ইউজার লগইন
দিনলিপি
যাপিত জীবনের গল্প-৪
ছোট বেলাতেই সব কিছুতেই সহজে হার মেনে নেয়ার একটা প্রবণতা ছিলো। যে কোনো কারণেই হোক, যা কিছুই ঘটুক খুব সহজেই হার মেনে নিতাম। হয়তো কোনো ভেজালে যেতে চাইতাম না বলেই অথবা খুব ক্ষীণ শক্তির অধিকারী ছিলাম বলেই।
কিংবা কখনো কোন কারণে মনে হয়নি আমার জিততেই হবে। কোন কিছুতে জেতার চেষ্টাও করিনি কখনো।
খুব ভালো ছাত্র যে কখনোই ছিলাম না সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। কিংবা ভালো ছাত্র হবার চেষ্টা কখনো করিনি। কখনো ক্লাসে প্রথম হওয়া ও তাই কোনোদিন হয়ে উঠেনি। তবে বই পড়ার প্রতি আমার ছিলো প্রচন্ড ঝোঁক। সেটা নিজের পাঠ্য বইয়ের প্রতি নয়, বড় বোনদের বাংলা কিংবা ইংরেজী বইয়ের গল্পগুলোর প্রতি। ওই বইয়ের গল্প পড়েই বিকেলের সময়টুকু কাটিয়ে দিতাম ।
ভবিষ্যত বলা কঠিন , তবুও সব বাবা মা নিশ্চয় তার সন্তানকে নিয়ে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম স্বপ্নটাই দেখে ।
ফ্রীডম ফাইটার
মন মেজাজ আজকে খুব ভালো। আবহাওয়ার মতোই মিস্টি। তবে আজ অকারনেই মন ভালো। আমার দুটোই হয়। অকারনে মন ভালো হয়, অকারনেই মন খারাপ হয়। তবে সব কিছু ছাপিয়ে কিছু কাজগুলোতে আমার মন মেজাজ খারাপ ভালো থাকা কোনো প্রভাব পড়ে না। তার মধ্যে প্রথম হলো চা খাওয়া। চা সবাই পান করে আমি খাই। দিন যতো বিষণ্ণই হোক আর যতো হইহুল্লোরের মধ্যেই থাকি না কেনো চা খাওয়া মিস নাই। চা খাওয়া মানে সবাই ভাবে ১-২ কাপ। এখানে কয় কাপ খাওয়া হলো তা ব্যাপার না। চা টা পারফেক্ট হলো কিনা তাই ব্যাপার, আমার চা পারফেক্ট হবার প্রধান শর্ত হলো চা অবশ্যই শেষ দিকের লিকারের চা হতে হবে। আমি ফাস্ট লিকারের চা খেতে পারি না কেমন জানি গরম পানি গরম পানি লাগে। তারপর দুধ চিনি অত্যন্ত কম। আমার জন্য একটা কাপ আছে সেই কাপ ভর্তি করে চা টা আসবে। আমি প্রথমে গন্ধ নিবো তারপর আস্তে আস্তে সময় নিয়ে তা খাবো। ওতো তাড়াহুরার কিছু নাই। রিল্যাক্স। আমি তাড়াহুড়ায় চা খাইনা। তবে ইদানিং নান্নু বিয়ের পর থেকে পারফেক্ট কম্বিনেশনের চা বানাতে পারে না। তাও চেষ্টা করে খেয়ে জানিয়ে দেই জোর করে খাইলাম। তিনি বলেন মামা এতো কষ্ট করে চা বানিয়ে দেই যখন বলেন হয় নাই তখন আমার চিত্তে কষ্ট লাগে। এই চি
চাঁদের আলোয় হারিয়ে যাওয়া দিন!
আমাকে কেউ পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন করলে বিশেষ করে তা যদি হয় বন্ধু আড্ডামেটদের কেউ তবে সিরিয়াসলি মেজাজ খারাপ হয়। নিতান্তই লোকজন শেয়ার দিতে বলে তাই ফেসবুকে শেয়ার দেয়া। নয়তো নিজের পোস্ট শেয়ার দিতে আমার সিরিয়াস বিরক্ত লাগে। যারা ব্লগার যারা আমার লেখা চিনে জানে তাদেরকেই শুধু লেখা পড়াতে ইচ্ছা জাগে। আর কাউকে নয়। রিয়েল লাইফ ফ্রেন্ডদেরকে তো আরো নয়। কারন আমি যদি কোনো জাতীয় ইম্পর্টেন্ট কিছু লিখতাম তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের শেয়ার দিয়ে জানাতাম। তাদের পাশে চাইতাম। কিন্তু আমি লেখি সাদামাটা দিনলিপি যার বেশীর ভাগের বুক জুড়ে থাকে নিজের কথা, নিজের দিনযাপনের কথা আর বন্ধুদের কথা। তাদের সমন্ধে কি কি ভাবছি তা যদি ব্লগ পড়েই জেনে এসে আমাকে প্রশ্ন করে তখন খুবই ইরিটেটিং লাগে। আর প্ল্যান করি কিভাবে ফেসবুক থেকে তাকে বাদ দেয়া যায়। আমার ফেসবুকে রিয়েল লাইফ ফ্রেন্ড এই জন্যই এড নাই। কারন বন্ধুরা বাস্তবেই ভালো আর ফেসবুকের বন্ধুরা ফেসবুকে। কিন্তু সবাই কে তো আর ডিলেট মারা যায় না তাই শেয়ার ঝটকায় লাইক না পেলেও পোস্ট পড়ে তাদের নানান কিছুর উত্তর দিতে হয়। কোনোটা বাড়িয়ে লেখেছি, কোনটা কমিয়ে লিখছি, কোনটা বাদ পড়েছে, কোনটা লিখেছি তা তাদের পছন
থেমে থাকবেনা কিছুই!
মন মেজাজ অত্যন্ত খারাপ। গত দুইদিন ধরে আমার মেজাজ এতো খারাপ যে প্রিয় মানুষজন ছাড়া কারো সাথে কথা বলতেই ইচ্ছা করে না। বারবার মনে হয় এতো বাজে সময় আগে কখনো পার করি নি। তবে এটা নতুন কিছু না, প্রতিবারই একি কথা মনে হয় এবং তার চেয়েও ভয়াবহ খারাপ সময় আসে। খারাপ সময় সবার জীবনেই কম বেশী আসে। কিন্তু আমার বেশী আসে আর না আসলে আমি জোর করে আনাই। আর তাতেও কাজ না হলে অযথাই বিষণ্ণ থাকে। আমার এক বন্ধু এই সব দেখে টেখে আমার নাম দিছিলো স্যাডিস্ট শান্ত। আর যা বাংলাতেই ডাকতো লোকজন দুখু মিয়া শান্ত। আমি নিজেরে কাজী নজরুল বানাতে চাই না। যে অবিস্মরনীয় প্রতিভা কাজী নজরুলের ইসলামের ছিলো তার ধারে কাছের নখের সমানের মেধাও আমার নাই। তাই নামটা ভালো লাগে না। সেই বন্ধুও আর আমাকে এখন আর কোনো নামেই ডাকে না। এতোই ব্যাস্ত সবাই- সময় কই তাদের আমার নাম মনে রাখার! গত কাল সকালে ফেসবুকে বসে দেখি এক পরিচিত ক্লাস মেট বান্ধবী নক করলো। সবার খোজ খবর জিগেষ করলো?
অবরুদ্ধ কণ্ঠ-২ (যুদ্ধ পর্ব)
একটা সময় পার করলাম, বলা টা হয়তো ঠিক না। কিছুটা পথ অতিক্রম করলাম। এই পথ নতুন, এই পথে হাটার ধরন নতুন। সামাজিক ভাবে অছ্যুত এই পথ। নিয়তি যখন আমাকে এই পথের ধারে এনে দাড় করিয়ে দিল, আমি জেনে গেলাম এর কোন বিকল্প নেই, এই পথের কারনে পরিচিত অনেক বন্ধু বা আত্মিয় ই গায়েব হয়ে গেল নিমিষে। অনেকে থেকে গেল। অনেকে নতুন যোগ হল।
এই নতুন মুখ বা আধা পরিচিত মুখ যারা এই পঙ্কিল দুর্গম পথে আমার পাশে রাসেল এর জন্য এসে দাঁড়ালেন তাদের মাঝে প্রথম ফোন টা আমি পাই ফিরোজ ভাই এর কাছ থেকে। আমি তখন ও কোর্টে এ পৌছাই নি। কল পেয়ে ও তাকে না দেখা পর্যন্ত আমি বুঝতে পারিনি এটা সংহতির ফিরোজ ভাই।কেম্ন করে যেন সে এই পুরো পথটা ই আগলে রেখেছে আমাদের। সে ই পরিচয় করিয়ে দিল কিছু "মানুষের" সাথে।
এই জীবনের মানে তবুও এক আনন্দময় যাত্রা
আজকে এই মুহূর্তে আমার কোনো পোস্ট লেখার ইচ্ছা ছিলো না। কারন গত রাতেই একটা আস্ত পোস্ট লিখে ছেড়ে দিয়েছি তাই অনেকেই হয়তো পড়ে নাই এখনো। একদিনের ব্যাবধানে দুইটা পোস্ট দেয়া খুব একটা শোভন ব্যাপার না। আর এই ব্লগে পোস্ট দিতে দিতে আর আমার পোস্ট পড়তে পড়তে পাবলিকও টায়ার্ড। দুই তিন দিন আগে বিষণ্ণ ফোন করে বলছিলো এবিতে তো আপনার মতো পোস্ট দেয়ার লোক এসে গেছে। সে বুঝাতে চাইছে যে সেই আগের দিন নাই, নতুন নতুন ব্লগাররা এসে নিয়মিত পোস্ট লেখা শুরু করছে, ব্লগে খালি আমি ঘন ঘন পোষ্ট দেই না!
হাজারবার মরলে পরেও আসবো ফিরে ফিরে, আমি আসবো ফিরে এখানে - এ শহরেই!
আজ সকাল বেলা আমি হাটতে বের হই নি। অনেকটা ইচ্ছা করেই হয়তো আজ আমার বের হওয়া হই নি। মামা অফিসের কাজে গেছে হবিগঞ্জ ভোরে। সেই ভোর পাচটাতেই আমিও উঠে বসে আছি। কিন্তু কেনো জানি যাওয়ার মুড পেলাম না আজ। যাওয়ার মুড না পেলেই মনে অজস্র যুক্তি দাঁড়িয়ে যায় যে আমার তো ডায়বেটিক বা উচ্চ রক্তচাপ না যে প্রতিদিন নিয়ম করে হাটতে হবে? তাই আজ শুয়েই থাকলাম। শুয়ে শুয়ে এই কাক ডাকা ভোরে নামায পড়া বাদ দিয়ে লোকজনের স্ট্যাটাস পড়া শুরু। যাই হোক এপাশ ওপাশ করেই কাটাচ্ছি তখন মনে হলো যাই বের হই, বসে থেকে লাভ কি?
ভেসে যাচ্ছি চোখে বিষন্নতার আলো জ্বেলে মতোন জাহাজীর একা!
শিরোনাম দেখে চমকে উঠবেন না প্লিজ। আমি কবি সাহিত্যিক হয়ে যাই নি। শিরোনামহীন ব্যান্ডের একটা গানের লাইনের আংশিক পরিবর্তিত ভাবে লিখে দিলাম শিরোনামে। ঝকমারি বিষন্ন বিষন্ন ভাব না থাকলে আমার আবার পোস্ট লেখার ভাব থাকে না। আজ অবশ্য পারফেক্ট পোস্ট লেখার ভাব আছে, কারন সারাদিন কিছুই খাই নি। সকালে ইচ্ছা করেই নাস্তা খাই নি পকেট ভর্তি মাসকাবারী হাত খরচের টাকা নিয়ে ঘুরছি। বুয়া আসে নাই দুপুরে। তাই খাওয়া হয় নি দুপুরে এমনকি সন্ধ্যাতেও। এদিকে এসিডিটির মাত্রাও চরম। বাসায় খুজে টুজে একটা রেনেটিডই খেলাম। আর সারাদিন খেয়েছি একটা সিংগারা, গোটা তিনেক চা আর একপিস কেক। তাই নিয়েই লিখছি এই পোস্ট, যেনো একদম রাতে খাই,খাওয়া দাওয়া করতে আমি খুব ভালো পাই। আগে আমার অনেক বন্ধুর বাসায় দাওয়াত ছাড়া খাওয়ার এক্সেস ছিলো। তা ক্রমশ ছোটো হয়ে এখন আমি প্রকারন্তরে কারো বাসাতেই খাই না। বন্ধুরাও খোজ নেয় না আর আমিও হারিয়ে ফেলেছি তাদের বাসায় আন্টিদের এতো আদরের ভালো মন্দ খানা দানা খাওয়ার এক্সেস। আমিও আর যেতেও চাই না কারো বাসায়। আমার জন্যে আল মাহবুব কিংবা সলিমুল্লাহ রোডের নিউ প্রিন্স হোটেলই ভালো। জিহবা পানি আনা সব খাবারের পসরা নিয়ে বসে আছে।
ভাবনাগুলো পড়ে আছে খুচরো হয়ে, উড়িয়ে নেবে সময়!
আজ সকালের ওয়েদারটা ছিলো অসাধারন। অনেক দিন এতো দারুন আবহাওয়া পাই নি সকালে। প্রত্যেকটা ভোরই অবশ্য খুবই সুন্দর আর শান্ত স্লিগ্ধ। কিন্তু এত দারুন ভোর আজ অনেক দিন পরে পেলাম। সাধারন আকাশে অনেক মেঘ ও বর্ষার ঝড়ের দিন হলে মামা আমাকে হাটতে যেতে মানা করে। বলে একদিন হেটে সাতদিন জ্বর সর্দি কাশিতে ভোগার কোনো মানে নাই। আমি দেখলাম টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ে আর দারুন হাওয়া আজকেই শ্রেষ্ট সময় পাঞ্জাবী আর ছেড়া চটি পড়ে হাটার। যদিও আরেকটু আগে বের হতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু সকালে আমার পরিচিত বন্ধু বড়বোন বড়ভাইদের গুড মর্নিং মুলক এসেমেস পাঠাই। আগে তা কিপ্যাড টিপে পাঠাতাম কোনো টেনশন ছাড়া। এখন টাচে লিখি। একজনকে পাঠাতে গিয়ে মেসেজ চলে যায় আরেক জনের কাছে। কি বিতিকিচ্ছিরি একটা ঘটনা। তাই সকাল বেলা মেসেজ লিখতে গিয়ে এখন খুব সাবধানে থাকি। সকাল সকাল স্মার্ট প্রমান করতে গিয়ে ইজ্জত সম্মানের ফালুদা হয়ে গেলে তা হবে জঘন্য ব্যাপার। কারন একেকজনের সাথে আমার একেক লেভেল সম্পর্ক তা যদি ওলট পালট হয়ে যায় তবে তার চেয়ে প্যাথেটিক আর কি হতে পারে?
মে দিবস মেজাজ খারাপের দিবস
মে দিবস আসলেই আমার শুধু ফকির আলমগীরের গানটার কথা মনে পড়ে। গানটার শিরোনাম ছিলো সম্ভবত নাম তার ছিলো জন হেনরী। কলকাতাতেও এক শিল্পী গান টা দারুন গায়। গানটা লিরিক তো না যেনো একটা রচনা। সেই রচনা আর শব্দে ভরপুর গানটা আমি আমার বন্ধু ফখরুদ্দিনকে বলছিলাম এক দিন সময় দিলাম গানটা পুরাটা মুখস্থ করে শুনাবি ১০০ টাকা পাবি। সে একদিনে পারে নাই তিন চার দিন লাগায়ছিলো। মুখস্থ করে গাওয়ার সময় আটকে গেছিলো। তাও তাকে ১০০ টাকা দিছি। কারন এই গান মুখস্থ করে গাওয়া সহজ কাজ না। তাই এই দিনটাতে আমার এই গানটার কথাই মনে পড়ে। সেই কবে কোন রেল সুরঙ্গ খোদাই শ্রমিক হেনরীর দুর্ভাগ্যময় মেশিনকে হারিয়ে দেবার জেদের সাথে বাংলাদেশের লাখো লাখো শ্রমিকের জীবনের সাথে মিলে যায় এমনিতেই । বাংলাদেশের যেকোনো কল কারখানা বা প্রতিস্টানের শ্রমিকের জীবন কতও নির্মানবিক দিন যাপন তা বুঝার সাধ্য আমাদের নাই। কারন শ্রেনী দৃষ্টিভংগী একটা বড় ব্যাপার। আমি আপনে সারাজীবন শ্রমিকদের সাইডে থেকে আহাজারি করতে পারি কিন্তু কোনো দিন বুঝবো না গতর খাটা এই সব মানুষদের অজস্র টানাপড়েনের ইতিহাস। তাই আমি মে দিবসে একদিনের জন্য শ্রমিকদের মহান বানাই না। কারন মহান জীবনে এতো ক
রানী যায় রাজা আসে
আজকে ৩০শে এপ্রিল ২০১৩তে সরকারীভাবে নেদারল্যান্ডসের রানীর রাজত্ব শেষ হয়ে আবার রাজার রাজত্ব শুরু হলো। ৩০শে এপ্রিল “কুইন্সডে” হলেও এটা রানী বিয়াট্রিক্সের জন্মদিন ছিল না। তাঁর জন্মদিন ছিল ৩১শে জানুয়ারী। ৩০শে এপ্রিল ছিল তার মা রানী জুলিয়ানার জন্মদিন। কিন্তু ৩১শে জানুয়ারী যেহেতু আবহাওয়া খারাপ থাকে, জনগন আনন্দ উৎসব করতে পারে না আর ৩০শে এপ্রিল সাধারণত একটু আবহাওয়া ভাল থাকে, চারদিকে ফুল আর পাখির গান তাই সর্বসম্মতিক্রমে বিয়াট্রিক্সের মায়ের জন্মদিনই এতোদিন কুইন্সডে হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। তবে নতুন রাজা উইলাম আলেকজান্ডার এর জন্মদিন ২৭শে এপ্রিল, তাই আশাকরি কিংসডে পালন করতে বেশি অসুবিধা হবে না। রানী বিয়াট্রিক্স অনেক জনপ্রিয় ছিলেন কারণ তিনি বেশি রয়ালিটি মানতেন না। তাকে প্রায় এদিকে ওদিকে জীন্স পরা অবস্থায় সাইকেল চালাতে দেখতে পাওয়া যেতো। খুব বেশি বডিগার্ড সিকিওরিটি এগুলোর ধার ধারতেন না।
ভীড় ঠেলে আয়, সামনে দাঁড়া!
সাভার বিপর্যয়ের পরে কত মানুষ কত ভাবে মাঠে নামলো, কত কাজে কতো ভাবে ঝাপিয়ে আত্মনিয়োগ করলো অথচ আমি কিছুই করতে পারলাম না। একে তো পকেটে টাকা নাই। তারপর আবার যাওয়ার ইচ্ছাও পেলাম না। এতো লাশ এতো মৃত্যু যে দেখতেই ভালো লাগে না। তাও মানুষ যাচ্ছে। দেলোয়ার সাহেবের মতো বাস ড্রাইভাররা বাস চালানো বাদ দিয়ে সারা দিন রাত সাভারে ছিলেন। কী একটা অবস্থা!
কাকে বলি ওগো মৃত্যু থামাও ? মরে যাওয়া বুকে এনে দাও প্রান!
অন্য সবার মতোই মন মেজাজ অত্যন্ত ভারাক্রান্ত। অবশ্য নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না সবাই ভারাক্রান্ত কিনা? কারন রাস্তা ঘাটে পাড়া মহল্লায় লোকজন টিভিতে যে মর্মান্তিক সাভার পরিনতি খেতে খেতে কিংবা হাসতে হাসতে উপভোগ করছে তা দেখে অবাক হই। হোস্টেল মুভির যেরকম নারকীয় সব সিন মানুষ ইন্টারটেইনমেন্ট হিসেবে মজা নেয় লোকজন হয়তো সেভাবেই ব্যাপারটাকে ইঞ্জয় করছে। তবে কোনো বিবরনেই সাভারের এই জঘন্য গনহত্যার লাইভ দেখা আমার জন্যে টলারেট করা সম্ভব না। লাকিলি বাসায় টিভি নাই ছয় সাত মাস ধরে।
তেতো হয়ে গেছে সব হঠাৎ অসময়!
পোষ্ট লিখতে বসলাম আরেকটা। করার মতোন তেমন কিছু নাই আসলে। তাই লেখতে বসা। কারেন্ট থাকলে ফ্যানের বাতাসে এখন আমার আর কিছুই করতে ভালো লাগে না। দুপুরে থেকে সন্ধ্যা অবধি টানা বই পড়তে পড়তে ভালো লাগছে না। এখন আবার বই নিয়ে বসতে ইচ্ছা নাই। আমার পিসির টেবিল ছাড়া আর টেবিল নাই রুমে। শুয়ে শুয়ে বই পড়লে আমার কেনো জানি বইয়ের প্রতি সিরিয়াসনেস কমে যায়। তাও উপায় নাই গোলাম হোসেন। শুয়ে বসেই পড়ছি। শুয়ে বসে পড়ার আরেক সমস্যা হলো বারবার মোবাইলে ফেসবুক দেখা। ফেসবুক ব্যাপারটা অসহ্য। যদি অনেকের মতো ফেসবুক ছাড়া কাটাতে পারতাম তাহলে দারুন হতো। কিন্তু ফেসবুকে এক মোহে থাকি। আর মানুষের আপডেট জানার অদম্য ইচ্ছা পোষ মানে না। ফেসবুক থেকে সুমনাকে ডিলেট মারছে পুলক। কারন সুমনা ওরে চড়কীর মতো ঘুরাচ্ছে। ডিলেট মারার পর পুলকের মনে হলো আর তো আপডেট জানা যাবে না। এখন বলতেছে শান্ত ভাই ডিলেট ফেরানোর কোনো ওয়ে আছে? আমি বললাম একটা ওয়ে আছে। নতুন একটা চকলেট আসছে নাম এটম। তার ট্যাগ লাইন হলো এটম খাও চাপা পিটাও। আপনি এটম চাবাতে চাবাতে বলবেন সুমনা আমার একাউন্টে কি জানি এক সমস্যা হইছে? অনেকেই ডিলেট কিভাবে জানি?
মনের অতল গভীরে জলের গান!
চারিদিকে অশান্তি আর অশান্তির রাজ্য। পারসোনালী অনেকের মনে হয়তো শান্তি থাকতে পারে কিন্তু আমি কারো মুখেই শান্তির ছবি দেখি না। এক ফোটা সস্তিও নাই কারো ভিতরে। অনেক আগে মানুষ মুখে শুনতাম শান্তির মা মইরা গেছে। এখন দেখি শান্তির মা বাপ তো দূরে থাক, জেনারেশন সহই এখন গায়েব। আগামী দিন গুলোতে মানুষ শান্তির নামও কেউ মনেও রাখবেনা। এমনিতেই আমি নিজেই বিষন্ন বিলাসে আক্রান্ত থাকি সব সময়। এখন চারিপাশে মানুষদের দেখি এতো বেশী অস্থির আর অশান্তির বেদনাক্লিষ্ট মুখ অবাক হই। যদিও আমরা সবাই যে যেভাবেই থাকি নিজেরে সুখী প্রমান করতে ভালোবাসি। জাতি হিসেবেই এইটা আমাদের একটা বিশাল গুন। এই গুনের বিপরীতে আমার অবস্থান। কারন নিজেরে সুখী প্রমান করার ভেতরে কোনো সস্তি নাই। এইটা এক ধরনের ফাকি। এইসব ফাকিবাজী জীবন ফিলোসোফী আমার ধাতে সয় না। আমার ভালো লাগতেছে না তা আমি জানাবো সাহস করে। এই সাহসই যদি না থাকে তাহলে বেচে লাভ কি? কারো মন রক্ষার জন্য ভালো থাকার অভিনয় করতে আমার ভালো লাগে না। প্রতিদিন আম্মু যখন ফোন দেয় জিগেষ করে কেমন আছোস?