ইউজার লগইন
ভালোবাসা
ছয় ছয় তিন
..............................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................
মাঝে মাঝে আমার ভীষন ইচ্ছে করে
সমগ্র অনুভুতিগূলোকে মাটি চাপা দেই।
চলতি পথে মোড়ের অবহেলিত
ল্যাম্পোস্টের নিচে
কিংবা ঝুল বারান্দার কার্ণিশে
পায়ে ভেঙ্গে উঠা সিঁড়ির গাঁয়ে
লেপ্টে থাকা অনুভূতিগুলো
আমায় দেখে মুচকি হাসে
অনুভুতিগুলো তোমার টু –পয়েন্ট পিস্তলের
গুলির গল্পের মতো
দাগ দিয়ে যায় হৃদয়ের অভ্যন্তরে।
অনুভুতিগুলো অতন্দ্র প্রহরির মতো
দাঁড়িয়ে থাকে মধুমিতা কিংবা
জসিম উদ্দিন রোডের মাথায়
কিংবা ব্যস্ত শহরের সর্বত্র ।
ফিনফিনে অনুভূতিরা নিঃশব্দে হেটে বেড়ায়
বসুন্ধরা কিংবা কর্ণফুলি গার্ডেন সিটির ফুড কোর্টে।
শহরের অলিতে গলিতে কিংবা
সুনীলের জন্য মন খারাপ
১. লীসা আমাদের বন্ধু, তখন আমরা স্বনন নামে একটা আবৃত্তি সংগঠন করি। রূপাদি আমাদের আবৃত্তি গুরু, কিন্তু রিয়ার্সাল করতাম শাহাজাহানপুরের লিসাদের বাসায়। ইউনিভার্সিটিতে পড়ি, একদিন রিয়ার্সালে যাওয়ার আগে শাহবাগ থেকে কিনলাম সুনীলের তিন সমুদ্র সাতাশ নদী।
লীসা বইটি নিয়ে লিখলো
মাসুম ভাইয়াকে,
অনেক অনেক শুভেচ্ছা
-লীসা
তারপর বইটি নিয়ে তুষার লিখলো নিজের নাম। এরপর দুই বোন মিষ্টি ও টুম্পা লিখলো তাদের নাম। আমাদের সঙ্গে আবৃত্তি করতো অদিতী, অদিতীর মা, মানে খালাম্মা হয়তো আমাদের বিশ্বাস করতেন না, তাই সঙ্গে বুয়াকে দিয়ে দিতেন, তাই তুষার লিখলো অদিতীর বুয়ার নাম, নান্টু দা লিখে দিলেন রূপাদির জামাই চক্রেস ঘোষ ও সেই সময়ে হিট নায়িকা অঞ্জু ঘোষের নাম।
৮৮ সালের সেই বইটা এখনও আছে। এক নতুন ধরণের ট্রাভেলগ লিখতেন সুনীল। মূলত তার আমেরিকায় যাওয়া নিয়ে বইটি।
এরপরে সুনীলে আবার ডুব দেই ছবির দেশে কবিতার দেশে বইটি নিয়ে। আমার প্যারিস যাওয়ার স্বপ্ন দেখায় বইটি। বইটি পড়ে মনে হয়েছিল প্যারিস আমাকে একবার যেতেই হবে। অনেক বছর পড়ে যখন প্যারিস যাই সঙ্গী ছিল সুনীলের ছবির দেশে কবিতার দেশে।
সেই সুনীল নেই
২.
তুমি
তোমায় ছাড়া কাটেনা সময় দীর্ঘ হয় রাত,
জীবনটা আরও সুন্দর হত
যদি সর্বদা দিতে তুমি আমার সাথ ।
তোমায় ভেবে কেটে যায় মোর ক্লান্ত-ব্যাস্ত দিন
এসে তুমি বসবে পাশে, রাখবে মাথা কাঁধে
কবে আসবে সেদিন ?
তোমায় নিয়ে করব আমি তৃপ্ত জোসৎনা স্নান,
থেকো আমার হৃদয় মাঝে চুপটি করে
জানাচ্ছি এই আহ্বান ।
তোমায় ছাড়া ধরণীতে মোর বেঁচে থাকাই কষ্ট,
তাইত ভয়ে কেঁপে উঠে ভাবি
ছেড়ে যাবে না তো ?
তোমায় ছেড়ে যেথায়ই যাই পাবো নাকো স্বস্তি,
সারাটি ক্ষণ ভেবে চলি
নিয়ে অনেক ক্লান্তি ।
তুমি আমার শুধুই আমার মেনেছি এই সত্য,
ভুলবনা কভু, যাবনা ছেড়ে,
এই নাও দিয়ে দিলাম বাক্য ।
পৌনঃপুনিক
মৃদুল প্রতিদিন তিনতলার সিঁড়ির কোনায় দাঁড়িয়ে থাকে, একটা নীল বেলুন হাতে।
........................
শোভনা প্রতিদিন তিনতলার সিঁড়ি বেয়ে উঠে আসে, কাঁধে থাকে একটা সাদা ব্যাগ।
........................
পুরোনো ধাঁচের তিনতলা এই বাড়ীটায় সিঁড়িগুলো অনেক উঁচু উঁচু আর অন্ধকার। অন্ধকার ঠিক না, আলো কম। তবে ঘন্টা খানেক দাঁড়ালে চোখ সয়ে আসে, সবকিছু দেখা যায়। শুধু রঙ আর আকারের কোনো থই পাওয়া যায় না।
মৃদুল অপেক্ষা করে শোভনার জন্যে।
শোভনা ক্লান্ত পায়ে এক একটা সিঁড়ি ভাঙ্গে, মৃদুল পায়ের শব্দ গোনে। শোভনার সাদা ব্যাগটা ঝলমল ঝলমল করে। মনেহয় এক খন্ড সুর্য নিয়ে সে ঢুকেছে অন্ধকার সিঁড়িঘরে। সেই সুর্যকে নীল মেঘ দিয়ে বরণ করে নিতেই মৃদুল দাঁড়িয়ে থাকে নীল বেলুন হাতে।
শোভনাও অপেক্ষা করে মৃদুলের সাথে দেখা হবার ক্ষণটার।
দু'জনে মুখোমুখি হয় তে'তলার ল্যান্ডিংএ। মৃদুল ঠোঁট আর চোখে হাসি নিয়ে শোভনার দিকে বেলুনটা বাড়িয়ে দেয়, শোভনাও চোখ আর ঠোঁটে মৃদু হাসি নিয়ে দুহাতে বেলুনটা ধরে।
আর বেলুনটা অদৃশ্য হয়ে যায়।
মৃদুল সিঁড়ি বেয়ে নেমে যায় নীচে, শোভনা নিজের বাসার দরজায় কড়া নাড়ে।
..................
সত্য - 2
গিয়েছিলাম আমি জানাতে তাদের মোর হৃদয়ের সত্যকথা,
কেন থাকিসনি পাশে, ধরিসনি হাত, নিয়ে সকল ভালোবাসা ?
গিয়েছিলাম সুস্থ আমি, একলা একা অচেনা কোনও প্রান্তরে,
ফিরেছিলাম রক্তাক্ত হয়ে, নিষ্ঠুর অপমানিত এই সংসারে ।
তখন কেন আসলি না তুই ? বসলি না পাশে হাতটি ধরে ?
এখন আমি ভালো আছি তাই তোর ভালোবাসা উপচায়ে পরে !!
তোর প্রতি কোনও রাগ নাই আমার, করি না কোনও অভিযোগ,
কুকুরের পেটে ঘি মজে না তাই হয়েছে এমন গোলযোগ ;
বামুন হয়ে চাঁদে হাত দিতে চেয়েছি, তাই হয়েছে শিক্ষা,
চাইব না আমি তোর কাছে কভু এ শিক্ষার কোন ব্যাখ্যা ।
তাই বলছি শোনরে পাখি আর করিস নে হাপিত্যেশ,
পৃথিবীটা যে দেখিয়েছে তোকে মেনে নে তার আদেশ,
গর্ভধারনের জ্বালা যে কি তা যদি তুই জানতি,
তাহলে পেটে পাথর বেঁধে সকাল সন্ধ্যা চলতি,
জন্মদানের কষ্ট যে কি তা যদি তুই বুঝতি,
তাহলে প্রতিদিন একবার মরে আবার জীবিত হইতি;
আমি ভালবেসেছি তোকে শুধুই দেখে তোর বর্তমান
তাঁরা ভালোবাসে ওই অতীত থেকে যখন ছিলনা তোর কোনও সম্মান;
তাই যাবার বেলায় দিয়ে যাবো তোকে ছোট্ট একটা উপদেশ,
দিস না কভু কষ্ট তাদের হয়ে কোথাও নিরুদ্দেশ ।
সত্য
ওই তুই ভালোবাসার অর্থ বুঝিস ?
একবেলা ওয়েস্টার্ন গ্রিলে খাইলে
আর আই লাভ ইউ পাখি বললেই
ভালোবাসা হয় না ।
ভালবাসতে মন লাগে,
মনেতে তৃতীয় চক্ষু লাগে,
বৃষ্টির রাতে হাতে হাত রেখে হাঁটা লাগে,
ভ্যালেন্টাইনের ভোঁরে একগুচ্ছ গোলাপ দিয়ে অবাক করা লাগে ।
মন যদি থাকে আপন সিদ্ধান্তে দুর্বল,
হৃদয়ে যদি রাখিস অন্যকারো ভালোবাসা প্রবল,
তাহলে তো লোকে বলবেই
ধুরো শালী ভালোবেসেছিলি কোন বাল !
পিতা বড়ই আজব প্রাণী
না হারালে বুঝবি না,
নিজেকে নিজের ঘেন্না হবে
যেদিন তোর কারনে বটগাছটা থাকবে না ।
মায়ের পা'এর নিচে জান্নাত
এ কথা কভু ভুলিস না,
স্বর্গে গিয়েও সুখ পাবিনা
যদি কষ্ট পায় মা ।
সখি আমি দিয়েছলেম তোকে
এক মুহূর্তের সুখের সাথে তিন প্রহরের ভালোবাসা,
হয়তো সেটুকু যথেষ্ট ছিলনা
কাটাতে তোর বাবা-মা'র হতাশা ।
শুধু চোখ দু'টো জেগে থাকে
১.
প্রিয় হুমায়ূন আহমেদকে ভালোবাসি। তার মায়াবী সান্নিধ্যে জীবনের সেই গুরুত্বপূর্ণ সময়টি কেটেছে, যেটি কাটাতে আমি পাড়ি দিয়ে এসেছিলাম ৪.৫৪ বিলিয়ন বছরের পথ।
অনেক ছোট্টবেলার কথা। আম্মু একবার জন্মদিনে আমাকে গল্পের বই কিনে দেয়ার জন্য নিয়ে গেলেন লাকী প্লাজার দোতলায়। একটা বিখ্যাত বইয়ের দোকানে। দোকানের নামটা মনে পড়ছে না, কিন্তু খুবই পরিচিত একটা দোকান ওটা। সেখানে গিয়ে আম্মু আমাকে ভূত ভূতং ভূতৌ নামের একটা 'মাঝারি' গল্পের বই কিনে দিলেন। শৈশবে আব্বু-আম্মু দু'জনেই আমাকে গল্পের বই কিনে দিতেন।
আননোন আর্টিস্ট - আননোন অ্যালবাম - ট্র্যাক টুয়েলভ
অনেকক্ষণ ধরে একটা জোরালো আলোকবর্তিকার নিচে দাঁড়িয়ে আছি। নিজের বারান্দায়। চিরসঙ্গী জ্বলন্ত জ্বলে আছে দু'টো আঙুলের মাঝখানে। আধখানা তীব্র চাঁদ কয়েকটা সঙ্গী রাতের তারা নিয়ে আমাদের সবাইকে দেখছে। অনেক দূর থেকে কিন্তু খুব পরিস্কার সবকিছু দেখতে পাচ্ছে। ভালোবাসার খোঁজে আর কতকাল ভালোবেসে যাবো সেটা নিয়ে ভাবছিলাম। একজন মানুষকে আরেকজন মানুষ কতটা ভালোবাসতে পারে? নির্জ্ঞান মন জানে না পুরো বিষয়টা আসলে কতখানি জটিল। না জেনেই সে একটা রক্ত-মাংসের মানুষ নিয়ে খেলতে বসেছে। জানে না, বাইরের পৃথিবীতে যা কিছু ঘটে তার সবই বাস্তব। আনমনে খেলেই চলেছে। আমরা যারা রক্ত-মাংসের মানুষ, তারা এ খেলার নিরুপায় ক্রীড়ানক মাত্র। আহা, নিজের এ মহার্ঘ্য সম্পদটি নিয়ে নিজে যদি কোনোদিন বুঝে-শুনে খেলার সুযোগ পেতাম!
ইস্কুলবেলা
কাল
রাতে ঘুমাতে দেরি হইছিলো,স্বভাবতই
উঠতে দেরি হবার কথা।তা না,ঘুম
ভেঙে গেলো এক্কেবারে ভোরবেলায়!
আজব ব্যাপার!
যাই হোক,আর ঘুমালাম না।সকালের
নাস্তা করে একটু বের হতেই
দেখি,একটা পিচ্চি তার মা'য়ের
সাথে স্কুলে যাচ্ছে।মা টা পিচ্চিটার
একটা আঙ্গুল ধরে রাখছেন,আর
উনি মহানন্দে তিরিং বিরিং করে এগুচ্ছেন!
বাউন্সিং বলের মত!অসাধারন
লাগছিলো দেখতে।
সেই থেকে দৃশ্যটা মাথায় ঘুরছে।আমার
ইস্কুলবেলার নানান
কথা ঘুরেফিরে আসছে মাথায়,একটা কিছু
লিখতে ইচ্ছে করছে খুব তাই এই লেখা।
ছোট্ট শহর ব্রাহ্মণবাড়িয়া,তার
মাঝে সবচেয়ে ভালো স্কুল
'অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়'।
সেখানেই ওয়ান টু টেন,আমার দশ
বছরের ইস্কুলজীবন।
স্কুলের প্রথম দিন
ভর্তি হতে গিয়েছিলাম নানার
সাথে,সিক্স পর্যন্ত ভাইয়া'র
সাথে যেতাম।তারপর থেকে,একা একাই।
কখনই আম্মুর সাথে যাওয়া হয়নি।
পিচ্চি নাকি,যে আম্মুর সাথে যাবো!
সেই পিচ্চিবেলাতেই এত্ত
আত্মসম্মানবোধ,মজাই লাগে এখন
ভাবতে।
ছোটবেলা থেকেই আমার সব দুস্টুমি-
বান্দরামি,সবই বাসায়।
স্কুলে গেলেই,শান্তশিষ্ট ভালোমানুষ।
সকাল দশটা থেকে বিকেল
চারটা,কিভাবে যেনো কেটে যেতো রোজ।
ভালোবাসা প্রজাপতি হয়ে পৌঁছায় মেঘদের কাছে
সকালে যখন পড়ে পড়ে ঘুমুচ্ছিলাম তখনই মনে হচ্ছিলো, কাজটা ঠিক হচ্ছে না।
বেলা একটা বাজলো। মোবাইলের আলার্মটা বাজতে শুরু করে দিলো। আমি হাতড়ে হাতড়ে বালিশের নিচে সেটার উপস্থিতি আবিস্কার করলাম এবং যন্ত্রটার একপাশের লক-আনলকের সুইচ টিপে আলার্মটা বন্ধ করে দিলাম। ওই সুইচটা রিংটোন মিউট করার কাজেও একইভাবে ব্যবহার করা যায়।
কয়েক মূহুর্ত পর একটা চোখ খুললাম এবং ঘরের দেয়ালে ঝুলতে থাকা ঘড়িখানার দিকে খোলা চোখটা সরু করে তাক করলাম। নিশ্চিত হলাম ঘড়ির ছোট কাঁটাটা কি আসলেই বেলা একটার ঘরে ঢুকেছে কিনা। যখন নিশ্চিত হলাম যে; হ্যাঁ একটা বেজেছে, তখন আর আলসেমী করবো না বলে সিদ্ধান্ত নিলাম। নিয়ে সিরিয়াসলি খোলা চোখটা বন্ধ করে ফেললাম। কি লাভ আলসেমী করে? তারচে' ঘুমাই।
জ্বলন্ত গোল্ড লীফই ভরসা
বৃষ্টি আজো মনের ভেতর সেই অনুভূতিই তৈরি করে যার জন্য আজ থেকে অনেক বছর আগে বৃষ্টির প্রেমে পড়েছিলাম। মেয়েটিকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসতাম। সে বাসতো তারচেয়েও বেশি কিছু দিয়ে। অথচ আমাদের দু'জনের দেখা হয় নি কোনোদিন। জানা হয় নি; কেন আমরা কখনো একে অপরের কাছাকাছি যেতে পারি নি।
আমার ভেতর শুকিয়ে যাওয়া স্মৃতিগুলোতে আজো প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে পারে বৃষ্টি। সেসব স্মৃতি আসলে তারই। আমি শুধু উপস্থিত ছিলাম, তাই সেগুলো নিজের অন্তরে ধারণ করেছি। প্রতি ফোঁটা বৃষ্টির জলে মিশে থাকা সেই দিনগুলো, যেগুলো আমি কখনো ভুলি নি এবং কখনো ভুলবো না; সেগুলোর মনে পড়ে যাওয়া জোর করেও ঠেকিয়ে রাখতে পারি না ইদানীং যখন ঝুম বৃষ্টিতে আটকা পড়ি। মাঝে মাঝে এমনকি, পারি না চোখের কোণায় সামুদ্রিক পানির জমাট বাঁধা ঠেকিয়ে দিতেও।
গাউসুল আজমের ছাদে গিয়ে পেঁয়াজ-মরিচ ভর্তা আর ধোঁয়া ওঠা পাবদা মাছের তরকারি দিয়ে ভাত খাওয়ার কথা মনে পড়ে। বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে রিকশার হুডের নিচে হুটোপুটি করতে করতে কলাভবন থেকে নীলক্ষেত পৌঁছে যাবার সেসব দিনগুলো কত দ্রুত হারিয়ে গেলো জীবন থেকে! কত দ্রুত মানুষের ছোট্ট জীবনের একেকটা দিন হারিয়ে যেতে পারে?
শুভকামনা.. [এলোমেলো কাব্যকথন!]
#
ভাল থাকুক
প্রিয় যত ক্ষণ
ভাল থাকুক
স্মৃতি শৈশব
সোনালী ইস্কুল
রূপালী কলেজ বেলা
ভাল থাকুক
আলতো হাতে
ভালোবাসার পরশ
ভাল থাকুক
ভুলে যাওয়া দুঃখ
প্রিয় যত সুখ
ভাল থাকুক
অবারিত ভালোবাসা
ভাল থাকার সুখ
ভাল থাকুক।
# #
একটা সকাল
মন খারাপের আজকে ছুটি
নেই বুঝি সে বাড়ি
অভিমানের মেঘের সাথে
আজকে ছাড়াছাড়ি
চোখের কোণে জল
শিশির ভেজার
ছল
রবির কিরণ অঙ্গে মাখি
হোক না সে ঝলমল
ঠোঁটের কোলে গালের টোলে
একটু হাসি
দুষ্টু চাওয়ার ঝাঁক
সে-ই
আমারি থাক
ভাল থাক শান্ত নদীর ঘুম
চায়ের কাপে ভালোবাসার ওম
শীতের রোদের হঠাৎ গালে চুম
ভাল থাক
বৃষ্টি শেষে সবুজ ঘাসের গায়
রোদ্দুর ভেসে যাক
একটা দুপুর টাপুর টুপুর
অবাক বিকেল ছুঁয়ে
ভেজা কাক
ভাল থাক
ভাল থাক তোমার কানের দুল
ঘাসফুল
যত ভুল
ভাল থাক
আজ আড়ির সাথে আড়ি
ভাবের সাথেই ভাব
জগৎজোড়া সুখ
হাসি
ভালবাসাবাসি
ভাল থাক;
ভাল থাক,
ভাল থাক।।
ঝরাপাতা কথকতা # ০ # আমার বন্ধু, আমার ভালোবাসা..
গতকাল সকালের কথা।
ইদানিং প্রায় কোন রাতেই ঘুমানো হয় না। টিভি দেখি, গান শুনি, গেম খেলি। আর একটু আধটু পড়াশোনার চেষ্টা করি। মাসখানেক পরেই খুব সম্ভবত ডিগ্রি ফাইনাল, পড়তে না বসেও আর উপায় নেই। দিনে পড়ার অভ্যাস করতে পারিনি কোন কালেই, তাই রাতই ভরসা। যাই হোক, ইদানিং নতুন অভ্যাস হয়ে গেছে - ঘড়ির কাঁটা ছয়টা পেরুলেই বেশ খিদে পায়। ফার্মগেটের নিউ স্টার থেকে গরম গরম পরাটা নিয়ে আসি, টিভিতে সকালের নানা গান শুনতে শুনতে নাস্তা করেই ঘুম।
আজও তাই করছিলাম। তারা মিউজিকের একটা অনুষ্ঠান দেখি সুযোগ পেলেই, আজ সকালের আমন্ত্রনে। একেকদিন একেকজন শিল্পী আসে, আর গানের মাঝে মাঝেই চমৎকার আড্ডা চালিয়ে যায় উপস্থাপিকা আর ফোন মারফত দর্শকেরা।
কিছুক্ষণ ঘুরে ফিরে এখানেই থিতু হয়েছিলাম আজ। একজন মিউজিশিয়ান আর একজন শিল্পী এসেছিলেন আজ, দুই বন্ধু। ওঁরা আবার সবসময় একসাথেই পারফর্ম করেন। একি রাগের ভেতর মিশে যায় এমন নানা গান একসাথে মিশিয়ে গাইছিলেন, সাথে প্রায় প্রতি গানে শুরুতে চমৎকার উচ্চাঙ্গসঙ্গীত আলাপ। আর চমৎকার কম্পোজিশনের মিউজিক তো ছিলই। ঘুম ঘুম চোখে একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে জেগে থাকা ছাড়া কিছুই করার ছিল না।
আমার প্রিয় সেই পাইলট স্কুল ।
আমার হাই স্কুল জীবন কেটেছে সিলেট সরকারি পাইলট হাই স্কুল নামে একটি বিদ্যালয়ে ।আমার স্কুল জীবনে অনেক ঘটনা রয়েছে ।তার কয়েকটি ঘটনা আজ ব্লগ এ তুলে ধরছি ।
১।অঙ্কে ডাবল জিরোঃতখন আমি ক্লাস সিক্স এ পরতাম মানে একেবারে প্রাইমারি পাস করে নতুন হাই স্কুলে ।সিক্স এর অঙ্ক তখন একেবারে বুঝতাম না ।কিভাবেই বা বুঝব কারণ তখন আমার কোন টিচার ছিলনা ।যাই হোক যখন ফার্স্ট টার্ম পরীক্ষা হয়েছিল এর পরিশ্রুতিতে আমি অঙ্কে ডাবল জিরো পেয়েছিলাম ।কিন্তু খাতা আমি বাসাতে দেখাইনি ।আবশ্য এর থেকে পরে পার পেতে পারি নাই ।কারণ আমাদের ক্লাস টিচার নুরুল ইসলাম স্যার আমার বাবাকে ফোন দিয়ে এ কথা জানান ।এমনি স্যার বাসায় এসে পর্যন্ত এই কথা বলে যান । তখন বাসাতে পিটুনি না খেলেও অবস্থা যা হয়েছিল তা আর বলার মত নয় ।
২। টিফিন টাইমে ঘুরাফেরাঃ ক্লাস সিক্সে থাকতে আম্মু আমাকে আনা নেয়া করতেন । আমাকে সময় বলে যেতেন স্কুল থেকে যেন না বের হই । কিন্তু আমি আম্মু চলে যাবার পরই টিফিন টাইমে রাস্তা ঘাটে , নদীর পারে ঘুরতে বের হয়ে যেতাম । একদিন ধরা খাওয়ার পর বাসাতে নিয়ে গিয়ে ধোলাই দিয়েছিলেন।
শুধু চোখ দু'টো জেগে থাকে
১.
প্রিয় হুমায়ূন আহমেদকে ভালোবাসি। তার মায়াবী সান্নিধ্যে জীবনের সেই গুরুত্বপূর্ণ সময়টি কেটেছে, যেটি কাটাতে আমি পাড়ি দিয়ে এসেছিলাম ৪.৫৪ বিলিয়ন বছরের পথ।
অনেক ছোট্টবেলার কথা। আম্মু একবার জন্মদিনে আমাকে গল্পের বই কিনে দেয়ার জন্য নিয়ে গেলেন লাকী প্লাজার দোতলায়। একটা বিখ্যাত বইয়ের দোকানে। দোকানের নামটা মনে পড়ছে না, কিন্তু খুবই পরিচিত একটা দোকান ওটা। সেখানে গিয়ে আম্মু আমাকে ভূত ভূতং ভূতৌ নামের একটা 'মাঝারি' গল্পের বই কিনে দিলেন। আম্মুই আমাকে ছোটবেলায় গল্পের বই কিনে দিতেন।