুব বেশী কিছুনা আবার অনেক কিছু। একগ্রামে ছিলেন একজন "ওস্তাকার" যাকে সবাই "কারিগর" বলে ডাকতো। গ্রামের ছেলেদের খৎনা করানো ছিল তার পারিবারিক পেশা। তাই, বাচ্চা ছেলেরা তাকে দূর থেকে দেখলে ছুটে পালাতো ভয়ে, পরিবারের বয়স্করা দেখলে শ্রদ্ধা করতো আর খৎনা হয়ে গেছে এমন ছেলেরা দেখলে সালাম দিত।
সিনেমার নামঃ ভালোবাসা জিন্দাবাদ
দেবাশীষ সাহেবরে আমার আগে খারাপ লাগতো না। সেই একুশে টিভির আমলে পথের পাচালী নামের এক অনুষ্ঠান যা আদতে বিদেশী স্ট্রিট শো থেকে মেরে দেয়া তা খুব গিলেছি এইট নাইনে যখন পড়ি। সেই অনুষ্ঠানের একটা সেগমেন্ট মজার ছিল- তা হলো গান গাইতে বলতো যা খুশী। বিস্তর হিন্দি বাংলা গান শোনা যেত মানুষের মুখে, মানুষকে বোকা বানিয়ে প্যাচালী মদন কনসেপ্টটাও খারাপ না। সেই অশ্লীলতার যুগে হিন্দি সিনেমার গল্প নিয়ে তিনি বানিয়ে ফেলেছিলেন 'শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ'। ভালোই নাকি চলেছিল সিনেমাটা। বিখ্যাত পরিচালক দিলীপ বিশ্বাসের ছেলে সে। তার বাবা বানিজ্যিক সিনেমার পরিচালক হলেও মানসম্মত সিনেমা বানাতেন। কিন্তু বিখ্যাত ব্যাক্তিদের ছেলেগুলো দুই রকমের হয়- এক হয় বাবার চেয়ে বেশী মেধাবী, আরেক হয় বলদের শিরোমনি। তার তিনটি সিনেমা দেখার কপাল আমার হয়েছিল-- এক। শ্বশুরবাড়ী জিন্দাবাদ, দুই। শুভ বিবাহ, তিন। ভালোবাসা জিন্দাবাদ! সবগুলোই লেইম বলে খারিজ করে দেয়া যায়, শেষ নামের সিনেমাটা হলে গিয়ে দেখার কথা ছিল, কিন্তু আমার আর পুলকের সময় হয় নি বলাকায় যাবার, তাই আজ ইউটিউবে একটা মোটের উপর ভালো প্রিন্ট আসছে তা দেখেই লিখতে হচ্ছে এই পোষ্ট।
রিস্টকাটার্স: আ লাভ স্টোরি
মৃত্যুর পরের জগতটা কেমন হতে পারে?
অক্টোবরের সিনেমা দেখা দেখি!
সিনেমা দেখতে আমার খারাপ লাগে না এখন আর। আগে অবশ্য কখনোই এত ভালো লাগতো না, কারন টিভিতে কত অপশন রিমোটের ঘুরে ঘুরে কত কিছুতে চোখ বুলানোর সুবিধা। সেই তুলনায় সিনেমা দেখতে হলে পিসি খুলে বসে থাকো। টানা দেখে যাও। তাই দীর্ঘ দিন আমার সিনেমা দেখার জায়গা টেলিভিশনে। টেলিভিশনে সিনেমা দেখার কথা শুনলেই পাবলিক হাসে, বলে উঠে টিভি কি সিনেমা দেখার একটা জায়গা হলো?
ঈদের ছবির নায়ক-নায়িকাদের সাথে গোল টেবিল বৈঠক
এবারের (২০১২) ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছে ৮টি বাংলা সিনেমা। অনেক শীর্ষ তারকা এই ঈদে উপস্থিত ছিলেন না রূপালি পর্দায়―মৌসুমী, শাবনূর, রিয়াজ, পপি, পূর্ণিমা, আমিন খানদের নাম উল্লেখ করা যায়। ৮টি ছবির কলাকুশলীদের সাথে এক বিশেষ গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করছেন শফিক হাসান
শফিক হাসান : মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে আমরা জেনে নিই এবারের ঈদের মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলো কী কী। ছবি মুক্তি পেয়েছে মোট ৮টি, এর মধ্যে শাকিব খানেরই ৪টি। শাকিব অভিনীত ছবিগুলোর নাম-এফআই মানিক পরিচালিত ‘মাই নেম ইজ সুলতান’, বদিউল আলম খোকন পরিচালিত ‘ডন নাম্বার ওয়ান’, সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘সে আমার মন কেড়েছে’, সাফিউদ্দিন সাফি পরিচালিত ‘ঢাকার কিং’। অন্য ৪টি ছবি হচ্ছে―অনন্য মামুন পরিচালিত ‘মোস্ট ওয়েলকাম’, আশরাফুর রহমান পরিচালিত ‘তুমি আসবে বলে’, বাসু চ্যাটার্জি পরিচালিত ‘হঠাৎ সেদিন’, শাহজাহান চৌধুরী পরিচালিত সরকারি অনুদানের ছবি ‘আত্মদান’। ‘হঠাৎ সেদিন’ ও ‘আত্মদান’ ছবির বিশ্ব প্রদর্শনী হয়েছে চ্যানেল আইতে।
দেহরক্ষী!
'বহুল আলোচিত' সিনেমা দেহরক্ষী দেখলাম গতকাল। ফার্মগেটের আনন্দ হলে। আনিসুর রহমান মিলন, মারুফ এবং দেহসর্বস্ব নায়িকা ববি―কমবেশি সবার প্রতিই বিরক্তি জেগেছে। ডিমের নাম যেমন আন্ডা, তেমনি সব বাংলা সিনেমাই মূলত এক। আমাদের দেশে সিনেমা হয় না, হয় 'বাংলা সিনেমা'!
বিগ বাজেটের ছবিতেও বাড়তি কিছু পাওয়া যায় না।
নায়িকার ক্ষুরধার ফিগারই যদি ছবি হিট করতে ভূমিকা রাখতো, তাহলে সবাই তা-ই করতো। নায়িকারাও অভিনয় না শিখে ফিগার ঠিক করার দিকেই বেশি মনোযোগ দিতেন। কিন্তু ছোটখাটো এসব জিনিস ঢাকাই ছবির পরিচালকরা বোঝেন না।
'দেহরক্ষী' দেখার পর মনে হলো, একটা রামছাগল যতটুকু বুদ্ধি ধারণ করে, আমাদের দেশের অভিনেতা-অভিনেত্রী, চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্টরা ততটুকু বুদ্ধিও রাখেন না।
এরা পারেন শুধু মুখস্থ সংলাপ বলতে আর পরিচালক-প্রযোজকের ন্যাওটা হয়ে থাকতে।
নিজের বুদ্ধি থেকে এরা গল্পের অসঙ্গতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন না, ফাও সংলাপ ডেলিভারি দেয়ার আগেও কোনো আপত্তি তোলেন না। 'জি হুজুর' বলতে যারা অভস্ত, তাদের আপত্তি থাকার কথাও না।
এমন 'অনুগত' লোক লইয়া আমরা―সিনেমার দর্শকরা কী করিবো!?
এবং ‘হেমলক সোসাইটি’ : আত্মহত্যা বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে কিছু কথকতা
মাঝে মাঝে হঠাৎ করেই এমন কিছু বিষয় জানার বা উপলদ্ধির সীমানায় এসে ধরা দেয় যে, নিমিষেই মনে মনে বেশ আউলে যেতে হয়। জানার চাইতে না জানার পরিধিটা অনেক ব্যাপক হওয়া সত্ত্বেও নিজের অনুভূতি গুলি কারও না কারও সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছে হয়, অনেকটা বন্ধুদের সাথে নিয়মিত আড্ডার ফাঁকেই হঠাৎ বলে ফেলা কিছু ওজনদার বিষয়ের মতন। এমনই একটা অবস্থায় আজ এই লেখা।
লেখাটাকে মুভিরিভিউ বলা উচিত হবে কি না বুঝতে পারছি না। মুভির চাইতে মুভিটার উপজীব্য বিষয়টুকু নিয়েই যেখানে কিছু একটা বলতে বা লিখে বোঝাতে চাইছি! যা লিখব বলে ভাবছি এ নিয়ে অনেকের লেখাই হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে কিন্তু এবিতে মাসুম ভাই বা অন্য কারও বয়ানে এমন কিছু চোখে পড়েনি বলেই এই দুঃসাহস।
প্রায় বছরদেড়েকের পুরানো একটা ভারতীয় বাংলা মুভি দেখলাম আজ। 'অটোগ্রাফ' আর 'বাইশে শ্রাবণ' এর পর শ্রীজিত মুখার্জী'র তৃতীয় মুভি 'হেমলক সোসাইটি' , মুভিটা এখন পর্যন্ত না দেখে থাকলেও এর গানগুলির জন্যই হয়তো চেনা লাগবে অনেকের কাছেই।
what is love?
আজ সকালে ঘুম থেকে দশটায় উঠে ভাবতেই পারি নাই- যে আজ দিনটা এতো দুর্দান্ত কাটবে। আমার মনে হয় গত একমাসে যত হাসছি তার চেয়েও বেশী হাসছি আজ সারাদিন। উঠতে বসতে এক্সামে বাসে হেসেই চলছি শুধু। এত হাসির কোন মানে নাই তাও হাসতে হাসতে অবস্থা কাহিল। ভার্সিটিতে এক্সাম শেষে- চায়ের দোকানে আড্ডা শেষে, বাসায় ঢূকতেই মামাও জিগ্যেস করে ফেললো শান্ত আজ এত খুশী কেন? ভাগ্যিস এক্সামটা ঠিক মতোই দিলাম সেখানে হাসাহাসি টা মনে মনেই করেছি। শাহবাগ থেকে বাসে উঠে মেগাসিটিতে ব্যাপক ভীড়। আমি কিভাবে জানি সিট পেয়ে গেছি দরজার পাশে, নারী পুরুষ বুড়ো সবাই আমাকে পারা দিয়ে যাচ্ছে তাও আমার বিরক্ত লাগছে না। অন্য সময় হলে কিছু না করলেও বিরক্ত নিয়ে গরম চোখে তাকাই তাও করি নি আজ। এতো আনন্দ আহলাদের উপলক্ষ্য একটাই তা হলো হুট করেই ঝোকের মাথায় আমার আর পুলকের- একশন হিরো মেগাস্টার জলিলের বলাকায় নিঃস্বার্থ ভালোবাসা বা ওয়াট ইস লাভ নাম বস্তুটা দেখে আসা!
অবলিভিয়ন [একটি দর্শক চক্ষে দেখা চলচিত্রালোচনা!]
"How can man die better:
than facing fearful odds,
for the ashes of his fathers,
and the temples of his God".
একটা মুভি নিয়ে একটা কিছু লিখতে ইচ্ছে করতেছে,
(উপরের লাইনগুলা মুভিটাতেই চোখে পড়ল।)
কিন্তু কি বলবো এবং কিভাবে বলবো তা মাথায় আসতেছে না কিছুতেই।
মুভিটা ভালো লেগেছে খুব,
কিন্তু এত্ত বড় একটা মুভিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এই ভালোলাগাটুকু
কিভাবে অল্প কিছু কথায় সবার সাথে শেয়ার করা যায় তা বুঝতে পারতেছি না!
মুভিটা সম্পর্কে দেখার মত আগ্রহ জাগাতে চাচ্ছি আবার
একটা কিছু টাইপ করার আগেই মনে হচ্ছে বেশি না বলে ফেলি!
ধারেকাছে এখন মাসুম ভাই কে পেলে ভালো ছিল,
জেনে নিতে পারতাম এ সমস্যায় কিভাবে কি করা যায়।
আচ্ছা, এখন মুভিতে ঢুকি।
নাম 'অবলিভিয়ন',
মাস চারেক আগে মুক্তি পাওয়া আমেরিকান সাই ফাই একশন এডভেঞ্চার মুভি। গত রাতেই দেখলাম।
আরেকদিন দেখতে বসেও দেখা হয়নি সাবটাইটেলের অভাবে।
যদিও ইংরেজি মুভি সাবটাইটেল ছাড়া দেখতে কেন জানি রিলাক্স লাগে না!
কলকাতা সিনেমা নিয়ে কথাবার্তা কিস্তি দুই
এই সিরিজের প্রথম পোস্টটা লিখছিলাম পাচ মাস আগে। তারপর চলে গেলো কত সময়, কলকাতার সিনেমাও কিছু দেখলাম নতুন কিন্তু তা নিয়ে লেখা হলো না। কাল রাতে পোষ্টটা লেখার প্ল্যান মাথায় আসে। কালকেই লিখে ফেলতাম কিন্তু পিঠে ব্যাথায় পর্যুদস্ত আর এক বন্ধুর সাথে ফেসবুকে আলাপ করতে করতে সময় চলে গেলো। আমার এরকম প্রায় হয়। ব্লগে লিখতে বসে অন্য ট্যাবে ফেসবুক চালু থাকে। দেখা যায় ফেসবুকে আজাইরা লাইক আর গুতাগুতি করতে করতেই সময় শেষ। ফেসবুকের চেয়ে সময়ের অপচয় আর কিছুতেই হয় না। খুব মেজাজ খারাপ লাগে কিন্তু ঘুরে ফিরে মোবাইলে কিংবা ল্যাপটপে তাই খুলে বসে থাকি। আগের মতো স্ট্যাটাস দেই না, গানও তেমন শেয়ার করি না তাও ফেসবুকেই বসেই থাকি। তবে বন্ধু সোহেল বাসায় তাই ও আমার সামনে বসে ওর ফেসবুক চালানো দেখি, মজা লাগে। আমার রিয়েল লাইফ ফ্রেন্ডরা তেমন একটা ফেসবুকে নাই। ফেসবুকে তাদের ইচ্ছা করেই রাখি নাই। কিন্তু আমাদের পুরা সার্কেল ফেসবুকে কি করে তা নিয়ে ধারনা পাওয়া যায় সোহেলের ফেসবুক দেখলে। যেমন আমাদের ব্যাচের ছেলেমেয়েরা খুব পেরেশান ছিলো এই দুইদিন মোবারকরে নিয়ে। মোবারক কে?
বলিউড হলিউড ভেরী ভেরী জলি গুড!
ইচ্ছা করেই দুই তিন দিন পোস্ট লিখি নাই। কারন টানা পোস্ট লেখার কিছু নাই। আমি তো ওতো মহান লেখক না যে লিখতেই হবে। লিখি সাদামাটা দিনলিপি তা মিস গেলেও কিছু করার নাই। আর যাদের লেখার কথা তারাই যদি না লিখে তবে কারোর কিছু আসলেই করার থাকে না। আর একটা লেখার পরে যখন দেখি মাত্র তিন চারটা কমেন্ট তখন খুব কস্ট লাগে। তবে এতো কস্ট জীবন নস্ট। তাই এখন আর কস্ট পাই না। ধরেই নেই অনেকেই পড়বে লেখাটা, হয়তো ভালোও লাগবে, কিন্তু কেউ কমেন্ট করবে না। তবে কমবেশী পড়ে যে অনেকে লেখা তা আমি মানি। নয়তো কবে কি লিখছি তার রেফারেন্স মাঝে মাঝেই এমন মানুষদের কাছ থেকে শুনি যাদের আমার লেখা পড়ার কথা না। অনেকেই বুকমার্কড করে ফেলছে চেনা জানা শুভাকাংখীরা তারা নিয়মিতই জানায় মন্দলাগা ভালো লাগা। আমি কতো কস্ট করে পোস্ট লিখি তা নতুন করে বলার কিছু নাই। আপনারা যখন এই পোস্টটা পড়ছেন তা লেখার জন্য আমাকে সন্ধ্যায় ঘুম থেকে উঠে ভাবতে হইছে কিন্তু তখনই তো আর লেখা যায় না। লেখার সময় ফিক্সড হয় ভাত খাওয়ার পরে। বুয়া আসে নাই লোডশেডিংয়ের অন্ধকারে মামা রান্না করলো। আমি মনের সুখে ওয়ান্স আপন টাইম মুম্বাই এগেইনের কাওয়ালী সুফী মিক্সড একটা গান বারবার শুনতে শুনতে
আবোল তাবোল - ১৬
# আমি, তুমি ও আমাদের কথকতা #
মাঝেই মাঝেই আমার খুব ইচ্ছা করে নিয়মিত একটা কিছু লিখতে,
শান্ত ভাই এর মত অত ভালো না লিখতে পারি -
নতুন আরও কিছু বন্ধুর মত লিখতে পারলেও একটা কিছু করা হতো।
তাও পারিনা। ভালোই লাগে না।
প্রিয় ব্লগ টাকে এভাবে ঘুমাতে দেখলে কারই বা ভালো লাগে!
মাসুম ভাই তাও মাঝে মাঝে আসেন, লেখেন - কমেন্টের উত্তরও দেন। রাসেল ভাই, নিভৃতদাও উঁকি দিয়ে যান মাঝে মাঝে।
শাপলা আপু সেই কবে একটা লেখা দিয়েই উধাও,
জোনাকি আপুর তো কোন আওয়াজ নাই।
জ্যোতি আপুকে কিছু বলবো না, অভিমান করলাম!
জেবিন আপু ছবি তুলতে তুলতে হারায়া যাইতাছে,
তাও একটা ছবিব্লগ দেয় না। এমনই পোস্টের কথা বাদই দিলাম!
আজ শুরুর মাসটাতেই প্রিয় মায়াবতী আপুর লাইফের খুব স্পেশাল কিছু সময় রয়েছে অপেক্ষায়, এই সময়টায় তার অনুভূতি জানাতে যে একটু আসবে তাও না! একটা বার দেখা পর্যন্ত দিতে আসে না আজকাল।
আর তানবীরা আপু এখন দেশে। কত্ত কত্ত মজা না জানি হচ্ছে সিসিমপুরে, তা যদি আমাদের সাথেও একটু আধটু শেয়ার কর হয় কি এমন ক্ষতি হয় তাতে?!
সাঈদ ভাই এর 'বিলাসী' সেই কবে শেষ,
আর নতুন কিছু দিতে আসে না! কিপ্টা হইয়া গেছে!