ইউজার লগইন
ভালোবাসা
কেউনা
একটি ৩*৩ রুবিক্স কিউব। পুরোটাই অবিন্যস্ত। যদি সাজাতে পারো তবেই পেয়ে যাবে জন্মদিনের উপহার। প্রতিটি তলেই তোমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা দেয়া।
একটি নীলাভ পাঞ্জাবি। এটাকে যেমন জিন্সের সাথে মানাবে, তেমনি মানাবে সাধারন পায়জামার সাথে। পরলে পরীর মতো লাগবে।
একগুচ্ছ লাল গোলাপ। যা সুন্দরের সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দেয়। হাতে নিয়ে তোমায় মনেহবে স্বর্গের অপ্সরী।
কুপার্সের ব্ল্যাকফরেস্ট কেক। স্বাদে সৌন্দর্যে অতুলনীয়। তাতে একটি মোমবাতি জ্বালানো থাকবে। এক ফুঁ তে নিভে যাবে , আর তখনই প্লাস্টিকের ছুরিটা তাকে এফোঁড় ওফোঁড় করে দেবে। একটুকরো মুখে তুলে খাইয়ে দেবে অতি আপন একজন কেউনা।
কেউনা রা সবসময়ই কেউনা হয়েই থাকে। তাদের স্বাবেক প্রেমিকারা তাদের বুকে মাথা রেখে বলে , যদি কক্ষনো চলে যাই তবে ভেবনা ভালোবাসিনি। আর তারা তা মেনে নেয়। বন্ধুরা অনেক চাহিদার সময়ে দেবার মতো সময় করে উঠতে পারে না। প্রচন্ড কষ্টের সময়ে অনিচ্ছাকৃত ভাবে অনুপস্থিত থাকে। ঠিক যেমন অনুপস্থিত থাকে প্রচন্ড ভালোবাসার প্রেমিকা। ঠিক যেমন অনিচ্ছাকৃত ভাবে ছেড়ে চলে যায়।
জাদুকরদ্বয়ের গল্প
শুরুতেই বলে দেই এইটা একটা বাজারি গল্প। বাজারি গল্প মানে হল, এমন একটা লেখা যেটা কারো আদেশ, অনুরোধ, উপরোধে লেখা। এই ধরণের লেখাগুলা সাধারণত খুব দ্রুত লেখা হয়, তাই যে লিখে তার মাথায় তাড়া থাকে আর একটা প্যাটার্ন অনুসরণ করতে গিয়ে লেখকের নিজের চিন্তার প্রতিফলন খুব একটা বেশি ঘটেনা। কিন্তু, তাও মাঝে মাঝে এই ধরণের লেখাগুলাও লেখকের কথার বুননের কারণেই হোক অথবা গল্পের কাহিনীর কারণেই হোক, পাঠকপ্রিয় হয়ে ওঠে। যেহেতু আমি এমন কোন লেখক নই যে অনেক গুছিয়ে- কথার পর কথা সাজিয়ে পাঠককে গল্পের ভেতরে নিয়ে যাবে কিংবা কোন হৃদয়গ্রাহী গল্প লিখবে; কাজেই যারা সাহিত্যপ্রেমী তারা এই লেখা পড়ে সময় নষ্ট করবেন না। এখানে কোন সাহিত্যের গলি- ঘুঁপচিতে বিচরণ নেই, নেই কোন শব্দের খেলা। আর যারা আড্ডাবাজ, তাদের জন্যেও এই পোস্টটা না। এখানে আড্ডাবাজির কোন সুযোগ নেই। যা থাকবে, সেটি হতে পারে আত্মোপলব্ধি, নিজের কাছে নিজের প্রশ্ন- নিজেই তার উত্তর খোঁজা। কিন্তু, যেহেতু লেখাটা জাদুকরদের নিয়ে, কে জানে, তাদের জাদুর ইন্দ্রজালে হয়ত আপনারাও আটকে যাবেন মায়ায়..
গল্পটা দুইজন জাদুকরকে নিয়ে। দুইজনই আমাদের অনেক পরিচিত।
বনস্পতির জন্য ভালোবাসা..
দিবসওয়ারী উদযাপন আমার অতটা ভালো লাগে না। অনেক আগে থেকেই আমার এই মনোভাব, তবে ইদানিং অনেক কিছুই সয়ে নিতে শিখছি। ভালো না লাগলেও আজকাল অনেক কিছু করে নিতে পারি হাসিমুখেই। মুখের উপর মুখোশখানা দিনে দিনে বেশ খাসা হয়ে উঠছে আর কি!
যাই হোক, অনেকদিন কিছু খুঁজে পাচ্ছিলাম না লেখার মত। আর, বাবাকে নিয়ে কিছু গান নিয়ে একটা কিছু লেখার ইচ্ছা ছিল তারও আগে থেকেই। আজ এই বাবা দিবসে হঠাৎ মনে হল, লিখতে বসেই দেখি কিছু হয়ে উঠে কি না!
একটা কিছু লেখার কথা চিন্তা করলে অনেক কিছুই মাথায় আসতে থাকে কিন্তু লিখতে বসলে দেখা যায় পুরাই আউলাইয়া গেছি, ভাবি এক জিনিস লেখি আরেক জিনিস! আজব ব্যাপার!
আমার আব্বু মাঝেই আফসোস করেন যে আমরা দুই ভাই-ই নাকি শুধু সারাদিন আম্মু আম্মু করি। কথাটা অবশ্য পুরোপুরি মিথ্যাও নয়। ছেলেবেলা থেকেই দেখে আসছি আব্বুর খালি আপিস আর আপিস, তাই খুব একটা ধারে কাছে ঘেঁষতেই পারতাম না। আর হাল্কা ঝাড়িঝুড়িও আব্বুর কাছেই খাইতাম। তাই একটু ভয়মিশ্রিত শ্রদ্ধার একটু দুরের আসনটা যেন আপনাতেই বরাদ্দ হয়ে গিয়েছিল আপনাতেই।
বিশ্ব বাবা দিবস উপলক্ষে, গল্পঃ বিপা
বাবা, তোমাকে মনে পড়ে
আমার স্বপ্নভঙ্গের দিনগুলোতে
কিংবা পরম সুখের মূহুর্তগুলোতেও
বাবা, তোমাকে মনে পড়ে
খুব মনে পড়ে!
যেদিন থেকে বুঝতে শিখেছি
মাথার উপর তোমাকেই পেয়েছি, বন্ধুর মত
মাকে আমি পাইনি কোনোদিন,
সেই অভাবও মিটিয়েছ তুমি
অনেক আদরে, পরম স্নেহ মায়ায়
আজ তুমিহীনা কষ্টের প্রহরগুলো
বুকের ভিতর জমাট কান্নার ঢেউ তুলে যায়!
প্রতিদিন ঘর হতে বের হবার সময় তুমি বলতে
সাবধানে চলিস বাবা!
আমি হেসে বলতাম, তোমার দোয়া সাথে আছে তো!
বাসায় ফেরার সময়ও দেখতাম
দাঁড়িয়ে আছ তুমি বারান্দায়
তীর্থের কাকের মত! আমার অপেক্ষায়,
আজ তুমি নেই, আমি একা; বড় একা!
আমার জন্য দাঁড়িয়ে থাকেনা কেউ আর বারান্দায়,
মাথায় রাখেনা ভরসার হাত!
তোমাকে দেয়া কথাগুলো এখনও ভুলিনি বাবা!
তোমার শেখানো পথে আজও হেঁটে চলেছি
দুর্গম সে পথে ঝড় আসে, ঝঞ্ঝা আসে
তবু ছুটে চলি অবিরাম, জানি
পাশে আছ তুমি; ছায়ার মত!
বিষাদে ছেয়ে যাওয়া মনটা
বার বার খুঁজে ফেরে শুধু তোমায়
চোখের কোণে তপ্ত জল জমে,
মাঝে মাঝে বড্ড জ্বালা করে চোখদুটো,
বার বার তোমাকে মনে পড়ে যায়
খুব মনে পড়ে!
খুব!!
সেদিন বাঁধভাঙা চোখের জল খুঁজে পেয়েছিল ভালবাসার আশ্রয়
শহরের ছোট্ট একটি এলাকা। আধুনিকায়নের ছোঁয়া তখনো লাগেনি তেমন। সারা মহল্লায় কয়েকটি একতলা বিল্ডিং, কিছু টিনশেড সেমিপাকা বাড়ি আর বাদ বাকী সব বাঁশের বেড়ার ঘর উপরে টিন কিংবা চাটাইয়ের ছাউনি। চলাফেরার রাস্তাগুলোর বেশির ভাগই কাঁচা আর বাড়িগুলোর ফাঁকে ফাঁকে বেশ কিছু খোলা মাঠ আর নিচু জমি। মোটকথা শহরের মধ্যেই কিছুটা গ্রামীণ পরিবেশের আবহ।
স্বর্ণালী অপ্সরী !!!
যখন ভালোবাসতে শুরু করেছিলাম তখন তুমি তেমন জনপ্রিয় ছিলেনা। তারপর কেটে গিয়েছে অনেক সময়। কিন্তু তুমি সেই সোনালী পোশাকে মোরানো ফর্সা ধবধবেই রয়ে গেছো।
স্বর্ণালী অপ্সরী !!! হ্যাঁ এটাই বুঝি তোমার জন্য সবথেকে ভালো নাম।
হে সোনালী পোশাকে আবৃত শ্বেতশুভ্র অপ্সরী , তোমাকে সবচেয়ে অপরূপা কোথায় লাগে?
দুই আঙ্গুলের ফাকে নাকি দুই ঠোঁটের মাঝে ?
তোমায় চুমুতে ভরিয়ে দেই আমি সর্বদা। যুগে যুগে কত্তো মহামানবরা তোমায় একটি চুমু দেওয়া কে শত নারীর ঠোঁটের চেয়েও মূল্যবান বলেছে।
তুমি এখনো সুন্দর ওই সোনালী ঘরে। তোমার সৌন্দর্য আরো বেড়ে যায় যখন তুমি জ্বলন্ত অবস্থায় থাকো দুই আঙ্গুলের ফাকে অথবা দু'ঠোঁটের ফাকে।
তুমি একাকিত্বের সঙ্গি। তুমি অবসরের সাথী। তুমি মানসিক প্রশান্তি জোগাও প্রচন্ড ব্যাস্ত সময়ে। করে তোলো উতফুল্ল অনেক চিন্তার মাঝেও। নতুনভাবে ভাবতে সাহায্য করো যখন ভাবনার সীমান্তে পৌঁছে যাই।
মাঝে মাঝে তোমারই কারনে প্রেমিকার সাথে হয়ে যায় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ !!!! মাঝেমধ্যে তোমার জন্য মা'র সামনে চকলেট খেতে খেতে যাই।
কিশোর বেলার কিশোর থ্রিলার
সেই ছেলেবেলায়, প্রাইমারীর গণ্ডি শেষ করেছি কি করিনি ঠিক মনে পড়ছে না। প্রতিদিন দুপুরে বাসার সবারই নিয়ম করে ঘুমানোর আদেশ ছিল, আমার কখনই দুপুরে ঘুম হত না। মন উদাস করা গ্রীষ্মের সেই দুপুরে একা একা ঘরের কোণে বসে ‘আরব্য রজনীর দেশে’ নামক একটি বই পড়ছিলাম। সেই-ই প্রথম শুরু পাঠ্য বইয়ের বাইরে বই পড়া। মামা ঘুম থেকে উঠে বইটা হাতে দেখে বলে উঠল-এখনই উপন্যাস পড়া শুরু করেছো! কণ্ঠে অনেকটা তাচ্ছিল্যের সুর। আমি বুঝতে পারিনি কি এমন ভুল করলাম, মনে মনে ভাবছিলাম-এটা পড়া কি নিষেধ নাকি!
ধীরে ধীরে মাথার ভিতরে সেই যে বইয়ের পোকা ঢুকে পড়ে আর বের হয় না। ছেলেবেলায় আমি একটু ঘরকুনো টাইপের ছিলাম। গ্রাম থেকে চলে আসার পর শহরটাকে নিজের করতে বেশ কিছুটা সময় পার হয়ে গিয়েছিল। তারপর শুরু হল নতুন স্কুল জীবন। নতুন বন্ধু, নতুন জগৎ! একসময় বন্ধুদের কল্যাণে পেয়ে গেলাম বিশাল বইয়ের খনি! ‘সেবা প্রকাশনী’ আমার সামনে উন্মোচিত করে দিল এক নতুন দিগন্ত! শুরু হল আমার নতুন অভিযান, অসাধারণ এক এডভেঞ্চার!
লং ডিস্টেন্স রিলেশনশীপ
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে। স্নিগ্ধর মনটা আজ খুবই খারাপ। তার ভালোবাসার মানুষটি তার থেকে অনেক দূরে থাকে। তাদের সময়ের ব্যাবধান ১২ ঘন্টার ; স্নিগ্ধর দেশে যখন রাত নামে তখন মিনির দেশে করকরে রোদ।
মিনি অনেক ভালো একটা মেয়ে। পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতপরিবর্তনশীল দেশে থেকেও যে তৃতীয় বিশ্বের একটি ছেলের জন্য অপেক্ষা করে। তার সকল ভাবনা জুড়েই স্নিগ্ধর বিচরণ। এমনকি স্বপ্নও আসে স্নিগ্ধর স্নিগ্ধতা নিয়ে।
তাদের মাঝে যোগাযোগের একটাই মাধ্যম , সেটা হলো ভার্চুয়াল জিনিস। হয় ফোনে তাদের ভাবনার বিনিময় ঘটে নয়তো চ্যাটিং এর মাধ্যমে আবেগের আদানপ্রদান ঘটে। তবুও হাজার মাইল দূরের দুটি মানুষ কিসের যেনো একটা বাধনে বাধা।
স্নিগ্ধ জানালায় বসে আছে। দেশে এখন চার নম্বর বিপদ সংকেত চলছে। সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারনে সারাদেশে বৃষ্টি নামছে। স্নিগ্ধ স্বাভাবিক একটি ছেলে। আর তাই আজকের আবহাওয়া তার মাঝে রোমান্টিক একটা আবহের সৃষ্টি করেছে; মাঝে মাঝে এটি মিনির শূণ্যতাকে প্রকট করে তুলছে|
তোমাকে পাওয়ার জন্যে
তোমাকে পাওয়ার জন্যে কি প্রবল তৃষ্ণাটাই না আমি পুষে রেখেছিলাম। মরু সাহারায় পানির অভাবে মৃতপ্রায় মানুষ যেমন এক ফোঁটা পানির জন্যে হাহাকার করে, তোমার জন্যে আমি তারচেয়েও বেশি হাহাকার করেছি। ভালবাসা-হীনতায় এই বুক ফেটে গ্রীষ্মের শুষ্ক মাঠের মত শত ফাটা হয়ে চৌচির রূপ ধরেছে- এক আজলা ভালবাসার পরশে তুমি তাকে কখনো সিক্ত করো নি। দু হাতে আচল মেলে তুমি তাকে এক মূহুর্তে জন্যে ছায়া দাও নি। প্রতিটা মূহুর্তে আমি তোমার অপেক্ষায় ছিলাম, তোমার প্রত্যাশায় ছিলাম। কিন্তু দুরের কন্যা তুমি- দুরে ছিলে, দুরেই রয়ে গেলে। দুরের মানুষ এই জীবনে কোনদিন কাছের হলে না।
তারিন, তারিন- অধরা তারিন!
আজ থেকে অনেক বছর পরে হয়তো তুমি আমাকে পরিপূর্ণ ভাবে ভুলে যাবে। আমার কথা তোমার আর একটুও মনে পড়বে না। ছেলে-মেয়ে আত্মীয় স্বজন নিয়ে সুখের সংসার হবে তোমার। অনেক অনেক দুরের কোথাও একা নিঃসঙ্গ কাটবে তখন আমার সময়। আমি জানি তখনো আমি তোমাকে ভুলতে পারবো না। মানুষের মন দীর্ঘ বিরতিতে কষ্টের স্মৃতি ভুলিয়ে দেয়, শুধু আনন্দের কথাগুলোই মনে রাখে।
আমার স্বপ্নপূরণ- আমার ছোট্ট রিয়াসা !
মানুষ মাত্রই স্বপ্ন দেখে, আমি সব সময়ই চাইতাম- আমাদের একটা মেয়ে হবে। সে হাসবে, খেলবে, সারা ঘরময় ছুটে বেড়াবে! একসময় আমার সেই স্বপ্ন সত্যি হল। আমার মেয়ে এখন সারাক্ষণই ঘরকে মাতিয়ে রাখে। সারা ঘরময় ওর ছুটে বেড়ানো, পাকা পাকা কথা বলা, দুষ্টুমি, মান-অভিমান আমাদেরকে এক ভিন্ন আবেশে জড়িয়ে রাখে, ও চুপ করে থাকলেই বরং ভাল লাগে না !
তুমিত্বের মাঝে আমিত্ব
বড় বেশী পাগলামী করি আমি....
অনেক ব্যাস্ততার মাঝেও তোমার কথা ভাবতে ভুলি না...
তোমাকে মেসেজ দিতে ভুলি না...
তোমার ছবি দেখতে ভুলি না...
তোমার খোজ নিতে ভুলি না...
আর তুমি একটু ব্যাস্ত হলেই এসব কিছুই করো না...
কারণ এখন তোমার অনেক ব্যাস্ততা...
তবে কি আমাক নিয়ে ভাবার সময়টুকুও নেই আজ তোমার..
সারা দিনের কথা গুলো জমিয়ে রাখি রাতে তোমাকে বলব বলে আর আমি রাতে যা বলি পরের দিন সকালে তোমার তা মনে থাকে না। সারা দিনের অবসাধ, ভালো লাগা, খারাপ লাগা সব তোমায় বলি আর তুমি সে গুলা ভুলে যাও। আমার কত কষ্ট লাগে বল তো।
এভাবে বার বার আমাকে কষ্ট না দিয়ে এক বারে তোমার জীবন থেকে ছুরে ফেলে দাও। সহ্যের সিমা তা আবার কবে ভেঙ্গে যায় আমার, তাহলে তোমাকে একা করে দিয়ে এক বারে চলে যাব।
পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক
হল সেটা -
যখন তুমি অপরজনের হাত ধর
এবং সে তোমার সাথে চলা শুরু
করে ,,
কিন্তু সে প্রশ্ন করেনা
অলিখিত আমার তুমি
তুমি আমার জীবনের অলিখিত অধ্যায় কিন্তু তোমাকে নিয়ে আমি বেশি লিখি। অলিখিত অধ্যায় বলেই যন্ত্রণার কারণ হয়ে ওঠে মাঝে মাঝে। অবশ্য এটাও ঠিক যে জ্বালা-যন্ত্রণা-দুঃখের মাঝেও একটা সুক্ষ আনন্দ বোধ থাকে। আর তাছাড়া দুঃখ কে যেচে আপন করে নেয়া মানুষের স্বভাবচারিতার বড় দিক।
মনের কোনে অতি গোপনে অভিমানী একটা মন লুকিয়ে থাকে। সেই মনটা খেয়াল চায়, সঙ্গী চায়, গুরুত্ব পেতে চায়।সেই মনটা চায় তাকে একান্ত করে কেউ ভালবাসুক।
সেই মনটা চায় তার কাছের মানুষগুলো সবার আগে তার দিকটা দেখুক,তারপর অন্যকিছু।
বিবেক কিন্তু বাঁধ সাধে কারন একটু স্বার্থপরতা তো হয়েই যায় আর যখনই মনের কথা বাদ দিয়ে বিবেকের সাথে মত মিলাই তখন ই হয় সবচাইতে বড় স্বার্থপরতা।তবে সেটা নিজের সাথে।কিন্তু এ স্বার্থ-পরতায় নিজের ছাড়া আর কারো কোন ক্ষতিই হয় না।
আমি সবার কথা ভাবি কিন্তু কারো একটু সময় হয় না আমার কথা গুলা শুনার, আমি সবার সব কথা শুনি কিন্তু কারো একটু সময় হয় না আমার হাসির মাঝে লুকানো কান্নাগুলকে বুঝার। বড্ড একা লাগে এই বিশাল ধরণীর বুকে।
আমি ভাবি সব মানুষ্ই কিন্তূ একা।
রাসেল কেন?
ব্লগে আছি অনেকদিন। তবে বেশ কিছুদিন ধরে কেবল আমরাবন্ধুতে থাকায় আগের মতো ব্লগের অনেক কিছুই জানি না, বুঝতেও পারি না। অনেককে চিনিও না। যেমন, সুব্রত শুভকে চিনতাম না। তাঁর লেখাও কখনো পড়িনি। তাঁকে প্রথম দেখলাম আটক হওয়ার পর।
ছোট্ট একটা ছেলে। মায়াময় একটা চেহারা। হেফাজতকে খুশী করতে শুভকে আটক করা হয়। একমাত্র শুভকেই ইউনিভার্সিটি এলাকা থেকে উঠিয়ে এনেছিল ডিবি পুলিশ।
সত্যি কথা বলতে আমি আগে আসিফকেও চিনতাম না। আসিফের নাম শুনি প্রথমবার আটক হওয়ার পর। তবে তাঁর ব্লগে গিয়ে কখনো লেখা পড়িনি। কিছু পড়েছি পরে, ফেসবুকের কল্যানে।
বিপ্লবকে চিনতাম, তবে কখনো হাই-হ্যালোর বাইরে কথা হয়নি। কিন্তু তার লেখা খুব ফলো করেছি বলা যাবে না।
খুব ভাল চিনতাম রাসলেকে। রাসেল পারভেজ। তাঁর লেখার আমি একজন কঠিন ভক্ত। আমি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ফোরামে বলেছি, ব্লগে এমন অনেকে আছেন যাদের লেখার মান অনেক প্রতিষ্ঠিত লেখকদের চেয়েও ভাল। আমার অফিসেও বলেছি। এ কথা বলার সময় আমার মাথায় থাকতো রাসেল। সেই রাসেলও এখন জেলে।
শাশ্বতরা এমনি করে ভালো থাকুক
কাল শাশ্বত আমার অফিসে আসার কথা ছিল। রাস্তায় জ্যামের কারনে আসতে পারেনি। কারওয়ান বাজারে একুশের টিভির সামনে অপেক্ষা করছিল আমার জন্য। অফিস থেকে ওকে দেখতে গেলাম। ওকে দেখে আমি হতভম্ব। জড়িয়ে ধরলাম বুকে।
এই আমাদের শাশ্বত। যে কীনা এখন দিব্যি হাঁটতে পারছে। একা একা চলে এসছে রাজশাহী থেকে। শরীরে এখনও সমস্যা আছে ওর। আগামী মাসে আবার ভেলরে যাবে ডাক্তার দেখাতে। তারপরও ওর চোখে ঝিলিক দিচ্ছে স্বপ্ন। ও একটা পত্রিকায় কাজ করতে চায়। পড়াশুনাটাও চালিয়ে যাচ্ছে নিয়মিত। আগামী বছরে ওর অনার্স ফাইনাল।
মনে পড়ে গেল রাজশাহীর সেই দিনের কথা। শাশ্বতদের বাড়িতে গেলাম আমরা কজন ব্লগার। ওর চিকিৎসার জন্য মানুষের কাছে হাত পেতে কিছু টাকা তুলেছিলাম আমরা। সে টাকা দিতেই আমাদের রাজশাহী যাওয়া। তখন কী যে অবস্থা ছিল শাশ্বতর। সারাদিন বিছানায় শুয়ে থাকতো আর যন্ত্রণায় কাতরাতো। তারপর কত দিন ওর সাথে কথা হয়েছে আমার। কালকেই ওকে প্রথম দেখলাম। আমার মনটা খুশিতে ভরে উঠলো।