ইউজার লগইন
ভালোবাসা
এনাএনাদ্দার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য
ভুমিকাটাঃ-
আইচ্ছা, পিরে আসার্পর আবার্ফের চৈলাগেস্লাম। শাবাগে ডাক দিসিলো যেডি এরাইতে পারিনাই। হাজার্হৌক, দেশের্ডাক এরানি যায়না। পৈলা পৈলা পতিদিং গেসি, এক্সপ্তা পরেত্থে যাউয়া কোমাইয়া দিসি। প্যাটের্ধান্দায় থাক্তে হৈলে এট্টুহিসাব কর্তেই হৈ। যাউজ্ঞা এলা, যা কৈতেসিলাম- শাবাগের আন্দুলুন আমার্ভিত্রে জোশাইনা দিসিলো। কিন্তুক রিসেং কামকার্বারে হাল্কিশ ঝাস্পা হৈয়া যাইতেচি আর্কি। অবৈশ্য আমার্ঝাস্পা হোউয়ায় আস্লে কিছু যায়াসে না। ত্য হাচা কৈতেছি বেলুঙ্গের কতা হুনলেই কেরাম কন্ডম কন্ডম চিন্তা মাতায় হান্দায় যায়, কিকর্মু? মনৈ পাপ। আমি হ্লায় সুবিদাবাদির *ট, হেল্লিগা আমার্কতায় কান্দিয়েন্না। পোলাপাইনে কস্ট কর্তেছে অবৈশ্যৈ সফল হৈবো। যত দুয়া কালামজানি পর্তেছি সবার্সাফল্যের লাইগ্যা।
আইজারা আবার্ফের হাজির্হৈসি আরেআরেক্কান প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য হাতেরাঙ্গুলের ডঘায় লৈয়া। আপ্নেগোর খিদ্মতে প্যাশকর্তেচি এইবেলা
এনাএনাদ্দার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য
আম্রার পুতলা আম্রারে কয় মেও
তুম্রার পুতলা কেম্মে চুম্মা দেও
তুমার চৌক্ষে যকন রাকি চৌক্ষ
পাংখা মেইল্ল্যা উইরা যায়গা দুক্ষ
হে সহযোদ্ধা, এবার দেখা হবে রাজপথে, শুধুই রাজপথে
জীবনটা সবসময় সুন্দর নয়। কিন্তু মাঝে মাঝে এত বেশি সুন্দর যে, তখন আবার মনে হয় এটা কি কোনো স্বপ্ন? প্রজন্ম চত্বরে স্বপ্নবান তরুণেরা এক অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছে। যে বিপ্লবের আগুন আজ দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়লো, এটা সমাজকে পরিবর্তন না করা পর্যন্ত নিভবে না। আমি হলফ করে বলতে পারি। সামনে আসছে নতুন দিন।
আজ ৮ম দিন চলছে। বিপ্লবী জনতাকে হাত করার বহু চেষ্টা এরই মধ্যে হয়েছে। চেষ্টা হয়েছে চোখ রাঙিয়ে তাদের ঘরে পাঠানোর। শিবির সপরিবারে হত্যার হুমকি দিয়েছে লাকীকে। ছাত্রলীগ পর্যন্ত সুযোগ বুঝে হাত উঠিয়েছে তার গাএ। এত কিছুর করেও লাকীর কণ্ঠের আগুনকে নেভানো যায় নি। নেভানো যায় নি প্রজন্মের সৈনিকদের বুকের আগুন। এ আগুন কোনো কিছু না জ্বালিয়েই নিভে যাবে, এ কথা আমি বিশ্বাস করি না।
পরান আমার শাহবাগে এখন যেন মরে ও শান্তি পাব
শাহবাগ সে যেন পরানের পরান ,আমি তো জানি না রাজনীতি শুধু ভালবাসতে জানি দেশ ও মানুষকে।
যারা ভালবেসেছে তারা সবাই এসে মিলেছে শাহবাগে ,পরান চত্বরে এই ভালবাসা মানুষে মানুষে যার বিবেক জাগ্রত হয়েছে, জাগ্রত হয়েছে যার চেতনা-অনুভূতি।আজ বড় আনন্দের দিন সে কতদিন পরে দেখেছি মানুষের ডাক,এত দিন জানতাম মানুষ তার হারিয়েছে..
তা আজ মিথ্যে হয়ে গেল,,,
মানুষের ডাকে মানুষ এ সেছে .......তাই যত পশু ছিল তারা গেল তলিয়ে।
জয় শাহবাগ,জয় পরান,জয় হোক ভালবাসার।।
...এ যেন, স্বপ্নের হাত ধরে কৃষ্ণপক্ষের রাত্রির অন্ধকারে অনন্তের পথে চলেছি আমরা
১৯৪৭-এ বিতর্কিত দ্বিজাতি তত্ত্বের আলোকে দেশ ভাগ, ’৫২ এর
স্বাধীনতার আন্দোলন, ’৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬ এর ছয় দফা আন্দোলন, ’৬৯
এর গণ অভ্যুত্থান, ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা লাভ, ’৯০ এ স্বৈরাচার
পতন--এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ, আজ কোথায়, কোন অবস্থায় আছে !
কেমন আছে আমার দেশ, দেশের মানুষ, আমার মাতৃভূমি, আমার প্রিয় জন্মভূমি,
আমার স্বাধীনতা? এ ভাষা আন্দোলনের মাসে পরাজিত রাজাকার আর তাদের বংশধররা
কার বা কাদের সহযোগিতায় ’৭১ এর মানবতাবিরোধী, কুখ্যাত রাজাকারদের মুক্তির
জন্য আন্দোলন করে, দেশ ব্যাপী হরতাল করে ? কোথা থেকে তারা এত সাহস পায়?
পৃথিবীর কোন দেশ ধর্মীয় জাতি সত্ত্বার কারণে বিভাজিত হয়নি, শুধু ভারত
ছাড়া; কোন দেশে স্বাধীনতার যুদ্ধে পরাজিতরা মাথা তোলে কোনদিন দাঁড়াতে
পারেনি; শুধু বাংলাদেশ ছাড়া।
বিজ্ঞান ও সভ্যতার চরম উন্নতির এ যুগেও কোন কোন ধর্মীয় রাজনৈতিক
গোষ্ঠী বেহেস্তে যাওয়ার টিকেট বিক্রি করে। তাদের জেলে ঢুকালে বলে আল্লাহ
তাদের ঈমানের পরীক্ষা করছেন আর উকিলের মাধ্যমে জামিন বা মুক্তি পেলে

এখন শুধু যোগ দিতে হবে, আর কিছু করতে হবে না
শাহবাগে সাইবার যুদ্ধ চলছে। প্রতি মুহূর্তে বীর সেনানিরা সেখানে যোগ দিচ্ছেন। কাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে যখন মাইকে ঘোষণা শুরু হলো এ যুদ্ধের ব্যপারে, তখন যাচ্ছি-যাবো করেও আর যাওয়া হয় নি। টানা চার দিনের ক্লান্তি মাথায় নিয়ে দেড়টায় বাড়ি ফিরে দেখি ২২০০ সৈনিক ততক্ষণে যোগ দিয়ে ফেলেছেন। আমি আর দেরি করলাম না। সকালে উঠতে দেরি হলো। ততক্ষণে ৩৫৫০ জন যোগ দিয়ে ফেলেছেন সাইবার যুদ্ধে। এ যুদ্ধে যারা এখনো যোগ দেন নাই, তাদের জন্য লিংক এখানে (ক্লিক করুন)। দেরি করার সুযোগ নাই। যোগ দিয়ে ফেলতে হবে এবং তারপর থেকে ছাগু আইডি/ ব্লগ প্রোফাইল যাই পান না কেন, শেয়ার করতে হবে পাতাটাতে। অন্যদের শেয়ার করা একই উপাদানগুলোর ব্যপারে রিপোর্ট করতে হবে। আমার-আপনার কাজ আপাতত এটুকুই।
কিছু কথা কিছু ছোট ছোট দৃশ্য আর কিছু পরিকল্পনা
বিষয়ভিত্তিক কিছু কার্যক্রম নিয়ে অগ্রসর হতে হবে। হাজার দশেক বেঁতের লাঠি জোগাড় করে রাখা দরকার। অন্তত যেকোন রকম তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ নিশ্চিত করে রাখার জন্য। শিবিরগুলা শূকর বেশি। গতকাল ইস্ট-ওয়েস্টের ছেলেপিলেদেরকে ওরা ধাওয়া করেছিলো। মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসার সময়। রামপুরাতে। এদের যেকোন সময় প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
চট্টগ্রামে হরতাল কেমন হচ্ছে, সে খবর এখনো পাই নাই। আজকে যদি চট্টগ্রামে কোনো গণ্ডগোল হয়, তাহলে সেটা যে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে তাতে কোনো সন্দেহ নাই। পত্রিকাগুলো ইতোমধ্যে সারাদেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে বলে দাবি করেছে। এখন একটা বারুদের ঘষাই যথেষ্ট স্ফূলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ার জন্য। আজকের পত্রিকার শিরোনামগুলো নিয়ে একটা কোলাজ করার চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। বিবিসি, সিএনএন-এর ওয়েবসাইটগুলোতে বাংলাদেশের খবর ফলাও করে ছাপা হচ্ছে। ইতিবাচকভাবেই হচ্ছে। সেগুলো নিয়েও কিছু করা যায় কিনা ভাবছি।
কিছু ছোট ছোট দৃশ্য
সময়ের লাশ শেষ পর্ব
সন্ধ্যার পর বাবা তার ছাত্র মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহকে নিয়ে বাসায় আসলেন। মাহফুজ ভাই প্রায়ই আমাদের বাসায় আসতেন। তিনি কবিতা, গল্প লিখেন পত্র-পত্রিকায়। আমি সেই বিকাল থেকে কান্নার্ত চোখে শুয়েছিলাম। বিছানা থেকে উঠে দরজায় আসতেই মাহফুজ ভাইয়ের মুখ থেকে ছাত্র হত্যার ঘটনা শুনতে পেলাম। উনি বলতে লাগলেন, “আগের দিন থেকেই একটা আশঙ্কা ছিল--আগামীকাল মারাত্মক কিছু ঘটে যেতে পারে। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাষ্ট্র ভাষার দাবীতে কোন মিছিল হলে সরকার কঠিন ব্যবস্থা নিতে পারে। অবশ্য মিছিলের উপর গুলি বর্ষিত হতে পারে এমন আশঙ্কা আমার মনে ছিল না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাই ঘটলো। সংবাদ অফিসে থাকতেই শুনলাম, বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের অবস্থা খুবই খারাপ। ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে মিছিল শুরু হয়েছে, যে কোনো সময় মারাত্মক অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। আমি শংকিত চিত্তে আবার আজিমপুরের দিকে যাত্রা শুরু করলাম, সারা পথেই স্থানে স্থানে মানুষের জটলা। সবাই শংকিত, কি ঘটে না ঘটে। আজিমপুরে পৌঁছেই শুনলাম, মেডিকেল কলেজের মোড়ে পুলিশ ছাত্র জনতার উপর গুলি করেছে, বহু মানুষ তাতে মারা গেছে। এই খবর শুনে আমিও অন্যান্য মানুষের সঙ্গে দৌঁড়ে পলাশী ব্যারাকের মোড়ে গেলাম। তখন
সময়ের লাশ ৪ র্থ পর্ব
মনে পড়ে, আর একদিনের কথা। সেদিন পুকুরে এক ঘটি জল আনতে গিয়েছিলাম লক্ষ্মী পূজাটা সম্পন্ন করার জন্য। অনেকটা ইচ্ছে করেই গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি ও স্নান করছে। পায়ের কাপড়টুকু উঠিয়ে যেই ঘটিটা পানিতে ডুবিয়েছি অমনি সে বলতে আরম্ভ করল, আমি যাকে ভালোবাসি তার পা আমি কোনদিন দেখিনি। তার বুকে হেঁটেছি, শুয়েছি। একদিন হয়তো তার কোলে ঘুমিয়ে যেতে হবে। আমি বেশ লজ্জা পেয়েছিলাম। কোন কথা না বলেই সেদিনও চলে এলাম। ঘাটের সিঁড়ির চারটি ধাপ পার হতেই ও আমাকে পানি ছিটিয়ে দিল। বলল, ‘তুমি সুন্দর, আমার সেই প্রেমিকার মত--ঠিক প্রেমিকার মত!’ কে ওর প্রেমিকা? সেদিন বুঝতে পারিনি। অনেক পরে বুঝতে পেরেছি। আরেকদিন কোন এক কথা প্রসঙ্গে বাবাকে বলেছিল, ‘জানেন স্যার, এই বাংলার সবাইকে আমার বড় আপন মনে হয়। আমার তো মা-বাবা কেউ নেই। তাই এ দেশ, এই মাটিই আমার মা-বাবা।’ ওর সাথে কখনও কথা বলিনি। কেন? লজ্জা হয়? না, অন্য কিছু--আমি জানি না। আমাদের ব্যাপারটা মা-বাবা-রাম সবাই জেনে গেছে। তাই আমাকে প্রায়ই মায়ের বকা শুনতে হয়। সুমাদকেও একবার বকা শুনতে হয়েছে। একদিন দূর থেকে ওকে দেখেছিলাম। ও কাঁদছে। কেন কাঁদছে? কেন?
যদি আসে তব কেন যেতে চায়, দেখা দিয়ে তব কেন গো লুকায়
............................................................................................................................................................................................................................
যখন তোমার সঙ্গে আমার হলো দেখা
লেকের ধারে সঙ্গোপনে
বিশ্বে তখন মন্দা ভীষণ
রাজায় রাজায় চলছে লড়াই উলুর বনে
লেকের ধারে না, ছেলেটার সঙ্গে মেয়েটার দেখা ক্লাশে। দেখা বলা হয়তো ঠিক না। বলা যায়, ছেলেটা মেয়েটিকে প্রথম দেখলো ক্লাশ রুমে।
ছেলেটি খোঁড়েনি মাটিতে মধুর জল
মেয়েটি কখনো পরে নাই নাকছাবি
ছেলেটি তবুও গায় জীবনের গান
মেয়েটিকে দেখি একাকী আত্মহারা
মেয়েটি একাকী আত্মহারাই থাকে। নতুন ক্লাশ। কেউ কাইকে চেনে না। তবুও মেয়েটির কোনো দ্বিধা নেই। সে সবার সঙ্গে মেশে কথা বলে। লাজুক ছেলেটি কেবল দূর থেকে দেখে। নামও জানে না। কেবল জানে রোল ২৬। ছেলেটির রোল ১৯।
একদিন ছেলেটিকে উৎফুল্ল দেখা যায়। ছেলেটিকে বলি, খবর কি? কোনো উত্তর দেয় না। ছেলেটি তার বন্ধুকে বলে। তার বোনটি যে বন্ধুর মতোই। রোল ২৬ এখন রোল ১৯ এর সঙ্গে অনেক কথা বলে।
সময়ের লাশ 3য় পর্ব
দু’জনেই চলে গেল। বাবা অবশ্য আদর করে বলেছিল, ‘এগুলো কিছু না, মা। কালই আমি সুমাদকে নিয়ে আসব।’ স্বপ্নের কথা বললেও চিঠির কথা গোপন রেখেছিলাম। আবার ঘুমিয়ে ভাবতে লাগলাম আর মনে মনে বলতে লাগলাম--আমি কে?--না, আমি দিলীপ দাসের মেয়ে কল্যাণী। আমার বয়স চৌদ্দ। বাবা-মা আমার জন্য বর দেখছে। আমি শিক্ষিতা, সুন্দরী (সবাই বলে)--আমার হবু স্বামী নিশ্চয়ই খুব সচ্ছল হবে। তবে সুমাদ একি বলছে, আমি একটা মানচিত্র! রাত তিনটা বাজে। আমি আবার চিঠি পড়তে শুরু করলাম। ‘তোমার সারা দেহের লোমে লোমে ছড়িয়ে আছে আ- ই- ক- ম...। ওরা তোমাকে দলিত মথিত করে তোমার লোমগুলি একটি একটি করে তুলে নকল উর্দু অক্ষরযুক্ত লোম লাগিয়ে দেবে। তুমি অপসংস্কৃতি আর পরাধীনতার শৃংখলে আটকে যাবে। তোমার ভাষা হবে দেহের সাথে সম্পর্কহীন। তোমার কথা এত মধুর শুনাবে না। বুঝতে পারনি?
একটি রোবটের আবেগ
সময় কত দ্রুত কেটে যায় !!! এই তো সেদিনের কথা, সারাদিন অফিস করে গিয়েছিলাম একটা পার্টিতে। পার্টি যখন প্রায় শেষ তখন, হঠাত বড় আপার ফোন, ধরতেই জিজ্ঞেস করলো, কোথায় তুমি ?
আমি বললাম, এইতো একটু বাইরে আসছি।
তখন হঠাত বড় আপার কন্ঠ ভারী হয়ে গেলো, বললো তারাতারি বাড়ির উদ্দেশ্যে রউনা দাও । কাদতে কাদতে বললো, আব্বা আর নেই ।
আমি আর কিছুই জিজ্ঞাসা করতে পারলাম না। শুধু নিজেকে অস্তিত্বহীন মনেহল । বললাম আচ্ছা।
তারপর ঠিক এমন সময়েই রউনা হয়েছিলাম মৃত বাবার মুখটি দেখতে।
আজ আবার যাচ্ছি , দেখতে দেখতে একটি বছর কেটে গেলো, ছায়াহীন অবস্থায় বেচে আছি। কোথায় যেন একরাশ শূন্যতা। এখন আর শীতের দিনে কেউ কল করে আমায় বলে না, বেশিরাত পর্যন্ত বাইরে থেকো না, আর ঠান্ডা লাগিও না, তোমার তো আবার ঠান্ডার সমস্যা। এই বুঝি আমার একমাত্র হাহাকার।
মাঝে মাঝে বন্ধুদেরকে খুব ভাগ্যবান মনে হয় যখন দেখি ওদের বাবারা ওদের খোজ নিচ্ছে। তখন একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে আপন মনে বলি, বাবা যেখানেই থাকো, ভালো থেকো। হয়তো তোমার ভালো ছেলে হতে পারিনি, কিন্তু বিশ্বাস করো খারাপ ছেলে ও হইনি । আর কথা দিচ্ছি হবোও না।
’৫২ সালের সময়ের উপর ভিত্তি করে ধারাবাহিক গল্পঃ সময়ের লাশ ১ম পর্ব
স্বপ্নের হাত ধরে কৃষ্ণপক্ষের রাত্রির অন্ধকারে অনন্তের পথে ছুটে চলা স্মৃতিগুলো প্রত্যেক মানুষের জীবনে জোনাকীর মত জ্বলে আর নিভে। ‘সময়ের লাশ’--গল্পে বৃদ্ধ বয়সে উত্তম পুরুষের বাচন শৈলীতে নায়িকা নায়কের সাথে তার প্রেমের কাহিনী এবং ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভুমির কিয়দংশ বর্ণনা করেছেন। এখানে নায়ক ’৫২ সালের সময়ের ধারক, নায়িকা মাতৃভূমির ধারক অর্থাৎ গল্পটি যেন, ’৫২ এর সময়ের সাথে লাজুক মাতৃভূমির ভালোবাসা-লুকোচুরি-মিছিল-আন্দোলন-যুদ্ধ-মৃত্যুর খেলা।
সময়ের লাশ
--শাশ্বত স্বপন
’৫২ সালের সময়ের উপর ভিত্তি করে ধারাবাহিক গল্পঃ সময়ের লাশ
স্বপ্নের হাত ধরে কৃষ্ণপক্ষের রাত্রির অন্ধকারে অনন্তের পথে ছুটে চলা স্মৃতিগুলো প্রত্যেক মানুষের জীবনে জোনাকীর মত জ্বলে আর নিভে। ‘সময়ের লাশ’--গল্পে বৃদ্ধ বয়সে উত্তম পুরুষের বাচন শৈলীতে নায়িকা নায়কের সাথে তার প্রেমের কাহিনী এবং ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভুমির কিয়দংশ বর্ণনা করেছেন। এখানে নায়ক ’৫২ সালের সময়ের ধারক, নায়িকা মাতৃভূমির ধারক অর্থাৎ গল্পটি যেন, ’৫২ এর সময়ের সাথে লাজুক মাতৃভূমির ভালোবাসার লুকোচুরি-মিছিল-আন্দোলন-যুদ্ধ-মৃত্যুর খেলা।
সময়ের লাশ
--শাশ্বত স্বপন

হাওয়া লেগে ভেঙে গেল ভোর..
এক্সাম চলছে, আদ্দেকও শেষ হয়নি এখনও।
আপাতত হাবিজাবি আর কিছু লেখার ইচ্ছা ছিল না খুব একটা,
তবুও আসতেই হল।
এমনিতেই এক্সাম টেক্সামের টাইমে মন মেজাজ খারাপ থাকে,
[গাধা টাইপ ইস্টুডেন্ট, এক্সাম খারাপ হবে আগেই জানি তাই মনে হয়!]
সবার সাথে শুধুশুধুই অভিমান হয় – গলার রগ ফুলিয়ে ঝগড়া করতে ইচ্ছা হয়!
তার উপর এই ছাতার পরীক্ষার যন্ত্রনায় আমাদের পিকনিকটায় পর্যন্ত যাওয়া হল না, এইডা কিছু হইল!
কালকে রাতেই শান্ত ভাই এর পিকনিক পোস্ট দেখছি, এখন আবার জেবীনা’পু।
ব্লগ পইড়া আর সব ফটুক দেইখা হিংসিত হওয়াটাই স্বাভাবিক,
আমার হইছে আজিব সমস্যা – পড়ি/দেখি আর মন আরও খারাপ হয়!
শান্ত ভাই ভাল আছে, একবার আমার কথা মনে করছে! আর সবাই পাষাণ!
কত্ত বড় সাহস সবার, আমারে ফালাইয়া সবাই একলা একলা চা খায় আবার তা লইয়া ব্লগ লেইখা দুনিয়া ভইরা ফালাইছে! কি নিষ্ঠুর, কি নিষ্ঠুর!
যাই হোক, কি আর করার!
প্রিয় কিছু মানুষ ভাল কিছু সময় কাটাইতে পারছে একসাথে - দেখতে খারাপ লাগতাছে না! আল্লাহ চাহে তো, নেক্সট টাইম আমারও দিন আসব নে!
তারপর একরাশ কালো কালো ধোঁয়া
ঠিক কি কারণে জানি না, মানুষের জীবনে কখনোই স্থিরতা আসে না। কখনো ভালো সময় যায়। কখনো খারাপ সময়। সাধারণত খারাপ সময়গুলো দীর্ঘস্থায়ী হয়। ভালো সময়গুলো ক্ষণস্থায়ী। হয়তো আপেক্ষিকতা কাজ করে এর পেছনে। যে সময়গুলো আমাদের ভালো লাগে, সেগুলোকে আমরা দ্রুত চলে যেতে দিতে চাই না। সেজন্যই হয়তো সেগুলো দ্রুত চলে যায়। খারাপ সময় দীর্ঘস্থায়ী হোক, তা চাইনা বলেই হয়তো সেগুলো অনেকদিন পর্যন্ত সঙ্গে সঙ্গে থাকে। এভাবেই পার হয় দিন। পার হয়ে যায় গরু, পার হয় গাড়ি/ দুই ধার উঁচু তার, ঢালু তার পাড়ি।