ইউজার লগইন
ভালোবাসা
শাশ্বতরা এমনি করে ভালো থাকুক
কাল শাশ্বত আমার অফিসে আসার কথা ছিল। রাস্তায় জ্যামের কারনে আসতে পারেনি। কারওয়ান বাজারে একুশের টিভির সামনে অপেক্ষা করছিল আমার জন্য। অফিস থেকে ওকে দেখতে গেলাম। ওকে দেখে আমি হতভম্ব। জড়িয়ে ধরলাম বুকে।
এই আমাদের শাশ্বত। যে কীনা এখন দিব্যি হাঁটতে পারছে। একা একা চলে এসছে রাজশাহী থেকে। শরীরে এখনও সমস্যা আছে ওর। আগামী মাসে আবার ভেলরে যাবে ডাক্তার দেখাতে। তারপরও ওর চোখে ঝিলিক দিচ্ছে স্বপ্ন। ও একটা পত্রিকায় কাজ করতে চায়। পড়াশুনাটাও চালিয়ে যাচ্ছে নিয়মিত। আগামী বছরে ওর অনার্স ফাইনাল।
মনে পড়ে গেল রাজশাহীর সেই দিনের কথা। শাশ্বতদের বাড়িতে গেলাম আমরা কজন ব্লগার। ওর চিকিৎসার জন্য মানুষের কাছে হাত পেতে কিছু টাকা তুলেছিলাম আমরা। সে টাকা দিতেই আমাদের রাজশাহী যাওয়া। তখন কী যে অবস্থা ছিল শাশ্বতর। সারাদিন বিছানায় শুয়ে থাকতো আর যন্ত্রণায় কাতরাতো। তারপর কত দিন ওর সাথে কথা হয়েছে আমার। কালকেই ওকে প্রথম দেখলাম। আমার মনটা খুশিতে ভরে উঠলো।
অনুপম অনুপম!
শিরোনামের দ্বিতীয় শব্দটুকু বিশেষ্য, প্রথম অংশটুকু বিশেষণ!
বলছি আমার একজন প্রিয় শিল্পী অনুপম রায়ের কথা। আমাদের সবার চেনা ভারতীয় বাংলা সিনেমার সুরকার কাম প্লেব্যাক শিল্পী নয়, আজ বরং একটু অচেনা কেবলই শিল্পী অনুপম রায়ের গান নিয়ে কিছু কথকতা হয়ে যাক।
অনুপম রায় কে কেবলই একজন প্লেব্যাক শিল্পী ভাবলে ভয়ংকর একটা অন্যায় হবে। কারন সে একই সাথে তার বেশিরভাগ গানের লেখক এবং সুরকারও বটে। আমার মতে একটা কবিতা বা গান তখনই সত্যিকার পূর্ণতা পেয়ে থাকে যখন কবি নিজেই তার কবিতাকে তার অনুভূতির সুরে সাজিয়ে একটি গানে পরিণত করে তুলতে পারেন। বর্তমান সময়ে দুই বাংলা মিলিয়েও এরকম শিল্পী হাতেগোনা কয়েকজন মাত্র পাওয়া যায়। এজন্যই আমার মতে, অনুপম সত্যিই অনুপম।
বাদলা হাওয়ার রাত, হাওয়া বদল গান..
ইদানিং বেশ কিছু গান জমে আছে। শুনেছি তবুও যেন শোনা হয় নি।
কাল মধ্যরাতের কথা হবে। নাহ, আরো বেশ কিছু সময় পরে। বলা যায় প্রায় ভোর, ঘুমাবো বলে শুয়ে আছি।
তখনই শুনেও না শোনা এমনই কিছু গান শুনছিলাম। শুনতে শুনতেই হঠাত্ ঝড়ো হাওয়া আর শিলাবৃষ্টির ঝাপটা যেন আমার ছোট্ট ঘরটাকে মুগ্ধতায় ভরে দিল কোন কথা না বলেই।
খেয়াল করা হয় নি কখন যেন দুইটা গানে ঘুরেফিরে বারেবার হারিয়ে যাচ্ছি। আরো একটু মন দিয়ে শুনবো বলে ভাবতেই হাওয়াবদল নামের একটা মুভির দুটা গান মন পুরো আওলে দিল নিমিষেই।
প্রথমেই অরিজিত্ সিং এর গাওয়া 'মনে পড়লে'। শুনে নিতে পারেন এখানে ।
গানের কথাগুলো এরকম -
মনে পড়লে
অকারন
কাউকে বলা বারণ।রিম ঝিমঝিম
বরষায়
তুই আজ ভেঁজার কারন।মেঘেদের ডাকবাক্সে
তোর চিঠি পৌছে দিলাম।হাওয়ায়
রাতপাখি গান গায়
চোঁখ মুঁছে যায়
রুমালে শুকায়
জ্বরের আরামে
ঘুম এসে যায়।লাস্ট ট্রেন
হলে মিস
তোর কাছে করি আবদার।
সময় ও অস্থিরতার শব্দ
বিষণ্ণ কবিয়াল
আয়নাগ্রন্থে লিখে চলে অস্থিরতার গান।
মেঘের ছায়া পড়ে
দ্রোহের প্রতিবিম্ব তীব্র গতিতে ছুটে যায়
আঙ্গুলের তেলতেলে রেখারা জমে পাতায় পাতায়
ঘেমে ওঠা হাতের স্পর্শ জেগে থাকে ফুটনোটে এবং মার্জিনের এখানে সেখানে।
অবসন্ন কবি
বই পোড়া ছাইয়ের মাঝে খুঁজে পায় রক্তের দাগ
অশ্রুর ছাপ
অস্থিরতার শব্দ বাঁধা পড়ে দোতারার তারে
জনতার পদশব্দে।
চন্দ্রাহত তরুণ
মাতাল জোছনায় ফিরে ফিরে চায় আকাশে
যেখানে রিক্ত পাতা আর শাখারা ঘিরে রাখে সুগোল যুবতী চাঁদ
নগরের সুউচ্চ অট্টালিকার দল জেলখানা হয়ে জানালায় চোখ রাখে।
আয়নায় প্রতিধ্বনিত হয় সময় ও অস্থিরতার শব্দাবলী...
বিষাদলোকের জোছনায় ভেসে যেতে, ভালোবেসে – কিছু কথকতা..
বেশ অনেকদিন ধরেই মনে হচ্ছিল আজকাল লুপে ফেলার মত নতুন গান বলতে গেলে আসছেই না। মাঝে মাঝে কালে কদাচিৎ কিছু হয়তো মিলে। কিন্তু তার জন্যও আজকাল হাত বাড়াতে হয় ওপার বাংলায়। কিছু কিছু সময়ে একসাথে যখন অনেকগুলি এলবাম রিলিজ পায় তখন দেখা যায় কয়েকটা গান পাওয়া যায় যা হয়তো কয়েকবার শোনা যায়। কিন্তু টানা শুনে নেয়া যাবে, আবার শোনা যাবে এমন কোন গানের এ্যালবামের কথা ভাবলে কিছুই মাথায় আসে না আমার।
খারাপই লাগে ভাবতে। সেই কবে পেয়েছিলাম কৃষ্ণকলি'র 'সূর্যে বাঁধি বাসা', অর্ণবের 'হোক কলরব' অথবা হাবিবের 'শোনো'। প্রায় সবগুলা গানই ছিল শোনার মত, দুয়েকটা ছাড়া কোন গানই স্কিপ করতে হত না। একবার ছেড়ে দিলেই হত, দিব্যি হারিয়ে যাওয়া যেত। তেমন এ্যালবাম আর পাওয়াই যায় না, এই আফসোস আমার মাঝে মাঝেই ঘুরে ঘুরে ফিরে আসে।
বন্ধু- আড্ডা - গান, এরই মাঝে প্রাণ!
শেষমেশ ফিরেই এলাম আবার।
এক কুঁড়ি দুই পাতার দেশ, সিলেট থেকে।
আবারও শুরু আমার চিরাচরিত অলস হাবিজাবি দুষ্টামি দিন।
একবার ভেবেছিলাম এই লেখাটার নাম দিবো, 'সিলেট থেকে ফিরে - ট্রাভেলগ!'। পরে মনে হল, তাহলে কথাটা মিথ্যা বলা হতে পারে! এগারো দিন থেকে এলাম বটে সিলেট, কিন্তু ঘুরতে যাইনি কোন খানেই। কেবল, আদর্শও ছুটির মেজাজে বেড়িয়ে এলাম এই কয়টা দিন।
আচ্ছা, শুরু থেকেই বলি।
পরীক্ষা তো সেই কবেই শেষ, তারও আগে থেকে সিলেট যাবো যাবো করছিলাম। হবে হবে করেও হচ্ছিল না। ১০ তারিখ হঠাৎ করেই মনে হল, যাই গা!
বায়াকে বললাম, ও অফিস থেকে কমলাপুর স্টেশন গিয়ে পেয়ে গেল পরের দিনের টিকেট! এমনিতে যেখানে ৩/৪ দিন আগেও টিকেট কাটতে গিয়ে ফেরত আসতে হয়।
আমাকে আর পায় কে!
টুকটাক কেনাকাটা সেরে সন্ধ্যার পরপরই ব্যাগ গুছিয়ে রেডি।
দ্রুতগতিতে চলছে জীবন
"ও ছোটপাখি ছোটপাখি সর্বনাশ হয়ে গেছে
পৃথিবীর পরে আর
তোমার-আমার
ভালোবাসার কেউ নেই, কিছু নেই।
ও ছোটপাখি ছোটপাখি
ভাংচুর হয়ে গেছে
শিশুদের খেলনায়, আমাদের দোলনায়, ডাকবাক্সের ঢাকনায়
রাস্তায় ল্যাম্পপোস্টে আলো নেই।
ও প্রেমপাখি প্রেমপাখি
গানটা হেরে গেছে, নদীটা ফিরে গেছে, পাহাড়টা সরে গেছে, সাগরটা মরে গেছে
আদিবাসী শামুকের কোনো ঘর নেই।
ও নেই নেই কিছু নেই
রাস্তার বাম নেই, শ্রমিকের ঘাম নেই, টাকাদের দাম নেই, চিঠিটার খাম নেই
আমাদের কারো কোনো নাম নেই।
ও ছোটপাখি ছোটপাখি সর্বনাশ হয়ে গেছে
পৃথিবীর পরে আর
তোমার-আমার
ভালোবাসার কেউ নেই, কিছু নেই।"
২০০৪-০৫ সালের কথা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি খুব বেশি দিন হয় নি। প্রাইভেট টিউটর বা পত্রিকার ইউনিভার্সিটি রিপোর্টার জাতের কিছু হয়ে ওঠার তাগিদ তখনো মনের ভেতর ঢোকার পথ খুজেঁ পায় নি। ইন ফ্যাক্ট, স্কুল-কলেজের বন্ধু-বান্ধবদের তখনো নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে রাখতে ভালো লাগতো। ক্যম্পাসে, ডিপার্টমেন্টের ক্লাসে- কোথাও খুব বেশি মন বসতো না। কিন্তু ক্যম্পাসে গেলে একটা জিনিস ঠিকই টের পেতাম, সেখানে আমার একটা নোঙর পোঁতা আছে। কোথাও না কোথাও।
আজ হতে বহুদিন পরে.. [এলোমেলো কাব্যকথন!]
বহুদিন;
হয়তো আজ হতে বহুদিন পরে,
হঠাত্ মনে পড়ে যাবে -
এই আমায়।
এক চিলতে রাস্তা ধরে;
আরও এক দিন হেঁটে যেতে যেতে,
এক টুকরো আদর মাখা রোদ্দুরে।
ধুসর প্রান্তর - সবুজ দিগন্ত ভুলে,
মনে পড়ে যাবে কোন মেঘলা দিনের গান।
পথ চলবেই,
চলতেই থাকবে।
হঠাত্ মেঘ কেটে যাবে;
দেখবে আকাশজোড়া নীল,
ভালোবেসে লীন হয়ে যাওয়া নীল।
হয়তো একটু বসতে চাইবে তুমিও,
ঠিক আমারই মত;
ছায়াসঙ্গী কোন পুরাতন স্মৃতির মত -
পথের পাশে কোন নদীর ধারে।
হয়তো কোন একাকী কালভার্টে -
পা দুলিয়ে চুপচাপ;
একা বসে থাকবে তুমিও,
চোখের পাতা পর্যন্ত স্হির -
হঠাত্ থেমে যাওয়া সময়ের হাত ধরে।
কচি সবুজ পাতার ডাকে;
হয়তো শুয়ে থাকবে ঘাসজমিনে,
ঠিক আমারই মত।
তোমার চোখেও খেলা করে যাবে,
আলো আঁধারির কথকতা।
আনমনা মন হারিয়ে যাবে,
হাওয়ায় হাওয়ায়;
চেনা অচেনা গানে।
এভাবেই;
কিছু থেমে থাকা সময়ের পরে,
আবারও ফিরবে পথে।
তোমাকে যে ফিরতেই হবে,
এমনটাই যে কথা ছিল -
তোমার না বলা কথায়।
পথ চলবে - তুমিও।
অপেক্ষায়,
গোধূলির সুপ্রিয় বিষণ্ণ ক্ষণ।
হঠাত্ দিনের শেষে এসে,
অথবা ভোরের মুগ্ধতা ছোঁয়া;
আলো অন্ধকারে -
জলে যায় জলের পোকা, স্কুলে যায় কোলের খোকা
সেদিন দু'টি চড়ুই পাখির কলহ দেখছিলাম। আমি আর দুর্জয়। ওরা ঝগড়া করতে করতে নিজেদের আবাসস্থল ছেড়ে মাটিতে নেমে এসেছিলো। ছেলে চড়ুইটা চড়ুই পাখির ভাষায় চিৎকার করে অন্য চড়ুইদের কাছে সঙ্গীনির নামে বিচার দিচ্ছিলো। আর আশপাশটা ঠিক তখনই নিশ্চুপ হয়ে যেতে দেখে বুঝে ফেললো, দু'টি মানবসন্তান ওদের খেয়াল করছে। সঙ্গে সঙ্গে দুই জন ফুড়ুৎ। চড়ুই পাখিরা কখনোই নিজেদের ঝগড়া মানুষকে দেখতে দিতে চায় না।
সেই ঝগড়ার পুরো সময়টিতে মেয়ে চড়ুইটিকে একবারের জন্যও মুখ খুলতে দেখি নি। ভালবাসা মনে হয় এমনি। সঙ্গীর প্রতি যদি অভিযোগই থাকে, তাহলে কি ভালবাসা থাকা সম্ভব?
ছোট পাখি ছোট পাখি ভাঙচুর হয়ে গেছে শিশুদের খেলনায়, আমাদের দোলনায়…
মাই ড্রিমজ ১
স্বপ্ন জিনিসটা ধ্রুবক না। সময়ের সাথে সাথে স্বপ্নও পাল্টায়। স্বপ্ন, এমন কি দুঃস্বপ্নও আমার কাছে উপভোগ্য। স্বপ্ন বাস্তব হলো কি না, এই হিসাব মেলানোর চেয়ে স্বপ্ন দেখাতেই, উপভোগ করাতেই আমার বেশি আনন্দ।
আমার একটা স্বপ্ন আছে, খুব ছোট্ট একটা সবুজ টিনের ঘরের স্বপ্ন। সেই ঘরের সামনে থাকবে একচিলতে উঠোন। উঠোনের সীমানা ঘিরে থাকবে ঘন দেবদারু গাছ। সীমানার মাঝখানটায় থাকবে মাঝারি একটা বাঁশের গেট। গেটের সামনে, বাড়ি ঢোকার লাল খোয়ার চিকন পথ ছেড়ে, টলমল করবে ছোট্ট একটা ডোবা। এই ডোবায় খুব আদরের সাথে কিছু লাল শাপলা রাখা হবে। এই ডোবার সামনেই থাকবে একটা শাদা রঙ করা কাঠের বেঞ্চ। এই বেঞ্চে হেলান দিয়ে কোন কেশবতী ইচ্ছা করলে মাটিতে চুল ছড়াতে পারবে।
ওপরে সবুজ টিন আর নীচে বাঁধানো মেঝের মাটির ঘরটায় তেমন কিছু থাকবে না। একটা তোষক। সবুজ মশারি। নীল বিছানার চাঁদর। ফিরোজা বালিশ। একটা বড়ো ফ্লাস্ক। দুটো খয়েরি মগ। মেঝেয় ছড়ানো ছিটানো থাকবে বই খাতা আর কলম।
চলবে...
অস্থির সময়ের ভিড়ে কিছুক্ষণ!
অস্থির সময় আমাদেরকে এক অনিশ্চিত পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আমরা প্রত্যেকেই কম বেশী আতঙ্কিত। তবুও জীবন থেমে থাকবে না, হরতাল, জ্বালাও-পোড়াও, মৃত্যু সবকিছু ছাপিয়ে মানুষ এগিয়ে যাবে জীবনের প্রয়োজনে! এতদিনের পরিচিত যাপিত জীবনে এখন যোগ হয়েছে নতুন আকাঙ্খা! অনেকদিন ধরে বয়ে বেড়ানো স্বপ্নের বাস্তবায়ন! জানি এ পথ মোটেও সহজ নয়, তবুও স্বপ্নের হাত ধরে সবাই এগিয়ে চলি আগামীর পথে!
সেই ছোটবেলা থেকেই গানের সাথে বন্ধুত্ব! ভায়োলিন আমার খুব প্রিয় একটি মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট, কিছুদিন অবশ্য এটা শেখার ভীমরতিতে পেয়ে বসেছিল তবে সময় আর প্রাক্টিসের অভাবে ভাটা পড়েছে সে চেষ্টায়! তবুও মাঝে মাঝে প্রিয় কিছু সুর শুনি, সবার সাথে শেয়ার করতেই লিঙ্কগুলো দিলাম!
বয়েজ ডু ক্রাই টু..
বাসায় মুভি নাইট ছিল আজ।
শুক্রবার দিন, সারাদিনই সবাই ফ্রি। রিল্যাক্স মোডের একটা দিন।
কিছু মুভি জমেছে দেখার মত, মুভিখোর সবাইকে একসাথে পাচ্ছিলাম না - তাই।
সারাদিনেও বেশ কয়েকবার ভেবেছি, সবাইকে নিয়ে দেখতে বসব একটা কিছু।
হয় নাই, সবাই যে যার মত ইজি কাজে বিজি।
ছুটির দিন এলেই একেকজন আমরা সবাই আলিস বালিশ।
বিকেলের দিকে একটু ঘুরাঘুরি আর কয়েক কাপ চা। ব্যাস, দিন শেষ!
রাতের খাবার খেয়ে মামা আর ভাইয়াকে নিয়ে বসলাম মুভি দেখতে।
প্রথমে ছেড়েছিলাম, 'দ্যা বিস্ট অব দ্যা সাউদার্ন ওয়াইল্ড'।
প্রিন্ট মোটামুটি, দেখে ফেলা যায় আর কি। কিন্তু কিছুক্ষণ দেখে মনে হল
একেকজনের যে উচ্চারন - এই মুভি সাবটাইটেল ছাড়া দেখাটা বোকামি হবে!
রেখে দিলেম আরও 'কোন একদিন' এর জন্য।
যাই হোক, কিছুক্ষণ এটা ওটা ঘেঁটে শেষে থিতু হলাম 'অসম্ভব'-এ এসে!
মুভির অরিজিনাল টাইটেল 'ল ইম্পসিবল' , ইংরেজিতে 'দ্যা ইম্পসিবল', এটা ২০১২ সালে ইংরেজি ভাষায় তৈরি একটি স্প্যানিশ ডিজাস্টার ড্রামা।
রাত যত গভীর হয়, ভোর তত এগিয়ে আসে
১.
দেশে একটা সংকটকাল উপস্থিত হয়েছে। চাপাইনবাবগঞ্জ, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সাতক্ষীরা, রংপুর, ঠাকুরগাও, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা, ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় ৪ পুলিশসহ ৪২ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে 'দেইল্যা রাজাকার'-এর ফাঁসির আদেশ দেয়ার পর এসব সংঘর্ষ শুরু হয়।
লক্ষণীয় যে, ৫ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন রায় ঘোষণার পর দেশের আপামর জনতা রাজপথে নেমে এসেছিলেন। ৫ তারিখ সন্ধ্যার পরের অংশটুকু বাদ দিলে এ আন্দোলনের বয়স ২৪ দিন। আর ওই আগুন লাগানো সন্ধ্যাটিকে ধরে হিসাব করলে ২৫। এতগুলো দিন আমরা কাদের মোল্লাসহ সব রাজাকারের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি, কিন্তু একজন মানুষকেও কুটোর আঁচ পেতে দিই নি। অথচ ওদের নেতার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার পর মাত্র ১ দিনে সারাদেশে মরতে হয়েছে ৪২ জন মানুষকে। অনেকে আবার ওদেরই দলের সদস্য। এই জামায়াত-শিবিররকে যে আমরা রক্তচোষা জানোয়ার বলি, সেটা কি ভুল বলি?
আবোল তাবোল - ১৫
# আমি; এবি, আমরা : বাউন্ডুলের জবানবন্দি #
আজকাল এবি তে আসলেই মন ভাল হয়ে যায়। আমি এবি'র খোঁজ পাওয়ার পর থেকেই দেখে আসছি, ভাল লেখা যত টা না চোখে পরে তার চাইতে ঢের বেশি লেখা অদেখাই রয়ে যায়। এর বড় একটা কারন হল ভাল লেখিয়েরা এখন আর লেখতেই চান না, প্রিয় লেখিয়েরা কেবলই হারিয়ে যাওয়াদের দলে নাম লেখিয়ে যান!
তাই বরাবরই আমার একটা আফসোস কাজ করত যে, এবি'র স্বর্ণযুগটা আমার দেখা হল না! ইদানিং সেই আফসোস টা আস্তে আস্তে কেটে যাচ্ছে।
প্রিয় লেখকেরা আবারও ফিরে আসছেন, লগ-ইন করছেন । চমৎকার সব লেখা পর্যন্ত দিচ্ছেন। আর এবি'র নিয়মিত প্রানের বন্ধুরা তো সাথে আছেন প্রতিদিনই।
সব মিলিয়ে প্রায় প্রত্যেকদিনই প্রথম পাতায় জায়গা করে নিচ্ছে অসাধারণ সব লেখা, প্রিয় ব্লগ কে এমন প্রাণচঞ্চল দেখতে কার না ভাল লাগে!
প্রায় মাসখানেক পার হয়ে গেছে, কিছু লিখতে বসা হয় না। বেশ কয়েকদিন ধরেই ভাবছি, হাবিজাবি একটা কিছু লিখব। লেখা হয় না। আসলে, লেখার সাহস আর উৎসাহ কোনটাই আগের মত পাই না আজকাল।
২৮শে ফেব্রুয়ারী ২০১৩
সকাল থেকে বসে ছিলাম দুরুদুরু বুকে। ৫ই ফেব্রুয়ারী কি আবার ফিরে আসছে আমাদের বাংলায়? আবার কি ফুঁসে উঠবে সবাই? নাকি হতাশা নিয়ে ফিরে যাবো ঘরে, পরাজিত কুকুরের মত মাথা নীচু করে...
সময় কাটে, বুকের ধুক ধুক শব্দ বাড়তেই থাকে। এমন অপেক্ষা করি নি কখনো। যদিও সকল লজিকাল পথ গিয়ে একটা পথেই মিলছিলো, তবুও চিরদিনের পেসিমিস্ট মন মাথা চাড়া দেয়। যদি কোনো কম্প্রোমাইজ করা হয়, যদি আমাদের আবেগ নিয়ে আবার খেলা হয়...
বাসায় টিকতে না পেরে ছুটে যাই অফিসে, একটা দু'টো ছোট কাজ সেরে নিষ্পলক তাকিয়ে থাকি ফেসবুকে। একটু পরে পরেই রিফ্রেশ দেই পেজ, অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘতর হ'তে থাকে। অস্থিরতা বেড়েই চলে...
অফিসও অসহ্য লাগতে থাকে। শাহবাগ হাতছানি দিয়ে ডাকতে থাকে। অফিস থেকে শাহবাগে চলে যাই। শাহবাগ যেতে যেত মনে পড়ে ৫ তারিখের কথা। সে সময়ের হতাশা, তার পরে সেই হতাশা থেকে আশার সঞ্চার। তবুও মনের আশঙ্কা কমে না। যদি কোন খেলা চলে...
শাহবাগে গিয়ে একে একে দেখা হয় অনেকের সাথেই। সবাই শংকিত, সবার মনেই কি হয় কি হয় ভাব...