ইউজার লগইন
ব্লগর ব্লগর
আমার সিসিমপুর (৭)
বহুদিন ব্লগে আসি না। যদিও এখন অনেক সময় আমার হাতে, কমবেশি সারাদিনই অনলাইন থাকি, তবু আসি না। আলসেমি করে যে আসি না তাও না। কেন যেন ধৈর্য্যে কুলায় না বড় কিছু লেখা পড়ি, কিছু দেখি বা লিখি।
নিজের সিসিমপুর নিয়ে লেখা গুলা প্রায়ই খুব মিস করি। কত কিছু হয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। কিছুই লিখে রাখছি না। কয়দিন পরই ভুলে যাচ্ছি। নিজেই যখন সবটুকু মনে করতে পারি না কি হয়েছিল তখন আবার ভাবি লিখে রাখলে তো আর ভুলতে হত না। মাঝে মাঝে হয়ত একটা ছবি তুলে ফেসবুকে এক লাইনের একটা ক্যাপশন দিয়ে আপলোড করে রাখি। কিন্তু আজকে যা হল সেইটা শুধু এক লাইনের ক্যাপশনে লেখা যাবে না। তাই বসেই গেলাম লিখে রাখতে যেন কোনোদিন ভুলে না যাই।
১।
জ্ঞহ
এই লেখার উপলক্ষ্য লীনা দিলরুবা, শওকত হোসেন মাসুম ভাই আর আহমেদ মোস্তফা কামাল ভাই যারা এখনও স্নেহান্ধতায় রাংতাকে রূপা ভাবছেন।
কবিতা নিয়ে অনেক ধরণের আদিখ্যেতা আছে মানুষের, তবেঅধিকাংশ কবিতাপ্রচেষ্টাই আমার কাছে স্থুল মনে হয়। গতকাল একজন লিখেছে বৃষ্টি হলে গ্রামে মাটি ফুঁড়ে কেঁচো বের হয় আর ফেসবুকে কবি বের হয়। আমার মনে হয় ফেসবুকের জমিন ফুঁড়ে কবি বের হয় না, আজকাল তারা একে-তাকে ধরে একটা কবিতা সংগ্রহও ছাপিয়ে ফেলে। শিল্প হিসেবে কবিতা অনেক বেশী স্থুল। বিশেষত প্রকাশিত হতে ব্যাকুল মানুষের কবিতাগুলো, বেশীরভাগ সময়ই তাদের শব্দের জোড়াতালি আর ক্লেশদায়ক চমকের চেষ্টা তাদের ব্যক্তিগত ভাবনা কিংবা অনুভুতিগুলোকে উপস্থাপন করে না। প্রাণহীন কবিতার বুনট ভেঙে শব্দের জ্যামিতিক নক্সা নির্মাণের প্রয়াসটা ভাবনার অগভীরতা স্পষ্ট করে ফেলে।
"সেই তো তুমি কাঁদছো আবার
সবাই যেমন কাঁদে
এমন কষ্ট হয় না ছাপা
শোভন আন্দোলন
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিক বিক্ষোভ প্রধানতঃ রাষ্ট্রের নিয়ম-নীতির প্রতি নাগরিকের অসন্তোষ। নাগরিক প্রার্থী বাছাই করে ভোটের মাধ্যমে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করেন এবং প্রত্যাশা করেন তার অভিযোগ এবং অসন্তোষ জনপ্রতিনিধি রাষ্ট্রের কাছে উপস্থাপন করবেন।
ষাটের দশকে যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবাদবিরোধী নাগরিক আন্দোলনের নেতারা আন্দোলনের কৌশল হিসেবে নিজেদের দাবী স্পষ্ট করে চিঠিতে লিখে প্রতিটি জনপ্রতিনিধির কাছে পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছিলেন। চিঠির কোনো প্রতিক্রিয়া না দিলে কিংবা চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার পত্র না দিলে জনপ্রতিনিধির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান গ্রহন করো, বিক্ষোভ মিছিল, শান্তিপূর্ণ অবস্থান, শ্লোগান, অনশনের পর্যায় পার হওয়ার পরও যদি প্রশাসন কর্ণপাত না করে, চুড়ান্ত পদক্ষেপ হিসেবে সহিংস বিক্ষোভ।
সৈয়দ মুর্তজা আলী
রম্যসাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর ভাই সৈয়দ মুর্তজা আলী ইতিহাসবিদ ছিলেন। তিনি MUSLIM EDUCATION IN BENGAL 1837-1937শীর্ষক পর্যালোচনায় ব্রিটিশ শাসিত উপমহাদেশে বিশেষত শিক্ষিত মুসলমানদের সংখ্যাসল্পতার বিভিন্ন কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করেছেন। কারণগুলোকে ভৌগলিক, ভাষিক এবং আদর্শিক কাঠামোতে ভাগ করা যায় সহজেই। কোম্পানী ক্ষমতাকাঠামো কোলকাতাকেন্দ্রীক হওয়ায় সেখানে প্রথমে স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে- কোলকাতা নগরের পার্শ্ববর্তী হুগলী এলাকার কিছু ধনী মুসলিম পরিবারের সন্তান ব্যতীত বৃহত্তর বঙ্গ ও আসামের সংখ্যাগুরু মুসলমানদের ইংরেজী শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ ছিলো না।
শিক্ষার মাণ
প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবছর নতুন বই দেওয়া হচ্ছে। সারা দেশের প্রায় এক কোটি শিক্ষার্থীর জন্যে অন্তত ৫ কোটি বই মুদ্রন এবং বিতরণের দায়িত্ব পালন করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড । তারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। এসব পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষণসহায়িকাগুলো তাদের ওয়েবসাইট থেকেও নামানো যায়।
প্রতিটি পাঠ্যবইয়ের সম্পাদনা পরিষদে অন্তত ৪ জন শিক্ষকের নাম লিপিবদ্ধ আছে। বইয়ের শুরুতে শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের ক্ষুদ্র বক্তব্য এবং বইয়ের শেষের পাতায় কোনো এক অজানা কারণে এ বছর প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংযোজিত হয়েছে।
অনেক নক্ষত্রের ভীড়ে একজন মহম্মদ রফি!
মহাম্মদ রফি এক গরীব বিধবাকে মানি অর্ডারে টাকা পাঠাতেন। সেই গ্রামীন বিধবা মহিলা জানতো এক বড়লোক নিয়মিত মানি অর্ডার করে তাকে। রফি সাহেব প্রয়ানের পরের মাসে উনি গিয়েছেন টাকা আর আসে না, পরের মাসেও গেলেন টাকা আর আসে না। উনি সেই ঠিকানায় গিয়ে জানলেন উনাকে টাকা পাঠাতেন রফি সাহেব, উনি মারা গিয়েছেন, ভদ্রমহিলা আকাশ থেকে পড়লেন এত বড় শিল্পী উনাকে এত বছর ধরে টাকা পাঠতেন উনি বুঝলেনও না।
যেদিন রফি সাহেব মারা গিয়েছেন, সেদিন তুমুল ঝড় বৃষ্টি, তার ভেতরে ২০-৩০ হাজার লোক উনার লাশবাহী গাড়ী দেখতে দাঁড়িয়ে ছিল রাস্তায়।
সঞ্জয় গান্ধীর সাথে কিশোর কুমারের ঝগড়া হয়েছিলো। উনি সঞ্জয়গান্ধীর বাসায় গেলেন, খুব বিনীতভাবে জানালেন আমার কলিগ কিশোর কুমার যদি কোনো ভুল করে থাকে তবে আমি বিনীত ভাবে ক্ষমা চাচ্ছি।
সব ফুরোবে
সব ফুরোবে।
সকাল সকাল অনিচ্ছাতে ঘুমকাতুড়ে ঘুম তাড়ানো,
ইচ্ছেবিহীন, শরীর টেনে নিত্যদিনের পথ মাড়ানো,
অপেক্ষাতে পথের পাশে চোখ ফেলা আর চুপ দাঁড়ানো,
কানের কাছে গান জড়িয়ে হঠাত করে মন হারানো।
সব ফুরোবে।
ব্যস্ততা। আর বিরক্তিভর রুটিনমাফিক ট্রাফিক ঠেলা,
সুড়কিবোঝাই পথের তোড়ে রিকশা এবং ঝাঁকনি খেলা,
স্কুল ছুটিতে, রাস্তাজুড়ে, তিড়িং বিড়িং হাঁটার মেলা,
ভরকুয়াশায় রোদ পোহানোর তৃপ্তিটানা সকালবেলা!
সব ফুরোবে।
চেষ্টা নামের মুলোর দিকে নিরুদ্দিশে ছোটার তাড়া,
ভুল হল কী খোঁজার নামে আঙ্গুল তাক আর বলার ধারা,
ভুল করে তা চাপার তাকিদ, আর অকারন সঙ্গছাড়া,
বিশ্বাসে ভর করার আগেই অবিশ্বাসে দৃষ্টিহারা।
সব ফুরোবে।
স্বার্থ বুঝে দায় এড়ানো, পাশ কাটানোর চেষ্টা,
দোষ গেয়ে খুব শুকনো গলা, তাই মেটাতে তেষ্টা
শুরুর শুরু বোঝার আগেই গপ্পে টানা শেষটা,
এক চুমুকের চায়ের সাথের দুরন্ত সন্দেশটা!
সব ফুরোবে।
নতুন করে পাবো বলে
আমি কতোদিন লেখালেখি করিনা ভুলেও গেছি, আজকে হঠাৎ কি মনে হতে ভাবলাম একবার ঢুঁ মেরে যাই, দেখলাম এর ভেতরে পাঁচটা বছর পার হয়ে গেছে। কি অদ্ভুত! পাঁচ বছরে আমি তেমন করে কিচ্ছুটি লিখি নাই। অবশ্য এই পাঁচ বছরে যা হওয়ার না এরকম অনেক কিছু ঘটেছে, যা যা ঘটেছে তার কিছুটা ভালো, কিছু তেমন ভালো নয়, আবার কিছু ভীষণ ভয়াবহ! তারপরেও সব মিলিয়ে ভালো আছি। এই কবছরে কতোখানি পাল্টেছি জানিনা, পাল্টানো তো আসলে অবশ্যম্ভাবী। কম বেশী আমরা সবাই রোজ নিয়ম করে পাল্টাতে থাকি। ভাবছি আবার নতুন করে শুরু করে দিই লেখালেখিটা, তবে সময় পেলে হয়। অনিয়মিত হয়ে যেতে হবে ভেবেই মনে হয় উৎসাহ উবে যায়।
ইদানিং জীবনযাপন
আমি কম্পিউটারের ১৭ ইঞ্চি স্ক্রীনে দেখছি ছেলের চেহারা থেকে শৈশবের ছাপ মুছে যাচ্ছে, কণ্ঠের মসৃনতা উবে গিয়ে কৈশোর আসছে। এই অদ্ভুত সময়টাতে যখন যেকোনো আবদারের শেষে ওকে শুনতে হচ্ছে তুমি কি এখনো বাচ্চা না কি, যাও পড়ার টেবিলটা গুছাও- এখন বড় হয়ে গেছো, আর যেকোনো মতামতের পর অবধারিত শুনতে হচ্ছে এই বয়েসে পাকনা পাকনা কথা বলতে হবে না, তুমি ছোটো আছো এখনও। এই অদ্ভুতুড়ে সময়টা ফিরে আসবে না ওর জীবনে- আমার জীবনেও।
আমার মেয়ে ওয়েবক্যামের সামনে দাঁড়িয়ে আমার সাথে লুকোচুরি খেলে। বাবা বলতো আমি কোথায়? আমি এপাশ থেকে বলি আরে আমার মেয়েটা কোথায় গেলো? আমি তো দেখতে পাচ্ছি না।
ও কম্পিউটার স্ক্রীনের পেছন থেকে বলে- এই তো আমি তোমার পিছনে। তুমি আমাকে দেখতে পাচ্ছো না? তুমি কি বোকা না কি?
বলতে পারি না- পৃথিবীতে বোকা মানুষ না হলে কেউ তোমাদের ছেড়ে দূরে থাকে না।
সে পর্যন্ত সবাই যেন ভাল থাকি আমরা
লেখার কিছু পাচ্ছি না। অথচ কিছু একটা লিখতেও হবে। দিনলিপি তো প্রায়ই লিখি। দিনলিপি কিংবা ছাইপাশ টাইপের কিছু ছাড়া অন্যকিছু লিখতে ইচ্ছে হয় না এখন আর। গল্পের আইডিয়া নিয়ে ভাবতে ইচ্ছে করে না হাঁটতে হাঁটতে। জীবনটা বড় দ্রুতগতিতে পানসে হয়ে যাচ্ছে।
বিরাজনীতিকরণ
স্পেনে গত ১ বছর ধরেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত কোনো সরকার নেই। এক বছরের ভেতরে দুটো নির্বাচন হলেও কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করতে ব্যর্থ, শিথিল শর্তে কিংবা দেশ ও জাতির বৃহত্ত্বর স্বার্থে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা কোনো ধরণের জোট গঠন করতে ব্যর্থ হয়েছে। সাধারণ মানুষেরা এই সরকারবিহিন রাষ্ট্রে বেশ খুশী। একদল দুর্নীতিগ্রস্ত, স্বার্থপর সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র- রাজনৈতিক দল এবং নেতাদের সম্পর্কে তাদের সাধারণ মূল্যায়ন এমনটাই। প্রতিটি রাজনৈতিক সরকার কোনো না কোনো পর্যায়ে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছে এবং ব্যক্তিগত উপঢৌকন গ্রহন করেছে, এদের কাউকেই বিশ্বাস করা যায় না। নাগরিক সেবার অধিকাংশই স্থানীয় সরকারের অধীনে ফলে নির্বাচিত সরকারবিহিন সার্বভৌম রাষ্ট্রে খুব বেশী দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে না নাগরিকদের। দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা চুক্তি, নির্বাচিত সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন এমন সব উন্নয়ন প্রকল্প বাধাগ্রস্ত হচ
যুদ্ধ শান্তি
কোনো যুদ্ধ কি সমর্থনযোগ্য? বৃহত্ত্বর জাতীয়তাবাদী প্রেক্ষাপটে ঔপনিবেশিক শোষণ থেকে মুক্তির আকাঙ্খায় জন্ম নেওয়া রাষ্ট্রগুলোতে সময়ের সাথে আঞ্চলিক জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটেছে। ঔপনিবেশিক শাসকদের নিজস্ব সুযোগ সুবিধা বিবেচনা করে তাদের কুটনৈতিকেরা যেভাবে লাল-নীল-সবুজ পেন্সিলে সীমারেখা এঁকে অসভ্য উননাগরিকদের বসতিবিভাজন করেছিলেন, মানচিত্রের বিভাজন রেখাগুলো রক্ত আর লাশের স্তুপে স্পষ্ট হয়েছে তবে উননাগরিকেরা কয়েক দশক পরেও আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকার অর্জন করেন নি, সম্পূর্ণ নাগরিক হয়ে উঠতে পারেন নি।
চিহ্নিত সীমানার এপাশে ওপাশে খুব বেশী সাংস্কৃতিক বিভাজন ছিলো না, প্রতিবেশী মানুষের অনায়াস গতায়ত ছিলো। ভৌগলিক বিচ্ছিন্নতার বদলে নাব্যতার সুবিধা পেতে নদীর দু-পারকে নিজের অধিকারভুক্ত রেখে পাশ্ববর্তী মানুষগুলোকে অদৃশ্য পাহাড়ের সাথে বেধে রাখা ঔপনিবেশিক সিদ্ধান্তগুলো দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতপরিস্থিতি তৈরী করে রেখেছে।
জীবনযাপন
মাঝে মাঝে জীবনের প্রতি প্রচন্ড আক্রোশ জন্মে, কারণ খুঁজতে গিয়ে যেন কিছুই খুঁজে পাই না। আলো ছায়ার মত দুম করে মনে আসে তো আবার হারিয়ে যায়। নিঃসঙ্গ দুপুরে মনের উপর পীড়াটা আরো বাড়ে। খানিক পর পর চোখ বন্ধ করে নিজেকে হাতড়ে ফিরি, স্মৃতিরা আনাগোনা বাড়িয়ে দেয়, হৃৎ যন্ত্রে কম্পন বাড়ে কিন্তু খুঁজে পাই না কিছু। সন্ধ্যার আঁধার মেখে চলতে গিয়ে মনে হয় পৃথিবী কত গতিময়, কেবল একাকী সন্ধ্যাগুলো স্থবির হয়ে আছে। খুব করে আগের মত ইচ্ছে হয় না চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিতে, অলস বিকেলে আকাশ দেখতে কিংবা র্জীণ প্রেমের পুরোনো ছবি আঁকতে। অথচ চোখের সামনেই বেড়ে উঠছে ধান ক্ষেতগুলো, কচি লাউ ডগাটা, বড় হয়ে যাচ্ছে আমার লাগানো আম গাছটা। প্রভাতের হিম হিম হাওয়া, স্নিগ্ধ মায়ার পৃথিবী এসব পর্যন্ত এখন আর টানে না। বয়স বেড়ে যাচ্ছে মনের, প্রেম ফুরিয়ে যাচ্ছে, বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাও ডুবে যাচ্ছে চোখের জলে। আজকের পরে কালকের কথা ভাবতে ধাঁধা লাগে, হৃদ
অনেকদিন পর বাংলাদেশে
প্রায় ২ বছর পর যখন বাংলাদেশকে দেখলাম ১০ হাজার ফুট উপর থেকে, বানের পানি নামছে বাংলাদেশের শরীর বেয়ে। ইরাবতীর ঘোলা স্রোত সুরমা মেঘনা হয়ে আরো নীচে যমুনার সাথে মিশছে যেখানে, মাঠ, নদী আর লোকালয় ওতটা উপর থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় না, যেমন বুঝা যায় না সীমানার ব্যবধান, কোথায় অচিহ্নিত কোন পাহাড়ের ঢালে সীমান্ত সংকেতে লেখা আছে বাংলাদেশ ০ কিলোমিটার, মাঝের ৫০০ গজ নো ম্যানস ল্যান্ডের এপারে বিডিআর ওপাশে বিএসএফ কিংবা বার্মা সীমান্ত রক্ষীবাহিনী। এত উপর থেকে কিছুই বুঝা যায় না। একটা ঘোলা নদী, সবুজ মাঠ আর সবুজাভ যমুনা এক বিন্দুতে মিলে যাচ্ছে। শহর আর গ্রাম, নদী আর জমি, ওত উঁচু থেকে সবই একই রকম লাগে। যদি উজানে ঘন বৃষ্টি না হয় এখন যে পানি দেখছি উপর থেকে ঠিক দুই দিন পরে পানিগুলো সমুদ্রে মিশে যাবে। বানভাসি মানুষ স্কুলের বারান্দা থেকে নিজের ঘরে ফিরবে, ত্রানতৎপরতা কিংবা সংবাদকর্মীর ক্যামেরা, অনিশ্চিত উৎকণ্ঠার সময়গুলো ধার
হায়রে মানুষ, রঙ্গীন ফানুশ
স্রষ্টা মানুষ সৃষ্টি করার পর বলেছেন, মানুষ তার সৃষ্টির সেরা জীব। সেই মানুষ আমরা। আশরাফুল মাখলুকাত। কত নিচ আর জঘন্য মানসিকতার প্রকাশ ঘটাই আমরা। হিংসা-বিদ্বেষ-কুটিলতায় ভরপুর আমাদের এক একজনের ভেতর জগত। কোনো না কোনো সময় সেটা বেরিয়ে আসে আমাদের আচারণে।
একটা প্রবাদ আছে, কাউকে ভালো বলার আগে নিশ্চিত হয়ে নাও, তুমি তার সাথে দুটো কাজ করেছো কি না ? এক: একই খাটে/রুমে তার সাথে রাত্রীযাপন। দুই: তার সাথে ভ্রমণ। কেউ কেউ আবার তিন নম্বর একটা কথাও বলেন। সেটা হচ্ছে: আর্থিক লেনদেন করা। তাহলে নাকী মানুষ চেনা যায়। বলা যায়, মানুষটা খারাপ না ভালো ? আদতে কি তাই ? এত্ত সহজ উপায়ে কাউকে বলা যায় যে, সে ভালো বা সে খারাপ ! নাকী বলা উচিত ?