ইউজার লগইন
দিনলিপি
চলে যায় ভালো সময়গুলো!
গত তিন দিন জীবনে এক ব্যাতিক্রমী এক্সপিরিয়েন্সের ভিতর দিয়ে যাচ্ছে। না চাইতেই এত বড় সাফল্য আমার জীবনে আর আসে নি। সাফল্য পেতে উন্মুখ হয়েও ছিলাম না। তাও এসে গেল, হঠাৎ করেই। হুট করে আসা এই সাফল্যে কিছুটা লজ্জিত ও কুন্ঠিত অবস্থাতেই কাটছে দিন। তেমন হাতি ঘোড়া কিছু উদ্ধার করি নাই, সামান্য বিসিএসে রিটেন আর ভাইবা শেষে সাময়িক ভাবে সুপারিশ পাওয়া প্রশাসনের তালিকায় স্থান পেয়েছি। যদিও নিয়োগ এখনও দিল্লি বহুদুর তাতেও আমি এই সাফল্যে নিজেই আনন্দে আটখানা। আর যাদের নিয়ে আমার জগত তারা আনন্দে ৮*৮*২= ১৩২ খানা!
আমি গুছিয়ে ঠিক কথা বলতে পারি না, শুধু সময় নিজের গল্প বলে যায়!
শিরোনামটা বেশী আদিখ্যেতার হয়ে গেল। কি আর করা, একটা গানের লাইন পছন্দ হলো তাই দিয়ে ফেললাম নামটা। পোস্ট লিখতে গিয়ে একটু ভাবছি। কারন ঠিক করে রেখেছিলাম পরের কিছু পোষ্ট গুলো শুধু বই নিয়ে লিখবো। প্রচুর বই পড়া হচ্ছে ইদানিং, জমছে চোখের সামনে কিন্তু তা নিয়ে লিখতে পারলাম আর কই?
আশাবাদের চাষাবাদ!
সুশীল ভাষায় এই সময়টাকে বলে ক্রান্তিকাল। তবে শুধু ক্রান্তিকাল বললে এই সময়টার ঠিকঠাক নাম দেয়া হয় না। আমার মাথাতে খালি আসে দুটো শব্দই 'চরম দুঃসময় ' সেটা সব দিক থেকেই। রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সমাজ, রাষ্ট্র সব খানেই ঘোরতর অনিশ্চয়তা, অস্থিরতা, অস্বস্তিতে দিন কাটছে সবার। যেখানেই যাই, যে কথাই বলি ঘুরে ফিরে আসে পলিটিক্যাল ক্রান্তিকালের এই কথাগুলাই। এখন তো নান্নুর চায়ের দোকান নাই তাই অনেক জায়গাতেই মাঝে সাজে বসা হয়। নানান লোকের কথা শুনি, সবাই খুব টেনশনে। আমাদের এক বন্ধু আছে নাম মুহিত। বাপের বিশাল বড় বাড়ী, জাবি থেকে মাস্টার্স করছে এখনো শেষ হয় নাই। ওর বাপ হুট করেই খুব হন্তদন্ত হয়ে ইউরোপের কোনো দেশে আরেকটা মাস্টার্সের জন্য পাঠাতে চায়, অথচ এত বছরের জীবনে তার বিদেশে যাবার কোন প্ল্যানই ছিল না। সেও দোড়ঝাপ শুরু করছে। এখন বলতে পারেন- এইসব ব্যাপার স্যাপার তো আগে থেকেই ছিল, কিন্তু আগের সাথে এখন ডিফারেন্সটা হলো আগে সামর্থ্যবান মানুষদের ভিতরে অনেকের ইচ্ছা থাকতো বিদেশে যেন একটা ঠিকানা থাকে। এখন সবাই তা বাধ্যতামুলক ভাবে করছে। এমন একটা ভাব যেন দেশে আশু সিভিলওয়্যার হচ্ছে। আরেক লোকের কথা বলি তার নাম ধাম পেশা কি জ
এবি'র জন্মদিনে বিউগল রেষ্টুরেন্টে সুবেদার আলী
সুবেদার আলীর শরীরটা থরথর করে কাঁপছে। শরীর বললে ভুল হবে। কাঁপছে তার দুই গ্যালন সাইজ ভুড়িটা।
জীবনে এই প্রথম তার এরকম কোন জায়গায় আসা। তার নিজের কখনো সুযোগ হতো না যদি হাতেম তাকে এই সুযোগ না দিত। হাতেম তার দীর্ঘদিনের সঙ্গী। একই মেস ঘরে থাকে দুজনে। বিউগল রেষ্টুরেন্টে কাজ করে হাতেম। ভালোমন্দ খাবার সুযোগ হলেও হাতেমের দিন কাটে হয় মুলার ঝোল নয় শশার ঝোলের তরকারি আর বড়জোর একটা ডিম। সুবেদার মেট্রিক পাশ। হাতেমের চেয়ে শিক্ষিত। কিন্তু খাবার দাবারে দরিদ্র। কারণ সে একটা গুদামে বস্তা গুনার কাজ করে। হাতেমের কাছ থেকে খাবার দাবারের গল্প শুনতে শুনতে অবিশ্বাস্য লাগে তার। কোন কোন বেলায় নাকি দুইশো পদের খাবারও সাজানো থাকে ওখানে। তার নাম বুফে। এত খায় কেমনে? এমনকি তার দুই গ্যালনের পেটের মধ্যেও বড়জোর বিশ পদ ঢুকানো যাবে ঠেসেঠুশে।
জীবন থেকে নেয়া (চোর নিয়ে মেঘাডেট)
আজকে “আমরাবন্ধু”র জন্মদিন। বিগত যৌবনা এই ব্লগটাতে পারতে কেউ আজকাল আর উঁকি দেয় না। শুধু যারা মায়া কাটাতে পারে নাই তারা মাটি কামড়ে পড়ে আছে। হ্যাপি বার্থডে এবি, অনেক অনেক হাসি খেলার – আলোর বেলা কেটেছে এখানে। ভাল না থাকো, টিকে অন্তত থাকো।
প্রথমে সেদিন চোর এলো আমাদের বাড়িতে তারপর পুলিশ। ঘটনাটা এরকম, বুধবারে বাবা মেয়ে বাড়ি ফিরেছে এবং যথারীতি একজন টিভি আর একজন ল্যাপটপের মধ্যে ঢুকে গেছে। আমি বাড়ি ফিরে খুব তাড়াহুড়া সব গোছাচ্ছি আবার বেরোতে হবে, আমাদের খুব কাছের বন্ধু একবছর আগে মারা গিয়েছেন, তার সেদিন মৃত্যুবার্ষিকী। মেঘকে ওপরে পাঠিয়েছি রেডী হতে। বাগানের দরজার নবটা দেখি অর্ধচন্দ্র। মুচড়ে আছে ঠিক অর্ধেক মাপে।
মেয়ের বাবাকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি বাইরে গিয়েছিলে, বললো না।
আমি বললাম তাহলে এমন হলো কি করে লক?
তিনি বললেন, মেঘ হয়তো বাইরে গিয়েছিলো।
মেঘ নীচে আসতে আমি জিজ্ঞেস করলাম, সে বললো, নাতো মা, আমি যাইনি।
আমি বললাম তাহলে কি চোর এলো নাকি।
বললেও ভাবার সময় নেই এখন প্রায় সাতটা বাজে, বেরোতে হবে। কেউ গা করলো না।
ঘুরে ফিরে আসার গল্প!
অনেক দিনের পর লিখছি। এত লম্বা বিরতিতে আমার লিখতে মোটেও ভালো লাগে না। তাও উপায় ছিল না। কারন প্রথমত, প্রিয় মোবাইল সেটটা নষ্ট আগে যে মোবাইলে লিখতাম তা বন্ধ এবার। দ্বিতীয়ত ল্যাপটপ নিয়ে গিয়েছিলাম তাতে লেখা যেত, কিন্তু বিধি বাম মামা এক্টার্নাল ইউএসবি কিবোর্ড নিয়ে যায় নি আর আমি ল্যাপটপের কীবোর্ডে লিখতেই পারি না। চেষ্টা করলাম বাড়ীতে কত- হয় না, বারবার এফএন টিপে লেখা আমার কম্ম নয়। তাই ল্যাপটপ দিয়ে খালি চার পাঁচটা সিনেমাই দেখলাম। ভেবেছিলাম এন্ড্রয়েড সেট দিয়ে লিখবো- কিছু দূর লিখে মনে হলো এর চেয়ে মাটি কাটার কাজে কম পরিশ্রম, তাই আর লেখা হলো না। ব্লগে নতুন দুয়েকজন ব্লগার দেখলাম। দেখে ভালো লাগলো। কিন্তু এবির যা সমস্যা তাই থেকে যায়- পোষ্ট পড়ার লোক নাই। যখনই দেখছি বারবার- লোকজন নাই তখনই মন চায় একটা পোষ্ট লিখে ফেলি যা ইচ্ছে তাই। কিন্তু নিরুপায় তাই শুয়ে বসে দেখা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই। তাই ঢাকায় বিকেলে নেমেই রাতের বেলা এই পোষ্ট লিখছি, নিজের ঘুরাঘুরির ফিরিস্তি জানাতে!
যেভাবে হেঁটে চলছি এই শহরে!
আবার লিখতে বসলাম। কি লিখবো কিছুই ভাবি নাই এখনো। তাও লিখতে বসা অযথাই। শুয়ে শুয়ে বই পড়ছিলাম। আজ তেমন গরম নেই, নেই শরীরে কোনো ক্লান্তি তাই বই পড়ছিলাম। কিন্তু আমার মতো গরীব মানুষের সুখ কারোই সহ্য হয় না। তাই কারেন্ট চলে গেল। শুয়ে শুয়ে মশার কামড় খাবার চেয়ে বসে বসে মশার কামড় খাওয়া ভালো। তাই আবার যথারীতি অন্ধকারে বসে লেখা শুরু করলাম। ব্লগে লেখতে হলে ইচ্ছাই যথেষ্ট। তাই ইচ্ছে হলেই লেখতে বসি। তবে লেখার আগে ভেবে লেখতে বসা উচিত, কিন্তু আমার চিন্তা ভাবনার কোনো বালাই নাই। মনে কিছু কথা আসে তাই না সাজিয়ে গুছিয়ে লিখে দেই। আমার মামা বলে 'তোমার লেখা ওতো পড়ি না আর, খালি কমেন্ট দেখি লোকজনের।' আমি জিগেষ করলাম কেন? মামা বলে একই ধরনের কথাই ইনিয়ে বিনিয়ে বারবার বলো, তা আর পড়ার কি?' আমি মনে মনে ভাবি আহারে কত বড় অপমান। নান্নু মামা থাকলে বলতো 'সবার সামনে অপমান/ মৃত্যুর সমান'।
যেভাবে যাচ্ছে দিন, যা দেখছি।
মন মেজাজের হাল সুবিধার না বিশেষ। সারাদিন বেহুদা দোড় ঝাপ করলাম তাতে আরো বেশী টায়ার্ড লাগছে। অন্য কেউ হলে শুয়ে থাকতো। কিন্তু আমি তো অনন্ত জলিলের ফ্যান তাই অসম্ভবকে সম্ভব করাই আমার কাজ না হলেও তাঁর কাছাকাছি কিছু করা তো যায়ই। তাই প্রচন্ড ক্লান্ত শরীর নিয়ে পোষ্টটা লিখছি অন্ধকারে। আজ কারেন্ট কত শত বার গেছে তার হিসেব জানা নেই। জানি না কতদুর লিখতে পারি। বাবাখোরদের শুনছিলাম নাকি তাদের এমন দশা হয়ে যায় আসক্তিতে যে খাবারে টেবিলেই ঘুমিয়ে পড়ে ঠাস করে। আমি বাবা না খেয়েই পিসিতে ঘুমিয়ে পড়তে পারি যেকোনো সময় এই ব্লগ লিখতে লিখতে। তবে শরীর থেকে কম চে কম দুই তিন লিটার খালি ঘামলাম সারাদিনে। তাই ঘুমানোর আশা দুরাশা!
৪ টাকা = একটি ছেলের জীবন
চন্দ্রমুখী চলে গেলো। তার যাওয়ার সাথে সাথে জননীর আত্মহননের চেষ্টা―খুব মনোপীড়ায় কেটেছে কিছুদিন। কোনো কিছুই আজকাল আমার, আমাদের টনক নাড়ায় না। কিন্তু এ ঘটনায় স্বাভাবিক থাকতে পারিনি।
নাজনীন আখতার শুধু সাধারণ একজন মা নন, একজন সাংবাদিকও। সাংবাদিককে সবসময় 'কঠিন' হতে হয়। এই কঠিন মানুষই যখন চরম 'আবেগী'র মতো আচরণ করে বসেন, বুঝতে হয় ব্যথার গভীরতা আসলে কতটা।
এই ক্ষতের ভেতর দিয়ে আমার ভাবি চলে গেলেন বাড়িতে। ভাবি চলে গেলে শুধু ঢাকা শহরই ফাঁকা হয়ে যায় না, মনটাও ফাঁকা হয়ে যায়। চারদিকে কেমন এক শূন্যতা বিরাজ করে।
মন খারাপের মধ্যে গত পরশু আরেকটা বড় খবর। প্রথম আলোর অনলাইলে পড়া। (কেন যে তারা পরদিন মূল সংস্করণে খবরটা দেয়নি)।
কুষ্টিয়ায় এক বাবা তার ছেলেকে বাজারে পাঠালেন। ছেলে সওদা নিয়ে এলো। বাবা হিসাব চাইলে ছেলে অবশিষ্ট ৪ টাকা ফেরত দিলো না। বললো, 'চানাচুর কিনে খেয়েছি।'
দরিদ্র বাবা সইতে পারলেন না এ 'অপচয়'। রাগে থাপ্পড় দিলেন ছেলের গালে। এক থাপ্পড়েই মৃত্যু হলো ছেলের। হাসপাতালে নিয়েও কোনো লাভ হলো না।
৪ টাকা = একটি ছেলের জীবন। কী কঠিন সমীকরণ।
যা শুনছি!
অন্ধকারে বসে পোস্টটা লিখছি। এই অসম্ভবকে সম্ভব অনন্ত জলিল করে নাই, করেছে ল্যাপটপ। সিটিসেলের এডের ভাষাতেই বলি এমন যে হবে তা কেউ ভাবে নি আগে। অবশ্য প্রচন্ড গরম পড়ছে দরদর করে ঘামছি, তার ভেতরেই লেট নাইট ব্লগ লেখা শুরু করলাম। জানি তেমন কেউ পড়বে না চেনা জানা মানুষ ছাড়া, তাও নিজেকেই নিজে অনুপ্রেরনা দিয়ে লিখতে বসি। কেউ কেউ তো এসে পড়ে যাবে তাদের জন্য লেখা আর নিজের জন্য তো বটেই! মামা বাসায় নাই। হবিগঞ্জে অফিসের কাজে। মামা না থাকলে আমি ঘুমাই অনেক দেরীতে। কারন জানি বকা দেয়ার কেউ নাই। অবশ্য মামা থাকলেও রাত জাগা হয় যথারীতি। তিনটা পর্যন্ত বসে থেকে ফেসবুকের শ্রাদ্ধ করি, কি আর করা যাবে! কিছুদিন সকালে হাটলাম এই গরমে তা আর ইচ্ছা করে না! আর আবার লোডশেডিং ফুল ফর্মে ফিরছে। পাচ ছয় ঘন্টা থাকেনা ইলেকট্রিসিটি। বিকেলের দিকে হুট করে বৃষ্টি নামে তাতে জ্যাম বাড়ে আর গরমটাও হয় ঝাঝালো। গরম আমার খারাপ লাগে না। কিন্তু এত ঘামতে ঘামতে খালি ক্লান্ত লাগে!
ঠাসবুনটের ভীড়ে- ঠাসাঠাসি মানুষের এই শহরে!
মানুষ আমার খারাপ লাগে না। বরং অপরিচিত এক দংগল মানুষ দেখলে আনন্দিত হই যে ঢাকা শহরে আছি আর ভয় নাই। তবে এখন মানুষ দেখলেও ভয় লাগে। এত মানুষ এই দেশে সব পিলপিল করে ঢাকায় এসে পড়তেছে তা ভাবলেই দমবন্ধ লাগে। ঢাকা অবশ্য আমার বাপ দাদার সম্পত্তি না যে ঢাকায় মানুষ আসবে না। উল্টা বলা যায় আমি হইলাম মফিজ শ্রেনীর লোক যারা ঈদে বাড়ীতে চলে যায়। মফিজরা যখন বাড়ীতে, ঢাকায় থাকা মানুষের সুখের দিন। ফাকা ফাকা শহরে আয়েশ করে ঘুরে ফেরায়। টিভি চ্যানেল গুলাতে বারবার করে বলে এমন ঢাকাইতো আমরা চাই। কিন্তু সেই চাওয়াতো সোনার হরিন। আমাদের মতো মফিজরা ফিরে আসে ঢাকা আবার ফিরে পায় আগের হট্টগোল আর জনারণ্য। যারা সারা বছর ঢাকার বাইরে থাকেন তারা নিজেদেরকে দুনিয়ার অন্যতম লাকী লোক ভাবতে পারেন। কারন এই শহরে সবাই আসে বা থাকেই স্বার্থসিদ্ধির আশায়। যাদের সেই স্বার্থ নাই তারাই ভবিষ্যতে জলিলের মত নিঃস্বার্থ ভালোবাসাময় জীবন পাবেন। আমরা যারা এই শহরে থাকি তারা আছি বাটে পড়েই। এই বাটে থাকতেই থাকতেই বাটখারা হয়ে গেলাম, যেখান থেকে মুক্তি নাই!
রাজনীতি, পেটনীতি , পেশীনীতি ও বড়লোকের নীতি!
শিরোনাম দেখে টেনশন নিয়েন না কেউ, এইটা অতি সাধারণ দিনলিপি ঘরনারই পোষ্ট। রাজনীতি নিয়ে তথ্যভিত্তিক জ্ঞানগর্ভ পোষ্ট লেখার বিদ্যে আমার ছিল না কোন কালেই। রাজনীতি ও ইতিহাস নিয়ে পড়তে ভালো লাগে তা নিয়ে সর্বোচ্চ চায়ের দোকানেই আলাপ করি এর বাইরে আমার রাজনীতি করার কোনো চেষ্টা নাই। মাঝে মধ্যে প্রেস ক্লাবে বা শাহবাগে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি, মিছিলের আগে বাম নেতাদের বক্তব্য শুনেছি এতটুকুই আমার রাজনৈতিক অংশগ্রহন বলা চলে। এর বাইরে মোহাম্মদপুরের এক চিপায় দিনের পর দিন বসে বসে আড্ডা পিটানোর কারনে সেখানকার রাজনীতির হাওয়া বাতাস সমন্ধে জানি। আর পত্রিকার পাতায় দেশ নিয়ে দুঃসংবাদ পড়ে টেনশন নেই নিজে নিজে তারপর ভুলে যাই এই করেই চলছে। তাও আমি আজ লিখতে বসলাম ইদানিংকালের নিজের চোখে দেখা পাড়া মহল্লা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে!
কোলাহলের দিনরাত্রী!
জানি না লিখতে পারবো কিনা তাও চেষ্টা যদি লিখে ফেলতে পারি।।। মনিটর নষ্ট একদম তাই নতুন ল্যাপটপে লিখছি নানাবিধ টুকটাক সমস্যা তো লেগেই আছে, তার ভিতরে লেখার জন্য এই চেষ্টাটা করছি। লিখতে আসলে আমার খুব ভালো লাগে, ভালো লিখতে না জানলেও।। অল্প বিদ্যে যেমন ভয়ংকরী তেমনি আমার এই টুকটাক ব্লগ লেখার জন্য চেষ্টা আরো ভয়ংকরী। সেই কবে শেষ লিখেছিলাম তারপর আর লেখাই হলো ্না। কতদিন মোবাইল দিয়ে লেখার চেষ্টা করছি কিন্তু এক প্যারা লিখে আর ইচ্ছা করে নি কারন মোবাইলটার বয়স হয়ে গেছে সন্দিহান ছিলাম লেখা শেষ করতে পারবো কিনা! আর এখন আর সেই আগের মতো বেগার খাটতে ইচ্ছা করে না। যা লিখতে চাই তাই লিখতে না পারলে লেখার কোনও মানে হয় না। সাইবার ক্যাফেতেও একদিন বসছিলাম কিন্তু শ্যালকদের অভ্র নাই তাই আমারও লেখার মন উঠে গেল। অবশ্য বাড়ী থেকে এসে সেমিস্টার ফাইনাল নিয়ে ছিলাম তারপর বন্ধু নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম কিন্তু প্রতিটা দিনের শেষে মনে পড়তো লেখার কথা।। গরীবের ঘোড়া রোগ আর কি! আজ পাওয়া গেল যোগার যন্ত্র রাতে বসে গেলাম লিখতে এ যেন ঈদের খুশী!
ভ্রমণ: নোয়াকোট, ছাতক, সিলেট
বর্ষা... আবহমান বাংলার আরেক রূপ। বৃষ্টির টাপুর টুপুর শব্দে, ঘন মেঘের ঘোর বরষায় বাঙালির মন উচাটন করে না এমন ঘটনা আসলেই বিরল। বৃষ্টির শব্দের মাঝে, বৃষ্টির ঘ্রাণের মাঝেই রয়েছে মাদকতা। বাঙালির জীবনে বর্ষার প্রভাব অনেক। আমাদের জীবনের সাথে জড়িয়ে রয়েছে বর্ষা (জলিল ভাইয়ের বর্ষা না আবার । আষাঢ়ে-শ্রাবণে ঘন ঘোর বরষায় বাঙালির মন উতলা হয়। মানুষের মন নেচে ওঠে। বিরহে কাতর হয়। কারণ বর্ষা এলেই আমাদের মনের মাঝে মেঘ গুড়গুড় করে ওঠে। আমাদের মনের সেই গুড়গুড় মেঘের কথাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন―
‘এমন দিনে তারে বলা যায়
এমন ঘন ঘোর বরিষায়।’
কখনো উদাস... কখনো আলেসেমি.. কখনোবা মুগ্ধতা... ভিন্ন ভিন্ন রূপে বর্ষার উপস্থিতি প্রতিয়মান বাঙলার ঘরে ঘরে... 'মানুষ কি জানে ক্যান মোচড়ায় মানুষের মন?' সৈয়দ শামসুল হকের এই প্রশ্নটার কি কোন উত্তর হয়?
ভিআইপি 'নেতা' বনাম যানজট
ঢাকার যাত্রীরাই সবচেয়ে ভালো জানেন―যানজট আসলে কী, কোন কোন উপায়ে এটা পয়দা হয়। ব্যাপারটা অনেকটা গা-সওয়া হয়ে গেছে অনেকেরই।
মাঝে-মধ্যে আমরা শরীরচর্চা+টাকা সেভ করার জন্য শাহবাগ থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত হেঁটে যাই। বাসার উদ্দেশে কারওয়ান বাজার থেকে বাসে উঠি। গত রবিবারও যথারীতি যাচ্ছিলাম। শাহবাগের পরের ওভার ব্রিজটার মুখে পুলিশ মামা দাঁড়িয়ে, কাউকে উঠতে দিচ্ছেন না। অবাকই লাগলো, জায়গাটা হিজড়া এবং পতিতাদের দখলে থাকে এই সময়টায়, রাত ৮-৯টার পর থেকে। সেখানে আবার 'উপদ্রব' কেন...। বোঝার জন্য আশপাশে তাকালাম, অনেক পুলিশ দাঁড়িয়ে আছেন রাস্তার পাশে। সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। রাস্তা পুরো ফাঁকা। কোনো পথচারীকেই রাস্তার এই পাশ থেকে ওই পাশ, ওই পাশ থেকে এই পাশে আসতে দেয়া হচ্ছে না। পুলিশ মামাকে জিজ্ঞেস করে জানলাম, কোনো এক ভিআইপি আসবেন, তাই এই নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা।
যেদিকেই হাঁটি পুলিশ আর পুলিশ; কেউ কেউ কটমট করে তাকাতেও ভুলছেন না! একেই বলে বোধহয় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা!