ইউজার লগইন
দেশচিন্তা
২৮শে ফেব্রুয়ারী ২০১৩
সকাল থেকে বসে ছিলাম দুরুদুরু বুকে। ৫ই ফেব্রুয়ারী কি আবার ফিরে আসছে আমাদের বাংলায়? আবার কি ফুঁসে উঠবে সবাই? নাকি হতাশা নিয়ে ফিরে যাবো ঘরে, পরাজিত কুকুরের মত মাথা নীচু করে...
সময় কাটে, বুকের ধুক ধুক শব্দ বাড়তেই থাকে। এমন অপেক্ষা করি নি কখনো। যদিও সকল লজিকাল পথ গিয়ে একটা পথেই মিলছিলো, তবুও চিরদিনের পেসিমিস্ট মন মাথা চাড়া দেয়। যদি কোনো কম্প্রোমাইজ করা হয়, যদি আমাদের আবেগ নিয়ে আবার খেলা হয়...
বাসায় টিকতে না পেরে ছুটে যাই অফিসে, একটা দু'টো ছোট কাজ সেরে নিষ্পলক তাকিয়ে থাকি ফেসবুকে। একটু পরে পরেই রিফ্রেশ দেই পেজ, অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘতর হ'তে থাকে। অস্থিরতা বেড়েই চলে...
অফিসও অসহ্য লাগতে থাকে। শাহবাগ হাতছানি দিয়ে ডাকতে থাকে। অফিস থেকে শাহবাগে চলে যাই। শাহবাগ যেতে যেত মনে পড়ে ৫ তারিখের কথা। সে সময়ের হতাশা, তার পরে সেই হতাশা থেকে আশার সঞ্চার। তবুও মনের আশঙ্কা কমে না। যদি কোন খেলা চলে...
শাহবাগে গিয়ে একে একে দেখা হয় অনেকের সাথেই। সবাই শংকিত, সবার মনেই কি হয় কি হয় ভাব...
ছোট্ট একটি অনুরোধ
চিঠিটা তার পকেটে ছিল,
ছেঁড়া আর রক্তে ভেজা।
সময়কালটা ঠিক মনে নেই, আমার ফেলে আসা বালক বেলার কোন এক সময় প্রথম পড়েছিলাম কবিতাটি। অসম্ভব প্রিয় একটা কবিতা। আর এই লাইন দু’টি সেই সময় থেকেই মনে গেঁথে যায় গভীরভাবে। ছোট দু’টি লাইন কিন্তু কি বিশাল ব্যাপ্তি! লাইন দু’টির কথা ভাবলেই নিমেষেই মনে ভেসে ওঠে কবিতাটি আর সেইসাথে একাত্তরের দৃশ্যপট! ছেলের জন্য মায়ের অধীর প্রতীক্ষা, কবে ফিরবে খোকা!
একাত্তরে অনেক খোকাই আর ফেরেনি! অনেক মা ই চোখের জলে বুক ভাসিয়েছেন বাকীটা জীবন। তারপর, সেই শূন্য বুকেই হয়ত বেশীর ভাগ মা ই চলে গেছেন আজ অন্য ভুবনে। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা এই স্বাধীন বাংলায় বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছি। কিন্তু আমরা তাদের কি দিয়েছি?
যাদের কারণে জাতি হারিয়েছে তাদের সূর্য সন্তানদের, জাতিকে যারা মেধাশূন্য করার নীল নকশায় মেতেছিল, আজ তাদের বিচারের প্রশ্নে অনেক মানুষকেই দেখি দ্বিধান্বিত! খুব খারাপ লাগে, মনে প্রশ্ন জাগে এরা কি এ দেশের মানুষ? দেশের জন্য এদের মনে কি কোন ভালবাসা নেই? কি করে এরা এই ঘৃণ্য পশুদের পক্ষে কথা বলে!
আজকের জামাতে ইসলামী শিবির ও সমমনা ১২ দলের নগ্ন হামলা কর্মকান্ড ও জাতীর বিবেকের কাছে কিছু প্রশ্ন ।
আজ সারাদেশে জামাতে ইসলামী , শিবির আর তাদের সমমনা ১২ ইসলামী দল যে ভেলকি দেখালো তাতে কি তারা তাদের অস্তিত্বের প্রমান দিল নাকি শক্তির জানান দিল ?
শহীদ মিনার ভাঙ্গা , জাতীয় পতাকা পোড়া , সাংবাদিক , পুলিশ , সাধারন মানুষের উপর হামলা , জাতীয় মসজিদে আগুন দেয়া সহ গনজাগরনের মন্চ গুলো ভাঙ্গা সহ কি করেনি তারা ? এর থেকে বড় দেশদ্রোহী কর্মকান্ড আর কি হতে পারে?
আজ ধিক্কার তাদের যারা জামাতে ইসলামী আর শিবিরের সাথে তাদের একাত্বতা প্রকাশ করেছে তাদের ।
তবে এতে অবাক হবার কি আছে ? এটা তো এদের কাজ । ধর্ম হল তাদের রুটি রুজি । আর আমাদের সাধারন জনগন হল এই ধর্ম ব্যবসায়ীদের বলির পাঠা । কিন্তু এই মানুষ গুলো কি মূর্খ ? কোনটা ভাল কোনটা মন্দ তা কি তারা বোঝেনা ? ধর্মকে পুজি করে সাধারন মানুষ নিয়ে খেলছে এই ইসলামী দল গুলো । আর এই ধর্মান্ধ মানুষ গুলো তাদের পিছনে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মত ছুটছে ।
চিলে কান নিছে বলছে হুজুরে,
আনতে পারলে কান,
যাইবো জান্নাতে ।
জামায়াত আর শিবির বড় নাস্তিক।
যে আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখে সে আস্তিক আর যে না রাখে সে নাস্তিক , তাই না ? নাকি যে আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখে আর তার কথা মেনে চলে সে আস্তিক ? জামায়াত আর শিবির কি করে ? ধর্ম কে ঢাল করে রাজনিতী , মানুষ খুন , জিহাদের নাম এ মানুষ হত্যা , ওরা কি জানে আল্লাহ তার বান্দাদের কি করতে বলেছেন আর কি করতে বলেনি ? বিদায় হজ্বের ভাষন কি ওরা ভুলে গেছে ?
সব ভুলে গেছে ওরা জামায়াত আর শিবিরের আল্লাহ হল গোলাম আজম আর নবী হল সাইদি,মুজাহিদ,কাদের মোল্লা । কারন জামায়াত আর শিবির আমাদের আল্লাহ,মহানবী(স:) আমাদের পবিত্র কুরআন শরীফ কোনোটাই মেনে চলেনা তাদের রাজনৈতিক গুরু যাদের তারা তাদের আল্লাহ মানে তাদের কথা তারা মেনে চলে । তাহলে ভেবে দেখুন জামায়াত আর শিবিরের থেকে বড় নাস্তিক কোথাও আছে কি ? যেসব জামায়াত আর শিবিরের নাস্তিক রা এ পোস্ট টা দেখবেন তাদের জন্য আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স:) এর বিদায় হজ্বের ভাষন টি নিচে তুলে ধরলাম। কোনো কমেন্টর করার আগে একবার পরবেন।
¤ বিদায় হজ্বে আরাফার মাঠে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর ঐতিহাসিক সেই ভাষনের কিছু অংশঃ
তোমরাই কি সেই মোনাফেকের দল?
তোমরা কেবল নাস্তিক রাজিবকে দেখিলে!
তোমাদের মসজিদে আগুন লাগাইল
বোমা ফুটাইল, পাটকেল ছুড়িল।
তোমরা কেবল নাস্তিক রাজিবকে দেখিলে!
দেখিয়াই বলিলে আমি এই আন্দোলনে নাই!
এক রাজিব দেখিয়া তোমরা সবাইকে নাস্তিক ঠাওরিলে
তোমরা অনেক বড় ধার্মীক, রাজিব না হয় নাস্তিকই হইল
রাজিব না হয় আন্দোলন করিয়া মারা গেল
তোমরা কী করিলে! আন্দোলন ছাড়িয়া দিলে।
কাদের সুযোগ দিলে?
যাহারা শহীদের রক্তে কেনা পতাকা ছিঁড়ে,
যাহারা আমার চেতনার শহীদ মিনার ভাঙে
যাহারা আমার পবিত্র মসজিদে বোমা ফুটায় তাদের?
রাজিব না হয় কাফেরই হইল, তোমরা কী করিলে!
তোমরা কেবল নাস্তিক রাজিব দেখিলে
মুসলিমরূপি মোনাফেক দেখিলে না।
তোমরাই সেই মোনাফেকের দল নও তো!!
কিছু জিজ্ঞাসা
কর্মকান্ড ১: নতুন প্রজন্ম ১৭ দিন টানা বিক্ষোভ সমাবেশ করলো , কিন্তু কোনো সহিংসতা হলোনা। একটি বারের জন্যও অরাজকতার সৃষ্টি হলোনা। লাখো মানুষের জমায়েত , স্লোগান কিন্তু হলোনা কোনো ক্ষয়ক্ষতি।
ফলাফল: এটা নাস্তিকদের আন্দোলন। এরা ইসলাম এর শত্রু। এদেরকে রুখে দিতে হবে।
কর্মকান্ড ২: তথাকথিত মুসলিমরা আজ শাহবাগের আন্দোলনের প্রতিবাদে মিছিল বের করেছিলো। শুরুতেই পুলিশের সাথে সংঘর্ষ, বোমা নিক্ষেপ । কয়েকশত মানুষের জমায়েত , স্লোগানের সাথে সাথে হলো আক্রমন প্রতিআক্রমণ , জ্বললো জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম আর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি।
ফলাফল: এটা ইসলামের আন্দোলন। এরা ইসলাম এর প্রতিষ্ঠা চায়।
জিজ্ঞাসা : হিংস্রতা ইসলামের কোথায় আছে? মসজিদ জ্বালিয়ে ইসলাম কিভাবে প্রতিষ্ঠা পাবে? ইসলাম শান্তির ধর্ম ; তাহলে এই অশান্তি সৃষ্টিকারীরা কোন হাদিসের আলোকে ইসলাম এর পক্ষে? ইসলাম ধর্মের ক্ষতি কে বেশি করলো , শাহবাগের তরুনরা নাকি আজকের প্রতিবাদকারীরা?
বিশ্লেষণ :যে ঘুমিয়ে থাকে তাকে জাগানো যায় , কিন্তু যে জেগে ঘুমায় তাকে কিভাবে জাগায়?
নেড়া কয়বার বেলতলায় যায়?
১. ছাত্রলীগ দাঙ্গাদারী ও কামড়াকামড়ির জন্য বিখ্যাত। এই সরকারের আমলে তা বার বার প্রমাণিত হয়েছে। এদের উপর জনগনের কোন শ্রদ্ধা তো নেইই তারা ওদের ঘৃণা করে। ছাত্রলীগের নেতাকে তাই মঞ্চে তোলাটাকে সমর্থন করি না। কিন্তু তার মানে এই না যে ভাবছি আন্দোলন দলীয় কিংবা আন্দোলন থেকে সমর্থন তুলে নেয়া উচিৎ। কারণ এখানে আরো বেশ কিছু ছাত্র সংগঠনের নেতা মঞ্চে উঠেছিল। এই আন্দোলনকে সমর্থন দানের একতিয়ার নিশ্চই তারা রাখেন। কিছু কিছু পেজের 'ছাত্রলীগ নেতাকে দেখে সমর্থন তুলে নিলাম' টাইপের স্ট্যাটাসকে তাই একরকম তংচঙ্গতা মনে করি। তারা মূল স্প্রিট থেকে বিচ্যুত। বরং সকল জাতীয় দলের সমর্থন থাকা উচিৎ শাহবাগ আন্দোলনে।
আবার এসেছে একাত্তর
১.
জেগেছে জনতা, নিয়েছে দৃপ্ত শপথ
এবার বিচার হবেই হবে- এই ঘৃন্য পশুদের!
আবার এসেছে একাত্তর, এই প্রজন্ম চত্বরে
এবার বিচার হবেই হবে- এই শকুণ-হায়েনাদের!
আর নয় কান্না আর নয় বিলাপ
পড়বে গলায় ফাঁস, নেই যে ওদের মাপ!
২.
এসেছে নতুন দিন, রচিত হয়েছে নতুন ইতিহাস!
রাজপথ আজ তারুন্য নিয়েছে কেড়ে
ঐ দেখ উড়ছে পতাকা, বিজয় নিশ্চিত!
৩.
আমি অপেক্ষায় ছিলাম একটি নতুন দিনের
যেদিন শকুন হায়েনাদের ধারালো নখের আঘাতে
ক্ষত বিক্ষত হবে না আমার মা
যেদিন ওদের তৈরি বলয়ে
শৃঙ্খলিত হবে না আমার বোন!
আমি শকুন হায়েনা মুক্ত মাটিতে নিঃশ্বাস নিতে চাই;
বাংলার মাটিতে এই হায়েনাদের বিচার চাই।
আমি সেই নরপশুদের বিচার চাই
যাদের করণে সন্তানের বুকে
পিতার জন্যে আজও হাহাকার !
আমি আমার সন্তানের জন্যে
শকুন-হায়েনা মুক্ত দেশ চাই।
গত মঙ্গলবার থেকে আজ...
গত মঙ্গলবার বাসায় ছিলাম, ভেবেছিলাম কসাই কাদেরের ফাঁসির রায় শুনে আনন্দিত চিত্তে অফিসে যাবো, সেখান থেকে বইমেলা, এটাসেটা আরো অনেক কিছু...
...এ যেন, স্বপ্নের হাত ধরে কৃষ্ণপক্ষের রাত্রির অন্ধকারে অনন্তের পথে চলেছি আমরা
১৯৪৭-এ বিতর্কিত দ্বিজাতি তত্ত্বের আলোকে দেশ ভাগ, ’৫২ এর
স্বাধীনতার আন্দোলন, ’৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬ এর ছয় দফা আন্দোলন, ’৬৯
এর গণ অভ্যুত্থান, ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা লাভ, ’৯০ এ স্বৈরাচার
পতন--এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ, আজ কোথায়, কোন অবস্থায় আছে !
কেমন আছে আমার দেশ, দেশের মানুষ, আমার মাতৃভূমি, আমার প্রিয় জন্মভূমি,
আমার স্বাধীনতা? এ ভাষা আন্দোলনের মাসে পরাজিত রাজাকার আর তাদের বংশধররা
কার বা কাদের সহযোগিতায় ’৭১ এর মানবতাবিরোধী, কুখ্যাত রাজাকারদের মুক্তির
জন্য আন্দোলন করে, দেশ ব্যাপী হরতাল করে ? কোথা থেকে তারা এত সাহস পায়?
পৃথিবীর কোন দেশ ধর্মীয় জাতি সত্ত্বার কারণে বিভাজিত হয়নি, শুধু ভারত
ছাড়া; কোন দেশে স্বাধীনতার যুদ্ধে পরাজিতরা মাথা তোলে কোনদিন দাঁড়াতে
পারেনি; শুধু বাংলাদেশ ছাড়া।
বিজ্ঞান ও সভ্যতার চরম উন্নতির এ যুগেও কোন কোন ধর্মীয় রাজনৈতিক
গোষ্ঠী বেহেস্তে যাওয়ার টিকেট বিক্রি করে। তাদের জেলে ঢুকালে বলে আল্লাহ
তাদের ঈমানের পরীক্ষা করছেন আর উকিলের মাধ্যমে জামিন বা মুক্তি পেলে
প্রাণের দাবি
একে এক,
তোরা সবাই রাজাকার
খুঁজে খুঁজে দেখ।
দুই একে দুই,
কাদের মোল্লা, রাজাকার তুই।
তিন একে তিন,
রাজাকারদের
ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিন।
চার
একে চার,
রাজাকার তোরা দুনিয়া ছাড়।
পাঁচ একে পাঁচ,
তোরা সবাই রাজাকারের
লাশের উপর নাচ।
ছয় একে ছয়,
দেশবাসী কয়
রাজাকারেরা মানুষ নয়।
সাত
একে সাত,
সবাই মিলে হাতে রাখি হাত।
আট একে আট,
তোরা সবাই শাহবাগে হাঁট।
নয় একে নয়,
আর ছলনা নয়।
দশ একে দশ,
হবে এবার রাজাকারের নাশ।
আমার দেশের জন্য আমি তাই খবরটি শেয়ার দিলাম - আপনি কি না দিয়ে থাকতে পারবেন ?
দেশ অনেক দিয়েছে - দিয়েছে আমাকে - দিয়েছে আপনাকে - প্রতিদানে কখনো কিছু চায়নি সে - আজ চাচ্ছে দেশ - চাচ্ছে আমার আপনার নিরাসক্ত আঙ্গুলগুলোতে একটু সাড়া পড়ুক - চাচ্ছে আমরা যেন মাউসের আদুরে পিঠে আলতো একখানা ক্লিক করি - এক খানা জাতীয় দাবীতে যোগ করি আন্তর্জাতিক মাত্রা - ক্ষুদ্র এই দেশের প্রাণের দাবীটি হোক বিবিসির ইতিহাসে সর্বকালের সেরা দাবী - ভেঙ্গে দিক পূর্বাপর সকল রেকর্ড - আমার দেশের জন্য আমি তাই খবরটি শেয়ার দিলাম - আপনি কি না দিয়ে থাকতে পারবেন ?
Click on the following link and share.
BBC News - Huge Bangladesh rally seeks death penalty for war crimes
http://www.bbc.co.uk/news/world-asia-21383632
Hundreds of thousands rally in Bangladesh to demand the death penalty for a political leader convicted of war crimes from the 1971 independence war.
সময়ের লাশ শেষ পর্ব
সন্ধ্যার পর বাবা তার ছাত্র মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহকে নিয়ে বাসায় আসলেন। মাহফুজ ভাই প্রায়ই আমাদের বাসায় আসতেন। তিনি কবিতা, গল্প লিখেন পত্র-পত্রিকায়। আমি সেই বিকাল থেকে কান্নার্ত চোখে শুয়েছিলাম। বিছানা থেকে উঠে দরজায় আসতেই মাহফুজ ভাইয়ের মুখ থেকে ছাত্র হত্যার ঘটনা শুনতে পেলাম। উনি বলতে লাগলেন, “আগের দিন থেকেই একটা আশঙ্কা ছিল--আগামীকাল মারাত্মক কিছু ঘটে যেতে পারে। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাষ্ট্র ভাষার দাবীতে কোন মিছিল হলে সরকার কঠিন ব্যবস্থা নিতে পারে। অবশ্য মিছিলের উপর গুলি বর্ষিত হতে পারে এমন আশঙ্কা আমার মনে ছিল না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাই ঘটলো। সংবাদ অফিসে থাকতেই শুনলাম, বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের অবস্থা খুবই খারাপ। ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে মিছিল শুরু হয়েছে, যে কোনো সময় মারাত্মক অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। আমি শংকিত চিত্তে আবার আজিমপুরের দিকে যাত্রা শুরু করলাম, সারা পথেই স্থানে স্থানে মানুষের জটলা। সবাই শংকিত, কি ঘটে না ঘটে। আজিমপুরে পৌঁছেই শুনলাম, মেডিকেল কলেজের মোড়ে পুলিশ ছাত্র জনতার উপর গুলি করেছে, বহু মানুষ তাতে মারা গেছে। এই খবর শুনে আমিও অন্যান্য মানুষের সঙ্গে দৌঁড়ে পলাশী ব্যারাকের মোড়ে গেলাম। তখন
প্রতিবাদে উত্তাল শাহবাগ ০৫/০২/২০১৩
সকালে অফিসে যাইনাই, ভাবছিলাম মিরপুরের কসাই রাজাকার কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়টা টিভিতে শুনেই একবারে বের হবো। কিন্তু কি থেকে কি হয়ে গেলো... কিচ্ছু বুঝতে পারলাম না... সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে আম্মুর সাথে খানিক্ষণ তর্কও করলাম, ফাঁসি ছাড়া অন্য কোনো রায় কেন হবে না সেইটা নিয়া... কিন্তু যখন রায় শুনলাম, তখন হতাশা-ক্ষোভ-রাগ সবগুলা একবারে ঝাঁপায়া পড়ল...
ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখতেছিলাম ফেসবুকে, এর ভিতরেই হঠাত দেখলাম আজকেই এই হঠকারী রায়ের প্রতিবাদে শাহবাগে সমাবেশ। কিছু না ভাইবাই রওনা দিলাম।
জমায়েত দেখে শুধু একটা শব্দই মুখে আসছে
অভূতপূর্ব
সবাই যতটা স্বতস্ফুর্ত ভাবে যোগ দিছে এই সমাবেশে...
আর বেশী কিছু না বইলা কিছু ছবি শেয়ার করি...
সময়ের লাশ ৪ র্থ পর্ব
মনে পড়ে, আর একদিনের কথা। সেদিন পুকুরে এক ঘটি জল আনতে গিয়েছিলাম লক্ষ্মী পূজাটা সম্পন্ন করার জন্য। অনেকটা ইচ্ছে করেই গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি ও স্নান করছে। পায়ের কাপড়টুকু উঠিয়ে যেই ঘটিটা পানিতে ডুবিয়েছি অমনি সে বলতে আরম্ভ করল, আমি যাকে ভালোবাসি তার পা আমি কোনদিন দেখিনি। তার বুকে হেঁটেছি, শুয়েছি। একদিন হয়তো তার কোলে ঘুমিয়ে যেতে হবে। আমি বেশ লজ্জা পেয়েছিলাম। কোন কথা না বলেই সেদিনও চলে এলাম। ঘাটের সিঁড়ির চারটি ধাপ পার হতেই ও আমাকে পানি ছিটিয়ে দিল। বলল, ‘তুমি সুন্দর, আমার সেই প্রেমিকার মত--ঠিক প্রেমিকার মত!’ কে ওর প্রেমিকা? সেদিন বুঝতে পারিনি। অনেক পরে বুঝতে পেরেছি। আরেকদিন কোন এক কথা প্রসঙ্গে বাবাকে বলেছিল, ‘জানেন স্যার, এই বাংলার সবাইকে আমার বড় আপন মনে হয়। আমার তো মা-বাবা কেউ নেই। তাই এ দেশ, এই মাটিই আমার মা-বাবা।’ ওর সাথে কখনও কথা বলিনি। কেন? লজ্জা হয়? না, অন্য কিছু--আমি জানি না। আমাদের ব্যাপারটা মা-বাবা-রাম সবাই জেনে গেছে। তাই আমাকে প্রায়ই মায়ের বকা শুনতে হয়। সুমাদকেও একবার বকা শুনতে হয়েছে। একদিন দূর থেকে ওকে দেখেছিলাম। ও কাঁদছে। কেন কাঁদছে? কেন?