ইউজার লগইন
ভালোবাসা
পুনশ্চ অথবা শেষের পর..
প্রিয়তমেষু,
অনেক দিন পর আজ আবার তোমায় লিখতে বসলাম। জানি, কিছুই কিছু নয় এখন আর। তবুও, মাঝে মাঝেই খুব ইচ্ছে করে জানতে। ভালো আছো তো? অথবা, এমনিই জিগেস করার, কি করো?
উত্তরটা অবশ্য না বলে দিলেও টের পাওয়া যেত কোন কোন দিন, ভাবছো আমায়।
এখানে বেশ ঠান্ডা পড়েছে এবার, তোমার ওখানে কেমন জানা হয় না এখন আর। অজানায়, শীত জমা থেকে যায় বুকের ভেতর - বছর জুড়ে ঝরা পাতার সুরে।
তুমি কতটা জানো আমি ঠিক জানি না, আমি নিজেও হয়তো এতটা করে জানতাম না যে, নীল আমার এতটাই প্রিয় - সবকিছুতেই। তোমায় না হারিয়ে পেলে হয়তো বুঝতেই পারতাম না নীলে বাঁচা, অসময়ে ঠিকই হারিয়ে যেতাম লাল থেকে কালোয়।
ভুল আমারই ছিল, না বলা কথাতেই ভালোবাসা খুঁজে নিয়েছিলাম। কল্পলোকের আকাশ জুড়ে ছিল এই ছোট্ট একটা জীবন একসাথে বুড়ো হবার স্বপ্ন।
বৃষ্টিতে আমি আর আমার রাজকণ্য়া।
বৃষ্টি হচ্ছে।
ভিজে যাচ্ছি আমি আর আমার বুক পকেটে সযত্নে লুকিয়ে রাখা স্বপ্ন গুলো।
আজ আমার হৃদয়ের ঘরে কড়া নাড়ছে সেই চির কাঙ্খিত মুহূর্ত।
আমি আর আমার রাজকণ্য়া
আজ ভিজবো দুজনে।
বৃষ্টির ফোটাগুলো বেহায়ার মতো ছুঁয়ে যাচ্ছে ওর চোখ, ঠোঁট, চিবুক।
আমি ঈর্ষান্বিত চোখে চেয়ে আছি।
ওর চুলগুলোর অবাধ্য়তা একরাশ ভালোলাগা ছড়িয়ে দিচ্ছে আমার মনে।
আমি কম্পিত পদহ্মেপে এগিয়ে গেলাম।
চুম্বন এঁকে দিলাম একটু একটু কাঁপতে থাকা ঠোঁটে। শক্ত করে বুকের মধ্য়ে জড়িয়ে নিলাম
কখনই যেন হারিয়ে যেতে না পারে ইট পাথরের মেকি ব্য়স্ততায়।
যদি পারতাম সময় ঘড়িটা বন্ধ করে দিতাম।
নিশ্চল পৃথিবীর বুকে ভালোবাসার প্রদীপ হাতে দাঁড়িয়ে থাকতাম।
রাজকণ্য়া, ভালোবাসতে শিখিয়েছো আমায়
শুধু ভালোবাসতে দাও নি তোমায়।
শুধু ফেরা পথ টুকু, ঘেরা পথ টুকু; সেরা পথ হয়ে থেকে যাক..
কিছু কিছু গান আছে, একবার শুনলেই মন কিনে নেয় বিনে পয়সায় - নিমিষেই। কোন একটা সময়ের বা কিছু মুহুর্তের অবয়ব হয়ে সাড়ে তিন হাত মাটির মতন স্থায়ী ঠিকানা গড়ে বসে যায় মরমে, অন্তরে সবচাইতে কাছের অথচ হারিয়ে যাওয়া বন্ধুর স্মৃতিছোঁয়া ব্যাকুলতায়। অদ্ভুত মাদকতাময় বিষাদে আচ্ছাদিত হয়ে যায় চারপাশ, আপনাতেই। আবার আনমনেই মনের মুকুরে প্রিয় কোন স্মৃতিজাগানিয়া সুখে ঠোটের কোনে উঁকি দিয়ে যায় এক চিলতে হাসি, এলোমেলো হাওয়ায় মন ভালো হয়ে যায়। মনে হয়, কি অদ্ভুত সুন্দর এই বেঁচে থাকা!
"ঝরে ঝরে পড়ে ছিমছাম
শুকনো পাতার স্তুপ,
কবে যেন কাকে চিনতাম
ডাকবাক্সেরা চুপ।
কিছু পিছু ডাকা শার্শীতে আঁকা
চুপ করে থাকা বন্ধু,
স্বপ্নের জালে লন্ঠন জলে
গল্পেরা চলে কোনদুর।
রাস্তা ফেলে..হুহু..হুহুহু..
শুধু ফেরা পথ টুকু,
ঘেরা পথ টুকু;
সেরা পথ হয়ে থেকে যাক -
আজ বিকেলে..
দেখো কুয়াশার নেই ডাক নাম
তবু চশমার চোখে বাষ্প,
গোল্ডলিফের প্যাকেট এবং শীত
শীতের শুরুর কোনও একটা সন্ধ্যায় চায়ের
কাপে টুংটাং আওয়াজ বলে দেয় , বাহিরের
তাপমান
পাতলা চাদরটা ভালোমতো জড়িয়ে নেবার
মতোই কমছে।
রাস্তা পার
হতে গিয়ে অনিচ্ছুক শীতল
হাতটা অত্যুতসাহী এক তপ্ত মুঠোয়
বাঁধা পড়তে গিয়েও পড়েনা। হেমন্তের এই
শেষপ্রান্তের যাযাবর বাতাসে উষ্ণতার
বড্ড অভাব।
সোডিয়ামের বাতিঘর আর ধোঁয়াশার
বিভ্রমে ঝরাপাতার
দলে মিশে যাওয়া একটা পাতার গান
আলাদা করা যায় না।
এই শহরে মমতাময় কোনও শীত আসে না!
এখানে শীত পাশাপাশি দুই ফ্ল্যাটের
অপরিচিত প্রতিবেশির মতো মুখ
ঘুরিয়ে হাঁটে!
ফুটপাতের শীতবস্ত্রের
মেলার দিকে লোভাতুর
দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা শতছিন্ন পোশাকের
' অভদ্র ' বাচ্চাটাকে " ছিঃ! কী নোংরা!"
বলে পাশ কাটায় শীত , শপিংমলের
পাশে বিএমডব্লুকে পার্কিং লট
ছেড়ে দিতে!
শীত বেঁচে থাকে শুধু ফায়ার প্লেসে , রুফটপ
বারবিকিউ পার্টি আর উইন্টার স্পেশাল
সৌরভের জন্য ভালবাসা
এই অবেলায় ফোটা কাশফুল নিয়তির
মতো
যেন আহত কোন যোদ্ধার
বুকে বেঁচে থাকা এক মেঘফুল.........।'
রোদ্দুর,
একসাথে হেঁটে হেঁটে যেতে চাই
বহূদুর
বুকের ভেতর ডানা ঝাপটায় পাখি,
বেপরোয়া ভাংচুর।'
- কি রে জংগল। কত দিন ধইরা শেভ করিস না?এই কি হাল!চুল কাটিস না কেন?
- মহাপুরুষ এমনি হয়!আমি আবার মহাপুরুষ হব! "ঈশ্বর না থাকলে তাকে বানানো হত,কিন্তু প্রকৃতি বলেছে ঈশ্বর আছে"। বলতো এটা কার উক্তি??
- ধুর!পারলাম না!বাদ দে তো এইসব উচ্চলেভেলের কথা!!তোর হাতে কিসের বই রে??
-একটা "দা গডস দেমসেলভ" আর একটা " উইনিংস অফ ফায়ার"।
-ঢাকা আসলি কবে?এডমিট হবি কোথায়?সব এক্সম তো শেষ।
-পৃথিবীর পাঠশালায়!যেখানে আমি শিক্ষক আবার আমিই ছাত্র!একটা সিগারেট খাওয়াবি?টাকা পয়সার সংকট। দুই দিন ধরে হলিউড খাইতেছি।গোল্ডলিফ খাওয়ার টাকা নাই।
বাবার সার্টিফিকেট
বিজয় দিবসের আনন্দ কিংবা ভাললাগা একজন সাধারণ মানুষের যতটুকু থাকে তার চেয়ে অনেক বেশি থাকে একজন কিশোর মুক্তিযোদ্ধার।যে মুক্তিযোদ্ধার বয়স ছিল ১৯৭১ সালে মাত্র ১২ বছর।এই লেখাট শুধু আবেগের বশে লিখা।বলে কয়ে বাবার প্রতি ভালবাসাটা শুধু লোকদেখানোই।তবু লিখি..... হাজার হোক তিনি আমার বাবা।জন্মদাতা বাবা।একজন দরিদ্র বাবা।যিনি ১০ টাকা, ১৫ টাকা, ২০ টাকার হোমিও ঔষধ বিক্রি করেন।
আমার চোখে বিটলস
অগাস্ট ১,১৯৭১
- ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেন নিউইয়র্ক।
স্টেজের পেছনে বসে উত্তেজনায় ঘামাচ্ছেন
গিটার
লিজেন্ড এরিক ক্ল্যাপটন। প্রচন্ড অসুস্থ এরিক।
হেরোইন
এডিকশন তাকে খাদের কিনারে নিয়ে গেছে।
পারবেন
তো ঝর তুলতে গিটারে। যদি ভুল হয়। ঠিক
সে মুহুর্তে ক্ল্যাপটনের চোখে ভেসে উঠে হাজার
মাইল দূরে বাংলাদেশ নামক জন্মযুদ্ধে লিপ্ত এক
দেশের মা হারা সন্তানটার ছবি...এর আগেই
ক্ল্যাপটম
পারফর্ম করতে পারবেন না বলে নিশ্চিত সবাই।
সে ক্ল্যাপটন স্টেজে উঠলেন বাজালেন জয় করলেন।
জর্জ হ্যারিসনের সাথে ক্ল্যাপটনের " হোয়াইল মাই
গিটার
জেন্টলি উইপস" গানে দুই লেজেন্ডের গিটার ডুয়েল
লাইভ কনসার্টের ইতিহাসেরই অংশ হয়ে থাকবে।
অসুস্থ
ক্ল্যাপটন যার বাজাবার কথাই ছিলনা, সে ক্ল্যাপটন
পুরো কনসার্টে একটা কর্ড মিস করলেন না... দিস ইজ
এরিক
ক্ল্যাপটন ফর ইউ।
বব ডিলান তো কনসার্টের আগের দিন থেকে একই
««একটি অবুজ প্রেমের শেষ পরিনতি»»
কি খাবে?
- কিচ্ছুনা! আগে বলো এত
দেরী করলে কেন?
- বাবারে, এখনি এত জেরা..বিয়ের
পরে বাসায়
ফিরতে দেরী হলে কিযে করবে..
- পরের কথা পরে! এখন বলো কেন এত
দেরী করেছো!
অভিমানে বাচ্চাদের মত গাল
ফুলিয়ে মুখ ভার করে বসে রইলো দীপ্তি।
যেন শ্রাবণের আকাশের একরাশ মেঘ!
- সরি, সরি,
সরি..একটা কাজে আটকা পড়েছিলাম।
তাছাড়া দেখতেও চাইছিলাম আমার
প্রতি তোমার কতটা টান! তাই..
- কিহ! এটা দেখার জন্য
আমাকে এভাবে কষ্ট দেবে! চোখে অশ্রু
টলমল করে দীপ্তির।
- আর করবোনা প্রিয়া...মাফ করে দাও,
প্লীইইইজ! এইযে দুই কানে ধরলাম, দেখো!
শান্তকে সত্যি সত্যি কানে ধরতে দেখে স্কুলের
পড়া না পারা ছাত্রের
কথা মনে পড়লো দীপ্তির।
কান্নাভেজা চোখ মেলে হাসে সে।
মেয়েরা যখন
কান্নাভেজা চোখে হেসে ফেলে, তখন
নাকি দেখতে অনেক সুন্দর দেখায়!
দীপ্তির দিকে অপলক
চেয়ে থেকে সে কথাটাকে সত্য মনে হয়
শান্তের।
- কি দেখছো এমন হা করে?
অমিমাংসিত দীর্ঘশ্বাস.. [এলোমেলো কাব্যকথন!]
কি আর আছে এমন আর?
এতটাই আগ্রহজাগানিয়া?
হৃদস্পন্দন নিয়ে খেলা করে চলে,
অবহেলায়;
নিমিষের আলতো চাহনিতে?
কি ই বা আছে আর এমন,
এতটা ভালোবাসার যোগ্য!
কে-ই বা ফিরিয়ে আনতে পারে,
শীতের হিমেল পরশ;
হৃদমাঝারে অবাক কাঁপা হাওয়া?
এমনকী গ্রীষ্মের শুষ্কতম দুপুরে,
চায়ের কাপের উত্তাপে;
বর্ষার রিনিঝিনি স্পন্দন?
আর কে ই বা পারে অতটা এমন,
খোদ ভীড় কেই ভিড়িয়ে দেয়া;
পথ ভুলিয়ে দেয়া ভীড়ের মাঝে।
কেই বা করে নির্জনতার এমন আবাদ?
কুড়িয়ে এনে জড়ো করে -
ছেঁড়া পকেটেই গুজে দেবে বলে,
নৈঃশব্দের কোলাহলের মতন;
সোনালী ফসল।
হোক তা,
মেঘমল্লার কিংবা সূর্যের দিন।
যখন,
অলীক মেঘেদের গর্জন,
নিজেকেই হারিয়ে চলে
অসীমে -
কে-ই বা আছে আর অতটা এমন?
মাঝরাত্তির - বুকের ভেতর,
তোমার মতন;
অতটা ভীষণ নীল..!
ক্লান্ত ক্লারিনেট
কালকের সন্ধ্যাটা ভালো শোরগোল করেছিলাম আমরা। অবশ্য দিনের শুরু থেকেই বিভিন্ন আয়োজন ছিল। বাচ্চাদের জন্য আনন্দ শোভাযাত্রা, সেই সাথে সামনে পিছনে গাড়ি আর মোটরসাইকেল। কিন্তু রাস্তায় কেউ হর্ন বাজাচ্ছিলো না, যাতে বাচ্চাদের কোলাহল এলাকাবাসী শুনতে পায়। এই ছিল শিশুদের জন্য বড়দের সেদিনকার আয়োজনের শুরুটা।
এদিকে আমি কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। সকাল বেলায় বেরিয়েছিলাম আমার রুম থেকে। কিন্তু পথেই দু’চারজনের সাথে দেখা হয়ে গেল- যারা আমার মত বেরিয়ে পড়েছিলো অযথা। আমরা একসাথে ব্রেকফাস্টে ঢুকলাম। রেস্তোরাঁর পচা পাউরুটি আর ডোবার জলের মত লাল চা ফেলে আমি আর মুন শোভাযাত্রার একটা গাড়ির মাস্তুলে ঝুলে পড়লাম।
তবুও, তোমায় আমি.. [ অপ্রলাপ - ০১৪৩ ]
[টিপটিপ কোন বৃষ্টিফোঁটার আজন্ম বিষাদ;
মেঘবালিকার কপাল জুড়ে ছোট্ট নীল টিপ না হতে পারার আক্ষেপ।
আলোর আকাশ ছোঁয়া
চোখের সমূদ্র ছেড়ে
কাজলের সরু নদী
এক ফোঁটা মেঘ,
কপোলের টোলে;
সেই
হৃদকাপানো হাসির সীমানায় -
বয়ে আনে অন্ধকার।
- অথচ তোমার দুচোখে তখনও নীল।।]
কখনো এমনও হয়..
আকাশ জুড়ে শতবর্ষের মেঘ,
খুব বৃষ্টি ঝরে যায়।
তবুও খালিপায়ে হেটে যাওয়া হয়না,
দুহাত মেলে আকাশপানে চেয়ে।
বৃষ্টি শেষে কোমল স্নিগ্ধ হাওয়া,
চায়ের কাপের গরম ভাপে;
ভালোলাগার তীব্র হাতছানি।
তবুও -
আঙুলের পরশে ছুঁয়ে যাওয়া হয়না,
কথকতার
আলতো আদর দোলা মনে।
বিকেল ছাঁদের হাওয়া,
ব্যালকনীতে রোদ্দুর;
অভিমানের জানলা বেয়ে
একা বোকা রাস্তায় -
খুঁজে ফেরে পথ।
আর পথিক?
তার, আয়নায় ভাঙা মন।
কেবলই,
কোথায় যেন;
কি যেন একটা কিছু
নেই বলে -
এই তুমি আর সেই তুমি নেই বলে।
[অথচ তোমারই চোখে ছিল
কেবলই আমার জন্য
মিঁয়ায়ায়ায়ায়াও..
অচেনা এক বেড়াল ছানা,
নেই তো কোন চিন পরিচয় -
হঠাত্ দেখা;
তাতেই বুঝি খুব সে চেনা।
এক নিমিষে,
হঠাত্ করেই;
খুললো বুঝি স্মৃতির দুয়ার।
খুলতে দুয়ার,
স্মৃতির প্রহর;
লাল সাদা বল -
রোমশ কত বেড়ালছানা।
অসময় কিংবা সময়,
উচিয়ে লেজ খানি তার;
ঘেঁসে গা পায়ের সাথে -
দুরে তায় যায় না ঠেলা।
শীতে তার,
মোদের সাথেই স্বপন বোনা।
লেপের নীচে কুসুম গরম,
ভেড়া নয়;
দুধ আর মাছ যে গোনা।
দুষ্টুমি আর তিড়িংবিড়িং,
তারই মাঝে -
একেকটা ক্ষন হাতের কাছে;
ঠিক সে হাজির।
বুঁজে চোখ,
উচিয়ে গলা
খেয়ে যায় আদর শত।
খুনসুঁটি?
তাও সে বোঝে,
আলতো কামড়;
আচড় কত।
স্মৃতির দুয়ার বন্ধ হতেই,
কল্পনাতে ফিরলে হঠাত্;
মিষ্টি সুরে
যায় যে শোনা -
মিঁয়ায়ায়ায়ায়ায়াও..!
রাজকন্যার প্রথম জন্মদিনে ভালোবাসা
এমন আধুনিক সময়েও কেন জানি বিবাহবার্ষিকীটা পালন করা হয়ে ওঠেনি আমাদের।আমাদের রাজকন্যার হয়তো বিষয়টি পছন্দ হয়নি।এমন যুগেও তার বাবা-মায়ের এমন বেরসিকের মতো আচরন তার বোধহয় ভালো লাগেনি।আর তাই তো বাবা-মায়ের বিশেষ দিনটিকে আরও বেশি বিশেষ করে তোলার জন্য বাবা-মায়ের চতুর্থ বিবাহবার্ষিকীতে পৃথিবী আলো করে এসেছে আমাদের রাজকন্যা জাইফা।আলোকিত করেছে আমাদের।শুভ জন্মদিন মা।অনেক অনেক ভালোবাসা তোমার জন্য।
একটি রোমান্টিক স্মৃতি কাহিনী!
আমি একটি মেয়েকে চার বছর যাবৎ মনে মনে ভালবেসেছি, মেয়েটি একজন সরকারী প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষিকা! সামনা-সামনি কোন দিন ভালবাসার কথা বলিনি,শুধু ভয় হতো ভালবাসার কথা বললে না জানি কি হয়! তবুও মনের ভীতর সবসময় সাহস রাখতাম একদিন না একদিন মনের লুকানো কথা বলবোই বলবো! এভাবে অনেক দিন চেষ্টা করলাম কিন্তু মনে সাহস আনতে পারলাম না! প্রাইমারী স্কুলের পিছনে একটা পুকুর আছে,আমি যখন গোসল করতে যেতাম, তখন আমি তার পানে অবাক নয়নে তাকিয়ে থাকতাম সেও আমার পানে অবাক নয়নে তাকিয়ে থাকতো! মনে মনে তাকে নিয়ে অনেক কিছু ভাবতাম এমনকি অনেক কিছু কল্পনা করতাম, তাকাতাকি আর চোখাচোখিতে দিন মাস পার করি! চৈত্র মাসের খরার মতো আমার মনের কথা গুলো শুকিয়ে যেতে লাগলো!*এভাবে আমার জীবনে ৩ টি বছর পার হয়ে যায়! শেষের বছর মনের ভীতর পর্বতসম সাহস আনলাম যে কোন ভাবে আমি ওর সামনে মনের কথা গুলো বলবোই, যেই কথা সেই কাজ!
বুনোহাঁসের গান এবং অন্যান্য কথকতা
ব্লগে এলেই আমার মাঝে মাঝে শান্ত ভাই এর মতন হয়ে যেতে মন চায়। কি সুন্দর যখন যা ইচ্ছে করে এলোমেলো, গুছিয়ে লিখে ফেলে চমত্কার। নিমিষে।
হিংসা লাগে একেকটা দিন, একটু একটু।
আমি পারি না, সাধারনত। একটা দুটা লাইন মাথায় বেশি ঘুরাঘুরি করলে হয়তো হঠাত্ একটা কিছু লেখা হয়ে যায়, এলোমেলো। কিন্তু মন খুলে টানা একটা কিছু লেখা আর আমার হয়ে উঠে না।
আজকালকার ভার্চুয়াল দুনিয়ায় এফবি যদি বাসা হয়, এবি আমার কাছে ঘরের মতন মনে হয়।
তবুও আমি পারি না, মনের মতন যখন তখন ইচ্ছে যেমন লিখে যেতে। নিজে না হতে পারি, লেখার মনটা বড় বেশি বাউন্ডুলে হয়ে গেছে। বড্ড বেয়াড়া, কিছুতেই পোষ মানে না। বলতে গেলে, ঘরের ভেতর নিজের কাছেই পর পর অবস্থা!
মাঝে মাঝে মন খারাপ লাগে, আগে কত্ত কিছু লিখে ফেলতাম হঠাত্ করেই, আবোল তাবোল। মন ভালো হয়ে যেতো।