ইউজার লগইন
ভ্রমনকাহিনী
হোয়াট হ্যাপেনস ইন ভেগাস...( শেষ পর্ব)
পবিত্র রমজান মাস চলে আসতেছে। ভেগাস নিয়া পোস্টে দিতে দেরী করলে পরবর্তীতে রমজানের পবিত্রতা বিনষ্ট করার অপরাধে আমার ফাঁসির দাবী আসতে পারে। তাই হাজার ঝামেলার মধ্যেও শেষ পর্বটা নামিয়ে ফেললাম। তাড়াহুড়া করে লেখা, ছবি পোস্টানো, ভুল-ত্রুটি মার্জনীয়
হোয়াট হ্যাপেনস ইন ভেগাস...
শিরোনামের কথাটা শুনতে শুনতে কান পঁচে গেছে। নাটিকে, সিনেমায়, বন্ধুবান্ধবের আড্ডায় সবাই লাস ভেগাসের প্রসঙ্গ উঠলেই কথায় কথায় বলে বসে হোয়াট হ্যাপেনস ইন ভেগাস স্টেইজ ইন ভেগাস। কিন্তু কেউ ব্যাখ্যা করে বলে না, আসলে এর মানে কী। অনেকদিন যাবতই ইচ্ছা ছিল আমরিকা গেলে ভেগাসে একবার একটা চক্কর মেরে আসব। এমনই কপাল এবার কনফারেন্সের ভেন্যুই গিয়ে পড়ল একেবারে মালীর ঘাড়ে--মানে লাস ভেগাসে। আর পায় কে, লাস্ট মিনিটে টিকেট
ঘুরাঘুরি ব্লগ: ২০ টাকা সাশ্রয়ীদের কথা ও আমার গাইবান্ধা সফর
১.
গাইবান্ধায় আমার প্রথম পা রাখাটা বেশ নাটকীয় বলা যায়। গাইবান্ধায় আমাদের জেলা প্রতিনিধি তোতা ভাই অল্পক্ষণ পর পরই ফোন করছিলেন। আধঘন্টা ধরে তোতা ভাই বসে আছেন বাস স্টান্ডে। কিন্তু নামে গেটলক হলেও থেমে থেমে যায় বাস। ফলে এক ঘন্টার রাস্তা আসতে লেগে যায় ২ ঘন্টার বেশি।
ঘটনে-অঘটনে চট্টলা
১.
চট্টলার প্রথম ভ্রমণটারে অঘটন বলা যায়...নাকি ঘটন?
আমি আর মামুর ব্যাটা এক সন্ধ্যায় বসে আজাইরা ঝিমাচ্ছিলাম। হঠাৎ মনে হলো,- চল চট্টগ্রাম যাই, ভাবীরে নিয়া আসি। ভাবী পড়তেন চট্টগ্রাম ইউনিতে, ভাইয়ের পোস্টিং ঢাকায়। বৃহস্পতিবারের দিকে ভাবী ঢাকায় আসতো। তো আমরা ভাবলাম যে আমরাই গিয়ে নিয়ে আসি। মধ্যে দিয়ে চট্টলা ঘুরা হয়ে যাবে। মাথায় প্ল্যান আসার দশ মিনিটের মাথায় ফাইনাল করে ফেললাম। এবার যার বৌকে আনতে যাব, তার কাছে গেলাম। ভাই বললো, "ভাবীরে আনতে যাবি যা, আমারে জিগায়া তো প্ল্যান করস নাই!" আমাদের সামনে গা-ছাড়া ভাব ধরছে আর কি! হু কেয়ারস! রাতের বাসে চড়ে বসলাম, সূর্য উঠতে না উঠতেই চট্টলা।
প্রিয় মুসা ভাই, আপনি বিষয়টা খোলাসা করুন।
প্রিয় মুসা ভাই,
মুসা ইব্রাহীম ভাই, আপনি আমাদের জাতীয় বীর। আপনার এভারেস্ট বিজয় আমাদের জাতিকে সারা জীবন অনুপ্রেরণা দিবে।
প্রিয় মুসা ভাই,
আপনি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নিন। আমি এর পূর্বেও আপনাকে শুভেচ্ছা জানিয়াছি। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন ব্লগ ও নিঊজ দেখে আমার কাছে মনে কেমন সন্দেহ জাগছে।
প্রিয় মুসা ভাই,
আজ ও একটা পেইজ দেখে এমন মনে হচ্ছে। আমরা লজ্জিত হয়ে পড়ছি।
কক্সবাজার নারিকেল জিঞ্জিরা ভ্রমন ৪ : বিদায় দারুচিনি দ্বীপ এবং ২০০৯
সকালে জিশান জানায় মাঝ রাতে মাছ ধরার নৌকা দিয়ে সমূদ্রে ঘুরে এসেছে। এখানে তার বন্ধুদের সাথে দেখা হয়েছে, তাদের সাথে। খুব আফসোস লাগে, এমন সুযোগ কি আর পাওয়া যাবে!
কুয়োর ব্যাঙের স্বর্গ ভ্রমন-১
এই গল্পের প্রধান চরিত্র আমি নই। প্রধান চরিত্র চার ল্যাবরেটরিয়ান। সুমন (তাস্তুবালা), মাকসুদ (মাক্কু), শিবলী এবং হাসিব। এই চার বন্ধু এই শহরের এমন চারটি মানুষ, যারা অবাধ স্বাধীনতায় বড় হয়েও বেড়ে উঠেছে সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পথে। কোন নেশা নেই, কোন অনৈতিক কাজে তাদের সায় নেই।মোটেই প্রশংসা করছিনা। যা সত্য শুধু ততটুকুই বলছি। এই চার বন্ধু তাদের অবাধ স্বাধীনতাকে কাজে লাগিয়ে অপার বিস্ময়ে দেখছে পৃথিবীর অনন্য রূপ। এরা টাকা জমিয়ে দেশে বিদেশে ঘুরতে পছন্দ করে। এমন নয় যে স্বচ্ছল হয়েই এখন তারা ঘোরে। তারা চারজন বেড়ায় তখন থেকে, যখন তারা ছিল স্বচ্ছলতার সীমার বাইরে। আমার ভালো লাগাটা এখানেই।
আবজাব ভ্রমণ কাহিনী - নানার বাড়ি মধুর হাঁড়ি
ছুটির দিনে আমি বেশীরভাগ সময় বাসায় থাকতেই পছন্দ করি। নিতান্ত প্রয়োজন নাহলে ছুটির দিনটা বাসায় ঘুমিয়ে, আন্তর্জালিক জগতেই কাটিয়ে দিতে চেষ্টা করি। সপ্তাহের ছয়দিন অফিস করতে হয় বলে শুক্রবার দিনটা এমনিতেই একটু বিশ্রামে কাটাতে ইচ্ছে হয়। গতকাল বৌদ্ধ পূর্ণিমার ছুটির কারণে সপ্তাহে একদিনের বেশী ছুটি পেয়ে গেলাম। তাই চলে গিয়েছিলাম নানাবাড়ী। আমাদের নানাবাড়ী লোহাগাড়া, জায়গাটা কক্সবাজারের কিছুটা আগে। চট্টগ্রাম থে
ব্যাঘ্র মামার আস্তানায়ঃ এবার সবিস্তারে
১.
সে রাতটা ঘুটঘুটে রাত হতে পারতো, কালি-গোলা অন্ধকার বলা যেত। কিন্তু নাহ... সে রাত ছিল চাঁদনী রাত, চাঁদটাও বেশ বড়। একদিন পরই পূর্ণিমা। তবু বনের সরু খালটার উপর গাছের ডালপালা এসে এক আধো আলো-ছায়ার আবরণ তৈরি করেছিল। গাছের সে সবুজ তোরণের নিচে আমরা কজনা ভাসছি। ট্রলারের ইঞ্জিন অনেক আগেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। খালের মাঝে নোংর ফেলেছে মাঝি। নোঙরের দড়ির ঢিলটুকুর সুযোগ নিয়ে ঢেউয়ের তালে নৌকা মাঝে মাঝে তীরের কাছে চলে যাচ্ছে। আর শিউরে উঠছে নৌকার অভিযাত্রীরা। এই কিছুক্ষণ আগেও বনে অনেকরকম নিশাচর পশু-পাখির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছিল। হঠাৎ সে আওয়াজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।