ইউজার লগইন
ব্লগর ব্লগর
বিশ্বাসের গালি
জন্মের পর থেকে যে সকল গালি গুলি শুনে বড় হয়েছি তার মধ্যে ৯৮ শতাংশ মা বোন রিলেটেড। যেমন - মাগির পুত,মাদার চোদ,তোর মায়েরে চুদি,ব্যাশ্বার মাইয়া,*নকি মাগি,নডির ছেড়ি,শালীর পুত,তোর বইনরে চুদি.... আরো কত কি....
হ্যাঁ, লিখতে হাত কাঁপলেও লিখাতে হবেই।আমাকে নোংরা কিংবা যাই ভাবুন না কেন তাতে আমার কিছু যায় আসে না।
জন্মের পর থেকে আমরা ধরেই নিয়েছি সকল খারাপ কিছুর মূলে রয়েছে আমার মা বোনরা।আমাদের চুতিয়া সুশীল সমাজ আমাদের তাই শিক্ষা দিয়েছে এবং তা আমরা মেনেও নিয়েছি।কেউ যদি আমাকে গালি দেয় "তুই একটা ব্যাশ্যার পুত" তার মানে দাড়ায় আমার মা ব্যাশ্যা এবং এটা আমরা মেনেও নিয়েছি। জগতের সকল খারাপ আমাদের মা এবং বোন এটা অলিখিত ভাবে মেনে নিয়েছি।
দিন যায় রে বিষাদে, মিছে দিন যায়
১.
আমাদের বালকবেলা ছিল অন্যরকম। অনেক ছোট ছোট ঘটনা, অনেক বড় বড় বিস্ময় নিয়ে বড় হয়েছি আমরা। আমরা চার ভাইবোন, আমাদের অনেক অনেক খালাতো-মামাতো-চাচাতো-ফুফাতো ভাই বোন নিয়ে আমরা বড় হয়েছি হেসে-খেলে।
নিশ্চই সবার বালকবেলা একরকম হয় না। প্রত্যেকেরই বালকবেলার আলাদা আলাদা গল্প থাকে। সেই গল্প কি রকম? আর বালকবেলা নিয়ে যদি সিনেমা হয় কেমন হবে সেটা? একটা কাজ করলে কেমন হতো? একটা ভিডিও ক্যামেরা যদি সবসময় আমাদের চারপাশে থাকতো তাহলে নিশ্চই গল্পটা জানা যেতো?
আমাদের জীবনের একমাত্র জীবন্ত ছবি সম্ভবত বিয়ের ভিডিও। তবে বিয়ের অনেক অনেক বছর পর কতজন সেটি আনন্দ নিয়ে দেখেন কে জানে?
আরাধ্য আমার স্বপ্ন
বুকের মাঝে বাসা বেধে আছে কিছু। এই কিছু আমার আরাধ্য শত বছরের। আমি অতীতে পা গুনে হেটে চলেছি এ পথ। কখনো মনে হয়নি আমি ছিলাম ধীর। একটা সময় এসে দেখা গেলো হাতে যে মোটেও সময় নেই। মোটেও সময় নেই লক্ষ্যে পৌছাবার। চলে যাবার এই ক্ষনে সাধ জাগে যদি আর একটি বার সুযোগ পেতাম।
আমি দেখেছিলাম ঘুনে ধরা জনপদে অবিচারের ঝুলোঝুলি। যেখানে নিত্য রক্ত ঝরে হাহাকরের। কাল্পনিক ঈশ্বরের আশায় চোখ মুদে ভুলে যায় এই ভেবে একদিন সে ন্যায়বিচার পাবে। সে একদিন কি কখনো এসেছিলো? তাই আমি পালালাম চেনা মুখ গুলোকে পেছনে ফেলে। কিছু কিছু মুখ হারিয়ে যায়, আমিও খোয়াতে থাকি আমার মনের তৃষ্ঞার্ত অঙ্গগুলো। বিকলাঙ্গতা কখনো কারো স্বপ্ন হয় না। শুধু এক মুঠো হাসি মিশে থাকুক পুরোটা জীবন ভরে।
রাফিদা আহমেদ বন্যার বক্তব্য
আমার স্বামী অভিজিৎ রায় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদ নিয়ে লেখালেখি করতেন, তিনি ধর্মীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনামূখর ছিলেন। শুধুমাত্র এই কারণেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। গত ছাব্বিশে ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনাকীর্ণ ক্যাম্পাসে আমরা দুজনে হামলার শিকার হই। অভিজিৎকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আমি কোনোক্রমে বেঁচে যাই।
তাঁর স্ত্রী, একই ধারার লেখক এবং একজন মুক্তচিন্তক হিসাবে, আমি এই পৈশাচিক সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা করি। ঐতিহাসিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হচ্ছে সকল প্রগতিশীল আন্দোলনের কেন্দ্রভূমি। অভিজিৎ নিজেও এই ক্যাম্পাসেই বেড়ে উঠেছে। মৃত্যুর হুমকি থাকা সত্ত্বেও আমরা কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারি নি যে, এরকম একটা জঘন্য অপরাধ এখানে সংঘটিত হতে পারে। এই অপরাধ শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ছিলো না, ছিলো বাক স্বাধীনতা এবং মানবতার বিরুদ্ধে।
কোমল অনুভূতিসম্পন্ন মানুষদের সমীপে দুটি কথা
বাংলাদেশের মানুষ কোমল অনুভূতিসম্পন্ন। ধর্ম নিয়ে একটি কথাও তারা সইতে পারে না। তাদের অনুভূতি বিপন্ন হয়ে পরে। যারা তাদের অনুভূতিতে আঘাত হানবে তাদের যেকোন ধরনের শাস্তি যথার্থ। রাস্তায় কুপিয়ে কুপিয়ে তারা বিশ্বজিৎ হত্যা দেখতে পারে, মোবাইলে ভিডিও করতে পারে, চোর সন্দেহে বিপুল বিক্রমে পিটিয়ে পিটিয়ে যেকোন মানুষকে রাস্তায় সাপ মারার মতো করে মেরে তার ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করতে পারে, তাতেও কোথাও কারো কোন অনুভূতি বিপন্ন হয় না। শুধু প্লীজ ধর্মে হাত দিও না, নট টু টাচ ......... একজন মানুষও কী দ্বিধাহীন কন্ঠে বলতে পারে না, “আস্তিক-নাস্তিক নির্বিশেষে যেকোন মানুষের এ ধরনের মৃত্যু কোন সভ্য দেশের ভূখন্ডে কাম্য নয়। আমরা এই অন্যায়ের তীব্র নিন্দা জানাই।“ তারা কী তাহলে সৃষ্টিকর্তার ওপর আস্থা রাখতে পারছে না, পরকালের শাস্তি নিয়ে কী নিজেরাই দ্বিধায় আছে?
অভিজিত ভাইয়ের মৃত্যু আর চারপাশ
অভিজিত ভাইয়ের মৃত্যু আর একবার জানিয়ে দিলো, কতো প্রকারের সুশীল ফেসবুকে পদচারনা করে। তাদের মুক্তিযুদ্ধে আপত্তি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে আপত্তি, শাহবাগে আপত্তি, জয় বাংলাতে আপত্তি, বঙ্গবন্ধুতে আপত্তি, মানুষের নামে আপত্তি, পোষাকে আপত্তি, মুক্তচিন্তা ভাবনায় আপত্তি ...... কিন্তু মুক্তচিন্তাকারদের আবিস্কৃত ফেসবুক, ইউটিউব, ভাইবার, বাংলা সফটওয়্যার ইত্যাদি কিছুর উপকারিতা নিতে তাদের বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই
পাঠপ্রতিক্রিয়া " জিহাদ ও খেলাফতের সিলসিলা" পারভেজ আলম
কিছু মৌল বিশ্বাস বাদ দিলে ধর্মাচরণ আদতে এক ধরণের সংস্কৃতিযাপন। মৌলবিশ্বাসের রকমফেরে সে সংস্কৃতিচর্চার বৈশিষ্ঠ্য বদলায়। সামাজিক- অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের ভেতরে থেকেই সে সংস্কৃতিচর্চা করতে হয় বিধায় ভিন্ন ভিন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশে একই ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় জীবন সংস্কৃতিতে স্থানীয় বৈশিষ্ঠ্য প্রকট হয়ে ওঠে এবং মৌল বিশ্বাস কাঠামোর ভেতরেই ধর্ম নিজেই সংস্কৃত হয়ে ভিন্ন একটি ধর্মীয় সংস্কারে পরিণত হয়। কখনও সামাজিক প্রয়োজনে নতুন ধর্মমতের উদ্ভব হয়, কখনও পুরোনো ধর্মমতের মৌলিক বিশ্বাসজনিত বিতর্কে নতুন একটি ধর্ম সংস্কার তৈরী হয় , মানুষের সংস্কৃতিন্যস্ততা তাকে কোনো না কোনো একটি সংস্কৃতির ভেতরে অভ্যস্ত করে ফেলে এবং সেই অভ্যস্ততাজনিত কারণে তারা নিজেদের সাংস্কৃতিক বিশুদ্ধতা রক্ষায় কখনও প্রতিক্রিয়াশীল কখনও সমঝোতাকামী।
আনন্দের পোস্টমর্টেম
ছেলেটাকে খুব কাছ থেকে চিনি আমি। তার শৈশব, কৈশরের অনেক গল্প আমার জানা। কিছুটা সে জানিয়েছে। কিছুটা জেনে নিয়েছি। শৈশবের ডানপিটে স্বভাবের একটি ছেলে কী করে ধীরে ধীরে পাল্টেছে-সেটাও আমার চোখে দেখা।
ছেলেটার একটা নাম দেওয়া দরকার। মনে করুন, তার নাম আনন্দ। তো, আনন্দের ছোট বেলা বেশ আনন্দেই কেটেছে। মফস্বল শহরের ছেলে। প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত গ্রামেই কাটিয়েছে সে। সকালবেলা স্কুলে যাওয়া, স্কুল থেকে ফিরে পুকুরের ঘোলা জলে সাঁতার কেটে চোখ লাল করা, তারপর মায়ের বকুনি খেয়ে পুকুর থেকে ওঠা, গরম ভাত খাওয়া, বিকালবেলায় হাডুডু খেলা, বৃষ্টির দিনে স্কুল মাঠে জাম্বুরা দিয়ে ফুটবল খেলা, সন্ধ্যায় হাত মুখ ধুয়ে পড়তে বসা... এই ছিলো তার নিত্যদিনের কাজ।
হালচাল ২
জাপান সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা কোনো একটি পত্রিকায় মন্তব্য কলাম লিখেছেন- সেখানে তিনি বলেছেন জাতি-বর্ণ বিভাজন করে বিদেশী শ্রমিকদের অভিবাসন এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বন্টন করা উচিৎ। বিদেশী ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষেরা জাপানের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বুঝবে না- জাপানী নাগরিকেরাও বিদেশী সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত হতে পারবে না- তাই এই দুই সংস্কৃতির মানুষের ভেতরে স্পষ্ট ব্যবধান থাকা উচিৎ। প্রধানমন্ত্রীর প্রিয়ভাজন উপদেষ্টা হলেও- আনুষ্ঠানিক ভাবে এমন বর্ণবাদী বক্তব্য কিংবা সরকারী সিদ্ধান্ত ঘোষণা আধুনিক যেকোনো রাষ্ট্রের জন্যেই অসস্তিকর। আমরা " বর্ণবাদ, শ্রেণী সংস্কৃতি ভাষাভিত্তিক" বৈষম্য নির্মূলে আগ্রহী যদিও প্রতিটি উন্নত রাষ্ট্র পরিস্থিতি বিবেচনা করে কিছুটা সংরক্ষণশীল অবস্থান গ্রহন করছে এবং ধর্মীয় সন্ত্রাসের প্রকোপ বৃদ্ধির সাথে সাথে এমন সংরক্ষণশীল অভিবাসন নীতি গ্রহনের প্রবনতা বাড়ছে।
বুলেট ফর মাই ভ্যালেন্টাইন
Over the top, over the top! Right now, it's killing time!
Over the top, over the top! The only way out is to die!
God has spoken through his conscience!
As I scream, aim and fire! The death toll grows higher!
(Bullet For My Valentine- Scream Aim Fire)
ভ্যালেন্টাইন। বুলেট ফর মাই ভ্যালেন্টাইন। লাল গোলাপ অথবা সাদা।উহু,ভুলেগেছি সেই কবেই।আমার এই বৃদ্ধ আর ছোট মস্তিষ্ক এত কিছু মনে রাখতে পারে না।তবে সেটা লাল গোলাপই ছিল মনে পরে আবছা আবছা।
শুরুটা সেই ক্লাস ওয়ান থেকে।টিফিনে ডালপুরি থেকে শুরু।প্রতিদিন টিফিনে ডালপুরি খাওয়ানোটা তোর অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিল।কতদিন ক্লাসের খাতা করে দিয়েছিস হিসেব করলে দু চারটা মহাভারত লিখে ফেলা যেত।স্কুল শেষে হাতে হাত রেখে বাড়ি ফেরা।পিচ্চি কালটা কতই না ভাল ছিল!
ভাবনা আমার.. [হাবিজাবি!]
# # #
আজকাল মাঝে মাঝেই একটা জিনিস দেখে বেশ অবাক লাগে। ফ্যাশন হবে হয়তো কোন, অনেকেই দেখি এফবি তে 'ধর্ম' দিয়ে রাখে 'হিউম্যানিটি' অথবা 'মানবতা'।
আমি বুঝি না অনেক কিছুই। তবুও এটুকু অন্তত জানি, দুনিয়াতে কোন ধর্মই কাউকে অন্য কারো কোন প্রকার ক্ষতি করার অধিকার দেয় না, বরং বিপদে যে কারো পাশে দাড়াতেই উত্সাহ দেয়।
যারা যারা এফবি-তে 'মানবতা' ধর্মের অনুসারী তাদের কাছে কেবল জানতে ইচ্ছে করে, তারা কি একবারও দ্বিধাহীন চিত্বে বলতে পারবে যে তাদের ধর্ম মানবতা পরিপন্থী? তাদের একবারও কি মনে হয় না, এই কাজটা হয়তো তার নিজের ধর্মকেই ছোট করে দেখাচ্ছে?
হয়তো, ক্রমাধুনিক জীবনধারায় নিজের ধর্মকে ছোট করে দেখানোটাই যুগের দাবি। নিজ ধর্ম কে সম্মান করে যে যার মতন নিজেদের নিয়মকানুন মেনে চলার পাশাপাশি 'মানবতা'র ডাকে সাড়া দিয়ে সাধ আর সাধ্যের সমন্বয়ে পথ চলাটা হয়তো 'চলে না'।
প্রিয়তমেষু - ২
"এই বরফপথ, এই কঠিন রাত ,
তোমার পুরোনো অজুহাত...
এই আলোর নিচে কাঁপতে থাকা
ছায়ার শিকড় ছিঁড়তে চাই!
এই উল্কাপাত, এই বিশ্রী রাত,
আচমকা এই গোপন আঁতাত...
সব ধ্বংস হওয়ার আগেই আমি
তোমার চোখে ভিজতে চাই!
আর কেউ তোমার ভাষাতে,
সমুদ্রের ভালোবাসাতে
ফিরিয়ে নিয়ে গেলো তোমায়,
আহত ঝিনুক সৈকতে।
আর চিরাচরিত জীর্ণতায়,
আবার প্রেমের তীক্ষ্ণতায়....
সব রেকর্ড করা থাকবে তোমার
অন্তর্বর্তী শূণ্যতায় !!
যদি এক মুহূর্তের জন্যেও আমায় চাও,
সেটাই সত্যি ....
যদি এক মুহূর্তের জন্যেও আমায় চাও,
সেটাই সত্যি!!"
প্রিয়তমেষু ,
ভালো আছো তো? আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখে লাভ নেই
অবশ্য। ওই নামে এখানে কেউ থাকে না। তুমি বরং দুপুরের
খটখটে রোদের কাছে চিঠি লিখতে পারতে।
অথবা .. তুলসী তলে জ্বালানো সাঁঝবাতির কাছে।
ডাকপিয়নদের আলসেমির কল্যাণে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েই নাহয়
পৌঁছে যেতো আমার কাছে!
হালচাল ১
ঘরের মোলায়েম উষ্ণতায় মুছে যায় পোশাকের তুষারের স্মৃতি-
গতপরশু চমৎকার রৌদ্রোজ্জ্বল দিন ছিলো, এপার্টমেন্টের সামনে দাঁড়িয়ে দুপুরে সিগারেট হাঁটে সুর্যের আলো মাখছিলাম গায়ে, প্রতিবেশী ফিজিয়ান যুবক- রাজ বললো ফেব্রুয়ারী মাসটাই এখানকার সবচেয়ে বাজে মাস তবে এ বছর যেহেতু ডিসেম্বরের শুরুতেই শীত চলে এসেছে সম্ভবত এবার ফেব্রুয়ারীর করাল শীত হানা দিবে না।
নীল তারা
মাঝে মাঝে ভাবতে ইচ্ছে করে যদি ঐ আকাশের নীল তারাটা খসে পড়ে কোনদিন তবে এই মর্তবাসীদের মধ্যে কোন বিচলতা দেখা যাবে কী না? আমার মনে হয় হবে না, বরং অথযা কেউ যদি লক্ষ্য করেই ফেলে তবে বিশ্বলোক হয়ত তাকে পাগল বলে ধিক্কার দিতে দিতে ছুটে চলবে অলীক পানে। আর ঐ বেচারা হয়ত বিশ্ববাসীর দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে থাকবে আর ভাববে, 'বোকা লোকগুলো সময়ের মহাশূন্যে দিব্যি ঝাঁপিয়ে পড়ে মন নামক বস্তুটার আত্নহনন করছে। অথচ দিগন্তের ওপারে তাকিয়ে নীল তারাময় এই মধুক্ষণটা দেখার এক মুর্হূত অবকাশ করতে পারল না। কিন্তু ঘড়ির কাটা যদি মিনিট দশেকের জন্য থেমে যায় তো তারাই দুনিয়া জুড়ে হুলস্থুল ফেলে দেবে। কী ব্যস্ততা! তাদের জন্য একফোঁটা আফসোস।
পশুর সম্মানহানি
মানুষ পৃথিবীর শ্রেষ্ট জীব। তবে ডারউইন-এর বিবর্তনবাদ আসার ফলে মানুষ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব কিনা তা নিয়ে সন্দেহ ও সংশয়ের সৃষ্টি হয়। যাই হোক মানুষ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নাকি অশ্রেষ্ঠ সেই বির্তকে না যাই। আজকে আমাদের বিষয় পশুর সম্মান অসম্মান নিয়ে। পৃথিবীর সকল কিছুর ধর্ম আছে। মানুষের যেমন আছে তেমনি পশুও আছে, আছে জড় বস্তুরও। তবে মানুষই একমাত্র প্রাণী যে কিনা নিজের স্বার্থের প্রয়োজনে তার নিয়ম-নীতিতে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন আনে। যেমন- মিথ্যা বলা মহাপাপ কিন্তু অসুস্থ ব্যক্তি বা মৃত্যুর পথ যাত্রী ব্যক্তির কাছে সবসময় সত্য বলতে নেই। সেই যাই হোক, কীভাবে সত্যবাদী যুধিষ্ঠি হবো তা নিয়েও আজকের বিষয় নয়। আজকের বিষয় পশুর সম্মান অসম্মান নিয়ে। আমরা প্রতিনিয়ত এক জন আরেকজনকে নিচে নামাতে গিয়ে অহেতুক পশুদের টেনে আনি। সাথে তাদের সন্তানদেরও নিয়ে আসি! আজকের বিষয় গালি বিশেষ করে সেই গালি যেগুলোতে পশুরা যুক্ত থাকে!