ইউজার লগইন
মানবতা
আজকের জামাতে ইসলামী শিবির ও সমমনা ১২ দলের নগ্ন হামলা কর্মকান্ড ও জাতীর বিবেকের কাছে কিছু প্রশ্ন ।
আজ সারাদেশে জামাতে ইসলামী , শিবির আর তাদের সমমনা ১২ ইসলামী দল যে ভেলকি দেখালো তাতে কি তারা তাদের অস্তিত্বের প্রমান দিল নাকি শক্তির জানান দিল ?
শহীদ মিনার ভাঙ্গা , জাতীয় পতাকা পোড়া , সাংবাদিক , পুলিশ , সাধারন মানুষের উপর হামলা , জাতীয় মসজিদে আগুন দেয়া সহ গনজাগরনের মন্চ গুলো ভাঙ্গা সহ কি করেনি তারা ? এর থেকে বড় দেশদ্রোহী কর্মকান্ড আর কি হতে পারে?
আজ ধিক্কার তাদের যারা জামাতে ইসলামী আর শিবিরের সাথে তাদের একাত্বতা প্রকাশ করেছে তাদের ।
তবে এতে অবাক হবার কি আছে ? এটা তো এদের কাজ । ধর্ম হল তাদের রুটি রুজি । আর আমাদের সাধারন জনগন হল এই ধর্ম ব্যবসায়ীদের বলির পাঠা । কিন্তু এই মানুষ গুলো কি মূর্খ ? কোনটা ভাল কোনটা মন্দ তা কি তারা বোঝেনা ? ধর্মকে পুজি করে সাধারন মানুষ নিয়ে খেলছে এই ইসলামী দল গুলো । আর এই ধর্মান্ধ মানুষ গুলো তাদের পিছনে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মত ছুটছে ।
চিলে কান নিছে বলছে হুজুরে,
আনতে পারলে কান,
যাইবো জান্নাতে ।
জামায়াত আর শিবির বড় নাস্তিক।
যে আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখে সে আস্তিক আর যে না রাখে সে নাস্তিক , তাই না ? নাকি যে আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখে আর তার কথা মেনে চলে সে আস্তিক ? জামায়াত আর শিবির কি করে ? ধর্ম কে ঢাল করে রাজনিতী , মানুষ খুন , জিহাদের নাম এ মানুষ হত্যা , ওরা কি জানে আল্লাহ তার বান্দাদের কি করতে বলেছেন আর কি করতে বলেনি ? বিদায় হজ্বের ভাষন কি ওরা ভুলে গেছে ?
সব ভুলে গেছে ওরা জামায়াত আর শিবিরের আল্লাহ হল গোলাম আজম আর নবী হল সাইদি,মুজাহিদ,কাদের মোল্লা । কারন জামায়াত আর শিবির আমাদের আল্লাহ,মহানবী(স:) আমাদের পবিত্র কুরআন শরীফ কোনোটাই মেনে চলেনা তাদের রাজনৈতিক গুরু যাদের তারা তাদের আল্লাহ মানে তাদের কথা তারা মেনে চলে । তাহলে ভেবে দেখুন জামায়াত আর শিবিরের থেকে বড় নাস্তিক কোথাও আছে কি ? যেসব জামায়াত আর শিবিরের নাস্তিক রা এ পোস্ট টা দেখবেন তাদের জন্য আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স:) এর বিদায় হজ্বের ভাষন টি নিচে তুলে ধরলাম। কোনো কমেন্টর করার আগে একবার পরবেন।
¤ বিদায় হজ্বে আরাফার মাঠে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর ঐতিহাসিক সেই ভাষনের কিছু অংশঃ
কিছু জিজ্ঞাসা
কর্মকান্ড ১: নতুন প্রজন্ম ১৭ দিন টানা বিক্ষোভ সমাবেশ করলো , কিন্তু কোনো সহিংসতা হলোনা। একটি বারের জন্যও অরাজকতার সৃষ্টি হলোনা। লাখো মানুষের জমায়েত , স্লোগান কিন্তু হলোনা কোনো ক্ষয়ক্ষতি।
ফলাফল: এটা নাস্তিকদের আন্দোলন। এরা ইসলাম এর শত্রু। এদেরকে রুখে দিতে হবে।
কর্মকান্ড ২: তথাকথিত মুসলিমরা আজ শাহবাগের আন্দোলনের প্রতিবাদে মিছিল বের করেছিলো। শুরুতেই পুলিশের সাথে সংঘর্ষ, বোমা নিক্ষেপ । কয়েকশত মানুষের জমায়েত , স্লোগানের সাথে সাথে হলো আক্রমন প্রতিআক্রমণ , জ্বললো জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম আর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি।
ফলাফল: এটা ইসলামের আন্দোলন। এরা ইসলাম এর প্রতিষ্ঠা চায়।
জিজ্ঞাসা : হিংস্রতা ইসলামের কোথায় আছে? মসজিদ জ্বালিয়ে ইসলাম কিভাবে প্রতিষ্ঠা পাবে? ইসলাম শান্তির ধর্ম ; তাহলে এই অশান্তি সৃষ্টিকারীরা কোন হাদিসের আলোকে ইসলাম এর পক্ষে? ইসলাম ধর্মের ক্ষতি কে বেশি করলো , শাহবাগের তরুনরা নাকি আজকের প্রতিবাদকারীরা?
বিশ্লেষণ :যে ঘুমিয়ে থাকে তাকে জাগানো যায় , কিন্তু যে জেগে ঘুমায় তাকে কিভাবে জাগায়?
জামাত-শিবিরের হরতাল প্রতিরোধে আমার কর্মসূচী
এইটা বলিনা যে আমি এর আগে হরতালের বিপক্ষে ছিলাম বা সমর্থন করসি! পূর্বের হরতালে আমার অবস্থান নিরপেক্ষ ছিলো! তবে আগামী কালের হরতাল আমি মানছিনা এবং আমি স্পষ্ট ভাবেই এর বিপক্ষে, রুখে দেবার জন্য যা করার তাই করবো আমার অবস্থান থেকে!
যা করমু ভাবতেসিঃ
# বাসায় বাজার নাই, আম্মু কইলো বাজারে যাইতে...পরিস্কার জানায় দিসি, কালকেই যাবো! আজকে না খাওয়ায়ে রাখো ব্যাপার না! কালকেই বাজার কৈরা আমি হরতাল প্রতিরোধ করমু!
# বাসায় ইলেক্ট্রিশিয়ান দিয়ে কিছু কাজ করানো দরকার! এত্তদিন ধরে বাসা থেকে বলা হইতেসে করাইতে, আমার টাইম হয়না ওই কাজ গুলো করানোর! ঠিক করসি কালকেই করুম! কালকে করায়ে আমি হরতাল প্রতিরোধ করুম!
# ক্লায়েন্ট বলসে গিয়ে পেইমেন্ট নিয়ে আসতে! কইলাম ব্যাংকে জমা দিতে , আইতে পারুম না! তোহ আজকে ফোন দিয়ে বললাম, ব্যাংকে দিতে হবেনা, আমি কালকে আস্তেসি স-শরীরে, পেইমেন্ট নিতে! কালকে গিয়ে পেইমেন্ট কালেক্ট কৈরা আমি হরতাল প্রতিরোধ করুম!
মন খারাপের দিন
আমার মেয়ে মাত্রই দশে পা দিলো। তাকে আমি সজ্ঞানে কখনো সেভাবে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গল্প করিনি। একটা বিরাট কারণ প্রবাসীনি হওয়ায়। আর মায়ের কাছে সন্তান সবসময় ছোট থাকে। মনে হতো এতো ভয়াবহ ঘটনা বাচ্চার মনে খারাপ প্রভাব ফেলবে, আর একটু বড় হোক সে, তারপর জানবে সব। কিন্তু যা হয়, বাসায় আলোচনা শুনে শুনে, খালা – মামা, গুগল থেকে সে জানে, ৭১ এ পাকিস্তানীরা বাংলাদেশের সাথে “অনেক খারাপ” করেছিলো। মানুষ মেরে ফেলেছিলো, তাই পাকিস্তানীরা বাংলাদেশের বন্ধু নয়, আমরা কখনো কোন কাজে পাকিস্তানকে সমর্থন করতে পারি না, এটা কখনো আর সম্ভব নয়। যেহেতু এটা সে জানেই, তাকে আমি “আমার বন্ধু রাশেদ” সিনেমাটা বেশ কয়েকবার দেখতে দিয়েছিলাম। আমার মনে হয় আমাদের বাচ্চাদের ধারাবাহিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বলার এর থেকে সুন্দর উপায় আর হয় না। মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারকে আমি অনেক কারণেই অসম্ভব শ্রদ্ধা করি, তারমধ্যে এটিও একটি কারণ।
র্যাগিং! বন্ধ হোক বিকৃত আনন্দের উৎসব।
আনন্দ ভাল, তবে সেটি করতে গিয়ে অন্যের বেদনার কারণ হওয়ার অধিকার কারও থাকতে পারেনা। অথচ র্যাগিং নামের এক অদ্ভূৎ ও আদিম আচরন রয়েছে যা আমাদের দেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকাতে দেখা যায়। র্যাগিং এর নামে বিশ্ববিদ্যালয় সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সিনিওর ছাত্র/ছাত্রীরা নবীন ছাত্র/ছাত্রীদের মানসিক ও শারিরীক ভাবে পীড়ন করে থাকে। এর চর্চা চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এর ফল হয় ভয়াবহ। বহু নবীন ছাত্র/ছাত্রী মানসিক আঘাতের কারণে পরবর্তীতে আর স্বাভাবিক আচরন করতে পারেনা, কেও কেও আত্মহত্যাও করে ফেলে। র্যাগিং এ শ্রীলংকার পরিস্তিতি বিশ্বে সবচেয়ে ভয়াবহ। ভারতে এর ক্ষতিকর দিক বিবেচনা করে সরকারী উদ্যোগে ওয়েবসাইট করা হয়েছে, টোল-ফ্রী টেলিফোনসহ দ্রুত অভিযোগ ও সত্যতা প্রমান সাপেক্ষে দ্রুত বিচারের ব্যাবস্থা করা হয়েছে।
স্বপ্নের শহরঃ নিঃশব্দ প্রহরের কান্না !
শীত বেশ জেঁকে বসেছে এবার, দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড ছুঁয়েছে। এই হাড় কাঁপানো শীতে খোলা আকাশের নিচে বাঁচার জন্য নিরন্তর সংগ্রাম করে চলে কিছু মানুষ। রঙিন কাঁচের আড়ালে ঝলমলে বর্নীল জীবন নয়, বরং শক্ত মাটির উপর কনক্রিটের বিছানাই ওদের সম্বল। পশমি কম্বলের আরামদায়ক উষ্ণতার প্রত্যাশা ওরা করে না, হাড় কাঁপানো তীব্র শীত আর হিম শীতল বাতাসের সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে পাতলা পুরাতন কাপড় কিংবা চটের আচ্ছাদনে উষ্ণতা খুঁজে ফিরে এই সব অস্পৃশ্য মানুষ নামের জীব! সীমাহীন শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচাতে এদের দিকে দু’হাত বাড়াতে এগিয়ে আসে না কেউ, দেখায় না সামান্য সহানুভূতি! সারা শহর জুড়ে বিভিন্ন খোলা জায়গায়, পার্কে কিংবা বাসস্ট্যান্ডে গেলে দেখা যায় বাস্তব চিত্র। রাতের ঢাকার এই চিত্র বেশীর ভাগ মানুষের কাছেই থেকে যায় অজানা!
শীত রাতের কিছু দৃশ্যঃ
~*~দর্শক কিম্বা ধর্ষক --আমরা পাপী~*~
শেষ রাতের ঘুমটা আরো গাড় হচ্ছিল ক্রমশ ।
সাদাকালো স্বপ্নেরা সবেমাত্র পরাবাস্তবতার স্টেশান এ পা দিল---
গাঢ় আন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছি, যেখানে শুধুই শুন্যতা...
আর মাথার নিউরনে অনবরত ফ্লাশবাক।
সমস্ত শরীর প্রচণ্ড ভয়ে ছোট হতে হতে একদলা মাংশে পরিনত যেন।
হঠাৎ সব ভয় উবে গেল আর সেই নিউরন শুদ্দ সমস্ত আমি প্রবল বেগে ধাবিত হতে থাকলাম এক অসীম শুন্য টানেল ধরে ।
কেউ যেন আমার সত্তাকে পুড়িয়ে মারছে আর আমি ক্রমশই একটা জ্বলন্ত লাভায় পরিনত হচ্ছি । খুব কষ্ট।
ফ্ল্যাশবেকে ভেসে উঠছে কিছু মুখ যারা অকালে ঝরে গেছে ।।
কিম্বা নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারেনি এই নিস্ঠুর পৃথিবী তে।
এই নরকে তাদের ঠাঁই হয়নি ।
যারা চলে গিয়ে বেছে গেছেন এই গ্লানিময় পৃথিবী থেকে।
ওই ত ইয়াসমীন, পারুল , যামিনী , ডাঃ সাজিয়া...
কি সুন্দর ধবধবে সাদা শাড়ী পরে মেঘের মাঝে লুকচুরি খেলছে।
আর আমার আত্মা জ্বলে মরছে ।
আমি ত ধর্ষক নই তবুও কেন আমার এই শাস্তি?
আমার দিকে হেসে বিধাতার বক্রোক্তি -
তুমি হইলা আমার কুলাঙ্গার বান্দা তুমি নপুংশক দর্শক।
নিরব থাইকা সাপোর্ট দিলা, যে ধর্ষক তারে?
নিজের অপারগতা ঢাকতে ভুল ধরতে গেলা মাইয়াগো ?
আমি পশু হতে চাই
যখন দেখি একজন ধর্ষককে মানুষের আইনে বিচার করা হচ্ছে, তখন আমার পশু হতে ইচ্ছে করে। যখন দেখি সেই ধর্ষকদের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে কিছু সুশীল, মেয়েদেরকে দোষারোপ করছে , তখন আমার পশু হতে ইচ্ছে করে। যখন দেখি ধর্ষনের কারন হিসেবে নারীর পোষাককে দ্বায়ী করা হচ্ছে, তখন আমার পশু হতে ইচ্ছে করে। যখন শুনি নারীরা উত্তেজনাকর পোষাক পরে বলে তারা ধর্ষিত হয় তখন আমার পশু হতে ইচ্ছে করে।
পশু হওয়াই ভালো, পশুর বিবেক বলে কিছু থাকেনা। নিজের অপারগতার জন্য নিজেকে নগন্য মনেহয় না ।
আমি চাইনা সেই মানুষের জীবন যারা দশ বছরের এক ফুলের মত শিশুকে ধর্ষন করে। আমি চাইনা সেই মানুষ হতে যে তার নিজ বান্ধবীকে ধর্ষিতা করে। আমি চাইনা সেই মানুষ হতে, যে এইসব দেখেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে আর বলে আমরা অন্তত ওদের চেয়ে ভালো আছি। আমি চাইনা সেই মানুষ হতে যে বলে ওই মেয়েরই তো দোষ , ও কেন গেলো?
নতুন বছরে যুবকদের শপথ হোক--আপস নয় কোন অন্যায়ের সাথে
বাঁধাহীন ভয় নয় অথবা ভয়হীন বাঁধা নয়--আসুক বিপদসঙ্কুলে ভরা বাঁধা, ভয়। প্রাণসম্পদে পরিপূর্ন এ সময়ের যুবকরা মানবে না কোন বাঁধা, ভয়, কোন অজুহাত; আপস করবে না কোন অসত্যের সাথে। পূর্বপুরুষের মত সত্যের কঠিন আঁকা-বাঁকা পথ বেয়ে সমকালের শ্যাঁওলা পথের শত বাঁধা ডিঙিয়ে মহাকালের নতুন প্রাণে জাগাবে নতুন আলোর স্রোতধারা।
একটি ফুলের জন্য, রুশানের জন্য..
রুশানের কথা আমরা সবাই কিছু না কিছু জানি। তারপরও যারা অবগত নন তারা এখানে দেখতে পারেন।
নাওয়ার খান (রুশান) বয়স (তিন বছর)। এই ছোট্ট ছেলেটির এখন হেসে খেলে বেড়ানোর সময়। কিন্ত ভাগ্যের র্নিমম পরিহাস, আজ সে হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে। কারন রুশানের জন্মগতভাবে হার্টের একটি ভাল্ব নেই। তিন বছর যাবত সে ঔষধের সাহায্যে বেঁচে আছে। কিছুদিন পূর্বে হঠাৎ অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় তাকে জরুরী ভিত্তিতে ঢাকার ইব্রাহীম কার্ডিয়াক হাসপাতালে বাইপাস সার্জারী করার জন্য ভর্তি করা হয়েছিল। একজন সুস্থ মানুষের হার্টে তিনটি ভাল্ব থাকে রুশান জন্ম নিয়েছে দুইটি ভাল্ব নিয়ে এর মধ্যে একটি ভাল্বের মুখ খুব সরু, অন্যটি ঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না। এর ফলে রুশানের মস্তিষ্ককে ঠিকভাবে রক্ত প্রবাহিত করতে পারে না, এর ফলে রুশানের সবসময় মাথা ঘুরায় এবং প্রায়ই তার রক্ত চাপ নীচে নেমে যায়। সেই সাথে বমি হয়। আস্তে আস্তে নিভে যাচ্ছে ছোট্ট রুশানের জীবন প্রদীপ।
নভেম্বর ২৫ তারিখে প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত কাটিংটি দেখুন।
বিশ্বজিতের মৃত্যুর দায় আমাদের সবার
আমরা ষোল কোটি মানুষের মধ্যে সর্বোচ্চ কত সংখ্যক মানুষ সক্রিয় রাজনীতি করি বা সক্রিয় রাজনীতির সাথে জড়িত?
হলো না তার রেসে জেতা
সামনে আরো পাঁচ জন!
একজন ফেললাম। ঐ যে দূরে রেসের ফিতা
পৌঁছাতে হবে সবার আগে তবেই হবে জিতা।
প্রাণপনে দৌড়াও আরো জোরে আরো জোরে
আরেকজন ফেললাম; ওই যে নিকটেই ফিতা।
দৌড়াও দৌড়াও! ওহ! কি হলো ! কি করে পড়লাম!
উড়ছে ধুলা, চারিদিকে সোরগোল! ইস ইস শব্দ!
আমি পড়ে গেলাম পড়ে গেলাম, সারা শরীরে ধূলা
আহ! ওই যে ফিতা! হাত বাড়ালেও যায় না ছৌঁয়া।
***
তোমরা সেদিন যারা খেলা দেখেছো মাকে বলো
আমি কোন দিনও পারি নাই, আজও জেতা হল না রেস।
আমার প্রাণপনে দৌড়েও বেঁচে থাকা হল না।
মা তুমি কেন মিথ্যে বলেছিলে-
মৃত্যুর সময় যম দেখা যায়!
হ্যাঁ, সে ছিল আমার দেবতা,
তোমরা যার নামে গাল পারো, কেবল সেই ছিল।
সেও আমায় বাঁচাতে পারল না,
পারল না রেসের ফিতার ওপারে নিতে।
[দয়া করে লীগ বিরোধীতার গন্ধ খুঁজবেন না।
উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ
১৯৪৭-এ বিতর্কিত দ্বিজাতি তত্ত্বের আলোকে দেশ ভাগ, ’৫২-এর স্বাধীনতার আন্দোলন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণ অভ্যুত্থান, ‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা লাভ, '৯০-এ স্বৈরাচার পতন--এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ, আজ কোথায়, কোন অবস্থায় আছে ! কেমন আছে আমার দেশ, দেশের মানুষ, আমার মাতৃভূমি, আমার প্রিয় জন্মভূমি, আমার স্বাধীনতা? এ বিজয়ের মাসে পরাজিত রাজাকার আর তাদের বংশধররা কার বা কাদের সহযোগিতায় ’৭১-এর মানবতাবিরোধী, কুখ্যাত রাজাকারদের মুক্তির জন্য আন্দোলন করে, দেশ ব্যাপী হরতাল করে ? কোথা থেকে তারা এত সাহস পায়? পৃথিবীর কোন দেশ ধর্মীয় জাতি সত্ত্বার কারণে বিভাজিত হয়নি, শুধু ভারত ছাড়া; কোন দেশে স্বাধীনতার যুদ্ধে পরাজিতরা মাথা তোলে কোনদিন দাঁড়াতে পারেনি; শুধু বাংলাদেশ ছাড়া।
জামায়াতের মুখ ও মুখোশ!
ধর্মটা জামায়াতের মুখোশ। ধর্মের সিঁড়িকে ব্যবহার করে অর্থ ও ক্ষমতার প্রাসাদে আরোহন যে তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তা আবার প্রমাণ করলো তারা। মুখোশ খুলে আবার নিজের প্রকৃত রূপ দেখালো জামায়াত। এ নিয়ে না লিখে থাকতে পারলাম না, তাই কিবোর্ড পিষতে বসলাম।
এবার জামায়াতের মুখ ও মুখোশের কথায় আসি। আজকেই একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যম বলেছে, 'নিবন্ধন বাঁচাতে অবশেষে নিজেদের দলীয় গঠনতন্ত্রে ব্যাপক সংশোধন এনেছে স্বাধীনতাযুদ্ধে বিরোধীতাকারী ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। নতুন সংশোধনীর মাধ্যমে দলটি গঠনতন্ত্র থেকে আল্লাহ প্রদত্ত ও রসুল প্রদর্শিত ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার কথা বাদ দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার কথা বলেছে।'