ইউজার লগইন
চলচ্চিত্র
“Invictus” ...হার না মানার গল্প
“Invictus” মানে "অপরাজেয়" বা "অপরাজিত"। উইলিয়াম আর্নেস্ট হেনলের এই নামে একটি কবিতা আছে যেটা তিনি হাসপাতালে হাড়ের যক্ষ্মায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় লিখেছিলেন। খুব কম বয়সে তিনি এই রোগে পরেন আর এই কবিতা লেখার কিছু আগে তার পা কেটে ফেলা হয়। জীবনের চরম দুঃসময়েও সাহস এবং নিজের মর্যাদা ধরে রাখার কথাই এই কবিতার প্রতিপাদ্য। “Invictus” কে ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম প্রধান অনুপ্রেরণার কবিতা হিসাবে দেখা হয়। ২৭ বছর কারাবন্দী জীবনে এই কবিতা নেলসন ম্যান্ডেলার নিজের এবং অন্য কয়েদীদের অনুপ্রেরণার শক্তি হিসাবে কাজ করে। “Invictus” সিনেমাতে ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকা রাগবি দলের অধিনায়কের হাতে এই কবিতাটি তুলে দেন যা তাদেরকে রাগবি ওয়ার্ল্ড কাপ জয়ে অনুপ্রাণিত করে।
একটা মুভি, দুইটা গানের কথা..
#
ড্রিউ ব্যারিমোর আমার বেশ প্রিয় একজন নাইকা। এমন গালটুস একটা মেয়ে, কার না ভাল লাগে!
তার 'ফিফটি ফার্স্ট ডেট' আমার দেখা সবচাইতে প্রিয় মুভিগুলার একটা। ২০০৭ এর 'মিউজিক এন্ড লিরিক' ও অনেক ভাল্লাগছিল।
এই কয়েকদিন আগে একটা নতুন মুভির পোস্টারে তার ছবি দেইখা নিয়া আসছিলাম।
দেখলাম আর মুগ্ধ হইলাম।
মুভির নাম 'বিগ মিরাকল'।
সত্যি কাহিনী নিয়া বানানো যে কোন মুভি সাধারণত অসাধারণ হয়, এইটাও তার ব্যাতিক্রম না।
আমার যত সিনেমা - ২
আমি সব কাজে লেট লতিফা। সিনেমাও তার ব্যতিক্রম কিছু না। আমি জানি যে সিনেমাগুলোর কথা আমি বলবো তার বেশিরভাগই ইতিমধ্যে সবার কয়েক দফা দেখা হয়ে গেছে, তবুও সিনেমাগুলো দেখে আমার কি অনুভূতি হয়েছে তাই লিখবো।
তিনটি মিষ্টি সিনেমা
মাসুম ভাই বাজেট নিয়ে ব্যস্ত। তাই বলে লোকজন সিনেমা দেখবে না তা তো হয় না তাই না? তাই আজকে আমিই লিখলাম। আজকে তিনটা কোরিয়ান সিনেমা নিয়ে লিখবো। লেখালেখি বেশী পারি না তাই ডাইরেক্ট একশনে গেলাম
১. The Way Home
৭ বছর বয়েসী সাং-উ কে গ্রামে নানীর কাছে রেখে তার মা কাজ খুঁজতে যায়। সাং-উ’র জন্ম এবং বেড়ে উঠা শহরে সে তাই গ্রামের পরিবেশে মেনে নিতে পারে না। সে কারনে সবকিছুতেই প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করে এমন কী তার নানীকেও মেনে নিতে পারে না। তার আদর ভালোবাসা উপেক্ষা করতে থাকে। কিন্তু আস্তে আস্তে সব কিছু পরিবর্তন হতে থাকে.........
সিনেমাটা দেখে আমার নিজের দাদীর কথা খুব মনে পড়েছে। গ্রামে গেলে উনি আমাদেরকে গরম পানি ছাড়া গোসল করাতেন না। কত খাবার দাবার রান্না করে খাওয়াতেন। আমরা যে কয়েকদিন থাকতাম সেই কয়দিন ফুপাতো ভাইবোনদের কোন বেইল ছিলো না।
ইউটিউব লিংক
২ Blind
তিনখানা দুষ্টু সিনেমা
তিনটা দুষ্ট টাইপ সিনেমা। এই পোস্ট উৎসর্গ রায়হান ভাইকে। দুষ্ট কিছু না লিখলে আবার রায়হান ভাই ব্লগে আসে না, পোস্ট দেয় না, মন্তব্যও করে না। আর এই সমস্ত দুষ্ট লুকজন না আসলে ব্লগিং করে মাইনষে?
তিনটি ছবিই যথেষ্ট নাম করা। এর মধ্যে দুটি ফ্রেঞ্চ, আর একটি বাংলা। এর মধ্যে অবশ্যই একটি ক্লাসিক মর্যাদা পাওয়ার মতো সিনেমা, পেয়েছেও।
১. বেলে ডি জুর: লু্ই বুনুয়েল বিশ্ব চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম সেরা নাম। স্পেনে জন্ম নেওয়া বুনুয়েল কাজ করেছেন, স্পেন, ফ্রান্স, আমেরিকা ও মেক্সিকোতে। বুনুয়েল নিয়ে লিখতে বসলে রীতিমত গবেষণা করতে হবে। বিশ্ব চলচ্চিত্রে তার প্রভাব এতোটাই।
দ্য ফ্লাওয়ার্স অব ওয়ার
আচার, আচরণ ও ভদ্রতায় জাপানীদের সুনাম থাকলেও ইতিহাস তাদের বিপক্ষে। বিশেষ করে জাপানী সৈন্যদের কুখ্যাতি বিশ্বব্যাপী। উদাহরণ খুঁজতে খুব বেশি দূরে যেতে হবে না।
দ্বিতীয় সিনো-জাপান যুদ্ধ হয়েছিল ১৯৩৭ সালে। দ্বিতীয় সিনো-জাপানের যুদ্ধে চীনের নানজিংয়ে ভয়াবহ এক গণহত্যা ঘটায় জাপানি সৈন্যরা। জাপানি রাজকীয় সেনাদের হাতে নিহত ও ধর্ষিত হয়েছিল প্রায় ৩ লাখ সাধারণ চীনা নাগরিক। ইতিহাসে এটিকে নানকিং ম্যাসাকার বা রেপ অব নানকিং বলা হয়।
সেই সময়টি নিয়ে সিনেমা। চীনা চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম সেরা পরিচালক ঝ্যাং ইউমু। এটি তার সর্বশেষ চলচ্চিত্র। 'দ্য ফ্লাওয়ার্স অব ওয়ার'।
মৃত্যু নিয়ে ৫ সিনেমা
মেক্সিকান পরিচালক, জীবনে মাত্র চারটি ছবি করেছেন। আর এই চার ছবি দিয়েই নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি। বলা যায়, নতুন একটি ধারা তৈরি করেছেন। তিনি আলেজান্দ্রো গনজালেস ইনারিতু। চার ছবির তিনটি আবার একই ধারার। বিষয়বস্তু মৃত্যু। ডেথ ট্রিলোজি। সিনেমায় গল্প বলার রীতি একটু আলাদা। একসঙ্গে কয়েকটি ঘটনা এগিয়ে যায়, শেষটি হয় একবিন্দুতে। এর নাম হচ্ছে হাইপার লিঙ্ক সিনেমা। মজার ব্যাপার হলো, হাইপার লিঙ্ক সিনেমার ধারণাটা শুরু করেছিলেন সত্যজিৎ রায়, কাঞ্চনজঙ্ঘা সিনেমা দিয়ে। ইনারিতু প্রথম মেক্সিকান পরিচালক, যিনি প্রথমবার একাডেমির জন্য মনোনয়ন পেয়েছিলেন। আর সেই ছবি হলো, অ্যামোরেস পেররোস, মেক্সিকোর ছবি, ভাষা স্প্যানিস। ডেথ ট্রিলজির প্রথম ছবি। এর পরের ছবিটি তিনি হলিউডে গিয়ে করেন, ২১ গ্রামস। আর ট্রিলজির শেষ ছবি বাবেল। ইনারিতুর শেষ ছবি বিউটিফুল, ট্রিলজির বাইরে।
অ্যামোরেস পেররোস
নায়কালোচনাঃ The Last King of Scotland
সিনেমা দেখা শেষ হবার পর নায়কের উপর বিরক্তি এসেছে তেমন ঘটনা খুবই বিরল। সেরকম একটা বিরল ব্যাপার ঘটেছে সেদিন।
সবাই জানেন ইদি আমিনের মতো বিখ্যাত খবিস রাষ্ট্রপ্রধান দ্বিতীয়টি নেই। তাকে নিয়ে একটা উপন্যাস লিখছিল সাংবাদিক Giles Foden। তার উপর ভিত্তি করে ২০০৬ সালে The Last King of Scotland নামের একটা সিনেমা নামিয়ে ফেলেছিল Kevin Macdonald. হাতের কাছে ভালো সিনেমা পেলে না দেখে ঘুম আসে না। বহু পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবি দ্য লাষ্ট কিং অব স্কটল্যান্ড না দেখেও ঘুমাতে পারছিলাম না। কিন্তু দেখেও মেজাজ খারাপ হয়ে ঘুমের বিঘ্ন ঘটালো চরিত্রহীন নায়কটা। আগে কাহিনীটা শুনুন।
ইশটপ!!!!! ইপ ইউ ডিড নট উয়াচ ইশপিড - দ্যা গতি
সিনেমার নাম "ইশপিড", কিয়ানু রিভস আর সান্ড্রা বুলকের স্পিড থেকে মারিং না, একেবারে খাঁটি দেশি পণ্য।
সোয়া চারটার শো দেখার জন্য আমরা পৌনে চারটায় মধ্যে বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সে হাজির। কিন্তু টিকিট নাই। টিকিটের জন্য ডজন ডজন মানুষ হাহাকার করছে, চারিদিকে বাতাস সেই হাহাকারে ভারী হয়ে গেছে। কাউন্টার থেকে জানালো হলিউডের যে সিনেমাগুলো বাকি পেক্ষাগৃহে চলছে সেগুলোর টিকিট আছে। মনে মনে বললাম - আরে বেটা বুরবক, জলিল এর কাছে জুলিয়া রবার্টস এর বেল আছে রে !! কোথাকার কোন "মিরর মিরর" কোথাকার কোন 'দ্যা হাঙ্গার গেম'! ইশপিড এর কাছে বেল আছে এগুলার!! জলিল ভাই জিন্দাবাদ।
সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম পরবর্তি শো টা দেখবো, যা আছে কপালে। কিন্তু পরবর্তি শো পৌনে তিন ঘন্টা পরে। তাতে কি ! জলিলের ইশপিড দেখতেই হবে।
ভূতের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথাবার্তা ও বিটলজুস
গত ২৯ এপ্রিলের আনন্দবাজার পত্রিকার প্রধান শিরোনাম দেখে চমকে উঠেছিলাম। আমরা যারা পত্রিকায় কাজ করি তারা সহজে এ ধরণের চমক দিতে পারবো না, সেই সাহস মনে হয় আমরা এখনো অর্জন করিনি। ভারত বা কোলকাতা পেরেছে, কারণ সম্ভবত সিনেমা তাদের জীবর যাপনেরই অংশ।
শিরোনামটা বলি
ভূতেই ভবিষ্যৎ বাঙালির, দেখাল
ব্যতিক্রমী ছবির বেনজির সাফল্য
একটি সিনেমা নিয়েই এতো কথা। আর সিনেমাটার নামও অন্যরকম, 'ভূতের ভবিষ্যৎ'।
দ্বৈরথঃ'ওঙ্কার-বাঙলা' আহমদ ছফা ও শহীদুল ইসলাম খোকন
''বাংলাদেশের কোন উপন্যাস ক্ল্যাসিকের মর্যাদা পাবে বলে আপনি মনে করেন ? আহমদ ছফা’র ‘ওঙ্কার’'
নিরর্থক আলোচনা পোস্ট
হুমায়ুন আজাদ স্যারের দুইটা প্রবচন আছে-
"টেলিভিশনে জাহাজমার্কা আলকাতরার বিজ্ঞাপনটি আকর্ষনীয়, তাৎপর্যপূর্ণ; তবে অসম্পূর্ণ। বিজ্ঞাপনটিতে জালে, জাহাজে, টিনের চালে আলকাতরা লাগানোর উপকারিতার কথা বলা হয়; কিন্তু বলা উচিত ছিলো যে জাহাজমার্কা আলকাতরা লাগানোর উৎকৃষ্টতম স্থান হচ্ছে টেলিভিশনের পর্দা, বিশেষ করে যখন বাঙলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠান দেখা যায়।"
এবং
"বাঞ্ছিতদের সাথে সময় কাটাতে চাইলে বই খুলুন,
অবাঞ্ছিতদের সাথে সময় কাটাতে চাইলে টেলিভিশন খুলুন।"
Spring, Summer, Fall, Winter... and Spring কিংবা শাশ্বত জীবন-চক্র
জীবন-চক্র শাশ্বত, অহেতুক ব্যস্ত মানুষ হিসেবে আমরা অধিকাংশ সময় সেটা খেয়াল করতে ভুলে যাই। আধুনিক জীবনের সুবিধা, কাজের তাড়াহুড়া এবং ছুটাছুটি সর্বদা চলমান পৃথিবী থেকে আমাদের দৃষ্টি এড়িয়ে রাখে। ভাগ্যিস Spring, Summer, Fall, Winter … and Spring এর মত কিছু ছবি আছে যা আমাদের আবার শিকড়ে তাকাতে বাধ্য করে।
কোরিয়ান কিম কি-দুক এর এই ছবিতে চরিত্র হাতে গোনা, পুরো ছবির সংলাপ হয়তো সাকুল্যে এক পাতা হবে, ছবির লোকেশন বলতে গেলে এক জায়গাতেই! তারপরও ছবিটা দেখার পরে স্তব্ধ হয়ে হয়ে বসেছিলাম। এটা এতই গভীর মর্মস্পর্শী যে ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।
একটি গান আর একটি মুভি, দুটি কথা..
#
আমার একটা অনেক পুরান অভ্যাস হল,
হঠাৎ করেই কোন একটা গানের লুপের ভেতর আটকা পড়ে যাই।
একই গান শুনে যাই দিন থেকে রাত, রাত থেকে দিন। ক্রমাগত, বলা চলে বিরামহীন!
ইদানিং, একটা গানেই আটক ছিলাম অনেক দিন। এখনও আছি, কিছু টা।
যাই হোক, অতঃপর মিফতাহ জামানের অতঃপরের খপ্পর থেকে কিছুটা হলেও রেহাই মিলেছে।
কাহিনী আর কিছুই না, এ নিঊ ক্রাশ ইন মাই ওয়ার্ল্ড অফ মিউজিক।
বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের 'স্কুল অফ লাইফ' এর ভক্ত নয়,
এমন মানুষ বোধহয় কমই আছে।
তা, সেই মিউজিক ভিডিওটার মিউজিক কম্পোজিশন করেছিল অদিত।
সেই, অদিতের নতুন ডাবল সিডির এ্যালবাম ' অদিত ফিচারিং ফ্যাটম্যানজ ইঙ্ক' বাজারে আসতেই কিনে আনতে দেরি হয়নি। কেনা হলেও একবার শুনেই এতদিন ডুবে ছিলাম সেই অতঃপর-এ।
কাল থেকে, এই এলব্যাম এর একটা গান এক কথায় পাগল করে দিচ্ছে। মাথা অলরেডি পুরাই আওলাইয়া দিয়েছে।